Blog

  • WTC final : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    WTC final : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিরাট-সহ ৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট টাইটান্সের কাছে হেরে আইপিএল থেকে রবিবারই বিদায় নিয়েছে আরসিবি। শতরান করেও দলকে বাঁচাতে পারেননি কোহলি। তাই মন ভেঙেছে। এবারও আইপিএল ট্রফির স্বাদ অধরাই থেকে গেল। কিন্তু দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন কিং কোহলি। তাই এবার দেশের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ড পাড়ি দিচ্ছেন বিরাট। পরের মাস থেকে শুরু বিশ্ব টেস্ট ফাইনাল (WTC final)। তাই বিশ্রাম না নিয়ে প্রস্তুতি সারতে আগেভাগেই ইংল্যান্ডে চলে যাচ্ছেন বিরাট-সহ আরও ৯ জন ভারতীয় ক্রিকেটার।

    আজ ভোরেই বিমান

    বোর্ড সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরবেলায় ইংল্যান্ডের বিমান ধরবেন কোহলি। তিনি একা নন, একই বিমানে মহম্মদ সিরাজ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর পটেল এবং শার্দূল ঠাকুর যাচ্ছেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরও মঙ্গলবার ভোরে একই বিমানে ইংল্যান্ডে রওনা হওয়ার কথা। ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ এবং দলের ম্যানেজারও ওই বিমানেই যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: পাখির চোখ প্যারিস অলিম্পিক! জ্যাভলিনে বিশ্বের ১ নম্বর নীরজ

    বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই থেকে তিনটি ভাগে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন ক্রিকেটাররা। প্রথম দল মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বেরোচ্ছে। রোহিত শর্মা, ঈশান কিশন, শুভমন গিল, মহম্মদ শামি, কেএস ভরত এবং অজিঙ্ক রাহানে দেশে থেকে যাচ্ছেন নিজের দলের হয়ে প্লে-অফ খেলার জন্যে। চেতেশ্বর পুজারা আগে থেকেই ইংল্যান্ডে রয়েছেন। সামনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC final)। ৭ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামবে ভারত। দু’মাসের আইপিএল খেলেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC final) খেলতে নামবে অধিকাংশ ভারতীয় ক্রিকেটার। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে থাকা মাত্র তিনজন অজি ক্রিকেটার আইপিএলে খেলেছে। গত সপ্তাহে রিকি পন্টিং জানান, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি ভাল থাকবে অজিদের। তবে ভারতীয়দের কাছে থাকবে মূল্যবান গেম টাইম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পে এ রাজ্যে পুকুর চুরি হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ট্যুইট-বার্তায় তার ‘প্রমাণ’ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMYA) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতির নাগাল পেতে এ রাজ্যের সাত জেলায় তদন্ত করেছিল ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই টিমের সদস্য ছিলেন আইএএস মনোজ পন্থ এবং আইএএস পি উলগানাথন। এই টিমের রিপোর্টেই স্পষ্ট, আক্ষরিক অর্থেই পুকুর চুরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে দখল করা এক জমিতে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। দেওয়ালে অবশ্য লেখা, বাংলা আবাস যোজনা। মুর্শিদাবাদে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫৩১ জন। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে যোগ্য মাত্রই ২৫ জন।

    আবাস প্লাস যোজনায় ঘর

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Suvendu Adhikari) আবার চুরি হয়েছে অন্যভাবে। যাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে, আবাস প্লাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন তিনিও। সুবিধাভোগীর তালিকায় এমন অনেকেরই নাম রয়েছে, যাঁদের আদৌ ওই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। ৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যোগ্য নন এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা এই জেলায় ১,৯৮০ জন। কিছু বাড়ির দেওয়ালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা লেখা নেই।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার অন্য ছবি। এখানে ভেরিফিকেশন টিম যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছে, তাদের এই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। আবাস যোজনায় যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, সেখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কালিম্পংয়ের ছবিটাও প্রায় একই রকম। ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের আসার খবর পেয়েই লেখা হয়েছে দেওয়াল। দার্জিলিংয়েও প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এমন অনেকে, যাঁদের তা পাওয়ার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী (Suvendu Adhikari) আবাস যোজনায় বাড়ি পেলেও, দেওয়াল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লোগো। নদিয়ায়ও এমন অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে। এখানেও অনেক সুবিধাভোগীর দেওয়ালেও লোগো কিংবা অন্য কোনও চিহ্ন নেই, যা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

