Blog

  • Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একাধিক সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। মালদহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেই জের কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে অভিষেকের রোড শো ছিল। রাস্তার দুধারে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন। রোড শো চলাকালীন অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শোয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  রোড শো ঘিরে বিক্ষোভ?

    গত দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন অভিষেক। জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়নাসহ একাধিক ব্লকে নবজোয়ার কর্মসূচি করা হয়। যদিও এই সব এলাকায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। এদিন বিকেলে ভাতার বিধানসভায় অভিষেকের রোড শো ছিল। সেখানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। ফলে, এদিন রোড শো শুরু হতেই কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। ভাতার থানার মোড়ের কাছে অভিষেকের রোড শো আসতেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চিত্কার করে বলেন, পুরানো কর্মীদের সন্মান দিতে হবে। এলাকার বিধায়ক তোলাবাজি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় কর্মীদের মুখে এসব শুনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন অভিষেক। যদিও তিনি বিষয়টি না শোনার ভান করেই হাত নেড়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে, কর্মীদের চিত্কারে তৃণমূল বিধায়ক অনুগামীরা বেশ চাপে পড়ে যান।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। যারা আগে সিপিএম, বিজেপি করত, তারা এখন দলের নেতা। এলাকায় তোলাবাজি করছে। শান্তনু কোনার আগে অন্য দল করত। দল করতে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন ও আমাদের নেতা। আমরা তা মেনে নিতে পারব না। অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে বিধায়ক এখন মাতামাতি করছেন। আমাদের মতো পুরানো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন, আমাকে দলের এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দলের নেতা অভিষেক (Abhishek Banerjee) আমার এলাকায় এসেছে বলে আমরা এসেছি। আর যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলেই পুরানো কর্মী। নিজেদের ক্ষোভের কথা দলের নেতার সামনে তাঁরা তুলে ধরেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    TMC: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ, সতর্ক করা হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে৷ সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে অভিযুক্ত ওই নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে যান৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে বৈঠক করে জেলার কোর কমিটি। জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়ার পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

    কী অভিযোগ জমা পড়েছে?

    নানুরের বাসাপাড়ায় প্রতি বছর মিলন মেলা হয়৷ অভিযোগ, মেলা কমিটির নামে বিস্তীর্ণ একটি মাঠের জায়গা বিভিন্নজনের কাছে বলপূর্বক, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন৷ সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পার্টি অফিসে ডেকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেলা কমিটির নামে জমি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।’

    চাওয়া হল কাগজপত্র

    ৯ থেকে ১১ মে বীরভূম সফরে এসে জনসংযোগ যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ মে জেলা ছেড়ে যাওয়ার আগে দলের কোর কমিটিকে ডেকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকেই নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা আব্দুল কেরিম খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান দিয়ে যান তিনি৷ সেইমতো এদিন বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে কোর কমিটির বৈঠক ডাকা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ প্রমুখ৷ এই বৈঠকে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, কেন মেলার মাঠ দখল করেছে সে, তার কাগজপত্র চাওয়া হয়৷ পাশাপাশি তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।

    উঠল গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গও

    প্রসঙ্গত, এই আব্দুল কেরিম খানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে নানুরের তৃণমূল (TMC) নেতা তথা কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের। সেই গোষ্ঠীকোন্দল প্রসঙ্গেও এদিন বৈঠকে আব্দুল কেরিম খানকে সতর্ক করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আব্দুল কেরিম খানকে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর কাছে সমস্ত কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। সেগুলো দেখার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।” কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমরা এদিন তাঁর কাছে সব নথি চেয়েছি৷ অভিযোগ উঠেছে যখন, সেটা খতিয়ে দেখতেই হবে৷ তারপর সিদ্ধান্ত হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    Mallikarjun Kharge: বজরং দল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, খাড়্গের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানি মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে লোকসভার সাংসদ পদ খুইয়েছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী। এবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করলেন পাঞ্জাবের সাংরুরের এক ব্যক্তি। সোমবার খাড়্গেকে তলব করেছে সাংরুরের আদালত। কর্নাটকে ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে, নির্বাচনী ইস্তেহারে এমনটাই জানিয়েছিল কংগ্রেস। শনিবার বের হয় কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল। ২২৪ আসনের বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩। ১৩৫টি আসনে জিতে ওই রাজ্যের রাশ হাতে নিতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির প্রেসিডেন্টকেই তলব করল আদালত।

