Blog

  • Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    Suvendu Adhikari: উদ্যোগ শুভেন্দুর! ১৩ বছর আটকে থাকা রেলপথের কাজ সম্পূর্ণ হতে চলেছে নন্দীগ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নতুন করে সূর্যোদয় হতে চলেছে নন্দীগ্রামে। হ্যাঁ, সেই নন্দীগ্রাম, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে এককালের সহযোদ্ধার (Suvendu Adhikari) কাছে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হতে হয়েছিল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা বাহুল্য, পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর এই নন্দীগ্রাম শুভেন্দুর দখলে চলে যাওয়ায় এখানকার উন্নয়ন নিয়ে মমতাকে আর মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। এলাকায় কান পাতলে এমনটাই শোনা যায়। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য যে রেলপথের সূচনা মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে হাতে করেছিলেন, সেদিকে আর তিনি ফিরে তাকাননি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ফের প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে ওই রেলপথ। নন্দীগ্রামের অসম্পূর্ণ রেলপথ এবার সম্পূর্ণ হওয়ার পথে।  

    শুভেন্দুর উদ্যোগে কীভাবে এটা সম্ভব হচ্ছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশন সহ বিভিন্ন কিছু তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে নয় নয় করে প্রায় ১৩ বছর। এই রেলপথ চালু হলে কলকাতা বা হাওড়ার সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা যে উন্নত হবে এবং এলাকার অর্থনীতিতে একটা জোয়ার আসবে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর তাই তৃণমূল সরকারের কাছে অবহেলিত এই রেলপথ নিয়ে তিনি দিল্লিতে রেলমন্ত্রকে দরবার শুরু করে দেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে যেমন ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে প্রকল্পের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন, তেমনি বারবার চিঠি দিয়েও রেলমন্ত্রককে মনে করিয়ে দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে নড়েচড়ে বসেছে রেল মন্ত্রক। রেল সূত্রে খবর, ওই রেলপথের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আশার আলো দেখছেন নন্দীগ্রামবাসী

    এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আনন্দ এবং আবেগে ভাসতে শুরু করেছেন নন্দীগ্রামবাসী। দীর্ঘ ১৩ বছর তা পড়ে রয়েছে অনাদরে এবং অবহেলায়।  দেশপ্রাণ (বাজকুল) থেকে নন্দীগ্রাম-এই ১৭.২ কিলোমিটার রেলপথ তাঁদের কাছে আশার আলো। এই প্রকল্পের জন্য যাঁরা জমি দিয়েছিলেন, শুভেন্দুর  উদ্যোগে (Suvendu Adhikari) রূপায়ণ হওয়ার খবর জেনে তাঁরাও যারপরনাই খুশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সুকান্তর! কেন বললেন এই কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে ও হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি হয়েছিল তা পূর্বপরিকল্পিত। এমনকি বিজেপির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে এর প্রমাণ দিতে হবে। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    সুকান্তের ট্যুইট

    সোমবার ট্যুইট করে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) হুঁশিয়ারি, ‘আমি পশ্চিবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। তিনি আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। তিনি যা বলেছেন, তার প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে দিতে হবে, না হলে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে। আপনি যদি সূর্যের দিকে চেয়ে থুতু ফেলেন তবে তাতে আপনার মুখ পুড়বে।’ তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের অংশ জুড়ে দিয়েছেন সুকান্ত। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,’হাওড়া-রিষড়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পিত। দেশের ১০০টি জায়গায় যে অশান্তি হয়েছে তা পরিকল্পিত। বিজেপি নিজেদের মিটিং-এ বলেছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাড়াও, জাতি দাঙ্গা বাড়াও। দরকার হলে উত্তরবঙ্গে, পাহাড়ে আন্দোলনকে পরোক্ষ সমর্থন করো। কারণ যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। এভাবে কি জেতা যায়? গণতন্ত্রে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়।’

    গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। সোমবারই নিয়োগ-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। প্রতিদিনই উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রীর নামও হয়তো যুক্ত হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় বিজেপির সভায় যোগ দিয়ে সুকান্ত বলেন, “রাজ্যে একনায়কতন্ত্র, সরকারের অপশাসন, রাজনৈতিক হিংসায় জেরবার মানুষ। জনগন পরিবর্তন চায়। বিজেপি-ই বিকল্প পথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, আগামী ২০ এপ্রিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) সময় এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হবে পৃথিবী, এমনটাই জানাল নাসা। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে দেখা যায় চারপাশ থেকে। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সূর্যকে দেখতে লাগবে খানিকটা সোনার আংটির মতো। নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সূর্যগ্রহণকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023)। তাই এই বিরল ঘটনা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। নাসা সূত্রে খবর,  ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেনা।

    এই বিরল সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) নাম হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কেন

    হাইব্রিড গ্রহণ হল একই সঙ্গে আংশিক, পূর্ণগ্রাস ও বলয়গ্রাস গ্রহণ। যদি তিন রকম গ্রহণ পরপর একই সঙ্গে ঘটে তাহলে তা হল হাইব্রিড বা মিশ্র। এটিকে বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা বলেন বিজ্ঞানীরা।
    পূর্ণগ্রাস: যখন সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় চাঁদের ছায়ায়, আমরা বলি পূর্ণগ্রাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায়, ‘টোটাল সোলার একলিপ্স’। সূর্যের পূর্ণগ্রাস মেরেকেটে হতে পারে ৬ কি সাড়ে ৬ মিনিটের জন্য। খুব বেশি হলে যা হতেও পারে বড়জোর সাড়ে ৭ মিনিট।

    আংশিক গ্রহণ: কোথাও যদি সেটা পুরোপুরি হয়, তা হলে অন্য কোথাও হবে সূর্যের আংশিক গ্রহণ। যেখানে পৃথিবীর সামনে এসে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারে না সূর্যকে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘পার্শিয়াল সোলার একলিপ্স’।

    বলয়গ্রাস গ্রহণ: আরও এক ধরনের সূর্যগ্রহণ হয় যাকে বলে বলয়গ্রাস গ্রহণ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘অ্যানুলার সোলার একলিপ্স’। কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় চাঁদ যখন এমন একটা দূরত্বে চলে যায়, যাতে তার ছায়া সূর্যকে ঢেকে দিতে পারে না পুরোপুরি, তখনই হয় সূর্যের বলয়গ্রাস।

    মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই হাইব্রিড সূর্যগ্রহণে (Solar Eclipse 2023) সূর্যের আকৃতির থেকে চাঁদের ছায়া ছোট হয়। ফলে সূর্যকে পুরো আড়াল করতে পারেনা। তারফলে চারদিক দিয়ে সূর্যের ছটা বেরিয়ে আসে। তখন সূর্যকে দেখতে অনেকটা সোনার আংটির মত দেখায়। নাসার মতে, এই ধরনের সূর্যগ্রহণের ঘটনা মাত্র ৩.১ শতাংশ ঘটে। এই শতাব্দীর মোট ২২৪ টি সূর্যগ্রহণের মধ্যে ৭টি মাত্র এই জাতীয় হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। নাসা আরও জানাচ্ছে, এই ধরনের গ্রহণ প্রতি ১০ বছরে একবার হয়। এই হাইব্রিড গ্রহণ আংশিক থেকে পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়। চাঁদের থেকে সূর্যের দূরত্ব যত কম তত গ্রহণ পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়।

