Blog

  • Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    Rath: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রথে আগুন ত্রিপুরায়, ঝলসে মৃত ৭, সাহায্য ঘোষণা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসির বাড়ি থেকে উল্টোরথের (Rath) দিন ফেরেন প্রভু জগন্নাথ। সেই আনন্দে মেতেছেন দেশ-বিদেশের ভক্তরা। উল্টোরথ ঘিরে ত্রিপুরায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রথে আগুন লাগায় প্রাণ হারালেন ৭ জন।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    উল্টোরথ (Rath) উপলক্ষে এদিন বিকাল থেকেই ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কুমারঘাটে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। জানা গিয়েছে, ফি বছর এই রথের মেলায় তিল ধারণের জায়গা থাকে না, এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মধ্যে আচমকা রথে ধরে যায় ভয়াবহ আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে লেলিহান শিখা। ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনার জেরে শোকের ছায়া গোটা রাজ্যে।

    কীভাবে আগুন লাগে?

    রথে (Rath) আগুন লাগার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরায় উনাকোটি জেলায়। খবর যায় দমকলেও। সূত্রের খবর, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা ১৩৩ কিলো-ভোল্টের হাই-টেনশন লাইনের সংস্পর্শে এসে যায় রথটি। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। আগুনের করাল গ্রাস থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সমবেত জনতার মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কুমারঘাটে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে ওই ওভারহেড তারের সংস্পর্শে এল রথটি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রথযাত্রার জন্য আগে থেকেই যেখানে বিদ্যুতের তার উঁচু করে দেওয়া হয় এবং রথের উচ্চতাও স্থির করে দেওয়া হয়, সেখানে কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহারত

    ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তিনি এদিন ঘোষণা করেন, নিহতদের সন্তানদের ৪ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। ষাট শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে যাঁদের শরীর তাঁরা পাবেন আড়াই লাখ টাকা। অন্যদিকে ৪০-৬০ শতাংশ শরীর পুড়েছে যাঁদের, তাঁরা পাবেন ৭৪ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এই দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, উনাকোটির জেলা শাসকের নেতৃত্বে চলবে এই তদন্ত।

    নিজের ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, “কুমারঘাটে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় উল্টো রথ টানার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বেশ কয়েকজন  প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অনেকে আহতও হয়েছেন। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই। এই কঠিন সময়ে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    Bhim Army: উত্তর প্রদেশে গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি প্রধান ‘রাবণ’, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুলিবিদ্ধ ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandrashekhar Azad) ওরফে রাবণ। বুধবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভীম আর্ম প্রধান। এদিন বিকেলে সাহারানপুরে উত্তর প্রদেশের এই দলিত নেতার কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি সাদা গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে মোট চার রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তাঁর পিঠে। সাহারানপুর জেলা পুলিশের সিনিয়র সুপার বিপিন টডা বলেন, দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

    গুলি লাগে আজাদের পিঠে

    জানা গিয়েছে, এদিন সাহারানপরে এক সমর্থকের বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান চন্দ্রশেখর। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্বৃত্তরা হরিয়ানার নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়িতে করে এসেছিল। বিপিন বলেন, চন্দ্রশেখর আজাদের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। একটি গুলি লাগে তাঁর গায়ে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ভীম আর্মি প্রধান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়েক হাজার ভীম আর্মি এবং আজাদ সমাজ পার্টির কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেন হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে চলে না যায়, তাই হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    আজাদ সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠা

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে আজাদ সমাজ পার্টি গড়েছিলেন চন্দ্রশেখর (Bhim Army)। বাইশের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। গোরক্ষপুর (শহর) কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন চন্দ্রশেখর। যদিও হেরে যান। চন্দ্রশেখরের গড়া ভীম আর্মি একটি সামাজিক সংগঠন।

    এই সংগঠনের ব্যানারে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন রাজ্যে দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছে ভীম আর্মি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ভীম সেনা প্রধান।

    আরও পড়ুুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    চন্দ্রশেখর গুলিবিদ্ধ হওয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, ভীম আর্মি (Bhim Army) প্রধান ভাই চন্দ্রশেখর আজাদের ওপর গুলি চালনার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। বহুজন মিশন আন্দোলন বন্ধ করতেই তাঁকে গুলি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি। তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিও জানাচ্ছি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে জঙ্গলরাজের সঙ্গে তুলনা করেন অখিলেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    Calcutta High Court: সংরক্ষিত আসনে টেটে পাশ মার্ক নিয়ে ভিন্ন মত ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের (TET) সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর নিয়ে ভিন্ন মত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি। তাই মামলাটি গেল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সেখান থেকে যাবে তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে সংরক্ষিত প্রার্থীদের পাশ নম্বর কত।

