Blog

  • Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার বড়ো পরীক্ষার সামনে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সব ঠিকঠাক চললে, আর কয়েক-ঘণ্টা পরে আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে চন্দ্র-মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পথ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়ে ফেলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। আজকের এই প্রক্রিয়া সফল হলে, স্বপ্নপূরণের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উতরে যাবে ভারতের মহাকাশযান।

    আজ সন্ধ্যায় ঠিক কী হতে চলেছে?

    ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ বর্তমানে চন্দ্র-বৃত্তে (Moon Sphere) অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট অনসার্টশন (Lunar Orbit Insertion)। অর্থাৎ, এখান থেকেই চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ ইঞ্জিন ফায়ার করে মহাকাশযানের বেগ ও দিশা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পাঠানো হবে। ইসরো জানিয়েছে, এই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর আগে কী কী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল (Earth-bound Maneuvre) এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, ততদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার (Orbit Raising Maneuvre), তার মাধ্যমে কক্ষপথ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিজের গতিও বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর পর, গত ১ অগাস্ট মধ্যরাতে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিক্ষেপ করা হয় বা ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (Translunar Injection)। বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল ছিল বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, পৃথিবীর টান পাকাপাকিভাবে কাটিয়ে চন্দ্র-বৃত্তে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Lunar Transfer Trajectory)।

    আজকের পর কী হতে চলেছে?

    চন্দ্র-কক্ষপথে পৌঁছে ফের চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। এর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’ নিজের কক্ষপথের পরিধি ও গতি দুই-ই ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। বিশেষ রেট্রো-রকেট ইঞ্জিন ফায়ার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। জানা গিয়েছে, চাঁদকে চার থেকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর, শেষ ধাপে যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার ওপরে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3), তখন মহাকাশযান মডিউল থেকে পৃথক হয়ে চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার এর পাল্টা দাবি করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা-কর্পোরেশন ভোট ভিভিপ্যাট ছাড়াই ইভিএমে করেন তাঁর মুখে এসব মানায় না। তিনি নিজেই পুরসভা-কর্পোরেশনে ইভিএমে ভোট করেন। সেখানে ভিভিপ্যাট ছিল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তাঁর লোকেরা ব্যালট খেয়ে ফেলতে পারে, ইভিএম খেয়ে ফেলতে পারবেন না। এত বড়ো লিভার, এত বড়ো পেট কারও নেই।’’

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকে প্ল্যানিং করছে। ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। এটা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিমত। সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘ক্রমাগত বদলাতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভীত ও সন্ত্রস্ত। রাজ্যে তৃণমূলের সীমাহীন বেলাগাম দুর্নীতির আঁচ মানুষ করতে পেরেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। তাই নানান কথা বলা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘুরাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত হারের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। প্রায় ৬৭ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে যেখানে ২০২১ সালে শাসক দল ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, সেইখানে উপনির্বাচনে ২৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তৃণমূলের সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। এর পরে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু রাজনৈতিক কর্মীদের শাসক দল ত্যাগ করা, দলবদল করা এবং সর্বশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা, এত ছাপ্পা, রিগিং ও ভোট লুঠ সত্ত্বেও যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানেও বহু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবার তৃণমূলকে বর্জন করেছেন।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    Kashmir Encounter : ফের রক্তাক্ত উপত্যকা! জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ সেনাকর্মীর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও রক্তাক্ত উপত্যকা! শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম (Kulgam) জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ তিন সেনা জওয়ান। শ্রীনগরের সেনার চিনার কর্পসের তরফে একটি  ট্যুইট করে জানানো হয়েছে এই খবর। তারা আরও জানিয়েছে, এই ঘটনার পরেই সেনার তরফে আরও বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। সেখানে এখনও জঙ্গিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

    সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

    ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir Encounter) কুলগাম জেলার হালান জঙ্গল এলাকায় ভারতীয় সেনার তরফে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। কারণ, পুলিশ এবং সেনা আধিকারিকদের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি আত্মগোপন করে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান হিসেবে শুরু করা হলেও বিষয়টি অচিরেই এনকাউন্টারে (Encounter) পরিণত হয় কারণ গোপন ঘাঁটি থেকে জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর উদ্দেশে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালান জওয়ানরাও।

