Blog

  • Imran Khan: জামিন পেয়ে ইমরান ফিরলেন লাহোর, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির পথে শেহবাজ?

    Imran Khan: জামিন পেয়ে ইমরান ফিরলেন লাহোর, পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারির পথে শেহবাজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে জামিন মিলল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। জমি দুর্নীতির মামলায় চলতি মাসের ৯ তারিখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইমরানের (Imran Khan) জামিনের দিনও হিংসা ছড়ায় কোর্ট চত্বরে, ৩০ মিনিটের ব্যবধানে পরপর তিনটি গুলি চলে। হঠাৎই গুলির বিকট আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। এরপরেই পুলিশ মাইকে ঘোষণা করে যে তাদের উপরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলিতে হতাহতের কোন খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই গুলি চলার কারণেই তাঁকে দীর্ঘক্ষণ কোর্ট রুমে আটকে থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এদিন এক ভিডিও বার্তায় পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘জামিন পেলেও আমাকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। আমি পুরো দেশকে বলতে চাই এটা শেহবাজ সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য, তারা আবারও কিছু করতে চায়।’’

    এর আগে, লিখিত কোর্ট অর্ডার ছাড়া ইসলামাবাদ উচ্চ আদালত ছাড়তে অস্বীকার করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ইমরান খান (Imran Khan) আশঙ্কিত ছিলেন কোর্টের বাইরে বের হলেই শেহবাজ সরকারের পুলিশ আবার তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। দিনভর উত্তেজনার পর জামিন প্রক্রিয়া শেষ হতে রাত হয়ে যায়। তখনও কোর্ট চত্বর তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্যদের ভিড়ে থিকথিক করছে। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ কোর্ট ছাড়েন ইমরান। লাহোর আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাতেও এদিন জামিন পান তিনি।

    ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারির পরে দেশ জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভের আঁচ পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে দেখা যায় লন্ডন, কানাডা সমেত অন্যান্য দেশেও। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিল। জানা গেছে, তিনি নিজেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নিজের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানকে দু’সপ্তাহের জন্য এই জামিন দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কোর্ট পাশাপাশি এও জানিয়েছে, আগামী সোমবার পর্যন্ত কোনও মামলাতেই ইমরানকে গ্রেফতার করা যাবে না। গত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের এমন কোন শহর বাকি ছিল না যেখানে হিংসা ছড়ায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের বাড়ি ঘেরাও থেকে শুরু করে সেনা কমান্ডোদের বাড়ি ঘেরাও করতে থাকেন তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা।

    জরুরি অবস্থার পথে পাকিস্তান?

    অন্যদিকে, ইমরানের মুক্তির দিনই সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ। তিনি বলেন, ‘‘ইমরান খানের সমর্থকরা আইন লঙ্ঘন করেছেন। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করে পিটিআইয়ের লোকজন সন্ত্রাস করেছে, লুটপাট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে। এরা দেশের শত্রুর মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া ইমরানের বিরুদ্ধে।’’ সূত্রের খবর এদিনই মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেহবাজকে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কোন পথে যায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি!

    ভিডিও বার্তায় কী বললেন ইমরান (Imran Khan)?

    এদিন জামিনের পরে একটি ভিডিও বার্তা জারি করেন ইমরান খান। সেখানে তিনি দেশবাসীকে তৈরি থাকার আবেদন করেন, দেশ জুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আন্দোলনের জন্য। ভারতীয় সময় রাত ১০:৪২ মিনিট নাগাদ ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে বের হন ইমরান খান। বর্তমানে তিনি রয়েছেন লাহোরে। তাঁর পার্টির সদস্যদের মধ্যে তখন উৎসবের মেজাজ। জনপ্রিয় পাকিস্তানি সংবাদপত্রের ভাষায়, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গেল ইসলামাবাদে ডেপুটি ইনস্পেক্টর জেনারেলের গাড়িতে করে বেরোতে, সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে চলছে ভোট গণনা, বিজেপি না কংগ্রেস, মসনদে কে? ফল আজই

    Karnataka Assembly Election: কর্নাটকে চলছে ভোট গণনা, বিজেপি না কংগ্রেস, মসনদে কে? ফল আজই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হল কর্নাটক বিধানসভা ভোটের গণনা। রাজ্যের ৩৬টি গণনাকেন্দ্রে চলছে ভোট গোনার কাজ। গত বুধবার বিধানসভা ভোটে মোট ৭৩.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ২০১৮ সালেও ভোটের হার ছিল প্রায় একই। ভোট গণনার শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১১২টি আসনে, বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৮৬টি আসনে ও জেডিএস এগিয়ে রয়েছে ১৮টি আসনে।

    ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩

    ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩ কে ছুঁতে পারে তা জানতেই আগ্রহী রাজনৈতিক মহল। গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (কংগ্রেস), জগদীশ শেট্টার (কংগ্রেস) এবং এইচডি কুমারস্বামী (জেডি-এস)। ভোটগণনার শুরুতে কংগ্রেস এবং বিজেপির লড়াই চলছে জোরদার। কখনও পাল্লা ভারী হচ্ছে কংগ্রেসের দিকে তো কখনও বিজেপি। ভোটগণনা শুরু হতেই হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন কর্নাটকের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, গণনার শুরুতে এমন দাবিই করেছেন তাঁর পুত্র ওয়াই সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘‘বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমরা সব করতে রাজি…কর্নাটকের স্বার্থে আমার বাবাকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত।’’

    ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা

    গত আড়াই দশক ধরেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখছে কর্নাটক। ক্ষমতাসীন বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জেডিএস-এর মধ্যে। ২২৪টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়ী হবে বিজেপি, নিজেদের জয় নিয়ে একেবারে নিশ্চিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই।

    গত ১০ মে ২২৪টি আসনে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (Karnataka Assembly Election 2023)। গণনার আগে গোটা রাজ্য কড়া নিরাপত্তার মোড়কে ঢাকা হয়েছে। বুথগুলির বাইরে রয়েছে পুলিশি পাহারা। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই কড়া নিরাপত্তার পাহারা দেখা গিয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের বাড়ির বাইরে।


    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    TMC Violence: ‘‘ভারতবর্ষ গণতন্ত্রের পীঠস্থান, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা’’, মত জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ঘটে চলা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শুক্রবার দিল্লিতে একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ওপর লেখা বই ‘ডেমোক্রেসি ইন কোমা’-এর উদ্বোধন করতে গিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারতবর্ষে, পশ্চিমবঙ্গকে বধ্যভূমি করেছেন মমতা।’’ তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গও। ‘‘সন্ত্রাসের মুখোশ খুলেছে যে সিনেমা, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন স্বার্থে বন্ধ করলেন?’’ সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর মতে, বাংলার এই অবস্থার বদল একমাত্র বিজেপিই করতে পারে।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বারও হল পশ্চিমবঙ্গ। তৃণমূল সরকারের আমলে প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে গরু পাচার, জাল নোটের কারবার সমেত দেশবিরোধী শক্তির গতিবিধি বাড়ছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন দিল্লি। বিজেপি সভাপতির আজকের বক্তব্য তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজনৈতিক সন্ত্রাসের (TMC Violence) পাশাপাশি দুর্নীতি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলকে বিঁধতে থাকেন তিনি। একশো দিনের কাজে তৃণমূলের চুরির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে।  এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম.এম কুমার সমেত অন্যান্যরা।   

    কী বললেন জেপি নাড্ডা?

    বিজেপির সভাপতি হওয়ার পরে দু’বার তাঁর ওপর হামলা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলে গুন্ডারা (TMC Violence) ভাঙচুর করে তাঁর গাড়িও। গোটা ঘটনার জন্য, মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেককে দায়ী করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এদিন বলেন, ‘‘আমার কনভয়ে প্রথমে সেদিন বাস ঢুকিয়ে দেওয়া হল। স্বাভাবিকভাবেই এতে গোটা কনভয় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের গুন্ডারা এসে ভাঙচুর করতে থাকল গাড়িগুলি। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালাল। নিরাপত্তা পাওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এমন হামলা হলে, সাধারণ মানুষের কী নিদারুণ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গে!’’

    নিজের ১৫ মিনিটের বক্তব্যে এদিন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলিকে। তিনি বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে ১২৩টি ঘটনা ঘটেছে মহিলা নির্যাতনের। যার মধ্যে রয়েছে ১১টি ধর্ষণ। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে ধর্ষিতাকে তৃণমূলের গুন্ডারা (TMC Violence) হুমকি দিয়েছে যে অভিযোগ জানালে প্রাণ চলে যাবে।’’  তিনি দাবি করেন, রেকর্ড অনুযায়ী ৮০ হাজারের বেশি লোক ঘরছাড়া হয়েছিলেন, যারমধ্যে এখনও অনেকে ফিরতে পারেননি। ৫৭টি তরতাজা প্রাণ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তৃণমূল কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন জেপি নাড্ডা।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়েও সরব নাড্ডা