    এনসিটিই-র নিয়ম

    সংরক্ষিত প্রার্থীদের টেট পাশের জন্য পেতে হবে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর। যার অর্থ, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষায় পেতে হবে ৮২.৫। এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে ধরা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-র মধ্যে ৮২ নম্বর পাওয়া মানে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর হচ্ছে না। ১ নম্বর বেশি হলে তবেই তা শতাংশের বিচারে হত ৫৫.৩৪। কেবল সেক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হত ৫৫ শতাংশের নিয়ম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য ৮২ নম্বর পাওয়া টেট প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। রায়দানকালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ এবং এনসিটিই-র রিপোর্টেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন প্রার্থী।

    ডিভিশন বেঞ্চে ভিন্ন মত

    বুধবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই ভিন্ন মত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক বলে মত দেন। কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের দাবি, ৮২.৫ নম্বর পেলেই উত্তীর্ণ বলে ধরা হবে। সেক্ষেত্রে তা ৮৩-ও হতে পারে। নম্বরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে রাজি নন তিনি। ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করায় মামলাটি গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। তিনি সেটি পাঠাবেন তৃতীয় বেঞ্চে। সেখানেই নির্ধারিত হবে উত্তীর্ণ মান কত – ৮২ না ৮৩?

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, সারা দেশেই ৮২ নম্বরকেই উত্তীর্ণ মান ধরা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করে, এমনই আবেদন করেছিলেন আবেদনকারীরা। ৮২ নম্বরকেই পাশ মার্ক হিসেবে মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনালে মুখোমুখি হলে ম্যাচ ইডেনে! জাগছে আশা

    ICC World Cup 2023: ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনালে মুখোমুখি হলে ম্যাচ ইডেনে! জাগছে আশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট হোক বা ফুটবল অথবা হকি— ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই এক আলাদা উত্তেজনা। এক আলাদা অনুভূতি। এক আলাদা শিহরণ। সব শহরই চায় এই রুদ্ধশ্বাস পরিবেশের সাক্ষী হতে। তবে, সবার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে না। বুধবারই প্রকাশিত হয়েছে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) সূচি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা (আইসিসি) প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) হাই-ভোল্টেজ গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ হতে চলেছে লক্ষাধিক দর্শকাসন বিশিষ্ট দেশের বৃহত্তম আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সূচি অনুযায়ী, বিশ্বকাপের দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচের একটি হবে মুম্বই এবং দ্বিতীয়টি কলকাতায়। 

    এবারের বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) আয়োজক দেশ ভারত। নিয়ম অনুযায়ী, আয়োজক দেশ যদি শেষ চারে ওঠে, তাহলে তারা সেমিফাইনাল কোন মাঠে খেলবে, সেটা পছন্দ করতে পারে। এই সুবিধা হোস্ট নেশনকে দেওয়া হয়ে থাকে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, টিম ইন্ডিয়া শেষ চারে উঠলে, মুম্বইতে খেলা পড়বে রোহিত-ব্রিগেডের। টিম ইন্ডিয়ার তেমনটাই পছন্দ। মেন ইন ব্লু-রা চাইছে দল সেমিফাইনালে উঠলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই খেলতে। বোর্ডের তরফে তেমনটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে সম্মতও হয়েছে আইসিসি।

    এক শর্তেই সরতে পারে রোহিতদের ম্যাচ 

    তবে, এর মধ্যেও একটা ব্যতিক্রম রয়েছে। কী সেই ব্যতিক্রম? কী সেই শর্ত? জানা যাচ্ছে, সেমিফাইনালে যদি ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হয়, তাহলে একমাত্র তখনই এই ম্যাচ মুম্বইয়ের পরিবর্তে কলকাতায় হতে পারে। কিন্তু, ভারত তো জানিয়ে দিয়েছে তারা মুম্বইতে খেলবে! এখানেই আসছে শর্ত! বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) তাদের ভেন্যু নিয়ে একাধিক বদলের সুপারিশ করেছিল পাকিস্তান। একটি বাদে সবকটিই খারিজ করেছে আইসিসি ও বিসিসিআই। ওই একটি শর্ত হল, পাকিস্তান জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে তারা মুম্বইতে খেলবে না। যা মেনে নিয়েছে ভারতীয় বোর্ডও। বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, মুম্বইতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ করার ঝুঁকি নিতে চায় না বোর্ড। এর প্রধান কারণ হল নিরাপত্তা। 

