Blog

  • Breast Cancer Risks: স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা, বলে দেবে গণনা যন্ত্র, আবিষ্কার ইজরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Breast Cancer Risks: স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা, বলে দেবে গণনা যন্ত্র, আবিষ্কার ইজরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আগেভাগেই জানা যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি (Breast Cancer Risks) ঠিক কতটা। এমনই একটি গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ইজরায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। সম্প্রতি তাঁরা দাবি করেছেন, এই গণনা যন্ত্র প্রতিটি নারীর বংশলতিকা বিশ্লেষণ করে জানিয়ে দেবে তাঁর স্তন ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কতটা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, এই পদ্ধতির কাজে লাগালে প্রাণ বাঁচবে মহিলাদের, যাঁরা উত্তরাধিকার সূত্রে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বয়ে নিয়ে চলেছেন। প্রথম পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে সুস্থও করে তোলা যাবে রোগীকে।

    সমীক্ষার ফল

    জার্নাল অফ মেডিক্যাল জেনেটিক্সে প্রথম এ ব্যাপারে রিভিউটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রায় এক মিলিয়ন মহিলা যাঁদের স্তন ক্যান্সার রয়েছে কিংবা হয়নি, তাঁদের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল ওই জার্নালে (Breast Cancer Risks)। সমীক্ষায় যে তথ্য উঠেছিল, তা প্রয়োগ করা হয়েছিল প্রায় দু হাজার ইজরায়েলি মহিলার ওপর। টিএইউ স্কুল অফ মেডিসিনের হিউম্যান মলিকিউলার জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক রানি এলকন বলেন, “আমাদের পদ্ধতিটা হল প্রাথমিক নির্ণয় নীতি। যাঁদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের পরীক্ষা করা হবে একেবারে কম বয়স থেকে। পরীক্ষা করা হবে বারংবার।” বিশেষজ্ঞদের মতে, এতেই ঠেকানো যাবে মারণ ব্যাধিকে।

    ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার 

    প্রসঙ্গত, বিশ্বে ক্যান্সারে যত মহিলার মৃত্যু হয়, তার একটা বড় অংশেরই মৃত্যুর কারণ স্তন ক্যান্সার। লাং ক্যান্সারের পরেই মহিলাদের মৃত্যুর হার বেশি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে। তবে গত কয়েক দশকে এই হার কমছে। বর্তমানে ক্যান্সার আক্রান্ত প্রতি ৩৯ জন মহিলার মধ্যে একজন মারা যান স্তন ক্যান্সারে। শতাংশের হিসেবে ২.৫। একেই শূন্যে নামিয়ে আনতে চান গবেষকরা। সেই কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে স্তন ক্যান্সার নিয়ে চলছে গবেষণা। সিংহভাগ (Breast Cancer Risks) ক্ষেত্রেই লজ্জায় রোগের কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন মহিলারা। স্তন হারানোর ভয়েও রোগ লুকিয়ে রাখেন অনেকে। তাই স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, এটা জানা গেলে, এড়ানো যাবে মারণ রোগের থাবা।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: চাঁদের আরও কাছে! বৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রযান ৩, কী বলল ইসরো?

    Chandrayaan-3: চাঁদের আরও কাছে! বৃত্তাকার কক্ষপথে চন্দ্রযান ৩, কী বলল ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একটি কক্ষপথ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সফল ভাবে করে ফেলল চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তার পরই চাঁদের মাটি স্পর্শ করবে ভারতের চন্দ্রযান-৩, আশা করছে ইসরো। ১৬ অগাস্ট সফলভাবে কক্ষপথ উত্তোলনের কাজ সফল করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ইসরোর দেওয়া খবর অনুসারে, এখন ১৫৩ কিমি x ১৬৩ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে চন্দ্রযান ৩। এর আগে সোমবার একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদের আরও কাছে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান। 

