Blog

  • Corona: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা! নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার, মৃত ৯ 

    Corona: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা! নতুন করে আক্রান্ত প্রায় ৩ হাজার, মৃত ৯ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,৯৯৪ জন।  করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনও অবধি মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লক্ষ। এদিন ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা হানায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা এনিয়ে দেশে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৭৬ জন। দিল্লি, কর্নাটক, কেরল এবং পাঞ্জাবে ২ জন করে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এবং গুজরাটে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনার (Corona) প্রকোপে।

    আরও পড়ুন: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন?

    রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতি

    অন্যদিকে রাজধানী দিল্লিতে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৬, যা গত সাতমাসে সর্বাধিক বলেই জানা যাচ্ছে। দিল্লিতে গত ৩ বছরে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫২৯, গত বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে তা প্রকাশিত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর আমরা নজর রাখছি। এখনই কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। মূলত কোভিডের পুরনো রূপ এক্সবিবি এবং সেটার উপরূপ ১.১৬-এর জন্য সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।

    আরও পড়ুন: ‘ হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ মার্কিন মুলুকে, কেন জানেন?

    কোভিডের সঙ্গে দেশে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জাও

    কোভিডের সঙ্গে দেশে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জাও। সর্দি, কাশি, জ্বর ঘরে ঘরে। শিশু থেকে বয়স্ক সকলেই কাবু। সবথেকে বড় বিষয় হল, কোভিডের সঙ্গে এই ইনফ্লুয়েজ্ঞার উপসর্গের যেহেতু খুবই মিল, ফলে বাড়ছে বিড়ম্বনা। বিশেষজ্ঞদের মত, একটা বড় অংশের মানুষ ভুগছেন করোনার (Corona) উপসর্গে। কারও কারও রিপোর্ট পজিটিভও আসছে। তবে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা। বরং সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিড়ে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে।

    আরও পড়ুন: দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রায় ৩২,০৮৬ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2023: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৭ রানে পাঞ্জাবের কাছে হার নাইটদের

    IPL 2023: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৭ রানে পাঞ্জাবের কাছে হার নাইটদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলের (IPL) ১৬তম সংস্করণে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করল কেকেআর (Kolkata Knight Riders)। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৭ রানে জেতে পাঞ্জাব কিংস (Punjab Kings)। শনিবারের বিকেলে কলকাতাকে এগিয়ে রেখেই খেলা দেখতে শুরু করেছিলেন শহরের ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু ম্যাচ যত এগোয়, ব্যাটে-বলে কেকেআর-এর ব্যর্থতা প্রকট হয়।

    ছন্নছাড়া বোলিং

    টস জিতে প্রথমে বোলিং নিয়েও সুবিধা করতে পারেনি নাইটরা। তার পর ব্যাট করতে নামার সময়ও বিপত্তি। সময় মতো স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট না জ্বালানোয় ব্যাট করতে নেমেও সাজঘরে ফিরে যেতে হয় কলকাতার দুই ওপেনারকে। সব আলো জ্বলার পর ২১ মিনিট দেরিতে ব্যাট করতে নামেন মনদীপ সিং এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ। কলকাতার ইনিংসের ১৬ ওভারের পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ১৬ ওভারের পর কলকাতার রান ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬। এই সময় কলকাতাকে জিততে হলে ১৫৩ রান করতে হত। সেই হিসাবে ৭ রানে হেরে গেল নাইট রাইডার্স।

    ব্যাটিং ব্যর্থতা

    প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাব কিংস তোলে ৫ উইকেটে ১৯১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান এবং তিন নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপক্ষে। তাঁদের জুটিতে উঠল ৮৬ রান। ধাওয়ান করলেন ২৯ বলে ৪০ রান। মারলেন ৬টি চার। রাজাপক্ষের ব্যাট থেকে এল ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস। কলকাতার সফলতম বোলার টিম সাউদি। নিউজিল্যান্ডের জোরে বোলার ২ উইকেট নিলেও দিলেন ৫৪ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাল কলকাতা। শুরুর দিকের ব্যাটাররা কেউই উইকেটে থিতু হতে পারলেন না। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল করলেন ১৯ বলে ৩৫ রান। রাসেলের ব্যাট থেকে এল ৩টি চার এবং ২টি ছয়। আর কেউই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি।

