Blog

  • Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    Environment: লক্ষ্য পরিবেশ বাঁচানো, টানা ৫২ দিন হেঁটে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির দরবারে দুর্গাপুরের দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদল মানুষ যখন পরিবেশ (Environment) ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করার খেলায় মত্ত, ঠিক তখনই দুর্গাপুরের এক দম্পতি নজির সৃষ্টি করলেন। দেশ ও দশের জন্য তাঁদের উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা দেখে অনেকেই মুগ্ধ। পরিবেশ রক্ষার আর্জি সরাসরি দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দিতে তাঁদের উদ্যোগও প্রশংসনীয় বলে অনেকে মনে করছেন।

    কী উদ্যোগ নিলেন দুর্গাপুরের ওই দম্পতি?  

    দুর্গাপুর জবরপল্লির বাসিন্দা শ্রী পৃথ্বীরাজ সঞ্জয় চক্রবর্তী এবং তাঁর স্ত্রী শ্রীমতি রমা চক্রবর্তী বিগত ৫২ দিন ধরে পায়ে হেঁটে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দুর্গাপুর থেকে দিল্লি পৌঁছেছেন। রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একবার দেখা করে তাঁদের আর্জি সরাসরি তাঁর কাছে পৌঁছে দেবেন, একমাত্র উদ্দেশ্য এটাই। যে মহৎ উদ্দেশে এতদূর পথ পায়ে হেঁটে তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন, তা হল, আমাদের এই ধরিত্রীকে (Environment) রক্ষা করা এবং তার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ। 
    দুর্গাপুর থেকে তাঁরা যাত্রা শুরু করেছিলেন চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠিতেই তাঁরা জানিয়েছেন, টানা ৫২ দিনে অতিক্রম করেছেন ১৫০০ কিলোমিটার পথ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে কী কী আর্জি তাঁরা জানালেন?

    ছোট্ট চিঠিতে খুবই সংক্ষেপে তাঁরা যেসব আর্জি জানিয়েছেন, সেগুলি হল: “সেভ রিভার গঙ্গা”, ভারতবর্ষের লাইফলাইন এবং পবিত্রতম নদী মা গঙ্গাকে বাঁচানো। পরিবেশকে (Environment) বাঁচাতে প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো। মাটিকে শুদ্ধ রাখার তাগিদে বজ্র্য পদার্থকে প্রকৃত ব্যবস্থাপনা করা। বৃষ্টির জল ধরে রেখে তার সঠিক ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। সৌরবিদ্যুৎ চালিত আলো রাস্তায় এবং ঘরে ব্যাবহারের অভ্যাস বাড়ানো। মহিলা স্বশক্তিকরণের উদ্দেশে আরও বেশি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। থ্যালাসেমিয়া মুক্ত সমাজ গড়ার উদ্দেশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর হাসপাতালের বিল মুকুব করা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    Karnataka Election: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোজগার মেলায় (Karnataka Election) প্রায় ৭১ হাজার জনকে নিয়োগপত্র দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাকরি প্রাপকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন তিনি। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে বিভিন্ন পদে ওই দিন নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। দেশের যুবক-যুবতীদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র এর আগেও তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তা দেবেন। শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বরাবরই জোর দিয়ে এসেছেন মোদি। তাঁদের উৎসাহিত করতেই রোজগার মেলার আয়োজন।

