Blog

  • Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    Tungnath Temple: ক্রমশই হেলে পড়ছে রুদ্রপ্রয়াগের তুঙ্গনাথ শিবমন্দির! জানাল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেলতে শুরু করেছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির তুঙ্গনাথ (Tungnath Temple)। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার এই স্থাপত্য বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির হিসেবে পরিচিত। ১২,৮০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মন্দির ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মন্দিরের ছোট কাঠামোগুলি হেলেছে প্রায় ১০ ডিগ্রি। গাড়োয়াল হিমালয়ের এই স্থাপত্য নিয়ে সমীক্ষা চালায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। সেখানেই এই তথ্য উঠে আসে। এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে মন্দির, একথা ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে জানিয়েছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নরেন্দ্র মোদি সরকারও।

    আরও পড়ুন: ‘‘বারেবারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান এবার…’’! অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    কী বলছেন ভারতের পুরাতত্ত্ব গবেষকরা (Tungnath Temple)

    দেরাদুন পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘কেন তুঙ্গনাথ মন্দির (Tungnath Temple) হেলে গিয়েছে, এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। পাশাপাশি এটাও দেখতে হবে যে এই ক্ষতি দ্রুত মেরামত করা যায় কিনা। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পুরাতত্ত্ব বিভাগের অপর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সরকার এটিকে জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ বিষয়ে কারও কোন আপত্তি আছে কিনা জানতে চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।’’ জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারকে মন্দিরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে মন্দিরটিকে যাতে সুরক্ষিত সৌধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে।  

    তুঙ্গনাথ মন্দিরের (Tungnath Temple) বর্তমান স্থিতি….

    জানা গেছে ওই মন্দিরে আপাতত একটি স্কেল বসানো হয়েছে। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে এই স্কেল প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। দেখা হবে যে ওই মন্দির বসে যাচ্ছে নাকি হেলে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, তুঙ্গনাথ মন্দিরের দেখাশোনা করে বদ্রি কেদার টেম্পল কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”,  এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় জখম এক রোগী ভর্তি করা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত। আর তার জের কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছে যাবে শনিবার তা দলের কর্মীরাও আঁচ করতে পারেননি। শুক্রবারের ঘটনার জেরে এদিন মদন বাণে বিদ্ধ হয় এসএসকেএম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মদন মিত্র একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তোপ দাগে। শনিবার দিনভর এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছে। কারণ, মদনের বাণে বিদ্ধ শুধু এসএসকেএম নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোও।

    হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আর এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের পাশে রয়েছেন”। মদন মিত্রের (Madan Mitra) নাম না করে তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমি তাঁকে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।” হাসপাতালের ডিরেক্টর আরও বলেন, “যে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে কেউ হামলা করলে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কাল যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সকলের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    কী বললেন মদন মিত্র (Madan Mitra)?

    মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া বার্তায় মদন মিত্রের ক্ষোভের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছে। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে মদন মিত্র বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মূলত তাঁর এই ক্ষোভ যতটা না হাসপাতালের বিরুদ্ধে তার থেকে অনেক বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের একার দল নয়। আমাদের মতো সকলকে নিয়ে তৃণমূল গঠিত হয়েছে। তৃণমূল ব্যক্তিগত কারও হলে প্রাইভেট লিমিটেড লেখা থাকত, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আর এই দল করতে গিয়ে কারও শরীরে যদি আঘাতের চিহ্ন লেগে রয়েছে, তো আমারও ২৩ মাস জেল খাটার আঘাত শরীরে রয়েছে। দরকার হলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আমি সোনালি গুহ, দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায় নই। আমি মদন মিত্র (Madan Mitra)। উনি আমাকে কী দিয়েছেন?” তিনি আরও বলেন, “ওই তো বিধায়কের মাইনে। যদি ছেড়ে দিতে বলেন, তা ছেড়ে দেব। তেমন হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যা পড়াশুনা জানি তাতে টিউশন পড়িয়ে মাসে ৩০ হাজার রোজগার করতে পারব।” এরপর তিনি অনুরোধ করে বলেন, “আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না। আর আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে ভোট করাবেন। আমি নির্বাচিত কামারহাটি থেকে। তৃণমূল আমাকে জেতায়নি। আমাকে জিতিয়েছে কামারহাটির মানুষ।”

    কী নিয়ে বই লেখার কথা বললেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) টিউশন করার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমি বই লিখব। আর সেই বই বেস্ট সেলার হবে। সারদা মামলায় ২৩ মাস জেলে ছিলাম। আমার বইয়ে সেই সময়করার ঘটনা তুলে ধরব। আমার বিশ্বাস, আমার বই বেস্ট সেলার হবে। আমেরিকার মানুষও পড়বে আমার বই।”

    কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র?