    নাইটদের ভুল

    ওপার বাংলার শাকিব বা লিটনের এখনও পর্যন্ত দলে যোগ না দেওয়া কিংবা শ্রেয়স আইয়ারের চোট সব মিলিয়ে যে বিধ্বস্ত নাইট শিবির তা তাঁদের দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। নীতীশ রানার দল শনিবার অনেকগুলি জায়গাতেই ভুল করেছে। এদিন বোলার আন্দ্রে রাসেলকে ব্যবহারই করল না কলকাতা। তাঁর কোনও চোট রয়েছে কিনা, সেটা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু মাঝের দিকে ওভারে রাসেল যথেষ্ট সক্রিয়। সেই জায়গায় তাঁকে ব্যবহার করতেই পারতেন নীতীশ রানা। প্রথম থেকেই কলকাতার জোরে বোলাররা ব্যর্থ। প্রথমে পঞ্জাবের প্রভসিমরন গিল এবং পরে ভানুকা রাজাপক্ষ যথেচ্ছ পিটিয়েছেন উমেশ যাদব, টিম সাউদি বা শার্দূল ঠাকুরকে। 

    আরও পড়ুন: ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার, নো-ওয়াইডে ডিআরএস, পেনাল্টি! জেনে নিন চলতি আইপিএলের একগুচ্ছ নতুন নিয়ম

    কবে আসবেন শাকিব-লিটন

    আইপিএলে আসতে অনেক দেরি শাকিব আল হাসানদের। ৪ এপ্রিল থেকে শুরু আয়ারল্যান্ড টেস্ট। সেই দলে রয়েছেন শাকিব এবং লিটন দাস। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে টেস্ট দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেখানে শাকিব অধিনায়ক। তিনি ছাড়াও দলে রয়েছেন লিটন দাস। তিনি সহ-অধিনায়ক। ৮ এপ্রিল পর্যন্ত টেস্ট হবে। তার পর কলকাতা আসবেন শাকিবরা। প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচ বাদ দিয়ে কলকাতার তৃতীয় ম্যাচ ৯ এপ্রিল। সেই ম্যাচেও শাকিবদের না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: বঞ্চনার অভিযোগ? রাজ্যকে ১২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র

    Mid Day Meal: বঞ্চনার অভিযোগ? রাজ্যকে ১২০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। দু দিন ধরে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির নীচে ওই একই অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। তার পরেই রাজ্যের কাছে এল ১২০০ কোটি টাকার ফান্ড। মূলত মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। এই খাতে কেন্দ্র যে টাকা পাঠায় তারই দ্বিতীয় কিস্তি পাঠানো হয়েছে মার্চে। সূত্রের খবর, মার্চের শেষের দিকেই টাকা এসেছে। জানা গিয়েছে, মিড-ডে মিলের জন্য দেওয়া হয়েছে ৬৩৮ কোটি টাকা, সমগ্র শিক্ষা মিশনে ৫৭৬ কোটি টাকা।

    রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    ১০০ দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ২৯ ও ৩০ মার্চ ধর্নায় বসেছিলেন মমতা। তাঁর আশা ছিল, কেন্দ্রের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ধর্না মঞ্চে দাঁড়িয়ে সে কথা বলেওছিলেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের তরফে যোগাযোগ করা হয়নি তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ওই টাকা লাগানো হচ্ছে খয়রাতির কাজে। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের নাম বদলও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই টাকা লুঠের অভিযোগও উঠেছে।

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে মিড-ডে মিলের মান পরীক্ষা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এরপরই এই খাতে বকেয়া ৬৩৮ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পরে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায় রাজ্য সরকার। সেই অ্যাকশন আদৌ নেওয়া হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রাজ্যের ১০ জেলায় যাবেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গই কেন্দ্রের কাছ থেকে (Mid Day Meal) আবাস যোজনার টাকা পায়নি। সে ক্ষেত্রেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এই রাজ্য পুরোটাই কেন্দ্রের অনুদান নির্ভর। রাজ্য রাজস্ব থেকে আয় করতে ব্যর্থ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    Tribal People: ৫ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি আদিবাসীদের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঠিকানা সেই কুস্তাউর রেল স্টেশন। গত বছর পুরুলিয়া জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগের এই স্টেশনে টানা পাঁচদিন রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। ফের একই কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে চলেছেন রেলযাত্রীরা। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে সামিল হতে চলেছে কুরমি সমাজ। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা (মূল মানতা) অজিতপ্রসাদ মাহাতো। কয়েকদিন আগেই জেলা ও রাজ্য কমিটির সমস্ত পদাধিকারীদের নিয়ে পুরুলিয়া বিটি সরকার রোডে অবস্থিত কার্যালয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    কেন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত? Tribal People

