Blog

  • Piyali Basak: বাইশে এভারেস্ট জয়ের পরে তেইশে অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে বঙ্গতনয়া পিয়ালি, উচ্ছ্বসিত চন্দননগর

    Piyali Basak: বাইশে এভারেস্ট জয়ের পরে তেইশে অন্নপূর্ণার শৃঙ্গে বঙ্গতনয়া পিয়ালি, উচ্ছ্বসিত চন্দননগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম (৮,০৯১ মিটার) অন্নপূর্ণা শৃঙ্গে আরোহণ করেন চন্দননগরের পিয়ালি বসাক (Piyali Basak)। এলাকার মেয়ের এই কৃতিত্বে খুশি গোটা শহর। এভারেস্ট, ধৌলগিরির পর এবার তাঁর ঝুলিতে যুক্ত হল অন্নপূর্ণা। অক্সিজেন ছাড়াই অন্নপূর্ণা জয়ের আশা ছিল পিয়ালীর (Piyali Basak)। তবে জানা গেছে, আবহাওয়া প্রচণ্ড প্রতিকূল থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। সোমবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে এই কৃতিত্বের অধিকারী হন তিনি। চলতি বছরের ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষে বেরিয়ে ছিলেন চন্দননগরের এভারেস্ট জয়ী পর্বত আরোহী পিয়ালী বসাক।

    বিগত রেকর্ড 

    ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলগিরি জয় করেন তিনি। ২০১৯ সালে এভারেস্টের কাছাকাছি গিয়েও ফিরতে হয়েছিল তাকে খারাপ আবহাওয়ার জন্য। ২০২২ সালের ২২ মে অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখরে ওঠেন পিয়ালী (Piyali Basak) এবং তার দুই দিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন। এবার সেই আরও এক আট হাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন।

    কী বলছে পরিবার

    পিয়ালীর বোন তমালি বসাক জানান, নেপালের এজেন্সির থেকে খবর পেয়েছেন অক্সিজেন নিয়ে আজ সকালে অন্নপূর্ণা সামিট করেছেন পিয়ালী। বিনা অক্সিজেনে চেষ্টা করেছিলেন শৃঙ্গ জয়ের। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। যদিও বিশ্বের পঞ্চম ও দশম পর্বতশৃঙ্গ মাকালু ও অন্নপূর্ণা শৃঙ্গ বিনা অক্সিজেনে জয় করবে বলে মন বেঁধেছিলেন তিনি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়া সে পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

    উল্লেখ্য, গত বছর ১১ জুন এভারেস্ট জয় করে করেছিলেন তিনি। তার দু’দিন পরই আবার লোৎসে জয় করেন তিনি। শৃঙ্গ জয় করার পর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁকে চন্দননগরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছন চন্দননগরের পিয়ালি (Piyali Basak)। যদিও তাঁর এই যাত্রাপথ একেবারেই সুগম ছিল না। একাধিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। এবারও চন্দননগর অপেক্ষায় রয়েছে তাদের পর্বত কন্যার ঘরে ফেরার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর নজরে আরও ১২ তৃণমূল বিধায়ক! ট্যুইট করে তালিকা পেশ শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই-এর নজরে আরও ১২ তৃণমূল বিধায়ক! ট্যুইট করে তালিকা পেশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়ঞার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) একা নন তাঁকে জেরা করে রাজ্যের আরও ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম উঠে এসেছে যারা এই নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) জড়িত। সিবিআই সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে একটি তালিকাও পেশ করেন।

    শুভেন্দুর পেশ করা তালিকা

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন, ‘ঠিক যেমন, মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরির নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস কুমার সাহার ভূমিকা স্ক্যানারে রয়েছে, একইভাবে বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়কদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত।’ এজন্য একটি তালিকাও পেশ করেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু আগেই  বলেছিলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে। অসংখ্য এমএলএ এজেন্টের কাজ করেছে। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বেচেছে। মেধা চুরি হয়েছে। যে দিকে যাচ্ছে, আমার তো মনে হয়, বিধানসভাতে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তোলামুলের এমএলএ সংখ্যা ১০০-তে নেমে যাবে।’’ 

