Blog

  • Dutee Chand: ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ দ্যুতি চাঁদ! চার বছর নির্বাসিত দ্রুততমা 

    Dutee Chand: ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ দ্যুতি চাঁদ! চার বছর নির্বাসিত দ্রুততমা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোপ টেস্টে (Dope Test) ব্যর্থ ভারতের দ্রুততম মহিলা স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদ  (Dutee Chand)। চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে জাতীয় রেকর্ডের মালকিনকে। শাস্তি হিসাবে ২০২৩ সালে তাঁর জেতা সব পদক, পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হবে। মুছে দেওয়া হবে গত আট মাসের সব পরিসংখ্যান।

    কেন সাসপেন্ড দ্যুতি

    চলতি বছরের প্রথমদিকে দ্যুতিকে সাসপেন্ড করেছিল ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (NADA)। তবে কতদিনের জন্য তা জানা যায়নি। পাক্কা সাতমাস পর নাডা জানিয়েছে চার বছরের জন্য ট্র্যাকে নামতে পারবেন না দ্যুতি। গত জানুয়ারি মাসে দ্যুতি জানিয়েছিলেন সাসপেনশনের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন করবেন তিনি। নিষেধাজ্ঞার কারণে হাংঝাউ এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) অংশ নিতে পারবেন না দ্যুতি। ২০১৮ সালের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে দেশকে রুপোর পদক এনে দিয়েছিলেন দ্যুতি চাঁদ।

    কত দিনের জন্য নির্বাসন

    গত ৫ এবং ২৭ ডিসেম্বর ডোপ পরীক্ষার জন্য দ্যুতির যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তাতে নিষিদ্ধ ওষুধের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে তাঁর নির্বাসনের মেয়াদ। আগামী ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই নির্বাসনের মেয়াদ বহাল থাকবে। ২১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন ২৬ বছরের ক্রীড়াবিদ। অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের (এডিডিপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘এক জন অ্যাথলিট নিষিদ্ধ কিছু গ্রহণ করেছিলেন। এমন গুরুতর গাফিলতি বা অপরাধ হালকা ভাবে নেওয়া যায় না।’’ আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ওষুধটি অজান্তে বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে খেয়ে ফেলেছিলেন, তাও প্রমাণ করতে পারেননি দ্যুতি। 

    আরও পড়ুন: সাজঘরের শক্তি মাপাই লক্ষ্য! আজ ভারত-আয়ারল্যান্ড প্রথম টি-২০ ম্যাচ

    শাস্তি মুকুবের আবেদন

    এশিয়ান গেমসে একাধিক পদকজয়ী অ্যাথলিট নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী পার্থ গোস্বামী বলেছেন, ‘‘যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। তা ছাড়া যে সময় ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তখন কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই। দ্যুতি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুবিধা কোনও প্রতিযোগিতায় নেননি। দ্যুতি একাধিক বার আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে গর্বিত করেছেন। এক দশকের বেশি সময় অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্তত ১০০ বার ডোপ পরীক্ষা দিয়েছেন দ্যুতি। কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। সব ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই নির্বাসনের শাস্তি মকুবের জন্য আবেদন করা হবে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    Manipur: পাহাড়ি এলাকা থেকে এসে এলোপাথাড়ি গুলি, মণিপুরে সংঘর্ষ, মৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে। আজ, শুক্রবার ভোরে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের উখরুল জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। হয় গুলি বিনিময়ও। সংঘর্ষ থামলে দেহ উদ্ধার হয় কুকি অধ্যুষিত থোয়াই গ্রামের তিন যুবকের। এঁরা হলেন জামখোগিন হাওকিপ, থাঙখোকাই হাওকিপ এবং হ্যালেনসন বাইতে। হিংসা দীর্ণ এই রাজ্যের (Manipur) কুকি সংগঠনগুলির দাবি, মেইতেইরাই খুন করেছে ওই তিনজনকে।

