Blog

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: অয়নের ছেলের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা নগরোন্নয়ন দফতরের  আধিকারিকের মেয়ের, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: অয়নের ছেলের সঙ্গে যৌথ ব্যবসা নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকের মেয়ের, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অয়ন শীলের সঙ্গে এবার নাম জড়াল সরকারি নগরোন্নয়ন দফতরের এক আধিকারিকের। ইডির দাবি, রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট (Urban Development) বিভাগের আধিকারিক বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ ছিল অয়নের ছেলের। বিভাসের মেয়ে ইমনের সঙ্গেই অয়নের ছেলের ব্যবসার পার্টনারশিপের ফর্ম উদ্ধার করেছে ইডি। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করে ইডি। শুনানির পর অয়ন শীলকে ২৫ এপ্রিল অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলে থাকাকালীন ইডি আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    ইডির দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, হুগলির একটি পেট্রোল পাম্পেও অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীলের পার্টনার ছিলেন ইমন। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা নয়ছয়ের তথ্য মিলেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এ ক্ষেত্রে বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করে ইডির তরফে এই দাবি করা হয়। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, নগরোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর বিভাস চক্রবর্তীর মেয়ে ইমনের সঙ্গে যৌথ কোম্পানি খুলেছিলেন অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। সেই কোম্পানির অধীনে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে শুক্লা পেট্রোল পাম্প নামে একটি পেট্রোল পাম্প কেনা হয়। এছাড়া একাধিক কারবারে যুক্ত ছিল সেই সংস্থা। ওই সংস্থার মাধ্যমে অয়নের নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিবপুর ও রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর

    আদালতে ইডি জানিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে এই সরকারি আধিকারিকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। এর পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদিন ইডির তরফে জানানো হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রী কাকলি, ছেলে অভিষেক ও বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করতে চায় তারা। আগামী সপ্তাহে ৩ জনকে তলব করেছে ইডি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি করেন ইডি আধিকারিকরা। শুধু ২০১৪-এর টেট নয় ২০১২-এর টেটেও টাকা তোলা হয়েছে, বলে আদালতে দাবি ইডি-র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tewari: ‘‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না’’, জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্রর

    Jitendra Tewari: ‘‘ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না’’, জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি জিতেন্দ্রর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বল বিতরণ মামলায় মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে পেশ করা হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। গ্রেফতারির ২৪ দিনের মাথায় জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আসানসোল সিজেএম আদালতে আনা হয় জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। আদালতের বাইরে তখন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। জিতেন্দ্র তেওয়ারি গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয় উচ্ছ্বাস। স্লোগানে সরগরম হয়ে ওঠে কোর্ট চত্বর। এদিন আদালতে প্রবেশ করার সময় তিনি বলেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবনা। আসানসোলের জন্য মাস্টার প্ল্যান চেয়েছিলাম, এরা আমাকে প্রেসিডেন্সিতে পাঠানোর মাস্টার প্ল্যান করেছিল। আদালত চত্বরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা চোখে পড়ে এদিন। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন কোর্টে। দুপুরের পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari) আসানসোল আদালত থেকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে, সেখানে বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়ার পরে সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তিনি।

    কোন শর্তে মিলল জামিন ?

    জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tewari) জামিনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল— এক, আপাতত আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না জিতেন্দ্র। দুই, যেখানে থাকবেন, সেখানকার সংশ্লিষ্ট থানায় সপ্তাহে ১ দিন হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি, মামলা চলাকালীন জিতেন্দ্রকে পুরোপুরি সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। 

    কী বললেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ?

