Blog

  • Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর! থানায় শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) উপলক্ষে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যাওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হল তৃণমূল। ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা বিরোধী দলনেতার সভায় হাজিরও হন।

    থানায় শুভেন্দু 

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় যোগ দেওয়া যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের এই চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা বিজেপি কর্মীদের মারধর ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ উঠল তৃণমূলে বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীকে নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন শুভেন্দু অধিকারী। থানার আইসির সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানান তিনি। থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “থানার আইসি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আগে অভিযোগ দায়ের হোক। তার পর ব্যবস্থা না নিলে যেখানে যাওয়ার দরকার আমরা সেখানেই যাব।”

    কী ঘটেছিল

    বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবসের অনুষ্ঠান ও জগদল্লা গোরাবাড়ি গ্রামে নির্বাচনী সভা সেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গঙ্গাজলঘাটিতে একটি নির্বাচনী সভায় যোগ দেন বিরোধী দলনেতা । শুভেন্দুর এই সভাকে ঘিরে শুক্রবার দুপুর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল এলাকা। বিজেপি কর্মীদের দাবি, শুভেন্দুর সভায় যাওয়ার জন্য যখন গ্রামের বিজেপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেই সময় স্থানীয় ১০-১২ জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের সভায় যেতে নিষেধ করেন। নিষেধ মানতে অস্বীকার করতেই রড, লাঠি ও কাটারি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পাঁচ জন বিজেপি কর্মী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে সন্ধ্যায় শুভেন্দুর গঙ্গাজলঘাঁটির সভায় হাজিরও হন ওই পাঁচ বিজেপি কর্মী।বিরোধী দলনেতা মঞ্চ থেকেই ওই পাঁচ বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানান।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহা বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় যাতে মানুষ না আসে সেই জন্যই তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। এ ভাবে মানুষকে আটকে রাখা যায় না। এর হিসেব পঞ্চায়েত ভোটের পরে মানুষ বুঝে নেবে।”

    পথে অগ্নিমিত্রা

    বাঁকুড়ার ওই ঘটনার পাশাপাশি বর্ধমানের দুর্গাপুরে বিজেপির দুই প্রার্থীকে হুমকি ও মারধরের অভিযোগে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পথে নামলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের কাঁটাবেড়িয়া এলাকার প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ গুঁই ও টুম্পা সেনকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ তুলে কাঁটাবেরিয়া এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি জানিয়ে দেন, যাঁরা তাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে থানা ঘেরাও করেও আন্দোলনে নামবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari:  “জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) জমানায় উঠেছে একের পর এক দুর্নীতির আভিযোগ। কখনও টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে শিক্ষকতার চাকরি, কখনও আবার চড়া দরে বিক্রি হয়েছে পুরসভার চাকরি। যার জেরে ফুলে ফেঁপে উঠেছেন তৃণমূলের ছোট-বড় সব স্তরের নেতারাই। নিয়োগের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের এই দীর্ঘ তালিকায় নয়া সংযোজন!

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, সংরক্ষিত আসনে ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবস উদযাপন মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানেই নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে। জাল এসসি, এসটি সার্টিফিকেট দিয়ে পুলিশে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। উঠেছে ভুয়ো ব্যালট পেপার ছাপার অভিযোগও। 

    নিশানায় মমতার সরকার

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভুয়ো এসসি, এসটি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশে নিয়োগ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডিএম, এসপি এবং পুলিশ আধিকারিকরা অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের আধিকারিকদের চাপ দিয়ে এসসি, এসটি, ওবিসি নন, এমন মানুষদের সার্টিফিকেট দিতে বাধ্য করেছেন। আর সেই ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে তৃণমূল বিভিন্ন সংরক্ষিত আসনে সাধারণ মানুষকে প্রার্থী করেছে। এভাবে আদিবাসী, জনজাতিদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে এ রাজ্যের সরকার।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “সম্প্রতি এ ব্যাপারে তথ্য জানার অধিকার আইনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি জানতে চেয়েছি সংরক্ষিত আসনে যে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন করেছে, তাঁদের নাম, বাবার নাম ও সাবকাস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতনীদের মধ্যে ভাগ করতে চায়। সংখ্যালঘুদের ৩০ শতাংশ ভোট নিজেদের পকেটে রেখে বাকি সনাতনীদের ভাগ করে পিসি-ভাইপো রাজ চালাতে চান।” 

    সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চেয়েছি নির্বাচন কমিশনের কাছে। নির্বাচন কমিশন উত্তর দিতে বাধ্য। উত্তর দিলে আশাকরি, আর একটি বড় দুর্নীতি সামনে আনতে পারব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    Panchayat Election 2023: কোচবিহারে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিশীথ প্রামাণিকের, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর এক সপ্তাহ বাকি নেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)। এই আবহে, শনিবার সকালে কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। 

    সকাল থেকেই কোচবিহার সার্কিট হাউসে ব্যস্ততা

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দামামা বাজতেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে ঘটে গিয়েছে একাধিক অশান্তির ঘটনা। ঝরেছে রক্ত, গিয়েছে প্রাণ। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বর্তমানে তিনি রয়েছেন কোচবিহারে। এই আবহে, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik Meets Governor)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। এদিন নিশীথের সঙ্গে দেখা যায় বিজেপি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক সুকুমার রায়, বিধায়ক মালতি রাভা, বিধায়ক সুশীল বর্মন, বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মন ও বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে।

    রাজ্যপালকে কী বললেন নিশীথ প্রামাণিক?

    এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সার্কিট হাউসে ঢোকেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর আগে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযোগ জানাব। একইসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হতে পারে, সেই বিষয়েও কথা বলব।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন–পর্ব ও তার পরও কোচবিহারে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ এদিন দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (Nisith Pramanik Meets Governor)। বিধায়ক মালতি রাভা বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা একের পর এক বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে৷ বাড়িঘর ভাঙচুর করছে৷ সেসব নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাব।’’

    আরও পড়ুন: দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষা ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার ডাক দিলেন রাজ্যপাল! কেন জানেন?

    নিশীথের পাশাপাশি এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলও। তাঁদেরও অভিযোগ, শাসক দল তৃণমূল ভোটের প্রচারে করতে বাধা দিচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এআইসিসি সদস্য পিয়া রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘কোচবিহার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের কাছে এসেছি।’’

    আজ দিনহাটায় যাবেন রাজ্যপাল

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহার। দিনহাটা, গিতালদহ, শীতলকুচির মত এলাকায় লাগাতার অশান্তি লেগেছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিছুদিন আগে দিনহাটার শিমূলতলা এলাকায় বিজেপির মন্ডল সম্পাদক খুন হয়েছেন। এরপর দিনহাটা-২ ব্লকের টিয়াদহ গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে পাটখেত থেকে। এর পর দিনহাটা-১ ব্লকের গিতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিও চলেছে। শীতলকুচিতেও তৃনমূল-বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকায় পরিদর্শনে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালেও যাবেন রাজ্যপাল। আক্রান্ত এবং মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন দিনহাটায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Online College Admission: মধ্যরাত থেকেই খুলে গিয়েছে পোর্টাল, স্নাতকস্তরে ভর্তির অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু

    Online College Admission: মধ্যরাত থেকেই খুলে গিয়েছে পোর্টাল, স্নাতকস্তরে ভর্তির অনলাইন প্রক্রিয়া শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চালু হয়েছে কলেজে কলেজে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া (Online College Admission)। পোর্টালের (College Admission Portal) মাধ্যমে রাজ্যের ৫০৯টি কলেজে স্নাতকস্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এ বছর থেকেই এই পোর্টোলের মাধ্যমেই কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হল। তবে, এবার কেন্দ্রীয় পোর্টাল নয়, কলেজের নিজস্ব পোর্টালের মাধ্যমে এই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। 

