Blog

  • Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবাদিঘি জটে দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। দিঘি বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের (Agitation) জেরে রেললাইনের প্রকল্পের কাজ গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে রয়েছে। বারবার রেল কর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করলেও কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি। এদিকে দিঘির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তার মাঝে ফের শুক্রবার ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কথাই হল না আন্দোলনকারীদের (Agitation) সঙ্গে। উল্টে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তাঁরা। হাতে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ দেখান এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রেললাইনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এদিন ভাবাদিঘির রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে গোঘাট স্টেশনে এসে নামেন। তারপর সড়কপথে ভাবাদিঘির রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানার পরই এলাকাবাসী সেখানে যান। রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু, তাঁরা কথা বলেননি। এরপরই এলাকাবাসী পোস্টার হাতে নিয়ে রেল আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    রেল আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা রেল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, ভাবাদিঘির উপর দিয়ে এই প্রকল্প হোক আমরা চাই না। কারণ, এই দিঘির জলের ওপর শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল। আমরা রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেই আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতাম। কিন্তু, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। তাই পোস্টার লিখে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি তাঁদের কাছে তুলে ধরতাম। গ্রামের মানুষ রেলকর্তাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান।

    এদিন রেল কর্তারা এলেও ভাবাদিঘির জট ক্রমশ খোলার জায়গায়, আরও বেশি করে জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও রেল আধিকারিকরা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। ভাবাদিঘির পর তাঁরা বাঁকুড়ার- বিষ্ণুপুর এলাকায় রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: “সন্ত্রাসের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেস”! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    The Kerala Story: “সন্ত্রাসের সঙ্গে সমঝোতা করে কংগ্রেস”! ‘দ্য কেরালা স্টোরি’-র প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুক্তি পেল সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষাপটে গাঁথা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) ছবিটি। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশ জুড়ে বিতর্ক। এবার এই ছবিকে সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কর্নাটকের বেল্লারিতে তাঁর বক্তব্যে উঠে এল হিন্দি ফিল্ম, ‘দ্য কেরল স্টোরি’-র প্রসঙ্গ। এই বিতর্কিত ফিল্মের প্রসঙ্গ টেনে এদিন তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়ানোর গুরুতর অভিযোগ করলেন। 

    কংগ্রেসের সমালোচনা

    এই ছবি নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিল কেরলের রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন এই ছবিকে প্রচারমূলক (প্রোপাগান্ডা) ছবি বলেই দাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ছবির প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাশাপাশি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন,‘‘কংগ্রেস পার্টি আসলে সন্ত্রাসবাদকে মদত দিতে চাইছে। সেই কারণে এই ছবিকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে। তাতে তারা আদতে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করছে।’’ এই ছবির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দ্য কেরালা স্টোরি (The Kerala Story) ছবিটি সমাজের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা সন্ত্রাসবাদের মুখোশকে প্রকাশ্যে আনবে। কেরলের মতো একটা সুন্দর জায়গা, যেখানকার লোকজন এত বুদ্ধিমান, মেধাবী, সেখানে এই ধরনের সন্ত্রাসবাদ সমাজের চূড়ান্ত ক্ষতি করছে। আর কংগ্রেস পার্টি এমনই একটা ছবিকে নিষিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে! এরা শুধু উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করে সব কিছু নিষিদ্ধ করতে জানে। এই দলটার আমার জয় বজরংবলী বলাতেও সমস্যা রয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    সিনেমাটির প্রশংসা

