Blog

  • Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।” রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও লাভলী মৈত্র সহ একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর নাম করে তিনি বলেন, “সব দলই ঝান্ডা তুলবে, মানুষ যাকে গ্রহণ করবে সে ক্ষমতায় থাকবে। আপনারা কত বড় মস্তান? আপনাদের থেকে অনেক বড় মস্তান কেষ্ট এখন তিহার জেলে রয়েছে। আপনারা থাকবেন, অন্য কেউ থাকবে না, তা চলতে পারে না। অন্যায়, দুর্নীতি, চুরির প্রতিবাদ হবে না, এটা হতে পারে না। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না, জেনে রাখুন মমতা। বাংলায় মস্তানিরাজ খতম করব আমরা।”

    সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়কের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্য সরকারের দুর্নীতি ও অপশাসন নিয়ে সোনারপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। পরে, প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সোনারপুর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫৫৮ টাকা। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ফিরদৌসী বেগমের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৭৬০ টাকা। ২০২১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ এক ধাক্কায় বেড়ে দাঁড়ায় ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। রকেটের থেকেও বেশি গতিতে বেড়েই চলেছে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ। এর থেকেই প্রমাণিত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দুর্নীতি করে হয়েছে। এই চোরেদের উৎখাত করতে হবে।”

    শাসক দলের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের যোগ নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের অন্য দুই দল কংগ্রেস ও সিপিএমের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “শাসক দলের সঙ্গে সেটিং রয়েছে দুই দলের। ২০১১ সালে বিরোধী দলনেতা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তখনও বিরোধিতার কোনও ছবি ধরা পড়েনি। ২০১৬ সালে বিরোধী দলনেতা হন আব্দুল মান্নান। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরাও কোনও আন্দোলন করেননি। বর্তমানে বিরোধী দল বিজেপি। দুর্নীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি বার বার সোচ্চার হয়েছে। তাই আগামী দিনে এই পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    Guwahati-NJP Vande Bharat: বাংলার তৃতীয়! গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারত পেল প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। সোমবার দিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Guwahati-NJP Vande Bharat) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এর ফলে, পশ্চিমবঙ্গ পেল তার তৃতীয় বন্দে ভারত। এর আগে প্রথমে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি ও পরে পুরী-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে বাংলা।

    এদিন দুপুর ১২টা মিনিটে দিল্লি থেকে পতাকা নাড়িয়ে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi)। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নতুন করে ১৮২ কিমি বৈদ্যুতিকীকরণ সেকশনের পাশাপাশি অসমের লামডিঙে নব নির্মিত ডেমু/মেমু শেডেরও উদ্বোধন করেন। এই উপলক্ষে মোদি ট্যুইটারে লেখেন, অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে আজকের দিন গুরুত্বপূর্ণ। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফলে মানুষের জীবন আরও সহজ হবে। একইসঙ্গে এই রাজ্যের পর্যটন ক্ষেত্রও উপকৃত হবে।

     

    কখন ছাড়বে? গন্তব্যে পৌঁছবে কখন?

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনটি দুটি স্টেশনের মধ্যে মোট ৪১১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করবে। ট্রেনের সূচিও ঘোষণা করেছে রেল। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে যাত্রা করবে। গুয়াহাটি পৌঁছবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এর পরে এই ট্রেনটি গুয়াহাটি থেকে বিকাল ৪টে ৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং প্রায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে যাত্রীদের নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছবে। অর্থাৎ সাড়ে ৫ ঘণ্টায় ৪১১ কিমি অতিক্রম করবে আপ ও ডাউন এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী বুধবার, ৩১ মে থেকে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করবে গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Guwahati-NJP Vande Bharat)।

    আরও পড়ুন: কোভিড ভ্যাকসিন থেকে বন্দে ভারত! ৯ বছরে মোদি সরকারের সাফল্যের নানা ছবি

    কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ?

    জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি (Guwahati-NJP Vande Bharat) অসমের কামরূপ মেট্রোপলিটান, কামরূপ রুরাল, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, কোকরাঝাড় জেলা ও উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলা হয়ে অতিক্রম করবে। ৫টি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে ট্রেনটি প্রথম স্টপেজ দেবে নিউ কোচবিহারে। তারপর নিউ আলিপুরদুয়ার, কোকড়াঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং কামাখ্যায় থামবে। তারপর সোজা পৌঁছে যাবে গুয়াহাটি। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন চলবে বন্দে ভারত ট্রেন।

    কত ভাড়া হতে পারে?

    এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Guwahati-NJP Vande Bharat) মোট ৮ টি কামরা থাকছে। যার মধ্যে ১টি এক্সিকিউটিভ ক্লাস এবং ৫টি চেয়ার কার থাকবে। চেয়ার কারে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটির ভাড়া ৭৮৮ টাকা। এগ্‌জ়িকিউটিভ ক্লাসে ১৬১২ টাকা। তবে, এর সঙ্গে কেটারিং চার্জ ধার্য করা হবে। জানা গিয়েছে, গুয়াহাটি গামী সকালের ট্রেনে চা-জলখাবারের চার্জ ধরা হবে। অন্যদিকে, নিউ জলপাইগুড়িগামী ফিরতি ট্রেনে নৈশভোজের চার্জ ধার্য করা হবে। ফলে, এই টিকিটের দাম বেশি হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conversion: ধর্মান্তরণের প্রয়াস! শাহজাহানপুরে খুন অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলা, ধৃত ২

    Conversion: ধর্মান্তরণের প্রয়াস! শাহজাহানপুরে খুন অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলা, ধৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়া! লিভ-ইন সম্পর্কে থাকা এক অন্তঃসত্ত্বা হিন্দু মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরণ (Conversion) ও  খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবক-সহ তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। ওই যুবক ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন পলাতক। তার খোঁজ চলছে। 

    ফের ধর্মান্তরের চেষ্টা

    পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি (lakhimpur kheri) জেলার শাহজাহানপুরে (Shahjahanpur)। অভিযুক্তের নাম নাভেদ। সীমা গৌতম (২৪) নামে ওই মহিলার সঙ্গে গত দেড় বছর ধরে লিভ-ইন (Conversion) করছিল নাভেদ। লখিমপুর খেরির রোজা এলাকায়, মুস্তাকিম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকত নাভেদ ও সীমা। গত শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ সীমাকে নিয়ে ওই জেলার একটি হাসপাতালে যান নাভেদ ও ফারহান। দুজনেই হাসপাতালে ভর্তির সময় কর্তৃপক্ষকে বলেছিল যে মহিলা নাভেদের স্ত্রী জোয়া সিদ্দিকি। ফারহান, নাভেদের বন্ধু। এরপর সীমাকে দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। সীমা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ আসার আগেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নাভেদ ও ফারহান।

    আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী

    পরিবারের অভিযোগ

    সীমার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। নাভেদ ও ফারহানকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার এস আনন্দ জানিয়েছেন, মহিলার ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, নাভেদ, মুস্তাকিম এবং ফারহানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, তফশিলি জাতি/তফশিলি উপজাতি আইন এবং উত্তরপ্রদেশের বেআইনি ধর্মান্তর আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমে ভালবাসার নাটক করে পরে সীমার ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করার চেষ্টা করে নাভেদ। মুস্তাকিমের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ক্রমাগত তাঁকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে ফের উত্তপ্ত মণিপুর! হিংসায় নিহত ৫

    সীমার ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর বোন নাভেদকে ভালবাসলেও, ধর্ম পরিবর্তন (Conversion) করতে রাজি ছিল না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। সীমাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁর ভাই। পুলিশ জানিয়েছে, নাভেদ ও ফারহান এখন জেলে। মুস্তাকিমের খোঁজ চলছে। পুলিশ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। সেই সঙ্গে ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    Ashwini Vaishnaw: ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত! দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Largest Economy) পরিণত হতে চলেছে ভারত। শনিবার নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি, আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে ভারত। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এই সংকল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে।

    বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে

    দেশবাসীকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।” এদিন মোদি সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জাতীয় সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান,  বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারি স্তরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে ভারত। তা ছাড়াও ভারতের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর জোরও দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