    কোথা থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে

    নাসা জানিয়েছে, ভারত থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখার কোনও আশা নেই। কারণ হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023) দেখা যাবে শুধু মাত্র অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথ থেকে। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুটি সূর্যগ্রর্যহণ (Solar Eclipse 2023)। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গ্রহণগুলো দেখা যাবে। বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    Ladakh: পায়ে হেঁটে লাদাখ জয় করে বাড়ি ফিরলেন আসানসোলের দেবু, বন্ধুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সতীর্থদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে আসানসোল শহরে এক যুবককে ঘিরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন তাঁর বন্ধুবান্ধবরা। তাঁকে গলায় মালা পড়িয়ে বাজি ফাটিয়ে স্বাগত জানানো হল। কিন্তু, ওই যুবককে ঘিরে কেন এত আয়োজন। জানা গেল, ওই যুবকের নাম দেবু মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি আসানসোলের মহিশীলা এলাকায়। তিনি পেশায় অটো চালক। পায়ে হেঁটে তিনি লাদাখ (Ladakh) জয় করে দুমাস পর বাড়ি ফিরেছেন। শত প্রতিকুলতা জয় করে তিনি তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে ফিরেছেন বলেই তাঁর সতীর্থরা তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে আরও উত্সাহিত করেছেন।

    কেন পায়ে হেঁটে লাদাখ (Ladakh) যাওয়ার পরিকল্পনা?

    কয়েকমাস আগে দেবুর এক বন্ধু গাড়ি করে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও কারণে তিনি সেবার যেতে পারেননি। এরপর তিনি সাইকেল নিয়ে লাদাখ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সাইকেল কেনার অর্থ জোগাড় করতে না পেরে তিনি পায়ে হেঁটে লাদাখ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।  ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আসানসোল থেকে লাদাখের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ২৪০০ কিলোমিটার পথ তিনি পায়ে হেঁটে যান। মূলত, গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান এই বার্তাকে নিয়ে তিনি পায়ে হেঁটে আসানসোল থেকে লাদাখ (Ladakh) গিয়েছিলেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে তাঁর এই উদ্যোগ। তাঁর এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আসানসোল তথা রাজ্যবাসী।

    নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন লাদাখজয়ী (Ladakh)  যুবক?

    অটো চালক দেবু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রায় দু মাস ধরে আমার যাত্রাপথে বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষকে পাশে পেয়েছি। তবে, পায়ে হেঁটে এতটা পথ পাড়ি দেওয়ার জার্নি খুব সহজ ছিল না। অনেকদিন না খেয়ে থাকতে হয়েছে। পায়ে ফসকা পড়ে গিয়েছে। পাশে পেয়েছি। বন্ধুদের। তাঁরা খবর পেয়ে আসানসোল থেকে আমার কাছে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা সকলেই আমাদের পাশে ছিলেন। আর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন মানুষও সাহায্য করেছেন। ফলে, এত কষ্টের পরও এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। আমার ইউব টিউব চ্যানেলে আমার সমস্ত জার্নি আপলোড করেছি। সকলে চাইলে আমার যাত্রাপথ কতটা কষ্টকর ছিল তা বুঝতে পারবেন।

    লাদাখজয়ী (Ladakh) বন্ধুকে নিয়ে কী বললেন সতীর্থরা?

    কৃষ্ণা দাস নামে এক বন্ধু বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি লাদাখ গিয়েছিলাম। ও যেতে পারেনি। সেই লাদাখ (Ladakh) ও পায়ে হেঁটে জয় করবে তা ভাবতে পারিনি। মনের জোর থাকলে যে সবকিছু করা সম্ভব তা দেবুকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে। আমরা এই বন্ধুর জন্য গর্বিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রয়োজনে ‘গুন্ডামি’ করতেও রাজি। সোমবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সরাসরি মমতার নাম না করে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।’

    শুভেন্দু যা বললেন

    সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ডাকু’ বলেছেন মমতা। এমন ইঙ্গিতও করেন যে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ইশারাতেই চলছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওন্দার সভায় তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহকে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না।” অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও এদিন মমতাকে কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, পরিবারবাদ, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে যে কোনওরকম পথ অবলম্বন করতে প্রস্তুত তিনি।

    অভিষেককে কটাক্ষ

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও সোমবারের সভা থেকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। গত বুধবার ওন্দায় এসে অভিষেক বলেছিলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে জিতিয়ে ‘পাপ’ করেছেন বাঁকুড়ার মানুষ। তাঁরা এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করবেন। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ার মানুষ আপনার মতো চিকিৎসা করাতে আমেরিকায় যেতে পারেন না। কারণ, ওঁদের অত টাকা নেই। বাঁকুড়ার দরিদ্র মানুষ পান্তাভাত, মুড়ি, ছোলা, ডাল-ভাতে জীবন যাপন করেন। তাঁরা পাপী নন।’’

