Blog

  • PM Modi’s US Visit: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউসে

    PM Modi’s US Visit: মোদির হাত ধরে বাংলার শিল্প এবার হোয়াইট হাউসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় পঞ্চম প্রজন্মের রৌপ্যশিল্পীদের পরিবারের হাতে তৈরি রুপোর গণেশ, রুপোর প্রদীপ, রুপোর নারকেল শোভা পাচ্ছে হোয়াইট হাউসে। ভারতীয় সংস্কৃতিতে অতিথিদের যেমন ঈশ্বর তুল্য মনে করা হয়, তেমনই আবার খালি হাতেও কারোর বাড়িতে যাওয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী মোদিও (PM Modi’s US Visit) সেই রীতি মেনে চলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আমন্ত্রণেই সে দেশে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। ঝুলি ভর্তি করে নিয়ে গিয়েছেন এক গুচ্ছ উপহার। তাতে রয়েছে বাইডেনের পছন্দসই উপহার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, এমন নানান উপহারও। 

    বিবিধ উপহার

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি উপনিষদ উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ‘দ্য টেন প্রিন্সিপালস অফ উপনিষদ’ নামে ওই বইটি লন্ডনের ফেবার অ্যান্ড ফেবার প্রথম মুদ্রণে প্রকাশিত। এছাড়াও মোদি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে একটি বিশেষ চন্দন কাঠের বাক্স উপহার দিয়েছেন। রাজস্থানের জয়পুরে এই বাক্স তৈরি করা হয়েছে। চন্দন কাঠ আনানো হয়েছে কর্নাটকের মাইসোর থেকে। ওই বাক্সের উপরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রকৃতির নানা চিত্র। 

    ‘দশ দান’-এর মাহাত্ম্য

    ওই বাক্সের মধ্যে আবার রয়েছে ‘দশ দান’। সহস্র পূর্ণচন্দ্র উদযাপনের সময়ে দশ দান দেওয়া ভারতীয় সংস্কৃতি ও শাস্ত্রীয় রীতি। পূর্ব ভারতে এই রীতি বিশেষ দেখা যায় না। উত্তর ভারতে সহস্ত্র পূর্ণচন্দ্র উদযাপন বড় ব্যাপার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্য সহস্র পূর্ণচন্দ্র অনুষ্ঠান উদযাপন করেছিলেন প্রমোদ মহাজন। জীবদ্দশায় কোনও ব্যক্তি এক হাজার তম পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পেলে এই অনুষ্ঠান করা হয়। যে দশ দান করা হয় তা হল, গো-দান, ভূ-দান, তিল দান, হীরণ্যদান, অহ্যদান, ধান্যদান, বস্ত্র দান, গুড়দান, রৌপ্যদান এবং লবণ দান।

    বাইডেনকে মোদির দশ-দান

    গো-দানের স্মারক হিসাবে বাইডেনকে যে রুপোর নারকেল উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তা বাংলার স্বর্ণ শিল্পীদের নকশা করা। ভূ-দান হিসাবে মাইসোরের এক টুকরো চন্দন কাঠ দেওয়া হয়েছে, তামিলনাড়ু থেকে আনা হয়েছে তিল, রাজস্থানের শিল্পীরা নকশা করে দিয়েছেন একটি রূপোর মুদ্রায়। সেই সঙ্গে গুজরাট থেকে আনা হয়েছে লবণ। এছাড়া পঞ্জাব থেকে ঘি, ঝাড়খণ্ডের সিল্ক, উত্তরাখণ্ডের চাল,মহারাষ্ট্রের গুড়ও ছিল ওই বাক্সে।

    আরও পড়ুুন: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    কলকাতার রুপোর গণেশ 

    ওই বাক্সে রয়েছে রুপোর গণেশের একটি মূর্তি। এই মূর্তি আবার তৈরি করেছেন কলকাতার স্বর্ণকার পরিবার। যারা পাঁচ প্রজন্ম জুড়ে এই কাজ করছেন। চন্দন কাঠের বাক্সের পাশাপাশি উপহার দেওয়া হয়েছে রুপোর একটি প্রদীপও। এই প্রদীপও কলকাতার ওই গহনা প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে তৈরি করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উপহার দেওয়া হয়েছে একটি তাম্র পাত্র বা তামার প্লেট। উত্তরপ্রদেশ থেকে আনানো এই তাম্র পাত্রে লেখা রয়েছে শ্লোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিন্‌হা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার মামলাটি শোনা হবে। 

    ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের

    নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা পাচার, গরু পাচারের পর পঞ্চায়েত ভোটেও (Panchayat Election 2023) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থীর আর্জির ভিত্তিতে বিডিওর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। 

    কঠোর বিচারপতি

    এই মামলাতেই বুধবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই এই তদন্তভার রাজ্যের কোনও সংস্থাকে দেওয়া যাবে না। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি। ভোট (Panchayat Election 2023) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামী ৭ জুলাই তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানিতেও কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    আরও পড়ুুন: হুমায়ুনের পর এবার বিদ্রোহী মনোরঞ্জন! ছাড়লেন দলীয় পদ

    একই সঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করার কথা প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিন্‌হা মন্তব্য করেন, ‘‘একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে বা অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    Yogi Adityanath: “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের অংশ হতে,” দাবি যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান কপর্দকশূন্য। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) বাসিন্দারা চাইছেন ভারতের অংশ হতে।” মঙ্গলবার এই দাবি করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগরে প্রায় ১২১২ কোটি টাকার ২৩৩৯টি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের আইনেই কাশ্মীরকে (Kashmir) শাসন করা হচ্ছে। একটা নতুন শান্তি আর উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে চলেছে কাশ্মীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও চাইছেন ভারতের মধ্যে চলে আসতে। কেউই আর পাকিস্তানে থাকতে চাইছেন না।”

    ৩৭০ ধারা রদ

    কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ন’ বছর আগে কেউ কি ভেবেছিলেন যে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সম্ভব? কেউ ভাবতে পারেননি। এবং আপনারা দেখলেন ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হল ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।”

    শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ 

    আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, “আজ কাশ্মীরে কোনও হিংসা নেই। সেই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের লোকজনও ভারতের অংশ হতে চাইছেন। আসলে দরিদ্র পাকিস্তানের সঙ্গে কেউই থাকতে রাজি নন।” তিনি বলেন, “সেই ১৯৫২ সালে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন দুজন প্রধান, দুটো পতাকা এবং দুটো বিধান এক দেশে থাকতে পারে না। সেই কারণে তাঁকে জীবন বলি দিতে হয়েছিল। শ্যামাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।”

    আরও পড়ুুন: আবার ভাঙন শাসকদলে! সুকান্তর হাত ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মোদি জমানায় যে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, এদিন তাও জানান আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের পরিকাঠামোর উন্নতি করা, সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ সহ সকলের উন্নতির জন্য বিগত বছরে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে মোদি সরকার।” তিনি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি কার্যকলাপ, মাওবাদী, নকশালদের হিংসার ঘটনা ছিল। দেশের মধ্যে ১১৫টি জেলায় ছড়িয়ে ছিল তারা। এখন সেটা কমে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে ৩ থেকে ৪টি জেলায়।” প্রধানমন্ত্রীকে ‘সংকটমোচন’ বলেও উল্লেখ করেন আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি বলেন, “বর্তমানে কোনও দেশ বিপদে পড়লে ভারতের শরণ নেয়। প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হন সংকটমোচনের ভূমিকায়। ভারত বদলে গিয়েছে। তামাম বিশ্বেরই মূল্যায়ন এটি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manipur Violence: নতুন করে ছড়াল হিংসা! মণিপুর নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Manipur Violence: নতুন করে ছড়াল হিংসা! মণিপুর নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত মনিপুর (Manipur violence)। উত্তর বোলজাংয়ে তল্লাশির সময় অসম রাইফেলস জওয়ানদের ওপর গুলি বৃষ্টি শুরু হয়। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। তিন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শুধু পশ্চিম ইম্ফল নয় মনিপুরের অন্য অংশেও নতুন করে হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চলছে রাত দিন টহলদারি, মানুষের আস্থা ফেরানোর কাজও। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৪ শে জুন মনিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন। পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে শান্তি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অমিত শাহর এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    মণিপুর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি (Manipur violence) ফেরাতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন সাউথ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসেই ৩টে নাগাদ বৈঠকটি হবে। মণিপুরে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা কেন্দ্রকে মণিপুর নিয়ে চিঠি লিখেছেন। এদিকে মণিপুরেরও ৯ জন বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করেছেন। এই আবহে অবশেষে বৈঠক ডাকছেন শাহ।