    অনলাইন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দিনক্ষণ

    মে মাসে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। এর পর গত ২ জুন উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২০২৩-২৪ সালে এবার অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া (Online College Admission) শুরু হবে। সেই মতো, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। জমা পড়া আবেদন পত্রের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ২০ জুলাই। উচ্চশিক্ষা দফতরে ইচ্ছা, সমস্ত প্রক্রিয়া ৩১ জুলাইেয়র মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে ১ অগাস্ট থেকেই কলেজগুলিতে প্রথম সেমেস্টার শুরু করে দেওয়া যায়।

    এই বছর থেকে স্নাতক স্তরের পাঠক্রম চার বছরের। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, যে ছাত্র যে কলেজে ভর্তি হতে চাইবেন তিনি সেই কলেজে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের পোর্টালে (College Admission Portal)  গিয়ে তিনি আবেদন করতে পারবেন। সেখানেই তাঁরা তাঁদের যাবতীয় নথি আপলোড করতে পারবেন। 

    ফর্ম ফিলআপের সময় মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

    অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া (Online College Admission) নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে—

       ⁕ কেবলমাত্র মেধার ভিত্তিতেই পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে তাঁদের শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা যাবে না। 

       ⁕ অনলাইনে পড়ুয়াদের শংসাপত্র আপলোড কিংবা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের কাছ থেকে থেকে কোনও অর্থ আদায় করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। 

       ⁕ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা কলেজে ভর্তির জন্য সুযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের ফোন অথবা ইমেল মারফত সে কথা জানাতে হবে।

       ⁕ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের থেকে নগদে ভর্তির ফি নিতে পারবে না। অনলাইনে অথবা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবেন মেধাতালিকায় নাম থাকা পড়ুয়ারা।

       ⁕ শংসাপত্রে গরমিল পাওয়া গেলে পড়ুয়াদের আবেদনপত্র বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর (Online College Admission)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে  এই অভিযোগে বারবারই সরব বিরোধী দলনেতা। এবার তিনি দেখালেন ছত্রধর পুলিশের ছবি। মঞ্চে বক্তৃতা করছেন তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। বৃষ্টির মধ্যে তাঁর মাথায় ছাতা ধরে আছেন উর্দিপরা এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার এমন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    ছত্রধর পুলিশ

    কাঁকসার তৃণমূল (TMC) নেতার মাথায় পুলিশকর্মীর ছাতা ধরে থাকার ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, ‘আরও এক উদাহরণ, যাতে বোঝা যাচ্ছে মমতা পুলিশ কতটা পক্ষপাতদুষ্ট। কিছু আধিকারিক আঞ্চলিক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় কিছু জন বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করছেন এবং মঞ্চে তৃণমূল নেতা বক্তব্য রাখার সময় কেউ দাসের মতো ছাতা ধরে থাকছেন।’শুভেন্দু আরও লেখেন ‘ভিডিওতে দেখুন, একজন পুলিশকর্মী ছাতা ধরে আছেন, যখন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের টিএমসি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে রাজনৈতিক ভাষণ দিচ্ছেন। ‘

    শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা বা রাজ্য পুলিশকে ডাকেন মমতা পুলিশ হিসেবে। এদিন ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, মমতা পুলিশ যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে না তা আবার সামনে আনল এই ঘটনা। শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এ সবই হচ্ছে যখন রাজ্যে জারি রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আশা রাখব, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিশ বাংলার সর্বত্র অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করবে।’

    আরও পড়ুন: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মমতা-পুলিশের কাজ, তৃণমূলকে রোদ, জল, ঝড় থেকে বাঁচানো আর ছাপ্পা ভোট করানো।” রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা নিয়ে একমত বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    Saayoni Ghosh: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় আগামী, বুধবার ফের তলব করা হল যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh)। শুক্রবার ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইডি দফতর থেকে রাত ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বেরোন সায়নী। তিনি জানান, ‘তদন্তে সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি।বেশ কিছু ডকুমেন্টস চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। ‘ এরপরই তৃণমূল নেত্রী ও অভিনেত্রী জানান, আবারও তাকে তলব করেছে ইডি।’

