Blog

  • Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    Ambulance: অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের দাদাগিরি! বেঘোরে প্রাণ গেল মুমূর্ষু রোগীর, আক্রান্ত পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই মৃত্যু হল এক মুমূর্ষু রোগীর। সোমবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সোমবার রাতে এক মুমূর্ষু রোগীকে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়। রোগীর পরিবারের লোকজন পরিচিত এক অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালককে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। রিপন সেখ নামে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক হাসপাতালে এসে রোগীকে গাড়িতে তোলেন। বের হওয়ার সময় হাসপাতালে থাকা অন্যান্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাদের দাবি, হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করেই রোগীকে নিয়ে যেতে হবে। বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্সে (Ambulance) করে রোগী নিয়ে যাওয়া যাবে না। অ্যাম্বুল্যান্স চালক রিপন সেখ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছি। তাই, ওরা আমাকে ডেকেছিল। এটা তো কোনও অপরাধ নয়। এদিন হাসপাতাল থেকে আমাকে রোগী নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর আমি পিছনের রাস্তা ধরে অ্যাম্বুল্যান্স বের করে নিয়ে যাই। কিছুটা যাওয়ার পর কুলুর মোড়ে ওরা মাঝ রাস্তায় বুলেট রেখে আমাদের গাড়ি আটকায়। বাড়ির লোকজন কথা বলতে গেলে আরিফ সেখ, জিয়ারুল সেখ, সানি সেখ-এর নেতৃত্বে দলবল মিলে তাদের উপর হামলা চালায়। এরপর কোনওরকমে সেখান থেকে কিছুটা যাওয়ার পর রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। ওই অবস্থায় ফের সালার হাসপাতালে আমরা ফিরে আসি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে মৃতদেহ রেখে পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    মৃতের ছেলে সাকিব আলি বলেন, হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকদের দাদাগিরির জন্য আমার মাকে অনেকক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে, আমাদের ওরা মারধর করে। সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারার কারণে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর জন্য এই অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) চালকরা দায়ী। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Egra Blast: বাজির আড়ালে বোমা! এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Egra Blast) ইতিমধ্যেই ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    সুকান্তর দাবি

    এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠল বলে অভিমত সুকান্ত মজুমদারের। তিনি বলেন, ‘এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের শিল্প। তৃণমূল তো গোটা রাজ্যে বোমা বন্দুকের কারখানা করেছে। গোটা দেশে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটে। আর মুখ্যমন্ত্রীর কোনও লজ্জাও নেই। এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আমরা জীবনে দেখিনি যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এতো পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি হচ্ছে। আমি দেখলাম ক্ষতবিক্ষত দেহাংশ পড়ে আছে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ লোপাট হবে। আমরা দাবি করছি এর এনআইএ তদন্ত হোক। এই দাবিতে আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখছি’।

    এনআইএ তদন্তের দাবি

    মঙ্গলবার দুপুরে কেঁপে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে গ্রামে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করতেই তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকটি দেহ। জখম হয়েছে আরও কয়েকজন। তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে এগরা থানার পুলিশ।

    এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে৷ বিস্ফোরণের জেরে গোটা বাড়িটি উড়ে যায়৷ ওই বাড়ির চারপাশেই ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে পড়েছিলেন মৃত এবং আহতরা। এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও বিরোধীরা এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, এনআইএ তদন্তে রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই৷

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এগরার খাদিকুল গ্রামে একাধিক বাড়িতে অবৈধভাবে তৈরি হয় বাজি। প্রত্যেকটি বাড়িতে বেআইনিভাবে মজুত থাকে বাজির মশলা। কোন বৈধ লাইসেন্স নেই তাদের। পরিবারগুলি বাজি তৈরি করেই টাকা উপার্জন করে। বেশিরভাগ বাড়িতে এভাবেই বছরের পর বছর বাজি তৈরির কাজ চলছে। কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের বাড়িতে বিস্ফোরণ হতেই অবৈধ কারবার সামনে আসে।

    কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। পুলিশ এই ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সে জামিন পেয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এটি বেআইনি বাজি কারখানা। যার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ। তাকে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে আদালত থেকে জামিন পায় সে। এই বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকেই পলাতক কৃষ্ণপদ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    Falharini Kali Puja: বৃহস্পতিবার ফলহারিণী অমাবস্যা, এদিন কালী পুজোর মাহাত্ম্য কী? জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় কালীপুজোর চল সারা বছর ধরেই দেখা যায়। দুর্গাপুজোর পরে যে কালীপুজো হয় তা জনপ্রিয় দীপান্বিতা কালী পুজো নামে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে রক্ষাকালী পুজো। স্থানীয়ভাবেও বাংলার নানা প্রান্তে কালীপুজো হয়। কোনও কোনও গৃহস্থের বাড়িতেও কালী পুজো বছরের বিশেষ সময়ে দেখা যায়। জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে যে কালীপুজো হয় তা ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, মা কালী জীবের কর্মফল অনুসারে তাদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। তিনি প্রসন্না হলে জীবের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি মেলে। পাশাপাশি জীবন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। জানা যায়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ফলহারিণী কালীপুজোর দিনে সারদা দেবীকে পুজো করেছিলেন জগত কল্যাণের জন্য। ১২৮০ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য মাসের অমাবস্যা তিথিতে ঠাকুর দক্ষিণেশ্বরে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন সারদা মা’কে। পরবর্তীতে এই সময়ের কালী পুজো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে ফলহারিণী কালী (Falharini Kali Puja) পুজো নামেই প্রসিদ্ধি পায়।

    ফলহারিণী (Falharini Kali Puja) কালীপুজো ২০২৩  নির্ঘণ্ট

    ২০২৩ সালের ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) সম্পন্ন হবে ১৮ মে, বাংলার ৩ জৈষ্ঠ্য বৃহস্পতিবার। ১৮ মে রাত্রি ৯টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে যা চলবে ১৯ মে রাত্রি ৮টা ৪৩ মিনিট অবধি।

    কেন এই পুজো ফলহারিণী কালীপুজো (Falharini Kali Puja) নামে পরিচিত?

    শাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জৈষ্ঠ্য মাসে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল সমেত নানারকম মরসুমী ফল পাওয়া যায়। ভক্তরা তাদের ইষ্ট দেবীকে এই ফল নিবেদন করে থাকেন। দেবী ভক্তদের কর্মফল হরণ করে তাদেরকে মোক্ষফল প্রদান করেন। ভক্তদের বিশ্বাস, ফলহারিণী কালীপুজো করলে বিদ্যা, কর্ম এবং অর্থ ভাগ্যের উন্নতি ঘটে প্রেম প্রণয়ের বাধা দূর হয়, দাম্পত্য সংসারী জীবনেও সুখ শান্তি বিরাজ করে। এককথায় এই বিশেষ পুজোয় ভক্তরা আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানসিক শক্তি পেয়ে থাকেন বলে তাদের বিশ্বাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত কেন? রাজভবনের কাছে জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত কেন? রাজভবনের কাছে জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Najrul Islam University) অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাধন। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে রাজভবনের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, কী কারণে অপসারিত করা হয়েছে সাধনকে? বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, রাজভবনের তরফে উত্তর পেলে তবেই শুনানি হবে এই মামলার।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বক্তব্য…

    এদিন আদালতে সাধনের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, রাজ্যপালের নির্দেশের জেরে সম্মানহানি হয়েছে উপাচার্যের। আইনজীবী বলেন, যে কারণ দেখিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। রাজভবন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে উপাচার্যের সম্মানহানি হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চন্দ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানাতে হবে। এ বিষয়ে বুধবার জেনে আসতে হবে। তার পরেই এই মামলার শুনানি হবে।

    উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta High Court) শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক ও ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ। ১৪ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়া করে রেখেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও, তার হিসেব নেই। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।

