Blog

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টই ঠিক করবে জয়ী প্রার্থীর ভবিষ্যত! সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) জয়ী কোনও প্রার্থীকে এখনই জয়ী বলা যাবে না। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে সমস্ত জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সমস্ত জেলাশাসকদের (DM) চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ‘সমস্ত জয়ী প্রার্থীকে দ্রুত কমিশনের নোটিস সম্বন্ধে অবহিত করতে হবে জেলাশাসকদের।’

    কী বলল কমিশন 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে, একটি মামলায়, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আগেই মন্তব্য করেছিল, জয়ী প্রার্থীদের মনে রাখতে হবে যে তাঁদের ভবিষ্যৎ সংশ্লিষ্ট মামলার উপর নির্ভর করছে। সেই সূত্রেই আরও বলা হয়েছিল, পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত যাবতীয়  নথি, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ঘটনা হল, মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটগ্রহণের নানা পর্বে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত অভিযোগই হাইকোর্টে বিচারাধীন। এবার সেই মামলার রায়ে কী বেরোয়, তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টিই একেবারে চিঠি দিয়ে সমস্ত জেলাশাসকদের জানিয়েছে। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, যে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রত্যেক জয়ী প্রার্থীকে যেন কমিশনের নোটিস সম্পর্কে অবিলম্বে জানানো হয়। 

    রাজ্যে নানা প্রান্তে হিংসা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলায় জেলায় হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। এই আবহেই ভোট সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা হয়। ফল প্রকাশিত হয়। প্রতিদিনই রক্ত ঝড়েছে গ্রাম বাংলায়। এই প্রসঙ্গে একটি মামলায়,হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীদের জয় নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপরেই। ভোট-হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য যদি নাগরিককে নিরাপত্তা না দিতে পারে, তা হলে সেটি খুবই গুরুতর বিষয়।’’ 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    আদালতের অভিমত

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেও যে সব ঘটনা ঘটছে আদালত তা দেখে বিস্মিত। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, যে সন্ত্রাস, হিংসা চলছে রাজ্য তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মানুষের জীবনধারণের স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পুলিশ নিরীহ মানুষকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ। সাধারণ মানুষের শান্তি যাতে ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। যদি এটি তারা না করতে পারে তা খুবই উদ্বেগের।”  ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সমস্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের জয়ের বিষয়টি ফয়সালা হবে না। তাঁদের মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলাশাসকদেরও সতর্ক করে দিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll 2023: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    Panchayat Poll 2023: ‘‘আসন সংখ্যায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি বিজেপির’’! সুকান্ত-শুভেন্দুদের প্রশংসা শাহের, অগাস্টেই বঙ্গ-সফরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির লড়াইকে সাফল্য হিসেবেই দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটবার্তায় শাহ, বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের নেতা ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের সময় লাগাতার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার জন্য নাম করে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে, শুক্রবারই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে দরবার করেছেন সুকান্ত৷ পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সূত্রের খবর, ভোটে দলের পরাজয়ের কারণ হিসেবে শাসকদলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করে অমিত শাহর কাছে নালিশ ঠুকেছেন সুকান্ত।

    লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ব্যাপক হিংসা, অশান্তি নিয়ে এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ। এদিন সুকান্তের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সন্ধে ৬টা নাগাদ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক হয় দু’জনের মধ্যে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও কথা হয়। এর আগে, নির্বাচন চলাকালীনও সুকান্তের সঙ্গে ফোনে দু’বার কথা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সাক্ষাৎ শেষে সুকান্ত জানান, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অবশ্যই ভাল করবে বিজেপি। 