    মল্লিকার্জুন খাড়্গের (Mallikarjun Kharge) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারে বলা হয়েছিল, ধর্ম, জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস (Mallikarjun Kharge)। ইস্তেহারে থাকা প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, কংগ্রেস জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    হিন্দু সুরক্ষা পরিষদ বজরং দল হিন্দের প্রতিষ্ঠাতা হিতেশ ভরদ্বাজের দাবি, বজরং দলকে কংগ্রেস দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং কর্নাটকে ক্ষমতায় আসার পরে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। তিনি বলেন, ইস্তেহারের ১০ নম্বর পৃষ্ঠায় কংগ্রেস বজরং দলকে দেশবিরোধী সংগঠনের সঙ্গে তুলনা করেছে এবং নির্বাচনে জিতলে তাকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। ভরদ্বাজের পাশাপাশি কংগ্রেসকে (Mallikarjun Kharge) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে। তিনি বলেন, হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না। প্রসঙ্গত, কর্নাটকে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারের কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। কর্নাটকে দলের প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস আগে রামনামের ওপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা জয় বজরংবলী স্লোগানদাতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Benefits Of Exercise: প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন রেহাই দিতে পারে এই ১০টি রোগ থেকে!

    Benefits Of Exercise: প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন রেহাই দিতে পারে এই ১০টি রোগ থেকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনকার শারীরিক অনুশীলনের (Benefits Of Exercise) জুড়ি নেই।’’ ডায়াবেটিস হোক অথবা হাইপারটেনশন, দিনের কিছুক্ষণের শারীরিক অনুশীলনই হল এর অব্যর্থস ওষুধ। শুধুই কী তাই! মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও শারীরিক অনুশীলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন ব্যস্ততার দৌড়ঝাঁপে স্ট্রেস যে বাড়ছে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। শারীরিক অনুশীলন দিতে পারে এসব থেকে মুক্তি।

    আজকে আমরা আলোচনা করব প্রতিদিনের শারীরিক অনুশীলন কী কী রোগ থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে?

    ১) নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে (Benefits Of Exercise) মিলতে পারে হৃদরোগ থেকে মুক্তি

    চিকিৎসকদের মতে, দিনের কয়েক ঘণ্টার শারীরিক অনুশীলন হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এবং এতে যে কোনও রকমের হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, জগিং এ সমস্ত কিছু করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক থাকে।

    ২) ওজন কমাতেও শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise) জরুরী

    আজকের দিনে একটি গুরুতর সমস্যা হল ওবেসিটি। ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের ফলে এ থেকে মিলতে পারে মুক্তি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের জগিং, সাঁতার কাটা বা সাইকিলিং করলে অনেক ক্যালোরি খরচ হয় এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যার ফলে ওজন কমে।

    ৩) ডায়াবেটিস রোগের অব্যর্থ চিকিৎসা হল শারীরিক অনুশীলন

    ১৪০ কোটির দেশ ভারতবর্ষে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়, প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise) রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৪) অস্টেওপোরেসিস থেকেও মেলে মুক্তি

    অস্টেওপোরেসিস হল এক ধরনের হাড়ের রোগ। এই রোগে ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে হাড়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক কসরত (Benefits Of Exercise) অস্টেওপোরেসিস থেকে মুক্তি দিতে পারে।

    ৫) মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী হল শারীরিক অনুশীলন

    যেকোনও ধরনের ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি থেকে সহজে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন (Benefits Of Exercise), এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ৬) নিয়মিত শারীরিক কসরত ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

    বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনও ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি যেমন, ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, এ সমস্ত কিছুই এড়ানো যায় নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের (Benefits Of Exercise) মাধ্যমে।

    ৭) শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকেও মেলে মুক্তি

    প্রতিদিনকার নিয়মিত শারীরিক কসরত ফুসফুসের যেকোনও ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও সেটা থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে শারীরিক অনুশীলন।

    ৮) অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা সহজেই দূর হয়

    ব্যস্ত জীবনে এখনকার দিনে অনিদ্রা সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সারাদিনের কাজ করার এনার্জি পাওয়ার জন্য রাত্রের একটি ভালো ঘুম সত্যিই জরুরি হয় আমাদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিদ্রার সমস্যা দূর করে প্রতিদিনকার শারীরিক কসরত।