    আরও পড়ুুন: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হলেও, সফল হননি সাধন। আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেও ঢোকার অনুমতি পাননি তিনি। আন্দোলনের দু মাসের মাথায় উপাচার্যকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন সাধন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (Calcutta High Court) আচার্য। তিনিই বরখাস্ত করায় সাধন জানিয়েছিলেন, এই অপসারণ নিয়ম বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরামর্শে তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করে অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। তাই উপাচার্যের পদ ছাড়বেন না তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    Love Jihad: মধ্যপ্রদেশে প্রকাশ্যে এল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র বাস্তব গল্প! কী হয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে হইচই হচ্ছে দেশজুড়ে। বাংলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এই ছবি প্রদর্শনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি, এই সিনেমা দেখানো হল অবনতি হতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার। সরকারি এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ছবি নির্মাতারা। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মূল (Love Jihad) গল্প হল, কীভাবে হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়। দেশ যখন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে উত্তাল, ঠিক সেই সময় এমন ঘটনাই প্রকাশ্যে এল। তবে ঘটনাস্থল কেরল নয়, মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)।

    মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) এ কী গল্প?

    জানা গিয়েছে, মধ্য প্রদেশের কট্টর ইসলামিক সংগঠন হিজব-উত-তারিরের সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করেছেন। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই দুজনকে ইসলামে দীক্ষিত করা হয়েছে। এই সংগঠনের ডেরায় হানা দিয়েছিল মধ্য প্রদেশ পুলিশ অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড। এই স্কোয়াডেরই সূত্রের খবর, এই জঙ্গি মডিউলের মূল দুই অভিযুক্ত হল ইয়াসির খান এবং মহম্মদ সালিম। ইয়াসির ভূপালের একটি জিমের প্রশিক্ষক। আর সালিম কয়েক বছর আগেও পরিচিত ছিল সৌরভ রাজবৈদ্য নামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অশোক জৈনের ছেলে। পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন আবদুর রহমানও। হিন্দু থাকার সময় তাঁর নাম ছিল দেবী নারায়ণ পান্ডা। ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বেণু কুমারও (Love Jihad)। বর্তমানে তাঁর নাম (Madhya Pradesh) মহম্মদ আব্বাস।

    আরও পড়ুুন: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

    সালিমের বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলের সিনিয়র সহপাঠী ডঃ কমল তাঁর মগজ ধোলাই করেন। তার পরেই ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি সালিম হয়েছেন। সালিমের বাবা বলেন, “পাঁচ ছেলেমেয়ের মধ্যে সেই ছিল আমাদের একমাত্র পুত্র সন্তান। ডাঃ কমল সব সময় তার মগজধোলাই করে তাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন। ইসলাম ধর্মগুরু জাকির নায়েকের ভিডিও-ও তাকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে আকৃষ্ট করেছে।” তিনি বলেন, “আমরা ইসলাম বিরোধী নই। তবে আমাদের ধর্ম এবং সংস্কৃতি নিয়ে আমরা গর্বিত। ২০১০ সাল থেকে আমার ছেলে নবি সম্পর্কে কোনও কিছুই শুনতে রাজি হয়নি। সে আমাকে হেনস্থা করার হুমকিও দিয়েছে।”

    তিনি বলেন, “২০১১ কী ’১২ সালে বারাবাঁকি থেকে আসা এক ইসলাম ধর্মগুরু আমার মেয়ে এবং জামাইকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছেন।” মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, “মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র পুনরাবৃত্তি হতে দেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    Garlic Benefits: কোলেস্টেরল কমায়, রক্ত চলাচল বাড়ায়! আর কী কী গুণ রয়েছে রসুনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি বাড়ির হেঁসেলে আমিষ রান্নার জন্য রসুন থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্যগত বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক রোগের চিকিৎসায় ওষুধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই রসুন।’’ রসুনে (Garlic Benefits) থাকে অ্যালিসিন নামক যৌগ। এই কারণে এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ‘‘প্রতি ১০০ গ্রাম রসুনে তাকে ১৫০ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ৬.৩৬ গ্রাম প্রোটিন।’’ এছাড়াও রসুন হল, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৬, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের ভরপুর উৎস। বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনের বেশি উপকার পেতে শাকসবজি ছাড়াও এটিকে কাঁচা খেতে হবে।

    আজকে আমরা আলোচনা করব রসুন (Garlic Benefits) শরীরে কী কী উপকার করে

    ১) রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে,  খালি পেটে রসুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তা রক্ত সঞ্চালনকেও বাড়ায়।