    দোরগোড়ায় কর্নাটক নির্বাচন (Karnataka Election)…

    প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে (Karnataka Election) জানানো হয়েছে, এই যে ৭১ হাজার চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছে ট্রেন ম্যানেজার, স্টেশন ম্যানেজার, সিনিয়র কমার্শিয়াল কাম টিকিট ক্লার্ক, ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর, কনস্টেবল, স্টেনোগ্রাফার, জুনিয়র অ্যাকাউন্টট্যান্ট, পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ইনকাম ট্যাক্স ইনস্পেক্টর, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, টিচার, লাইব্রেরিয়ান, নার্স, প্রবেশনারি অফিসার, পার্সোনেল অ্যাস্টিস্ট্যান্ট। এছাড়াও বিভিন্ন পদে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, এদিন তাঁদের হাতেই নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি। কর্মযোগী প্রারম্ভের মাধ্যমে এঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুুন: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    ১০ মে কর্নাটক বিধানসভার নির্বাচন। এ বছরই হবে ছত্তিসগড়, মিজোরাম, তেলঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। আগমী বছর হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কর্মসংস্থানে আরও জোর দিল মোদি সরকার। দিল্লির কুর্সিতে (Karnataka Election) এলে বছরে দু কোটি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদি। তবে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে নানা সময় সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দল।

    বিরোধীদের মুখের মতো জবাব দিতে রোজগার মেলার আয়োজন করছে মোদি সরকার। এর আগে অক্টোবর মাসে ৭৫ হাজার চাকরি প্রাপকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নভেম্বর মাসে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন আরও ৭১ হাজার জনের হাতে। তার পর চার মাস যেতে না যেতেই ফের ১৩ এপ্রিল ৭১ হাজার জনের হাতে তুলে দেওয়া হবে চাকরির নিয়োগপত্র।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    Buxa Tiger Reserve: বক্সার জঙ্গলে দাপিয়ে বেড়াবে ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক, কেন এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকালয়ে আসা হাতিদের তাড়ানোর বিষয়টি তো আছেই। এমনকী বক্সার জঙ্গলে (Buxa Tiger Reserve) কাঠের চোরাশিকারিদের হদিশ পেলেই ছুটে যাবে হাইস্পিড মোটরবাইক। রাজ্যের বন দফতর বক্সার (Buxa Tiger Reserve) ৭৬০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলে নজরদারির জন্য সম্প্রতি ৩০ টি হাইস্পিড মোটরবাইক পাঠিয়েছে। দক্ষ বনকর্মীদের ওইসব মোটরবাইকে বিভিন্ন অপারেশনের কাজে পাঠানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। 

    পরিকাঠামোর অভাবে লেজেগোবরে অবস্থা

    পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে বক্সায় (Buxa Tiger Reserve) এমনিতেই বন দফতরের নজরদারির একটা অভাব ছিল। পাশাপাশি আধুনিক অস্ত্র, এমনকী বনকর্মীদের যাতায়াতের জন্য আধুনিক যানবাহনও ছিল না। বন দফতরের নিজস্ব মাত্র তিনটি গাড়ি ও ১৬ টি ভাড়ার গাড়ি দিয়েই কাজ চলত। একদিকে চোরাশিকারি এবং কাঠপাচারচক্রের সঙ্গে বনকর্মীদের চোর-পুলিশ খেলা তো চলতই, উটকো ঝামেলা হয়ে গিয়েছিল চাবাগান এবং বনবস্তি এলাকায় হাতি সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের তাণ্ডবের ঘটনা। সব মিলিয়ে মূলত যানবাহনের অভাবেই কর্মীদের লেজেগোবরে অবস্থা হত। অনেক সময়ই দেখা যায়, এলাকায় হাতি ঢুকে পড়েছে। অথচ বন দফতরে ফোন করা হলেও গাড়ি না থাকায় তারা আসতে পারছেন না। ফলে হাতি তাণ্ডব চালিয়ে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দিয়ে চলে যায়। পরে যখন বন দফতরের কর্মীরা যান, তাঁদের ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এখন সেই সমস্যা কমবে বলেই অনেকে আশাবাদী। 