    ফের অশান্তি চিত্রাঙ্গদার দেশে

    পক্ষকাল শান্তি থাকার পরে ফের নতুন করে অশান্তির ঘটনায় ত্রস্ত মণিপুরবাসী। অশান্তির আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে থোয়াই গ্রামে। উখরুলের পুলিশ সুপার এন ভাশুম বলেন, “গ্রামের পূর্ব দিকে থাকা পাহাড়ি এলাকা থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গ্রামের প্রহরীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। আহতের কোনও খবর নেই।

    দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান

    ঘটনার পরে পরেই অভিযুক্তদের খোঁজে (Manipur) যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও সেনা। গত ৫ অগাস্ট বিষ্ণুপুর ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় পৃথক গুলি চালানোর ঘটনায় মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে ছিলেন তিনজন মেইতেই এবং দুজন কুকি সম্প্রদায়ের। তার পর থেকে শান্তির সুপবন বয়ে যাচ্ছিল চিত্রাঙ্গদার দেশে। শুক্রবার ভোরে ফের অশান্তির আগুন জ্বলায় কপালে ভাঁজ প্রশাসনেরও।

    তফশিলি জাতির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ। হিংসার সূত্রপাত তা থেকেই। সংঘর্ষের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ৩ মে। হিংসার আগুনে পুড়েছে ঘরবাড়ি, দোকানদানি। ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। অকালে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখমও হয়েছেন বহু। হিংসার জেরে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি হল মেইতেই অধ্যুষিত বিষ্ণুপুর, ইম্ফল পূর্ব, পশ্চিম এবং কাকচিং।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    কুকি-জোমি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর ও কাঙ্গপোকপি এলাকাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিশের কাছে জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি অভিযোগ। মণিপুরের এই হিংসায় অবশ্য জড়িয়ে পড়েননি সে রাজ্যের নাগা সম্প্রদায়ের মানুষ। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে মণিপুর প্রসঙ্গ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, “মণিপুরে (Manipur) ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। মণিপুরের সঙ্গে রয়েছে ভারত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kolkata East West Metro: হাওড়া ময়দান ও এসপ্লানেডের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু ডিসেম্বরেই?

    Kolkata East West Metro: হাওড়া ময়দান ও এসপ্লানেডের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা চালু ডিসেম্বরেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা এই বছর ডিসেম্বরেই চালু হতে পারে। মেট্রো সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বর মাসেই যাতে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের রুট চালু করা যায়, সে জন্য কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই নতুন মেট্রোর হাওড়া ময়দান, হাওড়া, বিবাদী বাগ এবং এসপ্লানেড স্টেশনে বিশেষ স্বয়ংক্রিয় গেট বসানো হয়েছে। ওই মেট্রোপথে ভাড়া আদায়-সহ পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবস্থা সেক্টর ফাইভ এবং শিয়ালদার মধ্যে চালু ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যাতে যাত্রীদের ক্ষেত্রে ভাড়ার কাঠামো, যাতায়াত সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার বিষয়গুলি এক জায়গা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, এই কাজের অঙ্গ হিসাবে বিশেষ রেভিনিউ কিট সফ্‌টওয়্যার নতুন করে বসানো ছাড়াও তার বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। 

    প্রযুক্তিগত সংযুক্তি এ সপ্তাহেই

    চলতি বছরের শেষে হাওড়া ময়দান এবং এসপ্লানেডের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরুর লক্ষ্যে আপাতত হার্ডওয়্যার এবং সফ্‌টওয়্যারের মেলবন্ধনে জুড়ে যাচ্ছে এই দুই প্রান্তিক স্টেশন— সেক্টর ফাইভ ও হাওড়া ময়দান। ওই মেট্রোপথকেই সেক্টর ফাইভ এবং শিয়ালদার মধ্যে চলা রুটের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সে দিক থেকে প্রযুক্তির হাত ধরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এই প্রথম নিজের সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার বার্তা দেবে বলে জানাচ্ছেন কর্তারা। এই কাজের জন্য আগামী কাল, শনিবার এবং পরের শনিবার, আগামী ২৬ অগস্ট– এই দু’দিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। মেট্রোর আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মেট্রোর নতুন অংশে পরিষেবা শুরুর আগে প্রযুক্তিগত সংযুক্তি বিশেষ আবশ্যক। সেই জন্যই দু’দিন পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    বউবাজার এলাকায় মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার বাড়িতে ফাটল থেকে শুরু করে সুরঙ্গে পথ তৈরি করতে গিয়ে মাটি ধসে যাওয়া–সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই শিয়ালদা থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত মেট্রো এখনই ছোটানো যাচ্ছে না। এই ব্যবধানটুকু সরিয়ে রেখে বাণিজ্যিক পরিষেবা দিতে ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোয় চালু থাকা নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসতে চলেছে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশ। এই কাজটা সম্ভব হলে জুড়ে যাবে মেট্রোর পূর্ব ও পশ্চিম। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ধৃত ৯ জনের বয়ানেই অসঙ্গতি! যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুনর্নির্মাণ পুলিশের