    নতুন করে হিংসা মণিপুরে

    জনজাতি গোষ্ঠীর অশান্তির আগুনে পড়ুছে মণিপুর (Manipur)। গোষ্ঠীহিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।  সরজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিস্থিতি তারপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে হিংসার ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। তার বড় উদাহরণ বলজাংয়ে অসম রাইফেলসের জওয়ানদের ওপর গুলি বর্ষণ। চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় ঘটনাটি ঘটে। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা যায়নি। তবে অনেকের মনে হচ্ছে মনিপুরের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করতেই এই পদক্ষেপ। 

    আরও পড়ুন: সবুজ হিরে-চন্দনকাঠের বাক্স, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে উপহার দিলেন মোদি

    বুধবার উত্তর-পূর্বের এই অশান্ত রাজ্যে (Manipur violence) পাঁচটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার কাউক্তয় একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালক গাড়ি বন্ধ করে বেরিয়ে আসার পরেই ঘটনাটি ঘটে। এতে তিন পথচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। গত ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: উদ্ধার একে ৪৭-এর গুলি, গ্রেনেড! কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

    Jammu Kashmir: উদ্ধার একে ৪৭-এর গুলি, গ্রেনেড! কাশ্মীরের অনন্তনাগে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) অনন্তনাগ থেকে গ্রেফতার ২ লস্কর জঙ্গি (LeT Terrorists Arrested)। বিজভেড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ২ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে অনন্তনাগ পুলিশ। এই দুজন লস্কর জঙ্গিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে এক লক্ষ নগদ, ১২টি একে-৪৭ বন্দুকের রাউন্ড এবং একটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। 

    কাশ্মীর (Jammu Kashmir) জোনের এক শীর্ষ পুলিশকর্তা বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছেন, ধৃতরা হল—বিজবেহারার আরওয়ানি এলাকার বাসিন্দা আবরার উল হক কাটু ও বিজবেহারার শেতিপোরা এলাকার বাসিন্দা তৌসিফ আহমেদ ভাট। নাকা চেকিংয়ের সময় দুই সন্দেহভাজনকে আগ্নেয়াস্ত্র, নগদ টাকা ও গোলাবারুদ-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজভেড়া থানায় ওই দুজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    অমরনাথ যাত্রাপথে হামলার ছক?

    এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, জম্মু কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শুরু হয়ে গিয়েছে অমরনাথ যাত্রা। হাজার হাজার পুণ্যার্থী পবিত্র অমরনাথ যাত্রায় নাম লিখিয়েছেন। আর এই যাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অনন্তনাগ। কারণ, এখান দিয়েই অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দেন তীর্থযাত্রীরা। এর আগেও, অমরনাথ যাত্রার সময় অনন্তনাগে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে জঙ্গিরা। তাই, এই সময়টা অত্যন্ত সতর্ক থাকে নিরাপত্তাবাহিনী। গোটা রুটে প্রচুর সেনা, আধাসেনা ও পুলিশ মোতায়েন থাকে। পুলিশের সন্দেহ, অমরনাথের পথে নাশকতামূলক হামলার ছক হয়ত জঙ্গিরা করে থাকতে পারে। ধৃত ২ জঙ্গি-সহযোগীকে জেরা করে তাদের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা করছে অনন্তনাগ পুলিশ। 

    ত্রিপুরায় ধৃত ২ পাক জঙ্গি

    এর আগে গতকাল, অর্থাৎ বুধবার ত্রিপুরায় পুলিশের জালে ধরা পড়ে আরও ২ সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরতলার অশ্বিনী মার্কেট এলাকা থেকে ধরা হয় ওই দুজনকে। ধৃতদের নাম ইয়াকুব ইয়াজদানবক্স এবং সাহিন মণ্ডল। পুলিশের দাবি, তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত থাকার ‘প্রাথমিক প্রমাণ’ পাওয়া গিয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গির কাছে থেকে প্রচুর জাল আধার কার্ড, প্যান কার্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গেই তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amul Girl: আমূল-তনয়ার চোখে জল, প্রয়াত স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহা 

