Blog

  • Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    Dakshin Dinajpur: ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ আয়োজন করলেন বিজেপি বিধায়ক, উত্তেজনা বালুরঘাটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্র বিপন্ন, মৃত্যু হয়েছে সুস্থ গণতন্ত্রের, তাই তার পুনর্জন্ম কামনা করে ‘গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা’ করলেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শনিবার সকালে বিজেপির শহর মন্ডল কমিটির ডাকে অশোক লাহিড়ীর নেতৃত্বে এই শ্মশান যাত্রার আয়োজন হয়। গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Dakshin Dinajpur)?   

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট বিজেপি পার্টি অফিস থেকে খিদিরপুর শ্মশান পর্যন্ত গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা করল বিজেপি। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন শহর মন্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত সহ বিজেপি নেতৃত্বরা শনিবার গণতন্ত্রের শব নিয়ে শ্মশান যাত্রা হয়। দীর্ঘ প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে খিদিরপুর শ্মশানে যায় গণতন্ত্রের শব মিছিল। অশোক লাহিড়ী নিজেই মৃতদেহ বহন করেন।

    কেন শ্মশান যাত্রা?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যু ঘটিয়েছে রাজ্য সরকার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন প্রায় ২০ হাজার প্রার্থী। এটা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ নয়, সেই কারণেই গণতন্ত্রের মৃতদেহ দাহ করে তার পুনর্জন্ম হোক, এই আশা প্রকাশ করলেন বিজেপি নেতা অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur)।

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য?

    বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী (Dakshin Dinajpur) জানান, যেভাবে রাজ্যে খুন জখম বেড়ে চলেছে, নির্বাচন নিয়ে প্রতিটি বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ দিতে হচ্ছে, তাতে বোঝা যায় রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সেকারণে এদিন গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, বালুরঘাটে আমরা দেখলাম গুটি কয়েক মানুষজন দলবল বেঁধে গণতন্ত্রের শ্মশান যাত্রা করলেন। আমি বলবো পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র হত্যা হয়নি। গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে ২০১৪ সালে যখন ভারতবর্ষে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতেই!

    Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের গুঁতোয় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) আনতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকবে এলাকা টহলদারির কাজের মধ্যেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বুথের নিরাপত্তা ও নজরদারির ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের ওপরই ভরসা রাখতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী

    আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। ভোট হবে এক দফায়। আদালতে ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে ফের আদালতের গুঁতোয় আরও আটশো কোম্পানি বাহিনী চেয়ে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। তবে সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তাই সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়।

    ভোটারদের আস্থা ফেরাতে

    কমিশনের সিদ্ধান্ত, ওই পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে মূলত এরিয়া ডমিনেশন ও নাকা চেকিংয়ের কাজে। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে, রাজ্য ও আন্তর্জাতিক সীমানার চেক পয়েন্ট ও প্যাট্রলিংয়ের কাজে ব্যবহার করা হবে তাদের। মূলত যেসব এলাকা থেকে অশান্তির (Panchayat Election 2023) খবর এসেছে, সেই সব এলাকায় রুট মার্চ ও প্যাট্রলিংয়ের কাজ আরও বেশি করে করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা জেলায় ভ্রাম্যমান বাহিনী হিসেবেও কাজ করবে ওই বাহিনী। তবে কমিশন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের দিনের জন্য নয়।

    আরও পড়ুুন: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    রাজ্যে বুথ রয়েছে ৬১ হাজার ৩৪০টি। তাই প্রতিটি বুথে গড়ে একজন করে জওয়ান মোতায়েন করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই বুথ (Panchayat Election 2023) সামলাবে রাজ্য পুলিশ। বুথের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও সার্ভিলেন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, হেভি রেডিও ফ্লাইং ভেহিকেল স্কোয়াড রাখা হবে। এসবের দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    North 24 Parganas: প্রচার দূরের কথা এলাকায় ঢুকতেই পারছেন না বিজেপি প্রার্থী, কী বলছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (North 24 Parganas) বাম আমলে মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেই যে ঘরছাড়া হয়েছিলেন তারপর ২২ বছর পরও ফিরতে পারেননি গ্রামের বাড়িতে। সন্ত্রাসের জেরে লাগাতার হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আজ বসবাস করতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। তাও পরিবার ছেড়ে শত যোজন দূরে! ঘরছাড়া হয়েও তিনি এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা পরিষদ আসনে।

