Blog

  • Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল  যুবক! কোথায় জানেন?

    Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল যুবক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পাত্রী দেখতে এসে পাত্রীর মা’‌কে পছন্দ হয়ে যায় পাত্রের। এক দেখাতেই তাঁকে বিয়ে করার মনস্থ করেন হবু পাত্র। বাড়ির সকলের মধ্যেই হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায় তাঁর। আর সুযোগ বুঝে পাত্রীর মাকে নিয়ে চম্পট দেয় হবু পাত্র। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায়। ইতিমধ্যেই স্ত্রীর খোঁজে তাঁর ছবি হাতে নিয়ে গাজোল থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Mother-in-law

    গত ২৫ মার্চ অতুল বর্মন নামে এক যুবক গাজোল থেকে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায় পাত্রী দেখতে আসেন। দেখাশোনার সময় মেয়ের পাশে বসেছিলেন মা। হবু শাশুড়িকে (Mother-in-law) দেখেই মন মজে যায় অতুলের। হবু পাত্রের চোখের ইশারাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি পাত্রীর মা সরলা সাউরিয়ার। এক ঘর লোকজনের মাঝে হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে অতুল বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। পাত্রীর মায়ের সঙ্গে হবু বর কথা বলাতে দুই বাড়ির কেউ তেমন সন্দেহ করেনি। দেখাশোনা শেষ হওয়ার পর পাত্রের বাড়ির লোকজন ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর বাজারে যাচ্ছি বলে সরলাদেবী বাড়ি থেকে বের হন। আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। প্রথমে বাড়ির লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাননি। পরে, হবু পাত্র তাঁকে নিয়ে গিয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।

    কী বললেন নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীর স্বামী? Mother-in-law

    ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্ত্রীর ছবি দেখিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। অমলবাবু বলেন, আমাদের তিন সন্তান রয়েছে। মেয়ে বিবাহযোগ্য। মেয়ের বিয়ের জন্যই আমরা চারিদিকে পাত্রের খোঁজ করছিলাম। মেয়ের দেখাশোনা পর্ব অনেকটাই এগিয়েছিল। পাত্রপক্ষ বাড়ি ফিরে যায়। পরে, স্ত্রী বাজারে যাওয়ার পর আর না ফেরায় চারিদিকে খোঁজ করি। কয়েকদিন পর জানতে পারি, হবু পাত্র আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ভিন রাজ্যে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একই দিনে শান্তনু ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা ইডির, কী তথ্য উঠে এল?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একই দিনে শান্তনু ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা ইডির, কী তথ্য উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগেই তলব করেছিল ইডি। সোমবার সল্টলেকের সিজিও কম্পলেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে এদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি থাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। সম্প্রতি শান্তনুর ‘ছায়াসঙ্গী’ বলে পরিচিত রাকেশ মণ্ডল, নিলয় মল্লিক এবং সুপ্রতিম ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে শান্তনু সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর পর পরই শান্তনুকে জেরা করল ইডি। জানা গেছে, আগামী ৫ এপ্রিল শান্তনুকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    চার ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় শান্তনুর স্ত্রীকে

    ইডি সূত্রে খবর, তদন্তকারী সংস্থার তলব পেয়ে আজ সেখানে আসেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। প্রিয়াঙ্কাকে ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। এদিন ইডি দফতরে তিনি ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কাকে আবার ডাকা হতে পারে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) তদন্তের ঘটনাক্রম

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই শান্তনুকে গ্রেফতার করে ইডি। শান্তনু গ্রেফতার হতেই গোটা হুগলি জেলায় তাঁর ছড়িয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পায় ইডি। শান্তনুর সম্পত্তি সিল করে ইডি আধিকারিকরা। 

    ১৮ মার্চ শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীলের ফ্যাটে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। শান্তনুকে গ্রেফতারের পর প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে ইডি। আধিকারিকদের দাবি, শান্তনু ও অয়ন নিয়োগে দুর্নীতির অন্যতম মূল মাথা অয়নের অফিস থেকে প্রচুর পরিমাণ নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করা হয়। এমনকী অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের লেনদেন একাধিক বেনিয়মের কথা দাবি করেন তদন্তকারীরা।

