Blog

  • Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    Panchayat Vote: গণনার দিন ময়নাতে বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ে গেল বৃদ্ধের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনার দিন ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবরদান গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল এক ব্যক্তির হাত। ওই ব্যক্তির নাম গুরুপদ ভূঁইয়া (৬৪)। ব্যক্তির পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে বাঁশ বাগানে বাঁশ কাটতে গিয়েই এই বিপত্তি। সে সময় বাড়ির অদূরে একটি কাঠ রাখার জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটে । তাতে গুরুতর আহত হন ওই ব্যক্তি। গুরুপদর বাম হাতের কব্জি সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায়। এছাড়াও কপাল এবং মাথাতে গুরুতর আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ এসে প্রায় ৬টি বোমা উদ্ধার করেছে বলে খবর।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    কী বলছে গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে?

    গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বাবা বাঁশ কাটতে গিয়েছিল, সেখানেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাবার বাম হাতের কব্জি পুরো উড়ে গিয়েছে। মাথাতেও আঘাত লেগেছে।’’ যদিও তাঁর বাবা কোনও রকম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন গুরুপদ ভূঁইয়ার ছেলে।

    ভোটের আগে থেকেই সন্ত্রাস চলছে    

    ভোটের (Panchayat Vote) আগে থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ করে আসছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। ২ মাস আগে ময়নার বিজেপি নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেসময় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে বার বার বিস্ফোরণও হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকায়। মঙ্গলবার গণনার দিনও বোমা বিস্ফোরণ ঘটল সেখানে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকার দখল নিতে বার বার ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি পাকাচ্ছে শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাকচা-সহ ময়নার নানা জায়গায় অশান্তির খবর মিলেছে। গণনার দিনও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না।

    আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • UCC: ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ লালপুরার

    UCC: ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ লালপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রস্তাবিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে’, অভিযোগ জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন ইকবাল সিং লালপুরার। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লালপুরা বলেন, “সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে। এর অর্থ হল, আমাদের পূর্ব পুরুষরা এর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। সুতরাং, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতারই অংশ।”

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রয়োজনীয়তা

    তিনি বলেন, “এটা আরোপিত নয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক বিচারক দেশে এটা লাগু করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন সেই ১৯৯০ সালেই। অনেক বিচারের ক্ষেত্রেই অনুভব করা গিয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করার প্রয়োজনীয়তা।” লালপুরা বলেন, “ইংল্যান্ডেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) রয়েছে। সেখানে কি তার পরেও শিখ এবং মুসলমানদের আলাদা অস্তিত্ব নেই? মানুষকে কনফিউজ করে দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে এসব করা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকায়ও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ওই দেশগুলিতে যদি ধর্ম অ্যাডজাস্ট করতে পারে, তাহলে ভারতে নয় কেন?”

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অর্থ

    প্রসঙ্গত, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির অর্থ হল ধর্ম, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে ভারতে বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি অভিন্ন আইন। অর্থাৎ, প্রত্যেক ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের জন্য একই আইন। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হলে বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, সন্তান দত্তক ও সম্পত্তি ভাগের মতো বিষয়ে দেশের সব নাগরিকের জন্য এক বিধি থাকবে।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (UCC) লাগুর বিষয়ে ইতিমধ্যেই ২২তম ল’ কমিশন  দেশবাসী ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের মতামত জানতে চেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর বিষয়ে সওয়াল করেছেন। লালপুরা জানান, এর আগেও একটি ল’ কমিশন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করেছিল। তিনি বলেন, “আমি প্রত্যেককে বলব, আপনাদের অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিষয়ে ভাল করে জানা উচিত। তার পরেই আপনারা আপনাদের মতামত কমিশনকে পাঠান।” প্রসঙ্গত, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বসতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনেই সংসদে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি পাশ হতে পারে বলে ধারণা অনেকেরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, জানুন কবে?

