Blog

  • Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    Terrorist Attack: হামলা চালিয়েছিল সাত জঙ্গি! পুঞ্চে সেনার ট্রাকে হামলার নেপথ্যে লস্কর-ই-তৈবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে সেনাবাহিনীর যে ট্রাকে হামলা (Terrorist Attack) হয়েছিল, তার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন  লস্কর-ই-তৈবা (LeT)। সেনা সূত্রে খবর, এই হামলার পিছনে অন্তত সাতজন জঙ্গি রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে পরেই মাধ্যম জানিয়েছিল, জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেডের জেরেই আগুন লাগে সেনাবাহিনীর ওই গাড়িতে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএকে (NIA)।

    জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল…

    এদিন বিকেলে পুঞ্চের যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছিল, তা অবস্থিত নিয়ন্ত্রণরেখার ভিম্বার গলি থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। ওই এলাকায় ঘন জঙ্গল রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই এলাকায় পাকিস্তানি জঙ্গিদের গতিবিধি ধরা পড়েছে। ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে ওই জেহাদিরাই হামলা (Terrorist Attack) চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর কনভয়ে। লস্কর-ই-তইবার ওই জঙ্গিদের খোঁজে ইতিমধ্যেই চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নাগরোটার ১৬ কোর। আধিকারিকদের মতে, মে মাসে শ্রীনগরে রয়েছে জি-২০ গোষ্ঠীর সম্মেলন। পাকিস্তান তা বানচাল করার চেষ্টা করছে।

    তাঁদের মতে, তার সঙ্গে এই হামলার যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রীনগরের ওই অনুষ্ঠান বয়কট করার জন্য জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির কাছে আর্জি জানিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার যে পাঁচ সেনা শহিদ হয়েছেন, তাঁরা হলেন হাবিলদার মনদীপ সিংহ, সিপাই হরকিষণ সিংহ, ল্যান্সনায়েক কুলবন্ত সিংহ এবং সিপাই সেবক সিংহ। এঁরা চারজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। শহিদ হওয়া আরও এক জওয়ান হলেন পুরীর বাসিন্দা ল্যান্সনায়েক দেবাশিস। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জি-২০ সম্মেলনে যেসব দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন, তাঁদের মনে ভয় ধরাতেই হামলা চালানো হয়েছে সেনার গাড়িতে।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য মিললে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    এদিকে, তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, দু পক্ষের মধ্যে কয়েক (Terrorist Attack) রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছিল। কারণ ট্রাকটির দু পাশে অসংখ্য বুলেট গেঁথে ছিল। অনুমান, গুলি চালাতে চালাতেই আচমকা গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। গ্রেনেড গিয়ে লাগে সেনাবাহিনীর ট্রাকের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় তাতে। জীবন্ত দগ্ধ হন পাঁচ জওয়ান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, গত বছর মোহালির পুলিশ ফাঁড়িতেও ঠিক একই কায়দায় হামলা চালিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা জঙ্গিরা। পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে রকেট চালিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল তারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Summer Tips: জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ, প্রখর গরমে ভালই বা থাকবেন কীভাবে?

    Summer Tips: জেনে নিন হিট স্ট্রোকের লক্ষণ, প্রখর গরমে ভালই বা থাকবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রকৃত অর্থেই চলছে দাবদাহ। দুপুরের প্রখর রোদে (Summer Tips) বাইরে বেরনোই দায়। তবে এমন কিছু পেশা রয়েছে, যে পেশায় যুক্ত মানুষদের দুপুর বেলায়ই বেরতে হয়। প্রয়োজনীয় নানা কাজেও মানুষকে বের হতে হয় বাইরে। যেহেতু এ রাজ্যে প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু হয় সাড়ে ১০টার পরে, তাই রোদ উপেক্ষা করেও বাইরে বের হতে হয় অনেককেই। দুপুরের চড়া রোদে বের হলে হিট স্ট্রোকে (Sun Stroke) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকেই। হিট স্ট্রোক হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। না হলে তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    হিট স্ট্রোকের (Sun Stroke) লক্ষণ…

    হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে। আক্রান্তের খিঁচুনি হতে পারে। খুব ঘাম হবে। বমি হতে পারে। হতে পারে বমি বমি ভাবও। শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়। হার্টবিটও বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। মাথা ব্যথা হয়। আক্রান্ত ব্যক্তি সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন। তাই প্রচণ্ড গরমের (Summer Tips) মধ্যেও যাঁদের নিতান্তই ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে, তাঁদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দুপুরে যাঁদের কায়িক পরিশ্রম করতে হয় কিংবা এক্সারসাইজ করেন, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন তাঁদেরও। বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেশি। তাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা তাঁদের বাইরে না বেরনো দেওয়াই ভাল।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য মিললে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    তবে সতর্কতামূলক কয়েকটি ব্যবস্থা (Summer Tips) নিলে এড়ানো যেতে পারে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। চিকিৎসকদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ সকালে ১০টার আগে এবং বিকেলে ৫টার পরে করাই ভাল। রোদে বেরলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বেরলে সঙ্গে অবশ্যই জল নিয়ে বেরন। দিনে চার থেকে পাঁচ লিটার জল খেতে হবে। রোদ থেকে ফিরে কিংবা রোদে থাকাকালীন ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। দিনে দুবার স্নান করুন। এক লিটার জলে একটা ওআরএস মিশিয়ে খেতে হবে। প্রখর গ্রীষ্মে অতিরিক্ত তেল-মসলা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। চপ, ফাস্ট ফুড, মাংস না খাওয়াই ভাল। প্রতিদিন রসালো ফল অবশ্যই খেতে হবে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Twitter: শাহরুখ-অমিতাভ থেকে কোহলি-রোহিত, ট্যুইটারে ‘ব্লু টিক’ হারালেন বহু সেলেব্রিটি, তালিকায় কারা?

    Twitter: শাহরুখ-অমিতাভ থেকে কোহলি-রোহিত, ট্যুইটারে ‘ব্লু টিক’ হারালেন বহু সেলেব্রিটি, তালিকায় কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারে ‘বিশেষ’ হওয়ার পরিচিতি স্বরূপ ব্লু টিক (Twitter Blue Subscription) হারালেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) , অমিতাভ বচ্চন  (Amitabh Bachchan) থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), যোগী আদিত্য়নাথ (Yogi Adityanath)। বলিউড তারকা, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সমাজের বহু গণ্যমান্য, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের নামের পাশের ‘ব্লু টিক’ চিহ্ন হারান।

    কারা কারা হারালেন ব্লু টিক

    সেলিব্রিটি এবং তারকাদের আসল প্রোফাইলকে চিহ্নিত করতে এতদিন ব্লু-টিক ছিল অন্যতম ভরসা। সম্প্রতি ট্যুইটারে একের পর এক  নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। ব্লু টিক চিহ্ন পাওয়ার জন্য় আর্থিক মূল্য় ঘোষণা করেছে ট্যুইটার। সেই নিয়মের জেরেই ব্লু টিক হারালেন শাহরুখ খান, অমিতাভ বচ্চন, আলিয়া ভট্টের মতো বি-টাউন তারকারা। রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, যোগী আদিত্য়নাথের মতো রাজনীতিবিদ থেকে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেট তারকাও হারালেন ব্লু-টিক। ‘ব্লু টিক’ হারিয়েছেন, ওপরা উইনফ্রে, জাস্টিন বিবার, কেটি পেরি এবং কিম কার্দাশিয়ানের মতো তারকারাও। বিশেষ হওয়ার চিহ্ন হারিয়েছেন বিল গেটস থেকে শুরু করে পোপ ফ্রান্সিসের মতো ব্যক্তিত্ব।