    শুধু কংগ্রেসকে আক্রমণ করাই নয়, কেরল স্টোরি (The Kerala Story) সিনেমাটিরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি বলেন, “আজ সন্ত্রাসবাদ নতুন চেহারা নিয়েছে। অস্ত্র-বোমা ইত্য়াদি ব্যবহারের পাশাপাশি ভিতর থেকে সমাজকে ফাঁপা করে দিতে চাইছে সন্ত্রাসবাদীরা। কেরল স্টোরি সিনেমায় সন্ত্রাসবাদের এই নয়া মুখটিকে ফাঁস করা হয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সন্ত্রাবাদের সামনে মাথা নত করেছিল কংগ্রেস। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই হিংসার শিকার হতে হয়েছে। কংগ্রেস কখনওই সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেনি। কংগ্রেস কি কর্নাটককে রক্ষা করতে পারবে?” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ক্ষমতা দখলের জন্য সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তলায় তলায় আপোস করছে কংগ্রেস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: আজ, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত! ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র সতর্কবার্তা

    Cyclone Mocha: আজ, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত! ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র সতর্কবার্তা

    মাধ্যম  নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মৌসম ভবন। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনগুলির তরফে। আজ, শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ৭ মে সেই ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে (Depression)। তারপর সোমবার, ৮ মে সেটি গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression) পরিণত হয়ে উত্তর অভিমুখে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগনোর সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) ওই গভীর নিম্নচাপটি মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। শুক্রবার মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়, নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পরই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ছবিটা স্পষ্ট হবে। এখনও পর্যন্ত একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে মাত্র। 

    ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কা

    ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ওড়িশা। ঝড় মোকাবিলায় আগেভাগেই প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেছেন।  এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। কিন্তু কোথায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তারই ভিত্তিতে চারটি রাজ্যকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে মৌসম ভবন। অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশা ছাড়াও অন্য যে রাজ্যে ‘মোকা’ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটি হল পশ্চিমবঙ্গ। তাই রাজ্যকেও সতর্ক করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ৮-১১ মে পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    নিম্নচাপের প্রভাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার ও সোমবার তুমুল বৃষ্টি হতে পারে এই দুই দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।

    আরও পড়ুন: চোখের সামনে ভেঙে পড়ল পাহাড়! বদ্রীনাথের রাস্তায় বড় ধস, বন্ধ যাত্রা

    শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কার্যত নেই বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি উঠতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে ময়লা ও আবর্জনা ফেলার ফলে পুকুরের বেশিরভাগটাই বুজে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের (Barasat) একটি পুকুর এইভাবে দিনের পর দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অথচ পুকুর পুনরুদ্ধারের কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। জমির মালিক ও পৌরসভা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রেহাই পেতে চাইছে।

    কীভাবে পুকুর ভরাট?

    বারাসত পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়পুর স্টেশন রোড দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রোজ যাতায়াত করেন। সেই রাস্তার পাশেই ৮৪ শতক জমি জুড়ে বিশাল একটি (Barasat) পুকুর ছিল কয়েক বছর ধরে। সেই পুকুরেই এলাকার লোকজন একসময় স্নান করতেন। বৃষ্টি হলেই এলাকার জমা জল গিয়ে পড়ত পুকুরে। সেই ৮৪ শতক অংশের মধ্যে ২৮ শতক কয়েক বছর আগে কিনেছিলেন এলাকার ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত। সেই পুকুরটির ২৮ শতক জমি (প্রায় ১৮ কাঠা) দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল অবহেলিত অবস্থায়। সেখানেই নোংরা ও আবর্জনা ফেলতে ফেলতে পুকুরের অনেক অংশ ভরাট হয়ে যায়, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানে পুকুরটিকে দেখলে আর বোঝার উপায় নেই, সেটি এককালে পুকুর ছিল। বুজিয়ে ফেলা পুকুরের জমির অংশে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। জমি দখলের চেষ্টাও চলছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় এক বাসিন্দা ভাস্কর চক্রবর্তী জানান, এককালে গোটাটাই পুকুর ছিল এখানে। সেই পুকুরে (Barasat) আমরাও একসময় স্নান করতাম। সাঁতার কাটতাম৷ সেই পুকুর ভরাট হতে দেখে এখন খারাপ লাগছে। এটা অবিলম্বে প্রশাসনের দেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ ভয়ের কারণে সেভাবে এতদিন মুখ খুলতে পারিনি আমরা। বর্তমানে অনাচার দেখে এখন মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন আর পৌরসভা কী ভূমিকা পালন করে, তাই এখন দেখার।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    যার বিরুদ্ধে পুকুর (Barasat) বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সেই জমির মালিক সঞ্জীব দত্ত বলেন, এটা পুকুর নয়। গোটাটাই বাস্তু জমি। তার রেকর্ড এবং তথ্য সবকিছুই রয়েছে আমাদের কাছে। প্রশাসন দেখতে চাইলে তা দেখিয়ে দেব। পুকুর ভরাট করার চেষ্টা কখনও করিনি আমি।