    ইতিহাসের পথে ইসরো

    ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী ১৭ অগাস্ট, প্রপালশন মডিউল থেকে পৃথক হয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সহজ কথায় বলতে গেলে চন্দ্রযান-৩ থেকে আলাদা হয়ে যাবে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। তারপর ২৩ অগাস্ট পালকের মতো হালকা স্পর্শে চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান ৩। শেষে ল্যান্ডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামানো হবে চন্দ্রযান ৩ কে। অতীতে অত্যন্ত দুর্গম খানাখন্দে ভরা ওই এলাকায় বিশ্বের কোনও মহাকাশযান অবতরণ করেনি। ফলে সেখানে নয়া আবিষ্কারের সম্ভাবনা রয়েছে। চন্দ্রযান ৩ মিশন সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলস্টোন স্থাপন করতে পারবে ইসরো। তবে সেখানকার মাটি আক্ষরিক অর্থেই ডেলিকেট অর্থাৎ অত্যন্ত নরম। মাটি স্পর্শ করে অবতরণ বা ল্যান্ড করাই সেখানে এক বড় চ্যালেঞ্জ। এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন চাঁদে মহাকাশযানের সফল অবতরণ করিয়েছে। তবে তা হয়েছে চাঁদের উত্তর মেরুতে। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে চলেছে বিশ্বের কোনও মহাকাশযান। ইসরো জানিয়েছে, আগে থেকে চন্দ্রযান-৩ এর জন্য যে অরবিট রিডাকশন ম্যান্যুভার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই পথেই সফলভাবে অগ্রসর হয়েছে ভারতের মহাকাশযান। 

    আরও পড়ুন: চাঁদেও ট্রাফিক জ্যাম! চন্দ্রযান-৩ ছাড়াও কক্ষপথে একাধিক স্যাটেলাইট

    ইসরোর স্বপ্নের উড়ান

    উল্লেখ্য, মাত্র ৬০০ কোটি টাকায় চন্দ্রযান ৩ মিশন পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর স্বল্প ব্যয়ে এই স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দেওয়া স্বপ্ন সত্যি করার জন্য সমস্ত দেশের থেকে প্রশংসা কুড়োচ্ছে ভারত। ইসরোর এক আধিকারিকের কথায়, “মিতব্যয়ী উদ্ভাবনী তত্ত্বে এই পুরো মিশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। অত্যন্ত অল্প টাকা খরচ করা হয়েছে। চাঁদে পৌঁছতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগলেও জ্বালানি এবং টাকা যাতে সাশ্রয় করা সম্ভব হয় সেই চেষ্টা করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    BJP: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের শেষের দিকে হওয়ার কথা পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণে আজ, বুধবার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের। নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে হবে বৈঠক। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সহ কেন্দ্রীয় কমিটির ১৫ জন সদস্য।

    প্রস্তুতি বৈঠক

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এ বছরই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গনা এবং মিজোরাম বিধানসভার নির্বাচন। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে মূলত দুর্বল আসনগুলিকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হবে। নির্বাচনী কৌশল কী হবে, প্রার্থীই বা হবেন কারা, তা নিয়েও এদিন আলোচনা হতে পারে বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর। এই পাঁচ রাজ্যের যে আসনগুলিতে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন, তার একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে দলের তরফে।

    নির্বাচনী কৌশল

    এদিনের বৈঠকে ওই পাঁচ রাজ্যের বিজেপি নেতারা জানাবেন, কীভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জনগণের কল্যাণে নানা প্রকল্প চালু করেছে, সেকথা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভিডি শর্মা, ছত্তিশগড় বিজেপির সভাপতি অরুণ সাও এবং দলের অন্য নেতারা। প্রসঙ্গত, যে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তার মধ্যে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুুন: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    সূত্রের খরব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে। সচরাচর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা (BJP) হয়। এমন বৈঠক হয় নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে পরেই। কিন্তু এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই প্রস্তুতি বৈঠকে বসছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই পাঁচ রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে বিজেপি নেতৃত্ব এখনই প্রার্থীর নাম ঠিক করে ফেলতে চলেছেন। প্রার্থীদের জানিয়েও দেওয়া হবে যে, তাঁরা প্রার্থী হতে চলেছেন। তাঁদের এখন থেকেই প্রচারে নামতে বলা হবে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের পরাজিত করতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Musk vs Zuckerberg: কোথায় প্রথম সামনা সামানি লড়তে চান জুকেরবার্গ! জানতে চাইলেন মাস্ক