    কী বলছেন বন দফতরের কর্তারা

    তবে সম্প্রতি হাইস্পিড মোটরবাইক বন দফতরের হাতে চলে আসায় চোরাশিকার, কাঠপাচার এবং হাতির মতো বন্যপ্রাণীদের তাড়ানোর কাজ অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি অপূর্ব সেন বলেন, ৩০ টি মোটর বাইক খুব শীঘ্রই বিভিন্ন বিট অফিসে (Buxa Tiger Reserve) পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকেই বনকর্মীরা ওইসব বাইক বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    Supreme Court: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে ইডি, ‘সুপ্রিম’ রায়ে বিপাকে অভিষেক ঘনিষ্ঠ আইনজীবী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দিয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের দেওয়া সেই রক্ষাকবচ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হাইকোর্ট এও জানিয়েছিল, সঞ্জয়কে জেরা করা যাবে না। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি (ED)। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সরকারের আইনজীবী সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন ইডির আধিকারিকরা। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা যাবে। তবে বারংবার ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা যাবে না তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যম ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ইডির তদন্তে সঞ্জয়কে কোনওরকম হেনস্থা করা যাবে না। তাঁর ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো যাবে না। করা যাবে না বাজেয়াপ্তও।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ইডি…

    পিনকন ও টাওয়ার গোষ্ঠী নামের ভুয়ো দুই অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল সঞ্জয়ের বাড়িতে। সঞ্জয় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তদন্তকারীরা দীর্ঘক্ষণ জেরাও করেছিলেন তাঁকে। ইডির তল্লাশির পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সঞ্জয় তাঁর ও রাজ্যের আইনজীবী বলেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সঞ্জয়। হাইকোর্ট সঞ্জয়কে রক্ষাকবচ দেয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, গ্রেফতারের প্রয়োজন নেই। ইডি হেনস্থা করবে না। ইডির প্রধান অভিযোগ ছিল, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে টাকা নিয়েছিলেন সঞ্জয়। এদিন সঞ্জয়ের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, এই অর্থ পেশাদার ফি হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। পরিষেবা না দেওয়ায় তা ফেরতও দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওই দুই ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার একাধিক মামলায় আইনজীবী ছিলেন সঞ্জয়। সেই সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে চলে আসেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই আইনজীবী। ১ মার্চ তাঁর বাড়ি গিয়ে দিনভর বসিয়ে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২৩ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। তারপর ফের ১০ মার্চ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে (Supreme Court) তলব করা হয়েছিল সঞ্জয়কে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    Firing At Punjab: ফের অশান্ত পাঞ্জাব! ভোর রাতে ভাটিন্ডার সেনা ছাউনিতে পরপর গুলি, নিহত ৪ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত পাঞ্জাব। বুধবার ভোরে পরপর গুলি চলল ভাটিন্ডার সেনা শিবিরে। তাতে অন্তত চার সেনা জওয়ানের মৃত্যু। ভোর সাড়ে ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে চলে গুলি বলে সূত্রের খবর। গুলি চলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। তল্লাশি চলছে এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর সাউথ ওয়েস্টার্ন কম্যান্ড।

    তপ্ত সেনা শিবির

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ৪টে বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা শিবিরে গুলি চলে। বিকট আওয়াজে ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই গুলির শব্দ শুনতে পান। সেনার তরফে জারি বিবৃতিতে আপাতত বলা হয়েছে, ‘ভোর ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ সেনা ছাউনির ভিতরে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। এর পরপরই ‘ক্যুইক রিঅ্যাকশন টিম’কে মোতায়েন করা হয় ভাটিন্ডা সেনা ছাউনিতে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ভোর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই গুলি চালানোর ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ?

    প্রাথমিক ভাবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা বলে অনুমান। তবে, জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। কে বা কারা গুলি চালাল, কোন পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যদিও, পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, এই গুলির ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর, দু’দিন আগে ইনসাস রাইফেল (Insas Rifle) ও ২৮ টি কার্তুজ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সেনা ছাউনি থেকে। পুলিশ মনে করছে, কোনও সেনা কর্মীই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। গুলি করার পিছনে কারণ সূত্র খুঁজে পেতে তদন্ত জারি রয়েছে পঞ্জাব পুলিশের।

    কী বলছে পাঞ্জাব পুলিশ?

    ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানার বিবৃতি অনুযায়ী, এক জওয়ানই সম্ভবত সতীর্থদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে সেনা শিবির। এই সম্পর্কে বিশদ তথ্য এখনও সামনে আসেনি। তবে সেনা শিবিরের অন্দরেই এলোপাথাড়ি গুলি চলার ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ। সেনা শিবিরের বাইরে মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনী। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই  ক্যুইক রিয়্যাকশন টিম কাজে নেমে পড়েছে। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকায় ঢোকা এবং বেরনোর রাস্তা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বৃষ্টির দেখা নেই, তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই! কাঠফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী

    Weather Update: বৃষ্টির দেখা নেই, তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই! কাঠফাটা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পয়লা বৈশাখ। নববর্ষেও তীব্র গরমে নাজেহাল হবে শহরবাসী, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আপাতত শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। গরমে হাসফাঁস করছে বঙ্গবাসী। 

    পারদ ৪০ ছুঁই ছুঁই

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এদিন সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ২২ শতাংশ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমের জেলায় ৪০ ছুঁয়েছে পারদ। বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাঁকুড়াতে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে পারদ। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতার পাশেই দমদম বিমানবন্দরে তাপমাত্রা পেরোল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বুঝিয়ে দিল আগামী কয়েক দিন তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে বাংলায়। 

    আরও পড়ুন: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    দার্জিলিং এর তাপমাত্রাও কুড়ি ডিগ্রি পেরোল

    শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে নেই। মালদহতে ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বালুরঘাটে ৩৬.৫ আর বাগডোগরাতে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিং এর তাপমাত্রাও কুড়ি ডিগ্রি পেরিয়ে গেল ২১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উল্লেখযোগ্য তাপমাত্রা ছিল এদিন আসানসোলে ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড়ে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীনিকেতনে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুন্ডা তে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বারাকপুরে ৩৯.৬ এবং ক্যানিংয়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। সঙ্গে থাকবে শুকনো গরম। শুক্র ও শনিবারে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম আরও বাড়বে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে।

    পর্যাপ্ত জল পান করুন

    এই গরমে ত্বকে জ্বলুনি ভাব আসতে পারে। শরীরে জলের অভাব হতে পারে। তাই সাধারণ মানুষকে শরীর ঠান্ডা রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। রোদে বেরোতে হলে অবশ্যই ছাতা, রোদচশমা, টুপি ব্যবহার করতে হবে। সুতির হালকা পোশাক পরা ও বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। চা-কফি-ঠান্ডা পানীয়র বদলে লস্যি, সরবৎ, মরশুমি ফল খেতে বলছেন চিকিৎসকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Assembly Election: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    Karnataka Assembly Election: ভোটে লড়ছেন না ইয়েদুরাপ্পা! কর্নাটকে প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এবার নির্বাচনে লড়ছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তাঁর কেন্দ্র শিমোগো জেলার শিকারিপুরায় প্রার্থী করা হয়েছে ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বিজয়েন্দ্রকে। কর্নাটকের ২২৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৮৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এই দফায়। তার মধ্যে নতুন মুখের সংখ্যা ৫২। 

    নতুন প্রজন্মকে প্রাধান্য

    মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে প্রার্থীতালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে।’’ দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার জানিয়েছে ৩২ জন অনগ্রসর (ওবিসি), ৩০ জন তফসিলি জাতি এবং ১৬ জন তফসিলি জনজাতির প্রার্থী রয়েছেন তালিকায়। ১৮৯ জন প্রার্থীর মধ্যে আটজন মহিলা মুখ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র ধারওয়াড় জেলার শিগ্গাওয়ে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ২০০৮ সাল থেকে টানা ৩ টি বিধানসভা ভোটে ওই কেন্দ্রে জিতেছেন তিনি।