    JU Student Death: ধৃত ৯ জনের বয়ানেই অসঙ্গতি! যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় পুনর্নির্মাণ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। এর পরবর্তীকালে আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর প্রত্যেককেই যা বয়ান দিয়েছে তাতে মিলেছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তনী সপ্তককে নিয়ে যাদবপুর থানার পুলিশ মেন হস্টেলে আসে। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। তারপর সপ্তককে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাদবপুর থানায়।

    এখনও পর্যন্ত স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনা গ্রেফতার হয়েছে ৯ জন। এদের প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি মেলায় প্রত্যেককেই আলাদাভাবে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের, এমনটাই সূত্রের খবর। স্বপ্নদীপকে (JU Student Death) কোথায় ইন্ট্রো নেওয়া হয়েছিল, কোন ঘরে তাকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল, চিঠি কে লিখেছিল, তখন কে কোথায় ছিল, এসব প্রশ্নের উত্তরই জানতে চাইছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত এসব ছেলেরা।

    গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি

    গ্রেফতার হওয়ার ৯ জনের বয়ানে অসঙ্গতি (JU Student Death) থাকায় তাদেরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরাও করে নিতে চাইছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী। তার পরবর্তীকালে গ্রেফতার হয় দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষ। এরপর গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা অসিত সরকার, সুমন নস্কর, পূর্ব মেদিনীপুরের সপ্তক কামিল্যা নামের এক প্রাক্তনী, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহম্মদ আরিফ, পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আফজাল আনসারি, উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অঙ্কন সরকার। 

    তদন্তের খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় মেন হোস্টেল থেকে দুটি ডায়রি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১০ অগাস্ট হস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে প্রথম ডাইরি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করে একটি চিঠির বিষয়ে সামনে আসে। গত ১২ অগাস্ট রাতে ১০৪ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় দ্বিতীয় ডায়েরি। ডায়েরির ১৫১ নম্বর পাতায় ওই চিঠি পাওয়া যায়। পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ৯ অগাস্ট রাত্রি নটার পর ওই ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। সেখানে তাকে দিয়ে চিঠি লেখানোর পরিকল্পনা করেছিল সৌরভ এবং সপ্তক। এরা দুজনই প্রাক্তনী। সৌরভ অবশ্য পুলিশের কাছে দাবী করেছে যে চিঠি লেখার সময় সে নাকি ছিল না। দীপশেখরের দাবি, চিঠিটি তার নিজের লেখা। এসব কিছুই তদন্ত করছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনায় বড় নিয়োগ-পর্ব শুরু হচ্ছে ব্যারাকপুরে, কীভাবে আবেদন করবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এয়ারম্যান রিক্রুটমেন্ট র‍্যালির (Recruitment Rally) আয়োজন করতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। র‍্যালি হবে সেপ্টেম্বরের ১২ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত। নিয়োগ হবে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড পদে। আবেদন করতে পারবেন জেনারেল ও ফার্মাসিস্টরা। আগ্রহী প্রার্থীদের অসম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা হতে হবে।

    বায়ুসেনার বিজ্ঞপ্তি

    বায়ুসেনার তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে ন্যূনতম দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করতে হবে। ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে। অথবা দু বছরের বৃত্তিমূলক কোর্স সহ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি এবং ইংরেজিতে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে দ্বাদশ শ্রেণি। ফার্মেসিতে যাঁরা ডিপ্লোমা বা বিএসসি পাশ করেছেন, তাঁরাও এই পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