    Musk vs Zuckerberg: কোথায় প্রথম সামনা সামানি লড়তে চান জুকেরবার্গ! জানতে চাইলেন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইলন মাস্কের সঙ্গে মার্ক জুকারবার্গের কেজফাইট নিয়ে সারা দুনিয়ায় উত্তেজনার পারদ চড়ছে। জুকেরবার্গ কোথায় তাঁর সঙ্গে লড়তে (Elon Musk and Mark Zuckerberg Cagefight) চান এবার তা জানতে চাইলেন ইলন মাস্ক। এর আগে জুকেরবার্গ লোকেশন পাঠাতে বলেছিলেন। এবার মাস্ক বললেন কোথায় প্রথম তাঁর সঙ্গে সামনা সামানি লড়াই করতে চান জুকেরবার্গ তা জানাতে।

    দ্বৈরথ অনিশ্চিত!

    সম্প্রতি এই লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন মেটা কর্তা জুকেরবার্গ। তিনি জানালেন, লড়াইয়ে নামা নিয়ে তাঁর যথেষ্ট উৎসাহ ছিল, কিন্তু এক্স-কর্তা মাস্কের গড়িমসিতেই এই দ্বৈরথ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। পরিবর্তে অন্য কারোর সঙ্গে লড়াইয়ে নামার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জুকেরবার্গ। তাঁর মতে, এই দ্বৈরথকে হালকাভাবে নিয়ে টালবাহানা করছেন মাস্ক। নয়া থ্রেডস প্ল্যাটফর্মে তিনি জানান, “এই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে এলন যে একেবারেই আগ্রহী সেটা আমরা সকলেই জেনে গিয়েছি। লড়াইয়ের তারিখ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। চ্যারিটির বিষয়টিও পাকা হয়। কিন্তু ওই তারিখে সম্মতি জানাননি মাস্ক। প্রথমে অস্ত্রোপচারের অজুহাত দেখিয়েছিলেন। তারপর আমারই বাড়িতে অনুশীলন করতে চান তিনি। মাস্ক যদি সত্যিই এই দ্বৈরথে নামতে চান তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাতে পারেন। তা না হলে লড়াইটা একেবারে বাতিল করে দিতে হবে। যারা খেলাধুলায় সত্যিই অংশ নিতে চান আমি তাঁদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামব।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দু হিসাবে এসেছি”, রামকথা শুনতে কেমব্রিজে ধর্মীয় গুরুর কাছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনক

    জুকেরবার্গের যুক্তি

    জুকেরবার্গের এই যুক্তি অবশ্য মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়নি, উল্টে তাঁকে ‘মুরগি’ বলে কটাক্ষ করেছেন মাস্ক। ইঙ্গিত করেছেন, ভয় পেয়েই লড়াই থেকে সরছেন মার্ক। মাস্ক এবং জুকেরবার্গের মধ্যে সংঘাত যদিও নতুন নয়। প্রকাশ্যেই পরস্পরের সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। স্পেস এক্স রকেট, তথ্য গোপন সংক্রান্ত নীতি নিয়ে মাস্কের সমালোচনা করেছেন জুকেরবার্গ। মাস্ক ট্যুইটার দখল করার পর, তার বিকল্পও বের করেন জুকেরবার্গ। সেই নিয়ে বাগযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করে। সেই আবহেই জুকেরবার্গকে সম্মুখ সমরে আহ্বান জানান মাস্ক। জুলাই মাসের গোড়ার দিকে ফেসবুক কর্ণধার জুকেরবার্গ মুখোমুখি লড়াইয়ে আহ্বান জানান ট্যুইটার কর্তা মাস্ক। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন জুকেরবার্গ। কোথায়, কখন হাজির হতে হবে জানতে চান মাস্কের কাছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    Independence Day: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, তিরঙ্গা উড়িয়ে বললেন জঙ্গির দাদা বশির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি ভারতীয়, এই দেশ আমারও”, ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কথাগুলি যিনি বললেন তিনি বশির আহমেদ। মঙ্গলবার বাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা তোলেন তিনি। বশির কোনও কেউকেটা নন। তবে তিনি ‘খবর’ হয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা এলাকায় বাড়ি বশিরের। তাঁর ভাই ইরশাদ আহমেদ জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সেই কারণেই খবরের শিরোনামে বশির। মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বশির বলেন, “আমি ভারতীয়। এই দেশ আমারও।” গত বছরের অক্টোবরেই ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়েছে বশিরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

