Blog

  • SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    SAAF Championship 2023: সাফ কাপ জিতে নিজের রাজ্য মণিপুরের জন্য শান্তির প্রার্থনা জিকসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ কাপ (SAFF championships) জিতে মণিপুরের পতাকা জড়িয়ে পদক নেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন ভারতীয় ফুটবলার জিকসন সিং। ফাইনালের পর তখন ভারতীয় ফুটবলাররা পদক গ্রহণ করছেন। জিকসনকে দেখা গেল জার্সির ওপর একটা রঙিন পতাকা জড়িয়ে নিয়েছেন। যা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। পরে জিকসন জানান, ওটা মণিপুরের পতাকা। যা তিনি জার্সির ওপর পরেছেন রাজ্যে শান্তি ফেরানোর প্রত্যাশায়। কঠিন সময় সংহতির বার্তা দিয়ে। জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরের পতাকা। আমি ভারতের এবং মণিপুরের সকলকে বলতে চাই, লড়াই নয়। শান্তি চাই। আমি শান্তি চাই।’  

    ভারতীয় ফুটবলে সাপ্লাই লাইন মণিপুর

    কুয়েতকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF championships) জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করেছে ভারতীয় ফুটবলাররা। সাফ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তিন সদস্য জিকসন সিং (Jeakson Singh), মহেশ সিং (Naorem Mahesh Singh) ও উদান্তা সিং (Udanta Singh) মণিপুরের বাসিন্দা। গত ২ মাস ধরে হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। মেইতেই ও কুকিদের জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয়ে আছে উত্তরপূর্বের এই রাজ্য। এই অশান্তিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১২০ জন মানুষ। আহত ৩ হাজারের উপর। ঘরছাড়া লক্ষাধিক। 

    আরও পড়ুন: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    শান্তির বার্তা দেওয়াই উদ্দেশ্য

    জাতীয় পতাকার বদলে বিশেষ জনগোষ্ঠীর পতাকা গায়ে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন জিকসন। কিন্তু তাঁর দাবি, কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না। বরং গত দু’মাস ধরে মণিপুরে যে হিংসা চলছে, তা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর বেঙ্গালুরুর মাঠে মেইতেই পতাকা নিয়ে পদক নিতে যান। 

    মঙ্গলবার ম্যাচের পর মিক্সড জোনে জিকসন বলেন, ‘এটা আমার মণিপুরি পতাকা ছিল। আমি মণিপুর এবং পুরো ভারতকে স্রেফ এটা বলতে চাইছিলাম শান্তি বজায় রাখতে হবে এবং মণিপুরকে বাঁচাতে হবে। আমি শান্তির পক্ষে সওয়াল করছি। দু’মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও লড়াই চলছে। শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমি স্রেফ সরকার এবং বাকি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। (আমার) পরিবার সুরক্ষিত আছে। কিন্তু প্রচুর পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নিজেদের ভিটেমাটি হারিয়েছে।’

    পরে গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জ্যাকসন লেখেন, ‘প্রিয় সমর্থকরা, এই পতাকা নিয়ে (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ) জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ আমি কারও ভাবাবেগে করতে চাইনি। আমার রাজ্য মণিপুরে এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে (সকলের) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছিলাম। এই জয়টা প্রত্যেক ভারতীয়কে উৎসর্গ করছি।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি যে আমার রাজ্য মণিপুরে শান্তি ফিরে আসবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    SAFF Championship: সাডেন ডেথে কুয়েতকে হারিয়ে সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ (SAFF Championship) ফাইনাল। উত্তেজনার ম্যাচ হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। লড়াই হল সমানে সমানে। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকল ম্যাচ। এরপর অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গোল করতে পারল না কোনও দলই। ফলে খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। শেষ পর্যন্ত জয় পেল ভারত। ম্যাচের নায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ইম্ফলে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট, ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ কাপ জিতে ট্রফি জয়ের হ্যাটট্রিক করল সুনীলরা।

