Blog

  • CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    CBI: সিবিআই হানার পরই নতুন দল ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী! কী নাম নতুন দলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিনভর নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) তল্লাশি হয়। সারাদিন ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁর তৈরি আশ্রমেও হানা দেয় সিবিআই (CBI)। সারাদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিভাসবাবুর কাছে থেকে সিবিআই আধিকারিকরা দুটি পুরানো মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে নতুন ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।

    কী ঘোষণা করলেন বিভাস অধিকারী?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন  তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী। রবিবার বিকেলে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করে। নতুন দলের নাম দেওয়া হয় সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন তিনি নিজেই।  শনিবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিভাসবাবুর আশ্রম এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। তারপরেও এদিনের নতুন দল গঠনের অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপস্থিতি ছিল নজর কারা। যাদের অধিকাংশই তৃণমূল কর্মী সমর্থক। ফলে, তৃণমূলের ঘরে ভাঙন ধরাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনেকরছে। দলের আত্মপ্রকাশের পর বিভাস চন্দ্র অধিকারী  বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে কোন দলের ক্ষতি হবে বা কোন দলের লাভ হবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তবে, দলের মূল লক্ষ্য হবে আর্য ভারত গঠন। মানুষকে সঠিক দিশা দিতে এই দল কাজ করে যাবে”। তিনি আরও বলেন, আমরা কয়েক দিনের মধ্যে বীরভূম জেলায় একটা সভা করব। এরপর কলকাতার বুকে সভা করা হবে।  আমাদের দলে যে কেউ আসতে পারে। আমরা কোনও সম্প্রদায় নিয়ে দল করি না। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র চেয়েছিলেন আর্য মহাসভা নামে দল গঠন হোক। যে দলের কাজ হবে মানুষকে সঠিক দিশা দেখানো। আমরা ঠাকুরের সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    Scam: গোঘাটে পথশ্রী প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তার আগেই পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার হুগলির গোঘাট-১ নম্বর ব্লক। আর এই দুর্নীতির (Scam) জন্যই এই ব্লকের একাধিক রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে গ্রামের মানুষ। তৃণমূল নেতাদের কাটমানির জন্য এত দুর্নীতি (Scam) বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নিম্নমানের বালি দিয়ে ভরাট করে অল্প পরিমাণ সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা হচ্ছে রাস্তা। আর চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটতে থাকে শুক্রবারই জগত্পুর এলাকায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে, এলাকাবাসীর দাবি মেনে ফের রাস্তার কাজ শুরু হয়। তবে, ঠিকাদারের কথা মতো নয়, এলাকাবাসীর নজরদারিতে শনিবার থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার গোবিন্দপুর গ্রামে পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

    এদিন ঠিক কী হয়েছিল গোবিন্দপুর গ্রামে?

    গোঘাটের গোবিন্দপুর থেকে দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ শনিবার শুরু হয়। আর সেই কাজ ঘিরেই গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ,  নিম্মমানের বালি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। ঢালাই করার পর রাস্তার একাংশ ফেটে যাচ্ছে। ফলে, কাজের গুণগত মান কেমন তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিন গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেন।

    এলাকাবাসীর আন্দোলন নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বেহাল রাস্তা তৈরির জন্য তৃণমূল নেতাদের কাটমানিকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, আসলে এসবের পিছনে তৃণমূল নেতাদের কাটমানির খেলা আছে বলেই ঠিকাদাররা নিম্মমানের কাজ করছেন। আমরা তাঁদের দাবিকে সমর্থন করি। আমরা চাই, সঠিক গুণগত সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা তৈরির কাজ হোক।

    কী বললেন গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি?

