Blog

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘৭ দিনে নার্স হলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘৭ দিনে নার্স হলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে’’! মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরামর্শ দেন ৩ বছর পড়িয়ে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা হোক। সিনিয়র নার্সদের সেমি-ডাক্তার হিসেবে উন্নীত করা হোক। পাশাপাশি, তাঁর আরও পরামর্শ, নবাগতদের পনেরো দিনের প্রশিক্ষণ দিয়েই নার্সের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘ওনার মন্তব্যে কিছু বলার নেই। ওনার মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলছেন, সাত দিনে নাকি নার্স তৈরি করা যায়। এক দু’বছরে ডাক্তার তৈরি করা যায়।’’

    আরও পড়ুন: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ (Dilip Ghosh)

    দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, তাই যদি হবে তাহলে লোকেরা এত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বাইরে বিদেশে পড়তে যাচ্ছে কেন? তিনি বলেন, ‘‘বিদেশ থেকে ডাক্তারি পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো নিজের ইচ্ছেমতো করতে পারেন না। চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না।’’ এরপরই বিজেপি সাংসদের খোঁচা, ‘‘উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন। সাত দিনে নার্স হয় কি? তাহলে সে কি আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?’’ এর সঙ্গেই দিলীপের (Dilip Ghosh) সংযোজন, ‘‘বিদেশ থেকে হাজার হাজার মেডিক্যাল পড়ুয়া ফিরে এসেছিল যখন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এখানে ভর্তি করানো হবে।’’ বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘আগে তাদেরকে কোথায় ভর্তি করেছেন, তারা কোথায় ডাক্তারি পড়ছে, সেই হিসাব দিন। কেবল মিথ্যা কথা বলে চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

    নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ দিলীপের (Dilip Ghosh)

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে একহাত নেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ সবই দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে নিজেদের ভোটে নিজেরাই ঝামেলা করছে। তৃণমূল নেতা কর্মীরা কেউ একে অপরকে দেখতে পারেনা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা হবেই। মমতা গিয়েও সামলাতে পারেননি। কারণ দলটাই কারোর কন্ট্রোলে নেই। এমন জোয়ার আসছে, ব্যালট বাক্স ভেসে চলে যাচ্ছে। এই জোয়ার আমাদের পঞ্চায়েত ভোটেও দেখতে হবে। তার প্র্যাক্টিস ম্যাচ চলছে। পার্টির ঝগড়া পার্টির মধ্যে রাখুন। সমাজে বিশৃঙ্খলা করবেন না।’’

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: ধেয়ে আসছে মোকা! এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত, বাংলা কতটা নিরাপদ?

    Cyclone Mocha: ধেয়ে আসছে মোকা! এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত, বাংলা কতটা নিরাপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই কলকাতার আকাশে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি। হঠাতই আবহাওয়ার পরিবর্তন। তবে এখনও গরমের হাত থেকে রেহাই মেলেনি। আংশিক মেঘলা আকাশ কয়েকটি জেলায়। শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার ভোরেই প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে মোকা (Cyclone Mocha)। আগামী, ১৪ই মে রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে (sittwe) বন্দরের কাছাকাছি এটি ল্যান্ড ফল করবে। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি।

    ধেয়ে আসছে মোকা

    বাংলাদেশের দিকে ক্রমশই ধেয়ে আসছে সাইক্লোন মোকা (Cyclone Mocha)। বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে এই সাইক্লোন আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোকার প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশের কক্সবাজারের উপর দিয়ে এটি বয়ে যাবে। ওই এলাকায় গভীর তাণ্ডব চালাবে মোকা। ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট করা হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। যে সমস্ত এলাকার উপর দিয়ে সাইক্লোন মোকার তাণ্ডব চালানোর সম্ভাবনা, সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    মোকা (Cyclone Mocha) এখন কোথায়?

    প্রতিবেদন লেখার সময়, পোর্ট ব্লেয়ার বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে মোকা (Cyclone Mocha)। মায়ানমারের সিতওয়ে থেকে মোকা রয়েছে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর আরও উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে এগোচ্ছে মোকা। শনিবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি সর্বোচ্চ থাকবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। 

    আরও পড়ুন: আইএমএফের সাহায্য না পেলে দেউলিয়া হয়ে যাবে পাকিস্তান?