    ছাংতের গোলে সমতা ফেরায় ভারত

    এদিন খেলার শুরুটা ভাল হয়নি সুনীলদের। সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের (SAFF Championship) ফাইনালেও সুনীল ছেত্রীদের আগ্রাসী খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ ইগর স্টিমাচ। কিন্তু ভারত শুরু করেছিল মন্থর গতিতে। ১৫ মিনিটে কুয়েত গোল করার পর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরেন সুনীলেরা। ৩৮ মিনিটে ভারত সমতায় ফেরে লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে। ফাইনালে প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ম্যাচের ৪ মিনিটে সুনীলের হেড সরাসরি কুয়েতের গোলরক্ষকের হাতে যায়। এর মিনিট ২ পরেই কর্নার পায় ভারত। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। খেলার ১৫ মিনিটে সুপরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল করেন আলখালদি। পিছিয়ে পড়ে খেলার দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতীয় ফুটবলারেরা। ১৯ মিনিটে সুনীলের শট আটকে দেন কুয়েতের গোলরক্ষক। ৩৮ মিনিটে সাহাল সামাদ একা বল নিয়ে অনেকটা উঠে পাশ দেন সুনীলকে। তিনি আবার বল ফিরিয়ে দেন সাহালকে। তিনি বল সাজিয়ে দেন ফাঁকায় থাকা ছাঙতেকে। মঙ্গলবারই বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়া ২৫ বছরের মণিপুরের ফুটবলার গোল করতে ভুল করেননি।

    আরও পড়ুন: জন্ম সাল রেখেই প্রকাশিত নতুন লোগো! আজ, মোহনবাগানে মার্টিনেজ

    টাইব্রেকারে দুরন্ত ভারত

    ভারত সমতায় ফেরার পর পেশির ফুটবল শুরু করে কুয়েত। মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া হাতে ম্যাচ করেছেন রেফারি। প্রয়োজনে কার্ড দেখাতে দ্বিধা করেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কুয়েতের কোচকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। ১-১ ফলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দু’দলই কিছুটা সতর্ক ভাবে শুরু করেন। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করতে পারেনি কোনও দলই। যদিও গোল করার মতো একাধিক পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন দু’দলের ফুটবলারেরাই। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। গোল হয়নি অতিরিক্ত সময়েও।

    শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা থেকে নবমবার সাফ (SAFF Championship) ঘরে তুললেন সুনীলরা। আর সেমিফাইনালের মত ফাইনালেও নায়ক গুরপ্রীত। টাইব্রেকারে আটকে দিলেন কুয়েতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আটকে দলকে জিতিয়ে দিলেন। নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর পেনাল্টিতে ভারত জিতল ৫-৪ গোলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চার রাজ্য সফরে মোদি, উদ্বোধন-শিলান্যাস করবেন ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের

    PM Modi: চার রাজ্য সফরে মোদি, উদ্বোধন-শিলান্যাস করবেন ৫০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দু দিনের সফর। ঘুরবেন চার রাজ্যে। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ৫০টির মতো প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সফর শুরু হবে শুক্রবার। প্রধানমন্ত্রী যাবেন উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে। এই দু দিনে রায়পুর, গোরখপুর, বারাণসী, ওয়ারাঙ্গল ও বিকানের এই পাঁচ শহরের প্রায় এক ডজন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ বাদে বাকি তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা এ বছরেরই শেষের দিকে। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন এক গুচ্ছ প্রকল্পের।

    প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রথমে রায়পুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ছয় লেনের রায়পুর-বিশাখাপত্তনম করিডর সহ এক গুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। পরে করবেন জনসভা। পরে গোরক্ষপুরের গীতা প্রেসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তিনি তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনাও করবেন। গোরক্ষপুর রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণের শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী। গোরক্ষপুর থেকে তিনি যাবেন তাঁর সংসদ ক্ষেত্র বারাণসীতে। সেখানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাসও করবেন। বারাণসী-জৌনপুর জাতীয় সড়কের চারলেনের উদ্বোধনও করবেন তিনি। মণিকর্ণিকাঘাট এবং হরিশ্চন্দ্রঘাটের সংস্কার কার্যের শিলান্যাসও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    করবেন জনসভাও

