Blog

  • Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২ মে। ২০২১ সালে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল (Post Poll Violence)। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দল হয় বিজেপি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খুন অনেক অনেক বিজেপি কর্মী। চলতে থাকে বাড়ি লুট ও ভাঙচুর। নিজেদের জীবন বাঁচাতে অজস্র বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় নিতে হয় ভিনরাজ্যে। এদিন ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।

    ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন (Post Poll Violence)

    বিজেপির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২৫ হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা ১২ হাজার অভিযোগ পুলিশে জানালেও তদন্ত করেনি পুলিশ। কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য। এরপরেই এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের (Post Poll Violence) নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। খুন-ধর্ষণের মামলাগুলি যায় সিবিআইয়েরের কাছে। এরফলে গ্রেফতার করা হয় ৪০০ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাকে।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের তালিকা

    বিজেপির তরফ থেকে একটি তালিকা সামনে এসেছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচন, যাঁদেরকে কেড়ে নিল আমাদের থেকে।’’

    ওই তালিকায় অনুযায়ী—

    ২০২১ সালে ২ মে বেলেঘাটাতে খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার

    কোচবিহারে সিতাইতে ২০২১ সালে ৩০ মে খুন হন অনিল বর্মন

    ফলতাতে ২০১৬ সালের ১৬ মে হত্যা করা হয় বিজেপি কর্মী অরিন্দম মিদ্দে

    ইন্দাসের বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসকে ২০২১ সালের ৪ মে হত্যা করা হয়

    সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী আস্তিক দাসকে হত্যা করা হয় ১০ মে ২০২১

    কাটোয়ার কেতুগ্রামের বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝিকে হত্যা করা হয় ৫ মে ২০২১

    রায়নার ভাদুদাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভগবানপুরের ভাস্কর বেরা কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর

    চন্ডিপুরের চন্দন মাইতিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর

    বিজেপির মহিলা কর্মীর চন্দনা হালদারকে সাতগাছিয়াতে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ জুলাই

    নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মে

    মেদিনীপুর পুরের বিজেপি কর্মী দেবাশীষ শীলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর

    উত্তর দিনাজপুর জেলার কোচবিহার রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেশ বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২০ জুলাই

    চাপড়ার বিজেপি কর্মী ধর্ম মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৬ মে

    শীতলকুচির বিজেপি কর্মীর ধীরেন বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৪ মে

    রায়নায় মহিলা বিজেপি কর্মী দুর্গাবালা বাঘকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে।

    বোলপুরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মে

    কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৪ মে

    সোনারপুরের বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মেয়ে

    ভাটপাড়ার বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ৬ জুন

    বারাসাতের মহিলা বিজেপি কর্মী জোৎস্না মল্লিককে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১২ মে

    ঝাড়গ্রামের বিজেপি কর্মী কিশোর মান্ডিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    কোতুলপুরের বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৬ মে

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মী মানস সাহাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

    বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১২ জুন

    ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইটাহারে খুন হন বিজেপি কর্মী মিঠুন ঘোষ

    ২০২১ সালের ৬ অগাস্ট বারাসাতে খুন হন বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলী

    নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুন হন ২০২১ সালের ৭ মে

    সোনারপুর উত্তরের বিজেপি কর্মী নির্মল মন্ডল খুন হন ২০২১ সালের ২০ মে

    রাজারহাটের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস খুন হন ২০২১ সালের ২৩ মে

    হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি কর্মী প্রতাপ মন্ডলকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর

    ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৯ মে

    আমডাঙার বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাসকে হত্যা করা হয় ১১ মে ২০২১

    কাকদ্বীপের বিজেপি কর্মী সমরেশ পালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই

    নৈহাটির বিজেপি কর্মী সন্তু মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভাতারের বিজেপি বিজেপি কর্মী শ্রম হাঁসদাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২১ মে

    সিতাইয়ের বিজেপি কর্মী শ্রীধর দাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৩ জুন