    মোকার (Cyclone Mocha) প্রভাব

    মোকার (Cyclone Mocha) প্রভাবে শনি ও রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে। কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। শনি এবং রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও। রবিবার নাগাল্যান্ড, মণিপুর, দক্ষিণ অসমেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে ফের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর সুপ্রিম নির্দেশকেই বহাল রাখলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিকাশকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর কেটে গেছে এক মাস। এদিন ফের বিকাশ মিশ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারল সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে বিকাশ ছাড়া পায়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই এবং সেখানে তারা দাবি করে যে, বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে এগনো যাবে, এই তথ্য শোনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বিকাশকে চারদিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পরে বিকাশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চারদিন হেফাজতে থাকার পরে পঞ্চম দিনে কী হবে? জামিন মিলবে নাকি তাকে আবারও হেফাজতে টানা হবে? এই ছিল বিকাশের প্রশ্ন। কিন্তু ইতিমধ্যে একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশের। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ বিকাশ দেখাতে পারেনি, তাই আদালত কক্ষ থেকেই বিকাশকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করল দুই সরকারি আধিকারিককে

    অন্যদিকে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে দুই সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জেরায় কোন সদুত্তর দিতে না পারায় ইসিএল-এর ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝা এবং সিআইএসএফ-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবারে এই দুইজনকে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য‌। ধৃত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কয়লা পাচারে সুবিধা করে দিতেন এই দুই আধিকারিক। এদিন জেরার সময় দুইজনের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তখনই তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই।

    শুক্রবার দুই ধৃতকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানা গেছে। সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ ইসিএল-এর লিজ নেওয়া খনি থেকে কয়লা পাচার হতো। লিজ নেওয়া খনির দেখাশোনা করে থাকে সিআইএসএফ। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই কয়লা পাচারে অভিযুক্ত লালাকে সাহায্য করতেন দুইজন ধৃত, এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন আসানসোলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায় মন্ত্রীর?’’

    ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল অবধি অনুপ মাঝি অবাধে কয়লা পাচার করেছে

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝি এবং তার সহযোগীরা ইসিএল-এর কয়লা খনি থেকে কয়লা পাচার করত এবং এই কাজে তাদের মদত দিত কয়েকজন ইসিএল-এর আধিকারিক। এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের একাংশও জড়িত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: মুক্তির নির্দেশ পাক সুপ্রিম কোর্টের! আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছেন ইমরান

    Imran Khan: মুক্তির নির্দেশ পাক সুপ্রিম কোর্টের! আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যাচ্ছেন ইমরান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, ইমরানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো আজ, শুক্রবার ইমরান খান ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যেতে পারেন। সেখানে তিনি জামিনের আবেদন করবেন। অন্যদিকে, ইমরান খানকে সমর্থন জানাতে আজ ইসলামাবাদের শ্রীনগর হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের কর্মী-সমর্থকদের। সূত্রের খবর, ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজিরার পর ইমরান খান (Imran Khan) সাধারণ জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

    ইমরানের গ্রেফতারি অবৈধ

    আল কাদির ট্রাস্টের জমি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারির পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান (Imran Khan)। সেই মামলার শুনানিতেই সে দেশের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ ইমরানকে এক ঘণ্টার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়। পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, “আদালত চত্বর থেকে কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে কোর্ট রেজিস্ট্রারের অনুমতি নিতে হয়। ইমরানের (Imran Khan) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি।” তবে ইমরানের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হবে বলে জানিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। 

    অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে

    মঙ্গলবার ৭০ বছরের ইমরান খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতার করেছিল ন্যাব। বুধবার আদালত ইমরানকে (Imran Khan) ৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। ইমরান খানের গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পাকিস্তান। গোটা দেশ জুড়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই অস্থির ছিল যে পাকিস্তান সরকারকে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়া, বেলুচিস্থানে সেনা বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল। হিংসার ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। এদিন ইমরান খানকে আদালতে পেশ করা হলে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বলেন আপনাকে দেখে ভাল লাগছে। তারপরই জানিয়ে দেন ইমরানের গ্রেফতারি অবৈধ। তাই কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। 

    আরও পড়ুন: আইএমএফের সাহায্য না পেলে দেউলিয়া হয়ে যাবে পাকিস্তান?