    আরও পড়ুন: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    সেনার ১৫ কর্পের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়, সেখানে এখনও অভিযান চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লেখে, ‘কুলগামে হালানে উঁচু এলাকায় জঙ্গিরা রয়েছে, নির্দিষ্ট এই খবর পেয়ে গত ৪ অগাস্ট অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময়, তিন জওয়ান আহত হন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তল্লাশি অভিযান চলছে।’ এর পর পরই সেখানে আরও বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর আগে গত এপ্রিল ও মে মাসে ৫ কমান্ডো-সহ ১০ সেনা জওয়ান শহিদ হন। পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় পৃথক এনকাউন্টারে (Kashmir Encounter) তাঁদের মৃ্ত্যু হয়। এপ্রিল মাসে রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চে (Poonch) সেনার একটি গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রসঙ্গত, এই দুই এলাকা গত দুই দশক ধরে জঙ্গিমুক্ত বলে ধরা হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করুন পুলিশ কমিশনার’’, বেহালা কাণ্ডে মন্তব্য শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় খুদে পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে শুক্রবার সকালে অগ্নিগর্ভ হয় বেহালা। এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘বিনীত গোয়েলের উচিত গলায় গামছা দিয়ে পদত্যাগ করা।’’

    জুতো-মোজা খুলে পুলিশ পিসি-ভাইপোকে নিরাপত্তা দেয়, মন্তব্য শুভেন্দুর 

    প্রসঙ্গত, বেহালায় শুক্রবারের পথ দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন যে পুলিশ শুধুমাত্র ঘুষ খেতে ব্যস্ত অথচ যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশদের কোনও ভূমিকা এখানে দেখা যায় না। তাঁরা ফোন ঘাঁটাঘাঁটি করতেই ব্যস্ত। এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পুলিশের লোকেরা ব্যস্ত থাকেন।  তিনি বাড়ি থেকে বের হলে ৭ হাজার পুলিশ লাগে, আর তাঁর ভাইপো বাড়ি থেকে বের হলে ৪ হাজার পুলিশ লাগে।’’ এদিন ট্রাফিক পুলিশ সম্পর্কে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘তাদের কাজে হল তৃণমূলের হয়ে ভোট বা কর্মসূচির সফল করানো। আর ট্রাক থেকে তোলাবাজি করা। পুলিশের এই তোলাবাজির জন্য প্রত্যেকটা বাজারের সবজি ও মাছের দাম আজকে আকাশ ছুঁয়েছে।’’  শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘শুক্রবার যে ঘটনা ঘটেছে চোখের জল ছাড়া আমরা কিছু দিতে পারি না, ওই ফুটফুটে একটা সাত বছরের বাচ্চাকে যেভাবে পিষে দিল লরি… তাতে পুলিশ মন্ত্রীর অপদার্থতা প্রকাশ পায়।’’  পুলিশকে তীব্র আক্রমণ জানিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘আমি তো সকাল ৯টার আগে আর রাত ৯টার পরে কোথাও পুলিশ দেখতে পাই না। কখনও ভাইপো ব্যাংকক পালাচ্ছে, কখনও দুবাই যাচ্ছে, কখনও পিসিমণি নবান্ন যাচ্ছে, তার ব্যবস্থা করতে পুলিশ জুতো-মোজা খুলে রাস্তার পাশে দাঁড়ায়।’’

    প্রসঙ্গ অভিষেকের গ্রেফতারি 

    অন্যদিকে শুক্রবারই আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এ বিষয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের একজন জনপ্রিয় আইনজীবী। অন্যদিকে তিনি রাজ্যসভায় তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেস সাংসদ। যদি উপযুক্ত প্রমাণ থাকে তবে তদন্তকারী সংস্থার অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: রাজ্যপালের নির্দেশে পদত্যাগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    Jadavpur University: রাজ্যপালের নির্দেশে পদত্যাগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার অমিতাভ দত্ত উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে, রাজ্যপালের নির্দেশেই এই পদত্যাগ। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পদাধিকার বলে আচার্য হন রাজ্যপাল। 