    পরীক্ষা পদ্ধতি

    নিয়োগের জন্য প্রথমে হবে (Recruitment Rally) শারীরিক পরীক্ষা। এতে পাশ করলে বসতে হবে লিখিত পরীক্ষায়। সেখানে অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন থাকবে (Indian Air Force)। উত্তর দিতে হবে ওএমআর শিটে। পরীক্ষা হবে ৪৫ মিনিটের। প্রশ্ন হবে ইংরেজি ও হিন্দিতে। সেপ্টেম্বরের ১২ ও ১৫ তারিখে হবে প্রথম দু দফার পরীক্ষ। ২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরাই অংশ নিতে পারবেন এই র‍্যালিতে। পরের দফার পরীক্ষা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর।

    আরও পড়ুুন: ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে দিচ্ছে আমেরিকা!

    এই দফায় আবেদন করবেন তাঁরাই, যাঁরা ১৯৯৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেছেন। যাঁরা ১৮ তারিখের পরীক্ষায় অংশ নেবেন, উপরিউক্ত যোগ্যতা ছাড়াও তাঁদের থাকতে হবে স্বীকৃত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসির ওপর ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা। পশ্চিমবঙ্গের পলতা রেলস্টেশনের কাছে ব্যারাকপুর এয়ারফোর্স স্টেশনে হবে র‍্যালি। শুরু হবে সকাল ছ’টা থেকে।

    আবেদন করার আগে ভাল করে পড়ে নিতে হবে বায়ুসেনার (Recruitment Rally) তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি। এ জন্য ক্লিক করতে হবে এই লিঙ্কে- Indian Air Force Recruitment 2023। Indian Air Force Recruitment এ ক্লিক করেও জেনে নেওয়া যাবে বিশদে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himachal Pradesh: ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি! মৃত বেড়ে ৭৪, বৃষ্টি বন্ধই হচ্ছে না হিমাচল প্রদেশে

    Himachal Pradesh: ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি! মৃত বেড়ে ৭৪, বৃষ্টি বন্ধই হচ্ছে না হিমাচল প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হিমাচলের বিভিন্ন জায়গায় এখন শুধু স্বজনহারানোর কান্না। বৃষ্টির জেরে হড়পা বান আর ধসের তাণ্ডব চলছে গোটা হিমাচল প্রদেশ জুড়ে। সিমলা, সোলান, মান্ডি, চাম্বা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে শুক্রবারও বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং বজ্রগর্ভ মেঘ-সহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় হাওয়া অফিস। গত রবিবার থেকে হিমাচলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল। টানা তিন দিন ধরে নাগাড়ে বর্ষণের পর, মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। বৃহস্পতিবারও রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। 

    একাধিক জায়গায় ধস

    রাজধানী সিমলায় গত কয়েক দিনে মুহুর্মুহু ধস নেমেছে একাধিক জায়গায়। সেই ধসে চাপা পড়ে কেউ নিখোঁজ, কারও দেহ উদ্ধার হয়েছে। কেউ পরিজনদের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শিউরে ওঠা ছবি ভেসে উঠেছে সিমলা-সহ হিমাচলের বেশির ভাগ অংশে। ভূমিধসের কারণে সিমলার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। বর্ষার মরসুম শুরুর পর থেকে ভারী বর্ষণজনিত দুর্ঘটনায় হিমাচলে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিগত কয়েক দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। হিমাচলের চারিদিকে এখন শুধুই হাহাকার, মৃত্যু যন্ত্রণা।

    কেন বারবার ধস

    পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পরিবেশগতভাবে হিমালয় ভঙ্গুর। সেখানে, অবৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্মাণ হয়েছে। বনভূমি কেটে কেটে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে। অবৈজ্ঞানিক নির্মাণের ফলে মাটি নীচে জলপ্রবাহ বাধা পাচ্ছে। এর ফলে ঘন ঘন ধস নামছে। চলতি বছরে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৫৫ দিনে উত্তরের এই পাহাড়ি রাজ্যে মোট ১১৩টি বড় মাপের ধস নেমেছে। বিগত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের সিমলা, কাংড়া এবং মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। একের পর এক ঘরবাড়ি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। ভেসে গিয়েছে বহু গ্রাম, চাষের জমি। এমনকি, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তাও ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে রাজ্যের ৭০০-র বেশি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল এবং খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিপদের মুখে পড়েছে হিমাচলের জনজীবন।