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মীর সৌরভ বরকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে

    জগদ্দল এর বিজেপি কর্মী শোভারানী মন্ডল মারা যান ২০২১ সালের ৩ মে

    চাকদহের বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ মে

  • ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। নির্বাচনী ত্রুটি রুখতে এবার তারা তিনটি সাহসী সংস্কারের পদক্ষেপ (Fake Voters) করল। এর মধ্যে রয়েছে অপ্রচলিত ভোটার তালিকা, বিএলও-র বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব এবং বুথ পর্যায়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন সংস্কার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাবে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠক (ECI)

    চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নির্দেশনায় এবং নির্বাচন কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু ও ড. বিবেক জোশীর উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার পর এই তিন সাহসী উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কমিশনের এই উদ্যোগ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    সংস্কার-১: মৃতদের নাম বাদ

    ভারতের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হল রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মৃত্যু নথিভুক্তকরণের ডেটা ইলেকট্রনিকভাবে সংগ্রহ করা। দশকের পর দশক ধরে ভারতের ভোটার তালিকায় “ভুতুড়ে ভোটার” নামে পরিচিত মৃত ব্যক্তির নাম থাকায় তালিকাগুলি দীর্ঘায়িত হত। এতে সৃষ্টি হত প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ। ১৯৬০ সালের নির্বাচকদের (ECI) নিবন্ধন বিধির রুল ৯ এবং ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধিত ধারা ৩(৫)(বি)-র আইনি ভিত্তিতে এই সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন থেকে আরজিআই সরাসরি মৃত্যুর ডেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শেয়ার করবে। এই স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রবাহের মাধ্যমে (Fake Voters) ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা তৃতীয় পক্ষের তথ্য বা জটিল ফর্ম ৭ প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করেই সক্রিয়ভাবে মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে, যে কোনও ভুল অপসারণ এড়াতে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) ফিল্ডে গিয়ে যাচাই করবেন, যা স্বয়ংক্রিয়তা ও ফিল্ড-পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে বৈধতা নিশ্চিত করবে। এই উদ্যোগটি আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনকে মসৃণভাবে গতি ও নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে সাহায্য করবে।

    সংস্কার-২: ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ

    স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে ভোটারদের আস্থার ভিত মজবুত হয়, তাই একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সব বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-কে একটি অভিন্ন, জাল-প্রতিরোধী ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই আইডি কার্ডটি দরজায় দরজায় ভোটার সংযোগ কার্যক্রমের সময় অনায়াসেই শনাক্তকরণের জন্য (Fake Voters) ডিজাইন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব (ECI) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ১৩বি(২) অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত বিএলওরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড এবং স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। তবে, যথার্থ পরিচয়পত্রের অভাবে অনেক ভোটারই বাড়ি বাড়ি যাচাইয়ের সময় প্রকৃত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কখনও কখনও সন্দেহও প্রকাশ করেন। তাই অনেক সময় এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় না। নয়া এই নির্দেশিকার মাধ্যমে বিএলওরা এখন সহজে শনাক্তযোগ্য, পেশাদার ও দায়িত্বশীল হবেন। এতে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং নাগরিকদেরকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করে তুলবে। এই সংস্কার বিশেষত গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে প্রাসঙ্গিক, যেখানে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক প্রায়ই অস্পষ্ট থেকে যায়।