    লোকসভা নির্বাচন পাখির চোখ

    শাহি-বৈঠক সেরে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখই হন সুকান্ত। তিনি বলেন, “অগাস্টে বাংলা সফরে আসবেন অমিত শাহ। বাংলায় বিজেপি-র কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি জনসভাও করবেন।” শুক্রবার অমিত শাহ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বঙ্গ বিজেপি যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে খুশি। বঙ্গ বিজেপির পাশে থাকার বার্তাও দেন শাহ। শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এ নিয়ে ট্যুইট করেন সুকান্ত মজুমদার৷ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    DA Case: ফের পিছল ডিএ মামলার শুনানি, আদালত বলল ‘বড় সময় প্রয়োজন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পিছল ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি। আজ, শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী শুনানি কবে হবে, তা এখনও স্থির হয়নি। আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি বলেন, মামলাটি মিসলেনিয়াস ডে-তে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হওয়া প্রয়োজন।

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

    গত বছর মে মাসে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের যুক্তি, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ (DA Case) দিতে হলে ব্যয় হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে এই মুহূর্তে বহন করা কঠিন। এদিন রাজ্যের তরফে অভিষেক মনুসিংভি বলেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের দাবি অনুযায়ী ৩ লক্ষেরও বেশি কর্মচারিকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হলে ৪১ হাজার কোটি টাকার প্রভাব পড়বে কোষাগারের ওপর। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডিএ সংক্রান্ত নিজস্ব নিয়ম আছে।

    ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য

    এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ মামলাটি উঠলে সরকারি কর্মীদের তরফে উপস্থিত আইনজীবী দ্রুত নিষ্পত্তির আবেদন জানান। যদিও বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চ জানায়, যে সব মামলার শুনানিতে সময় লাগে, সেই ধরনের মামলা সোম ও শুক্রবার শোনা হয় না। তাই আজ আর এই মামলার শুনানি করা সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘বামপন্থী সরকারের অত্যাচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা’’, তোপ রবিশঙ্কর প্রসাদের

    ৫ ডিসেম্বর প্রথমবার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলাটি (DA Case)। এই মামলা শুনানির জন্য বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। কিন্তু শুনানির দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। তাই মামলার শুনানি হয়নি। তার পর থেকে যতবারই শুনানির দিন ধার্য হয়েছে, ততবারই কোনও না কোনও কারণে মামলাটি পিছিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মতলার শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মীরা। আন্দোলন হচ্ছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে। দিল্লিতেও ধর্না দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রাজ্য সরকার। দ্বারস্থ হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    Kuntal Ghosh: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আদালতে জানিয়ে দিল সিবিআই। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সিবিআই জানায়, কুন্তলকে কেউ চাপ দিচ্ছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকী জেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও সূত্র পাননি তদন্তকারীরা। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    অভিযোগ ভিত্তিহীন

    গত ২৯ মার্চ ধর্মতলায় শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছিলেন, হেফাজতে থাকার সময় মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন যে, অভিষেকের নাম বলার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠান কলকাতার হেস্টিংস থানাতেও। তার পর হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, প্রয়োজনে সিবিআই বা ইডি এই ঘটনায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     শুক্রবার হাই কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায় যে, কুন্তলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সিবিআইয়ের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে যে, কুন্তলের জেলযাত্রার প্রথম দিন থেকে ওই চিঠি লেখা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত, তাতে মাত্র কয়েক দিনের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ফুটেজ নেই। জেল থেকে মাত্র কয়েকদিনের ফুটেজ দেওয়া হয়। সেই ফুটেজে কোথাও কোনও চাপ দেওয়ার ঘটনা দেখা যায়নি। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘‘এখনও কেন কিং পিন অবধি পৌঁছনো যাচ্ছে না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভোটে কারচুপি! বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করা যেতে পারে। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাওড়ার সলপে বিরোধীদের জয়ী ঘোষণা করেও শাসকদলের পরাজিত প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা

    এদিন শুনানির সময় মামলাকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা গুলো আপনারা জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দায়ের করছেন না কেন? বৃহত্তর পরিসরে এই ঘটনাগুলির সঙ্গে সরাসরি জনস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। এইগুলো জনস্বার্থেরই বিষয়।’ বিরোধীদলের প্রার্থীরা ভোটে জিতলেও শাসকদলের প্রার্থীদের জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হাওড়ার সলপে। মামলাকারী প্রার্থীরা স্থানীয় বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিচারপতি সিনহা এদিন বিডিও-র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। 

