Blog

  • Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    Landslide: হড়পা বান ও ধসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত সিকিম, উদ্ধার ৩৫০০ পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হড়পা বান ও ধসের (Landslide) জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের (Sikim) বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক আটকে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে উত্তর সিকিমের মাঙ্গান থেকে চুংথা পর্যন্ত রাস্তা। এই রাস্তা ধরেই পেগং হয়ে লাচুং ও লাচেন পর্যন্ত যেতে হয় পর্যটকদের।

    চলছে উদ্ধার কাজ

    এসব জায়গায় বেড়াতে গিয়েছেন বহু পর্যটক। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালিও রয়েছেন। হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন ২৩ জন বাংলাদেশি, ১০ জন আমেরিকান এবং তিনজন সিঙ্গাপুরের। জোরকদমে চলছে উদ্ধার কাজ। তবে প্রকৃতি বিরূপ হওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করেছেন সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। উত্তর সিকিমে ধস (Landslide) এবং রাস্তা বন্ধের জেরে আটকে পড়েছিলেন এঁরা।

    উদ্ধার ২ হাজার

    শুক্রবার ভোরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিমের লাচেন, লাচুং এবং চুংথাং উপত্যকা। তার জেরে উত্তর সিকিম জেলার সদর মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় নদীর ওপর অস্থায়ী সেতু তৈরি করে উদ্ধার করা হচ্ছে পর্যটকদের। তাঁদের দেওয়া হচ্ছে গরম খাবার, থাকার জায়গা এবং চিকিৎসা সহায়তা। রবিবার সকাল থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    এদিকে, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব  ভারত ও হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেই কারণে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধারের পাশাপাশি চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজও। ১৫ তারিখ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশে। তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস (Landslide)। বন্ধ হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলিতে যাওয়ার পথ। ধসের কারণে ৩৪৫টি চারচাকা গাড়ি ও ১১টি মোটর সাইকেলও আটকে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে, প্রবল বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর। তিস্তা, রঙ্গিত সহ একাধিক নদী রীতিমতো ফুঁসছে। পশ্চিম সিকিমের রিম্বি নদীর জলে ভেসে গিয়েছেন নবতিপর এক ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    Heatwave: চলছে তাপপ্রবাহ, তিনদিনে উত্তর প্রদেশ, বিহারে মৃত ৯৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা ঢুকে গিয়েছে দেশে। তবে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) ও বিহারে (Bihar) এখনও দেখা নেই সজল মেঘের। বরং চলছে তাপপ্রবাহ (Heatwave)। তাপপ্রবাহের জেরে গত তিন দিনে উত্তর প্রদেশ ও বিহারে মৃত্যু হয়েছে মোট ৯৮ জনের। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশে মারা গিয়েছেন ৫৪ জন, বিহারে ৪৪ জন। এই যে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এঁরা প্রত্যেকেই বালিয়া জেলার বাসিন্দা।

    তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ

    জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহের কারণে অসুস্থ হয়ে ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুন যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে তিনদিনে এই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ৪০০-রও বেশি রোগী। যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের সিংহভাগেরই বেশির বয়স ৬০ বছরের বেশি। বালিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত কুমার বলেন, “তাপপ্রবাহের কারণে রোগীরা কোনও না কোনও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

    কীভাবে মৃত্যু 

    বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে, ব্রেন স্ট্রোক এবং ডায়েরিয়ার কারণে।” গত কয়েক দিন ধরে বালিয়ার তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রির ঘর। শুক্রবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫ ডিগ্রি বেশি।

    আরও পড়ুুন: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    তাপপ্রবাহ (Heatwave) চলছে বিহারেও। তাপপ্রবাহের জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। এর মধ্যে কেবল পাটনায়ই মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বাকি ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে রাজ্যের অন্যান্য জেলা থেকে। রাজ্যের ১৮টি জেলায় চলছে তাপপ্রবাহ। জানা গিয়েছে, শনিবার রাজ্যের ১১টি জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। পাটনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপপ্রবাহের কারণে ২৪ জুন পর্যন্ত রাজ্যের সব জেলায় স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ১৮ এবং ১৯ জুন ওরঙ্গাবাদ, রোহতাস, ভোজপুর, বক্সার, কাইমুর এবং আরওয়াল জেলায় আবহাওয়া দফতরের তরফে জারি করা হয়েছে চরম তাপপ্রবাহের (Heatwave) সতর্কতা। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। কমলা সতর্কতার পাশাপাশি রাজ্যের কয়েকটি জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে মিলবে তাৎপর্যপূর্ণ ফল”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই তিনদিনের আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তাৎপর্যপূর্ণ ফল মিলবে বলে শনিবার জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এটাই প্রথমবার যে ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতা দেবেন দুবার।” মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের ডাকে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ জুন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে। ওই দিনই মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

    ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’

    জয়শঙ্কর বলেন, “রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সর্বোচ্চ সম্মান। সুতরাং, যে সম্মান তিনি পাবেন, এ পর্যন্ত খুব কম রাষ্ট্রপ্রধানই তা পেয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের ন’ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘সম্পর্ক সে সমর্থন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। অনুষ্ঠান হয়েছিল দক্ষিণ দিল্লির বাদাপুর এলাকায়। সেখানেই মোদির আসন্ন মার্কিন সফর নিয়ে আশা প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এখানে দুবার ভাষণ দেননি। তাই এটাই হবে প্রথম। তামাম বিশ্বের অল্প কিছু রাষ্ট্রপ্রধান এই সুযোগ পেয়েছেন…উইনস্টন চার্চিল, নেলসন ম্যান্ডেলা।”

    মোদির সফরসূচি

    জানা গিয়েছে, ২০ জুন আমেরিকা পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন রাষ্ট্রসংঘের সদর দফতরে নেতৃত্ব দেবেন নবম ইন্টারন্যাশনাল যোগা ডে-র অনুষ্ঠানের। পরে তিনি যাবেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। সেখানে ২২ তারিখ তাঁকে স্বাগত জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডি। ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমেরিকায়ই থাকবেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের আগে গ্রিন কার্ড বিলির নিয়ম শিথিল করল বাইডেন প্রশাসন। আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদের গ্রিন কার্ড হোল্ডার হতে হয়। এতদিন এই নিয়ম যথেষ্ট কঠোর ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই শিথিল করা হল তা। প্রসঙ্গত, আমেরিকায় পাকাপাকিভাবে থাকতে গেলেও গ্রিনকার্ডের প্রয়োজন হয়। ভারতের বহু নাগরিক হন্যে হচ্ছেন গ্রিনকার্ডের জন্য। নিয়ম শিথিল হওয়ায় এবার আর দীর্ঘদিন তাঁদের অপেক্ষা করতে হবে না গ্রিনকার্ডের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    Amit Shah: ‘বিপর্যয়’-ধ্বস্ত গুজরাট ঘুরে দেখলেন শাহ, দুর্গতদের দিলেন সাহায্যের আশ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) ওপর আছড়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ (Biparjoy)। তারপর দুদিন কেটে গেলেও ছন্দে ফেরেনি গুজরাট। প্রাণহানির কোনও ঘটনা অবশ্য ঘটেনি। শনিবারও উদ্ধারকাজ চালিয়েছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপর্যয়-ধ্বস্ত গুজরাটবাসীর অবস্থা চাক্ষুষ করতে এদিন গুজরাটে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে। 

    শাহি সফর

    ঝড়ে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র। এদিন ওই দুই এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। ঘুরে দেখে জাখাউ বন্দরও। মান্ডভি জেলার খাতদা গ্রামে গিয়ে কথা বলেন দুর্গতদের সঙ্গে। শাহের সঙ্গে বিপর্যয়-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিক। ত্রাণ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজখবরও নেন। পরে ভুজে কালেক্টরেট অফিসে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত? জানতে চাইলেন শাহ

    উপকূলবর্তী কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেন তিনি। কীভাবে অতি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়, আলোচনা করেন সে ব্যাপারেও। এদিকে, ঝড়ের দাপট কমলেও, নাগাড়ে হয়ে চলেছে বৃষ্টি। শনিবারও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হওয়ায় রবিবার থেকে কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্র উপকূল এলাকায় কমেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “বিপর্যয় যখন আছড়ে পড়ে, সেই ক্ষণ থেকেই আমি একটি সমীক্ষা করেছিলাম। ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল। তৃতীয় দিনে আমরা দেখলাম, ঝড়ে একজনেরও মৃত্যু হয়নি। অর্থাৎ আমরা সফলভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পেরেছি। প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও, আহত হয়েছেন ৪৭ জন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    Godhra: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাব, গোধরাকাণ্ডে বেকসুর খালাস পেলেন ৩৫ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই ২০০২ সালের গুজরাট (Godhra) হিংসায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত ৩৫ জন। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার হালোল শহরের এক নিম্ন আদালত তাঁদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ঘটনার ২১ বছর পর এবার গরাদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গুজরাট হিংসায় অভিযুক্ত ছিলেন ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে বিচার চলাকালীন মারা যান ১৭ জন। বাকিরা পেলেন মুক্তির স্বাদ। আদালত এও বলেছে, “এই হিংসা স্বতঃস্ফূর্ত, পরিকল্পনামাফিক নয়।” নিম্ন আদালতের বিচারক হর্ষ ত্রিবেদীর পর্যবেক্ষণ, “ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষ কিছু গণমাধ্যম আর রাজনীতিবিদ যাঁরা এই হিংসার ঘটনাকে পরিকল্পনামাফিক বলেছিলেন, তাঁরা আসলে হিংসার ক্ষতে নুনের ছিটে দিয়েছেন।”