    সিবিআই-এর নজরে কারা

    সোমবার সকালেই নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে, জীবনেই থেমে থাকছে না গ্রেফতারি পর্ব। রাজ্যের আরও ১২জন বিধায়ক এখন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জীবনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই বেশ কিছু চাকুরীপ্রার্থী, এজেন্ট, মিডলম্যানদের জেরাতেও এই সব বিধায়কের নাম উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছে এই ১২জন বিধায়ককে খুব শীঘ্রই জেরা করতে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি এক্ষেত্রে জীবনের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। অর্থাৎ কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে হুট করে বাড়িতে গিয়ে হানাদারি এবং তারপর জেরা, পরিশেষে গ্রেফতারি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে যে ১২জন তৃণমূল বিধায়কের নাম এই ঘটনায় উঠে এসেছে তাঁদের মধ্যে কলকাতার ১জন, হাওড়ার ১জন, হুগলির ১জন, দুই ২৪ পরগনা জেলার ২ জন করে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ২জন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২জন বিধায়ক রয়েছেন। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের আরও দুই বিধায়ক। গতবছরের ২৩ জুলাই, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপর ১১ অক্টোবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ও নদিয়ার পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে ইডি। জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের তিনজন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatinda Military Station Firing: চার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা! ভাটিন্ডা সেনা ছাউনি কাণ্ডে গ্রেফতার জওয়ান

    Bhatinda Military Station Firing: চার সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা! ভাটিন্ডা সেনা ছাউনি কাণ্ডে গ্রেফতার জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১২ তারিখ পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে (Bhatinda Military Station Firing) গোলন্দাজ বাহিনীর মেসে গুলি চলে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারায় ৪ জওয়ান। ওই গুলিকাণ্ডে এক জওয়ানকে গ্রেফতার করল পঞ্জাব পুলিশ। প্রসঙ্গত, ১২ তারিখ ঘটনার পর সেনার তরফে মেজর পদমর্যাদার এক অফিসার স্থানীয় থানায় FIR দায়ের করেন। FIR-এ দু’জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

    ধৃত সেনা জওয়ানের নাম মোহন দেশাই

    পঞ্জাব পুলিশ সোমবার সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করার পরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভাটিন্ডার SSP গুলনীত সিং খুরানা। ধৃত সেনা জওয়ানের নাম মোহন দেশাই। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে এই খুন বলে অনুমান তদন্তকারীদের। উল্লেখ্য, অভিযুক্তের হদিশ পেতে রবিবার ছাউনির চার জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    গুলি কাণ্ডের পূর্ণ বিবরণ 

    ওই মেসে গুলি চলার পর সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি মুখে মাস্ক বাঁধা অবস্থায় কুর্তা-পাজামা পরে সেনা ছাউনি (Bhatinda Military Station Firing) থেকে বেরিয়ে যান। এমনটাই দাবি সেনা অফিসারদের। দু’জনের মধ্যে একজনের কাছে একটি INSAS অ্যাসল্ট রাইফেল ও একটি কুড়ুল ছিল বলেও পুলিশকে জানায় ফৌজ। সেনার তরফে দায়ের করা FIR-এ আরও বলা হয়, ঘটনার পর সন্দেহভাজন ওই দু’জনকে ছাউনি সংলগ্ন জঙ্গলের দিকে চলে যেতে দেখা গিয়েছিল। উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই ভাটিন্ডা জুড়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ১২ তারিখের ঘটনায় সাগর বান্নে, যোগেশ কুমার জে, সন্তোষ এম নগরাল ও কমলেশ আর নামের চার জওয়ানের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে সাগর ও সন্তোষের বয়স ২৫। বাকি দু’জন ২৪ বছর বয়সী বলে জানিয়েছে সেনা। প্রাথমিক তদন্তে সেনার দাবি, ঘুমন্ত অবস্থায় এই চার জওয়ানের উপর গুলি চালানো হয়েছিল। একটি ঘরে সাগর ও যোগেশ এবং অপর ঘরে সন্তোষ ও কমলেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta-Mamata: ‘‘উত্তর প্রদেশে মাফিয়া খুন লজ্জার, আর বাংলায় হিন্দু খুন গর্বের?’’ মমতাকে ট্যুইট-খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদকে অতর্কিতে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মমতার সেই ট্যুইটকে কটাক্ষ করে পাল্টা ট্যুইট করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ট্যুইট বার্তায় সুকান্ত লিখেছেন, যদি উত্তর প্রদেশে মাফিয়াদের খুন করা হয় তবে এটা আপনার কাছে লজ্জার। পশ্চিমবঙ্গে রোজ হিন্দুদের খুন করা হচ্ছে। সেটা আপনার কাছে গর্বের। এটাই প্রমাণ করছে কোনটা আপনার অগ্রাধিকার ও কোনটা আপনার হিপোক্রেশি। 