    Indian Economy: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত, জানুন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে দিয়ে তার জায়গা দখল করেছে ভারত (Indian Economy)। বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ নরেন্দ্র মোদির ভারত। তবে এই পঞ্চম স্থানেও বেশিদিন থাকবে না মহাত্মা গান্ধীর দেশ। তালিকার আরও ওপরে উঠে গিয়ে নিঃশ্বাস ফেলবে আমেরিকার ঘাড়ে। কেবল নিঃশ্বাস ফেলাই নয়, আমেরিকাকে হারিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে ভারত। জাপান, জার্মানি এবং আমেরিকাকে হারিয়ে ভারত ওই জায়গা দখল করবে ২০৭৫ সালের মধ্যে।

    তালিকার দ্বিতীয় স্থানে

    একটি রিপোর্টে এমনই দাবি করেছে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাচ। জনসংখ্যা, নয়া আবিষ্কার, প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান শ্রমিকের বৃদ্ধির কারণে ভারতের জায়গা হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির (Indian Economy) তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী দু দশকের পর আঞ্চলিক অর্থনীতিতে ভারতের নির্ভরতার হার বেশ কমে যাবে।

    পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্ব সরকারের

    ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাচের রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার পরিকাঠামো তৈরিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিশেষত সড়ক এবং রেলওয়ে তৈরিকে। গোল্ডম্যান স্যাচ বিশ্বাস করে, এটাই ভারতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ। যেহেতু ভারতে এই মুহূর্তে শ্রমের বাজার ভাল, তাই তাকে কাজে লাগিয়ে বাড়ানো যেতে পারে উৎপাদনের হার। সেই কারণেই বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে বিনিয়োগের এটা একটা বড় সুযোগ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে যদি শ্রমশক্তির হার না বাড়ে, তাহলেই ঝুঁকি (Indian Economy)। কিন্তু যেহেতু তা নেই, তাই এখন কোনও সমস্যাও নেই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ওয়ার্কফোর্স উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে গত ১৫ বছরে।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর গড়ে গেরুয়া ঝড়, আবির মেখে উচ্ছ্বাস বিজেপি কর্মীদের

    গোল্ডম্যান স্যাচস রিসার্চস ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ শান্তনু সেনগুপ্ত বলেন, ভারতের সেভিংস রেট ক্রমশই বাড়ছে। কমছে ডিপেডেন্সি রেসিও। আয়ের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী। অর্থনৈতিক সেক্টরগুলির বিকাশও হচ্ছে উল্লেখযোগ্য হারে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় বেশ নীচের দিকে ছিল ভারত। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কার্যত তারপর থেকেই শক্তিশালী হচ্ছে দেশীয় অর্থনীতি। যার জেরে ব্রিটেনকে হারিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে ভারত। যে কারণে ইদানিং ভারতকে সমীহ করছে চলছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    Safran Jet Engine: ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরে ভারতেই যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরির প্রস্তাব ফ্রান্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী পরশু অর্থাৎ, ১৩ তারিখ ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৪ জুলাই, ফরাসি জাতীয় দিবস ‘বাস্তিল দিবস’-এর (Bastille Day) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল মাক্রঁর পাশে বসে কুচকাওয়াজ দেখবেন তিনি, যাতে অংশ নিতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও নৌসেনা। 

    মোদির সফরেই রাফাল-এম যুদ্ধবিমানের চুক্তি?

    ঠিক তার তিনদিন আগে, বড় খবর এল কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে। সোমবারই জানা গিয়েছিল, এবারের সফরে বড় সামরিক মউ হতে চলেছে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে। ওই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার জন্য ২৬টি রাফাল-এম যুদ্ধবিমান ও দুটি ফরাসি স্করপিন সাবমেরিন কেনার বিষয়। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, মোদির এই সফরে যৌথভাবে যুদ্ধবিমানের জেট ইঞ্জিন তৈরির (Safran Jet Engine) করার বিষয়টিরও নিষ্পত্তি হতে পারে। আরও পড়ুন: ফ্রান্স থেকে ফের রাফাল, সাবমেরিন কিনবে ভারত!