    Amul Girl: আমূল-তনয়ার চোখে জল, প্রয়াত স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষাটের দশক থেকে এখনও পর্যন্ত ছোট থেকে বড়, ধনী থেকে গরিব অধিকাংশ ভারতীয়ের ঘরেই পরিচিত আমূল কন্যা (Amul Girl)। আমূলের বিজ্ঞাপনে দুষ্টি-মিষ্টি সেই বালিকার ছবি দেখতে অভ্যস্ত ভারত। সেই হাসি-খুশি মেয়ের চোখে আজ জল। পিতৃহারা ‘আটারলি বাটারলি ডিলিশাস’ আমূল গার্ল। আমূল গার্লের স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহা আর নেই। নীরবেই চলে গেলেন বিজ্ঞাপন জগতের এই মহীরূহ।

    বিজ্ঞাপনের ভাষা বদলেছিল আমূল গার্ল

    শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৬৬ সালে। সিলভেস্টর ডাকুনহা তাঁর আর্ট ডিরেক্টর ইউস্তাসে ফার্নাদেন্জের সঙ্গে যৌথভাবে পেন্সিল স্কেচে ফুটিয়ে তুলেছিলেন এই আমূল গার্লকে। তারপর থেকে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ হোক কিংবা ভারতের বিশ্বকাপ জয়, শাহরুখ খানের সুপারহিট সিনেমা হোক কিংবা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সর্বক্ষেত্রেই ‘মাখন’-এর মতো মজাদার বিজ্ঞাপন ফুটিয়ে তুলতে এই আমূল গার্লের (Amul Girl) জুড়ি মেলা ভার। সমসাময়িক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে বিজ্ঞাপনের ভাবনা তৈরি করা যায়, তা ভারতীয় বিজ্ঞাপন জগতকে শিখিয়েছিলেন সিলভেস্টর ডাকুনহা। নীল রঙের চুল, তাতে বাঁধা ছোট্ট রিবন, পরনে সাদার ওপর লাল গোল গোল ডিজাইন করা ফ্রক, এই রূপে তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত গোটা ভারত।

    আরও পড়ুন: সবুজ হিরে-চন্দনকাঠের বাক্স, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে উপহার দিলেন মোদি

    শুরুর দিন থেকেই সুপারহিট আমূল গার্ল

    শুরুর দিন থেকেই সুপারহিট ‘আমূল গার্ল’ (Amul Girl)। বিজ্ঞাপন জগতের দশা আর দিশা বদলেছিল আমূলের এই ম্যাসকট। এ দেশের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা বিজ্ঞাপন। সেই ষাটের দশক থেকে এখনও পর্যন্ত আমূলের ওই বালিকা রীতিমতো জনপ্রিয়। আমূল কন্যার স্রষ্টা সিলভেস্টর ডাকুনহার মৃত্যুর খবর জানান আমূলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়েন মেহতা। ট্যুইটারে এই শোকবার্তা ভাগ করে নেন তিনি।

    আমূলের মার্কেটিং ম্যানেজার পবন সিং লিঙ্কডইন-এ সিলভেস্টর ডাকুনহার মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন। ‘ভারতীয় বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি’-র মৃত্যু তাঁর কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি বলে উল্লেখ করেন তিনি, জানান গত তিন দশকে প্রয়াত ডিকুনহার কাছ থেকে বিজ্ঞাপন জগত সম্পর্কে অনেক কিছু শেখবার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। পবন সিং-এর কথায়, ‘আমূল গার্ল ক্যাম্পেন বিজ্ঞাপন জগতে নতুন উচ্চতা ছুঁয়েছে। আউটডোর হোর্ডিং থেকে প্রিন্ট, টিভি তারপর ডিজিটাল, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বুঁদ থেকে আমূল গার্লে। এর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত, সবটাই শুরু হয়েছিল ডিকুনহার হাত ধরে’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi US Visit: মোদির সফরের মধ্যেই এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বদল আনছে বাইডেন প্রশাসন?