    কোন ঘটনায় ট্যুইট

    উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার থেকে রাজনৈতিক নেতা হয়ে ওঠে আতিক আহমেদের। তার ছেলে আসাদকে সম্প্রতি এনকাউন্টারে মেরেছিল পুলিশ। শনিবার ছিল আসাদের শেষকৃত্যের দিন। সেদিন মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল আতিককে। চারদিকে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই আচমকা আতিকের মাথা লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনার ছবি। ঘটনাস্থলেই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়লেও প্রশ্ন উঠেছে যোগী-রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    দুই পক্ষের ট্যুইট-যুদ্ধ

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন,’আমি এই নৈরাজ্য দেখে আঘাত পেয়েছি। উত্তর প্রদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরো ভেঙে পড়েছে। এই ধরনের বেআইনী কাজের কোনও জায়গা আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে নেই।’ এরপরই অবশ্য মমতাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা ট্যুইট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নৈরাজ্য় ও আইন শৃঙ্খলার অবনতি দেখে আপনি কবে স্তম্ভিত হবেন? এবার মমতার ট্যুইটকে তুলে ধরে পালটা ট্যুইট করলেন সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    Health Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা! নতুন কার্ড করতেও অনীহা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) ফিরিয়ে দিচ্ছে নার্সিংহোম। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকেই এমনই অভিযোগ। স্বাস্থ্যসাথী (Health Card) কার্ড নার্সিংহোমগুলি না নেওয়ার কারণেই কী সাধারণ মানুষ আর এই কার্ড করতে চাইছেন না? সদ্য সমাপ্ত ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে দার্জিলিং জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন কম পড়ায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মানুষ আর প্রতারিত হতে চাইছেন না বলেই কী আর নতুন করে কেউ আবেদন করছেন না?

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card) উপভোক্তারা?

    সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Health Card)  সুবিধা পাচ্ছেন না গরিব মানুষ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে। মেডিক্যাল মোড়ের বাসিন্দা বিজয় ছেত্রীর পা ভেঙেছিল। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তার মা মীনা ছেত্রী বলেন, আমরা গরিব। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেয়নি। ধারদেনা করে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে বাইরে থেকে প্লেট, স্ক্রু কিনে দেওয়ার পর আমার ছেলের অস্ত্রোপচার হয়। বাগডোগরার আমির ওরাওঁয়েরও একই অভিযোগ। তিনি বলেন, আমার বাবার স্পাইনালকর্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে না নেওয়ায় বাইরে থেকে ৫৮ হাজার টাকার প্লেট, স্ক্রু সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিতে হয়েছে আমাকে। কার্ডে কোনও পরিষেবা মেলেনি।

    খোদ সরকারি হাসপাতালেও কেন মিলছে না এই কার্ডের (Health Card) সুবিধা ?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, যে ওষুধের দোকান এবং এজেন্সির মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গরিব মানুষকে দিতাম তাদের প্রচুর টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। তাই, সেই এজেন্সি এবং ফার্মাসি আমাদের আর ওষুধ দিচ্ছে না। এ কারণেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা আমরা দিতে পারছি না। নার্সিংহোমগুলিরও একই বক্তব্য।

    টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠানেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card)  নিয়ে কী অভিযোগ করা হল মেয়রকে?

    প্রতি শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন অনুষ্ঠান হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায়শই শুনতে হচ্ছে। ১৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ পায়েল দে মেয়র গৌতম দেবকে ফোনে জানান, মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে তাঁর স্বামীর হৃদরোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না নার্সিংহোম।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, পয়লা এপ্রিল থেকে দার্জিলিং জেলায় ১০ দিনের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রথম ন’দিনে মোট প্রায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তারমধ্যে মাত্র ১০ হাজারের কিছু বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন জমা পড়েছে। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, রাজনৈতিক কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প এরাজ্য গ্রহণ করেনি। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করলেও রাজ্য সরকারের চরম আর্থিক সঙ্কটের কারণে সেই টাকা দিতে পারছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নিয়ে মানুষ চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী টাকার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন, ধর্নায় বসেন। তাহলে গরিব মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ থেকে কেন বঞ্চিত করছেন? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন সাধারণ ও গরিব মানুষকে কেন্দ্রর প্রাপ্য সুবিধা থেকে আর বঞ্চিত করবেন না। আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ নিতে দিন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। শিলিগুড়ি শহর সহ জেলার বেশকিছু নার্সিংহোম স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না। আমাদের সঙ্গে যেসব মানুষ যোগাযোগ করেন তাদের সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিই। কিন্তু, তারজন্য এবারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আবেদনপত্র কম জমা পড়েছে এটা ঠিক নয়। আসলে সকলেরই প্রায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Health Card) হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    Room cooling without AC: এই তাপপ্রবাহে ভাবছেন ঘর ঠান্ডা রাখবেন কী করে? রইল ১০টি সহজ উপায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে আপাতত রেহাই মিলবে না, এমনটাই জানা গেছে হাওয়া অফিস সূত্রে। বৃষ্টি নিয়েও কোনও সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে না হাওয়া অফিস। এমন অবস্থায় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। তবে ঘরেও যে খুব স্বস্তি এমনটা নয়। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা এতটাই যে থাকা দায় হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এসি না থাকলে কীভাবে ঘর ঠাণ্ডা রাখা যায়, সে নিয়েই আমরা আলোচনা করবো আজকে। 