    তেজস মার্ক-২ এর জন্য এফ-৪১৪ ইঞ্জিন চুক্তি সম্পন্ন

    দীর্ঘদিন ধরেই, ভবিষ্যতের দেশীয় যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নতমানের বিদেশি জেট ইঞ্জিন জোগাড় করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে ভারত। সম্প্রতি, সদ্য মার্কিন সফরের মধ্যেই এরকমই একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে দেশীয় যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের কর্তারা। চুক্তি মোতাবেক, মার্কিন জেনারেল ইলেকট্রিকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এদেশেই তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন মূলত ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য তৈরি হতে চলা তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমানে ব্যবহার করা হবে। আরও পড়ুন: সামরিক শক্তিকে মজবুত করতে বিশেষ ফাইটার ইঞ্জিন তৈরি হবে ভারতেই

    অ্যমকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিনের খোঁজ

    তবে, তেজস-এর পাশাপাশি, পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির কাজও এগিয়ে চলেছে ভারতে। এই যুদ্ধবিমান হল অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট বা সংক্ষেপে অ্যামকা। একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে, নৌসেনার জন্য আরেকটি অধিক-শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী থেকে উড়তে সক্ষম যুদ্ধবিমান যার নাম রাখা হয়েছে টুইন ইঞ্জিন ডেক-বেসড ফাইটার বা সংক্ষেপে টিইডিবিএফ (Jet Engine For AMCA)। ভারত চাইছে এই দুই যুদ্ধবিমানে জিই-এফ৪১৪ ইঞ্জিনের চেয়েও আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করতে। সেই তালিকায় দুটি ইঞ্জিন বাছাই করা হয়েছিল। একটি ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন ও দ্বিতীয়টি ইংল্যান্ডের রোলস-রয়েস। এখন কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, রোলস-রয়েসকে টপকে ফরাসি সাফরানকেই (Safran Jet Engine) হয়ত বাছতে চলেছে কেন্দ্র। 

    ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর!

    সূত্রের খবর, ফরাসি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা সাফরান-এর তৈরি ইঞ্জিনটি (Jet Engine For AMCA) ১১০ কেএন (কিলো নিউটন) থ্রাস্ট উৎপন্ন করতে সক্ষম। যা ভারী যুদ্ধবিমানকে অতি সহজেই প্রয়োজনীয় গতি ও ক্ষমতা দিতে পারবে। তবে, এই ইঞ্জিনকে বাছার এটাই একমাত্র কারণ নয়। জানা যাচ্ছে, ফরাসি সংস্থাটি ভারতকে কোনও গোপনীয়তা ছাড়া ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ইঞ্জিন দিতে রাজি। সম্প্রতি, সাফরানকে এই মর্মে অনুমতি দিয়েছে মাক্রঁ সরকার। যার পরই, সাফরানের তরফে, ভারতকে এই নিয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

    ভারতে তৈরি হবে সাফরানের নতুন ইঞ্জিন

    সূত্রের খবর, ফরাসি সংস্থার থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা অস্বীকার করা অত্যন্ত কঠিন। জানা যাচ্ছে, ভারতের জন্য একেবারে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের ইঞ্জিন (Safran Jet Engine) ছাড়াও তৈরি করার যাবতীয় নতুন উপাদান, নতুন পরিকাঠামো দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে যন্ত্রপাতির পূর্ণ ভান্ডার। সর্বোপরি, গোটাটাই তৈরি হবে ভারতে। যা নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সাজুয্য। এক কথায়, এই নতুন ইঞ্জিনটি শুধুমাত্র ভারতেই তৈরি হবে। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ ট্যাগ নিয়ে বাজারে আসবে। 

    ভারতে বড় বিনিয়োগে রাজি সাফরান

    কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, অ্যামকা ও টিইডিবিএফ-এর জন্য ফরাসি সাফরান ইঞ্জিন (Jet Engine For AMCA) ব্যবহার করতে উৎসাহী ভারত। এর পাশাপাশি, সাফরান বর্তমানে ১২৫ কেএন ইঞ্জিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে, সেই ইঞ্জিনও ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও দুদেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ইতিমধ্যেই, হায়দরাবাদে সাফরানের একটি কারখানা গড়ে উঠছে। সেখানে এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবিমানে ব্যবহৃত লিপ ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজ হবে। এছাড়াও, ভারতে গ্যাস টার্বাইন তৈরির একটি কারখানা গড়ছে সাফরান। 