  • G20 Summit 2023: শ্রীনগরে শুরু জি-২০ সম্মেলন, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    G20 Summit 2023: শ্রীনগরে শুরু জি-২০ সম্মেলন, কী কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit 2023) আয়োজক দেশ ভারত (India)। ২২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক চলবে। চিন জানিয়ে দিয়েছে, এবারের সম্মেলনে কাশ্মীরে হওয়ায় তারা যোগ দেবে না। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে।

    জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit 2023) আলোচ্যসূচি

    পর্যটন দফতরের সেক্রেটারি অরবিন্দ সিংহ জানান, এই সম্মেলনে মূলত যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যটনের মাধ্যমে কীভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং জি-২০ ট্যুরিজম (G20 Summit 2023) মিনিস্টার্স ঘোষণা। পর্যটনের জন্য গোয়া রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হবে। অরবিন্দ জানান, সম্মেলন চলাকালীন জি-২০র সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন প্রস্তাবিত আলোচ্যসূচির ওপর। চতুর্থ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হবে ওই আলোচ্যসূচি নিয়েই।

    ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপ মূলতঃ পাঁচটি বিষয়ের ওপর আলোচনায় প্রাধান্য দেবে। এগুলি হল, গ্রিন ট্যুরিজম, ডিজিটাইজেশন, স্কিলস, এমএসএমইএস এবং ডেস্টিনেশন। ২২ এবং ২৩ মে অনুষ্ঠিত হবে ফিল্ম ট্যুরিজম ফর ইকনোমিক গ্রোথ অ্যান্ড কালচারাল প্রিজারভেশন। এই অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করবেন জি-২০র সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উদ্যোগপতিরা।

    মূল চালিকা শক্তি হল পর্যটন

    জি-২০র শেরপা অমিতাভ কান্ত বলেন, শ্রীনগরে আয়োজিত জি-২০ ট্যুরিজম (G20 Summit 2023) ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিং গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেবে শান্তি, উন্নতি এবং সমৃদ্ধির বার্তা। যার মূল চালিকা শক্তি হল পর্যটন, বিশেষত সংস্কৃতি এবং ফিল্ম তৈরির ক্ষেত্রে। এই সম্মেলনের ফলে কাশ্মীরে আরও বেশি করে কর্মসংস্থান হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেন, জম্মু-কাশ্মীরে ফিল্ম ট্যুরিজমের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ভূস্বর্গে এটা কীভাবে আরও প্রসারিত করা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা করছে সরকার। পর্যটনের উন্নতি হলে হসপিটালিটি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে একটি বড় পরিকল্পনা করছি। এদিন সম্মেলনের সূচনা পর্বে ‘নাটু নাটু’ গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচেন অভিনেতা রামচরণ। তিনি বলেন, আমার বাবা গুলমার্গ ও সোনমার্গে বহুবার শ্যুটিং করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে আমিও আসছি। এই অডিটোরিয়ামেও আমি শ্যুটিং করেছি। কাশ্মীরে এলে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়।

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    Gujrat ATS: গুজরাট এটিএস-এর জালে আল কায়েদার চার বাংলাদেশি সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) এর জালে আল-কায়েদার মডিউল ধরা পড়ল। গ্রেফতার করা হয়েছে চারজন বাংলাদেশিকে। জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে আমেদাবাদে থাকছিল। এটিএস জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই মডিউলের সদস্যদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত করা হয়। পরে তাদেরকে ভারতে পাঠানো হয়। ধৃতদের জেরা করে সন্ত্রাস দমন শাখা জানতে পেরেছে যে তাদের কাজ ছিল আল-কায়েদার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে উগ্র মৌলবাদ প্রচার করা এবং তাদেরকে সন্ত্রাসের কাজে লাগানো। 

    কী বললেন সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিক (Gujrat ATS)

    গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখার (Gujrat ATS) ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল দীপান ভদ্রন বলেন, ‘‘ধৃতদের আমেদাবাদের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮,৩৯ এবং ৪০ ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।