    PM Modi US Visit: মোদির সফরের মধ্যেই এইচ-১বি ভিসা নীতিতে বদল আনছে বাইডেন প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi US Visit) সফরের প্রাক্কালে গ্রিনকার্ডের নিয়ম শিথিল করেছিল বাইডেন প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী পরে ফের আরও এক সুখবর মিলল আমেরিকা (America) যেতে ইচ্ছুক ভারতীয়দের জন্য। সেটি হল, যেসব ভারতীয় কর্মসূত্রে আমেরিকায় যাচ্ছেন, সে দেশে তাঁরা যাতে বসবাস করতে পারেন, সে জন্যই এবার বদল আনা হচ্ছে মার্কিন ভিসা নীতিতে। বর্তমানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সম্মানে আজ, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। এমন সময় আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    এইচ-১বি ভিসা

    কোভিড পরিস্থিতিতে এইচ-১বি ভিসা নীতি বদলের প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লটারি নীতি (PM Modi US Visit) বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। যুক্তি ছিল, কর্পোরেট সংস্থাগুলি কম বেতনে বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ করায় মার্কিন নাগরিকরা কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ করার সময় এবার থেকে দক্ষতা ও বেতন কাঠামোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েই ট্রাম্পের আমলের ওই সিদ্ধান্ত বদলের কথা ঘোষণা করেন বাইডেন। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা প্রাপকদের মধ্যে থাকেন ৭০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়।

    বাইডেনের জমানায়ই ফের বদল

    সেই বাইডেনের জমানায়ই ফের বদল আসতে চলেছে এইচ-১বি ভিসা নীতিতে (PM Modi US Visit)। দক্ষ ভিনদেশিরা যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে আমেরিকায় থাকতে পারেন, সেজন্যই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তবে অল্প সংখ্যক ভারতীয় ও অন্য দেশের নাগরিকরা যাঁরা বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন বা কর্মসূত্রে আমেরিকায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হবে প্রথমে। এদিন নৈশভোজের অনুষ্ঠানেই এ ব্যাপারে ঘোষণা করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং। জানা গিয়েছে, আপাতত অস্থায়ীভাবে এই ভিসা দেওয়া হবে। পরে দু বছরের মধ্যে নতুন ভিসা নীতি পুরোদমে চালু করা হবে। তবে পুরানো ভিসা নীতিতে কী কী পরিবর্তন আনা হবে, তা জানা যায়নি।

    আরও পড়ুুন: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    প্রসঙ্গত, এইচ-১বি সহ আরও কয়েকটি ভিসার সাহায্যেই দক্ষ বিদেশি কর্মীদের আমেরিকায় (PM Modi US Visit) নিয়ে যায় মার্কিন সংস্থাগুলি। ভারত এবং চিন থেকে দক্ষ কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির একমাত্র ভরসা এই এইচ-১বি ভিসা। এই ভিসাগুলির সঙ্গে অবশ্য অভিবাসনের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    PM Modi: তত্ত্বাবধানে খোদ মার্কিন ফার্স্ট লেডি! আজ মোদির সম্মানে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন আয়োজিত বিশেষ নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই কারণে সকাল থেকেই সাজো সজো রব হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলে। আয়োজনের যাবতীয় তত্তাবধান করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী জিল স্বয়ং। প্রধানমন্ত্রী নিরামিষাশী। তাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেনু ঠিক করেছেন জিল। মেনুতে রয়েছে ভারতের ছোঁয়াও।