    রাজভবনের সঙ্গে বিকাশ ভবনের দ্বন্দ্ব

    রাজভবনের সঙ্গে বিকাশ ভবনের দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়তে থাকে তখন থেকে যখন উপাচার্য নিয়োগের দায়িত্ব রাজ্যপাল নিজে হাতে নেন। এই আবহে এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার তাঁর নির্দেশেই পদত্যাগ করলেন অমিতাভ দত্ত (Jadavpur University)। এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনিই তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন। উনিই তাঁকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন। তা ছাড়া উনি উপাচার্যের সুযোগ সুবিধাও নিচ্ছেন না।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবার উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়াকে রাজ্য সরকারের হাতে রাখতে সার্চ কমিটি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। এবং সেই মতো বিধানসভায় পাশ করা হয়েছে একটি সংশোধনী বিল। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি (সংশোধনী) ল বিল ২০২৩’। এই আইনের দ্বারা স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে সরকার।  বিধানসভায় এই বিল যখন পাশ হচ্ছে তখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমেত বিজেপি বিধায়করা এর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    রাজভবনে বিজেপি বিধায়করা

    নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল রাজ্যপাল সই করলে তখনই তা আইনে পরিণত হয়। এই আইনের দ্বারা উপাচার্য নিয়োগের যাবতীয় ক্ষমতা সরকার নিজেদের হাতে নিতে চাইছে। বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক তথা উত্তরবঙ্গের বিধায়ক মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে শুক্রবারই এক প্রতিনিধি দল রাজভবন পৌঁছায় এবং রাজ্যপালের কাছে তাঁরা অনুরোধ জানান যে ওই বিলে যাতে তিনি স্বাক্ষর না করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    Suvendu Slams Mamata: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালার সড়ক দুর্ঘটনায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এখন পুলিশের কাজ তৃণমূলের হয়ে ভোট লুট করা এবং রাস্তা থেকে টাকা তোলা। পুলিশ ব্যবস্থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ করে দিয়েছেন, ধ্বংস করে দিয়েছেন। তার পরিণতিতে ওইরকম একটা ফুটফুটে বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল। পুলিশের এই অবস্থার জন্য আইপিএস এবং ইন্সপেক্টররা দায়ী, নিচুতলার কনস্টেবল বা এসআই দায়ী নন।’’

    পুলিশই দায়ী, বলছেন শিক্ষকরাও

    শুধু শুভেন্দু নন, ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুতে পুলিশকেই দায়ী করেছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। অভিযোগ, স্কুল শুরুর সময়ে প্রতি দিন যানজট দেখা গেলেও তা সামলাতে ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। আরও অভিযোগ, পাশে অন্য বেসরকারি স্কুলের সামনে ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু এই স্কুলের সামনে থাকে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘স্কুলে গরিব ঘর থেকে শিশুরা আসে, কেউ চার-চাকা করে আসে না। তাই স্কুলের সামনে নেই কোনও নিরাপত্তা।’’ তিনিও এই দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    ছোট্ট সৌরনীলকে পিষে দিয়ে যায় লরি

    শুক্রবার সাতসকালে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি তার বাবা সরোজ কুমার সরকার। এই দুর্ঘটনাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাড়ি-বাইক জ্বালিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে ডায়মন্ড হারবার ট্রাফিক গার্ডে। অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কন্ট্রোল রুমে। পাল্টা লাঠিচার্জ-কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। দফায় দফায় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। আহত হন পুলিশ এবং আমজনতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার?

    এদিকে, ধুন্ধুমার কাণ্ডের পরে ঘটনাস্থলে যান কলকাতার নগরপাল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। সিপি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে নজর রাখছি আমরা। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যাতে ওই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা হয়। সাউথ ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বেহালা, ঠাকুরপুকুর, পর্ণশ্রী ও হরিদেবপুর থানা। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা জেনেছি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।”

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    রিপোর্ট তলব নবান্নর

    এদিকে, নবান্ন সূত্রের খবর, বেহালা দুর্ঘটনা ও তার পরবর্তী অশান্তিতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে খোঁজখবর নিয়েছেন। লালবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন। কলকাতা পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মধ্যে কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে স্কুলে পৌঁছেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তারাও পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। মৃত পড়ুয়ার বাড়িতেও যাচ্ছেন সরকারি অফিসাররা। শোনা যাচ্ছে, নিহতের বাড়িতে যেতে পারেন রাজ্যপালও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Currency: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    Digital Currency: ‘মুদ্রা’ লেনদেনে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে ভারত, তৈরি হচ্ছে ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মুদ্রা লেনদেনের ব্যাপারে আসতে চলেছে আমূল পরিবর্তন। যা বদলে দেবে লেনদেন ব্যবস্থার ইতিহাস। সমগ্র বিশ্ব যখন ডিজিটাল যুগে চলছে, ঠিক তখন এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতও মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে। খুব শীঘ্র সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে চালু হতে চলেছে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)। গত বছরই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে কিছু নির্ধারিত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়াও যাচ্ছে। এর মধ্যে HDFC BANK, ICICI BANK, BANK OF BARODA প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    কী এই ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency)?