    কোথায় লড়াই করছেন (North 24 Parganas)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে দীপঙ্কর হালদার নামে ওই বিজেপি নেতা বারাসত (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসন থেকে লড়াই করছেন। আরও জানা যায়, একদা এই শাসনের বারাসত ২ নম্বর ব্লকের বেতাজ বাদশা ছিলেন মজিদ মাস্টার। তবে, বহু বাধা, বিপত্তি অতিক্রম করে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সন্ত্রাসের জেরে এখনও এলাকায় ঢুকতেই পারেননি এই বিজেপি প্রার্থী। প্রচার তো দুরের কথা! এলাকা ছাড়া হয়ে আছেন এই প্রার্থী। ফলে, এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরে সরগরম হয়ে উঠেছে শাসন অঞ্চল।

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (North 24 Parganas) জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, এলাকায় ভোটের প্রচার করতে গেলে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়। এই এলাকায় শাসক দলের সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমিক দেওয়া হচ্ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন বিজেপির এই জেলা সভাপতি। এই এলাকাকে বিরোধী শূন্য করে শাসক দল একতরফা জয়ী হতে চাইছে। সকল অভিযোগ পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে বলে জানান এই বিজেপি নেতা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের বিজেপি প্রার্থীর প্রচার করতে না পারার বিষয়ে জানতে চাহিলে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে এমন কোনও অভিযোগ নেই। তাছাড়া ওই এলাকা আমার বিধানসভার মধ্যে পড়ছে না, হাড়োয়া বিধানসভার মধ্যে পড়ছে। এখানে বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারে আটকানোর কোনও ঘটনা ঘটছে না। ওই প্রার্থীর সমস্যা হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল শাসক দলের এই মন্ত্রী।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Maharashtra Bus Tragedy: গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন! ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ ২৬

    Maharashtra Bus Tragedy: গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন! ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ ২৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার (Maharashtra Bus Tragedy) সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। চলন্ত বাসে আগুন লেগে গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৩ শিশু সহ ২৬ জন যাত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুলধানায় সমৃদ্ধি মহামার্গ এক্সপ্রেসওয়েতে। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মহারাষ্ট পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ জন যাত্রীকে নিয়ে যবৎমল থেকে পুণে যাচ্ছিল বাসটি। রাত দেড়টা নাগাদ পথে চাকা ফেটে যাওয়ায় একটি খুঁটিতে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় বাস। অভিঘাতে আগুন ধরে যায় বাসটিতে (Maharashtra Bus Tragedy)। রাত হওয়ার কারণে সকলেই প্রায় ঘুমের মধ্যে ছিলেন। ফলে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। তাতেই মৃত্যু ঘটেছে ২৫ যাত্রীর। বাকিদেরও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে, সেখানে আরেকজন মারা যান।

    কপালজোরে বেঁচে যান ৭ জন

    তবে, বেঁচে গিয়েছেন বাসের চালক সহ ৭ জন। হাসপাতালে শুয়ে চালক জানান, বুলধানা শহরে বাসের চাকা ফেটে যায়। তার পরই একটি খুঁটিতে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় বাসটি। পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার জেরে বাসের জ্বালানির ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। এর পরেই সেখান থেকে ডিজেল লিক করে। তার জেরেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে (Maharashtra Bus Tragedy)। জানা গিয়েছে, যে দিকে দরজা থাকে, সে দিকেই উল্টে যায় বাসটি। তার ফলে দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা বাসের মধ্যে থেকে বেরোতে পারেননি। বুলধানা জেলার পুলিস সুপার সুনীল কাদাসানে বলেন, ‘‘ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার হল মৃতদেহগুলি সনাক্ত করা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তা হস্তান্তর করা।’’

    আরও পড়ুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

    শনিবার বেলায় ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra Bus Tragedy)। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘‘দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী সরকারি খরচে আহতদের অবিলম্বে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।’’ ফড়নবিশ বলেছেন, ‘‘মৃতদেহগুলি এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাদের চেনা যাচ্ছে না। যদি নিহতদের দেহ সনাক্ত করা না যায়, তবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।’’