    কেন হারালেন ব্লু টিক

    এবার থেকে ট্যুইটার ব্লু সাবস্ক্রিপশন না থাকলে  আর অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক রাখা যাবে না। পয়লা এপ্রিলেই এই নিয়ম চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে ২০ এপ্রিলে করা হয়। সারা বিশ্বেই  এই নতুন নিয়ম চালু করা হবে বলে জানায় ইলন মাস্কের ট্যুইটার। মাইক্রোব্লিগং সাইটের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ‘ব্লু টিক’ রাখার জন্য মাসিক ৬৫৭ টাকা করে দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। কোনও সংস্থা যদি তাদের ট্যুইটারে তাদের নামের পাশে ‘ব্লু টিক’ রাখতে চায়, সে ক্ষেত্রে খরচ করতে হবে অনেক বেশি, প্রায় ৮২ হাজার টাকা। যাঁরা আগেভাগেই এই টাকা দিয়ে রেখেছিলেন, ট্যুইটারে তাঁদের নামের পাশের ‘ব্লু টিক’ চিহ্ন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    ব্লু টিক থাকলে কী হবে

    ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, যে ইউজারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকবে সেখানে ইউজাররা কম বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি বড় ট্যুইট করার সুযোগ থাকবে এবং আসন্ন ফিচারগুলির দ্রুত অ্যাকসেস পাবেন। ব্লু টিক থাকা মানে একজন ইউজারের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড। সেক্ষেত্রে তাদের অ্যাকাউন্ট এবং সেখানের তথ্যকে মান্যতা দিতে হবে। এই ইউজারেরদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক থাকলে একজন ইউজার ট্যুইট করার ৩০ মিনিট পরে পর্যন্ত তা এডিটের অপশন পাবেন। এছাড়াও ফুল এইচডি রেজোলিউশনের ভিডিও শেয়ার করার সুযোগও পাবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের…

    এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে আজ সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের

    DA Protest: বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে আজ সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) সঙ্গে আজ, বিকেলে আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে জট কাটাতে আজ নবান্নে সরকারি কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরহিত্যে সেই বৈঠক শুরু হতে চলেছে। এরই মধ্যে ডিএ আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, বৈঠকে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, সেগুলি লিখিতভাবে সরকারকে দিতে হবে। 

    বৈঠকে সকলকে স্বাগত

    আদালতের নির্দেশে শহিদ মিনারে আন্দোলনরত যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের তরফে ৫ জন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকাল সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।আজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান যে, আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। যাঁরা আসতে চান সবাইকে স্বাগত। কিন্তু একটি সংগঠনের তরফে একজনই থাকতে পারবে। রাজ্যের আবেদনে সম্মতি দেয় আদালত।

    হাইকোর্টের নির্দেশে বৈঠক

    হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে রাজ্য সরকার। বৈঠকে থাকতে পারেন অর্থসচিবও। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে লাগাতার আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।  এই সময়সীমার মধ্যে ২ পক্ষের বৈঠক হয়নি। এরপর, চলতি সপ্তাহের সোমবার দ্রুত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার।

    বৈঠকের পর পরবর্তী পদক্ষেপ

    এই বৈঠক নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে রাজ্য সরকারের তরফে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে ইমেল এবং ফোন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট যে বৈঠকের নির্দেশ দিয়েছে, সেই নির্দেশ মতো ২১ এপ্রিল বিকেল ৪ টে ৩০ মিনিট থেকে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই বৈঠকে আমাদের পাঁচ প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেইমতো আমাদের পাঁচ প্রতিনিধিকে নিয়েই সেই বৈঠকে হাজির থাকব আমরা। আশা করি, এই বৈঠকে সদর্থক ভূমিকা পালন করবে রাজ্য সরকার।’ আন্দোলনকারীদের (DA Protest) কথায়, বৈঠকে কী কী আলোচনা হয়েছে, তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। 