    ২) রসুন ডায়রিয়া উপশমকারী

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার যদি ডায়রিয়ার সমস্যা থাকে তাহলে রসুন (Garlic Benefits) এটিকে নিরাময় করতে পারে।

    ৩) কোলেস্টেরল কমায়

    যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, চিকিৎসকরা তাঁদেরকে রসুন খেতে বলছেন। কারণ এতে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।

    ৪) লিভারকে শক্তিশালী করে

    বিশেষজ্ঞরা মতে, কাঁচা রসুন (Garlic Benefits) লিভারকে সুস্থ রাখে এবং এটি দীর্ঘ জীবনে সাহায্য করে।

    ৫) শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে

    পুষ্টিবিদরা মতে, রসুনে (Garlic Benefits) প্রচুর পরিমাণে সালফার যৌগ থাকে। যার ফলে এটি শরীরের অঙ্গগুলিকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে দূর করে।

    ৬) রসুন শুক্রাণুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে

    বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুনে (Garlic Benefits) থাকে সেলেনিয়া যা একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা যৌন অঙ্গে রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে। পুরুষদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।

    ৭) সর্দি কাশি জ্বর থেকে মুক্তি দেয় রসুন

    চিকিৎসকদের মতে, রসুন যেকোনও রকমের ফ্লু ভাইরাসকে প্রতিরোধ করে। সকালে দুকোয়া রসুন (Garlic Benefits) বাসিমুখে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।

    ৮) স্মৃতিশক্তি প্রখর করে রসুন

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, রসুন অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে এবং এটি ডিমনেশিয়া বা অ্যালঝেইমার এর মতো কিছু রোগ প্রতিরোধ করে।

    ৯) পিরিয়ডের সমস্যায় রসুন (Garlic Benefits)

    যেসব মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় প্রায় তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, রসুন মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেন বাড়ায় যার কারণে হাড় দুর্বল হয় না।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    West Bengal Health: ১৫ দিন ধরে রোগীদের খাবার বন্ধ, স্যালাইন দিয়েই বেপাত্তা ডাক্তার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ দিন ধরে খাবার মিলছে না রোগীদের, বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওয়ার্ড। নেই সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যবস্থাও। প্রতিবাদ করলেই মেলে হুমকি! চরম দুর্দশা এবং বেহাল অবস্থা নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের (West Bengal Health)। কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দাদের একমাত্র ভালো চিকিৎসার জায়গা হল শক্তিনগর হাসপাতাল। কিন্তু অনেকটা দূর হওয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসার জায়গা এই কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল। ওই হাসপাতালে হাতেগোনা যে কটি বেড রয়েছে, প্রতিদিনই সেগুলিতেই রোগীরা ভর্তি থাকেন। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা একদম তলানিতে। শুধু চিকিৎসা নয়, অন্যান্য পরিষেবাও মাঝেমধ্যেই ব্যাহত হয়। অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল। সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তার পরিষেবা মেলে না। এমনকী গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে খাবার দেওয়া বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে খাবার কিনে রোগীকে খাওয়াতে হচ্ছে।

    কী বলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা?

    ওই হাসপাতালে রোগী ষষ্ঠী রায় বলেন, গতকাল আমি ভর্তি হয়েছিলাম। একজন ডাক্তার এসেছিলেন। কিন্তু তারপরে ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কোনও চিকিৎসক আর আসেনি। তিনি জানান, হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও খাবার দেওয়া হয়নি। অন্য এক রোগীর আত্মীয় রিঙ্কি সরকার বলেন, রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসে কোনও চিকিৎসা (West Bengal Health) পাচ্ছি না। শুধুমাত্র একটা স্যালাইন দিয়ে বসিয়ে রেখেছে। আর কোনও চিকিৎসক আসেনি। তাহলে এখানে যদি এভাবেই পড়ে থাকতে হয়, বাড়িতে থাকাই ভালো ছিল। পাশাপাশি তিনিও বলেন, রোগীদের কোনও খাবার দেওয়া হচ্ছে না হাসপাতালের তরফ থেকে।

