Blog

  • One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    One Nation One Election: ‘এক দেশ এক ভোট’, আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, জানালেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোটে’র (One Nation One Election) পক্ষে বারংবার সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার এক দেশ এক ভোট নীতি কার্যকরের পক্ষে সওয়াল করল নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল জানান, ওই নীতি কার্যকরের দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য আইন কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হবে, তা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যয় হতে পারে। এই নীতি কার্যকর হলে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের গতিও বাড়বে।”

    মোদি সরকারের যুক্তি 

    ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই ‘এক দেশ এক ভোটে’র তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি ছিল, লোকসভার সঙ্গেই দেশের সব বিধানসভার নির্বাচন সেরে নিলে কমবে নির্বাচনী ব্যয়। কেবল তাই নয়, উন্নয়নমূলক কাজের গতিও বাড়বে। একই ভোটার তালিকায় দুই নির্বাচন হলে কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপও কমবে। মোদি সরকারের এই ভাবনাকে সমর্থন করেছিল নীতি আয়োগ, আইন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশন।

    ‘এক দেশ এক ভোট’ 

    ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করতে গেলে সংবিধানের বেশ কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে বলেও সরকারি সূত্রে খবর। সংবিধানের ৮৩ নম্বর অনুচ্ছেদে সংসদের দুই কক্ষের মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ৮৫ নম্বর অনুচ্ছেদে লোকসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়ম বলা হয়েছে। ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। ১৭৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৫৬ নম্বর ধারায় রয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সংক্রান্ত নিয়ম। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনও সংশোধন করা প্রয়োজন হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    বিজেপি ‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation One Election) নীতি লাগু করার পক্ষে সওয়াল করলেও, বিরোধী দলগুলি এই নীতির সমালোচনায় মুখর প্রথম থেকেই। তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী। এক দেশ এক ভোট নীতি চালু হওয়ার পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পড়ে গলে কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    Kalighater Kaku : জামিনের আবেদন খারিজ, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর জামিনের আবেদনের পিছনে যুক্তি ছিল, ৩টি ধমনীতে ব্লকেজ রয়েছে। বাইপাস সার্জারি করাতে হবে। কোনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে চেয়ে জামিন মঞ্জুরের আবেদন জানান কালীঘাটের কাকু। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের সাফ বক্তব্য, এসএসকেএমেই হবে ‘কালীঘাটের কাকু’র চিকিৎসা।

    এসএসকেএম-এ চিকিৎসা

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ গত ১১ দিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। হার্টে ব্লকেজ ধরা পড়েছে সুজয় ভদ্রের। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। সুজয়ের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, পছন্দমতো হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে দেওয়া হোক। এসএসকেএম-নিয়ে আপত্তির কথা সরাসরি না বললেও আজ আদালতে ঠারেঠোরে সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন সুজয় ভদ্রর আইনজীবী। আর এই পছন্দমতো জায়গায় চিকিৎসা করানোর জন্য যাতে জামিন কিংবা অন্তর্বতী জামিন দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল। পাল্টা ইডি সওয়াল করে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমেই চিকিৎসা করান, তাহলে সুজয়কৃষ্ণ নয় কেন?’’  শেষপর্যন্ত ধোপে টিকল না সেই আবেদন। সুজয়কৃ্ষ্ণ ভদ্রের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলে এসএসকেএম হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    এদিন বিচারক তাঁর নির্দেশনামায় লিখেছেন, ‘‘মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি প্রায় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এমন ঝুঁকিপূর্ণ শারীরিক অবস্থায় তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে গেলে বিপদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে।’’ রাজ্যের মন্ত্রিসভার হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিরাও যে কিছু প্রয়োজন পড়লেই এসএসকেএম হাসপাতালে যান সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশনামায়। বিচারক লিখেছেন, ‘‘এসএসকেএম হল রাজ্যের সেরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রাজ্য মন্ত্রিসভার হাই প্রোফাইল ব্যক্তিরা জরুরি কোনও প্রয়োজন হলে এসএসকেএম হাসপাতালেই যান। এসএসকেএম হাসপাতালে সেরা পরিকাঠামো ও চিকিৎসক রয়েছেন।’’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে চলেছে ইডি। চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর যাবতীয় সম্পত্তির হিসেব, নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি কীভাবে জড়িত, তার তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    West Bengal Dengue Outbreak: ‘‘ডেঙ্গি আসছে বাংলাদেশ থেকে’’! রাজ্যে প্রকোপ বাড়তেই সাফাই মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে শুরু ডেঙ্গির (West Bengal Dengue Outbreak) প্রকোপ। সরকারের পেশ করা হিসেব অনুযায়ী, গত ২ সপ্তাহে ডেঙ্গিতে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। বেসরকারি মতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু, কেন বর্ষা নামতেই রাজ্যে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়ে গেল কেনই বা, গত বছরের থেকে শিক্ষা নিল না রাজ্য প্রশাসন (West Bengal Health Department)?