    গ্রেফতার শিরিন মাজারি

    অন্যদিকে এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে ইমরান খানও পাকিস্তানের প্রশাসনকে একহাত নেন। তিনি বলেন, তাঁকে এমনভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল যাতে মনে হয় তিনি একজন সন্ত্রাসবাদী। তিনি আরও বলেন সশরীরে আদালতে উপস্থিত হওয়ার সময়ই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হিংসার শিকার বলেও জানিয়েছেন। তাঁকে শৌচাগারেও যেতে দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, পাক সুপ্রিম কোর্ট ইমরানকে মুক্তি দেওয়ার কথা বললেও শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে পাকিস্তান তেহেরিক ইনসাফের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর শিরিন মাজারিকে (Dr. Sirin Mazari)। ইসলামাবাদ পুলিশ তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। শুধু শিরিণই নয় এর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে দলের অন্যান্য নেতাদেরও। গ্রেফতার হয়েছেন আসাদ উমর, ফাওয়াদ চৌধুরী, শাহ মেহমুদ কুরেশি, আলি মহম্মদ খান, এবং সেনেটর ইজাজ চৌধুরীও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে আচমকা এসএমএস পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটা ছিল ২০১৭ সালের মে মাস। টেট উত্তীর্ণ নন বলে তাঁরা কেউই চাকরির আবেদন করেন’নি, অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভবনে তাঁদেরকে দেখা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরে আবার ওই বছরেই ডিসেম্বর মাস নাগাদ জেলা প্রাথমিক পর্ষদ থেকে প্রতিটি প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয়েছিল যাবতীয় নথি যাচাই করা হবে। অভিযোগ এরপরে কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই ওই সমস্ত টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান (Recruitment Scam)। এই গোটা ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়েছিল? কেনই বা তাদেরকে ফোন করা হল?’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা করা হয় এবং তার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরবর্তীকালে। সুপ্রিম কোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন যাঁরা, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি তাহলে কেন বাছাই করা কয়েকজনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হলো?’’ দেখা যাচ্ছে, ২৬৯ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যারা বাড়তি এক নম্বর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে জয়েন করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে জালিয়াতি (Recruitment Scam)। কারণ টেট পরীক্ষা হয় মোট দেড়শো নম্বরের। যেখানে একজন সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীকে পেতে হয় ৯০ নম্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বা ৭১ নম্বর পেয়েও জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ তাদের এক নম্বর করে বাড়ার ফলে যে নম্বর দাঁড়াচ্ছে, তা কখনোই যোগ্যতামানে পৌঁছাচ্ছে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও একজন প্রার্থী ১৪১ নম্বর পেয়ে আগে চাকরি পাননি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য তাদের এই দুর্নীতি কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় এদিন। যেখানে তারা বলছে যে, ‘‘২৬৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই  ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন, যাঁরা সত্যিই টেট উত্তীর্ণ নন।’’ এখানেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একশোর বেশি নম্বর পেয়েও প্রথমে চাকরি না পাওয়ার উত্তরও জানা দরকার।’’

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জনের

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং যুক্তি খাড়া করেছিলেন যে প্রশ্নে এক নম্বর বাড়তি পেয়ে তাঁরা চাকরিতে জয়েন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি শূন্য পদ ছিল তা সত্ত্বেও সেখানে দুই হাজারের বেশি পদ খালি রেখে দেওয়া হল কেন?’’ অভিযোগ উঠছে, এই দুই হাজার পদ বিক্রির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি সমস্ত রকমের নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই নথি গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেই হওয়া যাবে চিকিৎসক! ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই নার্স! সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে করা হতে পারে ‘সেমি’ ডাক্তার! রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণে এমনই একাধিক প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব সকলে।

    জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক টিচারের পর এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন। বিজেপি দাবি করছে রাজ্যকে আরও ভাল করে চালানোর জন্য সিভিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যকেই সিভিক বানিয়ে দিয়েছেন। খেলা মেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে গোটা রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বলেন, “এবার এই রাজ্যে ঘুরে বেড়াবে ভুয়ো চিকিৎসক। যা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণার ফল। আর রাজ্যের তৈরি করা।” পাশাপাশি তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিভিন্ন বণিক মহলের সদস্যরা। সেখানেই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে, ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরির পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘লোকসংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতাল বাড়ছে। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারি কি না দেখব, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো।’’ সাধারণত ডাক্তারি পড়ার কোর্সের মেয়াদ ৫ বছরের। সেখানে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের পর চিকিৎসক তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে ‘সেমি’ ডাক্তার করার কথাও বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘নার্সদের সংখ্যা কম থাকার জেরে সমস্যা হচ্ছে। নার্সিং কলেজ তৈরি করা হোক আরও। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। ১৫ দিনের প্রশিক্ষণই যথেষ্ট।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব নার্স সিনিয়র, যাঁদের অবসর নিতে ৫-১০ বছর বাকি রয়েছে, তাঁদের পদোন্নতি দিয়ে যদি সেমি ডাক্তার করা যায়। ডাক্তার তো করতে পারব না!’’ 