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মদনদা (Madan Mitra) বাম আমল থেকে পিজি হাসপাতালে প্রভাবশালী। দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের চিকিত্সার ব্যবস্থা করে এসেছেন। কোনও একটি ঘটনায় তাঁর রাগ হয়েছে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেটা বলেছে সেটাও একটি দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হলে রাস্তায় এক হাঁটু জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। জল জমা রাস্তায় সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রী গ্রামের মহিলা এবং স্কুলের ছাত্রীরা। তাই নদিয়ার (Nadia) আসাননগর পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জমা জলে মাছ ছেড়ে সেই মাছকে জাল দিয়ে ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বিজেপি।

    জমা জলে আসননগরে (Nadia) সমস্যা

    বৃষ্টির জমা জলে রাস্তার সমস্যায় রয়েছেন আসাননগর (Nadia) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির ফলে এলাকার প্রায় একশো মিটার রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আর এই রাস্তার জমা জল দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ বিষয়ে বারংবার পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই এলাকায়। রাস্তার জমা জলে বাড়ছে মশার উপদ্রব। একে রাস্তার সমস্যা, তারপর আবার ডেঙ্গি সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নদীয়া (Nadia) বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ও স্থানীয় (Nadia) বাসিন্দারা। জাল দিয়ে মাছ ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, এই রাস্তার পাশেই নদী বয়ে গেছে, রাস্তা থেকে একটা ড্রেন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ করলে বৃষ্টির জল রাস্তা থেকে দ্রুত নেমে যাবে। কিন্তু আসাননগরে (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আমারা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ জানালাম। প্রশাসন দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে আমারা বৃহত্তর আন্দোলন করব বলে হুমকি দেন বিজেপির এই মণ্ডল সভাপতি। প্রতিবাদ অভিনব হলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন কতটা তৎপর হয়, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    G 20 Meeting: কাশ্মীরে বৈঠক, তাই জি২০-তে অংশ নেবে না চিন! কড়া জবাব ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশ্মীরে জি২০ সম্মেলনের (G 20 Meeting) বৈঠকে অংশ নেবে না চিন। কাশ্মীরের (Kashmir) জমি ‘বিতর্কিত’ এমনই অভিমত পড়শি দেশের। এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল তুরস্কও। আগামী ২২ মে থেকে ২৪ মে জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জি-২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়ে দিল, নিজস্ব ভূখণ্ডে কোথায় তারা বৈঠক আয়োজন করবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দেশেরই প্রশাসন। অন্য দেশের ‘পরামর্শ’ যে, এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

    কড়া মনোভাব ভারতের

    বিতর্কিত কাশ্মীরে (Kashmir) জি-২০ বৈঠকের (G 20 Meeting) আয়োজন কেন করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চিন। এদিকে, তুরস্ক ও সৌদি আরবও জি-২০ বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবারই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনলবিন বলেন, “যে কোনও বিতর্কিত এলাকায় জি-২০ বৈঠকের আয়োজনের তীব্র বিরোধিতা করছে চিন এবং আমরা এই ধরনের কোনও বৈঠকে যোগ দেব না”। অন্যদিকে, ভারতের তরফেও চিনের এই আপত্তির কড়া জবাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভারত নিজের জমিতে যে কোনও জায়গায় বৈঠক করতে পারে। চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা অত্যন্ত জরুরি, এই কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিনের এই অবস্থানের পিছনে পাকিস্তানের প্রভাব দেখছে নয়া দিল্লি। 

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    কাশ্মীরে জি২০ বৈঠকের শেষ পর্বের প্রস্তুতি

    জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত (G 20 Meeting) দেশগুলির পর্যটন সংক্রান্ত বৈঠকটি এ বার আয়োজিত হবে কাশ্মীরে। ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত উপত্যকার এই বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা। এই বৈঠকের জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে। সেনা বাহিনী থেকে শুরু করে মেরিন কম্যান্ডো ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে। ডাল লেক সংলগ্ন শের-ই-কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে এই বৈঠক হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্য়াহারের পর এই প্রথম উপত্যকায় এত বড় মাপের কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    India Bangladesh Border: বাংলাদেশ যাওয়ার নতুন একটি রুট চালু হতে চলেছে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের আরও এক ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভ করতে চলেছে ভারত-বাংলাদেশের নতুন যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে। খুব শিগগিরই চালু করা হবে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) হৃদয়পুর চেকপোস্ট। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই চেকপোস্টে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়ে উঠবে।

    কী বললেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার?