    ধৃতদের পরিচয়

    গুজরাট এটিএস (Gujrat ATS) সূত্রে খবর, আল-কায়েদার মডিউলের এই সদস্যরা হল, মহম্মদ সজীব, মুন্না খালিদ আনসারি, আজহারুল ইসলাম আনসারী এবং মমিনুল আনসারি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন অভিযানে নামে গুজরাট সন্ত্রাস দমন শাখা। প্রথমে গ্রেফতার হয় সজীবকে। জানা গেছে, আমেদাবাদের রাখিয়াল অঞ্চলে থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাত সে। এরপর সজীবকে জেরা করে আরও তিন সদস্যের সন্ধান পায় এটিএস। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে বসে শরিফুল ইসলাম এই আল কায়েদা মডিউল কন্ট্রোল করতে বলে জানা গেছে। জানা গেছে সজীবকে জেরা করেই এটিএস হানা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে আজহারুল এবং মমিনুলকে। আমেদাবাদের নাড়োল অঞ্চলে স্থানীয় একটি কারখানাতে তারা কাজ করত বলে জানা গেছে। 

    কী কী বাজেয়াপ্ত হল জঙ্গিদের কাছ থেকে?

    এদিন সন্ত্রাস দমন শাখা তাদের কাছ থেকে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড সমেত বেশ কিছু লিফলেট পেয়েছে। এই লিফলেটগুলোর সাহায্যে উগ্র মৌলবাদের প্রচার করা হত বলে জানা গেছে।  এখন সন্ত্রাসদমন শাখা জানার চেষ্টা করছে যে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পার হতে তাদেরকে কারা সাহায্য করেছে এবং কোন রাজ্য হয়ে তারা ঢুকেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    Manipur: ফের অশান্তির আগুন মণিপুরে, নামল সেনা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্তির আগুন জ্বলল উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে (Manipur)। রাজধানী ইম্ফলের চেকন অঞ্চলে সোমবার ফের সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর। অশান্তি রুখতে তলব করা হয়েছে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীকে। ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। অশান্তির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। অশান্তি এড়াতে আবারও পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    মণিপুরে (Manipur) হিংসার কারণ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকালে চেকন বাজারে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। এর পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এলাকার কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। 

    হিংসায় ক্ষতির খতিয়ান

    দীর্ঘদিন ধরেই তফশিলি জনজাতির মর্যাদা চেয়ে আসছেন মেইতেইরা (Manipur)। সম্প্রতি মণিপুর হাইকোর্ট তাঁদের জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। এর বিরোধিতায় পথে নামে রাজ্যের অন্য জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তার জেরে ৩ মে প্রথম অশান্তির আগুন জ্বলে মণিপুরে। সেনা নামিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে নেভানো হয় সেই অশান্তির আগুন। যদিও ততক্ষণে সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন শ’তিনেক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭০০র বেশি বাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছিলেন ২৫ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    প্রথম দফায় যখন অশান্তি ছড়িয়েছিল, তখন চেকন (Manipur) এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি। এদিনও সেখানে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির এন বীরেন সিংহ। তিনি জানান, রাজধানীতে যাতে বাইরে আটকে থাকা গাড়ি ঢুকতে পারে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ওষুধের আকাল দেখা না দেয়, সেজন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনা ও অসম রাইফেলস বিভিন্ন এলাকায় টহলও দিচ্ছে। চেকান (Manipur) এলাকায় দোকান বন্ধ করে দেয় সেনা ও নিরাপত্তারক্ষীরা। এলাকায় ফের জারি করা হয়েছে কার্ফু। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • 2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    2000 Bank Notes: ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারে কী প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের সরকারি ওয়েবসাইটে সেদেশের মুদ্রা, অর্থাৎ মার্কিন ডলার নিয়ে একটি পৃথক পেজ রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে সাতটি ভিন্ন মূল্যের নোট পাওয়া যায়, সর্বোচ্চ ১০০ ডলার। আরও বলা হয়েছে, ১০ হাজার মার্কিন ডলারের নোট বর্তমানে লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈধ থাকলেও, দীর্ঘদিন আগে তা ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও, বর্তমানে কেউ তা ব্যবহার করেন না।