    প্রতিক্রিয়া দিল না কেউই

    যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি হাসপাতাল (West Bengal Health) কর্তৃপক্ষ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে খাবার সরবরাহ করার জন্য কোনও একজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া ছিল। যে টাকা তাকে দেওয়া হত, তাতে কোনও লাভ হত না বলে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, টাকা তো বাড়ানো হয়ইনি, বরং দীর্ঘদিন ধরে প্রাপ্য টাকাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিচ্ছিল না। সেই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি যিনি জেনারেটরের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে পেমেন্ট না পাওয়ার কারণে পরিষেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যদিও তাঁরা কেউ প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

    জানা নেই তৃণমূলের

    তবে এ বিষয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদার বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্পের উপর নজর রেখেছেন এবং পরিষেবা প্রদান করেছেন। তবে হাসপাতালে (West Bengal Health) দীর্ঘদিন ধরে খাবার পরিষেবা বন্ধ, এটা সত্যিই আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব বিএমওএইচ-এর সঙ্গে কথা বলব। কী কারণে তা বন্ধ রয়েছে, জানার চেষ্টা করব। পাশাপাশি যাতে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, অতি দ্রুত তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।

    কটাক্ষ বিজেপির

    তবে পুরো ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশিষকুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, এটা আমি আগেই জেনেছিলাম, কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের করুণ অবস্থা। বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে ওই হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। দিন ১৫ আগে থেকে খাবার বন্ধ হয়ে গেছে রোগীদের জন্য। সেই কারণে আমি বিএমওএইচ ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেননি। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি কিনা ঘোষণা করছেন ১৫ দিনের মধ্যে নার্স তৈরি করতে হবে এবং তিন বছরের মধ্যে ডিপ্লোমা কোর্স কমপ্লিট করে চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, তাঁর কাছ থেকে এর থেকে ভালো পরিষেবা আশা করা যায় না। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন নার্স ১৫ দিনে কী শিখতে পারবে? কীভাবে সে মানুষকে সুস্থ করে তুলবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার! তাঁর জায়গায় নিয়োগ পেলেন কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার চাকরি হারালেন ববিতা সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ববিতার চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতার আবেদনে চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর কমের অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন আর এক চাকরি প্রার্থী অনামিকা রায়। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় ববিতার। তাঁর জায়গায় চাকরি পেলেন অনামিকা রায়। এদিন, চাকরি চলে যাওয়ায় আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় ববিতাকে।

    খুশি অনামিকা

    চাকরি পাওয়ায় খুশি অনামিকা। তিনি জানান, চাকরি পাওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন। বলেন, ‘‘আমি কখনও আশাহত হইনি। আমি জানতাম, চাকরিটা আমি পাবই। চাকরির মেধাতালিকায় আমার নাম এবং ববিতার নাম পর পর ছিল। আমি ২১ নম্বরে ছিলাম। ববিতা ছিল ২০-তে। অঙ্কিতা আসার পর আমাদের র‌্যাঙ্ক পিছিয়ে যায়। অঙ্কিতার চাকরি বাতিলের পর তা মেধাতালিকা অনুযায়ী পায় ববিতা। কিন্তু আমি পরে দেখি, ববিতার নম্বর আসলে আমার চেয়ে কম। ও ২ নম্বর কম পেয়েছিল। তাই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। তার পর আমি আদালতে যাই।’’ 

    তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকার চাকরি

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যে তথ্য আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল এবং বাকি সব তথ্য খতিয়ে দেখে ববিতা সরকারের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারী অনামিকা রায়কে চাকরি দেওয়ার জন্য। আদালতের মন্তব্য, অনামিকাকে আর বেশিদিন ভোগানো উচিত নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে স্কুল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    ববিতার কান্না 

    এই নির্দেশ শোনার পর কাঁদতে কাঁদতে ববিতা বলেন, ‘‘আমি ভুলটা জানতাম না। আমার চাকরি চলে যাচ্ছে। কিন্তু টাকাটা ফেরত দেওয়ার জন্য একটু সময় দেওয়া হোক। এখন আমি ১১ লক্ষ টাকা ফেরত দিতে পারব। আমি একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনেছি। বাকি টাকা ফেরত দিতে আমার একটু সময় লাগবে। তিন মাস সময় দেওয়া হোক।’’ ববিতাকে ধমক দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনি আদালতকে যে ভাবে ভুল তথ্য দিয়ে পরিচালনা করেছেন, চাইলে আমি কড়া পদক্ষেপ করতে পারতাম। এই ক’দিনে আপনি যা বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হচ্ছে না। এটুকু সান্ত্বনা নিয়ে হাইকোর্ট থেকে যান। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করুন। যা হয়েছে তা আপনার ভুলের জন্য।’’