    ‘‘১০০ দিনের কাজ সমেত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে তৃণমূল দুর্নীতি করে, অথচ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে টাকা আটকানোর।’’ শুক্রবার দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে এভাবেই বিঁধলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গরীব, প্রান্তিক, খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভেবে মোদিজী চালু করেছিলেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। অথচ পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যকর হতে দিচ্ছেনা তৃণমূল সরকার।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    Air India: বান্ধবীকে নিয়ে ককপিটে, পাইলট সাসপেন্ড, জরিমানা এয়ার ইন্ডিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম ভেঙে বান্ধবীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিমানের ককপিটে। অন্তত এমনই অভিযোগ এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) এক পাইলটের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলটকে সাসপেন্ড করা হয় দু মাসের জন্য। জরিমানা করা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়াকেও। ওই সংস্থাকে জরিমানা বাবদ দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা। এমনই নির্দেশ ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (DGCA)।

    এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)…

    চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানের এক পাইলট তাঁর বান্ধবীকে ককপিটে ডেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। এক বিমানকর্মীর অভিযোগ, নিয়ম অনুযায়ী ককপিটে যাত্রীরা কেউ ঢুকতে পারেন না। কিন্তু সেই নিয়ম ভঙ্গ করে ওই পাইলট তাঁর বান্ধবীকে সেখানে ঢোকার অনুমতি দেন। কেবল তাই নয়, ওই পাইলটের বান্ধবীর জন্য ককপিটে সব রকম ব্যবস্থা করতে বলা হয়। ককপিটেই মদ এবং খাবার দেওয়ার নির্দেশও ওই পাইলট বিমানকর্মীদের দেন।

    ওই বিমানকর্মীর অভিযোগ, ককপিটে বান্ধবীর জন্য বালিশের ব্যবস্থাও করতে বলা হয়। ওই বিমানকর্মী বলেন, আমাকে যখন মহিলার জন্য পানীয় এবং খাবার আনতে বলা হয়, তখন ক্যাপ্টেনকে বলেছিলাম, ককপিটে (Air India) আমি মদ পরিবেশন করতে পারব না। এ কথা শুনেই তিনি একটু চটে যান। তিনি বলেন, তার পর থেকেই পাইলট আমার সঙ্গে পরিচারকের মতো ব্যবহার করতে শুরু করেন।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাইলট ও তাঁর বান্ধবী ছিলেন ককপিটে। এর পরেই ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে, সঠিক সময়ে তারা ঘটনার কথা জানায়নি। বিষয়টি যতটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত ছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পক্ষে তাতেও ঘাটতি ছিল বলে মনে করছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। সেই কারণেই এয়ার ইন্ডিয়াকে জরিমানা করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) নিয়ে বড়সড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court)। মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। সেই শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সমীক্ষা করার নির্দেশ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার মিশ্র। কার্বন ডেটিং করতে গিয়ে কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)…

    জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque)  অজুখানায় শিবলিঙ্গ রয়েছে দাবি করে সেখানে পুজো করার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বারাণসী আদালতে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সেই দাবি খারিজ করে পাল্টা মামলার আবেদন জানানো হয়েছিল। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা ফিরে আসে বারাণসী আদালতে। বারাণসী দায়রা আদলতের বিচারক একে বিশ্বাসের একক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মমলা এগোবে। মুসলিম পক্ষ অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটির আবেদন খারিজ করেন বিচারক।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় বারাণসী জেলা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যায় আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই সময়ই কার্বন ডেটিংয়ের দাবি জানিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। বারাণসী আদালত কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে রায় দেয়, যদি কার্বন ডেটিং বা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং যদি ‘শিবলিঙ্গে’র কোনও ক্ষতি হয়, তবে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ লঙ্ঘিত হবে এবং এটি সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত করতে পারে। পরে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মিশ্র ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের কাছে জানতে চান, কোনও রকম ক্ষতি ছাড়া শিবলিঙ্গের (Gyanvapi Mosque)  কার্বন ডেটিং সম্ভব কিনা। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে আইনজীবী মনোজ কুমার জানান, কাঠামোর ক্ষতি না করেই কার্বন ডেটিং করা সম্ভব। এর পরেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ দেন বিচারপতি। কাঠামোর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে বলেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, মসজিদ কমিটির দাবি, ওজুখানার ওই কাঠামো একটি পুরানো ফোয়ারা। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, সেটি শিবলিঙ্গ। এই ‘শিবলিঙ্গ’টি কত বছরের পুরানো, তা জানতেই কার্বন ডেটিংয়ের নির্দেশ আদালতের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    Calcutta High Court: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”, কেন বললেন বিচারপতি মান্থা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না”। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারপতি মান্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই প্রসঙ্গেই এদিন বিচারপতি বলেন, “নিজেরাই যদি নিজেদের সম্মান নষ্ট করেন, তাহলে কোর্ট কী করবে? আদালতকে বার বার অসম্মান করতে গিয়ে নিজেদের যে অসম্মান হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝছেন না। বা বুঝেও সেটাই করে চলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে।” এর পরেই তিনি বলেন, “আদালত সবাইকে ডেকে ডেকে বিধি শেখাতে যাবে না।”