    নোটবন্দির সঙ্গে তুলনা একেবারেই ভুল

    গত ১৯ মে, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহার করার ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জনসাধারণের উদ্দেশে জানিয়ে দেয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে। যদিও, স্পষ্টভাবে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক এও জানিয়েছে, সময়সীমার পরেও বৈধ থাকবে ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ, সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোটে লেনদেন করা হলে, তা সমান প্রযোজ্য হবে। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই ঘোষণার পর থেকেই অনেকে এই নির্দেশিকার সঙ্গে ২০১৮ সালের নোটবন্দির তুলনা টেনে আনছেন। যা, একেবারেই ভুল। কারণ, নোটবন্দির সময় পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার বৈধতাও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। কিন্তু, ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রকাশিত নির্দেশিকায় একাধিকবার উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, এখনই ২০০০ টাকার নোটের বৈধতা খারিজ করা হচ্ছে না।

    তাহলে কেন এই ঘোষণা? এই নির্দেশিকার অর্থ কী?

    নির্দেশিকার অর্থ, জনমানসকে সচেতন করা বা অনুরোধ করা, যাতে তারা ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) দিয়ে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকেন। একইসঙ্গে জনসাধারণকে পরামর্শ, তারা যেন ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট জমা দিয়ে তার বদলে সম অর্থের অন্য মূল্যের নোট নিয়ে নেন। শীর্ষ ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, তারা ‘ক্লিন নোট পলিসি’ বা পরিষ্কার নোট নীতি অবলম্বন করেছেন। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, একটি নোটের পরিচ্ছন্নতার মেয়াদ চার থেকে পাঁচ বছর। ২০১৮-১৯ সালের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যার অর্থ, বাজারে চালু নোটগুলো ৪-৫ বছরের পুরনো। অর্থাৎ, নোটগুলো তাদের কার্য মেয়াদের শেষ সীমায় উপস্থিত হয়েছে। সাধারণত ‘সয়েলড নোট’ বা অপরিষ্কার বা মলিন নোট হলে, তা আরবিআই ফেরত নিয়ে নেয়। বদলে একই মূল্যের নতুন নোট বাজারে ছেড়ে দেয়। তবে, এক্ষেত্রে তফাত একটাই। ২০০০ টাকা আরবিআইয়ের কাছে গেলে, তার বদলে নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে না। এটাই প্রত্যাহার। 

    ব্যাঙ্ক নোট ও মুদ্রাস্ফীতি

    ব্যাঙ্ক নোট (2000 Bank Notes) ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে একটা সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি নগদ চালু হলে, তার জেরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে। মুদ্রাস্ফীতির একটা বড় কারণ হল, বেশি পরিমাণে নগদ মজুত। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বিপুল জাল নোট ছড়িয়ে পড়েছিল। একটা সময় ছিল, যখন ভারতে বেশি মূল্যের নোটের জালনোট ছড়িয়ে দিতে পাকিস্তানের অশুভ পরিকল্পনা সফল হয়েছিল। যার জেরে ভারতে হু-হু করে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছিল। কারণ, নোট আসল না নকল — সাধারণ মানুষের পক্ষে পরখ বা যাচাই করার ক্ষমতা সীমিত। ফলত, আরবিআইয়ের হিসেবের বাইরে বাজারে প্রচুর নোট ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাতে, সকলের হাতে প্রয়োজনের তুলনায় টাকা বেশি চলে এসেছিল। এর ফলে, জনমানসে পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা অযাচিতভাবে বৃদ্ধি পায়। টাকার মূল্য হ্রাস পায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। বর্তমান সরকার শক্ত হাতে জালনোট সমস্যার মোকাবিলা করেছে ও করে চলেছে। শত্রুরা এখনও দেশে জালনোট ঢোকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, বর্তমান শাসক দলের কঠোর নীতি ও দিশার জেরে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে না।

    মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময়ে-সময়ে ব্যাঙ্ক রেট বৃদ্ধির পথে হাঁটতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে। এর ফলে, ব্যাঙ্ক-ঋণ আরও মহার্ঘ হয়ে পড়ে। কারণ, সুদ বেশি দিতে হয়। ফলত, মানুষের চাহিদা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও, এর আরেকটা ক্ষতির দিকও রয়েছে। সুদের হার বাড়লে, ক্ষতি হয় ব্যবসাতেও। আর ব্যবসা মন্দা গেলে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে অর্থনীতির ওপর। আর অর্থনীতির চাকা ধীর গতিতে গড়ালে, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খায়। এখন ব্যাঙ্ক রেটের হার বৃদ্ধি না করেও কি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সম্ভব। সেক্ষেত্রে, বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদ প্রত্যাহার করলে তা আখেরে ফল দিতে পারে। তাঁদের মতে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২০০০ টাকার নোট (2000 Bank Notes) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত এই প্রয়াসের লক্ষ্যে হতে পারে।

  • PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    PM Modi: পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন গেলেন এই দ্বীপরাষ্ট্রে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে চিন (China)। এমতাবস্থায় চিনকে মাত দিতে প্রশান্ত মহাসাগরের অন্যতম বড় দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি (Papua New Guinea) সফর সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর এই সফরে তৈরি হল ইতিহাস। এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী পা রাখলেন পাপুয়া নিউ গিনিতে। ২০১৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় অবশ্য গিয়েছিলেন ওই দ্বীপরাষ্ট্রে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির মধ্যে সব চেয়ে জনবহুল পাপুয়া নিউ গিনি। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ এই দ্বীপে খবরদারি করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। তা রুখতেই দ্বীপবাসীর মন জয় করতে সেখানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) যোগ দেন সম্মেলনে

    পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রচুর পরিমাণে সোনা ও তামার খনি রয়েছে। সেই সোনা ও তামার লোভেই এই দ্বীপরাষ্ট্রের ওপর শ্যেন দৃষ্টি দিয়েছে বেজিং। ড্রাগনের রক্তচক্ষু সম্পর্কে থেকে দ্বীপরাষ্ট্রকে অবগত করতে এবং প্রকৃত বন্ধু যে ভারতই, তা বোঝাতেই পাপুয়া নিউ গিনি সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যদিও মূল লক্ষ্য ছিল, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সহযোগিতা সম্মেলনে (FIPIC) যোগ দেওয়া। সে দেশের রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে যোগ দেন প্রশান্ত মহাসাগরের আরও ১৪টি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানরা। সম্মেলনের পর ওই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানেই আলোচনা হয় দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে। সেখানে ভারতের তরফে সাহায্য, বন্ধুত্ব ও উন্নয়নের অংশীদারিত্বের হাত বাড়িয়ে দেন মোদি।

    আরও পড়ুুন: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    চিনের শ্যেন দৃষ্টি

    পাপুয়া নিউ গিনিতে নয়া বেল্ট অ্যান্ড রোড কো-অপারেশন প্রকল্প চালু করতে যে বেজিং আগ্রহী, তা ঢের আগেই জানিয়েছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দ্বীপরাষ্ট্রটিতে কৃষি, মৎস্যচাষ, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এই উন্নয়নের নামেই চিন ঋণের ফাঁদে ফেলেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। যার জেরে দেউলিয়া হতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ওই ঋণের ফাঁদে পা দিয়েই দেউলিয়া হওয়ার পথে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তাই পাপুয়া নিউ গিনিও যাতে চিনা ফাঁদে পা না দেয়, সেটাও রোখাও মোদির (PM Modi) এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে ধারণা ওয়াকবহাল মহলের।

    প্রশান্ত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াতে হলে পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রভাব বিস্তার করতে হবে। এটা করতে পারলেই কেল্লাফতে। প্রশান্ত মহাসাগর তো বটেই, দক্ষিণ চিন সাগরের কূটনীতিতেও অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে। সেই কারণেই মারাপের দেশে ঘাঁটি গাড়তে মরিয়া চিন। আর চিনের বাড়া ভাতে ছাই দিতে পাপুয়া নিউ গিনি সফর সারলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ। আর সেই অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলমবাজার এলাকায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তার আলমবাজারের বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার চালাত। ওই কল সেন্টার থেকে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। ওই কল সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বরানগরের আলমবাজারে আসে। কল সেন্টারে যুবকরা কাজ করছিল। পুলিশ হানা দিয়ে সকলকে ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের কেন ছিনতাই করা হল, কেউ তার উত্তর দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারে যারা কাজ করত সকলেই এলাকারই ছেলে।

    পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল?