    পৌরসভার বক্তব্য

    জমির মালিকের অভিযোগ উড়িয়ে পৌরসভার (Barasat) পৌরপারিষদ সৌমেন আচার্য বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পৌরসভা কখনও অন্যের জায়গায় গিয়ে নোংরা, আবর্জনা ফেলে না। পৌরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    কাউন্সিলরের বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাম কাউন্সিলর শুক্লা ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও জমির মালিকের উপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, পৌরসভা কেন ওখানে নোংরা, আবর্জনা ফেলতে যাবে! বিষয়টি নজরে আসার পরই চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তবে, এখনও সদুত্তর মেলেনি। পুকুর (Barasat) ভরাট রুখতে বদ্ধপরিকর আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের আলোতে পুকুর চুরির অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি জমিতে চলছে সবুজ ভুট্টার চাষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এবং এই দুর্নীতিতে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পুকুর চুরির এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতিতে উচ্চ আদালত আজকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী দুমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরই মামলা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার এক ব্যক্তি। সেই মর্মে গত বছরের ৩১ অক্টোবর জেলাশাসককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজকে এই পর্যবেক্ষণ দিল। 
    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজের ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নবজোয়ার সভাতে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলে বারংবার অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১০০ দিনের কাজে চুরি বন্ধ করলে তবেই কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে মিলবে টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিজেপি, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে চুরির যে অভিযোগ করে আসছে, এদিনের পুকুরচুরির ঘটনা বিজেপির অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল।

    কী বলল হাইকোর্ট

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করবেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তদন্তের ওপর নজরদারি চালাবেন পঞ্চায়েত সচিব। তদন্তের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহে পঞ্চায়েত সচিবকে দেবেন জেলাশাসক। ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই তদন্ত। আদালতের আরও পর্যবেক্ষন, তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রধানদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই আদালতে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে শাসক দল। এবার ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে এল হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার। সামনে এল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার নাম। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই হুগলির শান্তনু এবং কুন্তলের নাম শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়াল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। সূত্রের খবর, শান্তনু, কুন্তল এবং সাহিদ ইমাম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের ছায়া সঙ্গী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি সালেপুর ১নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।

    কে এই গুণধর খাঁড়া?

    গুণধর খাঁড়া শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়া থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠার ঘটনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। দিন আনা দিন খাওয়া ঘরে অভাবি নাপিত পরিবারে জন্ম তাঁর। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পৈতৃক বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। পড়াশুনা তিনি খুব বেশিদূর জানেন না। তবে, মাজা-ঘষা করে নাম সই করা ভালো করে শিখে নিয়েছেন তিনি। একসময় তিনি ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটতেন। শুরুর দিকে এটাই ছিল রোজগারের মাধ্যম তাঁর। তারপর হুগলি জেলার সালেপুর এলাকায় একটি সেলুনের দোকান শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর পর তিনি অন্য আর একটি পেশায় যুক্ত হন। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি চাল বিক্রি করতেন। জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল বদল করে তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। এরপর ভোটে জিতে জন প্রতিনিধি হয়ে নিজের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রধান নির্বাচিত হন। পরে, ২০১৮ সালে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হন। সেখানে জয়ী হয়ে তিনি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন।

    কত সম্পত্তির মালিক এই তৃণমূল (TMC) নেতা?