    আরও পড়ুন: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘তৃণমূল একটা মডেল তৈরি করেছে। সেই মডেলে কারা আছেন? পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত-সায়গল, কুন্তল-শান্তনু!” এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোথায় আছে জানেন? দুটো জায়গায় আছে। পাঁচিলের উপরে আর পচা পুকুরে!’ বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘তোলামূলের জীবন ভিতরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি পাঁচিল টপকে পালাতে চেষ্টা করেছিলেন, পারেননি। মোবাইল ছুড়ে ফেলেছিলেন পুকুরে। পাঁকের তলা থেকে তা বের করা হয়েছে! এই হল এখন তৃণমূলের অবস্থা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    Mukul Roy: সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লিতে মুকুল! বাড়ছে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ বছর পরে হঠাৎই দিল্লিতে মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার রাতে তিনি পৌঁছান রাজধানীতে। তাঁর আচমকা দিল্লি যাত্রার খবর ছিলনা পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের কাছেও। সন্ধ্যার পরেই তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু হয় মুকুলের। জল গড়ায় এয়ারপোর্ট থানা অবধি। সেখানে মিসিং ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু রায়। পরে দিল্লিতে হদিশ মেলে মুকুলের। বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু বিজেপিতে যোগ দিতেই কি মুকুলের দিল্লি যাত্রা? সূত্রের খবর, মুকুলের নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁকে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন কলকাতা বিমানবন্দরে। তবে তাঁরা নাকি জানতেন না যে উনি কোথায় যাবেন।

    কী বললেন মুকুল (Mukul Roy)

    দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুকুল (Mukul Roy) বলেন, ‘এমনিই এসেছি। দিল্লি আসতে পারি না? আমি তো এমপি ছিলাম।’ তবে চিকিৎসার জন্য দিল্লি সফর কি না, তা স্পষ্টভাবে জানাননি তিনি। যতদিন প্রয়োজন, ততদিন থাকবেন বলেও জানিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর এই সফরের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, ৭ টা ৫৬ মিনিটের বিমানে দিল্লি গিয়েছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। মুকুলের সঙ্গে ভগীরথ নামে এক ব্যক্তি আছেন বলেও জানা যাচ্ছে। রয়েছেন তাঁর গাড়ির চালকও।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুকুল (Mukul Roy) কি আবারও কোনও চমক দিতে চলেছেন

    কোথায় থাকবেন? কেনই বা দিল্লি গেলেন? সে প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি মুকুলের কাছ থেকে। সাম্প্রতিককালে রাজনীতির ময়দানে খুব বেশি দেখা যায় না তাঁকে। সেই রাজনীতিককে আচমকা দিল্লি যেতে দেখে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতলেও ভোটের পর ১ মাসের মধ্যে তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলবদল করেছিলেন মুকুল ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। যদিও বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক বলেই বিবেচিত হন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুকুল (Mukul Roy) আবারও কোনও চমক দিতে চলেছেন? সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    Nabanna: গোটা রাজ্যে ফের বাধ্যতামূলক হচ্ছে মাস্ক ও স্যানিটাইজার, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা রাজ্যে ফের মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, আর গাফিলতি করা যাবে না। তাই শীঘ্রই মুখ্যসচিব এক নির্দেশিকা প্রকাশ করতে চলেছেন বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়

    একদিকে যেভাবে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ সকলকে রীতিমতো বিপাকে ফেলেছে, অন্যদিকে করোনা ফের ব্যাট হাতে নেমে পড়েছে। আর শুধু নামাই নয়, ভালো পারফরম্যান্সের সঙ্গে ব্যাটিংটাও করতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রতিদিন রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে একরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যেভাবে করোনা ফের ভাবাচ্ছে, তাতে সকলের কপালেই ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে। একে গরম অসহনীয় হয়ে পড়েছে, তার সঙ্গে আবার নতুন করে মাস্ক আর স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