    ১০টি সহজ উপায় যা আপানার ঘরের তাপমাত্রা বাড়তে দেবেনা (Room cooling without AC)

    ১. দরজা সবসময় খোলা রাখুন, ঘরের মেঝে মুছুন

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকেই এই গরমে দরজা বন্ধ করে রাখেন। কিন্তু তাতে ঘরের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই যথা সম্ভব দরজা খোলা রাখুন যতটা সম্ভব। তাতে ঘরের ভিতর হাওয়া খেলবে ও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ঘরের মেঝে বারবার মুছতে পারলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাপমাত্রা (Room cooling without AC)।

    ২. দিনের বেলায় জানলা বন্ধ রাখুন 

    তবে দরজার ক্ষেত্রে যা নিয়ম জানলার ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টো। ঘরের হাওয়া চলাচলে বড় ভূমিকা পালন করে জানলা (Room cooling without AC)। গরমে যখন চারপাশ গরম হয়ে যাচ্ছে, তখন সবকটি জানালা বন্ধ করে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ঘরে তাপ আসে না বাইরে থেকে।

    ৩. সিন্থেটিক বিছানার চাদর এড়িয়ে চলুন 

    এই সময়ে সিন্থেিটক ধরণের চাদর বা মোটা কাপড়ের চাদর একেবারেই বিছানায় পাতবেন না। কারণ এই সকল কাপড় তাড়াতাড়ি তাপ ধরে রাখে। সহজে ঠান্ডাও হয় না। তাই এই গরমে বিছানায় সাদা বা হালকা রঙের সুতির চাদর পাতলে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বেডকভার ও বেডশিট পরিবর্তন করুন।

    ৪. ঘরের উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত 

    ঘরে উভয়দিকেই ভেন্টিলেশন রাখা উচিত। তাতে ঘরের হাওয়া একদিক থেকে ঢুকে অন্য দিক থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। এছাড়া পূর্ব-পশ্চিম এই দুই দিকের জানালায় সানশেড লাগান। এই দুই পদ্ধতি মেনে চললেও ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা নিয়ন্ত্রিত (Room cooling without AC) থাকবে।

    ৫. এক্সহস্ট ফ্যানের ব্যবহার 

    রান্না ঘরে গ্যাস, ইন্ডাকশন কুকার চলায়, রান্না ঘর সবথেকে বেশি হিট হয়ে থাকে।  ফলে সেই হিট অন্যান্য ঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। রান্না ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে গরম হাওয়া বাইরে বেরিয়ে যায়। বাথরুমেও ব্যবহার করা যেতে পারে এক্সহস্ট ফ্যান (Room cooling without AC)।

    ৬. সন্ধ্যার পর দরজা জানলা খুলে দিন

    রোদের তাপ খুব বেশি থাকলে তাতে ঘরের জানালা দিনের বেলায় বন্ধ করে রাখতে পারেন।  কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকেই জানলা খুলে দিন। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকবে (Room cooling without AC)।

    ৭. গ্রিল জাতীয় রান্না কম করুন 

    রান্না তো করতে হবেই। তা তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তবে গ্রিল জাতীয় রান্না এই সময় কম করাই ভালো। সবথেকে ভালো যদি বন্ধ রাখা যায়। কারণ গ্রিল জাতীয় রান্নায় অনেক বেশি পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হয় যা ঘরের পরিবেশও গরম করে তোলে।

    ৮. বেশি পাওয়ারের আলো না ব্যবহার করাই ভাল

    এই গরমে ঘরে অযথা বেশি পাওয়ারের আলো না ব্য়বহার করাই ভাল। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে ঘরের তাপমাত্র আরও বৃদ্ধি পাবে। কম পাওয়ারের লাইট আর যেই ঘরে প্রয়োজন নেই সেই ঘরের লাইট বন্ধ রাখাই শ্রেয়। এলইডি লাইট ব্যবহার করলেও তাপমাত্রা কম হয়।