    ফের তলব সায়নীকে

    ইডি সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ জুলাই,ফের সায়নীকে তলব করা হয়েছে। সায়নী (Saayoni Ghosh) জানান, ‘আমি কিছু বেসিক নথি আজ জমা দিয়েছিলাম। ইডি আধিকারিকরা আরও কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন।’ শুক্রবার সকালে ১১টা ২০ নাগাদ ইডি অফিসে হাজিরা দেন সায়নী। ইডি সূত্রে খবর,  জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সায়নী ঘোষের জমা দেওয়া নথির সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তদন্তকারীরা যুব তৃণমূল রাজ্যসভানেত্রীর কিছু জবাবে সন্তুষ্ট নন। তাই আরও কিছু নথি নিয়ে আবারও সায়নী ঘোষকে তলব করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    কী জানতে চাইল ইডি

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা জানতেই প্রথম এই মামলায় ওঠে সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) নাম। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, ইডি দফতরে অভিনেত্রী-নেত্রীকে তাঁর সম্পত্তি এবং লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। নিয়োগ মামলার তদন্তকারী আধিকারিক-সহ অন্যান্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এঁদের মধ্যে মহিলা আধিকারিকেরা ছিলেন। ব্যাঙ্কের নথি, আয়কর রিটার্ন, সম্পত্তির নথি লেনদেনের তথ্য আনতে বলা হয়েছিল সায়নীকে। বেশ কিছু নথি এনেওছিলেন তিনি। কুন্তলের থেকে কী টাকা পেয়েছেন? কোনও আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন কি না, কুন্তল তাঁর কোনও সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কি না, বা কোনও অনুষ্ঠানের খরচ বহন করেছিলেন কি না সে সব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Panchayat: স্বাধীনতা দিবস থেকেই পঞ্চায়েতে ডিজিটাল লেনদেন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    Digital Panchayat: স্বাধীনতা দিবস থেকেই পঞ্চায়েতে ডিজিটাল লেনদেন, নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত স্তরে আর্থিক দুর্নীতি ঠেকাতে দেশের সব পঞ্চায়েতে (Digital Panchayat) এই স্বাধীনতা দিবস থেকে ডিজিটাল পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হল। পঞ্চায়েতগুলিতে ডিজিটাল লেনদেন চালু করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠাল পঞ্চায়েত মন্ত্রক। কেন্দ্রের যুক্তি, এই নয়া পদ্ধতি আর্থিক স্বচ্ছতা আনবে। আর্থিক অনিয়ম নিয়ে গ্রামবাসীদেরও কোনও অভিযোগ থাকবে না। এই মর্মে দেশের সব রাজ্যের মুখ্য সচিবদের চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক। 

    পঞ্চায়েতে ইউপিআই লেনদেন

    চলতি বছরের ১৫ই অগস্টের পর থেকে, উন্নয়নমূলক কাজ হোক বা রাজস্ব সংগ্রহ – পঞ্চায়েত (Digital Panchayat) স্তরের কোনও কাজে নগদ লেনদেন করা যাবে না। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে দেশের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতকে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩০ জুন), এই বৈঠক করতে হবে। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত করতে হবে। ইউপিআই লেনদেনে সক্ষম হওয়ার পর, প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সাংসদ বা বিধায়কদের উপস্থিতিতে, সেই পঞ্চায়েতগুলিকে ডিজিটাল লেনদেনে সক্ষম বলে ঘোষণা করা উচিত বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক।

