Blog

  • IPL 2023: আইপিএলে শাকিবের পরিবর্ত শানাকা! নাইটদের মাথায় আর কোন কোন ক্রিকেটার?

    IPL 2023: আইপিএলে শাকিবের পরিবর্ত শানাকা! নাইটদের মাথায় আর কোন কোন ক্রিকেটার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইটদের হয়ে চলতি আইপিএল-এ (IPL 2023) আর দেখা যাবে না শাকিব আল হাসানকে। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেন শাকিব। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার তারকা যে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে যোগ দিতে পারবেন না, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জাতীয় কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ এবং ব্যক্তিগত সমস্যার কারণেই এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন শাকিব।

    কলকাতা নাইট রাইডার্স গত বছর আয়োজিত আইপিএল-এর (IPL 2023) মিনি নিলামে দেড় কোটি টাকায় দলে নিয়েছিল শাকিবকে। এটাই ছিল তাঁর বেস প্রাইস। তবে কেকেআর সূত্রে খবর, শাকিব এবং লিটনকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখনও ছাড়পত্র দেয়নি। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট শুরু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। সেই টেস্টে খেলছেন শাকিব এবং লিটন। সেটা খেলার পর আইপিএল খেলতে আসতে পারেন লিটন। শাকিব যদিও আসবেন না। শাকিবের বদলে অন্য বিদেশি অলরাউন্ডারকে দলে নিতে পারে কেকেআর। নাইট শিবিরে যাঁরা যোগ দিতে পারেন এমন পাঁচজন তারকা ক্রিকেটারকে খুঁজে নেওয়া যাক।

    আইপিএলে (IPL 2023) শাকিবের পরিবর্ত

    দাসুন শানাকা: শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ব্যাট-বল দুইই করতে পারেন। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল খেলেছেন তিনি। মিডল অর্ডার ও নীচের দিকে ভাল খেলতে পারেন তিনি। তিনি যেমন লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করে ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেন, তেমনই ইদানিং স্লগ ওভারে বলও করছেন। যা কেকেআরের ভীষণ দরকার। সেই সঙ্গে অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রেও নীতীশ রানাকে সাহায্য করতে পারবেন শানাকা।

    টম ল্যাথাম: ভারতীয় উইকেটে খুব ভাল পরিসংখ্যান রয়েছে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটারের। মিডল অর্ডারে ব্যাট করার পাশাপাশি উইকেটরক্ষকও তিনি। তাই বাড়তি সুবিধা পেতে পারে কেকেআর।

    মহম্মদ নবি: আফগানিস্তানের অধিনায়ক গত বারও কেকেআরে ছিলেন। কিন্তু একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। এ বার তাঁকে আবার দলে নিতে পারে কেকেআর। শাকিবের মতোই স্পিনের পাশাপাশি ভাল ব্যাটিং করতে পারেন নবি। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

    ড্যারিল মিচেল: নিউজিল্যান্ডের মিচেলের দিকেও নজর দিতে পারে কেকেআর। মিডল অর্ডারে ভাল ব্যাট করতে পারেন তিনি। সেই সঙ্গে মিডিয়াম পেস বল করেন। তাই তাঁকে দিয়ে শাকিবের অভাব মেটানোর চেষ্টা করতে পারে নাইট ম্যানেজমেন্ট।

    ট্র্যাভিস হেড: অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার মাসখানেক আগে ভারতে এসে দেখিয়েছেন কতটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার ওপেনার হিসাবেও খেলতে পারেন। আবার স্পিন বলও করতে পারেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ৮৮ বছরে প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সেলিম দুরানি

    এই পাঁচ ক্রিকেটারের পাশাপাশি আফগানিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পার্নেল, অস্ট্রেলিয়ার রাইলে মেরিডিথ, এবং ল্যান্স মরিসের নাম ভাবা যেতে পারে। শুধু শাকিব নন, লিটন দাসও আইপিএলে অনিশ্চিত। সেক্ষেত্রে তাঁরও পরিবর্ত ভাবতে হবে নাইটদের। অল-রাউন্ডারের কথা না ভেবে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসাবে স্টিভ স্মিথের মতো অন্য কারোর কথাও ভাবা হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brahamastra 2 and 3: একসঙ্গে তৈরি হবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ২’ এবং ‘৩’, ঘোষণা পরিচালক অয়নের! কবে মুক্তি পাবে ছবি দুটি?

