Blog

  • CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশিকা পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবনের ওই নির্দেশিকা নজিরবিহীন, বলে দাবি  শিক্ষা মহলের। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলা। তাই সরাসরি উচ্চশিক্ষায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল। পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনেও কড়া নজর রাখতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল

    রাজ্যপালের (CV Anand Bose) পাঠানো নির্দেশিকায় মূলত তিনটি কথা বলা হয়েছে। এক, বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনও আর্থিক লেনদেন করে তার আগে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। অর্থাৎ আর্থিক লেনদেনের যে কোনও বিষয়ে রাজভবনের আগাম অনুমোদন লাগবে। নইলে তা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেল করে রাজ্যপালকে জানাতে হবে কী কাজ হল গোটা সপ্তাহে। তৃতীয়, উপাচার্যদের ভায়া হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না। সরাসরি তাঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন। একইভাবে রাজ্যপালও (CV Anand Bose) আচার্য হিসাবে উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। এমনকী চাইলে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে টেলিফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারেন উপাচার্যরা। 

    আরও পড়ুন: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    শিক্ষামহলের অভিমত

    এতদিন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট পাঠাতেন। তাঁদের নিয়োগ থেকে বদলি সবটাই রাজ্যের সুপারিশ মেনে সই করতেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। সেখানে এই নয়া নির্দেশিকার অর্থ, উপাচার্যদের কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ রাজভবনের হাতে নিয়ন্ত্রণ হওয়ার সামিল বলে মনে করছেন অনেকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে কিছুদিন আগে, রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির জেরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যে লাটে উঠেছে, তা বুঝেই হয়ত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কড়া হাতে সবকিছু খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাজ্যপাল, অভিমত শিক্ষাবিদদের। রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ার মেনেই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। আমার মনে হয় এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন আরও স্বচ্ছ হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: ইডেন মাতালেন নাইটদের মিস্ট্রি স্পিনার সুয়েশ শর্মা! চলতি আইপিএলে প্রথম জয় কেকেআর-এর

    IPL 2023: ইডেন মাতালেন নাইটদের মিস্ট্রি স্পিনার সুয়েশ শর্মা! চলতি আইপিএলে প্রথম জয় কেকেআর-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএল-এ প্রথম জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শার্দুল গর্জন, বরুণ বর্ষণ আর আবিষ্কার সুয়েশ শর্মা নাইটদের এই জয়কে তিনটে দিয়েই ব্যাখ্যা করা যায়। বৃহস্পতিবার, ইডেনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৮১ রানে হারানোর পর কলকাতা নাইট রাইডার্স পয়েন্ট টেবিলে আপাতত ৪ নম্বরে। এদিন কলকাতার হয়ে একদিকে দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং শার্দূল ঠাকুর। অন্যদিকে বল হাতে কামাল দেখালেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনি একাই ৪ উইকেট শিকার করেছেন। 

    শার্দুল গর্জন

    এদিন টসে জিতে নাইটদের ব্যাট করতে পাঠায় আরসিবি। ইডেনের রহস্যে মোড়া পিচে যার ফল ভুগতে হয় ব্যাঙ্গালোরকে। শুরুটা ভাল ছিল না নাইটদের। ১১ ওভারে ৮৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায়। বক্সের এক কোণে তখন  গালে হাত দিয়ে বসে আছেন কেকেআর অধিপতি কিং খান। গ্যালারিতে বিরাট-বিরাট ধ্বনি। তবে বেশিক্ষণ নয় শুরু হল শার্দুল গর্জন। কেকেআর-এর জন্য উঠল মেক্সিকান ওয়েভ। এই ম্যাচে ৭ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দূল ঠাকুর ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে করলেন ২৯ বলে ৬৮ রান। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে তিনি ৪৭ বলে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। রিঙ্কু এই ম্যাচে ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন। রহমানুল্লা গুরবাজ (৪৪ বলে ৫৭ রান), শার্দুল ও রিঙ্কু তিন ব্যাটারে দাপটে ইডেনে বেঙ্গালুরু বিরুদ্ধে ২০৪ রান করল কলকাতা।