    কুরমি জাতিকে এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, ৫ এপ্রিল রেল অবরোধ কর্মসূচির নিশ্চয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেই বিভ্রান্তি কাটল কুরমি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতোর দিল্লি সফরের পর। কারণ, দিল্লি সফরে গিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় আদিবাসী (Tribal People) কল্যাণ মন্ত্রক রাজ্য সরকারের কাছে ২০১৭ সালের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে শুধুমাত্র কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন চেয়েছিল। কিন্ত, রাজ্য সরকার সেই রাস্তায় না হেঁটে কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে। আদিবাসী (Tribal People) কুরমি সমাজ সহ কুরমিদের বিভিন্ন সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে বারবার এই বিষয়ে দরবার করেও বিফল হয়েছে। অজিতবাবু বলেন, কুরমিদের এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। কুরমিদের স্বাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্তু, সেই কথা তারা রাখেনি। তাই, দাবি পূরণে আবারও রেল অবরোধ করতে কোমর বেঁধে নামবে আন্দোলনরত কুরমি সৈনিকরা।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? Tribal People

    রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, যে কোনো সমাজ নিজের অধিকারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাতেই পারে। যদি তাদের দাবি সঠিক হয়, তাহলে সেই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার বার বার বলছে, রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছি। এভাবে কুরমি সম্প্রদায়কে ধোঁয়াশার মধ্যে রেখেছে তারা এবং পরিষ্কারভাবে কিছুই বলছে না। সরকারের উচিত সমাজের ন্যায্য দাবিগুলো দেখা। রেল অবরোধ নিয়ে তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়বে। তবে রেল অবরোধ না করে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে অন্য পন্থা অবলম্বন করলে ভালো হবে।

    কী বললেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি? Tribal People

    পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাদের জন্য কী তথ্যপ্রমাণ পাঠানো জরুরি, সেই বিষয়ে নির্দেশিকা রয়েছে সংবিধানে। তারপরেও কেন্দ্র টালবাহানা করছে। যদিও রেল অবরোধ কর্মসূচিকে আমরা সমর্থন করছি না।

    আদিবাসীদের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কী বক্তব্য? Tribal People

    কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেবে না। কোনও জাতিকে এসটি তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজনের দায় একমাত্র রাজ্য সরকারের। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের পাঠানো বিভিন্ন রিপোর্ট পরীক্ষা করতে পারে মাত্র।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    Himanta Biswa Sarma: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা হিমন্তের, মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের সমান ডিএ (DA) দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। বেশ কিছুদিন অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীদের কয়েকজন। পরে অনশন তুলে নেওয়া হলেও, জারি রয়েছে আন্দোলন। এই আবহে সরকারি কর্মীদের ডিএর হার ৪ শতাংশ বাড়িয়ে কেন্দ্রের সমান করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির (BJP) হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, আমাদের সরকার তার কর্মচারীদের প্রতি যত্নশীল। আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে রাজ্যের বেতনভোগী ও পেনশনভোগীদের এখন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির হিসেবে তাঁরা এই নতুন হারে ডিএ পাবেন। বর্তমানে নতুন ডিএর হার ৪২ শতাংশ।

    হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ শুভেন্দুর…

    পড়শি রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ায় নয়া অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। হিমন্তের (Himanta Biswa Sarma) ট্যুইট-বার্তার উল্লেখ করে অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, দুঃখজনক যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকারি কর্মীদের চোর এবং ডাকাত বলে সম্বোধন করে।

    অন্য দিকে, আমি অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে গেরুয়া অভিনন্দন জানাচ্ছি। যিনি সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪ শতাংশ হারে বাড়িয়ে তা কেন্দ্রের দেওয়া ডিএর সমান করে দিয়েছেন। এগিয়ে বাংলা, না বঞ্চিত বাংলা?