    আরও পড়ুন: হিরোশিমা-সফরের স্মৃতিতে বিহ্বল! ‘মন কি বাত’-এ বীর সাভারকরকে স্মরণ মোদির

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্ব

    প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে সারাদেশে নতুন চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি বলেন, “আগে দরিদ্রদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সাল থেকে সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জনগণকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর মতে, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে সারা বিশ্বে ভারত এখন একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ গন্তব্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Parliament Building: স্বদেশের ছোঁয়া! নয়া সংসদ ভবনের ভিডিয়োয় ভয়েস ওভার শাহরুখের

    New Parliament Building: স্বদেশের ছোঁয়া! নয়া সংসদ ভবনের ভিডিয়োয় ভয়েস ওভার শাহরুখের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন সংসদ ভবনে (New Parliament Building) স্বদেশের ছোঁয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধে নয়া সংসদ ভবনের ভার্চুয়াল সফর শাহরুখ খানের। দিলেন ভয়েস ওভার। তাঁর ট্যুইটারে, শাহরুখ খান নয়া সংসদ ভবনের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডে তাঁর ভয়েসওভারের মাধ্যমে গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন জায়গাটির। ১.৪৮ মিনিটের ওই ভিডিয়োতে,শাহরুখ নতুন সংসদের গুরুত্ব বর্ণনা করেছেন এবং নতুন ভবনের অভ্যন্তরীণ খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন। তাঁর ছবি স্বদেশের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও দিয়েছেন ভিডিয়োতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শাহরুখের এই ভিডিয়োর জবাবে লেখেন, “অত্যন্ত সুন্দর ব্যাখ্যা”।

    প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ

    জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র অনুরোধেই সংসদ ভবনের ভিডিয়োয় ভয়েস ওভার বা কণ্ঠ দিয়েছেন শাহরুখ খান। শুধু শাহরুখই নন, একই সঙ্গে অপর আরেকটি ভিডিয়োয় কণ্ঠ দিয়েছেন অক্ষয় কুমারও। শনিবার রাতেই দুই বলিউড তারকা নতুন সংসদ ভবনের ভিডিয়ো শেয়ার করেন, যেখানে তাঁরা কণ্ঠ দিয়েছেন। তাঁদের এই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

    আরও পড়ুন: সর্বধর্ম প্রার্থনা, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন! ট্যুইট বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    গত ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament Building) এক ঝলক ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিয়োয় কোনও ভয়েস ওভার বা বাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছিল না। সেই ভিডিয়োতেই প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছিলেন, “আমার একটা বিশেষ অনুরোধ রয়েছে-এই ভিডিয়োটিতে আপনারা নিজেদের কণ্ঠ দিয়ে শেয়ার করুন, নিজেদের চিন্তাভাবনা তুলে ধরুন। আমি সেগুলির মধ্যে থেকে রি-টুইট করব।”

    স্বদেশের ছোঁয়া

    প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি কিং খান। ভিডিয়োয় শাহরুখ খানকে বলতে শোনা যায়, “নতুন সংসদ ভবন আমাদের আশা-প্রত্যাশার নতুন ঠিকানা। ১৪০ কোটি ভারতীয়দের এক পরিবারে পরিণত করেছে যে সংবিধান, তাকে তুলে ধরার দায়িত্ব রয়েছে যাদের কাঁধে, তাদের জন্য নতুন নীড় এটি। আশা করি এই নতুন বাড়ি এত বড় হোক যে দেশের প্রতিটি কোণের, প্রতিটি শহর ও গ্রামের সমস্ত মানুষের জন্য় জায়গা থাকুক।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NITI Aayog Meet: “রাজ্যের কোষাগার শূন্য, ধার করে খয়রাতি নয়”! রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    NITI Aayog Meet: “রাজ্যের কোষাগার শূন্য, ধার করে খয়রাতি নয়”! রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যের কোষাগারের যাতে দেউলিয়া দশা না হয়, তা নিয়ে নীতি আয়োগের (NITI Aayog Meet) পরিচালন পরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেছেন, আর্থিক শৃঙ্খলা জরুরি। এখন ধার করে খয়রাতি করা যেতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে তার ঠেলা সামলাতে হবে। তাই যে কোনও ঘোষণা করার আগে, কোনও পরিকল্পনার আগে বা কোনও কাজ করার আগে তা মাথায় রাখতে হবে।