    মিস্ট্রি স্পিনার সুয়েশ শর্মা

    জয়ের জন্য ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসিকে নিয়ে শুরুটা আগ্রাসী মেজাজেই করেছিলেন কোহলি। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো বড় জুটি তৈরি করতে পারলেন না তাঁরা কেকেআরের বিরুদ্ধে। দু’জনেই দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। সুনীল নারাইনের বলে আউট হওয়ার আগে কোহলি করলেন ৩টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ২১ রান। বরুণ চক্রবর্তী আউট করলেন ডুপ্লেসিকে। আরসিবি অধিনায়ক করলেন ১২ বলে ২৩ রান। এখানেই শেষ। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মাত্র ১৭.৪ ওভারে ১২৩ রানেই তারা অলআউট হয়ে যায়। কলকাতার তিন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন এবং সূয়শ শর্মা মোট ৮ উইকেট শিকার করেছেন। ইডেন মেতে ওঠে নাইট রাইডার্সের মিস্ট্রি স্পিনার সুয়েশ শর্মাকে নিয়ে।

    কে এই সুয়েশ 

    আদতে লেগ স্পিনার হলেও সুয়েশ কোন বলটা লেগ স্পিন করাবেন আর কোনটা গুগলি, সেটা বুঝতে না বুঝতেই নাকানিচোবানি খেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। গত বছর ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত আইপিএল মিনি নিলামে দিল্লির এই ক্রিকেটারকে মাত্র ২০ লাখ টাকায় দলে নিয়েছিল কেকেআর ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের প্রথম একাদশেও সুযোগ পাননি তিনি। এরপর ম্য়াচের দ্বিতীয়ার্ধে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পরিবর্তে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। তারপর ইতিহাস।

    আরও পড়ুন: ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এরকম দেখা যায়নি! জানেন কী সেই রেকর্ড?

    রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালেরকে আইপিএলে হারিয়ে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেন, “সুয়েশ ট্রায়ালে এসেছিল। সেখানেই দেখি যে ও দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারে। সেই দেখেই ওকে নেওয়া। অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু প্রতিভা রয়েছে সুয়েশের মধ্যে।” কলকাতা বল করার সময় নামানো হয় তাঁকে। তিনি কোথা থেকে এসেছেন তা জানেন না দলের অধিনায়কও। ম্যাচ শেষে নীতীশ বলেন, “আমি নিজেও জানি না ও কোথা থেকে এসেছে। দিল্লির ছেলে ও, কিন্তু আমি কখনও ওকে দেখিনি। তবে খুব মজার ছেলে। সব সময় মাতিয়ে রাখে।”

    পা মেলালেন কোহলি-শাহরুখ 

    নাইটরা এমন অনামি অনেক ক্রিকেটারকেই কিনে থাকে। বড় উদাহরণ বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর নামও আগে সে ভাবে শোনা যায়নি। তেমন ভাবেই এলেন সুয়েশ। প্রথম বার খেলতে নামলেন এবং মাতিয়ে দিলেন। ইডেনের মাটিতে অভিষেক হল তাঁর। সে যতই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামুন না কেন। আইপিএলে একটি ম্যাচ তো খেলা হয়ে গেল তাঁর। দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটারের উইকেট নিলেন। ফেরালেন অনুজ রাওয়াত এবং করণ শর্মাকেও। সুয়শের উপর ভরসা করে রিভিউও নিলেন নীতীশ। সেখানেও অধিনায়ককে হতাশ করেননি তরুণ স্পিনার।

    নাইট রাইডার্সের এই ম্যাচ দেখতে ইডেন গার্ডেন্সে হাজির ছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। বক্সে ‘ঝুমে যো পাঠান’ গানের তালে নেচে ওঠেন কিং খান। সঙ্গে নাচতে থাকে ইডেনও। আর ম্যাচ শেষে বাদশার সঙ্গে পা মেলালেন বিরাট কোহলিও। হাসি মুখে মাঠ ঘুরলেন জুঁহি চাওলা। নাইটদের ঘরে ফেরাটা ভালই হল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে নির্বাচিত ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিরাট জয় ভারতের (India)! রাষ্ট্রসংঘের (UN) সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হল ভারত। বুধবার একথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ট্যুইট-বার্তায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রসংঘের সর্বোচ্চ স্ট্যাটিসটিক্যাল বডিতে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভারত। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ওই মেয়াদ শুরু হবে। নিউইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের ভারতীয় দলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

    এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানান…

    বিদেশমন্ত্রী জানান, স্ট্যাটিসটিক্স এবং ডেমোগ্রাফির ক্ষেত্রে ভারতের দক্ষতার জেরে রাষ্ট্রসংঘের স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনে জায়গা হয়েছে ভারতের। সব মিলিয়ে ৫৩টি ভোটের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৪৬টি। ভারতের ঢের পিছনে রয়েছে চিন, আরব আমিরাত। সূত্রের খবর, মাত্র দুটি আসনের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে ছিলেন চারজন প্রার্থী। তবে শেষ হাসি হেসেছে ভারত (S Jaishankar)। ১৯৪৭ সালে গঠিত হয় ইউনাইটেড নেশনস স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশন। তামাম বিশ্বের স্ট্যাটিসটিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে নির্বাচিত হন এই কমিশনের সদস্যরা। আন্তর্জাতিক স্ট্যাটিসটিক্যাল কাজকর্মের ক্ষেত্রে এরাই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিষ্ঠান। স্ট্যাটিসটিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডও তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান।

    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগুলিকে কার্যকরও করে এই সংস্থা। রাষ্ট্রসংঘের এই স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনের সদস্য সংখ্যা ২৪। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির মধ্যে থেকে এই সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত করে ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক ও সোশ্যাল কাউন্সিল। এই কমিশনে (S Jaishankar) পাঁচজন সদস্য আফ্রিকান দেশগুলি থেকে, চারজন এশিয়া পেসিফিক দেশগুলি থেকে, ইস্টার্ন ইউরোপের দেশগুলি থেকে চারজন, লাতিন আমেরিকার দেশগুলি থেকে চারজন এবং ক্যারিবিয়ান দেশগুলি থেকে চারজন, ওয়েস্টার্ন ইউরোপীয়ান এবং অন্য দেশগুলি থেকে সাতজন সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলির মধ্যে রয়েছে জাপান, সামোয়া, কুয়েত এবং সাউথ কোরিয়া। এই দেশগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে চলতি বছরই।

    আরও পড়ুুন: মহাকাশ অর্থনীতিতে চিনকে টেক্কা দিচ্ছে মোদির ভারত, জানেন কীভাবে?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taijul Islam: ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এরকম দেখা যায়নি! জানেন কী সেই রেকর্ড?

    Taijul Islam: ১৪৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এরকম দেখা যায়নি! জানেন কী সেই রেকর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড টেস্টে (Bangladesh vs Ireland Test) স্পিনার তাইজুল ইসলাম এমন এক রেকর্ড করে বসলেন, যা টেস্টের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে কখনও হয়নি। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটার পিটার জোসেফ মুরকে আউট করে এই রেকর্ড গড়লেন তাইজুল। মুর আগে জিম্বাবোয়ের হয়ে খেলতেন। তখনও তাঁর উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। 

    দুই দেশের হয়ে খেলেছেন এমন ক্রিকেটার

    আন্তর্জাতিক ফুটবলে দুটো দেশের হয়ে খেলা ফুটবলারের সংখ্যা কিছু কম নয়। কিন্তু ক্রিকেটে এমন উদাহরণ খুব বেশি নয়। বিলি মিডউইন্টার ছিলেন প্রথম ক্রিকেটার, যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮টা টেস্ট খেলার পর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছিলেন ৪টে টেস্ট। মহম্মদ ইফতিকার আলি খান ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টে টেস্ট খেলেছিলেন। ১টা সেঞ্চুরিও ছিল। পতৌদির নবাব ইফতিকার আবার ভারতের হয়ে খেলেছিলেন ৩টে টেস্ট। তিনি একমাত্র ভারতীয় ক্রিকেটার, যাঁর এমন কৃতিত্ব রয়েছে। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলা তিন ক্রিকেটার আবার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের হয়েও খেলেছেন। গুল মহম্মদ, আব্দুল হাফিজ কার্দার, আমির ইলাহিরা ভারতের হয়ে ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। দেশ ভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান।

    আরও পড়ুন: ৮৮ বছরে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সেলিম দুরানি