    এদিন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার চত্বরেও বিজেপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে (Jitendra Tewari) স্বাগত জানাতে। সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে, গাড়িতে বসে জিতেন্দ্র তেওয়ারি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আসানসোলের মাটি আমাদের মাটি। কোর্টের নির্দেশেই এখান থেকে বাইরে যাচ্ছি, আবার কোর্টের নির্দেশ নিয়েই আসানসোলে ফিরে আসবো। এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকবো। আমি আসানসোলের জন্য মাস্টার প্ল্যান চেয়েছিলাম। আর ওরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করল, আমাকে জেলে পাঠানোর। আসানসোলকে মাস্টার প্ল্যান দিতেই হবে, আগামী দিনে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় মোট ২৬৯ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। ২৩ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, মূলত তাঁদের আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ

    মূলত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়, ৪ জানুয়ারি ১৪৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরাই যান সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলার শুনানি হবে।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চের

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট উত্তীর্ণ যে সব প্রার্থী ২০২০-২২ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন সৌমেন পাল-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী। 

    আরও পড়ুন: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মামলাকারীদের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন যাঁরা, তাঁরাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ২০২০-২২ সালের প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে তাঁরা কী ভাবে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে পর্ষদের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। আজ, মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ করে দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্যের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য শুরু হয়েছিল।” এমনকী, তিনি আরও বলেছিলেন, “দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের পানীয় পান করার সুযোগ ছিল।” নিরাকার ব্রহ্ম মন্দিরে বসে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ। যদিও, উপাসনা গৃহের সম্পূর্ণ নির্মাণ তিনি দেখে যেতে পারেননি। নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও সর্বধর্মকে সম্মান, আলোচনার জন্য দ্বার খোলা ছিল৷ এই উপাসনা গৃহ মহর্ষির তৈরি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্তর্গত। প্রতি বুধবার সকালে এখানে উপাসনার রেওয়াজ রয়েছে৷ এছাড়া, বিশেষ উপাসনাও হয়।

    কী বলেছিলেন উপাচার্য?

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই উপাসনা মন্দিরে বসে কেন বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে, তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আজ দুর্গাপুজো বিশ্বের একটা অন্যতম পুজো হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু, দুর্গাপুজোর ইতিহাস যদি দেখেন, এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বৃটিশদের পদলেহন করার জন্য। তৎকালীন রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত, কে ইংরেজ সাহেবদের দুর্গাপুজোর মঞ্চে নিয়ে আসবেন। সেই দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হত ও অনেক ধরনের পানীয় পান করারও সুযোগ থাকত। পরবর্তীতে দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু, শুরু হয়েছিল ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য।”

    কী অভিযোগ জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট?

    দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে নিরাকার ব্রহ্মমন্দির তথা সর্বধর্ম সম্মানের পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। ১০ মার্চ ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন ও প্রতিকার চান৷ পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপাসনা মন্দিরে বসে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের বারংবার অপমান করছেন৷ উপাসনা গৃহের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তি আক্রমণ ও দুর্গাপুজো ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য ঠিক নয়। সংবেদনশীল।

    মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতর কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। অর্থাৎ, উপাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাবদিহি চাইলেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী। যদিও, এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। রামনবমীর শোভাযাত্রায় গিয়ে বহু ভক্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত (TMC Attack) হলেন বেশ কয়েকজন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনাস্থল কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হামির মহল গ্রাম। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবিষ্যতে যে ফের হামলা হবে না, এমন আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার রাতে এই গ্রামের শিবভক্তরা চন্দনেশ্বর থেকে জল নিয়ে যখন পাকা রাস্তা ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করেন, তখন বাবার মাথায় ঢালতে গেলেই শুরু হয় গণ্ডগোল। সেই সময় ভক্তদের উপর চড়াও হয় (TMC Attack) তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী, অভিযোগ এমনটাই। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। আহতরা বেশিরভাগ মাজনা ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক হানাহানি তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যে ধর্মাচরণে এভাবে কেন আঘাত হানা হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

    পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন বিজেপির

    শিবভক্তদের এভাবে আক্রান্ত (TMC Attack) হওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র পুলিশকে দ্রুত সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    প্রতিক্রিয়া দিলেন না তৃণমূল নেতা

    একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। বললেন কাঁথি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salman Khan: ‘‘৩০ এপ্রিল খুন হবেন সলমন খান’’! পুলিশকে হুমকি-ফোন করে শ্রীঘরে ‘নাবালক’