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, পুলিশ স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে পারছে না। চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। এর পরেই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। সিটে রয়েছেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস এবং পঙ্কজ দত্ত। এর পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “টিভি চ্যানেলে বিষোদ্গার করাটাই কি আসল? রাজ্যে আইপিএস অফিসার কি কম পড়েছিল?” পরে কুণাল বলেন, “এঁরা প্রত্যেকেই যোগ্য ও স্বীকৃত। সবই ঠিক আছে। দময়ন্তী সেনকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু বাকিরা তো চ্যানেলে বসে বিষোদ্গার করেন। সেই কারণেই কি তাঁদের সিটের সদস্য করা হয়েছে?”

    আরও পড়ুুন:‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এ নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আর এক আইনজীবী। তাঁর বক্তব্য, ওই নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা করা উচিত। এর পরেই শিষ্টাচার পালনের পরামর্শ দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি ওই আইনজীবীকে জানান, এ নিয়ে যদি কিছু করতে চান, তা হলে আলাদাভাবে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে। প্রসঙ্গত, বিচারপতি (Calcutta High Court) মান্থার একাধিক নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের কুণাল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশ নিয়েও বিস্তর সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার তাঁর সভা বাতিল করতে চাইছে পুলিশ। যদিও আদালত অনুমতি দেওয়ায় সভা হচ্ছেই। এবার পুলিশ প্রশাসনের সততা ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পুলিশকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। আগামী ২১ মে দার্জিলিংয়ে সভা বাতিল করার চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ, শুক্রবার বিকেলে সরব হলেন নন্দীগ্রামের সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা পুলিশের এখন একমাত্র কাজ হল বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা দান করা। লেডি কিমের নির্দেশেই আমাকে বাঁকুড়ার সিমলাপালে ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়।”

    অভিষেককে নিশানা

    বিরোধী দলনেতা লেখেন, “ধন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ! ২১ মে দার্জিলিং-র জনসভাতেও আপনারা আমাকে আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। কিন্তু আমার কাছে ১৫ সিণ্ডিকেট এবং আরও একাধিক সংগঠনের ছাড়পত্র রয়েছে।” এরপরেই অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ৭২ ঘন্টা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন কি আপনারা দেখতে চেয়েছিলেন যে তাঁর কাছে জাতীয় সড়ক দফতরের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা? কিছুদিন আগেই তো তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের প্রধান যোগসূত্র যে জাতীয় সড়ক তা বন্ধ করে মিছিল বের করেন, তখন কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন?” শুভেন্দু আরও লেখেন, “যদি অভিষেক অনুমতি নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ছাড়পত্রের কপি আপনাদের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করুন। যদি আপনারা তা না করতে পারেন, তাহলে আপনাদের দ্বৈত সত্ত্বা সকলের সামনে প্রকাশ পাবে। তাহলে সকলে বুঝতে পারবেন, আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা।”

    আরও পড়ুন: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুমকির সুরে লেখেন, “দয়া করে মনে রাখবেন, দার্জিলিং-র মোটর স্ট্যান্ডে যদি বিজেপি সভা করতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক দলকেই আর ওখানে সভা করতে দেওয়া হবে না। এই বার্তাটা আপনাদের রাজনৈতিক মালকিনকে পাঠিয়ে দেবেন।” শুভেন্দুর কথায়, “আমাকে যে মমতা পুলিশ ও তাদের ‘রাজনৈতিক মনিব’ এত ভয় পায় তা জেনে কিন্তু বেশ ভাল লাগল; ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা….”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    TMCP: অভিষেক আসার আগেই কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বিস্ফোরক টিএমসিপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এসেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তার আগে বৃহস্পতিবার জেলার মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ফেসবুকে পোস্ট করলেন কলেজেরই ড্রপআউট হওয়া ছাত্র কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP)। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছেন। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

    কী লেখা হয়েছে ওই ফেসবুক পোস্টে?