    আরও পড়ুন: উৎসবের দিনে বিশ্বকাপ! সমস্যা হবে না, দাবি সিএবি কর্তাদের

    কী বলছে ভারতীয় বোর্ড?

    বোর্ড কর্তার মতে, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর থেকে আরব সাগরের পাড়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলেই সমস্যার মুখে পড়েছে বোর্ড। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হুমকি, বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে। ১৯৯১ সালে ভারত-পাক ম্যাচের আগে খুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল ওয়াংখেড়ের পিচ! তাই বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মুম্বইয়ে আয়োজন করার দিকে ঝুঁকবে না বিসিসিআই। সেক্ষেত্রে, যদি ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) সেমিফাইনাল ম্যাচ হয় তাহলে ইডেন গার্ডেন্সে খেলা হতে পারে। 

    এখন সেই আশায় বুক বাঁধছে তিলোত্তমা!

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে সশরীরে রাজীব সিনহা, কেন আদালতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিন পঞ্চায়েত  নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। তাই রাজীব আদালতে উপস্থিত হওয়ায় দানা বাঁধে জল্পনা। রাজীব জানান, একটি হলফনামা দাখিলের জন্য আদালতে এসেছিলেন তিনি। তবে আদালত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় একটি হলফনামায় সই করতে আদালতে এসেছিলেন রাজীব। হাইকোর্ট থেকে বেরনোর সময় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় রাজীবকে। তিনি জানান, দফা নিয়ে আদালতে কোনও কথা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে বাহিনী আসবে। মাঝে কয়েকদিন ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে জট পেকেছিল। তা খুলেছে।

    পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা

    এদিন পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে। এরই একটি হল কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরেও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন। চাপ সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলুন, আর পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে তিনি ওই পদে বসাবেন। ওই পদের অনেক গুরুত্ব আছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    নির্বাচন (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। এরই একটি হল, দফা বাড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দাবি সংক্রান্ত মামলা। মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন সে প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখনও পর্যন্ত যা নির্ঘণ্ট তাতে এক দফায়ই পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) বাকি আর মাত্র নয়দিন। তবু মামলা যেন মিটছে না। এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। 

    কেন পর্যবেক্ষক প্রয়োজন

    অতীতের ভোটে হিংসার কথা বিবেচনা করে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। দাবি জানিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে। তাদের বক্তব্য ছিল, এর আগের ভোটগুলিতে বাংলায় ভয়ঙ্কর ছবি দেখা গিয়েছিল। তার জন্য়ই পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মামলায় দাবি করা হয়, একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার ওপর আরেকটি বিধিবদ্ধ সংস্থা এভাবে নজরদারি করতে পারে না। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। 

    আরও পড়ুন: ‘৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে’, ভোটপ্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যে ব্যাপক হিংসা ছড়ায়। ফল প্রকাশের দিনই কলকাতার বেলেঘাটায় বিজেপি কর্মী অভিজিত সরকারকে শাসকদলের লোকজন বাড়ি থেকে টেনে এনে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই খুনের সিবিআই তদন্ত এখনও চলছে। সেই সময় রাজ্যে আরও বেশ কয়েকটি হিংসার ঘটনা ঘটে। বিজেপি তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্ট হয়ে সেই জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হিংসার তদন্তে প্রতিনিধিদল পাঠায় রাজ্যে। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করে রাজ্য সরকার। এবার পঞ্চায়েত ভোটেই (Panchayat Election 2023) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চেয়েছে। বিরোধিতা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। এবার আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Panchayat Election 2023: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    Panchayat Election 2023: ‘‘এমন পদক্ষেপ করুন যাতে মানুষ ভরসা পায়’’, কমিশনকে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) বাহিনী কীভাবে, কোথায় মোতায়েন হবে তার কোন পরিকল্পনা কেন্দ্রকে জানায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বাহিনীকে বুথে পাঠানো হবে নাকি অন্য কাজে লাগানো হবে তার কোন উত্তর কমিশন দেয়নি। শুধু কোন জেলায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে তার একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী।  বাহিনীর পরিবহণ ও থাকার জায়গা নিয়ে রাজ্যের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার কোন উত্তর মেলেনি বলেও অভিযোগ তাঁর। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি, বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা আমরা কেন্দ্রকে দিয়েছি  এবং কেন্দ্র তার উত্তরও দিয়েছে।