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    উল্লেখ্য ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছয় শতাংশ হারে ডিএ পান। যা অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেক কম বলে দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। সেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ (DA Protest) পান। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগে একাধিকবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তা নিয়ে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে টানাপোড়েন কম হয়নি। ৮৪ দিনে পড়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলন। এবার তাঁদের ডাক পড়ল আলোচনায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Home Ministry: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    Home Ministry: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বরাদ্দ বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর বকেয়া টাকা চেয়ে রাজ্যের উপর চাপ বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। লিখিত বার্তায় মন্ত্রক জানিয়েছে, বকেয়া থাকায় মূল অর্থের উপর জরিমানা ধার্য হয়েছে। ফলে এখন প্রায় ১৮৫২ কোটি টাকা মেটানোর কথা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) বারবার নিশানা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রাজ্যের যে বিপুল বকেয়া রয়েছে তা একবারও মুখে আনেননি মুখ্যমন্ত্রী।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry) থেকে যে চিঠি নবান্নে এসেছে তাতে বকেয়া মেটানোর কথা লেখা রয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই খাতে রাজ্যের কাছে বকেয়া রয়েছে প্রায় ১৮০৬ কোটি টাকা। আর একই বছরে ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও বকেয়া হয়েছে প্রায় ২১ কোটি টাকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, এই বকেয়া ৯০ দিনের মধ্যে মিটিয়ে না দিলে ২.৫% হারে জরিমানা করা হয়। তাতে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বাড়তি চেপেছে। ফলে বকেয়া টাকার অঙ্ক ১৮৫২ কোটি টাকাতে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র–রাজ্য কোনও পক্ষই রকারি ভাবে মন্তব্য করতে চায়নি।

    আরও পড়ুন: ভিজল ডুয়ার্স! দক্ষিণবঙ্গে আজও চলবে তাপপ্রবাহ, সব জেলায় বৃষ্টি কবে?

    নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা-সহ একাধিক কারণে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন হয়ে থাকে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই বাহিনী বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রাজ্যের কাছে দাবি করে কেন্দ্র। রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, রাজ্য নিজে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণত চায় না। নির্বাচন থাকলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসে। এ রাজ্যে গত কয়েকটি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক বাহিনী পাঠানো হয়েছিল। ফলে যে কর্তৃপক্ষ বাহিনী পাঠানোর সুপারিশ করেন, তাদেরই খরচের বিষয়টা দেখা দরকার। তা রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। সাম্প্রতিক কালে বাংলার বকেয়া নিয়ে বারবার সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যকেও যে কেন্দ্রকে টাকা দিতে হবে তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home Ministry) চিঠিতে স্পষ্ট। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেখানে রাজ্যের পক্ষ থেকে এই বকেয়া মেটানো না হলে সেটা প্রচারের আলোয় আনা হবে, বলে দাবি বিরোধীদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid-19: রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ!  উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় অনীহা অনেকের

    Covid-19: রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষায় অনীহা অনেকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দিনে রাজ্যে বাড়ছে কোভিড (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা। এক সপ্তাহ আগে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ১০০-এর নীচে। এখন সেটিই পৌঁছে গিয়েছে দেড়শোর উপরে। কয়েক দিনের মধ্যে রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দেশের সামগ্রিক পজিটিভিটি রেট যেখানে ৫.৪৬%, সেখানে রাজ্যের হার তার দ্বিগুণেরও বেশি।

    রাজ্যে সংক্রমণ

    চিকিৎসকদের দাবি, রাজ্যে এখনও পরীক্ষার হার অনেক কম। করোনার (Covid-19) উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকে পরীক্ষা করাতে চাইছেন না। এখন দিনে গড়ে ১০০০ থেকে ১২০০ পরীক্ষা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এটিকে অন্তত ৩-৪ হাজার করতে হবে। দেশেও সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ ১২ হাজারের গণ্ডি পার করায় দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৯২। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন। মহারাষ্ট্রে ৬, ছত্তিশগড়ে ৪, দিল্লিতে ৫, হিমাচল প্রদেশ, কেরালা ও রাজস্থানে ২ জন করে করোনায় বলি হয়েছেন। এছাড়া কর্নাটকে ৩, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবে ১ জন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত্যু হার ১.১৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ভিজল ডুয়ার্স! দক্ষিণবঙ্গে আজও চলবে তাপপ্রবাহ, সব জেলায় বৃষ্টি কবে?