    আদালতের বক্তব্য

    গোধরা (Godhra)-উত্তর কালে খুন করা, প্ররোচনা দেওয়া ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছিল ৫২ জনের বিরুদ্ধে। চলছিল তদন্তও। তদন্তে বয়ান নেওয়া হয় ১৩০ জন সাক্ষীর। বিচারক হর্ষ ত্রিবেদী বলেন, “সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা বহু নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনও নিরপরাধ মানুষ যাতে সাজা ভোগ না করেন, তা দেখা আদালতের কাজ।”

    তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি

    গোধরা-পরবর্তী হিংসায় হিংসা ছড়িয়েছিল কালোল বাস স্ট্যান্ড, দেলোল গ্রাম সহ মোট চারটি জায়গায় হিংসা ছড়ানো, অগ্নিসংযোগ করা এবং তিনজনকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল ওই ৫২ জনের বিরুদ্ধে। ১৭ জন প্রয়াত হওয়ায় মামলা চলছে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে। পুলিশ যে মামলা দায়ের করে, সেখানে বলা হয় তল্লাশি চালিয়ে ওই তিনজনের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনজনই নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ভুক্ত। যদিও আদালত জানিয়েছে, তথ্য প্রমাণের অভাবেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ৩৫জনকে।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিরোধীরা, কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    ভারতে সাম্প্রদায়িক হিংসা যে নতুন নয়, ৩৬ পৃষ্ঠার রায়ে সে কথারও (Godhra) উল্লেখ করেছেন বিচারক। রায়ে বলা হয়েছে, “ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দীর্ঘকাল ধরে অব্যাহত রয়েছে এবং সাধারণত তুচ্ছ বিবাদ এবং অসহিষ্ণুতা, ধর্মীয় শিল্পকর্মের হেরফের, উৎসবে অন্যদের অনুপ্রবেশ, বিরোধপূর্ণ প্রার্থনার সময়, উপাসনালয় নিয়ে বিবাদ, আন্তঃবিবাহ, পবিত্র স্থানের অপবিত্রতা, যৌনতা ইত্যাদির কারণে ঘটে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    Jagannath Puri: মঙ্গলবার রথযাত্রা, কেন পালিত হয় এই উৎসব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রথযাত্রা। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, এদিন রথে করে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা মাসির বাড়ি বেড়াতে যান। এই দিনেই পথে নামেন ভক্তের ভগবান। কাছ থেকে ঈশ্বর দর্শন করতে রাস্তায় নামেন ভক্তও। পথি মধ্যেই মিলন হয় ভক্তের সঙ্গে ভগবানের। জগন্নাথ হলেন ভগবান বিষ্ণুরই এক রূপ। এদিন পুরী সহ দেশের নানা প্রান্তে পালিত হয় রথযাত্রা উৎসব। রথের রশি ছুঁয়ে পূণ্যার্জন করতে ছোটেন পুণ্যলোভাতুরা। 

    কেন কাষ্ঠনির্মিত মূর্তি?

    হিন্দুদের মূর্তি সচরাচর তৈরি হয় মাটি, পাথর কিংবা ধাতু দিয়ে। কেবল জগন্নাথের মূর্তি তৈরি হয় কাঠের। (ইদানিং অবশ্য কেউ কেউ কাঠের কালীমূর্তিও তৈরি করে পুজো করছেন।) তাই জগন্নাথের আর এক নাম দারুব্রহ্ম। জগন্নাথের মূর্তি কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ ভগবান বিষ্ণু নৃসিংহ অবতারে কাঠের খুঁটি থেকে বেরিয়েই বধ করেছিলেন হিরণ্যকশিপুকে। যেহেতু জগন্নাথ বিষ্ণুরই অবতার, তাই তাঁর বিগ্রহ কাষ্ঠ নির্মিত।