    এই ঘটনায় দুর্নীতি (Scam) বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান গোঘাট-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, সঠিক সামগ্রী দিয়েই কাজ করানো হবে। দ্রুত পঞ্চায়েত সমিতির একটি টিম ওই রাস্তা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কারণ, পথশ্রী প্রকল্পে এই ধরনের দুর্নীতি (Scam) আমরা কোনওভাবে মেনে নেব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    Bihar: বিষমদের জেরে বিহারে ফের মৃত্যু মিছিল! বিরোধীদের নিশানায় নীতীশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিষমদের জেরে বিহারে (Bihar) মৃত্যু মিছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারি জেলায় এই ঘটনা ঘটে। এই জেলার লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর ও হরিসিদ্ধির মতো গ্রামগুলিতে অনেকে বিষ মদ পান করেন বলে অভিযোগ। বিষমদ খেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮। মদ নিষিদ্ধ রাজ্যে এই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে নীতীশ কুমারের জোট সরকার।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    বিহার (Bihar) সরকার ২০১৬ থেকে ওই রাজ্য়ে মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তারপরেও এভাবে বিষাক্ত মদ খেয়ে এতজনের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে ইতিমধ্যেই তির ছুঁড়তে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এদিকে জাতীয় মানবাধিকার রক্ষা কমিশন সম্প্রতি বিহারের সরন জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ঘটনা। 

    তদন্তে বিশেষ দল

    স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর থেকে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই এলাকার হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিহার প্রশাসনের। মতিহারির বিষমদকাণ্ডের তদন্ত করছে পাঁচ পুলিশ অফিসারের একটি বিশেষ টিম। দুইজন ডিএসপি ও তিনজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার সেই দলে রয়েছেন। অসুস্থদের একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কয়েকজন মিলে এই মদের আসর বসিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    গত বছরের ডিসেম্বরে ছাপরা ও সিওয়ানে বিষ মদ পানের জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ছাপরায় প্রাণ হারান ৫০ জন। অন্যদিকে সিওয়ানে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। এর পরই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রবল অস্বস্তির মুখে পড়ে সিট গঠন করে নীতীশ কুমারের সরকার। সম্প্রতি বিহার সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “সরকারে লালুপ্রসাদ যাদবের মতো মানুষ থাকলে সুশাসন আসা সম্ভব নয়। বিহারে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে।” বিষমদ-কাণ্ডে বিহারে দাবি, নামেই বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু এটা ওপেন সিক্রেট যে বাড়ির দরজায় মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতা সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ব্যাপারটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, আর মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    CBI: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে সিবিআই হানা, সিল করা হল কলকাতার ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষের দিন সকালেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই (CBI) স্ক্যানারে তৃণমূলের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারী। মূলত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার সকাল থেকে তাঁর নলহাটির কৃষ্ণপুরের বাড়ি এবং কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা হানা দেন। আর একদল হানা দিয়েছে বিভাসের আশ্রমেও। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে বিভাসকেও। বিভাসের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় সিবিআই। কলকাতার ফ্ল্যাটেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস ছিল। এই ফ্ল্যাটে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন। এদিন কলকাতার ফ্ল্যাটের চাবি না পেয়ে সিল করে দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    কে এই বিভাস অধিকারী?

    বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন তিনি। গ্রামে তাঁর পেল্লাই বাড়ি রয়েছে। তাঁর তিনটে পরিচয় রয়েছে। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তিনি একটি আশ্রম তৈরি করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় তিনি। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি ওই পদে নেই। তবে, শাসক দলের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তবে, শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন, তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ, হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে পারলে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণে রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। বীরভূম জেলায় দলের অনেকেই সে কথা জানতেন। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। এর আগে ইডি-র জেরার মুখে পড়েছিলেন বিভাস। আর নববর্ষের সকালের সিবিআই (CBI) হানা দিল তাঁর ডেরায়। সিবিআই তল্লাশিতে নতুন কোনও তথ্য সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটা! পূর্ব মেদিনীপুরে গোপাল দলপতির বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তদন্তে গতি বাড়াল সিবিআই। অন্যতম অভিযুক্ত গোপাল দলপতির বাড়িতে হানা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। পূর্বমেদিনীপুরের ভূপতি নগরে গোপালের বাড়িতে যখন পৌঁছয় সিবিআই দল, তখন তিনি সেখানে ছিলেন না। তাই পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপালের গ্রামের বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা, তারই হদিশ পেতে চাইছে সিবিআই।