    আরও পড়ুন: তিন বছরের হেলথ প্রফেশনাল! মমতার সিদ্ধান্তে বন্ধ হতে পারে কেন্দ্রের বরাদ্দ?

    আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে এত দিনে চাকরির জন্য যে বেতন পেয়েছেন ববিতা, সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    Recruitment Scam: পুকুরে ফেলা ২টি ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার! জীবনকৃষ্ণের বিপদ কি বাড়ল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও লাভ হল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha)। পুকুরে ফেলা ২টি মোবাইল ফোন থেকেই সমস্ত ডেটা উদ্ধার করতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রিও। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের দিল্লির ফরেনসিক ইউনিট থেকে ইতিমধ্যেই সেই খবর এসে পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে।

    মোবাইল-সূত্র

    সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু’টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন। ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি। মোবাইল ঘেঁটে সে তথ্য জানতে পেরেছেন, দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই তথ্য ওড়ানো হয়েছে, বলে দাবি সিবিআইয়ের। ওই ফোন থেকেই মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি! সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু লাভ হল না। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে যাওয়া তথ্য প্রায় একশো শতাংশই উদ্ধার করা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সঙ্ঘের পোশাকে থাকা ওই যুবক তৃণমূলের বুথ কমিটির সদস্য’’! তোপ সুকান্তর

    মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। গত মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযান চলে। সেই অভিযান ও বিধায়কের গ্রেফতারি ঘিরে নাটকীয় পর্ব চলে প্রায় তিনদিন ধরে। এবার জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ঘেঁটে পাওয়া তথ্য  রিপোর্ট আকারে তদন্তকারীদের হাতে আসতে চলেছে। সেই ডেটা সামনে এলে বিপদ আরও বাড়তে পারে জীবনকৃষ্ণের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Recruitment Scam: ৩৬ নয়, চাকরি বাতিল ৩২ হাজারের! রায় সংশোধন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের শুক্রবারই প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেই রায়ের (Recruitment Scam) সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির মতে, সংখ্যাটা ৩২ হাজারের কাছাকাছি হবে। সোমবার মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তেওয়ারি বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন যে একটা টাইপে ভুল রয়েছে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে দুটি ভুলের কথা বলা হয়েছিল সেটি সংশোধন করা হবে। প্যানেলের সর্বনিম্ন নম্বর রায়ে লেখা হয়েছে ১৪.১৯১। আসলে ওটা হবে ১৩.৭৯৬। এবং দ্বিতীয় ভুলটি হল চাকরি বাতিলের সংখ্যা হবে ৩১,৭৯০, যা ভুল করে ৩৬,০০০ করা হয়েছিল।

    কেন এই মামলা?

    প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে টেট পরীক্ষার ঘোষণা করেছিল তা সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় ঠিক এক বছর পরে ২০১৬ সালে এবং ওই বছরেই প্রথম ধাপে নিয়োগ করা হয়। সেই সময়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু ২,০০০ শিক্ষকের পদ তবুও অজানা কারণে পূরণ করেনি তারা। সেই প্যানেলে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বেনিয়মে চাকরি পেয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দায়ের হয় মামলা। আরও ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়তে থাকে পর্ষদের অফিসে। অভিযোগ, কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি (Recruitment Scam) দিয়েছে পর্ষদ। পরবর্তীকালে ডিএলএড বাধ্যতামূলক হলেও ২০১৪ টেটে তা বাধ্যতামূলক ছিলনা। ২০১৪ এর টেটে প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ, ‘‘আগামী চারমাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে, যতদিন এই প্রক্রিয়া চলবে ততদিন পার্শ্ব শিক্ষকের মতো বেতন পাবেন বাতিল এই প্যানেলের শিক্ষকরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share