    বিজেপির সমালোচনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “ভাবনাস্তরেই বিষয়টা থেকে যাবে, বাস্তবায়িত করার সময় আর এই সরকার পাবে না। বঙ্গে শিক্ষার চরম অবক্ষয় ঘটেছে, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছেন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সবাই দক্ষিণ ভারত অভিমুখে ছুটছেন। এই ধরণের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “উনি চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না, বিদেশে পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন, তেমনটা হলে সে আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?”

    আরও পড়ুন: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ন্যূনতম পরিষেবা পায় না। এ বার কি মুখ্যমন্ত্রী নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ডাক্তার, নার্স তৈরি করে রাজ্যে গরিব মানুষের জীবন বিপন্ন করে দেবেন? যাঁদের মাথায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের ভাবনা আসে, তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দাবি করছি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Cup 2024: এএফসি এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে ভারত! অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুনীলরা

    Asian Cup 2024: এএফসি এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে ভারত! অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুনীলরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এএফসি এশিয়ান কাপে (Asian Cup 2024) কঠিন গ্রুপে ভারত। গ্রুপ বি-তে রয়েছে মেন ইন ব্লু। সুনীল ছেত্রীদের গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান এবং সিরিয়া। বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আগামী বছর ১২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি কাতারে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি এশিয়ান কাপ।

    ভারতের গ্রুপে কারা

    এশিয়ান কাপে (Asian Cup 2024) ভারতের গ্রুপে সব থেকে কঠিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। কাতার বিশ্বকাপে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তারা। বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও খেলেছে তারা। লিয়োনেস মেসিদের বিরুদ্ধে খুব খারাপ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। ৩৫ মিনিট পর্যন্ত মেসিদের আটকে রাখে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ। তার পরে মেসির একক দক্ষতায় গোল ও পরে গোলরক্ষকের ভুলে একটি গোল খায় তারা। তাদের বিরুদ্ধেই এ বার খেলতে হবে সুনীলদের।ভারতের গ্রুপে আরও যে দু’টি দেশ রয়েছে তারা হল সিরিয়া ও উজবেকিস্তান। ধারেভারে ভারতের থেকেও শক্তিশালী তারা।  ফিফা র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া আছে ২৯ নম্বর স্থানে। উজবেকিস্তান ৭৪ নম্বরে আছে। সিরিয়া আছে ৯০ নম্বর স্থানে। সেখানে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১০১ নম্বর স্থানে আছে। 

    নকআউটের হাতছানি

    এই প্রথম পরপর দু’বার এশিয়ার সবচেয়ে বড় অন্তর্দেশীয় প্রতিযোগিতার অংশ নিতে চলেছে ভারত। মোট ছয় গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ২৪টি দলকে। প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। গ্রুপের তিন নম্বর দলগুলির মধ্যে সেরা চারের মধ্যে থাকতে পারলেও নকআউটের হাতছানি থাকবে। এদিন দোহায় টুর্নামেন্টের ড্রয়ে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ তারকা টিম কাহিল, ভারতের প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার মেমল রকি, কোরিয়ান ফুটবল তারকা পার্ক জি সুং এবং কাতারের অধিনায়ক হাসান আল হেদোস। হাজির ছিলেন ভারতের কোচ স্টিমাচও। 

    আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ভারতের! বিশ্বকাপে কবে পাকিস্তানের সামনে টিম ইন্ডিয়া?

    কঠিন লড়াই

    এই নিয়ে পঞ্চমবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে অংশ নিতে চলেছে ভারত। চার বছর আগে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয় দিয়ে শুরু করলেও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, বাহরিনের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল ভারত। এবার নকআউটে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন সুনীলরা।‌ তবে, এশিয়ান কাপে যে গ্রুপে পড়েছে ভারত, তাতে প্রথম দুইয়ে শেষ করা যথেষ্ট কঠিন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারতকে নিজেদের সর্বস্ব উজাড় করে দিতে হবে। 

    এশিয়ান কাপের গ্রুপবিন্যাস

    গ্রুপ ‘এ’: কাতার, চিন, তাজিকিস্তান এবং লেবানন। 

    গ্রুপ ‘বি’: অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া এবং ভারত। 

    গ্রুপ ‘সি’: ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, হংকং এবং প্যালেস্তাইন।

    গ্রুপ ‘ডি’: জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক এবং ভিয়েতনাম। 

    গ্রুপ ‘ই’: দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডন এবং বাহারিন। 

    গ্রুপ ‘এফ’: সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, কিরঘিস্তান এবং ওমান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share