    ফেসবুক পোস্টে কুণাল ভট্টাচার্য (TMCP) লিখেছেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল মাসিক ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বেতন পান। তবুও তিনি কলেজে না এসে অ্যাড সহকারে বাড়িতে টিউশন পড়ান। ছাত্র পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা মাইনে নিয়ে থাকেন। যেখানে কোর্ট থেকে পুরোপুরি বলা আছে, একজন স্কুলটিচার বা শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না, সেখানে একজন কলেজ প্রিন্সিপাল কীভাবে এইরকম ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? এরাই আবার ডিএ-র (DA) জন্য আন্দোলনে বসে। নিজের লেখা বক্তব্যের সঙ্গে একটা ভিডিও ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করে কুণাল সেটিকে প্রিন্সিপালের প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও বলে দাবি করেছেন। এমনকী কুণাল তাঁর গোটা ফেসবুক পোস্টটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধও করছেন। 

    কী বললেন সেই কুণাল ভট্টাচার্য?

    এই ফেসবুক পোস্ট দেখার পর কুণাল ভট্টাচার্যর (TMCP) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাঁর বাড়ি মেমারি থানার আমোদপুর গ্রামে। মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ফেসবুকে তিনিই পোস্ট করেছেন বলে কুণাল ভট্টাচার্য স্বীকার করে নেন। ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব বর্ধমানে আসার আগে এমন পোস্ট কেন? এর উত্তরে কুণাল দাবি করেন, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপালের কীর্তি আমার দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে তুলে ধরার এটাই যথার্থ সময়। তাই বৃহস্পতিবার সেটাই করেছি। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে কুণাল ভট্টাচার্য দাবি করেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কাউকেই প্রিন্সিপাল সহ্য করতে পারেন না। কলেজের কোনও ছাত্র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) করলে তাকেও প্রিন্সিপাল বিষনজরে দেখেন।” কুণালের দাবি, মেমারি কলেজে বিএ পাশ কোর্সে তিনি পড়তেন। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন বলে তিনিও প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তীর বিষনজরে পড়েন। আর সেই কারণেই তাঁকে ২০২০ সালে ড্রপআউট হতে হয়। কুণালের আরও অভিযোগ, প্রিন্সিপাল বেশিরভাগ দিন কলেজে আসেন না। যেদিন প্রিন্সিপাল কলেজে আসেন, সেদিন তৃণমূল সমর্থক কোনও ছাত্রী কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবার জন্য ওনার কাছে কোনও নথিতে সই করাতে গেলে তাদের হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। হাতে ব্যথা রয়েছে, এই অজুহাত খাড়া করে প্রিন্সিপাল সই করেন না। পাশাপাশি যে কোনও বিষয়েই প্রিন্সিপাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও দুর্ব্যবহার করেন বলে কুণাল ভট্টাচার্যের অভিযোগ।

    কী জবাব দিলেন প্রিন্সিপাল?

    যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিষ চক্রবর্তী। পাল্টা অভিযোগ এনে দেবাশিষবাবু বলেন, “এই কুণাল ভট্টাচার্য আসলে কলেজের প্রাক্তন টিএমসিপি (TMCP) নেতা তথা বর্তমান কলেজকর্মী মুকেশ শর্মার সাগরেদ। চক্রান্ত করে তাই কুণাল ভট্টাচার্য আমার নামে নানা মিথ্যা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করছে”। প্রিন্সিপাল এও বলেন, “আমি যখন রামপুরহাট কলেজে ছিলাম, তখন প্রাইভেট পড়াতাম। মেমারি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে দায়িত্ব নেবার পর থেকে আমি প্রাইভেট পড়াই না। আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কলেজে আসি। বিকাল পাঁচটার পর কলেজ থেকে বের হই। আসলে সরকারি গাইডলাইন মেনে যথাযথভাবে কলেজ চালাচ্ছি, কোনও অনৈতিক কাজ করতে দিচ্ছি না, তাই অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি স্বরূপ ফেসবুকে আমাকে নিয়ে মিথ্যা কথা লেখা হচ্ছে। এতে কিছু যায় আসে না বলে দেবাশিষ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন।