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে বাস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    Nisith Pramanik: বারে বারে হামলা, জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হয়েছিল হামলা। তার জেরে এবার নিশীথের নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হল। এতদিন জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন নিশীথ। এখন থেকে তাঁকে দেওয়া হল জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য থাকে এসপিজির (SPG) নিরাপত্তা বলয়। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা হল জেড প্লাস। এই নিরাপত্তাই দেওয়া হল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথকে। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “মন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তাঁকে দেওয়া হয়েছে জেড প্লাস নিরাপত্তা।”

    একাধিকবার হামলা মন্ত্রীর ওপর

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিশীথের (Nisith Pramanik) ওপর হামলা হয়েছে বারে বারে। মাস কয়েক আগে সিতাইয়ে যাওয়ার পথে কোচবিহারের সাংসদের কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটার বুড়িরহাটেও হামলা চালানো হয়েছিল নিশীথের কনভয়ে। ওই দিন আক্রান্ত এক দলীয় কর্মীকে দেখতে যাওয়ার পথে হামলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে। সেদিন নিশীথের গাড়ির কাচ ভাঙা হয়েছিল। চালানো হয়েছিল গুলি। বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল।

    মন্ত্রীর কনভয়ে তির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ক্রুটিনির দিনও ফের এক দফা হামলা হয় নিশীথের (Nisith Pramanik) কনভয়ে। সাহেবগঞ্জে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে তির ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। নিশীথ বলেছিলেন, “পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিন্দনীয়। তির মারা হল, পর পর দুটো বোম চার্জ করা হল। প্রার্থীদের ওপর নির্মম অত্যাচার।” এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নিশীথের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রয়োজন বলে রিপোর্ট দেন গোয়েন্দারা। তার পরেই জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় অমিত শাহের ডেপুটিকে।

    আরও পড়ুুন: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচ রাজাদের ভূমি। অশান্তির ঘটনা ঘটছে আকছার। সম্প্রতি ৬ বার ঘটেছে গুলি চালানোর ঘটনা। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই চড়বে উত্তেজনার পারদ। সেই কারণেই নিশীথের (Nisith Pramanik) পাশাপাশি কোচবিহারের পাঁচ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন সুকুমার রায়, মালতি রাভা, নিখিল রঞ্জন দে, সুশীল বর্মন ও বরেনচন্দ্র বর্মন। এতদিন এঁদের সঙ্গে চারজন করে সিআইএসএফ জওয়ান থাকতেন। এখন থেকে থাকবেন পাঁচজন করে  সিআইএসএফ  জওয়ান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    Sundarban: সুন্দরবনে বাঘে মানুষের লড়াই, দুই মহিলার মারে রণে ভঙ্গ দিল বাঘ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন (Sundarban) কলস জঙ্গলে মানুষ এবং বাঘের লড়াই, শেষ পর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিল বাঘ, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৎস্যজীবী। এলাকায় বাঘ এবং মানুষের লড়াইতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছে ঘটনা (Sundarban)?