    বারাণসীতে রাত্রিবাস করে পরের দিন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যাবেন তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলে। সেখানে নাগপুর-বিজয়ওয়াড়া করিডরের একাংশের নির্মাণ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ৫৬৩ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের করিমনগর-ওয়ারাঙ্গল অংশটিকে চার লেনে পরিণত করা হবে। এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। পরে করবেন জনসভা। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিকানেরে। সেখানেও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। অমৃতসর-জামনগর এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন অংশের উদ্বোধনের পাশাপাশি গ্রিন এনার্জি করিডর ফেজ ওয়ানের জন্য আন্তঃরাজ্য ট্রান্সমিশন লাইনের উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিকানের রেলওয়ে স্টেশনের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন তিনি। পরে যোগ দেবেন সেখানকার একটি জনসভায়।

    আরও পড়ুুন: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    BJP: লক্ষ্য ২০২৪! চার রাজ্যে সভাপতি বদল বিজেপির, নতুন দায়িত্বে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির (BJP) জয় এক প্রকার নিশ্চিত। দিল্লির মসনদে ফের আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার। উন্নয়নের কান্ডারি মোদির হাতেই দেশবাসী আরও একবার তুলে দিতে চলেছেন ভারত-রথের রশি। বিজেপির জয় যাতে অনায়াস হয়, যাতে গতবারের চেয়ে আরও বেশি আসন পেয়ে দিল্লির তখতে আসতে পারে বিজেপি, তাই চেষ্টার অন্ত নেই গেরুয়া শিবিরের। এই চেষ্টারই অঙ্গ হিসেবে এবার বদল করা হল দলের চার রাজ্যের সভাপতি।

    বদল কোন কোন রাজ্যে

    যে চারটি রাজ্যে সভাপতি বদল করল বিজেপি, সেগুলি হল তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাব। তেলঙ্গানায় পদ্মশিবিরের (BJP) নেতৃত্ব দেবেন জি কিষান রেড্ডি। বান্দি সঞ্জয় কুমারকে সরিয়ে জায়গা দেওয়া হল রেড্ডিকে। সঞ্জয় অত্যন্ত সক্রিয় হওয়া সত্ত্বেও সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। কারণ সংগঠনকে একত্রিত করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর। রেড্ডি রাজ্য সভাপতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে হবে তাঁকে।   

    কারা পাচ্ছেন দায়িত্ব

    অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডি পুরন্দেশ্বরীর হাতে। তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ের মেয়ে। এতদিন দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের রশি যাচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির হাতে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর পঞ্জাবে বিজেপির সভাপতি হচ্ছে সুনীল জাখর। তিনি কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁর হাতে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে কংগ্রেসকেই বধ করতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব কম নয়। তাঁর ওপর নির্ভর করে সংগঠনের কাজকর্মের অনেকটাই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই চার রাজ্যের সভাপতি বদল করে একদিকে যেমন সংগঠন মজবুত করার পথে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যাওয়া হল, তেমনি দলকে একটা ঝাঁকুনিও দেওয়া গেল। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোমর কষে নামবেন বিভিন্ন রাজ্যের সভাপতিরা। তেলঙ্গনায় কেবল সভাপতি পদেই বদল আনা হয়নি, দলের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদেও বসানো হচ্ছে ইয়াতালা রাজেন্দরকে।

    এদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডিকে নিয়ে আসা হয়েছে জাতীয় কর্মসমিতিতে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গেরুয়া শিবিরে (BJP) যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যেই পেলেন গুরু দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    Panchayat Elections 2023: বাংলার হিংসা ‘ছোট ঘটনা’! ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, রাজ্য পুলিশের ডিজি-র দাবিতে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১ মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023) ঘোষণার পর রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে ১৫ জনের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপরও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, বলে দাবি করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তাঁর কথায়, “হিংসার ঘটনা এখন অনেকটাই কমেছে। বড় করে দেখানো হচ্ছে যে কোনও ছোট ঘটনাকে।”

    রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে মনোজ মালব্য বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তি ছাড়া রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে যে কোনও গন্ডগোলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নিতে হবে। আমরা সেই গাইডলাইন মেনে কাজ করছি।’রাজ্যে নিত্যদিন অশান্তির খবর আসছে। বাসন্তীতে গত শনিবারই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাসকদলের এক কর্মীর। রবি ও সোমবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, নিত্য রাজ্যের কোনও কোনও প্রান্ত থেকে বোমাবাজি, গুলিচালনার খবর মিলছে। তার নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দলই থাক কিংবা শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ। তারপরও রাজ্য পুলিশের ডিজির বক্তব্য, “রাজ্যের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এখানে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে। আপনার কী সত্যিই মনে হয়, বাংলায় হিংসা হচ্ছে? বাংলায় ২-৩ টি ঘটনা ঘটেছে, তাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    ডিজিকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মনোজ মালব্যের মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ওনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তম কুমার বলেন। একজন ডিজির কোনও ভূমিকা আমরা ওনার মধ্যে দেখতে পাই না। উনি এক ধরনের মেরুদণ্ডহীন সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষ্য। তার মুখ থেকে এর থেকে ভালো কথা বেরোতে পারে না।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বক্তব্য, “১৩টা পরিবারের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরও তিনি কীভাবে বলতে পারলেন এটা ছোট ঘটনা? পুলিশ সম্বন্ধে মানুষের কী ধারণা হবে? বোমা পড়েছে, আর পুলিশ বলছে কোথায় বোমা পড়ছে? ওই যে মন্ত্রী বলে দিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: প্রতি বুথে অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী, অর্ধেক রাজ্য পুলিশ! বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সশস্ত্র বাহিনীর অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী ও অর্ধেক রাজ্যের বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের। আইজি বিএসএফ এবং নোডাল অফিসারদের এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোট গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে৷ তাই এমন বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের।

    ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) মোট ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। যার অর্থ, ৬৫ হাজার অ্যাকটিভ ফোর্স। এর সঙ্গে থাকছে রাজ্যের ৭০ হাজার সশস্ত্র পুলিশ। এই দুই বাহিনীকে ৫০:৫০ অনুপাতে ব্যবহার করতে হবে। কুইক রেসপন্স টিমেও কেবল রাজ্য পুলিশ রাখলে চলবে না।

    গণনা পর্যন্ত বাহিনী

    আদালতের আরও নির্দেশ, বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসার ফোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন। কোথায় কত ফোর্স পাঠাতে হবে, তা ঠিক করবেন তিনিই। আদালতের এই নির্দেশের জেরে বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি আর পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে রইল না। প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রথম নির্দেশেই আদালত জানিয়েছিল যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তার মানে শুধু ভোটের দিন নয়, গোটা পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর বুথ ঠিক করেছেন ভাইপো,’ বিস্ফোরক অভিযোগ সুকান্তের

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে প্রথম থেকেই বিস্তর জল ঘোলা হয়েছিল। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও, রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের ওপরই আস্থা রাখছিল। প্রয়োজনে ভিন রাজ্য থেকেও বাহিনী আনার চেষ্টা করছিল। এর পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধীরা। নিয়মরক্ষার্থে তার পর ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় কমিশন। ফের আদালতে যান বিরোধীরা। এর পর আদালত জানিয়ে দেয় আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শেষমেশ রাজ্যে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রতিটি বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকলে আস্থা বাড়বে ভোটারদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    SCO Summit: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে…”, নাম না করে চিন-পাকিস্তানকে নিশানা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে দেশ সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।” মঙ্গলবার সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO Summit) ভার্চুয়াল সম্মেলেন একথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। এবার হয়েছে ভার্চুয়াল সম্মেলন। এই সম্মেলনেই নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী একযোগে নিশানা করেন পাকিস্তান ও চিনকে। 

    সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মোদি

    এদিনের ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্লাদিমির পুতিন সহ মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। এক সঙ্গে এক মঞ্চে (SCO Summit) চিন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানকে পেয়ে সন্ত্রাসবাদে মদত নিয়ে পড়শি দুই দেশকে আক্রমণের সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, এসসিও যেন তাদের সমালোচনা করতে দ্বিধা না করে।”