    Brahamastra 2 and 3: একসঙ্গে তৈরি হবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ২’ এবং ‘৩’, ঘোষণা পরিচালক অয়নের! কবে মুক্তি পাবে ছবি দুটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাটের জুটি দর্শক কূলের বেশ পছন্দের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায় এই জুটির অভিনীত ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ১’। ছবিতে দেখা গিয়েছিল বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চনকেও। বিশেষ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খান, নাগার্জুনকে। সেসময় পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ভাল বাণিজ্য করেছে। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ছবিটির দুটো সিক্যুয়েন্স থাকবে। ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ২’ এবং ‘৩’ দেখতে পারবেন দর্শক। অনুরাগীরা উন্মুখ, কবে সেই দিনক্ষণ আসবে? মঙ্গলবার সেই খবর জানালেন অয়ন।

    কবে মুক্তি পাচ্ছে  ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ২’ এবং ‘৩’

    অয়ন জানিয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ২: দেব’ মুক্তি পাবে ২০২৬-এর ডিসেম্বরে। তৃতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি আসবে ঠিক এক বছর পরে। অর্থাৎ, ২০২৭-এর ডিসেম্বরে। এতটা সময় লাগছে কেন? অয়নের যুক্তি, ‘‘চিত্রনাট্য পড়ে দেখলাম, বিষয়টিকে ঘষেমেজে আরও ঝকঝকে করতে হবে। তার জন্য একটু সময় লাগবে। সেটাই সবার থেকে চেয়ে নিচ্ছি।’’ অয়ন মুখোপাধ্যায় তাঁর পোস্টে এদিন আরও লেখেন, ‘সময় এসে গেছে – ব্রহ্মাস্ত্র ট্রিলজি, অস্ত্রভার্স ও আমার জীবন সম্পর্কে কিছু আপডেট দেওয়ার! প্রথম পর্বের সমস্ত ভালবাসা ও প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর… দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ওপর মনোনিবেশ করি আমি – যা এখন আমি জানি যে প্রথম পর্বের থেকেও বড় ও আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠবে! আমরা বুঝেছি যে ব্রহ্মাস্ত্র দুই এবং তিনের চিত্রনাট্য আরও নিখুঁত করতে আমাদের আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। এদিন তিনি আরও ঘোষণা করেন যে একইসঙ্গে ব্রহ্মাস্ত্র দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্ব তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘এবং… সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে দুটো ছবি তৈরি করব… একসঙ্গে! এবং তাদের মুক্তিও হবে কাছাকাছি সময়ে! এটি অর্জন করার জন্য আমার কাছে একটি টাইমলাইন আছে, যা আমি আজ আপনাদের সবার সঙ্গে শেয়ার করছি!’

    ‘ব্রহ্মাস্ত্র’র পাশাপাশি আরও একটি ছবি পরিচালনা করছেন অয়ন। সে কথাও তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে জানিয়েছেন। এবার আর ফ্যান্টাসি-অ্যাডভেঞ্চার ফ্র্যাঞ্চাইজি নয়। তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের একটি ছবি পরিচালনা করবেন। তবে ছবি সম্পর্কে এক্ষুণি বিশদে নারাজ তিনি। তাঁর মতে, আপাতত বিষয়টি ভাবনা-চিন্তার স্তরে রয়েছে। তাই এক্ষুণি কিছু বলছেন না। কাজ এগোলে তিনি সংবাদমাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    C V Ananda Bose: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর ভারত’কে আটকানোর চেষ্টা করছে ‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নকে সফল করবে ‘আত্মনির্ভর বাংলা’। কোনওরকম হিংসা, অশান্তি সহ্য করা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। এদিন উত্তপ্ত রিষড়ায় গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। 

    উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    রবিবার সন্ধ্যায় রিষড়ায় রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করেই অশান্তি ছড়ায়। ছোড়াছুড়ি হয় ইট-পাথর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে। এই সংঘর্ষে বিজেপির একাধিক কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি, দিলীপ ঘোষের উস্কানিতে ওইদিন গন্ডগোল শুরু হয়। রামনবমীর দিন শিবপুরের অশান্তি এবং তারপর রিষড়ায় গতরাতের গোলমালের পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। শিলিগুড়িতে জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠক ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন সি ভি আনন্দ বোস (Governor C V Ananda Bose)। কলকাতায় পৌঁছেই রাজভবনে নয়, গাড়ি নিয়ে সোজা বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছে গিয়েছে রিষড়ার গণ্ডগোল কবলিত এলাকায়। তিনি সরেজমিনে ঘুরে দেখেন সেখানকার পরিস্থিতি। রেলগেট চত্বর এবং রিষড়া স্টেশনও পরিদর্শন করেন তিনি। 

    আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা

    রিষড়া স্টেশন ঘুরে দেখে সোজা চলে যান এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই রিষড়ার ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকেই দেখতে যান রাজ্যপাল। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে একজন ভর্তি আছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁর শরীরে আঘাত আছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। দোষীরা অবশ্যই সাজা পাবে।’ তারপরই তিনি আহতকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানান। 

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন

    রাজ্যপাল বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কার্যকারণ জানতেই আমি এখানে এসেছি। যা বলা হচ্ছে তা কতদূর সত্যি তা দেখতে এসেছি। এবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব, সিদ্ধান্ত নেব। তার পর সলিড অ্যাকশন হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন”। এর পরেই তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেড প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত রোখার চেষ্টা করছে। একই ভাবে আত্মনির্ভর বাংলাও অশুভ শক্তির বিনাশ করবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা হবেই। অপরাধীরা গরাদের ভিতরে যাবে।’’ বোসের মতে, ‘‘বাংলায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির অপরাধীকরণ চলছে। এ বার তার শেষ হওয়া প্রয়োজন।’’ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সব রকমের পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অশান্তি পীড়িত এলাকায় গিয়ে বোসের বার্তা, ‘‘নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচতে দিন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

  • Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা (Worker) কাজে যোগ দিতে যান। গেটের বাইরে দেখেন, মিলে টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেওয়া রয়েছে। আর সাসপেনশনের পিছনে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করা হয়েছে। ফলে, এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল। আর কাজ হারালেন মিলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক (Worker)। এদিন সকালে মিলে যোগ দিতে এসে কর্তৃপক্ষের নোটিশ দেখে কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও কিছু আলোচনা না করেই কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে মিল চালু করার তাঁরা দাবি জানান।

    কেন মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ? Worker

    মিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিলে তাঁত বিভাগে পুরানো মেশিন তুলে ফেলার অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তাঁত ঘর থেকে মিল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি মেশিন উঠিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিলের চারজন শ্রমিক (Worker) কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হন। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ধরে ওই মেশিনে শ্রমিকরা কাজ করে এসেছেন। আচমকা কাউকে কোনও কিছু না জানিয়ে মেশিন উঠিয়ে নেওয়া হল কেন? পরিকল্পিতভাবে কর্তৃপক্ষ মেশিন উঠিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, সোমবার বেলা দুটো নাগাদ কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকদের (Worker) তাঁরা কাজ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে, মিলে উৎপাদন কার্যত ব্যাহত হয়। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁত ঘরের মধ্যে ওই চারজন ফের গন্ডগোল করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির সামাল দিতে রাতেই জুটমিলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার পর মিলে নতুন করে আর কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে, দিনভর অশান্তির জেরে মিলে উত্পাদন ব্যাহত হওয়ায় মিলের গেটে সাসপেনশনের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে, ব্যাচিং থেকে তাঁত বিভাগে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর মিলে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে মিলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Avalanche In Sikkim: সিকিমে ভয়াবহ তুষার ধসের বলি অন্তত ৭, বরফের নিচে আটকে বহু পর্যটক