    স্বামী-স্ত্রী এবং মেয়ে নৌকায় করে কলস জঙ্গলে (South 24 Parganas) কাঁকড়া ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পাথর প্রতিমার জি প্লট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যদাসপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এই মৎসজীবী পরিবার। সারাদিন কাঁকড়া ধরার পর বেলা চারটের দিকে কলস জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত ছিলেন তিন জনেই। হঠাৎ দক্ষিণ রায় স্বামী দীনু মল্লিকের ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে থাবায় করে হিড় হিড় করে টানতে থাকে! দৃশ্য দেখে এবং দিনুবাবুর চিৎকারে মেয়ে এবং স্ত্রী ছুটে আসেন। এরপর হাতে থাকা শাবল নিয়ে বাঘের উপর মারতে থাকেন মেয়ে ও মা। আর বাঘে মানুষে লড়াই চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ। স্ত্রী এবং মেয়ে লাঠি শাবল নিয়ে আঘাত করতে থাকেন বাঘকে। কোনও রকমে ছিটকে জলে পড়ে যান দিনু মল্লিক। আর জলে পড়েই কোন ক্রমে প্রাণটা বাঁচাতে সক্ষম হন দিনুবাবু, অন্যদিকে স্ত্রী মেয়ে স্বামীর জন্য জলে লাফিয়ে পড়ে স্বামীকে উদ্ধার করেন। অপর দিকে ততক্ষণে বাঘ জঙ্গলের দিকে পালতে শুরু করে দিয়েছে। সেই রক্তাক্ত স্বামীকে নিয়ে স্ত্রী-মেয়ে নৌকা চালিয়ে পাথরপ্রতিমা হাসপাতাল পৌঁছান। কিন্তু বাঘের আঘাতে দিনু রায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Sundarban) তরফ থেকে বলা হয়, আমাদের অভাবের সংসার, মাছ ও কাঁকড়া ধরে এবং বিক্রি করে আমাদের পরিবার চলে। পরিবারে একদিকে অভাব এবং জলে জঙ্গলে বাঘের ভয়কে নিয়েও আমাদের প্রত্যেক দিনের জীবন চলছে। পরিবারের তরফে আগেও বলা হয়, কলস জঙ্গলে আমরা মূলত কাঁকড়া ধরতে পরিবারের তিন জন গিয়েছিলাম। হঠাৎ বাঘের আক্রমণে আমরা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়েছি। এছাড়াও মেয়ে বলেন, বাবাকে অনেক কষ্ট করে বাঘের সঙ্গে লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি। বাবার ঘাড়ে এবং মাথায় ভীষণ ক্ষত হয়েছে। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। ভগবানের অশেষ কৃপা যে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ফিরে আসতে পেড়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Neeraj Chopra: লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান নীরজের

    Neeraj Chopra: লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান নীরজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নীরজই সেরা! যাঁরা ভেবেছিলেন চোটের কারণে ছেলেটা হয়তো হারিয়ে যাবেন, তাঁরা ভুল প্রমাণিত হলেন। শুক্রবার লুসানে ডায়মন্ড লিগে শীর্ষস্থান দখল করলেন ভারতীয় জ্যাভেলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। ৮৭.৬৬ মিটার দূরে বর্শা ছুড়ে সোনা জিতলেন তিনি।

    সোনার ছেলে নীরজ

    মরশুম শুরু করেছিলেন একইভাবে। দোহা ডায়মন্ড লিগেও জিতেছিলেন সোনা। কিন্তু তারপর চোট সমস্যা ভোগাতে শুরু করে নীরজকে (Neeraj Chopra)। যে কারণে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে। নামতে পারেননি আরও বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায়। প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি নীরজের দৌড় শেষ। না, লক্ষ্যে অবিচল সোনার ছেলে। এখনও বহু স্বপ্ন তিনি সযত্নে লালিত পালিত করে চলেছেন। তাঁর টাগের্ট ৯০ মিটার দূরে বর্শা ছোড়া। এভাবে এগোলে একদিন নীরজের লক্ষ্য পূরণ হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    বুদাপেস্টই লক্ষ্য নীরজের

    ২৫ বছরের নীরজ বলেন, ‘চোট সারিয়ে এভাবে ফিরে আসতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। এখানে বেশ ঠান্ডা। এটা বুঝতে পারছি যে, আমি আগের থেকে সুস্থ। নিজের সেরাটা দিতে পারিনি। তবে এই সাফল্য আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’ ৮৭.৬৬ মিটার দূরে জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জেতার পর নীরজ আরও বলেন, ‘আমি আবার অনুশীলনে ফিরে যাব। অনেক কিছু ঠিক করতে হবে। সেগুলো করলে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব। লুসেনে আগেও ভাল ফল করেছি। গত বছরও এখানে জিতেছিলাম। আশা করছি আগামী বছরেও এই সাফল্য বজায় রাখতে পারব। এখন লক্ষ্য বুদাপেস্ট। আমার কাছে ওটাই আপাতত বড় চ্যালেঞ্জ।”

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ভারত ভ্রমণ! ৯ শহরে ৯ ম্যাচ, ৮৪০০ কিলোমিটার ঘুরবে টিম ইন্ডিয়া