    সংস্কার-৩: ভোটারবান্ধব ভোটার স্লিপ

    ভোটারদের জন্য ভোটের দিনের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে কমিশন ভোটার তথ্য স্লিপকে ভোটারবান্ধব করে পুনর্বিন্যাস করেছে। এই স্লিপগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ভোটারদের সঠিক ভোটকেন্দ্রের নির্দেশনা দেয় এবং নির্বাচনী তালিকায় তাঁদের নাম আছে (Fake Voters) কিনা, তা নিশ্চিত করে। নয়া বিন্যাসে ভোটকেন্দ্রে (ECI) ব্যবহৃত মূল শনাক্তকারী তথ্য যেমন সিরিয়াল নম্বর ও পার্ট নম্বর বড় ও পরিষ্কার ফন্টে প্রদর্শিত হবে। এতে প্রবীণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং প্রথমবারের ভোটারদের জন্য তথ্য পড়া সহজ হবে। এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন আপডেটের জন্য ভোটকেন্দ্রে ভিড় ও বিভ্রান্তি কমবে। কারণ ভোটার ও কর্মকর্তারা দ্রুত নাম খুঁজে পেয়ে তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ প্রতিটি ভোটারের বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক অংশগ্রহণের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।

    প্রসঙ্গত, এই তিনটি উদ্যোগ বিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এগুলি ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি, নির্বাচনী জালিয়াতি রোধ এবং ভারতের নির্বাচনী পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের একটি সুসংহত জাতীয় কৌশলের অংশ (Fake Voters)। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “সংস্কার কোনও এককালীন ঘটনা নয়। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। প্রতিটি ভোটারই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি ভোটই অবশ্যই প্রকৃত হতে হবে (ECI)।”

  • Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি, এনআইএ-র পরে এবার কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) আতস কাচের তলায় পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক (Pakistani National)। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি রয়েছে নৈহাটি, অপরটি রয়েছে মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা (West Bengal) থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে একসঙ্গে ৮ জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডির অফিসাররা। বেকবাগান, বিরাটি, গেদেতে অভিযান চালানো হয়। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। আজাদ কোনও কুমতলবেই এতদিন ধরে বাংলায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল কিনা , সে সন্দেহও দানা বাঁধছে।

    করাচির ঠিকানায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Pakistani National)

    আজাদের কাছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরও চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে তাতে বহু পাকিস্তানি নাম পেয়েছে ইডি। সেখানেই পাকিস্তানের করাচির একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আজাদ হুসেন। ১৯৯৭ সালের করাচির ঠিকানায় রয়েছে লাইসেন্স। এই সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল আজাদ পাকিস্তানের নাগরিক। এতে কোনও সন্দেহ রইল না।

    স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ?

    তদন্তকারীরা মনে করছেন (Pakistani National), নিজের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হুসেন পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। আজাদের বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগ, তা হল অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া! তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন এভাবেই বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকত আজাদ। কোনও বিশেষ কুমতলব ছিল ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

    কী বলছেন ইডির আইনজীবী?

    প্রথমে তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani National) হিসেবে সন্দেহ করা হলেও, পরে জানা যায় সে আদতে পাকিস্তানি। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে।

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক।’’ ইডির তরফ থেকে তখন আরও জানানো হয়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা! প্রসঙ্গত, ওইদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়।’’ নতুন তথ‍্যের ভিত্তিতে ইডি ফের একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলাতে আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে (Pakistani National) নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে, প্রথমেই বানায় রেশন কার্ড

    প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলেও পরে ইডির আধিকারিকরা জানতে পারেন, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ মল্লিক। অন্তত ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে সে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় ঢুকে প্রথমেই রেশন কার্ড বানায় সে। এরপরে তার ভিত্তিতে পায় ভোটার কার্ড। এর পাশাপাশি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে আজাদ। সেখান থেকে তৈরি করে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

    হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে

    কিন্তু একজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে এত সহজে এত নথি বানিয়ে ফেলল কীভাবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল জমানায় প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে একজন পাক নাগরিক এভাবে থাকছিল বছরের পর বছর। অথচ কেউ জানতেই পারেনি। আজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  ইডি। গত রবিবারই আজাদকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Result 2025)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭০ দিন পর ফল প্রকাশ হল। সকাল ৯টায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত করা হয় মাধ্যমিকের ফলাফল। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ৬৬ জনের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। প্রথম হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আদৃত সরকার। সে পেয়েছে ৬৯৬। দ্বিতীয় স্থানে আছে দু’জন। মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস (৬৯৪) এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্কুলেরসৌম্য পাল (৬৯৪)। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।