    আরও পড়ুুন: ‘হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, শিলিগুড়িতে বললেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্র ডিএ দিচ্ছে ৪২ শতাংশ হারে। আন্দোলনকারীদের দাবি, ডিএর ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে সরকারি কর্মীরা। বকেয়া ডিএর দাবিতেই দু মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে আন্দোলন। 

    এদিকে, বকেয়া ডিএর (Himanta Biswa Sarma) দাবিতে যে ধর্না চলছে, রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াতে এবার তা দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের তরফে অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, টানা তিন দিন ধরে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে দিল্লিতে হবে ওই ধর্না। তিনি জানান, ধর্নায় যৌথমঞ্চের অন্তত ১২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • CV Ananda Bose: ‘হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, শিলিগুড়িতে বললেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’, শিলিগুড়িতে বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার পরিস্থিতির দিকে পুলিশ নজর রাখছে। রাজভবনেও আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এ কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। জি-২০ (G-20) সম্মেলনে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে এসেছেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর স্ত্রীও। বাগডোগরা বিমানবন্দরে রাজ্যপাল বলেন, হাওড়ার পরিস্থিতির দিকে পুলিশ নজর রাখছে। রাজভবনেও আলাদা সেল তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, ছন্দে ফিরছে হাওড়া। স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসছে।

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেন…

    হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় শুক্রবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছেও আলাদা করে হাওড়ার ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। রাজ্যপাল বাগডোগরায় জানান, হাওড়ার ঘটনায় পুলিশ এলাকায় মনিটরিং করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হওয়ার আগে সিভি আনন্দ বোস কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে ডেকে হাওড়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর কাছে ডিটেলস রিপোর্ট নেন। এর পরেই রাজভবন থেকে জারি করা হয় বিবৃতি। তাতে বলা হয়, কেউ যদি ভাবেন মানুষকে বোকা বানাতে হিংসার আশ্রয় নেবেন, তাহলে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। মানবাধিকারের বিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে বাংলা একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংঘর্ষ পাকানো ও প্ররোচনা সৃষ্টিকারীদের তা বোঝানো হবে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    পুলিশকে ইতিবাচক, শক্ত ও ন্যায্য অবস্থানে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে রাজভবন (CV Ananda Bose) থেকে। হাওড়ার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেছিলেন রাজ্য সরকারকে। ঘটনায় সরব হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। অন্যদিকে, হাওড়ার ঘটনায় তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্ত করতে তদন্তকারীদের একটি দল গিয়েছে শিবপুরে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে তারা। মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রশিদ মুনির খান শনিবার সকালে যান শিবপুরে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। ঘটনার পর পরই হাওড়া সিটি পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছিল। এবার সিটি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার বুঝে নিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত? কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা? অন্য রুটে কেন ঢুকেছিল শোভাযাত্রা? কোন কোন পুলিশের ওপর কী কী দায়িত্ব ছিল? এই বিষয়গুলি মূলত সিআইডি খতিয়ে দেখবে।

    সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন? Ram Navami

    সিআইডি-র তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন আইজি সিআইডি (ওয়ান) বিশাল গর্গ ও ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) সুখেন্দু হীরা। শনিবার তাঁরা এলাকা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। স্টিল ছবির পাশাপাশি চলছে ভিডিওগ্রাফি। ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোট নিচ্ছেন সমস্ত কিছুর। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। হাওড়ায় বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তরফ থেকে একটি বিশেষ দলও শিবপুর এলাকায় আসার কথা। তারাও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট যাবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি দফতরের হাতে।

    গন্ডগোলের পর কেমন আছে শিবপুর? Ram Navami

    শনিবারও শিবপুরের একাধিক এলাকা থমথমে। পুলিশি টহলদারি এবং ধড়পাকড়ের মাঝেই সাধারণ জীবনে ফেরার চেষ্টায় স্থানীয় কাজিপাড়া। সেখানে বেশ কিছু দোকানপাটও খোলা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা কয়েকটি জায়গায় কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, এখনও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।  

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার? Ram Navami

    এদিন এলাকা ঘুরে দেখেন হাওড়া সদরের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় ৩৮ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় টহল চলছে মানুষের মধ্যে যাতে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তার চেষ্টা চলছে। সমস্ত মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।”

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Ram Navami

    এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল কীভাবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। তাঁর সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। সম্ভবত উনি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছি সুফল হবে। যারা ঝামেলা করেছে গ্রেপ্তার হবে।”

     

    শিবপুরের অশান্তিকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা যখন তুঙ্গে, তখন বিশেষ সেল খুলেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথা হয়। রাজ্যপাল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজভবন রিয়েল টাইম মনিটরিংয়ের জন্য স্পেশাল সেল খুলেছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপই করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hinduphobia: হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ মার্কিন মুলুকে, কেন জানেন?