    হেঁশেলে সাজো সাজো রব

    হোয়াইট হাউসে কোনও অতিথি এলে রান্নার মূল দায়িত্বে থাকেন গেস্ট শেফ নিনা কার্টিস। তাঁর নেতৃত্বেই অন্য শেফরা রান্নাবান্না করেন। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। নিনা নিজে থেকে দাঁড়িয়ে সব নির্দেশ দিচ্ছেন। আর মাঝেমধ্যেই সব ঘুরে ঘুরে দেখে যাচ্ছেন  জিল। বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো গণতন্ত্রের এবং বৃহত্তম গণতান্ত্র— দুই দেশের দুই রাষ্ট্রপ্রধান মিলিত হচ্ছেন নৈশভোজে। তাই আতিথেয়তায় যেন কোনও খামতি না থাকে, সেটাই খেয়াল রাখছেন জিল নিজে। মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ পালনে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) স্বয়ং। তাই মেনুতে থাকছে মিলেটের পদ। নিনা বলেন, মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ পালনের জন্য ভারত যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমরা খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য আয়োজিত বিশেষ নৈশভোজের মেনুতেও সেই কারণে মিলেট রাখা হয়েছে।

    খাবারের তালিকা

    এবার দেখে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের মেনুতে কী থাকছে। মেনুতে থাকছে লেমন-ডিল ইয়োগার্ট স্যস, মিলেট কেক, সামার স্কোয়াস, ম্যারিনেটেড মিলেট ও গ্রিল্ড কর্ন স্যালাড, ওয়াটার মেলন এবং ট্যাঙ্গি অ্যাভোকাডো স্যস। মেইন কোর্সে থাকছে— স্টাফড পোর্টোবেলো মাশরুম, ক্রিমি স্যাফরন ইনফিউজড রিসোতো। ডেজার্টে থাকছে— গোলাপ এলাচ মেশানো স্ট্রবেরি শর্টকেক। নৈশভোজের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) সৌজন্যে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ পারফরম্যান্সেরও। গ্র্যামি পুরস্কারজয়ী জসুয়া বেল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ভারতীয় গান পরিবেশন করবেন পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাপেলা গ্রুপ পেন মশালা।

    প্রসঙ্গত, তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন হোয়াইট হাউসে তিনি যোগ দেবেন নৈশভোজে। শুক্রবার দুপুরে প্রধামন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন ভাইস প্রসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস।

    আরও পড়ুুন: সবুজ হিরে-চন্দনকাঠের বাক্স, মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে উপহার দিলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • PM Modi US Visit: ফার্স্ট লেডিকে সবুজ হিরে, বাইডেনকে রুপোর গণেশ, উপনিষদ উপহার মোদির

    PM Modi US Visit: ফার্স্ট লেডিকে সবুজ হিরে, বাইডেনকে রুপোর গণেশ, উপনিষদ উপহার মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের আমন্ত্রণে তিন দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi US Visit)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীর হাতে একাধিক বহুমূল্য উপহার (Modi Biden Gift Exchange) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। যা আসলে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের উষ্ণতাকেই বোঝায়।

     ইয়েটসের অনুবাদ করা উপনিষদ

    জো বাইডেনকে উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের অনুবাদ করা ‘দ্য টেন প্রিন্সিপালস অফ উপনিষদ’-এর প্রথম সংস্করণ উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। বাইডেনের অন্যতম পছন্দের কবি ইয়েটস। বহুবার ইয়েটসকে উদ্ধৃত করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ইয়েটস কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পশ্চিমা বিশ্বে গুরুদেবের গীতাঞ্জলির জনপ্রিয়তার পিছনে ইয়েটসের বড় ভূমিকা ছিল। ইয়েটস নিজে ভারতীয় আধ্যাত্মিকতার দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। তিনি উপনিষদ সহ বহু প্রাচীণ ধর্মগ্রন্থ পড়েছিলেন।  ১৯৩৭ সালে উপনিষদের অনুবাদ করে তা ছাপান। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন শ্রী পুরোহিত স্বামী। এই দু’জন ১৯৩০-এর দশকে বহু বই একসঙ্গে অনুবাদ করেছেন। ১৯৩৭ সালে ছাপানো ‘দ্য টেন প্রিন্সিপালস অফ উপনিষদ’-এর প্রথম সংস্করণটি বাইডেনকে উপহার দেন মোদি। বইটি লন্ডনের ফেবার অ্যান্ড ফেবার ছাপিয়েছিল গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস থেকে।  মাইসুরুর বিখ্যাত চন্দন কাঠের তৈরি একটি বাক্সের মধ্যে রাখা ছিল বইটি।