    ৯) আর্থারাইটিস থেকেও মেলে মুক্তি

    যেকোনও জয়েন্টের ব্যথা বা আর্থারাইটিস এর সমস্যা থাকলেও শারীরিক অনুশীলনে এ থেকে পাওয়া যায় মুক্তি, এমনটাই মত চিকিৎসকদের।

    ১০) শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে বাধা দেয় শারীরিক অনুশীলন

    শারীরিক অনুশীলন আপনাকে চির-তারুণ্য এনে দিতে পারে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিনকার নিয়মিত এই অভ্যাস আপনার শরীরে বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি/ডায়েট পরামর্শস্বরূপ। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন ও সেই মতো পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Birth and Death Registration: ‘কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ করুন’, রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ফের একবার উসকে উঠল এনআরসি (NRC) চর্চা। কারণ সম্প্রতি রাজ্যকে জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এতদিন নিজের মতো করে এই তথ্য সংরক্ষণ করত রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই পরামর্শের জেরে ফের একবার সংঘাত হতে পারে কেন্দ্র-রাজ্য। দিন কয়েক আগে মালদা-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এনআরসি নিয়ে আবার চিঠি পাঠিয়েছে। নির্বাচন এলেই মনে পড়ে। আমি কথা দিচ্ছি, করব না এবং করতেও দেব না। তিনি বলেন, ওই চিঠিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, যাদের সব কিছু পাওয়া যাবে না, তাদের বিদেশি ঘোষণা করবে। যাতে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া যায়। তাই ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আধার কার্ডগুলি আবার করতে বলছে ১০ বছর পরে। সেটা শুরু হলে করে নেবেন।

    জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করতে পোর্টাল…

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদির সরকার জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত (Birth and Death Registration) করার জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যুক্ত হয়েছে। বাংলা সেখানে নিজেদের যুক্ত করেনি। তাই সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। সূত্রের খবর, এবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। চিঠিতে এই অনলাইন পোর্টালে জন্ম-মৃত্যু নথিভুক্ত করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতির ব্যবহারে রাজ্যগুলিকে কোনও খরচ দিতে হয় না।

    আরও পড়ুুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    প্রবীণ কর্তাদের একাংশের মতে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ভুয়ো উপভোক্তার নাম যাতে নথিবদ্ধ হয়ে না যায়, তাই অদূর ভবিষ্যতে ওই পোর্টালের পূর্ণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারে কেন্দ্র। তাই রাজ্য যদি এখনই না ওই পোর্টালে যুক্ত হয়, তাহলে সৃষ্টি হতে পারে নানা জটিলতা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, আধার-নির্ভর জন্ম এবং মৃত্যু নথিবদ্ধ করার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব অনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছিল কেন্দ্র। তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি রাজ্য সরকার। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জন্ম-মৃত্যু নথিবদ্ধ (Birth and Death Registration) করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের অভিন্ন পোর্টাল ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্যকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lost Mobile: নতুন উদ্যোগ মোদি সরকারের! চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল এবার মিলবে সহজেই

    Lost Mobile: নতুন উদ্যোগ মোদি সরকারের! চুরি যাওয়া বা হারানো মোবাইল এবার মিলবে সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের নতুন উদ্যোগ! চুরি যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া (Lost Mobile) ফোনের হদিশ এবার মিলবে এক ক্লিকেই। মোবাইল চুরি যাওয়া কিংবা হারিয়ে (Lost Mobile) যাওয়া নতুন ঘটনা নয়। অভিযোগ জমা পড়তে থাকে, কপাল ভাল থাকলে হদিশ মেলে, নয়তো নতুন কিনতে দোকানে ছুটতে হয়। ১৭ মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসে সেই দুশ্চিন্তা দূর করতেই নতুন ট্রাকিং সিস্টেম শুরু করতে চলেছে মোদি সরকার। সূত্রের খবর, ওই দিন নতুন একটি পোর্টালের উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। জানা গেছে, পোর্টালের পোশাকি নাম হবে সঞ্চার সাথী। দেশের প্রত্যেকটি প্রান্ত থেকে এই পোর্টালের সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। ইতিমধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র কর্নাটকের মতো রাজ্য পরীক্ষামূলকভাবে এই পোর্টাল শুরু করে দিয়েছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই পোর্টাল

    জানা যাচ্ছে, চুরি যাওয়া (Lost Mobile) মোবাইল কোথায় রয়েছে? কখন কখন তা কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছে এসবেরই হদিশ মিলবে এই পোর্টাল থেকে এবং সেটা ট্রাকও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এই কারণে মোবাইল সেটে পনেরো সংখ্যার একটি শনাক্তকারী নম্বর বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।