    করোনা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাই সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার ওই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং ভালো করে হাত ধুতে হবে। সরকারি অফিসে ও অন্যত্র নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, তিনি মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করতে বলেছেন। বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সবাই মাস্ক পরুন। হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। পুরসভাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেন নিয়মিত বাজার ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় স্যানিটাইজ করে। 

    হাসপাতালকে বলা হয়েছে প্রস্তুত থাকতে

    সারা দেশেই করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ছে। তাই এই সতর্কতা। করোনা ঠেকাতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত কিনা, তা নিয়ে সম্প্রতি দেশ জুড়ে মক ড্রিল করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকেও সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, পরিকাঠামোর দিক থেকে কোনও খামতি যেন না থাকে। বিশেষত, অক্সিজেন যেন থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    Anubrata Mondal: আপাতত তিহাড়েই কেষ্ট! বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১ মে। দু’দফায় জেল হেফাজত শেষে সোমবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়। তৃণমূল নেতার হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও পেশ করা হয় আদালতে। এদিন বিচারক রঘুবীর সিং ফের দু’জনকেই জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সাংবাদিকদের সামনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি জানান, শরীর মোটেই ভাল নেই তাঁর। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়েছেন তিনি। যদিও তার পরও আদালতে স্বস্তি পেলেন না গোরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডল। ফলে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হবে কেষ্টকে (Anubrata Mondal)।

    তিহাড়ে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল মিলছে না বলে অভিযোগ কেষ্টর

    হুইল চেয়ারে করে সোমবার শুনানিতে পৌঁছন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের ফুল ছাপ টি-শার্ট। হুইল চেয়ারে করে এদিন তাঁকে হতাশ মুখে বেরোতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের দেখে তিনি শুধু বলেন,’শরীর ভালো নেই।’ আদালতেও তিনি বিচারককেও সেই একই কথা বলেছেন। তাঁর শরীরের হালহকিকত বোঝার জন্য বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতর মেডিক্যাল ফাইল আনতে বলেন।

    অন্যদিকে তিহাড় জেলে স্নানের জন্য পর্যাপ্ত জল পাচ্ছেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন এদিন। সূত্রের খবর, স্নানের জন্য বন্দিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ জল ব্যবহারের অনুমতি দেয় তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। ওই জলে একজন বন্দির দিনে একবার স্নান করা সম্ভব। তাপমাত্রার পারদ চড়তে থাকায় দিনে একাধিক বার স্নানের অনুমতি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। যা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ খবর মিলেছে।

    চলতি মাসে ফের তলব অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যাকে

    অন্যদিকে চলতি মাসেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে ফের তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED। দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, এর আগে অনুব্রত কন্যাকে দু’বার তলব করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। কিন্তু দু’বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ফের তলব করায় সুকন্যার উপর চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিলের চাল চুরি করতেই গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর মধ্যে অন্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতে, আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মতে, ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

    কী অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা?

    মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি মনে করেন, এই ঘোষণা আসলে মিড ডে মিলের চাল চুরি করার জন্যই করা হয়েছে। যেসব স্কুলে সকালে ক্লাস হয়, সেগুলিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদের টাকা কামানোর কোনও সীমা-পরিসীমা নেই। ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়ার পরও তাই এরা থেমে থাকতে চায় না। আরও টাকা কামানোর লক্ষ্যেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। তাছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা যেতেই পারত। সকালে স্কুল খুলে পঠন-পাঠন চালু রাখা যেতেই পারত। আসলে এই সরকারের কাছে শিক্ষাটা বড় ব্যাপার নয়, বড় ব্যাপার হল দলের নেতা-কর্মীদের চুরির ব্যবস্থা করে কিছু পাইয়ে দেওয়া।