    প্রথম দশে কলকাতার এক

    প্রথম দশে কলকাতার মাত্র এক জন রয়েছে। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সে পেয়েছে ৬৮৮। মাধ্যমিকে এ বছর চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্নার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। এ বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে হুগলি থেকেই রয়েছে তিন জন— সিঞ্চন নন্দী, মহম্মদ আসিফ এবং দীপ্তজিৎ ঘোষ। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোমতীর্থ করণও পঞ্চম হয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ স্থানে এ বছর রয়েছে পাঁচ জন, সপ্তম স্থানে রয়েছে পাঁচ জন, অষ্টম স্থানে কলকাতার ওই ছাত্রী-সহ রয়েছে মোট ১৬ জন। এ ছাড়া, নবম স্থানে ১৪ জন এবং দশম স্থানে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে।

    পাশের হার সর্বকালের সেরা

    পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2025) পাশের হার সর্বকালের সেরা— ৮৬.৫৬ শতাংশ। গত বার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। এ বছরও মাধ্যমিকে রয়েছে গ্রেড ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ ‘এএ’ গ্রেড পেয়েছে ১০,৬৫৯ জন। ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে ২৫,৮২০ জন এবং ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে ৯১,২৩৭ জন। পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ জন মাধ্যমিকে এ বছর পাশ করতে পারেনি। পরের বছরের পরীক্ষায় তাদের সাফল্য কামনা করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

  • India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) মধ্যে সংঘাতের আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে চরমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবীণ এক আধিকারিকের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। ২২ এপ্রিল ভরদুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। নিহত হন এক খ্রিস্টান পর্যটকও। সব মিলিয়ে ওই দিন জঙ্গি হামলার বলি হন ২৮ জন নিরীহ মানুষ।

    বাংলাদেশের বিতর্কিত পোস্ট (India Pakistan Relation)   

    বাংলাদেশের ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারপারসন মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান গত সপ্তাহে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন। বাংলায় লেখা ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করা। চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক কাঠামো গঠনের বিষয়টি বিবেচনার সময় এসেছে।” প্ররোচনামূলক ভাষা ও সময়ের কারণে এই পোস্ট ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে (Bangladesh)।

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ!

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ফজলুর রহমানের এই বক্তব্যকে। তাঁর এই মন্তব্যটি সমর্থন করেছেন কমিশনের আর এক সদস্য ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ততন নেতা শাহনাওয়াজ খান চন্দন। বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক চন্দনকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের অগাস্টে অপসারণের পর এই সরকার ক্ষমতায় আসে (India Pakistan Relation)।

    উদ্বেগজনক মন্তব্য

    স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্টরা এই বিবৃতিকে কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেই মনে করছেন না, তাঁদের মতে বাংলাদেশের এহেন মন্তব্য গভীরভাবে উদ্বেগজনকও, বিশেষত এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রেক্ষিতে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, যা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা শেয়ার করে, তা প্রায়ই আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে আসছে। তবে কোনও উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি আধিকারিকের ভারতের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক আগ্রাসন প্রকাশ্যে সমর্থন করা এই প্রথম। এই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যিনি শেখ হাসিনার সরকারের কুর্সি দখল করেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কঠোর অবস্থান ও বৈদেশিক নীতির পুনর্বিন্যাসের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলায় জড়িত থাকার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সম্প্রতি ১৯৬০-এর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, আটারি চেকপোস্ট সিল করে দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর হ্রাস করেছে (Bangladesh)। প্ররোচনামূলক এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, বিশেষত অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর (India Pakistan Relation)।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বাংলাদেশের এক প্রবীণ আধিকারিকের এহেন জ্বালাময়ী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রে খবর, ভারতের ঢাকায় অবস্থিত হাই কমিশন এই বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের এমন বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে। শেখ হাসিনার শাসন কালে রক্ষিত ঐতিহ্যগতভাবে আন্তরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে সরে আসারও ইঙ্গিত দেয় ইউনূসের সরকার। রহমানের পোস্টে চিনের উল্লেখ থাকায় বিশ্লেষকরা দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার সমীকরণে সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, যা আগামী মাসগুলিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।