    বলাগড়ে গঙ্গার পারে রিসর্ট থেকে শুরু করে ধাবা, বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে স্ত্রীর নামে কেনা দোতলা বাড়ির হদিশ পায় তদন্তকারীরা। এমনকী শান্তনুর বিরুদ্ধে বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকারও অভিযোগ ওঠে।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় অশান্তির জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, রিষড়া জ্বলছে, আর গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্র সৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে। ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘আজ কেন বোমাবাজি, তাণ্ডব? আজ তো কেউ মিছিল বের করেনি। রাজ্য সরকার দাবি করছে, সব ঠিক আছে। এই সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলার শান্তিকামী মানুষের রক্ষায় কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীই একমাত্র উপায়। উল্লেখ্য, রামনবমীর পর থেকে বার বার দফায় দফায় অশান্তি ছড়িয়েছে রিষড়ায়। তারই মধ্যে ঘটনাস্থলে না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় রয়েছেন। এ নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। 

    নো ভোট টু মমতা

    আগেই ‘নো ভোট টু মমতা’ টি শার্ট পরে প্রচারে নেমেছিলেন শুভেন্দু। সোমবার চন্দ্রকোনায় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “একমাত্র এই রাজ্যের বিজেপি সরকারই এই রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারে। কারণ বিজেপি যদি এই রাজ্যে সরকার গঠন করে তাহলে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় গঠন করে কাজ করবে।” তাতেই রাজ্যের দ্রুত উন্নতি সম্ভব বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমি রাজ্যের জনগণকে এই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসকে একটিও ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা পছন্দের কোনও দল বা প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু দয়া করে এই চোরের দলকে আপনার মূল্যবান ভোট দেবেন না।’ 

    ভোটের রাজনীতি

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “তৃণমূলকে (TMC) একদম তুলে ফেলতে হবে, একদম ভয় পাবেন না। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে রামনবমীর এত মিছিল হয়েছে, কোথাও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তৃণমূলের পাশ থেকে সংখ্যালঘুরা সরে যাচ্ছেন। বগটুই, আনিস খান ও সাগরদিঘির উপনির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন। এনআরসির নামে তাঁদের ব্যবহার করেছে এটা সংখ্যালঘুরা বুঝতে পেরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছেন। হাওড়া ও রিষড়ার হিংসার ঘটনায় তৃণমূলের গুন্ডারা যুক্ত। হাত থেকে ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে তাই এই কাজ করানো হচ্ছে”।

    আক্রমণাত্মক সুরে এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘জোঁকের মুখে নুন কেমন করে দিতে হয় তা আমরা মেদিনীপুরের পান্তাখাওয়া লোকেরা জানি। এনেছিও আমরা, সরাবও আমরা। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে লড়ে আমরা এই সভা করছি আজ৷ গত বছর ও এ বছর চার জন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    কৃষকদের হয়ে সওয়াল

    এদিন কৃষকদের হয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি কৃষকদের জন্য। এই এলাকায় আলু চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নিম্নমানের আলু বীজ, ব্ল্যাক করে সার কেনা। আলু চাষিরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিধানসভায় আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর মঙ্গলবার সকালে থমথমে রিষড়া। সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনগুলি কার্যত খালি ছিল সকালে। ট্রেন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য লাইনের ধারে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল আরপিএফ বাহিনী। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। যদিও, মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

    দু’দিন আগেই রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাত নামতেই ফের অশান্তি ছড়াল রিষড়া স্টেশনের আশপাশের এলাকায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আর তার জেরেই সোমবার রাত থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার সময় আপ ব্যান্ডেল লোকাল রিষড়া (Rishra) স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ৪ নম্বর রেল গেটের কাছে অশান্তির জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ট্রেনের ভিতরে তখন অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীতে ঠাসা।

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রেল লাইন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের অধিকাংশ দরজা, জানলা বন্ধ করে দেন। ট্রেনের ভিতরেই তিন ঘণ্টা চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা কাটান। যাত্রীদের বক্তব্য, স্টেশনে প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। ফলে, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আর বাইরে ব্যাপক বোমবাজি, চিৎকার, আগুন দেখে কেউ ট্রেন থেকে নামার সাহস পাইনি।

    রিষড়ায় (Rishra) কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়

    এমনিতেই দুদিন আগে রামনবমীর শোভাযাত্রায় গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা রয়েছে রিষড়া (Rishra) এলাকায়। সম্ভবত সেই ঘটনার জের আছড়ে পড়ে সোমবার রাতে। রিষড়া (Rishra) স্টেশনের আশেপাশে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, স্টেশনের আশপাশে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। নতুন করে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এলাকায় তখন বিশাল জমায়েত ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে তা সামাল দিয়ে এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। একইসঙ্গে আরপিএফের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ এবং আরপিএফ এক যোগে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

    জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। রেল লাইন লাগোয়া একটি গুমটির দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। পরে, পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ১টা ৮ মিনিট নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, বিক্ষোভকারীরা রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট বন্ধ করতে দিচ্ছিল না। ফলে, ট্রেন চালানো সম্ভব ছিল না। আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রেল বর্হিভূত কোনও অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Janata Party: প্রতিষ্ঠা দিবসে দেশের ১০ লক্ষ জায়গা থেকে মোদির ভাষণ সম্প্রচার করবে বিজেপি 

    Bharatiya Janata Party: প্রতিষ্ঠা দিবসে দেশের ১০ লক্ষ জায়গা থেকে মোদির ভাষণ সম্প্রচার করবে বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬ এপ্রিল ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস বিজেপির (Bharatiya Janata Party)। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালের এইদিনেই বিজেপির পথ চলা শুরু হয়। এবার প্রতিষ্ঠা দিবসকে সামনে রেখে দেশের ১০ লক্ষ জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতা সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের কর্মীদের তিনি সম্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে দেশ জুড়ে বিজেপির বুথ সশক্তিকরণ অভিযান চলছে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রতিটি বুথেই তারা এই কর্মসূচি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠা দিবসে।

    আরও পড়ুন: মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, রাহুলের মাথায় ঝুলেই রইল শাস্তির খাঁড়া

    প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি 

    দু’দিন বাদেই ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party)। ধুমধাম করে হবে তার উদযাপন। আর সেই উদযাপনের অংশ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতা সম্প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। জোরকদমে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। কয়েকজন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ কিছু বক্তৃতা দেশজুড়ে সম্প্রচার করা হবে। আর তার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।

    জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লিতে বিজেপির (Bharatiya Janata Party) প্রধান কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি কিছু বক্তব্য রাখবেন। তারপর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির কার্যালয় থেকে মোদির বক্তৃতা সম্প্রচার করা হবে। আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনতে নিজ নিজ এলাকার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

    বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে বুথ স্তরে পৌঁছে গেছে নির্দেশ। সমস্ত কর্মীদের জানানো হয়েছে। কর্মসূচির রূপরেখা নিয়ে কর্মীদের চিঠিও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬ এপ্রিল থেকে শুরু করে ১৪ এপ্রিল আম্বেদকরের জন্মবার্ষিকী পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যপী কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। এই প্রচারাভিযানের মাধ্যমে সামাজিক সদ্ভাবনার বার্তা দেবে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    Sukanta Majumdar: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন! সুকান্তকে ফোন জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। হাওড়ার শিবপুর ও রিষড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য পুলিশকেও এক হাত নিয়েছেন সুকান্ত। আজ শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসারও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    নাড্ডা-সুকান্ত ফোনালাপ

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ সুকান্তকে ফোন করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ফোন করে নাড্ডা হাওড়া ও হুগলির দুই জায়গার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশদে জানতে চান। সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেসব এলাকায় অশান্তি হয়েছে সেখানে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি জে পি নাড্ডাকে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান তিনি। সুকান্ত বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করলে তবেই সত্যি সামনে আসবে।

    পুলিশে আস্থা নেই

    সুকান্ত দাবি করেন, “রাজ্যে রামনবমীর পর থেকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করছেন, তাতে আর কোনও হিন্দু মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করতে পারবেন না। “একই সঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন তিনি। বলেছেন, “হনুমান জয়ন্তীতেও যাতে হামলা চলে, সেই ইঙ্গিতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন। তোষণের নোংরা রাজনীতি করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।” রাজ্য পুলিশ ও সিআইডিকে এক হাত নিয়ে সুকান্ত বলেন, “এই দুই বিভাগ মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুরের মতো কাজ করে। মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেন তাই হয়। সত্যি সামনে আসে না।” 

    আজ শ্রীরামপুরে অবস্থান!

    দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আজ শ্রীরামপুরে অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    তাঁর কথায়, ‘‘মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে শ্রীরামপুর বটতলায় অবস্থান শুরু করব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল হবে, যদি পুলিশ গ্রেফতার করা বন্ধ না করে। যাঁরা মার খেল, তাদের ধরছে পুলিশ। পুলিশ রিপোর্ট দিচ্ছে সব জায়গায় শান্তি। কোথাও শান্তি নেই। প্রতিবাদে বসব আমরা।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

     

  • Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বস্তার মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। একটি বা দুটি নয়, এক সঙ্গে ১৪টি বস্তা রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম। এই চিত্র কোনও সরকারি অফিসে বা ব্যাঙ্কের মধ্যে নয়, পুরুলিয়া শহরের ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ভগতসিং মোড়ে একটি কাবাড়ি দোকানের। সেখানে ডাক বিভাগের ছাপ দেওয়া প্রায় ১৪টি বস্তায় আধার কার্ড (Aadhaar Card), ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের কাগজ সহ সরকারি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে এই আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদনকারীর কাছে না পৌঁছে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন ডাক বিভাগের আধিকারিক? Aadhaar Card

    সরকারি নিয়ম অনুসারে আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদন করার পর, সেই কার্ড তৈরি হয়ে গেলে কার্ডগুলি ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। ‌কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ঠিকানার পরিবর্তে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে যাওয়ায় ডাক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নিমাইচন্দ্র সরেন বলেন, এটিএম তো স্পিড পোস্টে আসে। সেটা যার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার কাছে যাবে, না হলে ফিরে যাবে। কাবাড়ির দোকানে যাওয়ার কথা নয়। আর অত আধার কার্ড (Aadhaar Card) ওই দোকানে কী করে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

    কী বললেন কাবা়ড়ি দোকানের মালিক? Aadhaar Card

    দোকানে বস্তার মধ্যে ডাঁই হয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দোকানের মালিক চাপে পড়ে যান। কাবাড়ি দোকানের মালিক মূকাররাম আলি বলেন, আমার পুরানো জিনিস কেনার লাইসেন্স রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বই, খাতা কেনা হয়। বস্তার মধ্যেই আধার কার্ডগুলি (Aadhaar Card) রাখা ছিল। আমরা তা দেখিনি। দোকানের একপাশে ডাঁই করে বস্তাগুলি রাখা ছিল। বস্তার মুখ খোলার পরই বিষয়টি সামনে আসে। আমরা বিষয়টি জানতাম না।

    কী পদক্ষেপ নিল ডাক বিভাগ? Aadhaar Card

    জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি জানার পরই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই কাবাড়ি দোকানে হানা দেন। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ বস্তা আধার কার্ড (Aadhaar Card) সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বস্তাসহ দোকানের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে হামলা, শুভেন্দুর মামলায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজ্যে ঘটেই চলেছে। সেসব ঘিরে অশান্তিও কম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হাওড়ার ঘটনার পরই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সেই আবেদনের জেরেই কড়া পদক্ষেপ করল হাইকোর্ট। হাওড়া, হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় অশান্তির ব্যাপারে ৫ এপ্রিল, বুধবারের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিসিটিভি এবং অন্যান্য সমস্ত ভিডিও ফুটেজও জমা করতে হবে বলে হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। তবে শুধু রিপোর্ট তলব করেই আদালত থেমে থাকেনি। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনও মামলাকারী অবশ্য ঘটনার এনআইএ তদন্ত এবং অশান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৬ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার কী বললেন?

    সোমবার শুভেন্দুবাবুর আবেদনটি শুনানির জন্য ওঠে। আবেদনকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদারের সাফ কথা, ৩০ মার্চ হাওড়া এবং ডালখোলায় রামনবমীর (Ram Navami) যে মিছিল করা হয়েছিল, তাতে পুলিশের অনুমতি আগেভাগেই নেওয়া ছিল। তাহলে সেইসব মিছিলে হামলা হল কী করে? রাজ্য সরকারের উদাসীনতার পাশাপাশি  রাজভবন এবং কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এতকিছুর পরেও রবিবার হুগলির রিষড়াতেও যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, জানিয়ে দেন সেকথাও। তাঁর অভিযোগ, ওই সব এলাকার পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। 

    রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব—

    হাইকোর্টের একের পর এক প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিবপুরে শান্তিপূর্ণ মিছিল করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মিছিল শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই মিছিলকারীরা পুলিশের সেই নির্দেশ মানেনি। তারা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। হাওড়ার পরিস্থিতি আপাতত পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ঘটনায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালত এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    Priyank Kanoongo: ‘হাওড়ায় শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়’, বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপিসিআর কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় (Howrah) শিশুদের দিয়ে হিংসা ছড়ানো হয়, পাথর ছোড়ায় ব্যবহার করা হয় শিশুদের। হাওড়ায় অশান্তির ঘটনায় এই অভিযোগই করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠীকে। নির্দেশ দেন এনসিপিসিআরের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo)। ওই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিল পুলিশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার রিপোর্ট তলবও করেছে এনসিপিসিআর। 