    Avalanche In Sikkim: সিকিমে ভয়াবহ তুষার ধসের বলি অন্তত ৭, বরফের নিচে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের গ্যাংটকে ভয়াবহ তুষার ধসে (Avalanche In Sikkim) মৃত্যু হল কমপক্ষে সাতজন পর্যটকের। আরও অনেক জন বরফের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে গ্যাংটকের সঙ্গে নাথুলা পাসের সংযোগকারী জওহরলাল নেহেরু সড়কের ওপর ১৫ মাইল এলাকায়। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ, একজন মহিলা এবং এক শিশু। পরে উদ্ধার হয় আরও একটি দেহ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

    যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনার ত্রিশক্তি কোর, সিকিম পুলিশ (Police), সিকিমের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন এবং পর্যটন দফতর। সিকিম পুলিশ জানিয়েছে, বরফের তলায় আটকে পড়া ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতাল ও সেন্ট্রাল রেফারেন্স হাসপাতালে।

    ভয়াবহ তুষার ধস (Avalanche In Sikkim)…

    জানা গিয়েছে, এদিন গ্যংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে ১৫ মাইল এলাকায় আচমকাই পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ির ওপর ধস নামে। সেই সময় ৫-৬টি গাড়ি করে নাথু লা যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। সবমিলিয়ে জনা তিরিশেক পর্যটক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ধসের কারণে পর্যটকরা খাদের দিকে ছিটকে পড়েন। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ১৪ জনকে বরফের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দ্রুত সেনার বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৭ জন মারা যান। বাকিদের শুশ্রূষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। বতুষার ধসে আটকে পড়া পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধার করতে নামানো হয়েছে সেনাও। প্রশাসন সূত্রে খবর, রাস্তার যে এলাকায় ধস নেমেছে তার একদিকে আটকে রয়েছেন ৩৫০ জন, অন্যদিকে প্রায় ৪৫০ জন।

    যাঁরা সিকিম বেড়াতে যান, তাঁদের কাছে ছাঙ্গু লেক (Tsong Po) খুবই জনপ্রিয় একটি পর্যটনস্থল। সেখানে যাওয়ার পথে ধস নামায় আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। নাথু লা-কে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি পর্যটনস্থলে যাওয়া যায়। তাই এই অঞ্চলে তুষার ধস নামায় পর্যটন ব্যবসা মার খাবে বলেই আশঙ্কা পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পর্যটনস্থলের পাশাপাশি নাথু লা দিয়ে চিন ও ভারতের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য চলে। ২০০৬ সাল থেকে এখান দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য চলছে এই দুই দেশের। মাঝে ২০১১ সালে সিকিমে ভূমিকম্প ও ২০১৭ সালে ডোকলাম বিতর্কের জেরে সাময়িক বন্ধ ছিল নাথু লা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য।

    আরও পড়ুুন: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলের জায়গার নাম বদলালেও, সত্যিটা বদলে যাবে না, চিনকে পাল্টা ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলের জায়গার নাম বদলালেও, সত্যিটা বদলে যাবে না, চিনকে পাল্টা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) ইচ্ছে মতো অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) জায়গার নাম বদলে দিলেও, সত্যিটা কোনওদিন পাল্টে যাবে না। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই বেজিংকে জবাব দিল ভারত (India)। এদিন ফের নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ট্যুইট-বার্তায় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমরা চিনের রিপোর্ট দেখেছি। চিন প্রথমবার এই চেষ্টা করছে না। আমরা এই নামকরণকে মান্যতা দিতে রাজি নই। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নাম পরিবর্তন করা হলেও, তাতে বাস্তব পরিবর্তন হবে না।

    অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের…

    প্রসঙ্গত, রাতারাতি অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ১১টি জায়গার নাম বদলে দিয়েছিল চিন (China)। এক বিবৃতিতে চিনের অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বতের কিছু ভৌগোলিক এলাকার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে চিনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রবিবার অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি বিস্তীর্ণ ভূমি এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, দুটি নদী ও পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ।

    কেবল নাম বদলই নয়, রবিবার চিনের তরফে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশকে চিনের বলে দাবি করা হয়েছে। রবিবার চিনা ও তিব্বতি সহ মোট তিনটি ভাষায় সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বিভিন্ন জায়গার নাম বদলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল চিন। একবার ২০১৭ সালের এপ্রিলে ও অন্যটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের তরফে এও দাবি করা হয়েছিল, ওই এলাকাগুলি চিনের বলে দাবি করার যথেষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক ভিত্তি রয়েছে। দুবারই চিনের ওই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল ভারত। দুবারই ভারতের তরফে বেজিংকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    Rishra: রিষড়া নিয়েও হাইকোর্টে শুভেন্দু, রাজ্যের রিপোর্ট তলব আদালতের, শুনানি বুধবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রিষড়া (Rishra)। যার জেরে ব্যাহত হয় হাওড়া-বর্ধমান ট্রেন চলাচলও। ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। সোমবারের ওই ঘটনা নিয়ে পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে

    জানা গেছে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে রিষড়ার অশান্তির ঘটনা উল্লেখ করে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, রাজ্যকেও এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    হাওড়া, উত্তর দিনাজপুরের পর রিষড়াতেও (Rishra) রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, শিবপুর এবং ডালখোলার পরে রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় রিষড়া (Rishra)। সেই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সূত্রের খবর, তিনি শোভাযাত্রায় থাকাকালীনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ১৪৪ ধারা জারি হয়।
    এরপর সোমবার রাতে ফের অশান্তি শুরু হয়। রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীদের সরাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে। ট্রেন লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করেও পাথর বৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার সকালেও এলাকা থমথমে। প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা।

    সোমবার রিষড়া (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী

    সোমবার রিষড়ায় (Rishra) গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে ওই এলাকা পরিদর্শনে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী রিষড়ায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমরা রিপোর্ট পেয়েছি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান গিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আইনটা ওঁদের জন্য একরকম, বাকিদের জন্য অন্য রকম। কল্যাণবাবুরা তাঁদের নেত্রীর লাইনেই কথা বলেন। ১৪৪ ধারা যদি জারি থাকে, তাহলে সবার ক্ষেত্রেই আইনটা একইরকম হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Mahesh Jethmalani: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    Mahesh Jethmalani: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন প্রবীণ আইনজীবী তথা বিজেপি (BJP) সাংসদ মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani)। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলকে নিশানা করেন জেঠমালানি।

    মহেশ জেঠমালানি (Mahesh Jethmalani) বলেন…

    ট্যুইট-বার্তায় প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, দেশের সব ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসই বিপজ্জনকভাবে সাম্প্রদায়িক। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দুদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় হিংসায় অনুপ্রাণিত করেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি সমর্থকদের ওপর আক্রমণের ঘটনাও ঘটছে। রাজ্যসভার এই সাংসদের (Mahesh Jethmalani) মতে, বাংলায় হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর মরিয়া প্রচেষ্টা। অন্য একটি ট্যুইট-বার্তায় এই বিজেপি নেতা বলেন, রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে প্ররোচনা দেয়নি বিজেপি। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে মমতার মরিয়া চেষ্টার জেরে হিংসার ঘটনা ঘটেছে।