    সাবধানী পদক্ষেপ ভারতের

    জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায়, পূর্ব প্রতিবেশী থেকে উদ্ভূত এই নতুন হুমকি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় তবে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তীব্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশের রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ইউনূস সরকারের। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকেন ইউনূসরা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত পাক সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সুযোগ (Bangladesh) কাজে লাগিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করতে চাইছে ইউনূসের বাংলাদেশ (India Pakistan Relation)।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

  • Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    Suicide: বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা! পরিবারের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত নয় তো? কীভাবে চিহ্নিত করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নিঃশব্দে হানা দিচ্ছে আরেকটি মহামারি, যার নাম আত্মহত্যা (Suicide)! বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে এই সমস্যা। অধিকাংশ সময়েই অসাবধানতার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বাড়ালেই সমস্যা কমতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিপদ ঘটার আগে অসচেতনতার কারণে কিছুই টের পাওয়া যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা এখনও তলানিতে। পরিবারের পাশে থাকা মানসিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক সমস্যা হলে পরিবারকেই আগে চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবার আক্রান্তের সমস্যা বুঝতেই পারে না। তাই ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়। তাই আত্মহত্যা আরেকটি মহামারির আকার ধারণ করছে।

    ভারতের পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক? (Suicide)

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশ জুড়ে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষত করোনা মহামারির পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৭ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। অন্যান্য দেশের মতোই মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার ঘটনা বেশি।‌ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি আট মিনিটে একজন পুরুষ আত্মহত্যা করছেন। পাশপাশি, উদ্বেগজনকভাবে কিশোর-কিশোরী অর্থাৎ বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তি উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কেন ভারতে আত্মহত্যা বেড়েছে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ার অন্যতম কারণ খারাপ ব্যবহার এবং একাকিত্ব। কর্মক্ষেত্রে কিংবা পরিবারের কাছের মানুষের লাগাতার খারাপ ব্যবহারের জেরেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। নিয়মিত হেনস্থার জেরেই সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবসাদগ্রস্ত হলেও তাঁরা অধিকাংশ সময়, তাঁদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকছেন না। এর ফলে তাঁরা কোনও রকম সাহায্য পাচ্ছেন না। বরং, পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

    কীভাবে চিহ্নিত করবেন? (Suicide)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মতোই আত্মহত্যার প্রবণতারও কিছু উপসর্গ রয়েছে। সে সম্পর্কে সতর্ক আর সচেতন থাকলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করেই অভ্যাস বদলে যাওয়া, এর প্রথম লক্ষণ! বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ খুব চুপচাপ হয়ে গেল। নিজের মতোই সময় কাটাচ্ছেন, পরিবারের সঙ্গে কোনও বিষয়েই কথা বলা বা আলোচনা করছেন না। তাহলে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই ধরনের আচরণ দেখা দিলে, তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ১২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েরা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘর বন্ধ করে নিজেদের মতো থাকে। অভিভাবকদের অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, নিজের মতো থাকার অভ্যাসে একাকিত্ব গ্রাস করছে কিনা (Suffering)!

    নানান ওষুধে অভ্যস্ত?