    তাইজুলের রেকর্ড

    পিটার জোসেফ মুর ২০১৪-২০১৯ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন জিম্বাবোয়ের হয়ে। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ড চলে যান। এ বার আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলছেন তিনি। যদিও তেমন পারফর্ম করতে পারেননি অলরাউন্ডার। দুই ইনিংসে ১ ও ১৬ করেছেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটার যিনি দুই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সময় একই বোলারের শিকার হলেন। ২০১৮ সালে জিম্বাবোয়ের হয়ে খেলার সময় তাইজুলের বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি। এ বারও তাই হলেন। ঘটনাচক্রে, ৫ বছর আগে মীরপুরেই উইকেট দিয়েছিলেন তাইজুলকে। এ বারও তাই দিলেন। এরকম ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। তাইজুলের এই রেকর্ড কবে ভাঙবে তা-ও কেউ বলতে পারে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল চাকরি বা পছন্দ মতো জায়গায় পোস্টিং নয়, টেটে (Recruitment Scam) প্রাপ্ত নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনই দাবি করেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দর ছিল। কার নম্বর কত শতাংশ বাড়াতে হবে, সেই অনুযায়ী ঠিক হত দর। সিবিআইয়ের দাবি, কেউ যদি ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকেন, তবে সেই নম্বরকে ৭২ শতাংশ করার জন্য আলাদা দর।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)… 

    আবার ৬৫ শতাংশকে ৭২ শতাংশ করার আলাদা দাম এবং অপেক্ষাকৃত বেশি দাম দিতে হত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এভাবেই প্রার্থীদের প্রাপ্য নম্বরের শতাংশের বিচারে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। দালাল (Recruitment Scam) মারফত সেই টাকা যেত অন্যত্র। এদিন কেস ডায়েরি দেখে বিচারক প্রশ্ন করেন, সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে…আপনার কেসের মূল অভিযোগগুলো কী।এরই উত্তর দিতে গিয়ে সিবিআই আলাদা আলাদা দরের কথা বলে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    এদিকে, বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আদালত চত্বরে তাঁর দাবি, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে আদালতে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এদিন আলিপুরের নগর দায়রা আদালতে শুনানি ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার। আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে।

    অন্যদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে জনৈক পার্থ সরকারের। সিবিআইয়ের দাবি, মন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কেলেঙ্কারির টাকা পৌঁছে দিতেন এই পার্থ। জানা গিয়েছে, জেরায় প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে সংগ্রহ করতেন পার্থ। পরে তা পৌঁছে দেওয়া হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে পার্থ সরকার দাবি করেছেন, কুন্তল ঘোষকে চেনেন না তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    Tribal People: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ শুরু করা হয়। বৃহস্পতিবারও কুস্তাউর রেল স্টেশন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) ঘিরে রাখেন। একইসঙ্গে ঝাড়গ্রামেও সংগঠনের পক্ষ থেকে রেল অবরোধ করা হয়। ফলে, এদিন সাধারণ মানুষ চরম নাকাল হন। হাজার হাজার যাত্রীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে, বুধবারের মতো এদিনও দক্ষিণ পূর্ব রেলে বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অনেক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রেলে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, হাওড়া-পুনে, হাওড়া-জগদ্দলপুর, হাওড়া-আহমেদাবাদ, লোকমান্য তিলক-শালিমার, ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসসহ ৮৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। ৭টি ট্রেনের যাত্রাপথ আদ্রা পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। ঘুর পথে ট্রেন চললেও যাত্রী দুর্ভোগ রয়েছে। অনেকেই না জেনে ভিন রাজ্যে কাজে যাবেন বলে বেরিয়ে ট্রেন বাতিলের কথা জানতে পেরে ফিরে আসছেন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কুড়মি নেতাদের (Tribal People) বৈঠক, কী হল?

    ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে সড়ক এবং রেল অবরোধে জনজীবন বিপর্যস্ত। বুধবার দিনভর নজরদারি করার পর বৃহস্পতিবার প্রশাসনের কর্তারা বিড়ম্বনায় পড়েন। খেমাশুলির কাছে কলাইকুণ্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার যান এবং কুড়মি সংগঠনের রাজ্য নেতা (Tribal People) রাজেশ মাহাত, সংগঠনের জেলা সভাপতি কমলেশ মাহাতরা ছিলেন। সেখানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য বার বার আবেদন করা হয়। কিন্তু, সংগঠনের নেতারা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য পরিমার্জিত সিআরআই রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত অবরোধ চলবে। অন্যদিকে, পুরুলিয়ার আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত এদিন ঝাড়গ্রামে সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। সেখানে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখা নিয়ে কী বললেন কুড়মি সমাজের নেতা?

