Blog

  • Global Peace Index 2023: বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, জানেন কোথায় ভারত? 

    Global Peace Index 2023: বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড, জানেন কোথায় ভারত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশগুলির বার্ষিক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করল গ্লোবাল পিস ইনডেক্স (Global Peace Index – GPI)। ১৬৩টি দেশের উপর সমীক্ষা চালিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে এই তালিকা। তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ডের নাম। ২০০৮ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের তকমা পেয়ে আসছে ইউরোপের এই দেশ। তালিকায় ভারতের স্থান ১২৬।

    উন্নতি করেছে ভারত

    ২০২৩ জিআইপি অনুসারে, আইসল্যান্ড (Iceland)  বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ। এই দেশটির পরই শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া ৷ অন্যদিকে সর্বাধিক অশান্ত দেশ হিসেবে অষ্টম বারের জন্য তালিকার একেবার শেষে এবারও রয়েছে আফগানিস্তান। এর ঠিক উপরে রয়েছে চারটি রাষ্ট্র। সেগুলির হল ইয়েমেন, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও গণতান্ত্রিক-প্রজাতন্ত্র কঙ্গো।

    গত বছর সামগ্রিক ভাবে দেখতে গেলে শান্তির ক্ষেত্রে ৩.৫ শতাংশ উন্নতি করেছে ভারত। যার জেরে গত বছরের তুলনায় দু’ধাপ উপরে উঠে এসেছে নয়াদিল্লি। এই প্রসঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের কথাও উল্লেখ করেছে জিপিআই। তালিকা প্রকাশকারী সংস্থার দাবি, গত বছর থেকেই দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গেই সেভাবে সীমান্ত সংঘাতে জড়ায়নি ভারত। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬৩-র মধ্যে ১২৬ তম স্থানে রয়েছে ভারত। শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬৩-র মধ্যে ১২৬ তম স্থানে রয়েছে ভারত। 

    আরও পড়ুন: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    ১০টি শান্তিপূর্ণ দেশ

    সিডনি-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংঘাত, নিরাপত্তা এবং সামরিকীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকা অনুযায়ী, প্রথম দশটি দেশ হল আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া, জাপান, সুইজারল্যান্ড

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    North 24 Parganas: বুথে বাহিনী চেয়ে বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিরোধীদের বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ইতিমধ্যেই রাজ্যে অর্ধেক আধা সেনা ও অর্ধেক রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বারাসত (North 24 Parganas) জেলা শাসকের দফতর এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের আওতায় যেসব বুথগুলি রয়েছে তাতে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। তাই শুক্রবার সাতসকালে বারাসাত জেলাশাসকের অফিস এবং এক নম্বর বিডিও অফিসের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলে বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা জেলায়।

    অভিযোগ কী (North 24 Parganas)?

    ভোট কর্মীদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদেরকে হুমকি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাই এখন তাঁদের কাছে হয়ে দাঁড়িয়েছে সবথেকে বড় কঠিন চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি তাঁদের আরও বক্তব্য, বারাসত (North 24 Parganas) এক নম্বর বিডিও অফিসের বিডিও সৌগত পাত্র তৃণমূলের হয়েই কাজ করছেন। আগেও একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। পুলিশ প্রশাসন বলেছে, তাঁদের কাছে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছায়নি। তাই এদিন বারাসত জেলা শাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সিপিআইএম প্রার্থীরা। এছাড়াও এক নম্বর বিডিও অফিসে বিডিওকে ঘিরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে ভোট কর্মীরা।