    ডেঙ্গি নিয়ে কী সাফাই প্রশাসনের?

    এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেই নিরিখে, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেন, রাজ্যে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) সমস্যা প্রধানত এসেছে বাইরে থেকে। তাঁর মতে, ডেঙ্গি সমস্যা আসছে বাংলাদেশ থেকে। তিনি জানান, মূলত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেঙ্গির বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ তত্ত্ব শোনাচ্ছেন, সেখানে জেলা প্রশাসন আবার পঞ্চায়েত ভোটকে ঢাল হিসেবে খাড়া করছে। প্রতিবারের মতো, এবছরও ডেঙ্গির প্রকোপ ধরা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। সেই জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের আবার দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্যাহত হয়েছে ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, তাহলে তো এখন বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত। সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। শুভেন্দু বলেন, ‘‘ওঁর উচিত অবিলম্বে চার্টার্ড বিমান নিয়ে ঢাকা যাওয়া। সঙ্গে ক্যানিংয়ের শওকত মোল্লা, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম, ফলতার জাহাঙ্গিরদের নিয়ে যাবেন। কারণ, সীমান্ত এলাকায় এঁরা কাজকর্ম করেন, কে কী ভাবে ঢুকবে না ঢুকবে, নিয়ন্ত্রণ করেন। ডেঙ্গি বাংলাদেশ থেকে এলে এঁদেরও ব্যাপারটা দেখা উচিত। এই প্রতিনধিদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আলোচনায় বসুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে!’’

    এদিকে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে (West Bengal Dengue Outbreak) দুই পর্যায়ে বৈঠক করল রাজ্য সরকার। প্রথমে, সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। পরে বিকেলে সব জেলা-কর্তাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরই, রাজ্যের তরফে ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়। হাসপাতালগুলি ও চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)।

    আরও পড়ুন: দশ হাজারের নিচে নামলে তবেই প্লেটলেট! ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিতর্ক

    ডেঙ্গি মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা রাজ্যের

    নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, পরীক্ষার বিষয়টাতে এতটাই জোর দিতে হবে যাতে কোনও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার ঘটনা চোখ এড়িয়ে না যায়, পরীক্ষায় যেন দেরি না হয়। প্রত্যেক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর হিসেব রাখা হয়। ডেঙ্গি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২ থেকে ৭ দিন জ্বরে অসুস্থ থাকলেও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এছাড়া মাথা ব্যাথা, রক্তক্ষরণ, দেহে র‌্যাশ বেরনোর মতো উপসর্গ থাকলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ মশাবাহিত এই দুই রোগ নিয়ে যাতে কোনও রকম গা ছাড়া মনোভাব না দেখা যায়, সে ব্যাপারেই সতর্ক করেছে রাজ্য।

    বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ‘ফিভার ক্লিনিক’ চালু রাখতে হবে সর্বক্ষণ। সেটি দেখাশোনার দায়িত্ব এক জন সহকারী সুপারের। জেলায় ডেঙ্গি দমনে ৯০০০ চিকিৎসক, প্যারা মেডিক্যাল কর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালগুলি এবং ব্লাড ব্যাঙ্কে অণুচক্রিকার (প্লেটলেট) জোগানে যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে। রাজ্যের যে সব হাসপাতালে ডেঙ্গি (West Bengal Dengue Outbreak) আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বেশি, সেখানে ডেঙ্গি পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালকেও ডেঙ্গি রোগীদের জন্য বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    Love Jihad: “কৃষ্ণ-রুক্মিণীর বিয়ে লাভ জিহাদ”! কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের কী জবাব দিলেন হিমন্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলটপকা মন্তব্য করে বিপাকে অসম প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি ভূপেন বোরা। বৃহস্পতিবার মহাভারতের কৃষ্ণ-রুক্মিণী এবং ধৃতরাষ্ট্র-গান্ধারীর বিয়েকে লাভ জিহাদের (Love Jihad) সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তিনি। ভূপেনের মন্তব্যের পাল্টা কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, হিন্দু দেব-দেবী সম্পর্কে এমন মন্তব্য করায় এমন একটা দিন আসবে যখন মসজিদ এবং মাদ্রাসা ছাড়া কংগ্রেসের আর লুকোনোর কোনও জায়গা থাকবে না। কংগ্রেস নেতার এহেন বেফাঁস মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ধর্মীয় নেতারাও। তাঁদের মতে, মহাভারত সম্পর্কে ভূপেনের জ্ঞান অসম্পূর্ণ।

    কংগ্রেস নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

    প্রসঙ্গত, ভূপেন বলেছিলেন, ঐতিহাসিক কাল থেকেই এ দেশে ভিন ধর্মে বিয়ের চল রয়েছে। এমন কী মহাভারতের যুগের রাজাদের সময়ও এসব ছিল। মহাভারতের মূল গল্প হল, গান্ধারীর পরিবার তাঁর সঙ্গে ধৃতরাষ্ট্রের বিয়ে দিতে চায়নি। পিতামহ ভীষ্মই জোর করাতেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। শকুনির ভাইকে বন্দি করা হয়েছিল এবং পরে মামা প্রতিশোধ নিয়েছিলেন। এটাও লাভ জিহাদ। গান্ধারীর পরিবার প্রতিবাদ করেছিলেন। যেহেতু জোর (Love Jihad) করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাই গান্ধারী সব সময় চোখে একটা কাপড় বেঁধে রাখতেন। কৃষ্ণ যখন রুক্মিণীকে নিতে এলেন, তখন অর্জুনের অন্য রূপ।

    প্রতিক্রিয়া হিমন্তের

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন হিমন্ত। তিনি বলেন, অভিযোগ দায়ের করলে বোরা গ্রেফতার হবেন। ধর্মীয় আবেগ নিয়ে তাঁর এহেন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। তিনি বলেন, আমি জানি না, কী কারণে তিনি কৃষ্ণ-রুক্মিণীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য সনাতন ধর্মের পরিপন্থী। এটা হিন্দু ধর্মেরও বিরোধী। আমি কংগ্রেসকে অনুরোধ করব, আমরা যেমন হজরত মহম্মদ কিংবা যীশুখ্রিস্টকে নিয়ে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করি না, তেমনি কৃষ্ণকে নিয়েও কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা ঠিক নয়। মানুষের কোনও অপরাধের সঙ্গে ভগবানকে যুক্ত করা ঠিক নয়।