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে এই আন্দোলন করা হয়েছে। বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাত বলেন, আমাদের আন্দোলনকে রাজ্য সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা এবার নতুন করে কোটশিলা স্টেশনে অবরোধ করব। আর সড়ক পথে লালপুর-হুড়া এবং শিমুলিয়ায় রাস্তা অবরোধ করব। আমরা এই আন্দোলন আরও জোরদার করব। প্রয়োজনে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করে দেব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    Rishra: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাপক অশান্তি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অশান্তির ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী ডায়মন্ড হারবারের নিম্ন আদালতের এক বিচারকের পরিবারও। রিষড়াকাণ্ডের প্রেক্ষিতে এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন, ডায়মন্ড হারবারের একজন বিচারক রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন। দুই ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে তাঁর পরিবার শ্রীরামপুরে থাকেন। তিনি থানা ও পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েও পাননি। হাইকোর্টের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন তিনি।

    রিষড়ায় (Rishra) অশান্তি…

    রিষড়ায় (Rishra) জিটি রোড সংলগ্ন পিকে দাস লেনের খটিরবাজার এলাকায় বাড়ি ডায়মন্ড হারবার আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জজ জয়প্রকাশ সিংহের। কর্মসূত্রে তিনি থাকেন ডায়মন্ড হারবারে। রিষড়ার বাড়িতে তিন সন্তানকে নিয়ে থাকেন তাঁর স্ত্রী। বিচারকের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির সামনে অশান্তির খবর পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন বিচারক। তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিষয়টি জানান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিওকেও। কিন্তু কোনওরকম পুলিশি সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, সমস্ত বিচারকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    রামনবমীর (Rishra) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল হাওড়ার কাজিপাড়া এলাকা। শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। শুক্রবারের পর অশান্তির আঁচ ছিল শনিবারেও। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার শিবপুরেও। শিবপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। পরে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির পর অবশ্য যেতে দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    হাওড়ার অশান্তি থিতু হওয়ার আগেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয় হুগলির রিষড়ায়। এখানেও শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। রাতের বেলা রেললাইনে করা হয় বোমাবাজিও। চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। ঘটনার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই রুটে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। মধ্যরাত পেরিয়ে নেভে অশান্তির আঁচ। স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anil Antony: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    Anil Antony: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের হাত ছাড়ার তিনমাসের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির (A K Antony) ছেলে অনিল অ্য়ান্টনি (Anil Antony)। কেরলের কংগ্রেস নেতা অনিল অ্যান্টনি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দল ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) উপর বিবিসির তথ্য়চিত্রে নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতবিরোধের সৃষ্টি হয় অনিলের।

    অনিল  অ্যান্টনিকে স্বাগত 

    ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসেই বিজেপি নেতা পীযূষ গোয়েল, ভি মুরলিধরন এবং দলের কেরালা ইউনিটের প্রধান কে সুরেন্দ্রন আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে অনিলকে (Anil Antony) দলে স্বাগত জানিয়েছেন। অনিল বলেন, “প্রত্যেক কংগ্রেস নেতাই ভাবেন তাঁরা কোন একটি পরিবারের জন্য কাজ করছেন। আমি ভাবি, আমি দলের জন্য কাজ করি।” বিজেপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান শেষে কার্যত দলের নেতা মন্ত্রীদের আনুগত্যের প্রতি প্রশ্ন তুলে দিলেন অনিল।  প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর ছেলের কথায়, “বহু মেরুকরণের যুগে ভারতকে সামনে এগিয়ে আনাই প্রধানমন্ত্রী মোদির লক্ষ্য।”

    অনিলের রাজনীতিতে যোগ

    ২০১৭ সালে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সময়, অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony) রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, তাকে কেরালায় কংগ্রেসের ডিজিটাল মিডিয়া সমন্বয়কারী করা হয়েছিল। ২০০০ সালে, তিরুবনন্তপুরমের কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বি টেক করার পরে, অনিল স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অনিলকে তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরের খুব ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুন:’এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর লক্ষ্যে কাজ করে যান! বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা মোদির