    প্রসঙ্গত, রামনবমীর শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে হাওড়ায় ইটপাটকেল ছুড়েছে দুষ্কৃতীরা। কাজিপাড়ায় ঘটেছে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও। শুক্রবারের পর শনিবারও অশান্তি হয়েছে হাওড়ায়। রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে হাওড়ার শিবপুরেও। কেবল হাওড়া নয়, হুগলিতেও হয়েছে অশান্তি। রামনবমী উপলক্ষে রবিবার শোভাযাত্রা বের হয় হুগলির রিষড়ায়। শোভাযাত্রা সন্ধ্যাবাজার এলাকায় এলে অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এখানেও ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। রবিবারের পর সোমবারও অশান্তি হয়েছে রিষড়ায়। চলন্ত ট্রেনে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। তার জেরে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছেন। রিষড়ার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। তিনি বলেন, এটা চলতে দেওয়া যায় না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ হবে। বাংলার মানুষ অনেক সহ্য করেছেন, আর নয়। বাংলার মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। যেকোনও মূল্যে শান্তি ফেরাতে হবে। দুষ্কৃতীদের কোনও মতেই ছাড় দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দাবি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্যকে বিঁধে কুড়মিদের (Tribal People) নতুন করে আন্দোলন শুরু হল। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে, মঙ্গলবার তাদের আন্দোলন জাতীয় সড়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। গত বছর দাবি আদায়ে কুড়মিরা (Tribal People) লাগাতার রেল অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যার জেরে হাজার হাজার যাত্রীদের চরম নাকাল হতে হয়েছিল। গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ৫ এপ্রিল দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাই, দাবি আদায়ে বুধবার থেকে জাতীয় সড়ক এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ হ‌লে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    কী কারণে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ? Tribal People

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে অবরোধ কর্মসূচি। ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি-তে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলেছে। ৪ঠা এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। পূর্ব ঘোষণা মত এদিন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) জাতীয় সড়কে জমায়েত হয়। পরে, লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের, ধর্না দিল্লিতেও

    DA News: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক আন্দোলনকারীদের, ধর্না দিল্লিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএর (DA News) দাবিতে ফের কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। ৬ এপ্রিল হবে কর্মবিরতি। তার পরেই দিল্লির (Delhi) যন্তর মন্তরে হবে অবস্থান ধর্না। মঙ্গলবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে অবস্থান ধর্না হবে। তার পর দেশের রাষ্ট্রপতি (President), উপরাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। ৬ এপ্রিল পালন করা হবে একদিনের কর্মবিরতি।

    বকেয়া ডিএর (DA News) দাবি…

    প্রসঙ্গত, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে দু দিনের কর্ম বিরতি পালন করেছেন সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ পালন করেছেন প্রশাসনিক ধর্মঘট। শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে চলছে ধর্না। তার আগে পালিত হয়েছে অনশন কর্মসূচিও। এদিকে, ডিএ (DA News) আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর চোর ডাকাত মন্তব্যের বিরোধিতা করে ও কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএর দাবিতে ৬ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সব আদালতে পেন ডাউনের ডাক দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। এই মর্মে তারা চিঠি দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দফতরেও।

    অন্যদিকে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৪২ শতাংশ ডিএ পাবেন। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছর ৩ অক্টোবর অর্থমন্ত্রক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার সম্মতি দিয়েছেন। তাই চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৮ শতাংশের বদলে ৪২ শতাংশ ডিএ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন ঘোষণার পরে এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘দুর্বৃত্তদের রেয়াত নয়’’! উত্তরবঙ্গে জি-২০ বৈঠক বাতিল করে রিষড়ায় রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম এবং রাজস্থান সরকারও। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪২ শতাংশ ডিএ (DA News) দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। একই সঙ্গে রাজস্থান ও অসম সরকারও ৪২ শতাংশ ডিএ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য ডিয়ারনেস রিলিফও দেওয়া হচ্ছে। কেবল পশ্চিমবঙ্গ সরকারই রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি মেটাতে অক্ষম। তিনি বলেন, তাই আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

LinkedIn
Share