    স্বাধীনতা দিবসে উৎসবের মেজাজ

    এদিন সকালে বশিরের বাড়ির সামনে আক্ষরিক অর্থেই ছিল উৎসবের (Independence Day) মেজাজ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সবাই গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত। বশির বলেন, “ভাইয়ের (ইরশাদ) জন্য আমার মা মানসিক কষ্ট পাচ্ছেন। বাবাও তার অভাব অনুভব করছেন। তার জন্য আমাদের অনেক খেসারত দিতে হয়েছে। এই দেশ আমাদের। আমরা ভারতীয়। এই দেশের জন্য মরতেও পারি। এই তিরঙ্গা আমাদের বড় গর্বের।”

    ইরশাদ ওরফে ইদ্রিস 

    ১৯৯৪ সালে জঙ্গি খাতায় নাম লেখায় ইরশাদ। সূত্রের খবর, বর্তমানে সে ইদ্রিস নাম নিয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাস করছে। এদিন ছোট্ট একটি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বশির যেন তাদেরই বার্তা দিলেন এই বলে যে, যারা এই দেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করবে, তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে। এদিন (Independence Day) ভাইয়ের সংগঠনের আদর্শেরও সমালোচনা করেন বশির। বলেন, “আমরা ভারতে খুবই সুখে এবং নিরাপদে রয়েছি। এই দেশকে দুর্বল করা নয়, আমাদের উচিত সবাই মিলে এই দেশকে আরও উন্নত করা।” ভাই যে ভুল পথে গিয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভূস্বর্গের এই বাসিন্দা। বলেন, “আমার ভাই ভুল পথ বেছে নিয়েছে। ভাইকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আমি অনুরোধ করব সরকারকে।”

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    প্রসঙ্গত, ইরশাদের পরিবারের তরফেও বারংবার তাকে সশস্ত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদন জানানো হয়েছে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে সুখে জীবনযাপন করতে। তাঁরা সরকারের কাছেও বশিরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, এই ডোডা জেলা থেকেই পালিয়ে গিয়েছে ১১৯ জন জঙ্গি। ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে রদ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তার পর থেকে ভূস্বর্গে এসেছে উন্নয়নের জোয়ার। তাই সুখে রয়েছেন (Independence Day) কাশ্মীরবাসী। যে সুখের বার্তা এদিন প্রতিধ্বনিত হয়েছে বশিরের পরিবারের সদস্যদের গলায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬, লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্তাকে

    Jadavpur University: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ৬, লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্তাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তিনজনকে। মঙ্গলবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় বর্তমান ও প্রাক্তনী মিলিয়ে ছ’জনকে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৯ জনকে। আজ, বুধবার আদালতে তোলা হবে তাদের। সূত্রের খবর, পুলিশের সামনে কী বয়ান দিতে হবে, সে ব্যাপারে আগাম শিখিয়ে-পড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    বৈঠকে রাজ্যপাল 

    এদিকে, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে আজ, বুধবার দুপুর তিনটেয় তলব করা হয়েছে লালবাজারে। এদিনই বিকেল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শোকজ করেছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিশ পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও। রাজ্যের কাছে তলব করেছে রিপোর্টও।