    কেন কংগ্রেস ত্যাগ

    এদিন অনিল অ্যান্টনিকে (Anil Antony) বিজেপি সদর দফতরে নিয়ে যান কেরালার রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন। ইতিমধ্যেই অনিল অ্যান্টনি কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (KPCC) সোশ্যাল মিডিয়া সমন্বয়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে তৈরি বিতর্কিত বিবিসি ডকুমেন্টারি নিয়ে একটি টুইট করেছিলেন, যার পরে দলে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দল ছাড়ার আগে অনিল অ্যান্টনি (Anil Antony) কেরালায় কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেল চালাতেন। দল ছাড়ার আগে তিনি বিবিসির তথ্যচিত্রকে ‘ভারতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছিলেন। ঘটনাচক্রে অনিল অ্যান্টনির বাবা এখনও কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা। স্বাভাবিকভাবেই অনিলের গেরুয়া যোগ কংগ্রেসের জন্য অস্বস্তি তৈরি করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ শুভেন্দুর আর্জি, পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) খারিজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) সংরক্ষণ তালিকার প্রক্রিয়াগত ত্রুটি নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রেখেছিল, সুপ্রিম কোর্টও তাই বহাল রাখল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আর্জি…

    পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত এই মামলা দ্রুততার সঙ্গে শোনা হোক বলে বুধবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই মতো ঠিক হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ৪৪ নম্বর আইটেম হিসেবে এই মামলা শোনা হবে। বৃহস্পতিবার আদালতে যখন লাঞ্চের বিরতি হয়, তখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ৪৪ নম্বর আইটেমে যে মামলা ছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা আটকাতে পারি না।

    আরও পড়ুুন: ‘কেস ডায়েরিতে রয়েছে প্রভাবশালীর নাম’, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে দাবি ইডির

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। তাঁর দাবি, রাজ্যের ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ ঠিকভাবে হয়নি। সংরক্ষণের কাজে সমীক্ষা ঠিকভাবে হয়নি বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এসব ব্যাপারেই আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, আইনে ওবিসি আসন সংরক্ষণের কাজ হয়েছে নিয়ম মেনেই। তার পরেই হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ তারা করবে না। আদালত এও জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করা হয়ে গিয়েছে। তাই আদালত ভোটে কোনও বাধা দেবে না। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে খারিজ হয়ে গেল তাঁর আর্জি।

    প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। হাইকোর্ট এখনই কোনও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয়নি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দুর মামলার বিষয়টি এই মুহূর্তে কমিশনের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কোনও বক্তব্য থাকলে তা কমিশনে জানাতে পারেন। কমিশন আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে পদক্ষেপ করবে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের জেরে জট কাটল পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি,  শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার প্রকল্পে ব্যাপক হয়রানি, শিবিরে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসীর মধ্যে পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই কর্মসূচিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হল উপভোক্তাদের। ফলে শিবিরে ভাঙচুর চালালেন ক্ষুব্ধ উপভোক্তারা। গোটা ঘটনায় বৃহস্পতিবার চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আগডিমটিখন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি এলাকায়। 

    ঠিক কী ঘটেছিল এদিন ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এদিন এই ক্যাম্প (Duare Sarkar) অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি সুবিধা পেতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গ্রামবাসীরা হাজির হয়েছিলেন শিবিরে। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটায় ক্যাম্প চালু হওয়ার কথা থাকলেও, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ কর্মীরা ক্যাম্পে উপস্থিত হতে শুরু করেন। একেই সময়ের অনেক পরে কাজ চালু হয়, তার ওপর সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল হওয়ায়, ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসীরা। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ি তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আকবর আলির। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় সরকারি কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। অন্যদিকে এদিন দেরি করে ক্যাম্প চালু ও ফর্ম না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। এমনকী ক্যাম্পের আসবাবপত্রে ভাঙচুরও চালানো হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় শিবির চত্বরে। খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় শিবিরের কাজকর্ম।

    কী বলছেন পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি ?

    যদিও কর্মীদের দেরীতে আসার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম। তবে পর্যাপ্ত ফর্ম শিবিরে (Duare Sarkar) রয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে ক্যাম্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্লক অফিসের কর্মী সাগরাম সোরেন জানিয়েছেন, ক্যাম্পে পর্যাপ্ত ফর্ম আছে। বিভাগের নাম দেওয়া হয়নি বলে সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। দ্রুত  বিভাগের নাম লিখে চিহ্নিতকরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share