    Salman Khan: ‘‘৩০ এপ্রিল খুন হবেন সলমন খান’’! পুলিশকে হুমকি-ফোন করে শ্রীঘরে ‘নাবালক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানের যোধপুর থেকে মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে হঠাৎই ফোন। নিজেকে রকিভাই পরিচয়ে ওই ব্যক্তি জানান, ৩০ এপ্রিল নাকি খুন হতে চলেছেন সলমন খান (Salman Khan)। হুমকি ফোন আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। হুমকিদাতা একজন নাবালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে সলমনের নিরাপত্তায় কোনওরকম খামতি রাখছে না প্রশাসন।

    কে এই রকি ভাই ?

    সূত্রের খবর, যোধপুরের বাসিন্দা রকি ভাই। স্বঘোষিত গো-রক্ষক সে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ৩০শে এপ্রিল সলমন খানকে (Salman Khan) খুন করা হবে, এমন হুমকি দিয়েছে যোধপুরের এই গো-রক্ষক। যদিও আদতে নাবালক এই হুমকিদাতা, তাই তার হুমকিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নয় পুলিশ, তবে তদন্তের খাতিরে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    গত মাসেও ই-মেল মারফত সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এসেছিল

    প্রসঙ্গত, গত মাসে ই-মেল মারফত সলমনকে (Salman Khan) প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এসেছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং-এর তরফে। এবার নিজেকে রকি ভাই বলে দাবি করা এক ব্যক্তি সোজা মুম্বই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে সলমন খানকে (Salman Khan) মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই যোধপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় ধাকড়রাম রামলাল সিয়াগ নামক এক ব্যক্তিকে, যাঁর ফোন থেকে প্রাণনাশের হুমকি ইমেলে পাঠানো হয়েছিল সলমন খানকে (Salman Khan)। সেই ইমেলে লেখা হয়েছিল, সিধু মুসেওয়ালার মতোই পরিণতি নাকি হতে চলেছে সলমন খানের। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার বাবাকেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। শুধু তা-ই নয়, আগ্নেয়াস্ত্র আইনেও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে সর্দারপুরা পুলিশ স্টেশনে। মুসেওয়ালার মৃত্যুকাণ্ডে সন্দেহভাজন লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের সঙ্গে রকি ভাইয়ের কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ।

    বাড়ানো হয়েছে সলমন খানের (Salman Khan) নিরাপত্তা

    লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং সলমনকে (Salman Khan) হত্যার ছক কষেছে, সে প্রমাণ পুলিশের হাতে এসেছে আগেই। অভিনেতার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে সলমনের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরাও সদা তৎপর অভিনেতার সুরক্ষায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তা নিশ্চিত করতে। নিজের সুরক্ষার জন্য মোটা টাকা খরচ করেছেন দাবাং খান। নিশান পেট্রোল এসইউভি, বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনেছেন অভিনেতা, সঙ্গে রাখছেন লাইলেন্সড বন্দুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তা সত্ত্বেও হুঁশ নেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের! ঢালাই রাস্তা তৈরি নিয়ে দুর্নীতির (Panchayet Corruption) অভিযোগ তুলে এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মূল রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছিল। পাশাপাশি এস্টিমেট অনুযায়ী রাস্তা তৈরি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের মানুষ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা তৈরি শুরু হতেই গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। বেশ কয়েক ঘন্টা কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, পথশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস হতেই এই কাজ শুরু হয়েছে। তাও আবার কোনও নিয়ম না মেনেই। তাতেই ক্ষোভ বাসিন্দাদের।
    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির জগৎপুর গ্রামের দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধ থেকে মূল ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়। এর জন্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বরাত পান ঠিকাদার। কিন্তু অভিযোগ, ৬ ইঞ্চি উচ্চতার জায়গায় রাস্তা আড়াই ইঞ্চি উঁচু করা হচ্ছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই এই কাজ হচ্ছে। মাঝখানে বালি দিয়ে ভরাট করে দু সাইডে মেজারমেন্ট ঠিক রেখে অনিয়ম করা হচ্ছে। সিমেন্ট ও স্টোনচিপস কম দিয়ে কোনও রকমে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষজন?