    নীরজ চোট সারিয়ে ফিরলেও তিনি যে একটু অস্বস্তি বোধ করছেন তা বোঝা যাচ্ছিল। সাধারণত নীরজের প্রথম থ্রোটাই সব থেকে দূরে হয়। কিন্তু এ দিন তাঁর প্রথম থ্রো বাতিল হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় থ্রো সঠিক হলেও সেগুলি ছিল ৮৩.৫২ এবং ৮৫.০৪ মিটার। কিন্তু চতুর্থ থ্রো-টিও তাঁর বাতিল হয়। পঞ্চম থ্রো-টি ছিল ৮৭.৬৬ মিটার। যা জয় এনে দেয় নীরজকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    Modi-Putin Talk: মোদিকে ফোন পুতিনের, কি আলোচনা হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিপুণ দক্ষতায় ওয়াগনার (Wagner) বিদ্রোহে জল ঢেলে দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Modi-Putin Talk)। রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্তত এমনই দাবি করা হয়েছে ক্রেমলিন প্রকাশিত বিবৃতিতে। তাতে বলা হয়েছে, “২৪ জুন রাশিয়ায় যা ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে রুশ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট পদক্ষেপে যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা ও রুশ নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষা করা গিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মোদি।”

    মোদি-পুতিন কথা

    শুক্রবার সন্ধেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন পুতিন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। আলোচনায় উঠে এসেছিল দিন কয়েক আগে ঘটে যাওয়া ওয়াগনার বিদ্রোহের প্রসঙ্গও। রাশিয়ার দাবি, যেভাবে ওই বিদ্রোহ দমন করেছেন পুতিন, তার প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দুই রাষ্ট্র প্রধানের (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক ওই বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও স্থানীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাশিয়া ও ভারতের রাষ্ট্র প্রধানের। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর রাশিয়ার বর্তমান অবস্থার বিষয়ে মোদিকে অবহিত করেছেন পুতিন। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির বিষয়েও কথা বলেছেন মোদি-পুতিন। জি-২০ সম্মেলন এবং এসসিও সম্মেলনে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও ফোনে আলোচনা হয়েছে পুতিন ও মোদির।

    আরও পড়ুুন: “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ভারত-রাশিয়া এনএসএ কথা

    শুক্রবার মোদি-পুতিন (Modi-Putin Talk) টেলিফোনিক বৈঠকের ঠিক আগের দিন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেছিলেন রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব নিকোলাই পাত্রুশেভ। ওয়াগনার বিদ্রোহের পর দুই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠককে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক জল্পনার। রুশ নিরাপত্তা পরিষদের সচিব যে ডোভালকে ফোন করেছিলেন, তা স্বীকার করেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে দু দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর জন্যই ডোভালকে ফোন করেছিলেন পাত্রুশেভ।

    প্রসঙ্গত, গত শনিবার ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনী ওয়াগনার প্রধান মস্কো দখল অভিযানের কথা ঘোষণা (Modi-Putin Talk) করেন। এর পরেই রাশিয়ার তরফে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোঝিন সহ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। একদা ঘনিষ্ঠ প্রিগোঝিনকে বিশ্বাসঘাতক বলে চিহ্নিত করেন পুতিন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর পরেই রণে ভঙ্গ দেন ওয়াগনার প্রধান। ইতি পড়ে বিদ্রোহে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    Student-VC: দেশে প্রথম! ছাত্ররাও হতে পারেন উপাচার্য, অভিনব ভাবনা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বা গবেষণার কাজে যুক্ত পড়ুয়াকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য (Interim Vice Chancellor) নিয়োগ করতে চান রাজ্যপাল। সেরা উজ্জ্বল ছাত্রকেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য করতে চান আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose), রাজভবন সূত্রে খবর এমনটাই। যদি এমনটা করা হয়, তাহলে তা অভূতপূর্ব এক ঘটনা হতে চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়ার উপাচার্য হওয়ার কোনও নজির ভারতে কোথাও কোনও নেই।

    ছাত্ররাই আগামীতে উপাচার্য

    কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘দেশের মধ্যে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র-উপাচার্য হবে। যেসব উজ্জ্বল-মেধাবি পড়ুয়া স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন এবং গবেষণা করছেন, তাঁরাই আগামীতে উপাচার্য হবেন। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথমবার হবে।’এই ‘ছাত্র-উপাচার্য’-র ধারনা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের কাছে একটি ট্রেন্ডে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য়পাল। কালিম্পং কলেজে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাক্ষেত্রে থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। শুধু তাই নয়, সমাজ থেকে হিংসা দূরীকরণেরও ডাক দিয়েছেন তিনি। এর জন্য সকলকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে হাতে হাত মিলিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে পড়ুয়ারাই যে ভারতের ভবিষ্যৎ স্থির করবে, এমনও মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ‘এডুকেশন হাব’ হয়ে উঠবে।

    দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র

    ‘পড়ুয়া-উপাচার্য’ প্রসঙ্গ টানার আগে এ দিন শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সমাজকে হিংসামুক্ত করার বার্তা দেন রাজ্যপাল। পড়ুয়ারা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাক্ষেত্র আর হিংসামুক্ত সমাজ চান কি না, তা জানতে চান। কালিম্পং কলেজ অডিটোরিয়ামের দর্শকাসনে বসা ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে কিছুটা নীরব থাকায় রাজ্যপাল তাঁদের উচ্চস্বরে উত্তর দিতে বলেন। সবাই ‘হ্যাঁ’ বলার পরে, তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তাতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন তৈরি করা। একই সঙ্গে দরকার হিংসামুক্ত সমাজ। এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি রাজ্যপালের

    ইতিমধ্যেই শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে যখন জেরবার রাজ্য সরকার, তখন সেই দুর্নীতি দমনের জন্য কমিটি তৈরি করেছেন রাজ্যপাল (Governor CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে বেশ কয়েকটি কমিটি গঠন করেন তিনি। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা খতিয়ে দেখবে এই ‘অ্যান্টি কোরাপশন কমিটি’। এছাড়া থাকছে, ‘গ্লোবাল আউটরিচ কমিটি’, যে কমিটির সদস্যরা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবে, বাড়বে আদান-প্রদান। থাকছে ‘অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স কমিটি’, যাদের মূল আলোচ্য বিষয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গবেষণামূলক কাজ। রাজ্যপালের তৈরি করা ‘ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট কমিটি’ মূলত অধ্যাপকদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ বা সেমিনারের বিষয়গুলি দেখবে। আর শিল্পের সঙ্গে শিক্ষার সংযোগ তৈরি করতে তৈরি করা হয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপ কমিটি’। আর রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রে একত্রে কাজ করতে পারে, তার জন্য তৈরি করা হয়েছে, ‘ইউনিভার্সিটি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’ বা বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয় কমিটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

     

  • Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    Nadia: বিজেপি প্রার্থীকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি, অভিযোগের তীর তৃণমূল প্রধানের দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া (Nadia) বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই হুমকির অভিযোগ বিদায়ী তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। হুমকির অডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। এমনকি ক্যামেরার সামনেও তুলে আনার হুমকি দিলেন বিদায়ী তৃণমূল প্রধান। প্রাণহানির আশঙ্কায় ভুগছেন বিজেপি প্রার্থী।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বেলগড়িয়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান দীপক মন্ডলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে। কোথাও মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ার জন্য হুমকি, আবার কোথাও মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য বিরোধী প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সব অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধেই। এবার বেলঘড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির সমিতির প্রার্থীকে ফোন করে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দিল ওই অঞ্চলেরই বিদায়ী তৃণমূল প্রধান দীপক মন্ডল। সেই অডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্য

    বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী (Nadia) গোবিন্দ রাজবংশী, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও বিধানসভা ভোটে বিজেপি করার অপরাধে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর চালায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন দিন দিন কমে যাওয়ার কারণে, তাঁকে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য একাধিকবার শাসানি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে সমিতিতে লড়াই করছেন। সেই কারণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। প্রচন্ড আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। আপাতত পুলিশকে জানিয়েছেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিদায় তৃণমূল প্রধান (Nadia) দীপক মন্ডল বলেন, আমি ওই এলাকায় পুনরায় পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল হয়ে লড়াই করছি। কিন্তু বিজেপির সমিতি প্রার্থী গোবিন্দ রাজবংশী আমার এলাকায় এসে আমার নামে কুপ্রচার করছেন। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। সেই কারণেই আমি বারংবার তাঁকে বলেছি আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার করা হচ্ছে তার প্রমাণ দিতে। কিন্তু সে আমার সঙ্গে দেখা করছে না! এরপরেই তিনি আবার হুমকির সুরে বলেন,“দেখা করতেই হবে! না করলে প্রয়োজনের তুলে আনবো!” ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share