    গুণধরবাবু তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর আস্তে আস্তে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। প্রথমে তিনি ধানের বীজ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে অবশ্য পার্টনারশিপেই ব্যবসা চললেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জোরে ব্যবসা নিজের হাতে হাতিয়ে নেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, তাঁর একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি রয়েছে, যার নাম কালীমাতা সিড ফার্ম। এই কোম্পানিটি সালেপুরের পাঁচ মাইল এলাকায় রয়েছে। তাঁর রাজকীয় বহুতলবাড়ি আছে। এমনকী তাঁর নামে বাঁকুড়ার তালডাঙরা এলাকাতেও একাধিক জমি এবং বহু বাড়ি রয়েছে। সবমিলিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। গুণধরবাবু নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দুই মেয়ে, মেয়ের জামাই ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন আগে চাকরি করে দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে তাঁর। তাই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব করা হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ২৬ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, কারও চাকরি হয়নি। ইডি-র কাছে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সায়গলের ফোন দিয়েই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়েন কেষ্ট! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    Anubrata Mondal: সায়গলের ফোন দিয়েই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়েন কেষ্ট! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তথা ইডি (ED)। ইডি গত ৬ মার্চ অনুব্রতকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছিল। তার ৫৯-তম দিনের মাথায় চার্জশিট দায়ের করেছে ইডি। সেই সঙ্গে দু’টি খণ্ডে তথ্যপ্রমাণ-সম্বলিত ৯০০ পৃষ্ঠার নথিও জমা দিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা চার্জশিটে আরও বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত। 

    ১০-১২ বার লটারি জিতেছেন

    বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জমা পড়া তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে ইডি দাবি করল, লটারি কেটে নয়, লটারির পুরস্কারপ্রাপকদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকিট কিনে নিতেন অনুব্রত। এ ভাবেই ২ কোটি টাকার পুরস্কার পাওয়ার আড়ালে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে, অনুব্রত জেরায় জানিয়েছেন, তিনি এবং কন্যা সুকন্যা মোট ১০-১২ বার লটারি জিতেছেন। তার মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে ৫-৬ বার লটারিতে পুরস্কার জিতেছে তাঁর পরিবার। আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে, অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা আসল পুরস্কারপ্রাপকদের কাছ থেকে অনেকগুলি লটারির টিকিট কিনে নিয়েছিলেন। যে লটারিগুলিতে পুরস্কার উঠেছিল। ইডির দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, বোলপুরের লটারি বিক্রয়কেন্দ্র গাঙ্গুলি লটারি এজেন্সির সঙ্গে অনুব্রত বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে বোঝাপড়া করে নিয়েছিলেন। 

    সায়গলই সেতু

    অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন ব্যবহার করেই গরুপাচারের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন অনুব্রত। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চার্জশিট পেশ করে এমনই জানিয়েছে ইডি। এমনকী ওই ফোনের ২টি নম্বর দিয়েই যে গরুপাচারকারী এনামুল হক ও আবদুল লতিফ অনুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আদালতে তারও প্রমাণ পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। ইডির পেশ করা চার্জশিটে জানানো হয়েছে, অনুব্রত নিজে কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন না। তিনি সায়গল হোসেনের ২টি নম্বর ব্যবহার করে সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। চার্জশিটের সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে সায়গল হোসেনের ২টি ফোনের কল ডিটেইলস আদালতে পেশ করেছে ইডি।