    সিপিআইএম বক্তব্য

    জেলার নেতা হাবিব আলি বলেন, মহামান্য কোর্টের আদেশকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। বাংলায় আর যেন কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়, সেই জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী একান্ত প্রয়োজন। আমাদের দাবি বিডিও (North 24 Parganas) সাহেবের কাছে নিয়ে গেলে, উনি আইসির কাছে পাঠান আবার আইসি, বিডিওর কাছে যেতে বলেন। এভাবেই ঘুরতে থাকে দাবি গুলি, যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। আমাদের অভাব অভিযোগের কথা কেউ শুনছেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সাময়িক’ স্বস্তি পেলেন চাকরিহারা সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট নেওয়া হয় ২০১৪ সালে। তার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগপত্র পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। সেই সময় এনসিটিই-র নিয়মে বলা হয়েছিল, নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের। তার পরেও শূন্যস্থান থাকলে, সুযোগ পাবেন প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা। অবশ্য দু বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিতে হবে তাঁদের। নিয়োগ-পর্ব শেষ হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, চাকরি পাননি বহু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীই। তার বদলে চাকরি পেয়েছেন (Supreme Court) প্রশিক্ষণহীন বহু প্রার্থী। প্রশিক্ষণহীনদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাপটিটিউড টেস্টও হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি গড়ায় আদালত অবধি।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। জানা যায়, সেবার কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্টই হয়নি। অনেকে আবার জানান, টেস্ট নিয়ে কোনও নির্দেশ ছিল না। এর পরেই মে মাসে (Supreme Court) ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩৬ হাজার নয়, ৩২ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছেন তিনি। চার মাসের মধ্যে ওই পদগুলিতে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশও তিনি দিয়েছিলেন পর্ষদকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, চাকরিহারারা এই চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁরা বেতন পাবেন পার্শ্বশিক্ষকদের সম হারে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, পর্ষদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন এই চাকরিহারারা।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। এবার শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানায়, ওই শিক্ষকরা যেমন ছিলেন, তেমনিই থাকবেন। তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তাতে অংশ নিতে পারবেন ওই চাকরিহারারা। সেখানে ব্যর্থ হলে, চাকরি খোয়াবেন তাঁরা।

    ডিভিশন বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যান চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আদালত জানায়, এই শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এতদিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। হাইকোর্টের নয়া ডিভিশন বেঞ্চে নতুন করে মামলার শুনানি হবে। তাঁরাই নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা। বিলি করা হচ্ছে নতুন শাড়ি, কাপড়। নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা ও শাড়ি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটের আগে কেন এই ভাবে নিয়ম ভেঙে, ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেসা খাতুন মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান ছিলেন। গতকাল বিকেলে হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেলগড়িয়া গ্রামে আদিবাসী ভোটারদের টাকা ও শাড়ি বিলি করেছেন।এই বিলি করার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছে এবং পুরুষদের খাবারের জন্য হাতে করে পাঁচশো টাকার নোট দিতে দেখা গেছে। যদিও টাকা ও শাড়ি বিলি করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, বিরোধীদের অপপ্রচার মাত্র। 

    বিরোধীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) সঞ্জীব বর্মন সিপিএম নেতা বলেন, টাকা বিলি এবং কাপড় শাড়ি বিতরণের বিষয়টি একদম সত্য। ঘটনা সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসক দলের লোক। নির্বাচনের আচরণ বিধিকে অমান্য করে এই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চোরেদের চুরি সম্পর্কে সকলে জেনে গেছে। তাই শাসক দল হারের সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরেই এইভাবে টাকা বিলি করছে। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূলকে সাধারণ মানুষ বহিষ্কার করবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Emerging Asia Cup 2023: জুলাইয়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

    Emerging Asia Cup 2023: জুলাইয়েই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ! দেখে নিন এমার্জিং এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। তা সে ফুটবল হোক বা ক্রিকেট কিংবা হকি। যখন যেখানেই ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হয় আম-জনতা লুটে নেয় সেই ম্যাচের মজা। আর বাইশ গজে দুই দল মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই। সেই ম্যাচে নজর থাকে সব ক্রিকেটপ্রেমীদের৷ দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এই লড়াই সব সময়েই একইরকম উত্তেজনা ও উন্মাদনা তৈরি করে৷ এশিয়া কাপ ও একদিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ এই বছরেই৷ কিন্তু এই দুই মেগা টুর্নামেন্টের আগেও ভারত বনাম পাকিস্তান হতে চলেছে৷  দুই দলই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এমার্জিং এশিয়া কাপে (Emerging Asia Cup 2023)। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এই সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে যেখানে ভারত ও পাকিস্তান গ্রুপ পর্বেই একে অপরের মুখোমুখি হবে।

    টুর্নামেন্টে কয়টি দল

    আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুলাই শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে পুরুষদের এমার্জিং এশিয়া কাপের (Emerging Asia Cup 2023) পঞ্চম আসর। এশিয়ার আটটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে, যার মধ্যে সাতটি তাদের নিজ নিজ দেশের ‘এ’ দল পাঠাবে। ভারত এর আগে ২০১৩ সালে পুরুষদের এমার্জিং এশিয়া কাপ জিতেছে, শ্রীলঙ্কা দুইবার এবং পাকিস্তান একবার জিতেছে।

    কোন ফরম্যাটে খেলা

    আটটি দলকে চারটি করে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘গ্রুপ লিগে প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে ১টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতি গ্রুপের প্রথম ২টি দল সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। এ-গ্রুপের এক নম্বর দল সেমিফাইনালে মাঠে নামবে বি-গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিরুদ্ধে। বি-গ্রুপে এক নম্বর দল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়াই চালাবে এ-গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিরুদ্ধে। দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল খেতাবি লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামবে।