    পরিবারের কেউ হঠাৎ করেই নানান ওষুধে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে‌ বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া, হঠাৎ নানা রকমের ওষুধ কিনে খাওয়া শুরু করলে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বুঝতে হবে, তাঁর মধ্যে নানা রকম অ্যাংজাইটি কাজ করছে। তাই সতর্কতা জরুরি। ভীষণ রকমের উদ্বেগ থেকেই আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা তৈরি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।

    আলোচনা করা জরুরি

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েরা বলে, ‘আমাকে নিয়ে বেশি দিন‌ সমস্যা থাকবে না!’ কিংবা ‘এই রকম সমস্যায় তোমাদের আর পড়তে হবে না’, এই ধরনের কথা! এগুলোও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অভিভাবকদের অনেকেই এই ধরনের মন্তব্যে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সন্তান এই রকম কথা বললে, তার সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সময় দেওয়া দরকার। তার নানান কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল থাকা দরকার। তবেই বড় বিপদ আটকানো সম্ভব হবে‌।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    Prafulla Chaki: ১৯০৮ সালের ২ মে, বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকিকে খুন করে আত্মহত্যার তত্ত্ব সামনে আনে ব্রিটিশ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে ১৯০৮ সালে আজকের দিনেই এ জগত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) । তিনি আত্মঘাতী হয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যা করেছিল তা নিয়ে রয়েছে আজও সন্দেহ। মামলা চলাকালীন ব্রিটিশ পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল। কিন্তু পরবর্তীকালে যে তথ্য সামনে আসে তাতে একথা মনে হওয়া খুব স্বাভাবিক যে তিনি আত্মঘাতী হননি বরং ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে অত্যাচার করে গুলি করেছিল।

    কোন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল

    প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম বোস ইংরেজ আধিকারিক কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে বোমা বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিলেন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৩০ এপ্রিল কিংসফোর্ডকে হত্যা করার লক্ষ্যে প্রফুল্ল চাকি ও ক্ষুদিরাম বোস দুজনেই বিহারের মুজাফফরপুরে (Indian Freedom Movement) কিংসফোর্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ইউরোপিয়ান ক্লাবের প্রবেশদ্বারে তারা কিংসফোর্ডের ঘোরার গাড়ির জন্য ওত পেতেছিল। একটি ঘোড়া গাড়ি আসতে দেখে বোমা নিক্ষেপ করে তাঁরা। দুর্ভাগ্যক্রমে ওই গাড়িতে কিংসফোর্ড ছিলেন না। ছিলেন দুজন ব্রিটিশ মহিলা। তাঁরা বোমার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন। ওই দুজনকে ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা বলে চিহ্নিত করা হয়। এর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনেই। আলাদা আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রফুল্ল (Prafulla Chaki) ও ক্ষুদিরাম।

    কীভাবে ধরা পড়লেন প্রফুল্ল চাকি (Prafulla Chaki)

    প্রফুল্ল কলকাতার দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পায়ে হেঁটে মুজাফফরপুর থেকে চার স্টেশন দূরে সমস্তিপুর স্টেশন পর্যন্ত আসেন। ট্রেনে তাঁকে দেখে সদেহ হয় নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে এক পুলিশ দারোগার। সাব ইন্সপেক্টরকে তখন দারোগা বলা হত। মোকামা স্টেশনে নন্দলাল ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে ধরে ফেললে (আদালতে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী) নিজের বুকে ও মাথায় নাকি গুলি করেন প্রফুল্ল (Indian Freedom Movement) ।

    প্রফুল্লের মৃত্যু ঘিরে সন্দেহ কেন

    প্রফুল্ল চাকির (Prafulla Chaki) শরীরের দুটি গুলি লেগেছিল। একটি বুকে, অপরটি মাথায়। দেহ পরিবারকে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর শরীরের পোস্টমর্টেম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন একজন আত্মহত্যাকারী ব্যক্তি নিজের বুকের মত জায়গায় গুলি করার পর তাঁর পক্ষে দ্বিতীয় গুলি চালানোর আর সুযোগ থাকে না। ব্রিটিশ পুলিশের দাবি ছিল প্রফুল্লর কাছে গুলি ভর্তি বন্দুক ছিল। যদি তাঁর কাছে বন্দুক থাকত তাহলে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে সন্দেহের বশে পাকড়াও করেন তখন ওই পুলিশকেই গুলি মেরে পালানোর চেষ্টা করতে পারতেন প্রফুল্ল। কিংবা অন্য পুলিশকে গুলি করে পালাতেন। তবে প্রফুল্লর দেহের পোস্টমর্টেম হয়নি। দেহ পরিবারকে ফেরত না দেওয়ায় তখনও প্রশ্ন তুলেছিল বিপ্লবীরা।
    ঐতিহাসিকদের মত