    কে কোথায় প্রার্থী

    কনকপুরায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা মন্ত্রী আর আশোক প্রার্থী হয়েছেন। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বরুণা আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ভি সোমান্নাকে। সোমান্নাকে আরও একটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। বরুণার পাশাপাশি চামারাজনগরে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। এতদিন তিনি গোবিন্দরাজা নগর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এই প্রথম দুটি আসনে প্রার্থী হলেন। এদিনের এই তালিকায় ৩১ প্রার্থী-র পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ৩১ প্রার্থীর। এছাড়াও তালিকায় ৮ চিকিৎসক রয়েছেন। কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস ও আইপিএস অফিসারের নাম রয়েছে তালিকায়।

    আরও পড়ুন: আজ লাভপুরে সভা! ‘কাক কখনও ময়ূর হতে পারে না…’ তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্তর

    প্রসঙ্গত, আগামী ১০ মে এক দফায় বিধানসভা ভোট হবে কর্নাটকে। ১৩ মে হবে ফল ঘোষণা। গত ২৯ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, আগেই প্রথম দফায় কর্নাটকের ১২৪টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। পরে দ্বিতীয় দফায় আরও ৪১ আসনেও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে হাত শিবির। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জনতা দল সেকুলার ইতিমধ্যে অধিকাংশ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। এদিন তালিকা প্রকাশের পর বাসবরাজ বোম্মাই ট্যুইটারে লেখেন, ‘কর্নাটকে ডবল ইঞ্জিন সরকার গঠনের পক্ষে হাওয়া বইছে। এবার আমরা সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসব।’ দ্রুত দ্বিতীয় তালিকাও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বোম্মাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    Tribal Movement: রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক নিষ্ফলা, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ শীঘ্রই, ঘোষণা কুড়মি সম্প্রদায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতির মর্যাদা সহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত (Tribal Movement) কুড়মি সম্প্রদায়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র মিলল না। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের নেতা রাজেশ মাহাতোর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করে। ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে বৈঠকের পর প্রতিনিধিদলের নেতা রাজেশ‌ মাহাতো বলেন, বৈঠকের ফলাফল হতাশাজনক। কুড়মিদের তফসিলি জনজাতি তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রক রাজ্যের কাছে যে ব্যাখ্যা তলব করেছে, তা রাজ্য সরকার এখনও দেয়নি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে এব্যাপারে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে। তিনি বলেন, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিই আমাদের দাবি। আমাদের দাবি ছিল কমিটি গঠনেরও। কিন্তু সেকথা উনি শোনেননি। কুড়মি সমাজের আরেকটি অংশ আবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। আদিবাসী কুড়মি সমাজের ব্যানারে তারা আন্দোলন (Tribal Movement) চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। 

    কী দাবি নিয়ে এই আন্দোলন?

    কুড়মি সমাজের বেশ কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন রেল এবং রাস্তা অবরোধ হচ্ছিল। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-আদ্রা, খড়্গপুর–টাটা শাখার রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের চাপ ও সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এই অবরোধ তুলে নেন। এসটি কোটায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে–মূলত এই তাঁদের দাবি। আগে তাঁরা প্রিমিটিভ ট্রাইবের অন্তর্গত ছিলেন। এরকম ১৩টি আদিবাসী সম্প্রদায় ছিল। ১২টিকে এসটি কোটার অর্ন্তভুক্ত করা হয়। কেবল কুড়মি সমাজকে ওবিসি করা হয়। তাঁরা এই ওবিসি কোটা চান না। তাঁদের এসটি কোটার আওতায় আনতে হবে, এই দাবিতেই চলছে আন্দোলন (Tribal Movement)।

    মমতা-রেলমন্ত্রী কথা

    এদিকে কুর্মি আন্দোলনের (Tribal Movement) জেরে রেল পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রেল পরিষেবা কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share