    যদিও এই প্রস্তাবের বিষয়ে ভারতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। ডিআরডিও প্রধান সমীর ভি কামাত সম্প্রতি প্যারিসের সাফরানের কারখানায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্যারিস এয়ার শো-তেও হাজির ছিলেন তিনি। এই প্রস্তাবটি বিষয়টি এখনও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আলোচনার অধীনে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, চুক্তি হওয়ার পর, এই ইঞ্জিনকে হাতে পেতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    Chandrayaan 3: ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’-তেই সফল হবে চন্দ্রযান ৩! দাবি ইসরো প্রধানের, বিষয়টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা নির্মিত হয়েছে”, সোমবার এমনই দাবি করলেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। আসলে, চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা ভুলে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চন্দ্রযান ৩-এর ইতিহাস লিখতে চাইছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, চন্দ্রযান ৩-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ব্যর্থতাকে ভিত্তি করেই। 

    ‘ব্যর্থতা-ভিত্তিক পদ্ধতি’ ঠিক কী?

    সাধারণত, অধিকাংশ মিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ‘সাফল্য-ভিত্তিক নকশা’। যা চন্দ্রযান ২-এর সময়ও করা হয়েছিল। এই নকশার ভিত্তি হল সাফল্য। অর্থাৎ, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ করলে, সফল হতে পারে একটি গোটা মিশন। অন্যদিকে, ব্যর্থতা-ভিক্তিক নকশা উল্টো পথে হাঁটে। এখানে দেখা হয়, কোন কোন প্রক্রিয়া ঠিক কাজ না করলে, ব্যর্থ হতে পারে মিশন। এবার সেই ভুলগুলো শুধরানোর জন্য কী কী করা প্রয়োজন, যাতে ব্যর্থতার মুখ না দেখতে হয়। এই পদ্ধতিতে ব্যর্থতার যাবতীয় সম্ভাব্য কারণগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হয়। এইভাবে একেবারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়। 

    ইসরো প্রধানের যুক্তি

    ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, “খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে বলা যায় চন্দ্রযান-২ খুব কম পরিমাণেই আলোর তীব্রতা সহ্য করতে সক্ষম ছিল। আঘাত সইবার ক্ষমতাও ছিল কম। আমরা বিষয়টিকে মাথায় রেখে চন্দ্রযান-৩-কে তৈরি করেছি। চন্দ্রযান-২-এর নকশায় কী কী ভুল ছিল সেগুলিকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ভুলগুলি শুধরে নিয়ে আমরা চন্দ্রযান-৩-এর (Chandrayaan 3) নকশা প্রস্তুত করেছি। কী কারণে আমাদের আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল সেই বিষয় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারে কীভাবে চন্দ্রযান-৩-কে রক্ষা করা যায় তার উপায়গুলো খুঁজে বার করা হয়েছে।” চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করে রোভারকে স্থাপন করে গবেষণার কাজ চালাবে চন্দ্রযান-৩। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩-এর সাহায্যে উৎক্ষেপিত হবে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান-৩-এ থাকছে প্রোপালশান, ল্যান্ডার, রোভার। ১৪ জুলাই দুপুর ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩-কে। আশা করা হচ্ছে চাঁদের বুকে সেটি অবতরণ করবে ২৩ থেকে ২৪ অগাস্টের মধ্যে। 

    আরও পড়ুন: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    চন্দ্রযান-৩ নিয়ে আশা

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) মিশন সফল হলেই চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশযান অবতরণকারীদের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম তুলবে ভারত। জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তাঁর কথায়, “চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হওয়ার পর চন্দ্রযান-৩ পরবর্তী চেষ্টা। চন্দ্রযান-৩ মিশনের উদ্দেশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ড করে রোভারকে স্থাপন করার ক্ষমতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। চাঁদের কক্ষপথে যাতে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারে সেভাবেই মহাকাশযানটিকে তৈরি করা হয়েছে। চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩-এর ছয় চাকা বিশিষ্ট রোভারটি কাজ করা শুরু করবে। ১৪ দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন চাঁদের ১ দিনের সমান) ধরে চাঁদের মাটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। রোভারে থাকা একাধিক ক্য়ামেরার মাধ্যমে হাতে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শনির দশা! গণনার দিন আঁধারে ডুবল কমিশনের দফতর, বিভ্রাট ওয়েবসাইটেও