    কে  এই গোপাল দলপতি

    গোপাল দলপতির নাম নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আচমকাই সামনে আসে। তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ জেরার সময় গোপাল দলপতির নাম ইডিকে জানায়। শুধু তাই নয়, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানকি ভট্টাচাযের্র অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মুখেও শোনা গিয়েছিল গোপালের নাম। তাপসের অভিযোগ ছিল, তিনি নাকি গোপালকে কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন। আর সেই টাকাই নাকি বিভিন্ন হাত ঘুরে পৌঁছে যেত ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।

    পানওয়ালা থেকে অঙ্কের মাস্টার

    কে এই গোপাল দলপতি? কেনই বা নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা? পুর্ব মেদীনপুরের বাসিন্দা গোপাল প্রথম দিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টে একটি পানের দোকানে কাজ করতেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর সেই দোকানের যাবতীয় দায়িত্ব গিয়ে পড়ে তাঁর কাঁধে। ক্রেতাদের সঙ্গে কথাবার্তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফের তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। দমদম মতিঝিল কলেজে অঙ্ক নিয়ে পাস করার পর টিউশনকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নেন। তারপর ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন এই চক্রে।

    আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি! তৃণমূল বিধায়কের ঘরকে ‘ওয়ার রুম’ বলছে সিবিআই

    একাধিক জায়গায় তল্লাশি

    অন্যদিকে শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র পর  বীরভূমের নলহাটিতে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তৃণমূল নেতার আশ্রমেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার কাছে বিভাসের কলকাতার ফ্ল্যাটে চলে সিবিআইয়ের তল্লাশি। বিভাস অধিকারী ছিলেন তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। পরে পদত্যাগ করেন। এছাড়াও, অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন বিভাস। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ বিভাস অধিকারী। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দির বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায়। বাড়িতেই নজরবন্দি করা হয় বিধায়ককে। চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: ‘‘হায়দ্রাবাদের কাছে হারের জন্য দায়ী বাজে বোলিং’’! বললেন রানা, আজ মুম্বই যাচ্ছে নাইটরা

    IPL 2023: ‘‘হায়দ্রাবাদের কাছে হারের জন্য দায়ী বাজে বোলিং’’! বললেন রানা, আজ মুম্বই যাচ্ছে নাইটরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের হ্যাটট্রিকের সুবর্ণ সুযোগ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (IPL 2023) সামনে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শার্দূল ঠাকুর ও গুজরাটের বিরুদ্ধে রিঙ্কু সিংয়ের দুর্ধর্ষ ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জেতার পর কেকেআর সমর্থকরা ভেবেছিলেন, শুক্রবার ইডেনে হায়দ্রাবাদকে হেলায় হারাবে কেকেআর। কিন্তু নববর্ষে সমর্থকদের জয় উপহার দিতে ব্যর্থ নাইটরা। সানরাইজার্স জিতেছে ২৩ রানে। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে আসার সুযোগও হাতছাড়া করলেন নীতীশ রানারা। আপাতত চারটি ম্যাচ খেলে কেকেআরের সংগ্রহ চার পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট হায়দ্রাবাদেরও।

    ম্যাচ আপডেট

    ২২৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও, নীতীশ রানার ৭৫ ও রিঙ্কু সিংয়ের ৩১ বলে অপরাজিত ৫৮ রান শেষ পর্যন্ত কেকেআরের জয়ের আশা জিইয়ে রেখেছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দলের পরাজয়ের কারণ ব্যখা করতে গিয়ে অঝিনায়ক নীতীশ বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা মতো বল করতে পারিনি। উইকেট যেমনই হোক, তবে ২২৮ রানটা অতিরিক্ত। আমাদের তারকা বোলাররা সকলেই ব্যর্থ। ইডেনের পিচে রান উঠবে জানতাম। দু’শো ধরেই এগোচ্ছিলাম আমরা। সেটা হলে ম্যাচটা জিতে যেতাম। কিন্তু আরও অতিরিক্ত ২৫-৩০ রান দেওয়াটাই ফারাক গড়ে দিল। তবে কাউকে দোষারোপ করছি না। কারণ, আজকে যারা এত রান দিল, তারাই কোনও না কোনও দিন ম্যাচ জিতিয়েছে। এটা খেলারই অঙ্গ। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে।’