    ছুটি কোনও সমাধান নয়, বললেন সুকান্ত

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতোই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটবার্তায় বলেছেন, গরমের ছুটি যেন আরামের না হয়। বেসরকারি স্কুলে অনলাইন বা মর্নিং ক্লাস হলে সরকার পারবে না কেন? বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না। ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, বাড়িতে লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়। অভিভাবকরা নজর রাখুন, না হলে বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে। রাষ্ট্রবাদী শিক্ষকরা যতটা, যেভাবে সম্ভব পড়ুয়াদের পাশে থাকুন। ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    Same Sex Marriage: নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে! সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপত্তি জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহকে (Same Sex Marriage) স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলে মনে করে কেন্দ্র সরকার। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, শহুরে অভিজাত শ্রেণির কিছু মানুষ সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পেতে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। 

    কেন্দ্রের অভিমত

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের দাখিল করা হলফনামায় আরও জানানো হয়েছে যে, বিয়ে এমন একটা বিষয় যে তার সঙ্গে গ্রামীণ, আধা গ্রামীন এবং শহরের মানসিকতা ভিন্ন ভিন্ন। দেশে বিয়ে নিয়ে ভিন্ন ধর্মের ভিন্ন আইনও রয়েছে। সেখানে এই ধরনের বিয়ের কোনও স্থান ও স্বীকৃতি নেই। আদালত এই বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিলে প্রচলিত আইনগুলি ধাক্কা খাবে। গোটা বিষয়টি দেশের ক্ষতিসাধন করবে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ তাঁরা যেন এই বিষয়টি সংসদের হাতেই ছেড়ে দেয়। আদালত এই নিয়ে যেন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। সমলিঙ্গের (Same Sex Marriage) মানুষদের অধিকার, সম্পর্কের স্বীকৃতি, সেই স্বীকৃতির আইনি অধিকার এই সব কিছু দেখা ও তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র দেশের সংসদের। সংবিধানের সপ্তম তপশিলের ৩ নম্বর তালিকার পঞ্চম স্থানে এই বিষয়ে সংসদকে পূর্ণ অধিকার দেওয়া আছে। সুপ্রিম কোর্ট সেই ধারাও লঙ্ঘণ করছে। সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা বা স্বীকৃতির দাবি কখনওই মৌলিক অধিকার হতে পারে না, বলে মত কেন্দ্রের।

    বিবাহ একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’

    বিবাহকে চরিত্রগত দিক থেকে একটি ‘অসমকামী প্রতিষ্ঠান’ বলেও উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি ভিন্ন দুই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে বিবাহই এ দেশ সামাজিক ভাবে স্বীকৃত। এর অন্যথা কাম্য নয়। সুপ্রিম কোর্টে আসা সমলিঙ্গের বিবাহ (Same Sex Marriage) নিয়ে একাধিক পিটিশনের নিরিখে বিরোধিতার রাস্তায় হেঁটে নিজের অবস্থান জানিয়েছে জমিয়ত- উলেমা-ই-হিন্দ-ও। একটি ইন্টারভেনশন আর্জিতে এই ধর্মীয় সংগঠন জানিয়েছে, সমলিঙ্গের বিবাহ পরিবারের ব্যবস্থাপনাকে হামলা করে। এটি পশ্চিমী সংস্কৃতির আমদানি বলেও উল্লেখ করে সংগঠন।

    সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান

    প্রসঙ্গত, এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট, ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়েছে দেশে সমলিঙ্গের সম্পর্ক বৈধ। সেই সূত্র ধরেই এই বিবাহ যাতে মান্যতা পায়, সেই নিরিখেই আর্জি জমা পড়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি জানানোর দাবিতে শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সব মামলাগুলিকে একত্র করে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে মতামত জানাতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে আগেই নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। সোমবারও তারা জানায়, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত আইনবিভাগের, বিচারবিভাগের নয়। 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তলব! অভিষেককে নোটিস পাঠাল সিবিআই

    ইতিমধ্যেই এই মামলা শুনতে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই বেঞ্চে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এসকে কউল, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমহা। আগামী কাল, মঙ্গলবার মামলাটি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share