    ডিজিটাল কারেন্সি বা ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ হল ভারতীয় মুদ্রারই একটি ডিজিটাল রূপ। যাকে ইলেকট্রনিক মুদ্রাও বলা যেতে পারে। এই মুদ্রা দিয়ে সাধারণ মুদ্রার মতোই অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে লেনদেন করা যায়। বর্তমানে এই ডিজিটাল মুদ্রা সংক্রান্ত বিষয়টি পরীক্ষামূলক অবস্থায় রয়েছে। ভবিষ্যতে সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency) ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। আর এই মুদ্রাগুলি সম্পূর্ণ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা স্বীকৃত। এই মুদ্রার নিজস্ব একটি নাম দেওয়া হয়েছে। সেটি হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি বা CBDC। এর মূল্য সাধারণ মুদ্রার সমান।

    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) সুবিধা ও বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

    এই ডিজিটাল মুদ্রাগুলির বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। যেমন-

    ১) এই মুদ্রাগুলি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমেই ব্যবহার করা যেতে পারে।
    ২) সাধারণ ব্যবহৃত মুদ্রা বা নোটগুলি অনেক সময় ছিঁড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই মুদ্রাগুলি ছিঁড়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি একটি ইলেকট্রনিক সংস্করণ। 
    ৩) এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) ব্যবহার করার জন্য কোনও আলাদা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় না, আপনার ব্যবহৃত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই এই মুদ্রা লেনদেন সম্ভব।
    ৪) ডিজিটাল মুদ্রাগুলির ব্যাঙ্কের সাথে কোনও সম্পর্ক থাকছে না। এটি সরাসরি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাথে যুক্ত থাকবে।

    এখনও পর্যন্ত কোন কোন ব্যাঙ্কে এই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধা আছে?

    গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ১ লা নভেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তে এই ডিজিটাল কারেন্সির সূচনা করা হয় এবং একটি পরীক্ষামূলক ভাবে দেশের ন’টি ব্যাঙ্ক এই পাইলট পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হয়। যেমন-স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, IDFC First Bank ও HSBC ব্যাঙ্ক।

    কীভাবে ব্যবহার করা হয় এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency)?

    ১) ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের পাইলট প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ব্যাঙ্কগুলিতে অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। সেই ব্যাঙ্কগুলি তাদের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রার অ্যাপ চালু করেছে।
    ২) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটিকে এই ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) আক্সসেস করার জন্য উপযোগী হতে হবে।
    ৩) আপনার অ্যাকাউন্ট যদি ডিজিটাল মুদ্রার জন্য যোগ্য হয়, তাহলে সরাসরি ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা অ্যাপের মাধ্যমে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) সাথে কি UPI এর কোনও মিল আছে?

    ডিজিটাল মুদ্রার সঙ্গে ইউপিআই-এর কোনও গঠনমূলক সম্পর্ক নেই, এই দুটির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য পার্থক্য। যেমন ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অপরদিকে ইউপিআই ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ডিজিটাল মুদ্রা অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু ইউপিআই অনলাইন ছাড়া অফলাইনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ডিজিটাল কারেন্সি আপনার জমা টাকার একটি ইলেকট্রনিক সংস্করণ যা একটি অ্যাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অপরদিকে UPI একটি রিয়েল টাইম পেমেন্ট সিস্টেম।

    ভারতীয় ডিজিটাল মুদ্রা (Digital Currency) এবং তার প্রতীক

    ডিজিটাল মুদ্রাকে দুটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে-টাকা এবং পয়সা। এদের নিজস্ব ডিজিটাল প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে, টাকার জন্য e₹ আর পয়সার জন্য eप। 
    ডিজিটাল মুদ্রার (Digital Currency) টাকার ব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সিগুলি হল- e₹2 , e₹5 , e₹10 , e₹20 , e₹50 , e₹100 , e₹200 , e₹500, e₹2,000 এবং পয়সার ক্ষেত্রে 50eप।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    Behala Accident: ‘‘সকালে আমার সঙ্গে কত কথা বলল…’’, ছেলের রক্তাক্ত ব্যাগ আঁকড়ে রয়েছেন সৌরনীলের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক ২১ দিন পর, আগামী ২৫ অগাস্ট ছিল সৌরনীল সরকারের জন্মদিন। তেমনটাই নথিভুক্ত স্কুলের রেজিস্টারে। কিন্তু, বিধি বাম। তার আগেই অকালে ঝরে পড়ল একটি জীবন। খালি হয়ে গেল মায়ের কোল। 