    আটকে বহু পর্যটক

    বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সূত্রে খবর, হিমাচল প্রদেশের বহু জায়গায় পর্যটক এবং স্থানীয়েরা আটকে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মোট ২৯টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি দল ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বাকি ১৫টি দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা এবং স্থানীয় প্রশাসনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: আজ বেঙ্গালুরুতে পালিত হবে ‘জিরো শ্যাডো ডে’! জানেন কী এর বৈশিষ্ট্য?

    ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি 

    এদিকে, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু উপদ্রুত অঞ্চলগুলি পরিদর্শনের পর জানিয়েছেন, রাজ্যের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ভূমিধসের ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে পরিকাঠামোর। সেগুলির পুনর্নির্মাণের চ্যালেঞ্জ ‘পাহাড় প্রমাণ’। হাজার হাজার মানুষের জীবন-জীবিকাও পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজ্য জুড়ে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি এই রাজ্যের অর্থনীতি মূলত পর্যটন এবং আপেল ব্যবসার উপর নির্ভর করে। এই দুই ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। হোটেল এবং গেস্ট হাউসে লোক নেই, পর্যটকদের অভাবে রোজগার নেই ট্যাক্সিচালকদেরও। হেলিকপ্টার এবং মোটর বোটের মাধ্যমেও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে দিচ্ছে আমেরিকা!

    Tahawwur Rana: ২৬/১১ হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে দিচ্ছে আমেরিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রত্যর্পণের রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে মার্কিন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) আবদেন। চলতি সপ্তাহেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডাবাসী এই ব্যবসায়ীর। তাই মার্কিন জেলে বন্দি ২৬/১১ মুম্বই হামলার এই অভিযুক্তকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চলেছে জো বাইডেন সরকার।

    আদালতের নির্দেশ

    যেহেতু আদালতের রায় মিলেছে, তাই চূড়ান্ত রায়ের জন্য অপেক্ষা না করেই তাহাউরকে প্রত্যর্পণের নির্দেশনামায় সই করতে পারবেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টলি ব্লিঙ্কেন। মে মাসেই তাহাউরকে ভারতে প্রত্যপর্ণের নির্দেশ দিয়েছিল ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত। সেই নির্দেশ মেনেই তাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে ভারতের হাতে। যদিও আদালতের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাহাউরের (Tahawwur Rana) আবেদনের বিচার চলছে ওয়াশিংটনের নবম সার্কিট বেঞ্চে।

    তাহাউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ে হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবার ১০ জঙ্গি। হামলায় প্রাণ যায় বেশ কয়েকজন বিদেশি সহ বহু মানুষের। ভারতের অভিযোগ ছিল, মুম্বইয়ের এই হামলার পরিকল্পনায় তাহাউর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। তাহাউরকে হাতে পেতে বছর পনের আগে আমেরিকার কাছে আবেদন জানায় ভারত। তখন তাকে ফেরত দেয়নি মার্কিন সরকার। পরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি হয়। ১৯৯৭ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি। এই চুক্তি মোতাবেক ফের জানানো হয় আবেদন। ২০২০ সালের জুন মাসে দ্বিতীয়বার তাহাউরকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। তারপর থেকে চলছে বিচার। সম্প্রতি মিলল প্রত্যর্পণের নির্দেশও।

    আরও পড়ুুন: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন বছর বাষট্টির তাহাউর (Tahawwur Rana)। আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রিট অফ হেবিয়াস করপাস ফাইল করে। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফর্নিয়ার ইউনাইটেড স্টেটস ডিস্ট্রিক্ট জাজ ডেল এস ফিশার বলেন, “একটি ভিন্ন রায়ে আদালত তাহাউর রানার রিট ফর হেবিয়াস করপাসের পিটিশন অস্বীকার করছে।” তাই তাহাউরকে ভারতে প্রত্যর্পণে আর কোনও বাধা রইল না বাইডেন সরকারের। সেই কারণেই তাহাউরকে প্রত্যর্পণে উদ্যোগী হয়েছে মার্কিন সরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    JU Student Death: ছাত্রমৃত্যুর পর ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রবল চাপে নির্দেশিকা জারি কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) জেরে অবশেষে ‘ঘুম ভাঙলো’ যাদবপুরের। তরুণ তাজা একটি প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়ার পর টনক নড়লো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এখন ‘নিজেদের পিঠ বাঁচাতে’ একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও, তাতে আদৌ কতটা লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