    ৯. ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন (Room cooling without AC) 

    ঘরোয়া উপায়ে এসিও বানাতে পারেন। তারজন্য টেবিল ফ্যানের সামনে একটি বাটিতে বরফ রাখুন। পেছন থেকে ফ্যানের হাওয়া যেই বরফে লাগবে সেখান থেকে ঠান্ডা হাওয়া বার হবে। তাতে তাপমাত্রা ঘরের অনেকটাই কমে থাকে। তবে বরফ গলে গেলে তা আর হবে না। ফলে ক্রমাগত বরফের জোগান দেওয়াটা মুশকিল। সামনে ভেজা কাপড় বা গামছাও রাখতে পারেন।

    ১০. বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান

    গরম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল নিয়মিত ভাবে বৃক্ষচ্ছেদন। এমনটাই মত রয়েছে পরিবেশবিদদের। বাড়ির চারপাশে গাছ লাগান। গাছের ছায়ায় আপনার ঘর অনেক ঠাণ্ডা থাকবে। ঘরের আশপাশে গাছপালা থাকা ঘরে সরাসরি সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ঘর ঠাণ্ডা থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, জানালায় ছাউনি থাকলে প্রায় ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত তাপ কমাতে সহায়ক হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    SSC Scam: নিয়োগকাণ্ডে এপর্যন্ত গ্রেফতার ৩, ‘‘তৃণমূলের ১০০ বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছে’’! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে আবারও একহাত নিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। এই একশো জনের তালিকায় কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কও রয়েছেন। যাঁরা, ২০১৬ সালে টিকিট পাননি। আজ, সোমবার ভোরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নিয়ে তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৬-৮ মাসের মধ্যে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ১০০-য় নেমে যেতে পারে, বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর।

    শুভেন্দুর দাবি

    রাজ্যের বিরেধী দলনেতা, শুভেন্দু বলেন, ‘আমি ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে ২১ বছর ছিলাম। এই পার্টির সম্পর্কে অন্য অনেকের থেকে বেশি ধারণা আমার রয়েছে। তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক এজেন্টের (SSC Scam) কাজ করেছেন। তবে, সব তদন্ত কোমরের নীচে হচ্ছে, এবার কোমরের উপরে উঠতে হবে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, ওই জনপ্রতিনিধিরা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন। এক এক জন নেতা কেউ ১৫ লাখ, কেউ ১৬ লাখ, কেউ ১৮ লাখ টাকা করে তুলেছেন বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দুর কথায়,‘সব টাকা তাঁরা পাননি। কলকাতায় ৮-১০ লাখ টাকা করে পৌঁছে দিয়েছেন। আর বাকি কেস পিছু ৫-৬ লাখ টাকা করে নিজেরা রেখেছেন।’

    মেধা চুরি হয়েছে

    শুভেন্দু বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য জেলে রয়েছেন। জীবন কৃষ্ণ সাহা, কানাই মণ্ডল, তাপস সাহার তদন্ত চলছে। অখিল গিরি প্রায় হাইকোর্টের দরজার কাছে ঘোরাঘুরি করছেন। উত্তর দিনাজপুরে গৌতম নামে একজন বিধায়ক, পুরুলিয়ায় সুশান্ত নামে একজন বিধায়ক… অসংখ্য বিধায়ক এজেন্টের কাজ করেছেন। নিজের পরিবারের লোককে চাকরি দিয়েছে এবং চাকরি বিক্রি করেছেন। মেধা চুরি হয়েছে।’ 

    আরও পড়ুন: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    অগাধ সম্পত্তি জীবনকৃষ্ণের

    প্রসঙ্গত, এর আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক (অপসারিত) পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। দু’জনেই বর্তমানে জেলবন্দি। সেই তালিকাতেই নয়া সংযোজন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সম্পত্তির নিরিখে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও পিছনে ফেলে দিতে পারেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Report: বেলা বাড়তেই বইবে লু! কতদিন চলবে তাপপ্রবাহ? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ৪০ ডিগ্রি পার করেছে পারদ, আপাতত তা নামার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। ইতিমধ্যে কলকাতা সমেত  দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলা এবং উত্তরবঙ্গের মালদা ও দুই দিনাজপুরে সোমবার তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বেলা যত গড়াবে ততই বাড়বে লু। দরকারি কাজ না থাকলে এই সময় বাইরে বেরতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।