    ফোন চুরি হলে (Lost Mobile) বা হারিয়ে গেলে কীভাবে ব্লক করবেন

    এক্ষেত্রে প্রথমে পুলিশে একটি রিপোর্ট দায়ের করতে হবে সেই ডায়েরির কপিটি সঙ্গে নিতে হবে।

    তারপর সেই ডায়েরির কপি নিয়ে যে টেলিকম অপারেটরের ফোন ব্যবহার করেন তার একটি ডুপ্লিকেট সিম কার্ড নিতে হবে। কারণ নম্বর ব্লক করার সময় মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি যাবে। 

    এরপর সিইআইআর ওয়েবসাইটে গিয়ে আইএমইআই নম্বর ব্লক করার জন্য রেজিস্টার ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।

    ফর্ম সাবমিট করার পরে পোর্টাল থেকে একটি রিকোয়েস্ট আইডি পাওয়া যাবে। এই রিকোয়েস্ট আইডি খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ফোনের সন্ধান মিললে অথবা ফোনে স্ট্যাটাস চেক করার সময় এবং আইএমইআই নম্বর আনব্লক করার জন্য এটি লাগবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারীদের পর এবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিল করার অনুমতি দিলেন। সোমবার গ্ৰুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের হরিশ মুখার্জি রোডে হ্যারিকেন মিছিলের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, শহিদ মিনার থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে কালীঘাট পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে পারবেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। হ্যারিকেন হাতে মিছিল প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার তাঁদের হাতে হ্যারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই সেই হ্যারিকেন নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় মিছিল করতে চান তাঁরা।

    শর্ত মেনে মিছিল

    গত ৬ মে আদালতের (Calcutta High Court) অনুমতি নিয়ে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট দিয়ে ডিএ-র দাবিতে মিছিল করেন সরকারি কর্মীরা। মিছিলকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই মিছিল শেষ হতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি লাগোয়া বেশ কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা লাগু করে দেয় প্রশাসন। এর পর ওই একই রাস্তায় মিছিল করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, শহিদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করে যেতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে সেই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। 

    আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘অযোগ্য’দের বাঁচাতে আদালতে যাচ্ছে পর্ষদ!

    চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আদালত নির্ধারিত রুটে, আগামী ১৭ মে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত হ্যারিকেন নিয়ে প্রায় ৬০০ জন চাকরিপ্রার্থী মিছিল করবেন। তবে এই মিছিলের জন্য কিছু শর্ত নির্দিষ্ট করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি মান্থা জানান, “হরিশ মুখার্জি রোড একমুখী হওয়ায় কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করতে ওই রাস্তাই সুবিধার হবে। তবে মিছিলকারীদের ওই রাস্তার ৮০ শতাংশ ছেড়ে মিছিল নিয়ে যেতে হবে। দু’টি লাইনে মিছিল যাবে।” হাইকোর্টের নির্দেশ, মিছিল থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। মিছিলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশকে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমালোচকরা বলছেন, ‘‘যুবরাজের নবজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দলীয় শৃঙ্খলা!’’ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি, ব্যালট ছিনতাই তো চলছেই। এবার নতুন নাটক ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। তা নিয়ে আবার ঘটা করে ট্যুইটও করতে দেখা গেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজে। নিজেদের দলের কর্মীকেই এদিন সঙ্ঘের (RSS) গণবেশে সাজিয়ে তৃণমূল হাজির করে অভিষেকের সামনে।

    ঘটনা…

    রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির কাছে চলে যায় এক যুবক। পরনে তার সঙ্ঘের (RSS) গণবেশ। ফুল হাতা সাদা জামা, মাথায় কালো টুপি। নিজেকে স্বয়ংসেবক পরিচয় দিয়ে সে বলতে থাকে, ‘‘আমাদের এলাকার পথে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে জানিয়েছি কাজ হয়নি। বিজেপি নেতারাও বলেছেন, তারপরও সমাধান হয়নি সমস্যার। এ সমস্যা ৫-৬ বছর ধরে চলে আসছে।’’ তৃণমূলের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে সমাধানের আশ্বাস দিতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    বিশেষজ্ঞ মহল এনিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলছে। সারাবছর সঙ্ঘের (RSS) নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বা অনুষ্ঠান ছাড়া গণবেশ পরার রীতি যে নেই, তা প্রত্যেক স্বয়ংসেবক (RSS) মাত্রই জানেন। তাহলে ওই যুবক ইউনিফর্ম পরে কীভাবে গেল অভিষেকের কাছে? কোনও বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সঙ্ঘের গণবেশ পরার নিয়ম নেই। রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে হাজির হন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময়ও স্বয়ংসেবকদের গণবেশ পরতে দেখা যায়না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) গরিমাকে খাটো করতেই এই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল।