    Panchayat Election 2023: শনির দশা! গণনার দিন আঁধারে ডুবল কমিশনের দফতর, বিভ্রাট ওয়েবসাইটেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোট গণনা। চরম ব্যস্ততা দেখা গেল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। স্বাভাবিক। তবে ছন্দ পতন ঘটল ৩টে ১৮ মিনিট নাগাদ। ঝুপ করে অন্ধকার নেমে এল দফতরে। বন্ধ হয়ে গেল কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ।

    লোডশেডিং

    বিভিন্ন গণনা কেন্দ্র থেকে যে সব তথ্য আসছিল, লোডশেডিংয়ের জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখা যায় দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের। বিদ্যুৎ আসে ১৫ মিনিট পরে। কাজকর্ম শুরু হতে হতে লাগে আরও কিছুটা সময়। কাজকর্ম স্বাভাবিক হয় ৩টে ৩৬ মিনিট নাগাদ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট কাটল বটে, তবে এদিন সকাল থেকেই সমস্যা দেখা দিচ্ছিল রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের (Panchayat Election 2023) ওয়েবসাইটে।

    ওয়েবসাইট বিভ্রাট

    সকাল থেকে খানিকক্ষণ ধীরে ধীরে ওয়েবসাইট খুললেও, পরের দিকে আর দীর্ঘক্ষণ কমিশনের ওয়েবসাইট খুলছিল না। তাই যাঁরা এই ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচনী ফলের আপডেট পেতে চাইছিলেন, তাঁরা বারংবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এদিন সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, “আমরা তো সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিলাম। সেন্ট্রাল ফোর্স থাকলে ভাল হত।” স্পর্শকাতর বুথের তালিকা বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও সবই গল্প।”

    আরও পড়ুুন: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    রাজীব বলেন, “সাধারণ মানুষ ও কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আমরা কাজ করেছি। প্রথমে (Panchayat Election 2023) আদালত বলেছিল প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পরে সেই নির্দেশ সংশোধন করে বলা হয়, যে কটি বুথে সম্ভব বাহিনী দিতে হবে। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।”

    প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল গণনা। এখনও গণনা চলছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে। গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শেষ হলে হবে পঞ্চায়েত সমিতির ভোট গণনা। সব শেষে হবে জেলা পরিষদের গণনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    Espionage: প্রেমের ফাঁদ পাতা পাকিস্তানে! বিজ্ঞানীর পর এবার তথ্য পাচার করে ধৃত বিদেশমন্ত্রকের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানী গ্রেফতার হওয়ার খবর। যদিও মহারাষ্ট্রের পুণেতে অবস্থিত ওই অর্গানাইজেশনের বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৪ মে। পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) করার অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস গ্রেফতার করেছিল বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকারকে।

    প্রেমের ফাঁদ

    সুন্দরী মহিলার ছদ্মবেশে প্রেমের ফাঁদ পেতেছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। সেই ফাঁদেই পা দিয়ে প্রদীপ তথ্য পাচার করেছেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই হয়েছেন গ্রেফতার। এই ঘটনার রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির (Espionage) অভিযোগ উঠল ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নবীন পাল নামের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ পুলিশ।

    মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নবীনের

    নবীনের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে দাবি করা হয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ভারতে সদ্য সমাপ্ত জি-২০ বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ নথি করাচিতে এক মহিলার কাছে পাঠিয়েছেন তিনি। তথ্য পাঠানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, সমাজমাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় নবীনের। তার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর। হোয়াটসঅ্যাপে নিয়মিত কথাবার্তা হত তাঁদের। এভাবেই পাচার হয়েছে বহু তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, যে মহিলার (Espionage) নম্বর উদ্ধার হয়েছে, সেটি উত্তরপ্রদেশের বরেলির। কিন্তু আইপি অ্যাড্রেস পরীক্ষা করতেই দেখা যায় নম্বরটি বরেলির নয়, পাকিস্তানের করাচির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাথর ছোড়ার ঘটনা অতীত, ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর’’, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের

    পুলিশ জানিয়েছে, বিদেশমন্ত্রকের ওই কর্মীর মোবাইল থেকে বিদেশমন্ত্রকের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জি-২০ সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে। কলকাতার এক মহিলারও খোঁজ নবীনের মোবাইল থেকে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অঞ্জনি নামের ওই মহিলা নবীনের অ্যাকাউন্টে টাকাও পাঠিয়েছেন বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। টাকার পরিমাণ প্রায় ৮৫ হাজার টাকা। মাস দুয়েক আগে নবীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। এই অঞ্জলি পাকিস্তান কিংবা আইএসআইয়ের সঙ্গে যুক্ত বলেই অনুমান পুলিশের। ডিসিপি (রুরাল) শুভম প্যাটেল বলেন, ক্রসিং রিপাবলিক থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Espionage) দায়ের হয়েছে। এদিনই জেলে পাঠানো হবে তাঁকে। বিদেশমন্ত্রককেও ঘটনাটির কথা জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal Helicopter Crash: নেপালে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা! নিহত ৫ বিদেশি পর্যটক সহ ৬

    Nepal Helicopter Crash: নেপালে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা! নিহত ৫ বিদেশি পর্যটক সহ ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় (Nepal Helicopter Crash) পাঁচ পর্যটকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাউন্ট এভারেস্টের কাছেই। নিঁখোজ হওয়ার তিন ঘণ্টার মাথায় ৬টি মৃতদেহ এবং কপ্টারটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রাইভেট চপারটিতে সওয়ার ছিলেন চালক ছাড়া মেক্সিকোর ৫ পর্যটক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পার্বত্য উপত্যকা সোলুকুম্ভুর লামজুরাতে।

    সকাল ১০:০৪ মিনিটে ওড়ে কপ্টারটি (Nepal Helicopter Crash)

    কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধিকারিক জ্ঞানেন্দ্র ভুল বলেন, ‘‘ সকাল ১০টা ০৪ মিনিটে হেলিকপ্টারটি রওনা হয় এরপর ১০:১২ নাগাদ সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ’’ মনে করা হচ্ছে হেলিকপ্টারটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়, পরবর্তীকালে একটি অন্য চপার পাঠানো হয় কিন্তু তাও ফিরে আসে খারাপ আবহাওয়ার কারণে। দুর্ঘটনাস্থলের স্থানীয় মানুষজন প্রশাসনকে জানিয়েছে, তারা একটি বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পায় দুর্ঘটনার সময়। সেদেশের উড়ান প্রশাসন জানিয়েছে, দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ যাত্রী নিহত হন

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমানের দুর্ঘটনায় ক্রু সমেত বিমানের ৭২ জন যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছিল। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, বিমানে মোট ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৮ জন রাশিয়ান, ১ আইরিশ, ২ জন কোরিয়ান এবং ১ জন করে আর্জেন্টাইন এবং ফরাসি নাগরিক ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালেও নেপালে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মে মাসে একটি বিমান মুসতাং জেলার একটি পার্বত্য এলাকায় ভেঙে পড়ে। ঘটনায় মোট ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফের কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৫ জনের। অপ্রশিক্ষিত চালক এবং পুরনো পরিকাঠামোর কারণেই বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস! কোচবিহারের মানুষ আশ্রয় নিয়েছে অসমে, দাবি হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই হিংসা ও অশান্তির (Panchayat election chaos) ঘটনা লেগেই ছিল কোচবিহারে (Cooch Behar)। ভোটের দিন কোচবিহার জেলায় বুথের মধ্যেই খুন হয়েছেন স্থানীয় যুবক। এরপরই নাকি ভয়ে বহু মানুষ অসমে পৌঁছে গিয়েছেন। এমনই দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। 