    চিকিৎসকদের মত

    ওমিক্রনের নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টের (XBB.1.16) প্রভাবে এই সংক্রমণ বৃদ্ধি বলে মনে করছেন কোভিড (Covid-19) বিশেষজ্ঞরা। দেশে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে কেরালা, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে। এদিকে, সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পি কে মিশ্র। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখন যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের বড় অংশেরই গুরুতর সমস্যা হচ্ছে না। শ্বাসকষ্টের রোগীও সংখ্যায় কম। কিন্তু বয়স্ক ও কোমর্বিডিটিতে আক্রান্তরা করোনায় সংক্রমিত হলে, তা বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সংক্রমণ রুখতে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর জোর দিতে বলা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা যে কোনও দেশের কাছেই সম্পদ। কিন্তু কখনও কখনও তা বাড়তি বোঝাও হয়ে যেতে পারে, এমনই মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার সংগঠনের মুখপত্র অর্গানাইজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যার বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি নীতি আনতে হবে এবং আমাদের দেখতে হবে জনসংখ্যা দেশের উপর যেন বাড়তি চাপ না তৈরি করে। জনসংখ্যার নীতি প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে এবং কারোর উপর জোর করে চাপানো হবে না, প্রত্যেক নাগরিককে শিক্ষিত করে তুলতে হবে এবং জনবিস্ফোরণ সম্পর্কে বোঝাতে হবে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে বেশ চর্চা চলছে। এমন সময় বিশ্বের সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ হিসাবে উঠে এসেছে ভারত। সেই আবহে মোহন ভাগবতের এমন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা দেশের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে  

    এদিন সরসঙ্ঘচলক (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হলে তা দেশের পক্ষে বিপদজনক হয়ে ওঠে এটা আমরা অতীতেও দেখেছি। জনবিন্যাস সাধারণত বদল হয় আগ্রাসনকারী কোনও জনগোষ্ঠীর কারণেই। এটা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গাতে আমরা দেখছি, একমাত্র হিন্দু সমাজ এদের থেকে আলাদা কখনও কোনও আগ্রাসন দেখায় নি, কারও উপর।

    হিন্দুত্ব…

    সরসঙ্ঘচালক (Mohan Bhagwat) এদিন আরও মন্তব্য করেন, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশ অখণ্ড। এদিন হিন্দু সমাজ কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে, সে উপায়ও বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, দেশের সভ্যতা এবং সংস্কৃতির উপর বিপদ তখনই এসেছে যখন যখন আমাদের মধ্যে অনৈক্য দেখা গেছে। হিন্দু সমাজের মধ্যে ঐক্য আনতে হবে। আমাদের প্রত্যেককে বলতে হবে যে তুমি তোমার জায়গায় ঠিক আছো, আমি আমার জায়গায় ঠিক আছি। কেন নিজেদের মধ্যে লড়াই করব? আমরা একসঙ্গে চলি, এটাই হিন্দুত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu & Kashmir: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    Jammu & Kashmir: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, শহিদ ৫ জওয়ান, জখম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ফের জঙ্গি হানা (Terrorist Attack)।  বৃহস্পতিবারের ওই হানায় শহিদ হয়েছেন পাঁচ জওয়ান। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। এদিন জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরের পুঞ্চ এলাকায় সামরিক বাহিনীর একটি ট্রাকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। একজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বেলা তিনটে নাগাদ আচমকাই ভীমবার গলি এলাকায় সেনার একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। ছোড়া হয় গ্রেনেডও। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় গাড়িটিতে। জীবন্ত দগ্ধ হন পাঁচজন। সেনার নর্দার্ন কমান্ডের  হেড কোয়ার্টারর্সের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল উপত্যকায়। তার জেরে দৃশ্যমানতাও ছিল কম। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে জঙ্গিরা।