    ব্যালট পেপার ছিনতাই-মামলা

    অন্যদিকে, বালিতে গণনাকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট পেপার পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় আদালতে হাজিরা দিলেন জগাছার বিডিও। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে হাজিরা দিয়ে গণনাকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেন তিনি। আদালতের তরফে এই সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি বলেন, দেখতে হবে, কে বা কারা ব্যালট পেপার গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিয়ে এল। এদিন আদালতে জগাছার বিডিও বলেন, বালির ওই গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। সেকথা জানিয়ে পুলিশে এফআইআর করেছেন তিনি। কমিশনকেও ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তবে কমিশন এব্যাপারে কী পদক্ষেপ করেছে তা তাঁর জানা নেই। ওদিকে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে রাজ্যে ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। এছাড়া ৬০০০টি বেনিয়মের অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও বেনিয়ম ধরা পড়লে পদক্ষেপ করবে কমিশন। এদিন আদালতে পেশ হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ২৫ জুলাই মামলাটির ফের শুনানি হবে।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের পথে নওশাদকে আটকাল পুলিশ! গাড়িতেই বসে আইএসএফ বিধায়ক

    রামনগরেও বিতর্ক

    রামনগরের জেলা পরিষদে জয়ী ঘোষণা পরেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি বিজেপি প্রার্থীকে। জয়ের সার্টিফিকেট চেয়ে মামলা করেন তিনি। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে হাজিরা দিলেন সেখানকার বিডিও। সশরীরে এজলাসে হাজিরা দিলেন রামনগরের পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসার। রামনগর-২-এর বিডিও অখিল মণ্ডল জানান, ভোটের ফলাফল রেকর্ডিং এর সময় অদলবদল হয়। রামনগর ২ নং ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ হাইকোর্টে জমা রাখতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। বিডিও-এর কাছে হলফনামা তলব করেন তিনি। ২৫ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    Recruitment Scam: ৩৫০ কোটির নিয়োগ দুর্নীতি! হাইকোর্টে জমা পড়ল রিপোর্ট, তালিকা পেশের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) সঙ্গে যুক্ত ৩৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে একটি রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান, ‘এত টাকা যদি এই দুর্নীতি থেকে উঠে থাকে, তাহলে আপনারা এখনও এই দুর্নীতির কিংপিন কে, তাকে কেন খুঁজে পাচ্ছেন না?’ এদিন, সিবিআইয়ের তদন্তের ‘ধীর গতি’ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। 

    সাড়ে ৩০০ কোটির দুর্নীতি

    আদালত সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত এবং ৪৩টি স্থাবর সম্পত্তি প্রসিড অব ক্রাইম হিসাবে অ্যাটাচ করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বাংলা সিনেমা থেকে স্থাবর সম্পত্তি, অস্থাবর সম্পত্তিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেই ইডির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এবং নগদ অ্যাটাচ করা হয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। বিচারপতি অর্ডার দেওয়ার সময় ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে টাকার কথা বলেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    কিংপিন কে? 

    এদিন মামলাকারীর তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতকে বলেন, ‘৪২ হাজারের বেশি নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কে বা কারা মূল সুবিধা পেয়েছে, এখনও সিবিআই সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি। সিবিআইকে সেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হোক।’ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ (Recruitment Scam) মামলায় যে চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের নামের তালিকা আদালতে জমা দিতেও বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই মামলায় দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলাতে তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে— কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে জেলে বসে চিঠি লিখেছিলেন কুন্তল ঘোষ। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের সেই ‘বিতর্কিত’ চিঠির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে শুক্রবার দাবি করে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi In France: বাস্তিল দিবসে প্যারিসের রাজপথে পঞ্জাব রেজিমেন্টের কুচকাওয়াজ, স্যালুট প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi In France: বাস্তিল দিবসে প্যারিসের রাজপথে পঞ্জাব রেজিমেন্টের কুচকাওয়াজ, স্যালুট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে ভারতীয় সেনার কুচকাওয়াজ। সামনে থেকে স্যালুট জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঐতিহাসিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। 