    ‘‘সোনাই আর ফিরবে না…’’

    বেহালা চৌরাস্তায় বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল থাকতো নবপল্লী রবীন্দ্রনাথ টেগোর রোডে। শুক্রবার সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য বাবার হাত ধরেই রাস্তা পার করছিল ছোট্ট সৌরনীল। আচমকা, নিমেষের মধ্যে সৌরনীলকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটি লরি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুর্ঘটায় আহত সৌরনীলের বাবা সরোজ কুমার সরকার। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। আর মা! তিনি কার্যত শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। কখনও স্কুলে, তো কখনও মর্গে গিয়ে একরত্তি ছেলের নিথর দেহ ধরে কেঁদেই চলেছেন।

    একমাত্র সন্তান মৃত। স্বামী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। এই পরিস্থিতিতে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই সৌরনীলের মা দীপিকা সরকার। আজ পরীক্ষা ছিল। নিজে হাতে খাইয়ে, পোশাক পরিয়ে বাবার সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন স্কুলে। মাকে টাটা করতে করতেই প্রতিদিনের মতো বাড়ির গেট দিয়ে বেরিয়েছিল ছোট্ট সৌরনীল। কিন্তু কে জানত, সেই দেখাই শেষ দেখা হবে! অস্ফুট কণ্ঠে তিনি বলে চলেছেন, ‘‘সকালেই আমার সঙ্গে কত কথা বলে বেরিয়ে ছিল। সোনাই আর ফিরবে না।’’ 

    আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় মৃত খুদে পড়ুয়া! পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বেহালায়

    মর্গে বসেই প্রলাপ সন্তানহারা মায়ের

    স্কুলের তরফ থেকেই বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকেই ছুটে আসেন মা। তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিদ্যাসাগরের হাসপাতালে মর্গেই রয়েছে সাত বছরের খুদের নিথর দেহ। বাইরে ছেলের রক্তাক্ত বইয়ের ব্যাগ আঁকড়ে বসে প্রলাপ বকে চলেছেন মা। মানতেই পারছেন না, তাঁর ছোট্ট সোনাই আর নেই। তাকে কোনওদিনও আদর করতে পারবেন না।

    স্কুলে সৌরনীলের ক্লাস টিচার মমতা ঘোষ জানিয়েছেন, জন্মদিন উপলক্ষে বাবা, মায়ের সঙ্গে প্রিন্সেপ ঘাটে ঘুরতে যাবে বলে জানিয়েছিল সৌরনীল। অত্যন্ত মিশুকে ও পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল সে। কোনও বিষয়ে ডাউট হলে, ভালো করে বুঝে নিত। শরীর খারাপ না হলে স্কুল কামাই একদম-ই করত না। কথা বলতে বলতে তিনিও কেঁদে ফেলেন…

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    Calcutta High Court: তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃতির অভিযোগ! বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে ফিরল মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক প্রার্থীর নথি বিকৃত করার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল সিঙ্গল বেঞ্চেই। সিঙ্গল বেঞ্চকে বিস্তারিতভাবে এসডিও-র বক্তব্য শোনার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের।

    ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নথি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। নথি বিকৃত মামলায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নিযুক্ত তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চেয়েছিলেন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন বিডিও। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “মনোনয়নপত্রে তথ্য বিকৃতি মামলায় যে রিপোর্ট পেশ করেছে কমিটি তাতে অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করছে আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চ সাসপেন্ড সম্পর্কিত যে কথা বলছে তা প্রাক্তন বিচারপতি পরিচালিত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। তিন আধিকারিকের সাসপেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের শীর্ষ কর্তাদের বিবেচনা করতে বলেছে সিঙ্গল বেঞ্চ। নতুন করে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার আগে সিঙ্গল বেঞ্চ এসডিও-র বক্তব্য শুনবে।” ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানায়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওযা হয়। এই কমিটির রিপোর্ট কোথাও চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। সিঙ্গল বেঞ্চ এই কমিটির রিপোর্ট দেখে পদক্ষেপ করেছে। 