    ঘনিষ্ঠদের ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত 

    চার্জশিটে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গরুপাচারের বিপুল টাকা লুকিয়ে রাখতে ঘনিষ্ঠদের ব্যবহার করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাদের দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রতর নির্দেশে তাঁর বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েন, তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলান সায়গল। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টে প্রচুর নগদ জমা পড়তে থাকে। এছাড়া তৃণমূল কাউন্সিলর ওমর শেখ, তৃণমূল কর্মী অর্ক দত্ত, তাপস মণ্ডল ও শ্যামাপদ কর্মকারকে দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলিয়েছিলেন অনুব্রত। এমনকী এলাকার সবজি ব্যবসায়ী বিজয় রজককে দিয়ে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলান তিনি।

    আরও পড়ুন: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    ইডি জানিয়েছে, জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, অনুব্রতর নির্দেশে সায়গল হোসেন তাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেন। তবে সেই অ্যাকাউন্টের পাশবই, চেকবই ও ক্রেডিট কার্ড অনুব্রতর কাছেই থাকত। অনুব্রত ইচ্ছামতো সেই টাকা খরচ করতেন বা কাউকে পাঠাতেন। এব্যাপারে বিন্দু বিসর্গ জানেন না তাঁরা। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জেরায় অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বাবা অনুব্রত মণ্ডল যেমন নির্দেশ দিতেন তেমন সই করে দিতেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন একুশের বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। তাঁর দায়ের করা নির্বাচন সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    দ্বৈত নাগরিকত্বের জায়গা নেই

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি। এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। তাঁরই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আলোরানি সরকার। একক বেঞ্চে শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয়, আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। হাইকোর্টে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি বিধায়ক স্বপনের আইনজীবী অরিন্দম পাল। আদালতকে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছিল, আলোরানি বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাংলাদেশেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বামী থাকেন। 

    আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    আলোরানির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, দায়িত্বশীল দল হিসাবে কখনই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রার্থী করা যায় না। আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখাও হয়েছিল। গত বছর ২২ মে তাঁর মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি দেশের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলোরানি। এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন আলোরানি সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    Indian Army: রাজৌরিতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই! নিহত ৫ জওয়ান, আহত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জঙ্গি হামলা জম্মু-কাশ্মীরে। জঙ্গিদের ছোড়া বোমার আঘাতে ৫ জন সেনা আধিকারিকের (Indian Army) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন ১ জন সেনা অফিসার, উধমপুরের সেনা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ঠিক কী ঘটনা?

    রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন সকাল থেকেই জঙ্গি নিকেশ অভিযানে নামে ভারতীয় সেনা। জানা গেছে, জঙ্গিরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। শুরু হয় দুইপক্ষের গুলির লড়াই। এমন সময়ে জঙ্গিদের দিক থেকে ছোড়া হয় বোমা, তাতেই প্রাণহানি ঘটে ২ সেনা আধিকারিকের। আহত হন ৪ জন, তাঁদের ভর্তি করানো হয় সেনা হাসপাতালে, সেখানে তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি কান্দি জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই চলছে বলে খবর। সেখানে বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। সেনা সূত্রে খবর, সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন জঙ্গিরও। সকালের ঘটনার পরেই রাজৌরি সেক্টরে বাড়ানো হয় সেনা সংখ্যা। ইদের প্রাক্কালে পুঞ্চে সেনা (Indian Army) ট্রাকে যে জঙ্গি গোষ্ঠী গ্রেনেড ছুড়েছিল, এদিন তারাই হামলা চালিয়েছে বলে অনুমান সেনার।

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

    সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ চলছেই 

    গত সপ্তাহেই সেনা (Indian Army) ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা। তাঁরা পুঞ্চে ইদের ফল বিতরণ করতে যাচ্ছিলেন। ট্রাকে থাকা ৫ জওয়ান ঝলসে যান গ্রেনেড হামলায়। আবার চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার বারামুলার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সেনা জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় দুই লস্কর জঙ্গির। নিহতদের নাম শাকির মাজিদ ও হানাম আহমেদ শেহ। তাদের থেকে AK-47 রাইফেল, পিস্তল ও বেশ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। বুধবারও কুপওয়ারাতে ২ লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share