    বাস্তিল দিবসের প্যারেডে প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদি

    ফ্রান্সের বাস্তিল দিবস (Bastille Day) বা ফরাসি জাতীয় দিবসের কুচকাওয়াজের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In France)। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পরে, মোদিই হলেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও প্রথামাফিক বাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের রাজপথ শঁজেলিজে-তে। সেই প্যারেডে অংশগ্রহণ করেছিল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন শাখা- স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার প্রতিনিধি দল। 

    পঞ্জাব রেজিমেন্টকে স্যালুট মোদির (PM Modi In France)

    এদিন কুচকাওয়াজে ভারতীয় বাহিনীর মার্চ পাস্টে সবার আগে ছিল সেনার পঞ্জাব রেজিমেন্ট (Punjab Regiment)। এই রেজিমেন্ট ভারতের অন্যতম পুরনো রেজিমেন্ট। দুই বিশ্বযুদ্ধে ফরাসিদের হয়ে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল পঞ্জাব রেজিমেন্ট। সেই সময় পরাধীন ভারতের ইংরেজ শাসকের নির্দেশে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় সেনা। আজও শিখ সেনাদের বীরত্বের কাহিনী ফ্রান্সে অত্যন্ত জনপ্রিয়। যে কারণে, এবারের কুচকাওয়াজে পঞ্জাব রেজিমেন্টকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

    প্যারেডে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন শাখা

    প্যারিসের প্যারেডে ভারতীয় সেনার পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সদস্যরা মার্চ পাস্ট করেন। প্যারেডে পাঞ্জাব রেজিমেন্টকে (Punjab Regiment) নেতৃত্ব দিলেন কর্নেল অমন জগতাপ। সেই সময় তাদের ব্যান্ডে বাজছিল ‘সারে জহাঁ সে আচ্ছা…’ গানের কলি। সামনে দিয়ে যেতেই উঠে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানালেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi In France)। উঠে দাঁড়িয়ে পঞ্জাব রেজিমেন্টকে সম্মান জানালেন মোদির পাশে বসে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ ও তাঁর স্ত্রী তথা ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিগিট মাক্রঁ। পঞ্জাব রেজিমেন্টের পাশাপাশি, এদিনের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা ও বায়ুসেনাও। মোট ২৬৯ সদস্যের ভারতীয় দলও কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। ভারতীয় বায়ুসেনার তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমানও ফরাসি জেটের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে ফ্লাইপাস্টে যোগ দেয়।

    আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত মোদি

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Flood: জলমগ্ন লালকেল্লা, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর! যমুনার জলে ডুবল রাজঘাট, উদ্বেগে দিল্লি সরকার

    Delhi Flood: জলমগ্ন লালকেল্লা, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর! যমুনার জলে ডুবল রাজঘাট, উদ্বেগে দিল্লি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি, ধস, বন্যা! বিপর্যস্ত প্রায় গোটা উত্তর ভারত। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের অবস্থা ভয়াবহ। দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি (Delhi Flood)। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ১৭ জুলাই পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরাখণ্ডে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। বৃষ্টির জেরে বন্যা এবং দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিম ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। সেখানে মারা গিয়েছেন ৯১ জন। বৃষ্টির জেরে উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ১৪ জন, উত্তরাখণ্ডে মারা গিয়েছেন ১৬ জন, পঞ্জাবে ১১ জন, হরিয়ানায় ১৬ জন।  হিমাচলের লাহৌল, স্পিতিতে পাঁচ দিন আটকে থাকার পর বৃহস্পতিবার উদ্ধার করা হয়েছে ২৫৬ জন পর্যটককে। সাংলা এবং কিন্নরে আটকে থাকা ১০০ জন পর্যটককে হেলিকপ্টারে করে তুলে আনা হয়েছে।