    আরও পড়ুুন: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    তাছাড়া, লাভ জিহাদ (Love Jihad) কী, জানেন? যখন কোনও মহিলাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করা হয় এবং বিয়ের পর ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়, সেটাই লাভ জিহাদ। ভগবান কৃষ্ণ কখনওই রুক্মিণীকে তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করতে বলেননি। কেউ যদি এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেন, তাহলে আমরা ওঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হব। আমি ওঁকে বাঁচাতে পারব না। তিনি বলেন, গোলাঘাটে তিনটি খুনের ঘটনায় আমরা লাভ জিহাদের ফল দেখতে পেয়েছি। অনেক মেয়েকে আত্মহত্যা করতে হয়। তাই আমি তরুণ তরুণীদের অনুরোধ করব, স্বধর্মেই বিয়ে করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    Partha Chatterjee: কেন জামিনের বিরোধিতা? পার্থ কতটা প্রভাবশালী, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের বিরোধিতায় আবার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বকেই হাতিয়ার করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত পার্থের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এর জন্য তাঁকে বৃহস্পতিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়। শুনানি চলাকালীন পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। ইডির অভিযোগ, পার্থ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একা হাতে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছেন। তাই তাঁর কোনও মতেই জামিন পাওয়া উচিত নয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগ

    প্রায় এক বছর হয়ে গেল জেলবন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। আদালতে জামিনের আবেদন করলেও এখনও পর্যন্ত স্বস্তি পাননি তিনি। চার্জশিট পেশ হয়ে যাওয়ার পর কেন জেলে রাখা হচ্ছে পার্থকে? এই প্রশ্ন তুলে জামিনের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে বোঝাল, কেন তারা পার্থর জামিন দেওয়া উচিত বলে মনে করছে না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, পার্থকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ইডি জানিয়েছে, গ্রেফতার মেমোতে মুখ্যমন্ত্রীকে আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পার্থ।  তিনি যদি প্রভাবশালী না হতেন, তা হলে এমন উল্লেখ থাকত না বলে দাবি ইডির।

    অসুস্থতার অজুহাত

    গ্রেফতারির পর অসুস্থতার কারণে পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আদালতে ইডি দাবি করেছে, পার্থ আদপে অসুস্থ ছিলেন না। ইডির যুক্তি, হাই কোর্টের নির্দেশে পার্থকে ভুবনেশ্বর এমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকেরা পার্থের শরীরে অসুস্থতার কোনও ছাপ পাননি। ইডির দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে পার্থ অসুস্থতার ‘ভান’ করেছিলেন। আর তিনি প্রভাবশালী বলেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছিলেন, যুক্তি ইডির।

    ‘জেল কোড’ ভঙ্গ

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, শুনানির দিন আদালতে নিয়ে আসার সময় পার্থের জন্য পৃথক গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অন্য বন্দিদের নিয়ে আসা হয় প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে। পার্থের জন্য পৃথক ব্যবস্থা কেন? প্রশ্ন তুলেছে ইডি। ইডির যুক্তি, পার্থ প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই তিনি এই বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। ‘জেল কোড’ অনুযায়ী সংশোধনাগারে কোনও বন্দির আংটি পরার অনুমতি নেই। কিন্তু পার্থ দীর্ঘ দিন জেলের মধ্যে আংটি পরেছিলেন। ইডির যুক্তি, তিনি প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: মহরমের দিন ড্রাম বাজবে কতক্ষণ? শব্দবিধি নিয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    আগামী সপ্তাহে রায়দান!

    এই মামলায় আগেই সওয়াল করেছিলেন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবী। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে রায়দান হবে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য ও শিক্ষায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্যও পার্থকে দায়ী করেছে ইডি। আইনজীবী মন্তব্য করেন, ‘স্কুলে অযোগ্য শিক্ষক পাঠানোর অর্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করে দেওয়া। প্রসঙ্গত, শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ২৩ জুলাই মধ্যরাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গত, রবিবারই পার্থের গ্রেফতারির এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে পার্থের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মহরমের দিন ড্রাম বাজবে কতক্ষণ? শব্দবিধি নিয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মহরমের দিন ড্রাম বাজবে কতক্ষণ? শব্দবিধি নিয়ে পুলিশকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহরম (Muharram) নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের উদ্দেশে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcuuta High Court)। আদালতের নির্দেশ, মহরমকে কেন্দ্র করে অযথা তারস্বরে ড্রাম বাজানো ও খোলা আকাশের নিচে রান্নাঘর তৈরি করে জনগণের কোনও সমস্যা তৈরি করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