    প্রধান বিচারপতির মন্তব্য

    দু পক্ষের সওয়াল শেষে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, এখানে কেন্দ্রের যে নোডাল অফিসার আছেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না কেন?  তাঁর সঙ্গে বৈঠক করুন, ইতিবাচক (Panchayat Election 2023) সিদ্ধান্ত নিন। তিনি বলেন, শুধু আদালত আশ্বস্থ হলে হবে না, মানুষ যেন ভরসা পায় যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গেলে কিছু হবে না। সেই ধরনের কিছু পদক্ষেপ করুন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা এই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের হাত ধরে সুপ্রিম কোর্ট চলে গেলেন। কিন্তু এই কমিশনই আগে রাজ্যের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরাও বারবার হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে যে আমাদের হস্তক্ষেপ করতেই হচ্ছে।

    ‘আমরা বিরক্ত’

    প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিরক্ত।  ছোটখাটো সব হিসাব করার জন্য আমরা বসে নেই। পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা ভালভাবে করা সহজ কাজ নয়,  রাজ্য এবং কমিশন একসঙ্গে কাজ করলে তবেই সেটা সম্ভব। আপনাদের নিজেদের সম্মান এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য এমন পদক্ষেপ করুন যাতে সাধারণ মানুষ আপনাদের(কমিশনকে) ভরসা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের (Panchayat Election 2023) আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না বলেও এদিন ফের মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য,  মনে হচ্ছে আমাদের(বিচারপতিদের) এখান থেকে সরোজিনী নাইডু সরণিতে স্থানান্তরিত হতে হবে।  নির্বাচন কমিশনকে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করুন বলে রাজ্যকেও পরামর্শ প্রধান বিচারপতির।

    আরও পড়ুুন: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    তিনি বলেন,  আপনারা এক দফায় ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাঁচ দফায় নয়। তাই আপনাদের তরফ থেকে আরও সহযোগিতা লাগবে।  রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। কমিশন কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও চেয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি রাজকেও রিপোর্ট পেশের নির্দেশ আদালতের। যদি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ভোটকর্মী নিয়োগ করা না হয়ে থাকে তবে অবিলম্বে তা করতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: আইসি, এসডিপিও-ওর বিরুদ্ধে এফআইআর! বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

    Panchayat Elections 2023: আইসি, এসডিপিও-ওর বিরুদ্ধে এফআইআর! বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যানিংয়ের আইসি, এসডিপিও-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল রাজ্য। ক্যানিংয়ের হাটপুখুরিয়া পঞ্চায়েতের (Panchayat Elections 2023) তৃণমূল উপপ্রধান সিরাজুল ইসলাম ঘরামির অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যানিংয়ের আইসি, এসডিপিও এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।

    সন্ত্রাসের অভিযোগ

    পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) মনোনয়ন পর্বের একেবারে শুরু থেকেই বারবার সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়েই চলছে সন্ত্রাস। অভিযোগ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মোট ২৭৪টি আসনে বিরোধীরা মনোনয়নপত্রই জমা দিতে পারেনি। এই আবহে মামলাকারী সিরাজুলের বক্তব্য, গত ১১ জুন ২৭৪ জনকে নিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেখানে স্থানীয় বিধায়ক পরেশ নাথ দাসের মদতে কয়েকশো দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরেন। মনোনয়ন জমা দিতে যেতে বাধা দেন। অভিযোগ, ভিড়ের মধ্যে এসডিপিও দিবাকর দাস ও ক্যানিংয়ের আইসি দুষ্কৃতীদের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই গুলি চালান। 

    আরও পড়ুন: ‘গ্রেফতার করা হতে পারে’! রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র