    বন্যা পরিস্থিতি দিল্লিতে

    ইতিমধ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। লালকেল্লা, রাজঘাট জলমগ্ন। জল ঢুকেছে সুপ্রিম কোর্টেও। যার জেরে উদ্বিগ্ন দিল্লির প্রশাসন। দিল্লি সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের একটি যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে যমুনার জল শহরের দিকে বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির (Delhi Flood) কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেনার সাহায্য চেয়েছেন। রাজধানীর কোথাও কোমর পর্যন্ত আবার কোথাও বুক পর্যন্ত জল। রাস্তাঘাটে জল জমায় যানচলাচলও বন্ধ হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: মণিপুর নিয়ে প্রস্তাব পাশ ইইউ পার্লামেন্টে, “ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন”, বলল বিদেশমন্ত্রক

    নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী

    দিল্লির বন্যা পরিস্থিতির (Delhi Flood)  উপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বৃহস্পতিবার ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে দিল্লির পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। ১৬ জুলাই, রবিবার পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বেসরকারি সংস্থাগুলিতে বাড়ি থেকে কাজের (ওয়ার্ক ফ্রম হোম) পরামর্শ দিয়েছেন কেজরিওয়াল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী অশান্তির আঁচ ক্রমেই বাড়ছে। চারিদিকে আক্রান্ত রাজনৈতিক কর্মীরা। বোমা, গুলি, আগুন, আক্রমণ চলছেই। হাওড়ার আমতা জয়পুরে দুই বিজেপির (BJP) প্রার্থীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। গভীর রাতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই পরিস্থিতিতে ট্যুইটে কড়া ভাষায় রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে তিনি লিখলেন, ভোটে অংশ নেওয়ায় শাসকের অত্যাচার, এটাই কি গণতন্ত্র? 

    উত্তপ্ত আমতা

    বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না। আমতা বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী জানিয়েছেন, অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না।’

    আরও পড়ুন: জেতার পরও মেলেনি সার্টিফিকেট, আলিপুরদুয়ারে সরব একাধিক বিজেপি প্রার্থী

    শুভেন্দুর ট্যুইট বার্তা

    এ প্রসঙ্গেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari ) লেখেন, ‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা। হাজার হাজার বিরোধী দলের প্রার্থী, পার্টি কর্মী ও সমর্থক রাজ্য জুড়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বা তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সাবাং ব্লকের বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী তাপসী দাস বর্মণের মাথার উপর কোনও ছাদ নেই এবং তিনি ও তাঁর পরিবার বর্ষায় আশ্রয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঘর খুঁজছে। শতাধিক সেফ হাউস চালু করেছে রাজ্য বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য  বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী প্রার্থীদের তৃণমূলের গুন্ডারা  নির্যাতন করছে। এটাই কি গণতন্ত্র?’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3 Launch: উৎক্ষেপণ সফল, এবার যাত্রা শুরু! চাঁদের দেশে পাড়ি দিল ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3 Launch: উৎক্ষেপণ সফল, এবার যাত্রা শুরু! চাঁদের দেশে পাড়ি দিল ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গন্তব্য চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চল। নির্ধারিত সময়েই মহাকাশে পাড়ি দিলো ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3 Launch)। ইতিহাসের পথে এক পা বাড়ালো ভারত। শুক্রবার, ঠিক ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফল উৎক্ষেপণ হলো ‘এলভিএম-৩’ রকেটের। এই রেকেটে চেপেই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাধা টপকে মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছল চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযান। সেখান থেকে আগামী একমাস বিভিন্ন পদক্ষেপ অবলম্বন করে চাঁদের উদ্দেশে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। উৎক্ষেপণের ৩০ মিনিট পর ইসরোর তরফে ঘোষণা করা হয়, এলভিএম-৩ রকেট সফলভাবে চন্দ্রযান ৩ মহাকাশযান নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছে। 

    কোন পদ্ধতিতে চাঁদের দিকে এগোবে চন্দ্রযান ৩?