    রাতে প্রবেশে লাগবে বৈধ পরিচয়পত্র

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর চারদিক থেকে ধেয়ে আসা প্রবল চাপের মধ্যে অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করেন। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি আরোপ করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ‘বৈধ’ পরিচয়পত্র লাগবে। অর্থাথ, ক্যাম্পাসে রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যু করা পরিচয়পত্র ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না।

    কর্তৃপক্ষের নানা পদক্ষেপ 

    এছাড়া, নির্দেশিকায় বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে কোনও জাতীয় মাদক সেবন করা যাবে না। কেউ যদি মাদক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বাইক বা চারচাকার সামনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন স্টিকার না থাকলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না। রোজ রেজিস্ট্রার মেনটেন করা হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের গেটগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসছে।

    বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকেই গেল…

    স্নেহমঞ্জু বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, ‘ছাত্র মৃত্যুর মতো অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে কী কী করা উচিত তা নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি।’ অথচ, র‌্যাগিং বন্ধ করতে কী কী বদক্ষেপ, তা সম্পর্কে কোনও ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস শোনা গেল না তাঁর কথায়। ফলে, এই নির্দেশিকায় কতটা লাভ হবে, বা আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে কেউ-ই বলতে পারছেন না। এমনকী, এই নির্দেশিকা কার্যকর কোন পদ্ধতিতে করা হবে, বা একে লঙ্ঘন করলে, আইন ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে ঠিক কী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে, তাও স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি জেনেই থাকতো যে, সেখানে মাদক সেবন হয়, তাহলে, এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর অধরাই থেকে গেল। 

    আরও পড়ুন: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    মেডিক্যালে আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা 

    যাদবপুর (Jadavpur University) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। হস্টেলে কারা থাকছেন, প্রাক্তনীরা থাকছেন কিনা, থাকলেও কী প্রয়োজনে? সবটাই খতিয়ে দেখছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের জন্য ২ টি আলাদা হস্টেলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি গার্লস হস্টেল ও আরেকটি বয়েজ হস্টেলের ব্যবস্থা করছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। গিরিবাবু লেনের বয়েজ হস্টেলে রাখা হবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। পুনর্গঠন করা হয়েছে হস্টেল কমিটি ।হস্টেলে কারা থাকছে এবং কারা প্রাক্তনী হয়েও হস্টেলে রয়েছে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন হস্টেল সুপার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Coast Guard: মধ্যরাতে দুঃসাহসিক অভিযান উপকূলরক্ষী বাহিনীর, আরব সাগরে উদ্ধার চিনা নাগরিক

    Indian Coast Guard: মধ্যরাতে দুঃসাহসিক অভিযান উপকূলরক্ষী বাহিনীর, আরব সাগরে উদ্ধার চিনা নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ও ১৭ অগাস্ট মধ্যরাত্রে এক দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্য দিয়ে ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) আরব সাগর থেকে উদ্ধার করল এক চিনা নাগরিককে। বৃহস্পতিবার এই গোটা ঘটনা উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবারের মধ্যবর্তী রাতে একটি চিনা জাহাজ পানামার পতাকাবাহী একটি রিসার্চ ভেসেল ডং ফাং কান ট্যান-২ মুম্বই উপকূল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আরব সাগরে অবস্থান করছিল। ওই জাহাজটি আমিরশাহীর দিকে যাচ্ছিল।