    অ্যাওয়ে ম্যাচ

    আইপিএলে (IPL 2023) দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে শনিবার দুপুরের বিমানে মুম্বই উড়ে যাচ্ছে নাইট বাহিনী। হায়দ্রাবাদের কাছে হারের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ কেকেআরের সামনে। ১৬ এপ্রিল তথা রবিবার ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হবে কেকেআর। তারপর দিল্লির বিরুদ্ধে খেলা বৃহস্পতিবার। আইপিএলের ইতিহাসে মুম্বইয়ের সঙ্গে ৩১ টি ম্যাচে কলকাতা মাত্র ৯টিতে জিতেছে। মুম্বইয়ের জয়ের সংখ্যা ২২। তবে এবার রোহিত শর্মাদের অবস্থা ভালো নয়। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবেন নীতীশ রানার দল।

    রাসেলের চোট

    আন্দ্রে রাসেলের চোট নিয়ে শঙ্কিত সমর্থকরা। হায়দ্রাবাদ ম্যাচে বল করার সময় তাঁর পায়ে টান ধরেছিল। খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। বহু দিন পর বল করতে নেমে উইকেট পেয়েছেন রাসেল। ব্যাট হাতে কিছু করতে উঠতে না পারলেও তাঁর বোলিং মন জিতেছে সমর্থকদের। এখন প্রশ্ন হচ্ছ, রাসেল কি পরের ম্যাচে খেলতে পারবেন? কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা যা বললেন, ‘চোট গুরুতর নয়। প্রচণ্ড গরমের জন্য পায়ে টান ধরেছে। আশা করছি, ও পরের ম্যাচে সুস্থ হয়ে নামবে।’

  • Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    Recruitment Scam: বাড়িতে মিলল দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড! পুকুরে তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল খুঁজছে সিবিআই, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) থেকে বাঁচতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার কর্মকাণ্ড দেখে সিবিআই (CBI) কর্তারা হতবাক। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে চলছে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি। আর সময় যত গড়াচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  সংক্রান্ত নতুন নতুন নথি সিবিআইয়ের হাতে আসছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে প্রায় দুবস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি এবং নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যামডিট কার্ড রয়েছে। এছাড়া একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই (CBI) কর্তাদের আশঙ্কা, এই ডায়েরির মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) লেনদেনের হিসেব থাকতে পারে। শনিবার তৃণমূল বিধায়কের দুই আত্মীয়ের বাড়িতে নতুন করে সিবিআই (CBI)  তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

    সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ির পাশে পুকুরে মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক!

    শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থার বেশ কয়েকটি টিম। বড়ঞার এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় সকাল থেকে। তল্লাশি চলে তাঁর শ্বশুরবাড়িতেও। তল্লাশির পাশাপাশি বিধায়ককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, সিঁদুরের কৌটোর মধ্যে মোবাইলের মেমরি কার্ড লুকিয়ে রেখেছিলেন বিধায়ক। সেই মেমরি কার্ডে রয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পাশের পুকুরে নিজের দুটি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সঙ্গে দুটি পেন ড্রাইভ, একটি হার্ডডিস্কও ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান।  প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে সেই মোবাইলটি বিধায়ক ব্যবহার করছিলেন বলে সূত্রের খবর। ফলে, তাতে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তথ্য লোপাট করতেই পুকুরে মোবাইল ফেলা হল কি না তা সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুকুরে পাম্প নামিয়ে জল বের করে মোবাইল খোঁজার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনিতেই শুক্রবার থেকে সিবিআইয়ের (CBI)  একটি টিম ঘটনাস্থলে রয়েছেন। কিন্তু, বিধায়কের বাড়ি থেকে তথ্যের ভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ায় শনিবার ভোরে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান।  তাঁরাও তল্লাশি শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে, পুকুর থেকে মোবাইল দুটি পেলে তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে অনেক তথ্য। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) লিঙ্কম্যান হিসেবে মুর্শিদাবাদ থেকে  কৌশিক নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। তাঁকে জেরা করেই উঠে আসে এই জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। পরে, কিছু ব্যাঙ্কের চেকের সূত্র ধরে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা নিশ্চিত হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    Weather Update: বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা! অসহ্য গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপটে ব্যাট শুরু করল বৈশাখ। চৈত্র যেখানে শেষ করেছে সেখান থেকেই শুরু। নববর্ষের সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা কিনা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় নিরিখে কলকাতা গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভাঙার পথে। আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

    রেকর্ড গরম

    দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী পাঁচদিনের জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁই-ছুঁই। শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি থাকতে পারে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। 

    আরও পড়ুন: ‘নব রবিকিরণে’ বৈশাখ-বরণ বাঙালির! কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন

    বাইরে নয়

    দুপুরের সময় অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বার না হওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, বাইরে বার হলে সুতির হালকা রংয়ের পোশাক পরা বাঞ্ছনীয়, জল খেতে হবে বেশি করে। শিশু বা প্রবীণদের দুপুরে রোদের সময় বাইরে বার না হওয়াই ভালো। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, রাজ্যে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে গরম হাওয়া প্রবেশ করছে। একইসঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প অনেক কম পরিমাণে প্রবেশ করছে। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে। রাজ্যে কবে বৃষ্টি হবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যবাসী।  হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আপাতত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। কবে কালবৈশাখী নামতে পারে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। বাংলার গরমের স্বাভাবিক চরিত্র অনুযায়ী কিছু দিন পর পর কালবৈশাখী আসার কথা। অর্থাত্‍, কিছু দিন ধরে তাপমাত্রা বাড়লে, সাময়িক স্বস্তি দিতে কালবৈশাখী হাজির হয়ে যায়। যার সাক্ষী সদ্য পেরিয়ে আসা মার্চই। কিন্তু চৈত্রের শেষ থেকে তা উধাও। এখন বৈশাখের কাছে কালবৈশাখীর আশা বঙ্গবাসীর।

  • Raj Bhaban: রাজভবনের দরজা খুলে গেল আমজনতার জন্য, কী বললেন রাজ্যপাল?

    Raj Bhaban: রাজভবনের দরজা খুলে গেল আমজনতার জন্য, কী বললেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নববর্ষে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গেল রাজভবনের দরজা। জানা গিয়েছে, রাজভবনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যাবে। রাজভবনের নীচের ঘর, ঝুলন্ত সেতু, সুইমিং পুল, বাগান, রাজভবনের গ্রন্থাগার ঘুরে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষজন। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণ মাথায় রেখে বেশ কিছু জায়গাকে এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার সকালে বাংলা ভাষায় রাজ্যবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা, বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। নিজের গৌরব ফিরে পাবে বাংলা।

    বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শনিবার সকালে শান্তি মিছিল এবং সাইকেল র‌্যালি হয়। রাজভবন থেকে সেই শান্তি মিছিল শুরুর আগে বাংলা ভাষায় বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাজ্যপাল দাবি করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পয়লা বৈশাখের সকালে শান্তি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। শান্তির ক্ষেত্রে যুব সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল বাংলার বেশ কিছু জায়গা। ঘটনায় সংঘাত বাধে রাজ্যপাল ও শাসকদলের মধ্যে। সেই আবহে পয়লা বৈশাখ রাজ্যপালের শান্তি মিছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    যুবশক্তির উপরেই ভরসা রাজ্যপালের 