    আরও পড়ুন: স্বস্তি শুভেন্দুর! এফআইআর দায়ের নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

    উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের সময় উলুবেড়িয়ার বাহিরা ১ নং গ্রাম পঞ্চেয়াতের বাম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগমের মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এই আসনটি ওবিসি-দের জন্য সংরক্ষিত ছিল। অভিযোগ ওঠে কাশ্মীরার জাতিগত শংসাপত্র বিকৃত করার বিষয়ে অভিযোগ পাওযার পরেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেননি স্থানীয় বিডিও। এই প্রসঙ্গেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বাম নেত্রী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Income Tax Refund: আয়কর রিফান্ডের মেসেজ পেয়েছেন? না বুঝে লিঙ্কে ক্লিক করলেই কিন্তু বিপদ!

    Income Tax Refund: আয়কর রিফান্ডের মেসেজ পেয়েছেন? না বুঝে লিঙ্কে ক্লিক করলেই কিন্তু বিপদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই বছরের ৩১ জুলাই ছিল আয়কর রিটার্ন দাখিল (Income Tax Refund) করার শেষ দিন। উল্লেখ্য, যাঁরা আয়কর জমা করেছেন, তাঁদের অনেকেই আবার রিফান্ডও পাবেন। আর এই রিফান্ড পাওয়ার সময় উপভোক্তাদের ফোনে প্রতারণা করার সুযোগ নিয়ে থাকে কিছু দুষ্ট চক্র। তাই আয়কর দফতর ট্যুইটের মাধ্যমে জনমানসকে সচেতন করেছে।

    কেন আয়কর দফতরের এমন বার্তা (Income Tax Refund)?

    আয়কর দফতরের (Income Tax Refund) এমন বার্তার কারণ হল, অনেক উপভোক্তা রয়েছেন, যাঁরা এই সময়ে রিফান্ডের মেসেজ পাচ্ছেন। আর ঠিক তাঁদেরকে উদ্দেশ্য করেই সাইবার প্রতারকরা রিফান্ডের মেসেজ পাঠিয়ে সঙ্গে অতিরিক্ত একটি লিঙ্ক দিচ্ছে। মেসেজে টাকার অঙ্কের সঙ্গে বলা হচ্ছে ওই লিঙ্কে ক্লিক করতে। আর তা করলেই নতুন একটি পেজ খুলে যায়। এই পেজ খুললেই বেশ কিছু তথ্য দিতে বলা হয়। তা দিলেই ব্যাঙ্কের সব টাকা উধাও। এই ধরনের সাইবার প্রতারকরা উপভোক্তাদের টার্গেট করে মূলত আয়কর দেওয়ার সময়সীমা অতিক্রমের পরের সময়েই। অনেক গ্রাহক এইভাবে প্রতারণার শিকারও হন। তাই প্রতারণা থেকে গ্রাহকদের সচেতন করতেই আয়কর দফতর বিশেষ বার্তা দিচ্ছে ট্যুইটারে।

    আয়কর দফতর কী বলেছে?

    একটি ট্যুইটে আয়কর দফতর (Income Tax Refund) জানিয়েছে, একটি মেসেজকে প্রতারকরা ভাইরাল করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গ্রাহক ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা আয়কর রিফান্ড পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই টাকা এখনই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড পেতে নম্বরটি যাচাই করে নিন। যদি অ্যাকাউন্ট ঠিক না হয়, নিচেই একটা লিঙ্ক রয়েছে সেখানে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট নম্বর আপডেট করুন। আর সেখানে চাওয়া হয় প্যান কার্ড, আধার কার্ডের ডিটেইলস। আর তা করলেই উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ। গ্রাহকরা নিজেদের ব্যাঙ্কের টাকা যাতে সুরক্ষিত রাখতে পারেন, সেই কারণেই আয়কর দফতরের এই বিশেষ উদ্যোগ। এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং আবশ্যক বলেই সচেতন গ্রাহকরা মনে করছেন। তাই তাঁরা একে সাধুবাদ জানিয়েছেন।       

    উল্লেখ্য আয়কর দফতর প্রি-ভ্যালিটেডেড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই একমাত্র রিফান্ড পাঠায়। আয়কর কোনও রকম তথ্য নিশ্চিত করতে বলে না। তাই গ্রাহকদের যে কোনও মেসেজ ভালভাবে খতিয়ে দেখে তবেই ক্লিক করতে হবে, এমনটাই পরামর্শ আয়কর দফতরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share