    খয়রাতি নয়

    শনিবারের বৈঠকের পরে নীতি আয়োগের (NITI Aayog Meet) সিইও বি আর সুব্রমণ্যম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্ট কোনও প্রকল্পের কথা বলেননি। তবে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি সার্বিক ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন। বিদেশি রাষ্ট্রগুলিতে খয়রাতি করতে গিয়ে কী অবস্থা হয়েছে, তার উদাহরণ দিয়েছেন।’’ 

    ভিক্সিট ভারত@ ২০৪৭

    ১১ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়াই শনিবার নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক হয়। নীতি আয়োগের অষ্টম গভর্নিং কাউন্সিলের এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) মূলত কেন্দ্র, রাজ্য এবং প্রশাসনিক অঞ্চলগুলিকে টিম ইন্ডিয়া হিসাবে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানালেন। একইসঙ্গে ভিক্সিট ভারত@ ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণ করার আহ্বান জানালেন তিনি। এদিন দিল্লির প্রগতি ময়দানে নিউ কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় নীতি আয়োগের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সহ অন্যান্য গভর্নিং কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে মোট ১৯টি রাজ্য ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধি যোগদান করেছিলেন।

    বিশেষ দল তৈরির কথা

    নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে এ বার প্রধান বিষয় ছিল ‘২০৪৭-এ বিকশিত ভারত’ তথা স্বাধীনতার শতবর্ষে উন্নত দেশগুলির তালিকায় ভারতকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী আজ বলেছেন, ‘‘এ কোনও ব্যক্তি বা কিছু লোকের আকাঙ্ক্ষা নয়। গোটা দেশের আকাঙ্ক্ষা। এ জন্য জাতীয় স্তরে পরিকল্পনার থেকেও রাজ্য ও জেলা স্তরে পরিকল্পনা তৈরি জরুরি বলে যুক্তি দিয়েছেন মোদি। প্রতিটি রাজ্যে এই পরিকল্পনা তৈরির জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি করতে বলেছেন। জানিয়েছেন, নীতি আয়োগ এ বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করবে। তাতে রাজ্যের ভার লাঘব হবে। রাজ্যের পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই জাতীয় স্তরে রূপরেখা তৈরি হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে প্রতিটি রাজ্যে নীতিআয়োগের ধাঁচের প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    এদিন প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ উপলক্ষে শ্রী অন্ন যোজনার প্রকল্পের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দেন। পাশাপাশি জল সংরক্ষণের জন্য অমৃত সরোবর প্রোগ্রামের উপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যগুলিকে গতিশক্তি পোটালে সক্রিয় হওয়া এবং স্থানীয় এলাকা থেকে সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ার বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    Abhishek Banerjee: খড়্গপুরে অভিষেককে দেখতে তুমুল বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ের হামলার পর শনিবার সকাল থেকেই অতি সক্রিয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। শালবনিতে অভিষেকের সভা ছিল। শুক্রবার রাতে চক শালবনির ঘটনার পর শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা যেভাবে কুড়মি সমাজের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তারই প্রতিবাদ জানাতে আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) যাত্রা পথে খেমাসুলিতে প্রতিবাদ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজের মানুষেরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে কমলেশ মাহাত সহ তিন কুড়মি নেতাকে আটক করল খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। রাস্তার ধারে কোনওভাবেই দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না, স্পষ্টবার্তা পুলিশ আধিকারিকদের। খেমাশুলিতে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। গণতান্ত্রিক দেশে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন কুড়মি নেতারা।

    অভিষেককে (Abhishek Banerjee) দেখতে গিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা, পা ভাঙল তৃণমূল যুব নেতার

    তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচি সূচনা লগ্নে চরম বিশৃঙ্খলা। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে দুটি পা ভাঙল খোদ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের। এদিন দুপুরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খেমাশুলি হয়ে খড়্গপুরের চৌরঙ্গীতে এসে পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সময় ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান তন্ময় ঘোষ সহ দলের একাধিক নেতা নেত্রী। এমনকি ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়েন খোদ বিধায়করা। সেই সময়ই পা ভেঙে যায় তন্ময় ঘোষের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দলীয় কর্মীদের কেন নিয়ন্ত্রণ করা গেল না প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে শাসক দলেরই একাংশ। পরে, তন্ময়বাবুকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়। পরে, হুইলচেয়ারে করে তিনি সভাস্থলে যান। তন্ময়বাবু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। তখনই কোনওভাবে পড়ে এই বিপত্তি ঘটে।

    ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    শালবনিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটগ্রহণে এড়ানো গেল না তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। ভোটাভুটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। এদিন শালবনির মাকলি অঞ্চলের ভোট গ্রহণ চলছিল। সেই সময় কে আগে ভোট দেবে তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় উত্তেজনা। যদিও সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ভানু বাগের শ্রাদ্ধ খেতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, মৃত পরিবারে চাকরি দিতে নয়, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে সুশাসন নেই। সম্প্রতি এই রাজ্যে তিনটি বড়ো বড়ো বিস্ফোরণ হয়েছে। মমতা ব্যানার্জী আজকে এগারাতে গিয়েছেন। ভানু বাগের বাড়িতে শ্রাদ্ধ খেতে উনি গিয়েছেন, কোনও মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিতে যান নি। উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ এক বিজেপি কর্মীর বুকে গুলি করে খুন করেছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। আর এই ভাবেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কোথায় সভা করলেন!

    শনিবার বিকালে মালদার মালিকচকে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসক দল তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এইদিনের এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এইদিন বিকালে জনসভা শেষ করে ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি বিধায়ক (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিরোধী (Suvendu Adhikari) দলনেতা

    মালদায় বিশেষ জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বর্তমানে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ৪৫ লক্ষ। বামফ্রন্টের সময় এই সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষ। বেশীরভাগ এই পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সংখ্যালঘুরা আছেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পশ্চমবঙ্গকে ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূলের নেতারা সেই সব বাড়ি নিয়ে নিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে সব থেকে বেশী দুর্নীতি হয়েছে এই মালদা জেলাতে। আরও বলেন তিনি, এই চোরদের তাড়াতে হবে। কেন এই চোরদের ভোট দেবেন? যারা কাঁটা তারের বেড়া টপকে ঢুকেছে, তাদেরকে কাঁটাতারের ওপাশে আবার যেতে হবে। কেন্দ্র সরকারের গ্রহণযোগ্যতা সারা বিশ্বে আর তাই বিদেশের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছে। কৃষক পরিবারের টাকা আটকে দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। মাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমছে আর মদের দোকানের সংখ্যা বাড়ছে বলে বিশেষ অভিযোগ করেন। ডিয়ার লটারি কাটতে কাটতে এই রাজ্যের মানুষকে ভিখারি করে দিয়েছে। এই রকম নানা বাক্য দিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ

    তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহম্মদ বিনতুঘলকের সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, জনজোয়ারের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। মুসলিমদের মধ্যে এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে। কুড়মিদের মধ্যে লড়াই লাগাচ্ছে মমতা ব্যানার্জী নিজে। রামনবমীর দিনে গোলমাল হয়েছে মমতা ব্যানার্জীর জন্যেই। এই রাজ্যে কোনো চাকরি নেই। সেই সঙ্গে বলেন পশ্চমবঙ্গকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সিপিএমের ফাঁদে পা দেবেন না। সিপিএমের আমলে ওরা চাকরি বিক্রি করেছিল। মমতা ব্যানার্জীকে আমি প্রাক্তন করব। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের কথা তুলে ধরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সামজের মানুষের মনে বিশেষ জায়গা তৈরির কৌশল করলেন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    Nadia: মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে জাতীয় তপশিলি কমিশন, দাবি সিবিআই তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি একজনও। আর আজ নিহত বিজেপি কর্মী নকুল হালদারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। সিবিআই তদন্তের দাবী করলেন অরুণ হালদার। খুন হয়েছিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি আর তাই ছেলে সিবিআই তদন্ত চাইলেন। বিজেপির বুথ সভাপতি খুন হওয়ার পরে অভিযুক্তরা এখনও অধরা, দাবি পরিবারের।

    নদিয়ায় (Nadia) কীভাবে ঘটেছিল ঘটনা?