    যুবকের পরিচয়…

    সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জোতশ্রী গ্রামে। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত সে। সঙ্ঘের সঙ্গে কস্মিনকালেও তার যোগাযোগ ছিলনা বলেই জানা যাচ্ছে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, বড়োই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল। নাটকের মূল চরিত্র উজ্জ্বলের মানসিক বিকৃতিও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    Shantipur: শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত হলেই মিলছে ভাতা! শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেই সঠিক মজুরি, নেই কোনও সরকারি পদক্ষেপ। শান্তিপুরের (Shantipur) ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প এখন ধ্বংসের পথে। এভাবে চলতে থাকলে কোনও তাঁতিকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, এমনই আক্ষেপ তাঁতশিল্পীদের একাংশের।

    তাঁত শিল্পের সমস্যা

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ভরসা ছিল তাঁতশিল্প। মূলত তাঁতের ওপর ভরসা করে চলত সংসার। দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার ফলে আজ হাতে গোনা কয়েকজন শিল্পীই তাঁত বুনছেন। তাও কদিন আর তাঁত বুনে সংসার চালাবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পীরা। তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, নতুন করে কেউ আর এই শিল্পের দিকে এগিয়ে আসছেন না। স্থানীয় তাঁতশিল্পীরা এর জন্য মূলত সরকারের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন।

    স্থানীয় তাঁতশিল্পীর অভিযোগ

    শান্তিপুরের (Shantipur) তাঁতশিল্পী অশোক প্রামাণিক প্রায় ৩৫ বছর ধরে তাঁত বুনছেন। তিনি বলেন, আগের মতো তাঁতশিল্পে আর সেভাবে মজুরি নেই। একশ্রেণির মহাজন তাঁদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য তাঁতিদের মজুরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বাইরের রাজ্য থেকে যে সমস্ত মেশিনে তৈরি কাপড় আসছে, তাতে হস্তচালিত তাঁত-কাপড়ের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।

    সরকারের উদাসীনতা ও স্বজনপোষণ

    তাঁতশিল্পকে (Shantipur) বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকার উদাসীন। যথার্থ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য তাঁতশিল্পের আরও সর্বনাশ এনে দিয়েছে। অভিযোগ করেন স্থানীয় তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, যারা কেবলমাত্র রাজনৈতিকভাবে শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেই বেছে বেছে শিল্পীর ভাতা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরকার স্পষ্ট স্বজনপোষণ করছে। শিল্পীদের দাবি, এখন তাঁত বুনে দিনে মাত্র ৫০ টাকা আয় হয়। সেই কারণেই সংসার চালাতে কার্যত নাজেহাল হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। শিল্পীরা স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা কখনও তাঁতশিল্পী হিসাবে সেভাবে কোনও ভাতাই পাইনি। আরেক বর্ষীয়ান তাঁতশিল্পী শ্যামল বসাক বলেন, মূলত মহাজনদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের কারণে দিন দিন তাঁতশিল্প ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের নেই কোনও পদক্ষেপ। কয়েক দশক আগে যাওবা তাঁতশিল্পীদের জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ নিত সরকার, এখন তাও দেখাই যায় না। পদক্ষেপ সব বন্ধ হয়ে গেছে। এত কম রোজগার করে কীভাবে সংসার চলে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    বিধায়কের আশ্বাস

    সমস্যার বিষয়ে শান্তিপুরের (Shantipur) বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে তাঁতশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। মূলত তাঁতিরা যাতে এই শিল্পের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে পারে, সেই দিকটা নজর রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা ছিল মূলত তাঁতশিল্পকে বাঁচানো নিয়ে। যেহেতু কেন্দ্র সরকার এই তাঁতশিল্প নিয়ে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে, তাই সেদিক থেকে আমরা রাজ্যের জন্য নতুনভাবে কোনও ভাল পদক্ষেপ কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পাইনি। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়নের মধ্যে শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্প কি অগ্রাধিকার পাবে ? নাকি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share