    দুর্নীতি দমন করবে ডিজিটাল লেনদেন

    রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই মন্ত্রকের তরফে লেখা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে যে, প্রায় ৯৮ শতাংশ পঞ্চায়েত (Digital Panchayat) ইতিমধ্যেই ইউপিআই ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন শুরু করেছে। পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (PMFS) মাধ্যমে প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পঞ্চায়েতগুলি থেকে ডিজিটালভাবে টাকার লেনদেন করা হবে। চেক ও নগদ অর্থ প্রদান প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে। পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের সচিব, সুনীল কুমার জানিয়েছেন,“পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর মাধ্যমে প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থপ্রদান করা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলিতে অর্থপ্রদান এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই করা হচ্ছে। চেক এবং নগদে অর্থপ্রদান প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। এখন প্রায় সব পঞ্চায়েতেই ডিজিটাল পেমেন্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৮ শতাংশ পঞ্চায়েত কভার করে ফেলেছি।”

    আরও পড়ুুন: বাদল অধিবেশনেই সংসদে পেশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল! ভাবনা মোদি সরকারের

    পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিলের দাবি, ডিজিটাল লেনদেন দুর্নীতি দমনে সাহায্য করবে। তিনি বলেছেন, “বেশিরভাগ পঞ্চায়েত এখন ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহার করছে। এটি দুর্নীতি রোধে সাহায্য করবে। পরিকল্পনা থেকে অর্থপ্রদান, সবকিছুই আজকাল ডিজিটালভাবে করা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Panchayat Election 2023: কুড়মি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ধমকেছিলেন। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ২৮ জন কুড়মি প্রার্থী। মামলার শুনানি চলে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশ, ওই প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। ১৫ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।

    কুড়মিদের বিক্ষোভ

    গত ২৬ মে ঝাড়গ্রামে নবজোয়ার কর্মসূচি সেরে লোধাশুলি হয়ে শালবনি যাওয়ার পথে অভিষেকের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা। এই হামলার ঘটনায় কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি রাজেশ মাহাত ও আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজি মাহাত সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডিকে। যদিও রাজেশের দাবি ছিল, সিবিআই তদন্তের।

    অভিষেকের হুঁঁশিয়ারি

    বিক্ষোভকারীদের (Panchayat Election 2023) হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, “যারা করেছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করেছি। প্রশাসনও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে। ভদ্রতার খাতিরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেছি। খেলা তুমি শুরু করেছ, আমি শেষ করব।” ওই মামলায় অভিযুক্তরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মি প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা না হয়, সেই আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কুড়মিরা। সেই মামলায় আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তাঁরা তাঁদের বাড়ির ঠিকানা, এই কয়েকদিন যেখানে তাঁরা থাকবেন, সেখানকার ঠিকানা ও তাঁদের মোবাইল নম্বর স্থানীয় থানায় জমা দেবেন।

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    এক সময় জঙ্গলমহলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের আধিপত্য থাকলেও, ক্রমেই সরছে পায়ের নীচের মাটি। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে ‘নো ভোট টু টিএমসি’র ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। ধৃত নেতাদের মুক্তি না দিলে এবং কুড়মি সমাজের দাবি (Panchayat Election 2023) না মানলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিল কুড়মি সমাজের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জঙ্গলমহলে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন কুড়মি সমাজের প্রার্থীরাও। প্রার্থী যে দেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অশোক মাহাত। তিনি বলেছিলেন, “আমরা এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহলে প্রার্থী দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    Manipur: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর, পদত্যাগ করা হল না বীরেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমর্থকদের দাবির কাছে হার মানতে হল মণিপুরের (Manipur) মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহকে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। যদিও প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বেলা আড়াইটে নাগাদ ২০ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ততক্ষণে ইম্ফলে তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হবে বীরেনকে।

    ছেঁড়া হল ইস্তফাপত্র

    একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিজের বাসভবনে ফিরে যান তিনি। এর পর বেরিয়ে আসেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাপত্রটি নিয়ে পড়তে শুরু করেন তিনি। সেই সময়ই কিছু মহিলা সমর্থক মন্ত্রীর হাত থেকে ইস্তফাপত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সংবাদ মাধ্যমকে ওই মহিলারা বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর (Manipur) পদত্যাগের ঘোরতর বিরোধী। তিনি পদত্যাগ করলে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির বিশেষ হেরফের হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর ছেঁড়া সেই ইস্তফাপত্রের ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন বীরেনই