    সোমবার থেকে আবহাওয়া শুকনো থাকবে, তাপপ্রবাহ চলবে বৃহস্পতিবার অবধি

    গত দু দিন জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি ছিল। সেই প্রভাব কেটে গিয়ে সোমবার থেকে ফের শুকনো আবহাওয়া (Weather Report) দেখা যাবে, এমনটাই জানাচ্ছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। আরও চার-পাঁচ দিন দাবদাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত, এমনই আশঙ্কার কথা শোনালো আবহাওয়া দফতর (Weather Report)। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না হলেও একইরকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও ৩-৪ দিন।

    বৃষ্টির দেখার মিলবে না আপাতত

    আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। রীতিমতো শুকনো ও অস্বস্তিকর গরমে ভুগতে হবে বাসিন্দাদের। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বেলা বাড়লেই লু বইবে। আজ সোমবার থেকে আরও একটু তাপমাত্রা বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ প্রায় সব জেলাতেই ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    উত্তরবঙ্গেও ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে পারদ। পার্বত্য ২-৩টি জেলা ছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সোমবার। মালদা ও দুই  দিনাজপুরে লু বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের তুলনায় যা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ২৪ থেকে ৮৫ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    SSC Scam: ৬৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার! আজই আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৬৫ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার ভোরে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তিন দিন ধরে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এরপর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে। জীবনকৃষ্ণের গাড়ি দুর্গাপুরে থামিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পর কলকাতায় নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআই কনভয়। আজই তাকে পেশ করা হবে আলিপুর আদালতে। জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) অসহযোগিতা, তথ্য প্রমাণ লোপাটের মতো অভিযোগ রয়েছে।

    নাটকীয়তায় ভরা গ্রেফতারি পর্ব

    শুক্রবার বেলা ১২.৩০ থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৩৭ ঘণ্টা ধরে বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুর ছেঁচে উদ্ধার হয় একটি ফোন। সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি অবশ্য জীবনের নয়, বরং তা তাঁর স্ত্রীর। জীবনের আরও একটি ফোনের খোঁজ চলছে। তাঁর বাড়িতে ৫টি ব্যাগ থেকে মিলেছে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত (SSC Scam) একাধিক নথি। তিনদিন ধরে কার্যত সিবিআই-এর নজরবন্দি হয়েছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    ঘটনার ঘনঘটা

    রবিবার রাতেই জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতারির প্রক্রিয়া শুরু করে সিবিআই। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর বাড়ির বাইরে নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাত ১টা নাগাদ জীবনের বাড়িতে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তাও যুক্ত করা হয়। এর পর রাত ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার ৪ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জীবনকৃষ্ণের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দু’টি গাড়ি। রাত ৩টে নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ভোর ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ বাড়িতেই বিধায়কের পরিবারের সদস্য অর্থাৎ মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের হাতে অ্যারেস্ট মেমো তুলে দেয় সিবিআই। ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ সেই মেমোতে স্বাক্ষর করেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। ভোর ৫টা ১৮ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। মোট ৬টি গাড়ির কনভয় তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়। 

    আরও পড়ুন: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    বাড়ির ভিতরেই‘ওয়্যার রুম’

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার (SSC Scam) ডেটাবেস পুরোটাই পাওয়া গেছে বিধায়কের বাড়ি থেকে, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর সুপারিশে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তথ্য। নবম-দশম শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর সহ অন্তত ৩,৪০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নথি পাওয়া গেছে জীবনকৃষ্ণের বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, বাড়ির ভিতরেই একটি ঘরকে ‘ওয়্যার রুম’ বানিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন থাকা সেই ঘরটিতে ছিল একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ও তিনটি নোটপ্যাড। যেগুলির মধ্যে দুটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একটি সিঁদুর কৌটোর ভিতর মোবাইলের মেমোরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন জীবনকৃষ্ণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rani Bhavashankari: হুগলির রাণী ভবশঙ্করীকে কেন ডাকা হতো “রায়বাঘিনী” নামে? জানুন তাঁর বীরত্বগাথা

    Rani Bhavashankari: হুগলির রাণী ভবশঙ্করীকে কেন ডাকা হতো “রায়বাঘিনী” নামে? জানুন তাঁর বীরত্বগাথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষোড়শ শতকের এক বাঙালি রাণী যাঁর শৌর্য এবং বীরত্বের সামনে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন পাঠান সেনাপতি ওসমান খান। মাতা চণ্ডীর উপাসক রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) অস্ত্র চালনা, ঘোড়ায় চড়া, রাজনীতিশাস্ত্রে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন বলে জানা যায়। হিন্দু ধর্ম তথা শাস্ত্রে তাঁর ছিল বিশেষ আগ্রহ।