    আদালতে সিরাজুলের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ও সৌম্য নাগ। বিচারপতি মান্থার এজলাসে গোটা বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবীরা। ওই ঘটনায় সাত জন আহত হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করে, যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদেরই মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যদিও মান্থার এজলাসে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেশিরভাগ অভিযোগই মিথ্যা। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি মান্থা বিধায়ক ও দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেন। দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য। আগামী বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: শেষ হাসি হাসলেন রাজ্যপাল! অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্যের! এবার অবশ্য নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও মামলায় নয়, রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মামলায়। বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের (C V Anand Bose) সিদ্ধান্তই বৈধ। তিনি যে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন, তাঁদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। উপাচার্যদের বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, বাবাসাহেব আম্বেদকর এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই মোট ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর পরেই শুরু হয় (Calcutta High Court) রাজভবন-নবান্ন বিরোধ।

    একতরফা নিয়োগের অভিযোগ ব্রাত্যর

    রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এই উপাচার্যদের মানে না শিক্ষা দফতর। কারণ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই ১১ জন উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। একতরফা নিয়োগের অভিযোগ তোলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ঘোষণা, শিক্ষা দফতর এই উপাচার্যদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ওই উপাচার্যরা যাতে পদ প্রত্যাহার করেন, সেই মর্মে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে তাঁদের সসম্মান অনুরোধও জানান ব্রাত্য। তবে তাঁর আবেদনে কান দেননি ১০ জন উপাচার্যই। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একজন অবশ্য গ্রহণ করেননি নিয়োগপত্র। এর পরেই রাজ্যের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই উপাচার্যরা বেতন পাবেন না।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    গত ৫ জুন রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা দায়ের করেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎকুমার ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল যাঁদের নিয়োগ করেছেন, সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়নি। মানা হয়নি আইনও। মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে। বুধবার এই মামলাটি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য যেভাবে এই আবেদনকে সমর্থন করেছিল, সেই বিষয়টিও ঠিক নয় বলে মন্তব্য আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    Weather Forecast: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দেশ, হিমাচল প্রদেশে মৃত ৯, রাজস্থানে ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেরিতে এসেও দাপট দেখাচ্ছে বর্ষা (Weather Forecast)। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ (Heavy Rain)। তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, দিল্লি, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং অসম সহ উত্তর পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে ধারাপাত। প্রবল বর্ষণের জেরে ধস নামতে শুরু করেছে হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। জায়গায় জায়গায় খবর মিলেছে হড়পা বানের। আরও কয়েক দিন প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, গোয়া এবং গুজরাট সহ বিভিন্ন রাজ্যে হবে প্রবল বর্ষণ। অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বৃষ্টি হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আজ, বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কেরলে। ৩০ জুন পর্যন্ত ধারাবর্ষণ হবে গুজরাট, কর্নাটক এবং মধ্য মহারাষ্ট্রে।   

    বজ্রপাতে মৃত্যু

    রাজস্থানে বজ্রপাতের (Weather Forecast) পৃথক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এর মধ্যে এক নাবালিকাও রয়েছে। আগেই বানভাসি হয়েছিল অসম। রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ খানিক কমলে নামতে শুরু করে জলস্তর। তবে এখনও রাজ্যের বহু গ্রামে বুক সমান জল। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বারপেটা, বক্সা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, উড়ালগুড়ি এবং নলবাড়ি জেলা। বিভিন্ন এলাকায় নেমেছে ধস। বন্যার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাজ্যের বহু এলাকা।

    বিপাকে পর্যটকরা

    ভারী বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশে বন্ধ রয়েছে ৩০১টি রাস্তা। মান্ডি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধস নেমেছে। প্রবল বর্ষণের জেরে মান্ডিতে বিপাশা নদীর জল বাড়ছে। জোরালো বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মন্থলা পঞ্চায়েতের কমিউনিটি হল। বেড়াতে গিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পর্যটকরা। 

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    ভারী বৃষ্টির (Weather Forecast) সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে। হড়পা বান, ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। অমরনাথের পথেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী। দেরাদুন সহ সমগ্র উত্তরাখণ্ডের জন্য জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। গত ২৪ ঘণ্টায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে গোয়ার পানাজির বেশিরভাগ এলাকা।

    প্রবল বৃষ্টির জেরে মহারাষ্ট্রের (Weather Forecast) থানেতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে প্রয়াত অভিনেত্রী নূতনের বাংলোর একটি অংশ। বাংলোটি খালি থাকায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। হাওয়া অফিসের তরফে মুম্বইয়ে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share