    আরও পড়ুন: চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের

    কোন গ্রুপে কারা

    এ-গ্রুপ: শ্রীলঙ্কা-এ, বাংলাদেশ-এ, আফগানিস্তান-এ ও ওমান-এ

    বি-গ্রুপ: ভারত-এ, পাকিস্তান-এ, নেপাল-এ, আমিরশাহি-এ

    কবে কবে ভারতের ম্যাচ

    ১৪ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম সংযুক্ত আরব এমিরেট ‘এ’ সকাল ১০টায়।

    ১৭ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম নেপাল দুপুর ২টোয়।

    ১৯ জুলাই- ভারত ‘এ’ বনাম পাকিস্তান ‘এ’ দুপুর ২টোয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum Bomb: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Birbhum Bomb: ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ে উদ্ধার ২০০ তাজা বোমা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগের দিনে ফের বোমা (Birbhum Bomb) উদ্ধার বীরভূমে। শুক্রবার সকালে দুবরাজপুর ব্লকের  মামুদপুর গ্রামের মাঠের একটি ঝোঁপে দুটি জ্যারিকেন দেখতে পাওয়া যায়। সেই দুটি জ্যারিকেনে ২০০ পিস মজুত বোমা দেখে স্থানীয় মানুষ খবর দেন দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায়  দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে পুলিশ দিয়ে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রায় ২০০ টি বোমা রয়েছে এখানে। তবে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন এই বিপুল পরিমাণ বোমা রাখা হয়েছিল? এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে কি না তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বৃহস্পতিবারই এই জেলার মহম্মদবাজারে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে বিজেপির অভিযোগ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার দুবরাজপুর এলাকায় বিপুল পরিমাণ বোমা (Birbhum Bomb) উদ্ধার হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বিপুল পরিমাণ বোমা পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মজুত করা হয়েছিল। বোমা উদ্ধার ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। আমাদের আশঙ্কা, পুলিশ এই এলাকায় তল্লাশি চালালে আরও প্রচুর বোমা উদ্ধার হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদমপুর গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের রান্নাঘরের ছাদ থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিল যেখানে রান্না হয়, সেই ঘরের ছাদ থেকে পলিথিনের প্যাকেটে মোড়া চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় স্কুলে পড়ুয়ারা ক্লাস করছিল। ফলে, যে কোনও সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত। পরে, বোমাগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। পাশাপাশি একজনের বাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের ২০০টি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ভোটের দিন সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল বোমা (Birbhum Bomb) মজুত করেছিল। তার আগেই বোমাগুলি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। আমরা চাই, ভোটের দিন সকলে যাতে ভোট দিতে পারে প্রশাসন তার ব্যবস্থা করুক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ঝাড়খণ্ড থেকে লোকজন আনার চেষ্টা করছে। তবে, বোমা (Birbhum Bomb) কারা মজুত করেছিল তা জানা নেই। তৃণমূল এসব ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। বিজেপির যোগ থাকতে পারে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ তো ফিরে পাচ্ছেন না-ই, তার ওপর তৈরি হয়েছে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও। কারণ ‘অপরাধমূলক অবমাননা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দু বছরের যে সাজা দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, তা-ই বহাল রইল গুজরাট হাইকোর্টেও। শুক্রবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক বলেন, “নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীর সাজার যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক।” গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

    ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পরেই বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি দ্বারস্থ হন আদালতের। ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য বিচারক তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন।

    আদালতের দুয়ারে রাহুল 

    আদালতের এই রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর পর রাহুল আবেদন করেন সুরাটেরই দায়রা আদালতে। সেখানেও বহাল থাকে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়। এর পর সুরাট দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল রাহুলের আবেদন। তবে আচমকাই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি গোপী।

    আরও পড়ুুন: চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আপত্তি ভারতের, এসসিও-র বিবৃতিতে সই নেই নয়াদিল্লির

    মামলা যায় প্রচ্ছকের বেঞ্চে। প্রাথমিক শুনানির পরে রাহুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি, যদিও রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখেন বিচারপতি প্রচ্ছক। আদালত আরও জানিয়েছে, “সাজা স্থগিত করার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আদেশটি সঠিক ও আইনি। অযোগ্যতা শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়াও, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Falaknuma Express: হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা। আগুন লাগল হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express)। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে শর্ট সার্কিটের জেরে চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে যায়। তবে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্ত রেলযাত্রীকেই নিরাপদে ট্রেন থেকে বের করে আনা গিয়েছে। যদিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ফলকনুমা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা। আগুন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে ট্রেনের এসি কোচগুলিতেও।