    ভূরশুট রাজ‍্যের রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)

    ভূরশুট রাজ‍্যের রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)। পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান হাওড়া, হুগলি, অবিভক্ত মেদিনীপুর এবং অবিভক্ত বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছিল ভূরশুট রাজ‍্য। এই রাজ্যের সম্রাজ্ঞী ছিলেন ভবশঙ্করী। গবেষকরা বলছেন “ভূরিশ্রেষ্ঠ” থেকে এসেছে ভূরশুট নাম। এলাকাটি একসময় নাম ছিল ভূরিশ্রেষ্ঠ নগর। শ্রেষ্ঠ বণিকরা এই নগরে বাস করতো বলেই নাম হয় ভূরিশ্রেষ্ঠ। তাঁর জন্মসাল সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য না পাওয়া গেলেও জানা যায় ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) ছিলেন ব্রাহ্মণ কন‍্যা। পিতা দীননাথ চৌধুরী ছিলেন পেঁড়োর জমিদারের অধীনস্থ পেঁড়ো দুর্গের সেনাপতি। বেশ লম্বা-চওড়া চেহারার মানুষ ছিলেন দীননাথ। রণকৌশলে ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। ভূরিশ্রেষ্ঠ নগরের গণ‍্যমান‍্য ব‍্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি।

    বাল্যকাল

    এই পেঁড়োতেই জন্ম হয় ভবশঙ্করীর (Rani Bhavashankari)। পিতার দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছিলেন ভবশঙ্করী। ছোট ভাইয়ের জন্মের সময় মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। শৈশব ও বাল্যকালে ভবশঙ্করী পিতার কাছে থেকে অস্ত্রবিদ‍্যা, ঘোড়ায় চড়া ও তীরন্দাজিতে দক্ষ হয়ে ওঠেন। এরপর কূটনীতি, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব ও দর্শনের পাঠ নেন।

    রাজা রুদ্রনারায়ণের সঙ্গে বিবাহ 

    কথিত আছে একদিন যুবতী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) দামোদর ও রণ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে শিকারে যান। হঠাৎই হরিণকে তাড়া করার সময় একটি বুনো বাইসন আক্রমণ করে তাঁকে। ভবশঙ্করী এক হাতেই মেরে ফেলতে সক্ষম হন বাইসনটিকে। লোককথা অনুযায়ী, ওই সময় ভূরিশ্রেষ্ঠরাজ রুদ্রনারায়ণ নৌকোয় চেপে দামোদর বেয়ে কাষ্ঠসাংড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনা দেখে রীতিমতো অবাক হলেন তিনি। এই মেয়েকেই তিনি বিয়ে করবেন বলে মনস্থির করলেন। সেইমতো ভূরিশ্রেষ্ঠ নগরের রাজপুরোহিত হরিদেব ভট্টাচার্যের পৌরোহিত‍্যে ভবশঙ্করীর সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয় রাজা রুদ্রনারায়ণের।

    দেবী চণ্ডীর স্বপ্নাদেশ

    বিয়ের পর দামোদরের তীরে গড়-ভবানীপুরের পাশেই তৈরি করা হয় নতুন রাজবাড়ি। ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজবংশের কুলদেবী ছিলেন রাজবল্লভী। জানা যায়, মাতা চণ্ডীর একটি রূপ দেবী রাজবল্লভীর নাম থেকেই ভূরিশ্রেষ্ঠ রাজ‍্যের পুরোনো রাজধানী “রাজবলহাট -এর নামকরণ হয়। ধার্মিক রাণী, দেবী রাজবল্লভীর অষ্টধাতুর মূর্তি তৈরি করান। মায়ের কাছে মানত করে তিনদিন উপবাস থাকার পর রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) গড়-ভবানীপুরের একটি পুকুরে স্নান করতে যান। কথিত আছে, সে সময়ই তিনি জল থেকে লাভ করেন মায়ের স্বপ্নাদিষ্ট তরবারি। এই তরবারি হাতে থাকলে কোথাও তিনি পরাস্ত হবেন না, এই ছিল দেবী রাজবল্লভীর বর। সত্য বা বিশ্বাস যাই হোক, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) ছিলেন অপরাজিতা।