    গ্রেফতার ৯

    বুধবার গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেইন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে। পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ৯ জনকে। এঁদের মধ্যে কয়েকজন জন প্রাক্তন ছাত্র। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তথা মেইন হস্টেলের আবাসিক।

    আরও পড়ুুন: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    গত বুধবার ওই ঘটনার পরে পরেই অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন আনন্দ বোস। শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেদিন রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, কেবল যাদবপুর নয়, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির মাথায় থাকবেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। আজ, বুধবার বিকেলে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, তাতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষের তরফে প্রতিনিধি দলের।

    লালবাজার সূত্রে খবর, পাশ করে যাওয়ার পরেও অন্তত ২০ জন ছাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন ক্যাম্পাসে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। তাঁদেরও তলব করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের মোবাইল ফোনও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi : “ভারত লাভবান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে”, প্রয়াণ দিবসে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi : “ভারত লাভবান হয়েছে তাঁর নেতৃত্বে”, প্রয়াণ দিবসে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর। বুধবার অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সদৈব অটল মেমোরিয়ালে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং অন্যান্য আরও অনেকে।

    বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা

    সোশ্যাল সাইটে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লিখতে গিয়ে মোদি জানান যে, বাজপেয়ীর নেতৃত্বে দেশ ভালোভাবে লাভবান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, “অটল বিহারী বাজপেয়ীকে শ্রদ্ধা জানাতে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সঙ্গে আমিও যুক্ত হলাম। ভারত তাঁর নেতৃত্ব থেকে ভালভাবে লাভবান হয়েছে। দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন যা ২১ শতকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে”।

    গোয়ালিয়রে  ১৯২৪ সালে জন্ম হওয়া অটল বিহারী বাজপেয়ী বিজেপির অন্যতম মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। প্রথম অকংগ্রেসীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের ১৬ মে থেকে ১ মে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবং পরবর্তীতে ১৯ মার্চ ১৯৯৮ সাল থেকে  ২২ মে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হন। এছাড়া ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ে ক্যাবিনেটে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অগাস্টের ১৬ তারিখে দিল্লির এইমস হাসপাতালে প্রয়াত হন অটল বিহারী বাজপেয়ী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rishi Sunak: “হিন্দু হিসাবে এসেছি”, রামকথা শুনতে কেমব্রিজে ধর্মীয় গুরুর কাছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনক

    Rishi Sunak: “হিন্দু হিসাবে এসেছি”, রামকথা শুনতে কেমব্রিজে ধর্মীয় গুরুর কাছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে আত্মিক টানের প্রমাণ আবারও দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। জন্ম, বেড়ে ওঠা বিদেশের মাটিতে হলেও তিনি শিকড় ভোলেননি। লন্ডনেই ‘রাম কথা’ শুনলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। জানালেন তিনি হিন্দু, রামচন্দ্র তাঁর প্রেরণা। মঙ্গলবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত রাম কথায় যোগ দিতে এসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর কাছে বিশ্বাস অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয় এবং জীবনদর্শনের প্রতিটি পদে তা পথ প্রদর্শন করে। 

    রাম কথা শুনতে পেরে গর্বিত

    কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসুস কলেজে আধ্যাত্মিক নেতা মোরারি বাপু আয়োজিত ‘রাম কথা’ (Morari Bapu Ram Katha in UK) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনক (Rishi Sunak) বলেন, “ভারতের স্বাধীনতা দিবসে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোরারি বাপুর রাম কথা শুনতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি ও গর্বিত। আজ আমি এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়, হিন্দু হিসাবে এসেছি।” সেখানে তাঁকে ‘জয় সিয়া রাম’ ধ্বনি দিতেও শোনা যায়। তাঁর কথায়, হিন্দু ধর্ম তাঁকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গাইড করে এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেরা কাজ করার সাহস দেয়। শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি জানান, সাউথ হ্যাম্পটনে থাকাকালীন তিনি প্রায়সময়ই ভাইবোনেদের সঙ্গে এলাকার মন্দিরগুলিতে যেতেন।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ‘কালো দিন’ পালন সিন্ধ-বালোচ ফোরামের