    সমসাময়িক অনেক ঐতিহাসিকের মতে প্রথমে প্রফুল্লর (Prafulla Chaki) উপর নিদারুর অত্যাচার চালানো হয়। তারপর তাকে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে খতম করা হয়। মুজাফফরপুর স্টেশনে আনা হয় দেহ। শনাক্ত করেন ক্ষুদিরাম বোস। এর পর তাঁর মাথা কেটে কেরোসিন কিংবা স্পিরিটে চুবিয়ে আনা হয় কলকাতায়। দেহ মুজাফফরপুরের শ্মশানে অজ্ঞাতপরিচয়য় লাশ হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়।

    প্রফুল্লের (Prafulla Chaki) খুনের বদলা

    ব্রিটিশ পুলিশ যা করেছিল সেই তথ্য যদি প্রকাশ হত তাহলে আরও অনেক ব্রিটিশ ও পুলিশের কর্মচারী ভারতীয়ের প্রাণ যেত। এই ভয়েই ‘আত্মঘাতী’ তত্ত্ব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঐতিহাসিক নির্মল কুমার নাগ একমত যে প্রফুল্লকে খুন করে তাঁর মাথা কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও বিপ্লবীদের থামানো যায়নি। ১৯০৮ সালের ৯ই নভেম্বর নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যা করে প্রফুল্ল চাকির(Prafulla Chaki) মৃত্যুর বদলা নিয়েছিলেন বাঙালি বিপ্লবী শিরিশ চন্দ্র পাল ও রণেন গঙ্গোপাধ্যায়।

  • Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 02 May 2025: ব্যবসায় বিপুল লাভ হবে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় তেমন লাভ হবে না।

    ২) অর্থক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) চাকরির ক্ষেত্রে দিনটি খুব ভালো।

    ২) সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগ থাকবে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে দাম্পত্য কলহের কারণে মানসিক চাপ বাড়তে পারে।

    ২) কোনও আধ্যাত্মিক কাজে যোগ দিতে হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কর্কট

    ১) বিদেশযাত্রার বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) অতিরিক্ত ক্রোধের জন্য হাতে আসা কাজ নষ্ট হতে পারে।

    ৩) ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

    সিংহ

    ১) অভিনেতাদের জন্য ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব ভেবেচিন্তে পা বাড়ানো উচিত।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কন্যা

    ১) সারা দিন কোনও ভয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে।

    ২) স্ত্রীর সুবাদে কোনও বিশেষ কাজের সুযোগ পাবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    তুলা

    ১) বেকারদের নতুন কিছু করার চেষ্টা বাড়তে পারে।

    ২) মাতৃস্থানীয়া কারও সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) মানসিক কষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) কোনও ভালো জিনিস নষ্ট হওয়ার যোগ।

    ৩) বন্ধুদের থেকে সাহায্য পাবেন।

    ধনু

    ১) অপরকে সুখী করতে গেলে স্বার্থত্যাগ করতে হবে।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে আইনি সুরক্ষা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মকর

    ১) কোনও নামী ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ে লাভবান হতে পারেন।

    ২) ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) ব্যবসায় বিপুল লাভ।

    কুম্ভ

    ১) সম্মান নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে ঝামেলা বাধতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ইচ্ছা খুব বাড়তে পারে।

    ২) সকলের সঙ্গে কথা খুব বুঝে বলবেন।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

LinkedIn
Share