    চলতি মাসের ২৩ তারিখ নদীয়ার (Nadia) হাঁসখালীর পেপুল বেড়িয়ার বিজেপির বুথ সভাপতি নকুল হালদারকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে তাঁর পরিবার। নকুল বাবুর বাড়ি হাঁসখালিতে হলেও, তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের আম বাগানে। পরিবারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারে সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছেন। আজ দিল্লি থেকে জাতীয় তপশিলি কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বললেন। স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি ও অ্যাডিশনাল এসপির সামনেই প্রতিনিধি দলের কমিশনের সহ-সভাপতিকে জানান নকুল বাবুকে খুন করা হয়েছে কীভাবে। কমিশনের সদস্যরা পুলিশের কাছে জানতে চান এই মৃত্যুর ঘটনার পূর্ণ বিবরণ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ বিবরণ দিলেও, সেই বিবরণের মোটেই সন্তুষ্ট নয় কমিশন। ঘটনাস্থল থেকে এরপর প্রতিনিধি দলটি যায় পরিবারের সাথে দেখা করতে।

    কমিশনের বক্তব্য

    মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের (Nadia) সদস্যরা কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদারের সঙ্গে ঘরে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। আলোচনা সেরে বাইরে বেরিয়ে অরুণ বাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পরিবারের সাথে প্রশাসনের বক্তব্যের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়াও তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকদের থাকার কথা থাকলেও ঘটনাস্থলে তাঁরা কেউ ছিলেন না। এছাড়াও তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারটা প্রশাসন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি মনে করেন। এরপর অরুণ হালদার এসপির সাথে বৈঠক করবেন বলে জানান। পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন পুলিশের বিচার সঠিকভাবে না হলে এবং দোষীদের গ্রেফতার না হলে, সিবিআই তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Nadia) সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন নিজের বাড়িতে। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তাঁরা দাবি করেন, পুলিশের প্রতি তাঁদের আস্থা নেই, তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবার কবে ন্যায় বিচার পান, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • NITI Aayog Meeting: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    NITI Aayog Meeting: রাজ্যগুলির ক্ষতি! নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ৮ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে (NITI Aayog Meeting) শনিবার গরহাজির ৭ অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ এবং ‘জনবিরোধী’ রাজনীতি করার অভিযোগ তুলল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকবেন না। বৈঠকে যোগ দেননি অববিন্দ কেজরীওয়াল, ভগবন্ত মান, নীতীশ কুমার, কে চন্দ্রশেখর রাও, এমকে স্ট্যালিন, পিনারাই বিজয়ন এবং অশোক গেহলটের মতো বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা। 

    বিরোধীদের ভুল রাজনীতি

    শনিবার দুপুরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাস্থ্য, দক্ষতা উন্নয়ন, মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করা বৈঠকটি শনিবার এখানে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এত জন মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার মানে হল, তাঁদের রাজ্যের বক্তব্য শোনা যাবে না।’’ বিরোধীদের এই রাজনীতিতে সরকারের উন্নয়নের উদ্যোগই ব্যাহত হবে বলে জানান তিনি। রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং জনবিরোধী।’’ মমতা-সহ বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেখব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করে আপনারা কত দূর যান?’’

     আরও পড়ুন: ‘‘কুড়মিদের বিষয়ে শহরের রাজপুত্ররা কী জানবে’’! অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    শনিবার দিল্লিতে বসেছে নীতি আয়োগের বৈঠক (Niti Aayog Meeting)। সভাপতিত্ব করছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। নয়া দিল্লির (New Delhi) প্রগতি ময়দানের নিউ কনভেনশন সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে রাজ্যগুলি নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ভুল করছেন। এর ফলে দিনের শেষে আদপে রাজ্যগুলির উন্নতির গতিই শ্লথ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে কীভাবে উন্নত ভারতে পরিণত করা যায়, পাশাপাশি সেই কর্মযজ্ঞে মুখ্যমন্ত্রীদের অবদান কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share