    ভগবান রামের উদ্দেশ্যে আরতি

    প্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবান রামের উদ্দেশ্যে আরতিও করেন তিনি। ভগবান হনুমানের ছবির উদ্দেশ্যে প্রণাম করে ঋষি সুনক (Rishi Sunak) বলেন, “ঠিক যেরকমভাবে বাপুর (Morari Bapu) পিছনে সোনালি রঙের হনুমানজি রয়েছেন, ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে আমার ডেস্কও আলো করে বসে রয়েছেন সোনালি রঙের গণেশ।” তাঁর বক্তব্যে শোনা যায়, “আমি এখান থেকে রামায়ণ, ভগবত গীতা ও হনুমান চালিশার পাঠ স্মৃতি হিসাবে নিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে শ্রী রাম সবসময় অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব, যিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সাহসের সঙ্গে জীবনের প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হয়, কীভাবে মানবতা ছড়িয়ে দিতে হয় এবং নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হয়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Football: স্বাধীনতা দিবসে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব

    Kolkata Football: স্বাধীনতা দিবসে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার মহম্মদ হাবিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে নক্ষত্র পতন! প্রয়াত হলেন মহম্মদ হাবিব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হায়দ্রাবাদে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় এই প্রাক্তন ফুটবলারের (Kolkata Football)। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। ইদানিং ঠিকঠাক কথা পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। ভুলে গিয়েছিলেন সব কিছু। এদিন সন্ধ্যায় হাবিবের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁর মৃত্যু সংবাদ।

    উজ্জ্বল নক্ষত্র

    কলকাতা ময়দানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হাবিব। ১৯৬৬ সালে হায়দ্রাবাদ থেকে এসেছিলেন কলকাতায়। মাত্র সতের বছর বয়সে তিনি যোগ দেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে। এই ক্লাবের হয়ে হাবিব খেলেছিলেন আট বছর। যদিও কলকাতা ময়দানে তাঁর ফুটবল কেরিয়ার (Kolkata Football) আঠারো বছরের। তাই আদতে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা হলেও, হাবিব হয়ে উঠেছিলেন বাংলার ঘরের ছেলে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে হাবিব করেছিলেন ১১৩টি গোল। ১৯৭০-৭৪ সালে হাবিব যখন ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন, তখন লাল হলুদ শিবির ঘরে তুলেছিল ১৩টি ট্রফি। কলকাতা ডার্বিতে হাবিব করেছেন ১০টি গোল। দশ বছর ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। বাংলার হয়ে খেলেছেন সন্তোষ ট্রফিতেও। হাবিব অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন ১৯৮০ সালে। ২০১৫ সালে তাঁকে ভারত গৌরব সম্মানে ভূষিত করে ইস্টবেঙ্গল।

    ক্ষয়ে যাচ্ছিল স্মৃতি শক্তি

    গত কয়েক বছর ধরে হাবিব ভুগছিলেন স্নায়ুর রোগে। ক্রমেই ক্ষয়ে যাচ্ছিল স্মৃতি শক্তি। ইদানিং আর চিনতে পারছিলেন না কাছের মানুষদেরও। মনে করতে পারছিলেন না ময়দান কাঁপানো তাঁর বিখ্যাত সেই সব শটের (Kolkata Football) কথা। কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। হাঁটাচলাও করতে পারছিলেন না। হাবিবের চিকিৎসায় এগিয়ে আসে ইস্টেবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রথমে সাহায্য করা হয় এক লক্ষ টাকা। এর পরেও করা হয়েছে সাহায্য।

    আরও পড়ুুন: আয়ারল্যান্ড উড়ে গেল টিম ইন্ডিয়া, তরুণ দলে কারা রয়েছেন জানেন?