    রাজ্যপালের দাবি, যুবশক্তি যে কোনও কাজ করতে পারে। জেগে উঠেছে যুবশক্তি। পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে যুবশক্তিকে। দেশেও শান্তি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘এই নববর্ষে এক নয়া ভোরে প্রবেশ করল (বাংলা)। যুবশক্তি জাগ্রত হয়েছে। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করবে যুব সমাজ। নিজের গৌরব ফিরে পাবে বাংলা। সকলের মঙ্গল কামনা করছি।’

    আমজনতার জন্য খুলে যাচ্ছে রাজভবন

    ব্রিটিশ আমলের ঔপনিবেশিক মানসিকতা ভেঙে ফেলতে আমজনতার জন্য রাজভবনের দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে সেই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করতে চলেছেন রাজ্যপাল। গত ২৯ মার্চ তাঁর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজভবনের চাবি তুলে নেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমজনতার জন্য ‘জন রাজভবন’-র (আমজনতার জন্য রাজভবনের দরজা খুলে যাওয়ায় সেই নাম দেওয়া হয়েছে)  দরজা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে রাজভবনকে। তারপর থেকে রাজভবনের ভিতরে এবং বাইরে হেঁটে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এতদিন যে কালো রেলিঙের ফাঁক থেকে যে রাজভবনকে দেখতে হত মানুষকে, সেই রাজভবনের মধ্যেই করা যাবে ‘হেরিটেজ ওয়াক’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াল সিপিএমের! লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দলীয় কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল সিপিএমের। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া থানা এলাকায়। প্রতারিত পরিবারের লোকজন ওই সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জনিয়েছে, পার্থর কাছ থেকে একটি নিয়োগপত্র উদ্ধার হয়েছে। এই দুর্নীতির (Scam) সঙ্গে কারা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে  নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাসের প্রতিবেশী সুদীপ্ত হাজরার মাধ্যমে অমিত পায়রা নামে এক যুবকের সঙ্গে আলাপ হয়। অমিত তাঁকে সরকারি চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেন। বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। স্বপনবাবু প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। অমিতের হাত ধরে দুর্নীতির (Scam) চক্করে পড়ে যান তিনি। এরপর এই অমিতই পার্থ মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। স্বপনবাবু তাঁর ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলি দাসের চাকরির জন্য সারে এগারো লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন পার্থ মন্ডলকে। প্রথমে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে এবং পরে, প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সবশেষে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি করে দেওয়ার কথা বলেন। গত ১১ এপ্রিল পোস্ট অফিস মারফত একটি নিয়োগ পত্র পান স্বপন দাস। সেটি ছিল হুগলির জেলা হাসপাতালে গ্রুপ ডি পদের। সেই নিয়োগ পত্রের আসল কপি পার্থ নিজের কাছে রেখে একটি জেরক্স দিয়ে দেন স্বপন দাসকে। নিয়োগ পত্রে সরকারি সিল মারা ছিল, বিশ্ব বাংলার সরকারি লোগো ছিল। আসল নিয়োগপত্রের জন্য আরও দেড় লক্ষ টাকা পার্থ দাবি করেন। ১৩ এপ্রিল স্বপনবাবু চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পত্র দেখে জানিয়ে দেয়, সেটি ভুয়ো। এরপরই চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

    কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তি

    স্বপনবাবু বলেন, আমি কলকাতায় বেকারিতে কাজ করি। জমি বিক্রি করে, ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় অমিতকে ফোন করলে সে আর ফোন ধরে না। পরে, মোবাইল নম্বরই সে পাল্টে নেয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি, প্রতারিত হয়েছি। এরপর পার্থ মণ্ডলকে ফোন করি। তিনি দেড় লক্ষ টাকা না দিলে চাকরিতে যোগ দিতে পারবে না বলে জানায়। আমি তাঁকে জানাই, আমি চুঁচুড়ায় আছি, টাকা নিতে হলে সেখানেই আসতে হবে। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পরেন পার্থ। শুক্রবার আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত পার্থ মণ্ডলের দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share