    প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর (Priyank Kanoongo) অভিযোগ…

    শুক্রবার রামনবমী উপলক্ষে হাওড়ায় শোভাযাত্রা বের করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। শোভাযাত্রা কাজিপাড়ার কাছে গেলেই হয় হামলা। দুষ্কৃতীরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। ছোড়া হয় বোমাও। অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে হাওড়ারই শিবপুরেও। রবিবার রামনবমীর শোভাযাত্রা বের হয় হুগলির রিষড়ায়। সেখানেও হামলা হয়েছে শোভাযাত্রায়। সোমবার হাওড়ার সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠিকে লেখা চিঠিতে প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo) লিখেছেন, দিন দুয়েক আগে হাওড়ার শিবপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটে গিয়েছে, তাতে শিশুদেরও অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গিয়েছে তাদেরও। প্রমাণ হিসেবে প্রিয়ঙ্ক ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজের ট্যুইটার লিঙ্কও দিয়েছেন চিঠিতে। তলব করা হয়েছে রিপোর্টও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর

    তিলজলায় বছর সাতেকের এক শিশুকন্যাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার তদন্তে কলকাতায় এসে প্রিয়ঙ্ক তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের হাতে প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে পড়েন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। পুলিশি তদন্তে ঢিলেঢালা ভাব দেখে তিনি বলেওছিলেন, কলকাতার পুলিশ মনে হয় না খুনিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে। ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ জোগাড়েও ওরা তৎপর নয়।

    মালদহে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। স্কুলের মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয় ওই নাবালিকাকে। ওই ঘটনার তদন্তে গিয়েও সুদেষ্ণার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন প্রিয়ঙ্ক (Priyank Kanoongo)। বাংলা সফরের অভিজ্ঞতা যে প্রিয়ঙ্কর খুব একটা সুখের হয়নি, দিল্লি যাওয়ার আগেই তা জানিয়েছিলেন এনসিপিসিআর চেয়ারম্যান। তার পরেই রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় হাওড়ার সিপিকে চিঠি দিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রিষড়াকাণ্ডে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির রাজ্য সভাপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রিষড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সোমবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল কোন্নগরের বিশালাক্ষী মোড় এলাকায়। পুলিশ ব্যারিকেড করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকায়। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রিষড়ায় যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি থেকে নামতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাম নবমীর শোভাযাত্রায় মিছিলে হাঁটার সময় পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ জখম হন। তিনি হিন্দমোটরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন। এদিন সকালে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সেখানে দলীয় বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে যান। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) চলে যাওয়ার পরই সেই বেসরকারি  হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপর সুকান্তের গন্তব্য হয় রিষড়া। কিন্তু, সেখানে ঢোকার আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকানো হয়। পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকায় সুকান্তের গাড়ি। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত। এরপর বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে বিজেপি কর্মীরা। ওঠে স্লোগান। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা। পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিজেপির সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাত রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    গন্ডগোলের পরই কেমন আছে আজ রিষড়া ? Suvendu Adhikari

    রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর সোমবার থমথমে ছিল রিষড়া। এদিন সকালে রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হল। জটলা হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। সরানো হয় জমায়েত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি। সকালে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে এলাকায় রুট মার্চ করা হয়। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হয়। এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। আজ রাত ১০টা পর্যন্ত রিষড়া ও মাহেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিন তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ জনের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং ৯ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    রিষড়াকাণ্ড নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী? Suvendu Adhikari

    রিষাড়াকাণ্ডে আক্রান্ত দলীয় বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখার পর রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, হাওড়ার শিবপুরকাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী সামিম আহমেদ। তিনি তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি। আর রিষড়ার ঘটনায় জড়িত রয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলি এবং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান খান। রাম নবমীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় ওরা।

    পুলিশি বাধা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Suvendu Adhikari

    কোন্নগরে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ১১৪ ধারা জারি রয়েছে বলে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। অথচ সেখানে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পালের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা যাব।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ? Suvendu Adhikari

    তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাম নবমীর মিছিলে বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে আসা হয়েছিল। মিছিল থেকে এই ঘটনার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে।

    রবিবার রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।              

LinkedIn
Share