    কীভাবে দুর্ঘটনা

    শুক্রবার তেলঙ্গানায় মুম্মইপল্লি এবং পাগিড়িপল্লির মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। তার পরই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছে। বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সকলের মনে তাজা। তার মধ্যেই এই ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ফলকনুমা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। চারটি (S4, S5, S6, S7) কামরা সম্পূর্ণরূপে জ্বলে গিয়েছে বলে খবর। দ্রুত খবর পৌঁছয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ট জারি করা হয়। রেল সূত্রে খবর, তড়িঘড়ি এক্সপ্রেস থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামানো হয়েছে। হতাহতের কোনও খবর নেই। কী কারণে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত যাত্রীরা সুরক্ষিত রয়েছেন। অন্য ট্রেনে করে তাঁদের হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার অরুণ কুমার জৈন।

    আরও পড়ুন: জটিলতা এড়াতে ত্রিস্তরে ৩ রঙের ব্যালট পেপার, কী কী সেই রং?

    বার বার ট্রেনে এমন বিপত্তির ঘটনায় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে যাত্রীদের মধ্যে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৯ সালে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেসে (Falaknuma Express) আগুন ধরে গিয়েছিল। সাঁতরাগাছি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকার সময়েই আগুন লাগে এই এক্সপ্রেস ট্রেনে। ভস্মীভূত হয়ে যায় ট্রেনের রেক। হায়দ্রাবাদ যাওয়ার সবচেয়ে ভাল ট্রেন ফলকনুমা এক্সপ্রেস। হাওড়া স্টেশন থেকে ভোরে ছাড়ে এবং পরের দিন সকালে সেকেন্দ্রাবাদে পৌঁছে যায়। রাজ্যের একাধিক বাসিন্দা এই ট্রেনেই যান। ভরসার এই ট্রেনে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে যাত্রীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দি (Murshidabad) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে নির্দলদের পাশেই দেখা গেল ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য এবং জেলা পরিষদের নির্দল সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন। তাই নিয়ে জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল। 

    কীভাবে প্রচার করলেন (Murshidabad)?

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সালার (Murshidabad) বাস স্ট্যান্ড থেকে কাজীপাড়া, দফাদার পাড়া ঘুরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ভোটের প্রচার করেন। সাথে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা নেত্রীরা। নির্দলদের প্রচারে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি বহু নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভরতপুর বিধানসভা। কিন্তু তারপরেও সালারের নির্দল প্রার্থীদের প্রচারে অটল থাকলেন হুমায়ুন কবীর।

    কী বললেন হুমায়ূন কবীর?

    নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের হুমায়ুন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “এই নির্দলদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র দায়ী জেলা তৃণমূল সভানেত্রী (Murshidabad) সাওনী সিংহ রায়। তাঁর অপসারণ আমার মুখ্য দাবি। তাঁর জন্যই আজ তৃণমূলের প্রকৃত সৈনিকরা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন ভরতপুর বিধানসভা এলাকায়, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় সৈনিক। হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “নির্দল হলেও এই প্রার্থীরা প্রকৃতই দলেরই কর্মী-সৈনিক। তাঁদের পাশে আমি রয়েছি, সব সময় তাঁদের জয়লাভ করানো আমাদের লক্ষ্য। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণ এবং উন্নয়ণের কান্ডারী এই নির্দল প্রার্থীদেরই ভোট দেবে।”

    তৃণমূলের সভানেত্রী কী বললেন?

    অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী সাওনী সিংহ রায় বলেছেন, “কে কী বলছেন আর কে কী করছেন, আমার তাতে কী আসে যায়! আমি কিছু বলবো না। সমস্তটাই রাজ্য নেতৃত্ব দেখতে পাচ্ছেন। দল নজরে রেখেছেন বিষয়টি। যদি কেউ মনে করে থাকেন, রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি খবর রাখে না, তাহলে সে ভুল করছে! ভুল ভাবছে! রাজ্যের চোখে সবকিছুই ধরা পড়ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দলের কাজ করেছে দল। তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) সংশোধন করার সময় দিয়েছে দল। যদি সংশোধন করেন ভালো! দলের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কারণ দলের কর্মীদের পরিশ্রম বৃথা যাবে না। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে দল নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share