    এই নিয়ে স্থানীয় যুবক সৌমেন সামন্ত বলেন, “রাস্তার কাজ গত রবিবার থেকে শুরু হয়। কিন্তু পরেরদিন থেকেই রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। সিমেন্টের ভাগ খুব কম। এতটাই নিম্নমানের মশলা দিয়ে কাজ হচ্ছে, যা সহজেই খুলে যাচ্ছে। ৬ ইঞ্চি ঢালাইয়ের জায়গায় ৩ ইঞ্চি ঢালাই দিচ্ছে। তাই গ্রামের সব মানুষ এই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এইভাবে রাস্তা করলে হবে না। আজ এই জায়গায় হচ্ছে, পরে অন্য জায়গাতেও তো হবে। তাই এই প্রতিবাদ”। অপরদিকে দিলীপ সামন্ত নামে আরও একজন ব্যক্তি বলেন, “রাস্তা তৈরি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি (Panchayet Corruption) হচ্ছে। বালির ভাগ বেশি দিয়ে কেবল ভরাট করে চলে যাচ্ছে। দুদিনে যদি ফাটল হয়, তাহলে আগামিদিনে তো রাস্তা ধসে যাবে। রাস্তা যদি ভাল না হয়, তাহলে কাজ বন্ধ থাকবে”।

    কী বলছেন ঠিকাদার এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    অন্যদিকে ঠিকাদার সুজিৎ মণ্ডল জানান, “এস্টিমেট অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য বাঁধের রাস্তাটা করে দিয়েছি। সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ওটা সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে”। তবে এই বিষয়ে বালি অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রাস্তা তৈরির কাজ (Panchayet Corruption) বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
    ঠিকঠাক কাজ যাতে হয় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে”। সব মিলিয়ে মানুষের প্রাথমিক দাবি, মজবুত ঢালাই রাস্তার। কিন্তু তা না হওয়ায় বালির জগৎপুর গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Trinamool Congress: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো

    Trinamool Congress: তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টাও হয়নি জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে তৃণমূল। এই আবহের মধ্যেই তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভা চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়ের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পেশ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, একুশ সালে বাংলা জয়ের পর সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলকে বিস্তার করার লক্ষ্যে মন দেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গোয়া সমেত উত্তরপূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যকে টার্গেট করে এগোতে থাকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। সেই সময় রাজ্যসভার সাংসদ বানানো হয় গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে।

    লুইজিনহো ফেলেইরোর হাত ধরেই গোয়া কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল (Trinamool Congress) যখন গোয়ায় নির্বাচনী ময়দানে নেমেছিল, সেই সময় লুইজিনহো ফেলেইরোর হাত ধরেই কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে নিজেদের দিকে টেনে এনেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু তাতে খুব একটা দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল (Trinamool Congress)। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু ফিরতে হয় খালি হাতেই। নির্বাচনে বিশেষ ছাপ ফেলতে পারেনি তৃণমূল। আবার যাঁরা তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকের মোহভঙ্গ হতেও দেখা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে সেখানে, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।

    রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রতি মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতাদের 

    লুইজিনহো ফেলেইরোর পদত্যাগে ইতিমধ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে রাজ্যসভার অপর সাংসদ জহর সরকার। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত লুইজিনহোর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বহুদিন ধরেই তিনি দলের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখছিলেন না। শরীরটা খারাপ বোধ হয়। উনি আমার চেয়েও বয়সে বড়। পদত্যাগ করাটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, প্রতিটি রাজ্যে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণেই মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতাদের। সোমবারই জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন তৃণমূল (Trinamool Congress) শুধুই আঞ্চলিক দল। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী মহল প্রশ্ন তুলেছে, দলের নামের আগে সর্বভারতীয় রেখে দেওয়া আদৌ যুক্তিসম্মত এবং প্রাসঙ্গিক হবে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share