    মণিপুর সরকারের অন্যতম মুখপাত্র সাপাম রঞ্জন সিংহ জানান, সমর্থকদের চাপের মুখে কিছু মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। পরে ওই মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বেরিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রী আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। রবিবারই আলোচনার জন্য বীরেনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন (Manipur) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে ট্যুইট-বার্তায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে আমরা যেন আমাদের কাজকে আরও শক্তিশালী করি।”

    আরও পড়ুুন: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    প্রসঙ্গত, মাস দেড়েকেরও বেশি সময় ধরে আক্ষরিক অর্থেই জ্বলছে মণিপুর। লাগাতার হিংসার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড়শোর কাছাকাছি। ঘরছাড়া হয়েছেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় গত শনিবার সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পরেও বিক্ষিপ্ত (Manipur) অশান্তি চলছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। ঘটনার সূত্রপাত ৩ মে। মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায় তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি মেইতেইদের তফশিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের জনজাতি বিভিন্ন সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিল বের করে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপর। তার পর থেকে রাজ্যে বিরাম নেই হিংসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    Yogi Adityanath: আতিকের দখল করা জমিতে বহুতল, গরিবদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি দিলেন যোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন গ্যাংস্টার। পরে হয়ে যান রাজনীতিক। তারও পরে বিধায়ক, সাংসদ। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) এহেন গ্যাংস্টার কাম রাজনীতিক আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা ছিল ১০০-রও বেশি। ফুলপুরের সাংসদ এবং প্রয়াগরাজের বিধায়ক থাকার সময় তিনি প্রয়াগরাজের লুকারগঞ্জ এলকায় বেশ কিছু জমি দখল করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    আতিকের বেআইনি জমি

    আতিকের সেই জমি ও একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) সরকার। আতিকের দখল করা সেই জমিতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গড়ে তোলা হয় বহুতল। লটারির মাধ্যমে সেই ফ্ল্যাট বিলিয়ে দেওয়া হল আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে পরিবারগুলিকে। শুক্রবার সুবিধাভোগীদের হাতে চাবি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং।

    ফ্ল্যাট পেতে লটারি

    আতিকের দখল করা যে জমিতে বহুতল গড়ে তুলেছে যোগী সরকার, তার পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৩১ স্কোয়ার মিটার। ২০২১ সালে ওই জমিতে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Yogi Adityanath)। দুই ব্লকের আবাসনে রয়েছে ৪১ বর্গমিটারের দু কামরার ওই ফ্ল্যাটগুলি। রয়েছে একটি রান্নাঘর এবং একটি টয়লেটও। ফ্ল্যাট পেতে প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কাছে আবেদন করেছিল হাজার ছয়েক পরিবার। তার মধ্যে থেকে ফ্ল্যাট পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন ১ হাজার ৫৯০ জন আবেদনকারী। লটারির মাধ্যমে এঁদের মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হয় ৭৬টি পরিবারকে।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের আরও কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই

    সুবিধাভোগীদের হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই রাজ্যেই ২০১৭ সালের আগে মাফিয়ারা গরিব, ব্যবসায়ীদের এমনকি সরকারি জমিও দখল করে নিত। অসহায়েরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন। আর এখন আমরা গরিবদের জন্য বাড়ি বানাচ্ছি। মাফিয়াদের দখল করে নেওয়া জমি আমরা গরিবদের বিলি করছি। এটা একটা বড় কৃতিত্ব।”

    প্রসঙ্গত, জনৈক রাজু পাল ও উমেশ পাল খুনে নাম জড়ায় আতিক ও তাঁর ভাই আশরফের। এপ্রিল মাসে গুজরাটের জেল থেকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে আসা (Yogi Adityanath) হয়েছিল দুই ভাইকে। ১৫ এপ্রিল রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল প্রয়াগরাজ হাসপাতালে। পথে তিন বন্দুকবাজের হামলায় নিহত হন আতিক ও তাঁর ভাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share