    শব্দবিধি মেনে চলার নির্দেশ

    মহরম সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলায় বৃস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcuuta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলার আবেদনকারী সগুপ্তা সুলেমান দাবি করেছেন, তাঁর এলাকায় গভীর রাত পর্যন্ত ড্রাম বাজানো হয় মহরমে। সুলেমানের অভিযোগ, পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুলিশ তাঁকে কোর্টের অর্ডার নিয়ে আসতে বলেছে।  এছাড়া মহরমের আগে থেকে শহরের অনেক জায়গায় সারাদিন ধরে গান বাডানো হয়। সমস্যায় পড়ে বাচ্চা ও  বয়স্করা। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ে। এদিন এই মামালার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সকালে ২ ঘণ্টা ও বিকেলে ২ ঘণ্টা বেঁধে দিতে হবে ড্রাম বাজিয়ে মিছিল করার জন্য। আদালত আরও বলেছে, শব্দবিধি মেনে প্রতীকী রণডঙ্কা বাজানো হচ্ছে কি না তার উপর নজরদারি করবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। 

    আরও পড়ুন: দেশীয় ‘এস-৪০০’! নিজস্ব ত্রিস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করছে ভারত?

    পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ 

    ২৯ জুলাই শনিবার মহরম। ওইদিন কোনওভাবেই অনুষ্ঠানে ড্রাম বা মাইকের শব্দসীমা ৬০ ডেসিবেল ছাড়াতে পারবে না। যে ক্লাব বা যে গোষ্ঠী ড্রাম বাজিয়ে মহরমের মিছিল করতে চায়, তাদের পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। মহরমের দিন পর্যন্ত জারি থাকবে এই নির্দেশিকা। মহরমের আগে পুলিশকে পাবলিক নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উৎসবে কখন মিটিং, কতক্ষন জমায়েত ইত্যাদি নির্দিষ্ট করতে হবে। ক্লাব বা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ আগে অনুমতি নেবে র‍্যালি করার জন্য। যেহেতু সময় অল্প অনুমতি সবাই নাও জোগাড় করতে পারে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সকালে ৮টার আগে কখনই ড্রাম বাজানো চালু করা উচিত নয়। এতে স্কুল পড়ুয়া, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে সকালে দু’ঘণ্টা ও বিকেলে দু’ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করা হোক।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! এসডিও-বিডিও সহ তিন সরকারি কর্তাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ, বাতিল ভোট

    Panchayat Election 2023: নথি বিকৃতি! এসডিও-বিডিও সহ তিন সরকারি কর্তাকে সাসপেন্ডের সুপারিশ, বাতিল ভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) দুর্নীতির দায়ে তিন সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করল কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি। বেনজির ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থীদের নথি বিকৃত করার মামলায় বিডিও-সহ তিন আধিকারিককে সাসপেন্ডের সুপারিশ ওই কমিটির। বৃহস্পতিবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। সেখানেই সুপারিশ করা হয়েছে সাসপেন্ডের। এফআইআর দায়ের করতে হবে বলেও সুপারিশ করে কমিটি।