    জম্মু-কাশ্মীর (Jammu & Kashmir)…

    তবে জঙ্গিদের কোন (Jammu & Kashmir) গোষ্ঠী এই ঘটনায় জড়িত তা জানা যায়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়ায় আগুন লেগে যায় সেনার গাড়িটিতে। জানা গিয়েছে, এলাকায় জঙ্গি-বিরোধী অপারেশনে মোতায়েন করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৫ জওয়ানকে। জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক সেনাকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই জওয়ান। সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলেও খবর সেনা সূত্রে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পুঞ্চের ঘটনায় আমি ব্যথিত। এখানে ভারতীয় সেনা হারিয়েছে তাদের পাঁচজন সাহসী জওয়ানকে। একটি ট্রাকে আগুন লেগে যাওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত জওয়ানদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।

    বুধবারই পাকিস্তানের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, আগামী মাসে গোয়ায় প্রস্তাবিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনসের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসবেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তার ঠিক পরে পরেই, এই ঘটনা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। প্রসঙ্গত, মে মাসে শ্রীনগরে (Jammu & Kashmir) জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হওয়ার কথা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল উপত্যকায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছিলেন। তার দিন কয়েক পরেই ঘটল সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anurag Maloo : অন্নপূর্ণা থেকে নামার পথে নিখোঁজ! ৩ দিন পর  ৩০০ মিটার গভীর বরফ ফাটল থেকে উদ্ধার অনুরাগ মালু

    Anurag Maloo : অন্নপূর্ণা থেকে নামার পথে নিখোঁজ! ৩ দিন পর ৩০০ মিটার গভীর বরফ ফাটল থেকে উদ্ধার অনুরাগ মালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনদিন পর জীবিত অবস্থায় খোঁজ মিলল ভরতীয় পর্বতারোহী (Mountaineer Climber) অনুরাগ মালুর (Anurag Maloo )। ৮ হাজার ৯১ মিটার উচ্চতায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে। অন্নপূর্ণা অভিযান শেষে নামার পথে গত ১৭ এপ্রিল ৩৪ বছর বয়সী এই ভারতীয় পর্বতারোহী ৬ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন অনুরাগের ভাই সুধীর মালু। 

    বরফ-গুহায় তিন দিন

    অন্নপূর্ণা শৃঙ্গজয় (Annapurna Expedition) করে নামার পথে ৬ হাজার মিটার উচ্চতায় একটি বরফে ঢাকা গহ্বরে আটকেছিলেন অনুরাগ। পৃথিবীর দশম শৃঙ্গ অন্নপূর্ণা। অন্যতম কঠিন ও বিপদসংকুল পার্বত্যপথ বলে জানা যায়। কয়েক দিন আগেই এই শৃঙ্গ জয় করেই ইতিহাস তৈরি করেছেন এক বাঙালিকন্যা। অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ জয় করেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক। এই অন্নপূর্ণা শৃঙ্গের ক্যাম্প-৩ থেকে নামার সময়ে রাজস্থানের যুবক অনুরাগ মালু নিখোঁজ হয়ে যান। সেভেন সামিট ট্রেকের চেয়ারম্যান মিংপা শেরপা বলেন, “শেরপা ছাং দাওয়ার নেতৃত্বে ছয়জনের একটি টিম তাঁর তল্লাশিতে নামে। অবশেষে নজরে আসে অনুরাগ মালু। তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁকে নেপালের পোখরায় মনিপাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সাতটি উচ্চতম পর্বতে অভিযান

    ভারতীয় এই পর্বতারোহী আট হাজার ফিট উচ্চতায় ১৪টি পর্বত অভিযানের টার্গেট নিয়ে বেরিয়েছিলেন। এছাড়াও তাঁর লক্ষ্য ছিল সাতটি দেশের সাতটি উচ্চতম পর্বতে অভিযান। আন্তর্জাতিক স্তরে সচেতনতা প্রচার তাঁর অন্যতম মূল লক্ষ্য ছিল। রাজস্থানের কিষাণগড়ের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী অনুরাগ মালু। সোমবার মাউন্ট অন্নপূর্ণার চতুর্থ ক্যাম্প থেকে ফিরছিলেন অনুরাগ। পথে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার ফুট নীচের একটি খাদে পড়ে যান তিনি। নিখোঁজ পর্বতারোহীর খোঁজে আকাশপথে এলাকার সমীক্ষা চালানো শুরু হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share