    জানা যায়, মধ্যরাতে জাহাজটির ভিতরে থাকা এক চিনা নাগরিক হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন এবং তিনি জানান যে, তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। জাহাজে উপস্থিত সকলে প্রাথমিকভাবে মনে করে যে, চিনা নাগরিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারে একটি ফোন আসে (Indian Coast Guard)। তখন তাঁরা জানতে পারেন যে জাহাজের এক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং সম্ভবত তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। দ্রুত তাঁকে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীকালে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করা করা হয় এবং ফোনে প্রাথমিকভাবে কী কী করনীয় তাও বলা হয়। এরপরেই তোড়জোড় শুরু করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard)।

    মধ্যরাতে আরব সাগরে অভিযান  

    বুধবার মধ্যরাতে উত্তাল ছিল আরব সাগর। প্রবল বেগে বইছিল ঝড়ো হাওয়া। সেই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard) প্রতিবেশী দেশের নাগরিককে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাতের অন্ধকারে। এই অভিযান একেবারেই সহজ ছিল না। কিন্তু সেসব কোনও কিছুতে মাথায় রাখেননি বাহিনীর সদস্যরা। মধ্য আরব সাগরের ওই জাহাজ থেকে অসুস্থ চিনা নাগরিককে হেলিকপ্টারে থেকে স্লিদারিং পদ্ধতিতে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আনা হয় দমনে। সেখানে চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    ট্যুইট চিনা দূতাবাসের ধন্যবাদজ্ঞাপন

    ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর (Indian Coast Guard) এমন কাজের জন্য প্রশংসা জানিয়ে ট্যুইট করেছে চিনা দূতাবাস। সেখানে তারা লেখে যে, অসুস্থ চিনা নাগরিককে আরব সাগর থেকে উদ্ধার করে যেভাবে চিকিৎসা করা হলো তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    Suvendu Adhikari: যাদবপুরে ‘হামলা’ শুভেন্দুর ওপর, আরএসএফের বিরুদ্ধে এফআইআর বিরোধী দলনেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার আরএসএফের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ওই ঘটনায় এবার এফআইআর দায়ের করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরে এবিভিপির সভা সেরে ফেরার সময় ‘পূর্ব-পরিকল্পিত’ হামলা চালানো হয় তাঁর ওপর। এ ব্যাপারে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লিখেছেন, “গতকাল আমি ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার সময়, বিকেল ৫:৪০ এর দিকে আমি হঠাৎ করে একদল অজানা আততায়ীর দ্বারা আক্রান্ত হই, যারা নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে সক্ষম হয় এবং স্লোগান দিচ্ছিল এবং কালো পতাকা দেখাচ্ছিল। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বিপ্লবী ছাত্র ফেডারেশন এর সদস্য; নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের একটি অতি-বাম ফ্রন্টাল সংগঠন।”

    ‘সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানা’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের আস্তানায় পরিণত করেছে ওই দলের সদস্যরা। তারা প্রতিষ্ঠান বিরোধী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শকে আশ্রয় করে; যাঁরা সর্বদা সরকারের সমালোচনা করছেন, কিন্তু একই সাথে তাঁদের আনুষ্ঠানিক সমিতি শেষ হওয়ার পরেও, শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত সুবিধাগুলি উপভোগ করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে আঁকড়ে ধরে আছেন। আমি এই ঘটনার বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছি।”

    এদিন এফআইআরে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘গতকাল আমি যাদবপুর গিয়েছিলাম ভারতীয় যুব মোর্চার সভায় যোগ দিতে। তখন আমার ওপর আক্রণ করে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। তারা আমার নিরাপত্তা ভেঙে কালো পতাকা দেখায় এবং স্লোগান দিতে শুরু করে। এই সব অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী অতি বাম সংগঠন রেভোলিউশনারি স্টুডেন্টস ফেডারেশনের অন্তর্গত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা তুলে ধরতেই কপটতা নেমে আসে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশ বিরোধী কার্যকলাপ চলে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি এফআইআর করলাম’।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুকে কালো পতাকা, এবিভিপি-আরএসএফ সংঘর্ষে ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত যাদবপুর

    প্রসঙ্গত, প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Suvendu Adhikari) তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবিভিপি। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তার জেরে এবিভিপি এবং আরএসএফের সংঘর্ষ বাঁধে। রক্তাক্ত হয় যাদবপুর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share