    ট্যুইটবার্তা হিমন্তের

    হিমন্ত বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের জন্য প্রাণের ভয়ে গতকাল ১৩৩ জন অসমের ধুবরি জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা তাঁদের ত্রাণশিবিরে রাখার ব্যবস্থা করেছি। খাবার ওষুধ ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে।” ধুবরির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঝাপুসাবারির রণপাগলি এমভি স্কুলে ১৩৩ জনকে রাখা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।

    ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তীব্র অশান্তিতে বিধ্বস্ত বাংলা। একের পর এক রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় প্রত্যেক জেলায় জেলায় ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির কর্মী সমর্থকরাও ব্যাপকভাবে এই হিংসার শিকার হয়েছিলেন। তাঁদেরকেই আশ্রয় দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    বিজেপি সমর্থকদের এই সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    তিনি ট্যুইট বার্তায় বলেছেন, “আমি অসমের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পশ্চিমবঙ্গের অত্যাচারিত বিরোধী দল কর্মকর্তাদের ত্রাণ প্রদানের জন্য, বিশেষ করে বিজেপির যে সমর্থকরা, যাঁরা বারবার নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতার শিকার হন এবং অসম রাজ্যের কাছাকাছি থাকার কারণে, তাঁরা নিজেদের পরিবারের সাথে সেই রাজ্যে পাড়ি দেওয়া নিরাপদ বলে মনে করেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে আমার কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

    Panchayat Election 2023: বাংলায় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা! রাহুল গান্ধী চুপ কেন? প্রশ্ন সম্বিত পাত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্র সমর্থিত প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে গণতন্ত্রের হত্যা করা হল। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) হিংসা সম্পর্কে মন্তব্য করলেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অধীনে বাংলায় উত্তরোত্তর হিংসা বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ‘নির্মম বন্দ্যোপাধ্যায়’ বলে কটাক্ষ করেছেন। 

    বিরোধী দলগুলিকে প্রশ্ন

    পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোটগ্রহণ ও ভোটগণনাকে কেন্দ্র করে বেলাগাম হিংসা নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি। সেখানেই বাংলার হিংসার বিষয়ে নীরব থাকার জন্য দেশের অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকেও একহাত নিয়েছেন সম্বিত পাত্র। তিনি প্রশ্ন ছোড়েন, “রাহুল গান্ধীর ‘মহব্বত কা দুকান’ কোথায় গেল? বাংলার নির্বাচনে হিংসা নিয়ে রাহুল গান্ধী নিশ্চুপ কেন?” সম্বিত পাত্র দাবি করেন, আসলে রাহুল গান্ধী যে কোনও উপায়ে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চান। তাই কংগ্রেস কর্মীদের হত্যার পরও, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত মেলাতে দ্বিধা করবেন না। তাই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের এই হিংসা দেখেও না দেখার ভান করছেন, চুপ করে আছেন। সম্বিত বলেন, “বাংলার গণতন্ত্র রক্তস্নাত। এখানে ভোট হলে মানুষের প্রাণ চলে যায়। এখানে নিয়ম কানুনের কোনও বালাই নেই।”

    আরও পড়ুন: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    গণতন্ত্র রক্তস্নাত

    এদিন সম্বিত পাত্র বলেন, ‘ভোটকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে মানুষের মৃত্যুমিছিলের তালিকা দেখলে বোঝা যায় বাংলায় গণতন্ত্র কী ভাাবে দিনে দিনে রসাতলে গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। লোকের মুখে মুখে ফিরছে বোমা, গুলি, রিগিং ও ছাপ্পা শব্দগুলি। বিরোধী দলের একের পর এক সমর্থকের মৃত্যু হচ্ছে। এমনকী যারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন এমন মানুষেরও প্রাণ গিয়েছে। আর নির্মম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব চোখ বুজে দেখছেন। এই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা – মাটি – মানুষ’? শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে এমনটা নয়। নিহতদের মধ্যে সিপিএম, কংগ্রেসের কর্মীরাও আছেন। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। যারা শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যে এসেছিলেন। শুধুমাত্র তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় কারণে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলার হিংসা নিয়ে তথ্য-প্রমাণের উপর ভিত্তি করে রিপোট তৈরি করবে বিজেপি। এনআইএ ও সিবিআই তদন্তের বিষয়েও বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share