    সম্প্রতি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border)  নদীয়ার হৃদয়পুর চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসেছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিপ ইলিয়াস। নদীয়ার চাপড়া ব্লকের হৃদয়পুর সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তিনি বলেন, “এদেশ থেকে আমাদের দেশে যাতায়াত করার রাস্তা খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই যোগাযোগ সড়ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ইস্যুকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দুই দেশের মধ্যে অসম্ভব ভালো যে বন্ধুত্ব রয়েছে তা আরও একবার আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাবে। এই চেকপোস্ট চালু হয়ে গেলে নদীয়ার কৃষ্ণনগর এবং বাংলাদেশের মুজিবনগরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধা হবে। ভারত -বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য  এই চেকপোস্ট বড় ভূমিকা নেবে।” এতদিন এই সব এলাকার মানুষদের অনেক ঘুরে সীমান্ত পার হতে হত। এখন বাড়ির কাছেই চেকপোস্ট গড়ে ওঠায় দুই দেশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত আরও সুগম হবে। তিনি আরও বলেন, ” ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ সহায়তা পেয়েছে ভারত সরকারের কাছ থেকে। এটাই একটি তার স্মারক। তাই এই রাস্তাটির নাম দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা সড়ক। বাঙালির হৃদয়ে যে আবেগ রয়েছে, এই রাস্তাটি যখন তৈরি হয়ে যাবে বা চালু হয়ে যাবে তখন আমরা সেই আবেগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারব। এই রাস্তার মধ্যে দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হবে। তবে, এই রাস্তা দিয়ে পন্য পরিবহণ করা সম্ভব নয়। কারণ, রাস্তার পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। আশা করি, আগামীদিনে তা হয়ে যাবে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’! তৃণমূলের ১২ বছর পূর্তিতে ট্যুইটে মমতাকে এভাবেই খোঁচা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রসঙ্গত, শনিবারই তৃণমূল সরকার ১২ বছর পূর্ণ করল। ২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেব প্রথমবার শপথ নেন মমতা। অন্যদিকে, শুক্রবার গোসাবার একটি জনসভা থেকেও মমতা সরকারকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। সুকান্তর দাবি, পিসি ভাইপো একসঙ্গে জেলে যাবে, ঠিক অনুব্রত-সুকন্যার মতো।

    তৃণমূল সরকারের ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষেও খোঁচা বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের জন্য শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে শনিবার সকালে ট্যুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন বালুরঘাটে সাংসদ। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। বাংলার সব মানুষ জেনে গিয়েছে, গত ১২ বছর ধরে আপনি এবং আপনার দলের সমস্ত সম্পদ দুর্নীতি শিখরে পৌঁছেছেন। বাংলার সমস্ত জায়গায় লাগামহীন হিংসা চলছে।’’

    এদিন মমতার ট্যুইট করা অংশের স্ক্রিনশট তিনি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, ‘‘জনতার আদালত আপনার বিচার হবে বাংলার মানুষ সবকিছু দেখছে।’’

    অভিষেক প্রসঙ্গে….

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই দফতরে হাজিরা নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ‘‘ভাইপোর পথে পথে পিসিও যাবে, যেমন অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল জেলে রয়েছেন। ঠিক সেভাবে পিসি-ভাইপোও জেলে থাকবে।’’ অভিষেক প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,  ‘‘ইডি-সিবিআই একের পর এক ডাকছে তাঁকে। আর সেখান থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু কোন লাভ হবে না। সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও তিনি বাঁচতে পারবেন না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকের কুর্সিতে সিদ্দারামাইয়া! উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিবকুমারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে রফাসূত্র বার করে কর্নাটকের (Karnataka Assembly Election) কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দুপুরে বেঙ্গালুরুতে উপচে পড়া কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এদিন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাবরচন্দ গহলৌতের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। শপথগ্রহণের মঞ্চে সিদ্দা-শিবের হাত ধরিয়ে ঐক্যের ফ্রেম তৈরি করে দেন রাহুল গান্ধী। এই ছবি কত দিন এক ফ্রেমে থাকা তা অবশ্য সময় বলবে!

    কারা শপথ নিলেন

    সিদ্দা এবং শিবকুমারের পাশাপাশি, শনিবার শপথ নিয়েছেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রভাবশালী দলিত নেতা জি পরমেশ্বর।  বাল্মিকী জনগোষ্ঠীর নেতা সতীশ ঝারখিয়োলিও মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তাঁর দাদা, বিজেপির নেতা রমেশ বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। পাঁচ বারের বিধায়ক তথা প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংয়ের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, দলের সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জও মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছেন শনিবার।

    আরও পড়ুন: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    শপথ অনুষ্ঠানে কারা ছিলেন