    উৎক্ষেপণের পর ২৬ মিনিটের মাথায় ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে দেয় রকেট। সেখানে পেলোড অর্থাৎ ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথমে, ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে চন্দ্রযান মডিউল। লক্ষ্য গতি সঞ্চয় করা। এইভাবে আগামী কয়েকদিন ধরে ৫ বার কক্ষপথের আয়তন একদিকে স্থির রেথে অন্যদিকে বাড়াতে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ডিম্বাকৃতি কক্ষপথ এমন ভাবে তৈরি হবে যা একদিকে ১৭০ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবী থেকে কাছে) অন্যদিকে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবী থেকে দূরে)। এর পরের ধাপে, রেট্রো ইঞ্জিন ফায়ার করিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথ (লুনার ট্রান্সফার অরবিট) ধরবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেওয়া শুরু করে চাঁদের কক্ষপথে (লুনার অরবিট) প্রবেশ করবে মহাকাশযান। চূড়ান্ত ধাপে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ১০০ কিমি ওপরে প্রোপালশন মডিউল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ল্যান্ডার মডিউল অবতরণ শুরু করবে। 

    চন্দ্রযান মহাকাশযানের মোট ওজন ৩,৯০০ কেজি। এতে রয়েছে একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালশন মডিউল। রোভারটি রয়েছে ল্যান্ডারের পেটে। এই দুটো মিলিয়ে ল্যান্ডার মডিউল। প্রোপালশন মডিউলের কাজ ল্যান্ডার মডিউলকে বহন করা। প্রোপালশন মডিউলের ওজন ২,১৪৮ কেজি, ল্যান্ডারটি ১,৭২৩ কেজি ও রোভারের ওজন ২৬ কেজি। এবারের চন্দ্রযানে মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ রয়েছে, যা সফট ল্যান্ডিং করতে সাহায্য করবে। প্রোপালশন মডিউল যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। চন্দ্রযান ২-এর অন্তিম ব্যর্থতার কথা মাথায় রেখে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারে এবার কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ইসরো সূত্রে খবর, এই ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে ১২০ ডিগ্রি কোণে অবতরণ করবে। উলম্ব গতিবেগ থাকবে সেকেন্ডে ২ মিটারেরও কম। 

    এক ঝলকে উৎক্ষেপণ-পরবর্তী প্রক্রিয়া-পর্ব 

    ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ হলো ‘এলভিএম-৩’ রকেট। কাউন্টডাউন শেষ হতেই ‘ইগনিশন’। প্রথমে দুদিকে আটকানো জোড়া এস-২০০ স্ট্র্যাপ বুস্টার ইঞ্জিন ফায়ার করলো। মহাকাশের দিকে উঠল ‘এলভিএম-৩’। এই রকেট বহন করছে ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে।

    উৎক্ষেপণের ১০৮ সেকেন্ড পর জ্বলে উঠলো এল-১১০ ইঞ্জিন, যা মূল রকেটের সঙ্গে যুক্ত। 

    উৎক্ষেপণের ১২৭ সেকেন্ড পর দুধারে আটকে থাকা এক জোড়া স্ট্র্যাপ বুস্টার মূল রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হলো। 

    উৎক্ষেপণের ১৯৫ সেকেন্ড পর পেলোড ফেয়ারিং বিচ্ছিন্ন হলো। 

    উৎক্ষেপণের ৩০৬ সেকেন্ড পর এল-১১০ ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হলো। 

    আরও পড়ুন: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    উৎক্ষেপণের ৩০৮ সেকেন্ড পর সি-২৫ ইঞ্জিন জ্বলে উঠলো।

    উৎক্ষেপণের ৯৫৪ সেকেন্ড পর সি-২৫ ইঞ্জিন বন্ধ হলো। 

    উৎক্ষেপণের ৯৬৯ সেকেন্ড পর মূল রকেট থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল বিচ্ছিন্ন হলো। 

    উৎক্ষেপণের ২৬ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছে গেলো ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এক মাস পর চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরো জানিয়েছে, ২৩ বা ২৪ অগাস্ট, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর সম্ভাব্য অবতরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share