    সীমান্তপার সন্ত্রাস 

    তিনি বলেন, “কিছু দেশ সীমান্তপার সন্ত্রাসকে তাদের নীতির হাতিয়ার হিসেবে দেখে। তারা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয়ও দেয়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মোকাবিলা করার জন্য কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, সন্ত্রাসবাদ যে কোনও আকারে প্রকাশিত হতে পারে।”

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বই হামলায় জড়িত লস্কর জঙ্গি সাজিদ মীরকে বিশ্ব জঙ্গি তালিকাভুক্ত (SCO Summit) করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত। তাতে ভেটো প্রয়োগ করে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন। কেবল সাজিদ নয়, নানা সময় পাক জঙ্গিদের আড়াল করে এসেছে চিন। এদিন নাম না করে তাকেই নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি বলেন, “আমরা এসসিওকে (SCO Summit) একটি বর্ধিত প্রতিবেশী হিসেবে দেখি না, বরং একটি বর্ধিত পরিবার হিসেবেই দেখি। নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংযোগ, ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবেশ সুরক্ষার মতো ইস্যুগুলিকে এসসিও-র স্তম্ভ হিসেবে দেখি।”

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত এসসিও দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতার পাঁচটি স্তম্ভ স্থাপন করেছে: স্টার্টআপ এবং উদ্ভাবন, প্রথাগত ওষুধ, যুব ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্য। গত দু দশকে এসসিও সমগ্র ইউরেশিয়া অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের হাজার বছরের পুরনো সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দেশের (SCO Summit) মানুষ এই ঐতিহ্যের জীবন্ত সাক্ষ্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    Manipur Violence: বুধবার থেকে স্কুল খুলছে মণিপুরে! পরিস্থিতি আগের থেকে শান্ত, দাবি মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে মণিপুর (Manipur)। দু’মাস পর আগামী কাল, ৫ জুলাই থেকে স্কুল খুলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি জানান, প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ৫ তারিখ থেকে স্কুলে যেতে পারবে। একইসঙ্গে  সরকারের কাছে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশদ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১০ তারিখে মণিপুরের মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পরবর্তী শুনানি হবে। তার আগেই ওই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। 

    মণিপুরে স্কুল খোলার ঘোষণা

    গত দু’মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বিশেষ করে রাজধানী ইম্ফল, বিষ্ণুপুর, চূড়াচন্দ্রপুর একাধিক জায়গায় সরাসরি সংঘর্ষে্ জড়িয়ে পড়ে কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠী। পরবর্তী সময়ে গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে সেনা। সরকারি হিসেবে ১১৫ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মণিপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। হিংসার জেরে ঘর বন্দি সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে বুধবার থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছেন বীরেন। তবে মণিপুরে এর আগেও স্কুল খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রশাসনের তরফে স্কুল খোলার দিন ঘোষণা হওয়ার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পিছিয়ে দিতে হয় স্কুল খোলার দিন।

    শান্তির পথে মণিপুর

    মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সোমবার জানিয়েছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের কৃষকদের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় এবং উপত্যকা এলাকায় জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। মণিপুরের (Manipur Violence) এনএইচ-২ বা ইম্ফল-ডিমাপুর জাতীয় সড়ক থেকে দু’মাসব্যাপী অবরোধ তুলে নিয়েছে কুকিরা। তারা জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মণিপুরে শান্তি স্থাপনের আর্জি জানানোর পর অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জাতীয় সড়কে আবার স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৈরি করা অন্তত দু ডজন বাঙ্কারও ইতিমধ্যেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে মণিপুরে। এবার মেইতেই এবং কুকি উপজাতির লোকজন যে বাঙ্কার তৈরি করেছে সেগুলিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে শান্তি এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মণিপুর সরকার। 

    আরও পড়ুন: সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকা! অনিলের পর এবার ইডির দফতরে টিনা আম্বানি

    সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্ট তলব

    অন্যদিকে, সোমবারই একটি মামলার শুনানির সময়ে মণিপুর (Manipur Violence) নিয়ে বিশেষ স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি এবং পুনর্বাসন নিশ্চিত করা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে ‘আপডেটেড স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মণিপুর সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচুড়, বিচারপতি পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী সোমবার মণিপুর মামলা নিয়ে শুনানি হবে। ৭ তারিখের মধ্যেই ওই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    Panchayat Election: ‘‘তৃণমূল না করলে চলে যাবে সিভিকের চাকরি’! হুঁশিয়ারি ব্লক সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূলকে ভোট না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল। এবার বেফাঁস মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভাই তথা গোয়ালপোখরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম রসুল। যা নিয়ে জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা?

    সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ব্লকের পামলহাটে দলীয় এক জনসভায় গোলাম রসুল বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূল কংগ্রেস না জিতলে সরকারি প্রকল্প চালু থাকবে না। বেশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার অন্য দল করছেন বলে জানতে পেরেছি। সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি দিয়েছে তৃণমূল। তাই, যাঁরা বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাঁদের চাকরি থাকবে না। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৮ নম্বর আসনের প্রার্থী গোলাম রসুল এই হুঁশিয়ারি দিলেও রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী তাঁর ভাইয়ের এই বক্তব্যে কিছুটা রাশ টানার চেষ্টা করেন। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী বলেন, সিভিক ভলান্টিয়াররা আধা সরকারি কর্মী। তাঁদের কোনও দল করা উচিত নয়। তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন। গোলাম রসুল ব্লক সভাপতি। তিনি রাজনৈতিক কথা বলেছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা সুরজিৎ সেন বলেন, আসলে সরকারি প্রকল্প কেউ বন্ধ করতে পারে না। আর সিভিক ভলান্টিয়ারদের কেউ চাকরি থেকে সরাতে পারবে না। এমনিতেই সিভিকরা কেউ সরকারি কর্মী নয়। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে এভাবে ভয় দেখিয়ে ওরা তৃণমূলের পক্ষে ভোট করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। কারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আর সেটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল নেতারা এখন এসব বলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    CBI: কলকাতায় জরুরি বৈঠকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা, কী হল এমন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচার, শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি – রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির (Scam Case) অভিযোগের তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। তদন্তের অগ্রগতি জানতেই মঙ্গলবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে বৈঠকে বসলেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। সম্প্রতি সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছেন সিনিয়র আইপিএস অফিসার মনোজ শশীধর। এদিনের বৈঠকে রয়েছেন তিনি। রয়েছেন স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    একাধিক দুর্নীতি

    সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা, গরু এবং শিক্ষায় নিয়োগের মতো একাধিক দুর্নীতির ঘটনায় তদন্তকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। মনোজ শশীধরকে গুজরাট পুলিশ থেকে সিবিআইয়ের ডেপুটেশনে আনা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে সরকার যে সিট গঠন করেছিল, তার নেতৃত্বে ছিলেন এই সিবিআই কর্তাই। সম্প্রতি তাঁকে কলকাতা জোনের দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।

    তদন্ত করছে ইডিও

    সিবিআইয়ের (CBI) পাশাপাশি তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এই ইডি-ই প্রথমে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। এই মামলায় পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআইও। সিবিআই গ্রেফতার করেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে গত বছর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এহেন আবহে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা। কলকাতায় সিবিআইয়ের (CBI) শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসায় আশার আলো দেখছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের আশা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব মিটলেই ফের জোর কদমে শুরু হতে পারে ধরপাকড়।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে পারে বিজেপি, কোন কোন জেলায়?

    প্রসঙ্গত, মনোজ শশীধর হলেন গুজরাট ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমেদাবাদ পুলিশের ডিসিপি (ক্রাইম) ছিলেন শশীধর। পরে হন আমেদাবাদের জয়েন্ট কমিশনার। ভাদোদরায় পুলিশ কমিশনারও হয়েছিলেন তিনি। পরে গুজরাটের সিআইডির ডিরেক্টর জেনারেলও ছিলেন শশীধর। দুঁদে এই আইপিএস অফিসার কলকাতায় আশায় অশনি সংকেত দেখছেন এ রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। বিশেষত, যাঁদের নাম জড়িয়েছে নানা কেলেঙ্কারিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share