    পুরীর জগন্নাথের গুরুত্ব

    পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্র (Jagannath Puri) শাক্ত, বৈষ্ণব এবং শৈবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন মন্দির রয়েছে মা বিরজার। হিন্দুদের বিশ্বাস, এই বিরজা সতীর অংশ বিশেষ। যেহেতু প্রতিটি সতীপীঠে ভৈরব থাকেন, তাই পুরীতে মা বিমলার ভৈরব জগন্নাথ। জগন্নাথ যেহেতু স্বয়ং বিষ্ণু, তাই এটি বৈষ্ণবদেরও তীর্থক্ষেত্র। জগন্নাথকে স্বয়ং শিব বলে মনে করেন শৈবরা। তাই শিব-ভক্তদের কাছেও পুরীর জগন্নাথ ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। বৌদ্ধদের কাছেও শ্রীক্ষেত্রের গুরুত্ব কম নয়। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, শ্রীক্ষেত্রেই রয়েছে ভগবান তথাগতের দাঁত। জৈনদের কাছেও পুরীর গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের বিশ্বাস, জগন্নাথ তীর্থঙ্কর স্বরূপ। কারণ নাথ বলা হয় জৈন তীর্থঙ্করদের। তাছাড়া জগন্নাথ শব্দটিও এসেছে জৈন থেকে। অনেকে মনে করেন, জগন্নাথ উপজাতিদের দেবতা। শবরা গোপনে পুজো করতেন নীলমাধবের। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। প্রতিষ্ঠা করা হয় পুরীধামে। তাই তিনি উপজাতিদেরও আরাধ্য।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রথযাত্রার দিনে জগন্নাথ (Jagannath Puri), বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন শ্রীবিগ্রহকে তোলা হয় রথে। বছরের এই একটি দিনেই ভক্তদের কোলে চড়ে রথারোহণ করেন জগতের নাথ। তাঁর সঙ্গে রথে চড়ে মাসির বাড়ি যান দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রা। পুরীর এই তিন শ্রীবিগ্রহ রথে চড়ে যান দু কিলোমিটার দূরের গুন্ডিচা মন্দিরে। সাত দিন এখানেই পুজো-ভোগ নিবেদন হয় দেবতার। উল্টো রথের দিন ফের শ্রীমন্দিরে ফেরেন ভক্তের ভগবান।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    Bhangar: রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পরও থমথমে রয়েছে ভাঙড়, রুটমার্চ পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ভাঙড় পরিদর্শন করে যাওয়ার পর টনক নড়ল পুলিশের। শনিবার ভাঙড় (Bhangar) এলাকায় জেলা পুলিশ সুপার এস পুষ্পার নেতৃত্বে রুটমার্চ করা হল। তবে, এত কিছু করার পরও এখন আতঙ্ক কাটেনি ভাঙড়বাসীর। পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার পর ভাঙড়ে (Bhangar) সার্বিক অবস্থা কেমন?

    বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন তিনজন রাজনৈতিক কর্মী। আইএসএফ এবং সিপিএম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ভাঙড়ের গণ্ডগোলের পর কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে এক ব্যাক্তি বলেন, আরাবুলের নির্দেশে আমি এসেছি। ৩০ হাজার টাকা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনা। আমি গুলি চালিয়েছি। পাল্টা হিসেবে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও শুক্রবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি ভাইরাল ভিডিও দেখিয়ে বলেন, পিটিয়ে একজনকে মারার ঘটনায় আইএসএফ জড়িত রয়েছে। সবমিলিয়ে ভাঙড় এলাকা থমথমে রয়েছে। শনিবারও ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাটে লোকজন ছিল না বললেই চলে। তবে, পুলিশ রুটমার্চ করলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। 

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল কর বলেন, আরাবুল আর শওকত মোল্লা কেমন মানুষ তা রাজ্যবাসী জানেন। ভাঙড়ের (Bhangar) ঘটনার পর পুলিশের রুটমার্চ করে শান্ত করা যাবে না। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে হবে। কিন্তু, পুলিশ তো ফুলিশ হয়ে গিয়েছে। ওরা দলদাস। তাই, ওদের নিয়ে কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    Purba Medinipur: ২০২১ বিধানসভার পর পঞ্চায়েত ভোটে নজরে এবার নন্দীগ্রাম! কোন ফুল ফুটবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ এবারে নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র হল নন্দীগ্রাম। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের দিকে রাজনৈতিক মহলের বিশেষ নজর। অপর দিকে তৃণমূলেরই টিকিট পাননি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রামে কী ফল হবে সেই প্রশ্ন এখন সবাইকার মুখে। 

    কেন নজর নন্দীগ্রামে?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল, জেলা পরিষদের টিকিট পাননি বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইলেকশান এজেন্ট তথা নন্দীগ্রামের দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। সুফিয়ানের অনুগামীরা অর্থাৎ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা নাগরিক মঞ্চ গঠন করে প্রার্থী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করেছে আবার বিজেপি। ফলে রাজনৈতিক ভাবে ভোটের অঙ্কের হিসেব কী দাঁড়াবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    বিজেপি প্রার্থীর অঙ্কটা কেমন?

    নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur) মোট ১০ টি অঞ্চল রয়েছে এই ১ নং ব্লকে। দশটি অঞ্চলের মোট আসন সংখ্যা ১৮৫ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি ও জেলা পরিষদের ৩ টি। পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ টি আসনের মধ্যে ২৩ টিতে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি এবং ৩ টি জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যে আসন গুলিতে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি, সেখানে নাগরিক মঞ্চের প্রার্থীদের সমর্থন করবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পালের বক্তব্য, ১০ টি অঞ্চলেই বোর্ড গঠন করবে বিজেপি।

    তৃণমূলের বক্তব্য 

    তবে এই বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না ১ নং ব্লক (Purba Medinipur) তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৬ আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতন কর্মী পায়নি বিজেপি। বিরোধী রাজনীতির দলকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই প্রার্থী দিয়েছে। সিপিএম আজ মিউজিয়ামে, কংগ্রেসে আজ হিমঘরে, বিজেপি আজ গোয়ালঘরে এবং তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে মানুষের দুয়ারে, তাই আমাদের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। বাপ্পাদিত্যবাবু আরও বলেন, নন্দীগ্রাম তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি, জয় আমাদের নিশ্চিত।

    পাশাপাশি শুভেন্দু গড়ে এখন কোন ফুল ফোটে এটাই এখন দেখার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: জেলাগুলিতে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    Panchayat Election 2023: জেলাগুলিতে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) লক্ষ্যে রাজ্যের ২২টি জেলায় ২১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ তুলছেন প্রত্যেক জেলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মনোনয়ন দিতে বাধা দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। বিরোধীরা নিরাপত্তা চেয়ে কমিশেনর দ্বারস্থ হয়েছিল। ভাঙড়, ক্যানিং, চোপড়া, মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই রক্ত ঝড়েছে। তাই সতর্ক কমিশন।

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আজ, শনিবার থেকেই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা জেলাভিত্তিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে নজরদারির কাজ করতে শুরু করবেন। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি’র সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চাইল জেলাগুলির কাছ থেকে। সেই তালিকা ধরেই এই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা কাজ করবেন।  অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে রাজ্যের সিনিয়র আইএএস অফিসারদের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ২২টি জেলায় ২১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়োগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের জানাতে পারবেন তাঁরা। এমনকী বিশেষ পর্যবেক্ষকদের নাম–মোবাইল নম্বর–সহ বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকদের।

    আরও পড়ুুন: বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মার, আক্রান্ত মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, অভিযুক্ত তৃণমূল

    রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবার স্পর্শকাতর এলাকা, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠাল জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ স্পর্শকাতর বুথ এবং স্পর্শকাতর এলাকার তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবারের মধ্যেই সেই তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এই তালিকার উপর নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের স্ট্র‌্যাটেজি। এমনকী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুথভিত্তিক ও অঞ্চলভিত্তিক তালিকা চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Malda: মালদায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পর এবার মালদা (Malda)। তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার সুজাপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোস্তফা শেখ। তিনি সুজাপুরের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী। কংগ্রেস নেতৃত্ব হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলীয় নেতা খুনের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গতকাল সন্ধ্যের নামাজের পর মোস্তফাসাহেব বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় সদ্য তৃণমূল ত্যাগী কর্মী সমর্থকেরা তাঁকে আক্রমণ করে এবং পিটিয়ে খুন করে। ওই ঘটনার পরপরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। জানা গিয়েছে, টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের তৃণমূল কার্যালয়টিকে কংগ্রেসের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়। মোস্তাফাসাহেব তাতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁর উপর হামলা হয়।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শনিবার ঘটনাস্থলে যান মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কয়েকদিন আগেই ওই এলাকার বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেন। প্রতিহিংসাবশত তারাই তৃণমূলের ওই কর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে ওই ঘটনার পর পরই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এমন ঘটনায় মালদার (Malda) রাজনৈতিক আবহাওয়া অনেকটাই উত্তপ্ত হল, তা বলাবাহুল্য।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা মুত্তাকিন আলম বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। জেলায় কংগ্রেস এতটা শক্তিশালী নয় যে শাসকদলের বিরুদ্ধে এমন ঘটনা ঘটাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share