    আদালতে দুই প্রার্থী

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের প্রার্থী কাশ্মীরা বিবি এবং ওমজা বিবি। তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের নথি বিকৃত করা হয়েছে। তার জেরেই বাতিল হয়ে গিয়েছে তাঁদের মনোনয়নপত্র। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাটি উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। এর পরেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নেতৃত্বে এক সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষ করে এদিন আদালতে রিপোর্ট দেয় ওই কমিটি। তাতে বলা হয়েছে, মামলাকারীদের অভিযোগ সত্যি।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    কমিটির (Panchayat Election 2023) রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীককুমার ঘোষ, বিডিও নিলাদ্রীশেখর দে এবং জাতি শংসাপত্র বিভাগের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর কৃপাসিন্ধু সামইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। উলুবেড়িয়ার সংশ্লিষ্ট আসনটি ওবিসি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা ওবিসি সম্প্রদায়ের। কিন্তু তদন্তের সময় তৃণমূল প্রার্থী লুৎফানেসা বেগম স্বীকার করে নেন, তিনি ওবিসি সম্প্রদায়ের নন। অথচ অসত্য তথ্য দিয়ে তাঁকে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যোগ্যতাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    কিন্তু তথ্য বিকৃত করে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। পুরো প্রক্রিয়ায় সরকারি আধিকারিকরা যুক্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদালতের নির্দেশ, ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হবে। তাঁদের সাসপেন্ড করার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, উলুবেড়িয়ার বহিরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন শূন্য ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের দিন ঠিক করতে হবে রাজ্যকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব’’! লোকসভা ভোটে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারাব।” লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই ভাষায়ই চ্যালেঞ্জ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “দম থাকলে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের আসনগুলি পুনর্গণনা করে দিন না! বড় বড় কথা বলছেন উনি। ২০১৪ সাল থেকে হারছেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে নিজে হেরেছেন তো। কেন্দ্রীয় পুলিশ থাকলেই হারছেন। আবার আগামী বছরে হারবেন। মিত্র ইনস্টিটিউশনে হারবেন, ওঁর নিজের বুথে হারাব।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “উনি ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করে দিল্লিতে পালাতে চাইছেন। তো দিল্লি যেতে গেলে তো লোকসভায় দাঁড়াতে হবে, নাহলে রাজ্যসভায় পিছনের দরজা দিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ভোটে দাঁড়ালেই হারাব। যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারাব।”

    ‘কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, শুভেন্দু জিতেছে। জিতেছে বলেই আপনি কমপার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। জিতেছে বলেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে কলার ধরে পদত্যাগ করিয়ে ভবানীপুরে ছাপ্পা মেরে আপনাকে জিততে হয়েছে।” প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে হেরে গিয়ে ভাবনীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা।

    ‘হারলেন ১৯৫৬ ভোটে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটা ভাঙা রেকর্ড আছে। শুভেন্দু গণনায় কারচুপি করে নন্দীগ্রামে জিতেছে। একই বিল্ডিংয়ে তিনটে বিধানসভার গণনা হয়েছে। মহিষাদল, হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম। হলদিয়া থেকে বিজেপি প্রার্থী জিতলেন ১৫ হাজার প্লাস। মহিষাদলে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেন ২১০০ ভোটে। একই বিল্ডিংয়ে আপনি হারলেন ১৯৫৬ ভোটে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি একটা কেস করেছেন। আপনার বিচারপতিকে অপছন্দ হয়েছিল, মাননীয় কৌশিক চন্দ। তাঁকে বদলালেন। দু বছরের বেশি সময় চলে গেল। মামলা আপনি করেছেন, আমি করিনি। কিন্তু আপনি তোলেন না। কারণ, সবই কানে শোনা, চোখে দেখা কিছু নেই। কোনও নথি নেই। সব নথি তো আমার কাছে।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওয়েবেল এবং ডব্লুটিএল দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত টেন্ডার ও কাগজপত্র নিয়ে কাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টেয় সাংবাদিকদের সামনে হাজির হব।” আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি ৩৬টি আসন পাবে বলেও দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    TMC: ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা-ভাইপো ছাড়া আবার কে’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুবরাজপুরের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের গেটে পড়ল আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টার। পোস্টারে আবাস যোজনার দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে। তৃণমূল (TMC) নেতার কাছে দুর্নীতির জবাব চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘আটটি বাড়ি নিল কে? কাকা ভাইপো ছাড়া আবার কে? পৌরপিতা জবাব দেন। যার মূল্য ৩০ লাখ টাকা। মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী জিন্দাবাদ।’ কিন্তু, কে এই কাকা ভাইপো? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার দুবরাজপুর পুরসভা এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুলুপাড়ার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঠিক এমনই পোস্টার দেখা যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে এসে কর্মীদের এই পোস্টার চোখে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েই দুর্নীতি হয়েছে। তা বিরুদ্ধে এই পোস্টার, রাতের অন্ধকারে লাগানো হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা এই পোস্টার লাগালো তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এ বিষয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা তথা দুবরাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পীযূষ পান্ডে বলেন, উপভোক্তাদের চিহ্নিত করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। পরে, উপভোক্তারা নিজেরাই বাড়ি করেন। কাকা, ভাইপোকে আটটা বাড়ি দেওয়া হয়েছে এরকম অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেউ নেশা করে এই ধরনের পোস্টার লাগিয়েছে। তবুও আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার ভাস্কর রুজ বলেন, কেউ অসৎ উদ্দেশ‍্য নিয়ে এরকম কাজ করেছে। তবে, এই ওয়ার্ডে স্বচ্ছভাবে আবাস যোজনার কাজ হয়েছে। দলকে বদনাম করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুবরাজপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, রাজ্যের পিসি ভাইপোর কথা আমরা জানি। কিন্তু, দুবরাজপুরে কাকা, ভাইপো কে আছেন এর জবাবটা একমাত্র পৌর প্রধানই দিতে পারেন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে দুর্নীতি হয়েছে সেটা বারংবার আমরা বলেছি। আজকে দুবরাজপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার দিয়ে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তা পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আবাস যোজনার বাড়িগুলি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে চেয়ারম্যান, কাউন্সিলার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা যুক্ত রয়েছেন। কাকা ভাইপোর নামে পোস্টার দিয়ে সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    PM Modi: লোকসভা ভোটের রণনীতি স্থির করতে সোমবার থেকে এনডিএ সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বিরোধীরা। বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী ২৬টি দল গঠন করেছে ‘ইন্ডিয়া’। বিরোধীদের এই জোটকে অবশ্য পাত্তা দিচ্ছে না বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। লোকসভা নির্বাচনে এবার আগের বারের চেয়েও বেশি আসন নিয়ে সংসদে ফিরতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএতে থাকা বিভিন্ন দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দুই পর্বে বৈঠক 

    লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে সহযোগী দলগুলির সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠক শুরু হবে ৩১ জুলাই। চলবে অগাস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুটি পর্যায়ে হবে বৈঠক। প্রথমটি শুরু হবে সাড়ে ৬টায়। পরেরটি সাড়ে ৭টায়। জানা গিয়েছে, প্রথম দিন প্রথম পর্যায়ের বৈঠকটি হবে উত্তর প্রদেশের সাংসদদের নিয়ে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, ব্রজ, কানপুর এবং বুন্দেলখণ্ডের সাংসদরা। উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং নীতিন গডকড়িও। বৈঠক সঞ্চালনা করবেন সঞ্জীব বালিয়ান ও বিএল ভার্মা। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে যে বৈঠকটি হবে তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবাংলা, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার সাংসদরা। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সঞ্চালনায় ধর্মেন্দ্র প্রধান ও শান্তনু ঠাকুর।

    থাকবেন শাহ, রাজনাথ 

    সব মিলিয়ে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ৪১ জন সাংসদ। পরের দিনের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন উত্তর প্রদেশের কাশী, গোরখপুর এবং অওয়ধের সাংসদরা। এই বৈঠকেও (PM Modi) থাকবেন শাহ এবং রাজনাথ। দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে যোগ দেবেন অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপের সাংসদরা। তার পরের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বসবেন বিহার, হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তিসগড়, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের সাংসদদের সঙ্গে।

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতি কুইট ইন্ডিয়া, তুষ্টিকরণ কুইট ইন্ডিয়া”, রাজস্থানের সভায় ‘ইন্ডিয়া’কে নিশানা মোদির

    অগাস্টের ৮ তারিখের বৈঠকে যোগ দেবেন রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ার সাংসদরা। তার পরের দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে গুজরাট, দাদরা নগর হাভেলি, দমন ও দিউয়ের সাংসদদের। ওই দিনই দ্বিতীয় পর্বে তিনি (PM Modi) বৈঠক করবেন মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়ের সাংসদদের সঙ্গে। শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার সাংসদদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share