    বেঙ্গালুরুতে কর্নাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে (Karnataka Assembly Election) এদিন উপস্থিত ছিলেন নীতীশ কুমার, ভূপেশ বাঘেল, অশোক গেহলটের মতো কংগ্রেসি ও অবিজেপি দলের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী— ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। দূত হিসাবে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাঠিয়েছেন মমতা। প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসানও ছিলেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে। তাঁকে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাতেও দেখা গিয়েছিল। কংগ্রেস সভাপতি খাড়্গের পাশাপাশি, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছিলেন। তবে শারীরিক কারণে ছিলেন না সনিয়া গান্ধী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    Narendra Modi: জি৭-এর মঞ্চ থেকেই চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক পড়শিসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু উভয় দেশকেই একইভাবে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ মনোভাব ধরে রাখতে হবে। জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছেছেন তিনি। শনিবার তিনি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেন। জি-৭-এর মঞ্চেই নিজের কথা জানান মোদি।

    পাকিস্তানকে বার্তা মোদির

    ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তা-ও বলেছে ভারত।

    চিনকে বার্তা মোদির

    চিনকেও এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির (Narendra Modi) কথায়, “চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।” ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু ভারত বা চিনের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে, বলে জানান মোদি।

    আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের

    গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে তিন দিনের জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার জাপানে পৌছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি। তাঁর কথায়,”হিরোসিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জাপানে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে এসে আমি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন অহিংসার বার্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রীর হিরোসিমাতে আসার পর থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।

    জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত মোদির

    ২০০৩ থেকে জি-৭ বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকের শেষ দু’দিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেতে পারে ভারত। বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi)। শনিবারই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার মোদির সঙ্গে হিরোশিমাতেই সামনা-সামনি দেখা হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির। এর আগে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে দু’জনের। 

    যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে মাসখানেক আগে অতিরিক্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। সদর্থক সাড়া দিয়েছিল ভারত। এই আবহে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2000 Note: ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত চন্দ্রবাবু নায়ডু, কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের! কেন জানেন?

    2000 Note: ২০০০-এর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত চন্দ্রবাবু নায়ডু, কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১ অক্টোবর থেকে ২ হাজার নোট (2000 Note) বাতিলের ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। এই সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের মাস্টার প্ল্যানের (Modi Govt Masterplan) অঙ্গ বলে দাবি করছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ডেপুটি গর্ভনর আর গান্ধী (Former RBI Deputy Governor R Gandhi)। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। এই পদক্ষেপ কেন করা উচিত তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম।

    উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সে বার ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। ৭ বছরের মাথায় এ বার ২ হাজার টাকার নোট (2000 Note) তুলে নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১৮১ কোটি ২ হাজারের নোট তুলে নেওয়া হবে। ব্যাঙ্কগুলিকেও আর ২ হাজারের নোট না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজারের নোট মিলবে না এটিএমেও। ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বদলে নেওয়া যাবে ২ হাজার টাকার নোট। 

    লক্ষ্য কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ 

    এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু জানান, কালো টাকা নিয়ন্ত্রণে (curbing black money) এই সিদ্ধান্ত সরকারকে প্রচুর সাহায্য করবে। কারণ অনেক মানুষ প্রচুর পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট নিজেদের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। এবার তাঁরা যখন সেগুলি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পাল্টাতে যাবেন তখনই তা আয় বর্হিভূত হলে সমস্যায় পড়বেন।

    কেন নোট বাতিল করা হচ্ছে

    কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের মতে, এই নোট তুলে নেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল এই নোটের ব্যবহার হ্রাস পাওয়া। ক্রমাগতই কম হতে থেকেছে এই নোটের ব্যবহার। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সাধারণত লেনদেনের জন্য এত বেশি মূল্যের ব্যাঙ্কনোট জনসাধারণ ব্যবহার করে না। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলিত ব্যাঙ্ক নোট গুলির মধ্যে ২০০০ টাকার নোট (2000 Note) মাত্র ১০.৮ শতাংশ রয়েছে।

    আরবিআই (RBI) ‘ক্লিন নোট পলিসি’ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে ভাল গুণমানের নোটের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। নোট বন্দির পর প্রচলিত ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষেই ২০০০ টাকার নোট (2000 Note) ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে আরবিআই (RBI)। এই নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। যার অর্থ ২০১৬ সালে ছাপা নোটগুলি এখন সম্ভাব্য আয়ুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ‘ক্লিন নোট পলিসি’ অনুযায়ী, সেগুলি আর ব্যবহারের উপযুক্ত নয় বলেও তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: বাতিল হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট, কবে থেকে জানেন?

    আরবিআই (RBI) জানিয়েছে, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর বাজারে মুদ্রা নোটের ব্যাপক ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। আর সেই ঘাটতি মেটাতেই ২০০০ টাকার নোটটি চালু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি পালটেছে। ৫০০, ২০০, ১০০ টাকার নোটগুলি এখন উপযুক্ত পরিমাণে প্রচলিত রয়েছে। আর এই নোটগুলিই সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই যে উদ্দেশে একসময় ২০০০-এর নোট (2000 Note) চালু হয়েছিল তা পূরণ হয়েছে বলেও এই নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share