    ভুরশূট রাজ্যের সম্রাজ্ঞী

    পরবর্তীকালে ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) জন্ম দেন রাজকুমার প্রতাপনারায়ণের। রাজপুত্রের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন রাজা রুদ্রনারায়ণ পরলোকগত হন। রাজ‍্য পরিচালনার ভার তখন রাণীর ওপর। জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর তিন মাস ব্রহ্মচারিণী হয়ে ছিলেন রাণী ভবশঙ্করী। কাষ্ঠসাংড়ার শিবমন্দিরে রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) শৈব সাধনায় নিয়োজিত করেছিলেন নিজেকে। আধ্যাত্মিক জীবনের পাশাপাশি রাণী ভবশঙ্করী রাজ‍্যের সামরিক ব‍্যবস্থাকেও ঢেলে সাজানো শুরু করেন এই সময়। তাঁর সময়ে শৌর্যে-বীর্যে, কৃষি, বাণিজ্য, তাঁত শিল্প ও ধাতু শিল্পে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে শুরু করে ভূরশুট রাজ‍্য। এককথায় রাজ্যে তখন স্বর্ণযুগ।

    প্রধান সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতা

    এদিকে আধিপত্য কায়েম নিয়ে বাংলায় তখন চলছে মোঘল-পাঠান দ্বন্দ্ব। মোঘলদের তাড়া খেয়ে পাঠানরা তখন আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ওড়িশায়। সেখান থেকে ফের বাংলায় আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট হন পাঠান সর্দার ওসমান খান। জানা যায়, রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari) বাংলার মোগল-পাঠান দ্বন্দ্বে নিজেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ রেখেছিলেন। কিন্তু পাঠান সেনাপতি মোঘলদের বিরুদ্ধে রাণী ভবশঙ্করীর সাহায্য চাইলে তিনি তা নাকচ করে দেন। এতেই ক্রুদ্ধ হয় পাঠানরা। রাণীর দেওয়ান ছিলেন দুর্লভ দত্ত, প্রধান সেনাপতি চতুর্ভূজ চক্রবর্তী। শুরু হয় অন্তর্ঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা করেন প্রধান সেনাপতি চতুর্ভূজ চক্রবর্তী। তিনি গোপনে হাত মেলান পাঠান সর্দার ওসমান খানের সঙ্গে। হিসাব খুব পরিষ্কার। যেকোনও মূল্যে ভূরশুটের রাজা হতেই হবে চতুর্ভুজকে।

    ওসমান খান হত্যা

     গবেষকদের মতে, পাণ্ডুয়ার কাছে গড়-ভবানীপুর ছিল ভূরশুটের তদানীন্তন রাজধানী। সেখান থেকে ১৪ মাইল দূরে বাসডিঙা গড়ের কালীমন্দিরে একদিন সন্ধ্যায় পুজো দিতে যান রাণী ভবশঙ্করী (Rani Bhavashankari)। সুযোগ বুঝে দলবল নিয়ে পাঠান সর্দার ওসমান খান আক্রমণ করলেন রাণী ভবশঙ্করীকে (Rani Bhavashankari)। মুষ্টিমেয় কয়েকজন মাত্র দেহরক্ষী সেদিন রাণীর সঙ্গে ছিল। তাদের নিয়েই পাল্টা আক্রমণ শানান বীর রাণী। রাতের অন্ধকারে দু’ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। রাণী ভবশঙ্করীর হাতে ছিল দেবী রাজবল্লভীর স্বপ্নাদিষ্ট তরবারি। চরম পর্যায়ের লড়াইয়ে পরাজিত ও নিহত হলেন পাঠান সর্দার ওসমান খান। পরের দিন সকালে রাজধানীতে ফিরে রাণী প্রধান সেনাপতি হিসেবে রাজা ভূপতিকৃষ্ণ রায়কে মনোনীত করেন।

    রায়বাঘিনী উপাধি

    তৎকালীন মোগল সম্রাট আকবর, এই ঘটনা জানতে পেরে তাঁর সেনাপতি মানসিংহকে পাঠান রাণী ভবশঙ্করীর (Rani Bhavashankari) কাছে। দু’ পক্ষের মধ্যে হয় বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি। ঠিক হয়, কেউ কারও রাজ‍্য আক্রমণ করবে না। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়ই সম্রাট আকবর বীরাঙ্গনা রাণী ভবশঙ্করীকে “রায়বাঘিনী” উপাধিতে ভূষিত করেন। হাওড়া ও হুগলি জেলার বেশ কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তিনি দূর্গ নির্মাণও করেন। শেষ বয়সে পুত্র প্রতাপনারায়ণের হাতে রাজপাট ছেড়ে দিয়ে কাশীবাসী হয়েছিলেন রায়বাঘিনী রাণী ভবশঙ্করী। তাঁর স্মৃতিতে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছর হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে অনুষ্ঠিত হয় “রায়বাঘিনী ভবশঙ্করী” মেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share