    কলকাতা ময়দান হাবিবকে চেনে ‘বড়ে মিঞা’ নামে। এমন অনেক ম্যাচ, যেখানে তাঁর সতীর্থরা চাপে থাকতেন, তখনও হাবিব থাকতেন দিলখুশ। সতীর্থ ফুটবলারদের অভয় দিয়ে বলতেন, “ময়দান মে চলো, ওহি দেখ লেঙ্গে।” বস্তুত, হাবিব যখন যে দলে ছিলেন, সেই দলই ঘরে তুলেছে সোনার ফসল। তবে ফুটবলার হিসেবে মাঠের সবুজ ঘাস দাপিয়ে বেড়ালেও, কোচ হিসেবে ততটা সাফল্য পাননি হাবিব। বেশ কয়েকবার মহমেডান ক্লাবের কোচ (Kolkata Football) হলেও, পাননি কাঙ্খিত সাফল্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sulabh International: বিশিষ্ট সমাজসেবী সুলভ ইন্টারন্যাশনালের পুরোধা বিন্দেশ্বর পাঠক প্রয়াত

    Sulabh International: বিশিষ্ট সমাজসেবী সুলভ ইন্টারন্যাশনালের পুরোধা বিন্দেশ্বর পাঠক প্রয়াত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুলভ ইন্টারন্যাশনালের (Sulabh International) প্রতিষ্ঠাতা বিন্দেশ্বর পাঠক আজ দিল্লিতে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি আজ দিল্লির এইমস হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মূলত তিনি একজন সমাজ কর্মী ছিলেন। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বহু পুরস্কারের সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শোকজ্ঞাপন করেছেন তাঁর মৃত্যুতে।

    কে ছিলেন বিন্দেশ্বর পাঠক (Sulabh International)?

    বিশিষ্ট সমাজকর্মী মূলত সমাজ সেবামূলক কাজ করতেন। তাঁর জন্ম ১৯৪৩ সালের ২রা এপ্রিল বিহারের হাজীপুরে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। তিনি কাজের মাধ্যমে সমাজকে কীভাবে সংস্করণ করা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ প্রচেষ্টা করতেন। বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য বিধি, সুরক্ষাবিধি, কীভাবে সমাজকে উন্নত এবং সুরক্ষিত রাখতে পারে, সেই বিষয়ে বিশেষ চিন্তা ভাবনার প্রকাশ রেখে গেছেন। সুলভ শৌচালয় নির্মাণকে কীভাবে কম খরচে, সস্তায় বেশি পরিমাণে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সেই বিষয়ে বিশেষ কাজের দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি। তাঁর সুলভ (Sulabh International) প্রকল্প মূলত প্যান ইন্ডিয়া যোজনার আওতায় ছিল। প্রথম জীবনে গান্ধী সেন্টেনারি কমিটিতে কাজ করতেন। মহাত্মা গান্ধীকে তাঁর জীবনের আদর্শ হিসাবে মান্যতা দিতেন তিনি। সামজিক অস্পৃশ্যতা এবং সামজিক অধিকারের জন্য মানবাধিকার বিষয়ে অনেক ইতিবাচক কাজ করেছেন।

    নানা সম্মানে ভূষিত

    বিন্দেশ্বর পাঠক (Sulabh International) নিজে উদ্যোগী হয়ে ১৭৪৯ টি শহরে আনুমানিক ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি শৌচলায় নির্মাণ করছেন। তিনি এনার্জি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড এবং দুবাই ইন্টার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন। এছাড়াও প্যারিসের ফরাসি সনেট লিজ্যান্ড অফ প্ল্যানেট সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে নিউইয়র্কে ‘বিন্দেশ্বর পাঠক দিবস’ হিসাবে পালন করা হয় ১৪ই এপ্রিল দিন টিকে।

    প্রধানমন্ত্রীর শোক বার্তা

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেন, বিন্দেশ্বর পাঠকের (Sulabh International) সমাজ সংস্কারকের কাজ থেকে অনেক মানুষ অনুপ্রাণিত হবেন। আমাদের দেশের জন্য একটি জাতীয় শূন্যতার সৃষ্টি হল। ভারতের স্বচ্ছতার অভিযানে অন্যতম নায়ক ছিলেন বিন্দেশ্বর পাঠক। তাঁর পরিবারের প্রতি বিশেষ সমবেদনা জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share