    আরও পড়ুন: “যোগের কোনও কপিরাইট নেই, নেই পেটেন্ট, রয়্যাল্টিও”, যোগ দিবসে বললেন মোদি

    সাড়ে ৭ ক্যারেটের সবুজ হিরে

    মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে একটি সাড়ে ৭ ক্যারেটের সবুজ হিরে উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা প্রাকৃতিক হিরে নয়। এই হিরে হল ল্যাবরেটরিতে তৈরি তথা ল্যাব গ্রোন। কিন্তু দেখতে হুবহু প্রাকৃতিক হিরের মতোই। সৌর শক্তি ও বায়ু শক্তিকে ব্যবহার করে এই হিরে তৈরি হয়েছে। এর উজ্জ্বলতায় মুগ্ধ হন জিল। এই হিরেটি যে বাক্সে ছিল তা-ও বৈচিত্র্যে ভরা। পেপার ম্যাশ দিয়ে তৈরি করা কাশ্মীরি নকশা করা বাক্স কার-এ-কালামদানি-তে করে হিরেটি উপহার দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাতের সময় মোদির দেওয়া উপহারের তালিকার মধ্যে ছিল, কলকাতার স্বর্ণকারদের তৈরি রূপোর গণেশ এবং প্রদীপ।

    বাইডেনের দেওয়া উপহার

    জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ২০ শতকের গোড়ার দিকে হাতে তৈরি প্রাচীন আমেরিকান বই গ্যালি উপহার দিয়েছেন।  এছাড়াও ঘরে তৈরি প্রথম কোডাক ক্যামেরা উপহার দেওয়া হয়। জর্জ ইস্টম্যানের প্রথম কোডাক ক্যামেরার পেটেন্টের একটি আর্কাইভাল রেপ্লিকা এবং আমেরিকান বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফির একটি হার্ডকভার বই উপহার পান মোদি। জিল বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে ‘রবার্ট ফ্রস্টের সংগৃহীত কবিতা’-র একটি স্বাক্ষরিত, প্রথম সংস্করণের অনুলিপি উপহার দেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    Panchayat Election 2023: হাইকোর্টের বাহিনী-নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা নিয়ে বুধবার যে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট সেই প্রেক্ষিতে ফের সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের দেওয়া বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কমিশন, রাজ্যও। তা আঁচ করে আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু।

    আগেও হয়েছে। এবারও হতে পারে!

    আগেও হয়েছে। এবারও হতে পারে! সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, হাইকোর্টের কোনও রায় বিপক্ষে গেলেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। একই কথা প্রযোজ্য হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রেও। গত সপ্তাহে রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে পৌঁছে যায় রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন– দুজনই। যদিও, মঙ্গলবার সেখানেও ধাক্কা খেতে হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ে কোনও রকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি সু্প্রিম কোর্ট। 

    আরও পড়ুন: নাটকীয় পরিবর্তন! রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল

    এরপর বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া আরেকটি নির্দেশে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েতে যে পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল, তার থেকে এবারের নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  কোনওভাবে কম বাহিনী মোতায়েন করা চলবে না। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ন্যূনতম ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। 

    ক্যাভিয়েট করে রাখলে কী লাভ?

    এই প্রেক্ষিতে, বিরোধীদের তরফ থেকে মনে করা হচ্ছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আরও একবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে রাজ্য ও রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আশঙ্কা করছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্তত, বিগত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। সে ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত যাতে একপাক্ষিক ভাবে রাজ্য বা কমিশনের বক্তব্য শুনে কোনও নির্দেশ না দেয়, তার জন্যই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, যদি কমিশন সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও থাকে, তাহলে যেন বিরোধীদের কথা না শুনে, কেবল এক পক্ষের কথা শুনেই বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত না নেন বিচারপতি। 

    হাইকোর্টের তিরস্কার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি এই অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু ওই মামলা করেন। বুধবারের শুনানিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা-অশান্তি রুখতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কার্যত তিরস্কার করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এমনকি, বিচারপতি এও মন্তব্য করেন, ‘‘দায়িত্ব সামলাতে না পারলে কমিশনার পদ থেকে সরে যান।’’ আদালতের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, বিরোধীরা প্রথম থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share