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ বরানগরে (Baranagar) এসে ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের গ্রেফতার করতেই কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে তারা ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। চার অভিযুক্তকে দেখতে কাউন্সিলার থানায় যান বলে অভিযোগ। তবে, বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার কেন কাউন্সিলার চালাতে দিয়েছিল, আর পুলিশি পদক্ষেপকে কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কাউন্সিলারের মদতেই সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চলত। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কাউন্সিলার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তাই, কাউন্সিলার নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    2000 Notes: ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২ হাজারের নোট না বদলালে কী হবে? বড় ঘোষণা শক্তিকান্ত দাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা গত শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা বা বদল করা যাবে বলেও জানিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই-এর এই ঘোষণার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরতে থাকে নানা মুনির নানা মত। অনেকেরই প্রশ্ন, ‘‘তবে কি ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেই ২০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ধরে নেওয়া হবে?’’ সোমবার জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, নোট বদলের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ২০০০ টাকার নোট অবৈধ হবে না। অন্যদিকে, রবিবার স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) জমা দিতে হলে বা বদলাতে গেলে কাউকে কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। নির্দিষ্টভাবে কোনও ফর্মও পূরণ করতে হবে না। একসঙ্গে ব্যাঙ্কে ১০ টি ২০০০ টাকার নোট অথবা ২০ হাজার টাকার নোট বদলানো যাবে অথবা জমা করা যাবে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।

    কী বললেন শক্তিকান্ত দাস?

    সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে আরবিআই গভর্নর বলেন, “এই সময় ব্যাঙ্কে ভিড় করার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনার কাছে নোট বদলের জন্য চার মাস সময় আছে।” এই সময়ই তিনি বলেন, ‘‘৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও ২০০০ টাকার নোট ‘অবৈধ’ হয়ে যাবে না।’’ তবে নোট বদলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘‘জনগণ যাতে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে, তার জন্যই এমনটা বলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০০০ টাকার নোট (2000 Notes) বদলের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসতেই নানা ধরনের গুজব ছড়াতে শুরু করে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের নোটবাতিলের সঙ্গে এর তুলনা টানতে শুরু করে কেউ কেউ। ২০০০ টাকার নোট যে বাতিল বা বেআইনি কোনওটাই হয়নি এদিন আরবিআই গভর্নরের কথায় তা অনেকটাই স্পষ্ট হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ১০০০ টাকার নোট কি ফিরছে?

    সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হলেও নতুন করে হাজার টাকার নোট চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই। প্রসঙ্গত, ৭ বছর আগে দেশে হাজার টাকার নোট চালু ছিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। নতুন নোটের চাহিদা সামাল দিতে তার পরেই বাজারে আসে ২ হাজার টাকার নোট (2000 Notes)। এই আবহে দেশে আবার হাজার টাকার নোট চালু করা হবে কি না, এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও আপাতত এমন কোনও ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত, এরকম তিন সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। এমনই সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। গত শনিবার দুপুরে ওই সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের মোট ২০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা।

    আধিকারিককে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চলেছে কালো টাকা সাদা করার কাজ। সোমবার সকালে একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। ওই সংস্থার লেনদেন এবং টাকার উৎসে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অমিতকে।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে

    ইডির তল্লাশিতে মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ষোলোটি জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি। এই নথিতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুজয়কৃষ্ণর (Kalighater Kaku) ফোন-সহ ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ সহ ইলেকট্রনিক এভিডেন্স। তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি কোম্পানির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্রও মিলেছে। সেগুলির সঙ্গে সুজয়ের কোনও যোগ আছে কি না, নথিপত্র যাচাইয়ের পর তা নিয়ে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি গিয়েছিল সিবিআই৷ সূত্রের খবর, সেখানে অ্যাডমিট কার্ড ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজাম প্যালেসে তলবও করেছিল সিবিআই। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরেও এল কালীঘাটের এই কাকু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share