    প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেতৃত্বও

    অন্যদিকে মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেমারি কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিষ চক্রবর্তী কলেজের কথা, ছাত্রছাত্রীদের কথা কিছুই ভাবেন না। উনি কলেজে স্বৈরাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর বিহিত হওয়া দরকার”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    The Kerala Story: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে নিষেধাজ্ঞা কেন? রাজ্যের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। গোটা দেশে শান্তিপূর্ণভাবে চলছে সিনেমাটি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা নিষিদ্ধ করা হল কেন? কেন সিনেমাটি চালাতে দেওয়া হচ্ছে না? পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ দিয়ে এসব প্রশ্নের জবাব চাইল দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়ে এসব প্রশ্নের জবাব দিতে বলা হয়।

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে (The Kerala Story) নিষেধাজ্ঞা রাজ্যের…

    দিন কয়েক আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) এ রাজ্যে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয় এ রাজ্যে। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিনেমাটির নির্মাতারা। সেই মামলায়ই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।

    এর পাশাপাশি তামিলনাড়ু সরকারের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সারা দেশে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশের থেকে আলাদা নয়। যদি দেশের অন্যান্য জায়গায় ছবিটি চলতে পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কেন তা নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন পড়ল? যদি মানুষ মনে করে সিনেমাটি দেখার মতো নয়, তাহলে দেখবে না। জনবিন্যাসের নিরিখে অন্যান্য রাজ্যও পশ্চিমবঙ্গের মতোই, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে ছবিটি চালাতে অসুবিধা কোথায়?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’’! ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিন সিনেমা (The Kerala Story) নির্মাতাদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি জানান, এক রাজ্য কার্যত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, অপর রাজ্য সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্টের ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। বাংলায় জারি করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়ালও করেন সালভে। রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানান, সিনেমাটি রাজ্যে চালানো হলে আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্ট ছিল। কেরল হাইকোর্টও সিনেমাটির নির্মাতাদের নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সিনেমাস আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও জানান তিনি। তবে রাজ্যের কথা না শুনে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে না বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: অবশেষে স্বস্তি! দুর্নীতি মামলায় ২ সপ্তাহের জন্য ইমরানকে জামিন দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

    Imran Khan: অবশেষে স্বস্তি! দুর্নীতি মামলায় ২ সপ্তাহের জন্য ইমরানকে জামিন দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতার হওয়ার ৩ দিন পর, শুক্রবার জামিন পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পিটিআই প্রধান ইমরান খান। এদিন  ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানের ২ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেছে (Imran Khan granted bail)। আল কাদির ট্রাস্টের পাশাপাশি আর যে মামলাগুলি ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল, তার সবকটি থেকে আপাতত স্বস্তি পেলেন পিটিআই প্রধান বলে খবর।

    আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট

    বৃহস্পতিবারই পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সরাসরি জানিয়েছিলেন, ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারি বেআইনি। যেভাবে আধাসেনা ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court) চত্বর থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করেছিল, সেই ঘটনারও নিন্দা করে সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তির জন্য ইমরানকে হাইকোর্টে আপিল করতে বলে শীর্ষ আদালত। তারপরেই ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান ইমরান। সেই আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার সরকারি তোষাখানা থেকে নিয়ম ভেঙে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার আইনি প্রক্রিয়াও শুক্রবার স্থগিত রাখতে বলেছে আদালত। তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান মার্চ মাসে নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, আল কাদির ট্রাস্টের নির্মীয়মাণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেআইনি ভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, ইমরান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি এবং খান দম্পতির ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: মুক্তির নির্দেশ পাক সুপ্রিম কোর্টের! আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছেন ইমরান

    সূত্রের খবর, এদিন একটি উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত কনভয়ে করে আদালত চত্বরে এসে পৌঁছান ইমরান (Imran Khan)। অজস্র পিটিআই সমর্থক, আইনজীবী তখন আদালত চত্বরে হাজির হয়েছিলেন। তাঁরা ইমরানের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘খান, আপনার অনুরাগীদের গুনে শেষ করা যাবে না,’ ‘আইনজীবীরা বেঁচে আছে’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কোর্ট চত্বর। তাঁদের দেখে মুষ্টিবদ্ধ হাত মাথার উপর তুলে ভিতরে ঢুকে যান ইমরান। আপাতত দু-সপ্তাহের জন্য জামিনে মুক্তি পেলেন প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share