    Hinduphobia: হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ মার্কিন মুলুকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুফোবিয়ার (Hinduphobia) নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ হল মার্কিন মুলুকের জর্জিয়া প্রদেশের অ্যাসেম্বলিতে (Georgia Assembly)। এর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল ইতিহাস। এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রদেশে হিন্দুফোবিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল। অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন আটলান্টার ফোর্সিথ কাউন্টির প্রতিনিধি লরেন ম্যাকডোনাল্ড ও টড জোন্স। হিন্দুফোবিয়ার নিন্দা করে প্রস্তাব পাশ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে মার্কিন-হিন্দু সম্প্রদায়।

    হিন্দুফোবিয়ার (Hinduphobia) নিন্দা…

    হিন্দুফোবিয়া ও হিন্দু-বিরোধী গোঁড়ামির বিরুদ্ধাচরণ করে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম ধর্ম। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ১.২ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের ধর্ম হিন্দুধর্ম। বৈচিত্রের ঐতিহ্য রয়েছে এই ধর্মের। রয়েছে মূল্যবোধ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিও। জানা গিয়েছে, আটলান্টার (Hinduphobia) ফোর্সিথ কাউন্টি অঞ্চলটি হিন্দু অধ্যুষিত। মার্কিন-হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষও বাস করেন এই অঞ্চলে। প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, মার্কিন-হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা বিরাট অবদান রয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে। অবদান রয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফর্মেশন টেকনোলজি, হসপিটালিটি, ফিনান্স, অ্যাকাডেমিয়া, ম্যানুফ্যাকচারিং, এনার্জি এবং খুচরো ব্যবসায়। আরও অনেক ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে তাদের।

    প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, এই সম্প্রদায়ের অন্যতম অবদান হল যোগা, আয়ুর্বেদ, ধ্যান, খাবার, সঙ্গীত এবং শিল্প। আমেরিকান সমাজের একটা বড় অংশ হিন্দু সংস্কৃতিকে গ্রহণ করেছে। লক্ষ লক্ষ আমেরিকাবাসীর জীবনকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁরা। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গত কয়েক দশকে আমেরিকার নানা প্রান্তে মার্কিন-হিন্দুদের (Hinduphobia) ওপর ঘৃণা-অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। সেই সংক্রান্ত লিখিত বিবরণ রয়েছে বলেও বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বলা হয়েছে, কিছু শিক্ষাবিদ হিন্দু ধর্মের অবমাননাকে সমর্থন করেন এবং হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলির বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ এনেছেন।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনার জেরে আটলান্টায় কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ অফ নর্থ আমেরিকার তরফে পালন করা হয় হিন্দু অ্যাডভোকেসি ডে। ২২ মার্চ জর্জিয়া স্টেট ক্যাপিটলে আয়োজন করা হয় ওই অনুষ্ঠানের। জানা গিয়েছে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই দলেরই প্রায় ২৫ জন আইন প্রণয়নকারী উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। কোয়ালিশন অফ হিন্দুজ অফ নর্থ আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব মেনন বলেন, আমাদের সম্মানীয় প্রতিনিধি লরেন ম্যাকডোনাল্ড ও টড জোন্স এবং আরও আইন প্রণয়নকারীরা আমাদের এই প্রস্তাব পাশ করতে যাবতীয় সাহায্য করেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচি। শনিবার ঘটা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহার কৃষ্ণপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসে। সেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা টেবিল পেতে বসে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। আবেদন পত্র জমা  নিচ্ছেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আচমকাই তাল কাটল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ আসার পর। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বিদ্যুত্ দপ্তরও ছিল। সেখানে টেবিল পেতে বিদ্যুত্ দপ্তরের কর্মীরা বসেছিলেন। সেই ক্যাম্প শুরু হওয়া মাত্র তৃণমূলের ওই নেতারা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ওপর সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র সহ টেবিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের চূড়ান্ত ধমক দেন তাঁরা। যতক্ষন না পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে ততক্ষণ দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা রীতিমতো হুমকি দেন। পরে, কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    কেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতা? Duare Sarkar

    বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকায় ২টি পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। ২০২২ সালে পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বঞ্চিত পরিবারের লোকজনেদের নিয়ে গিয়ে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু, পাঁচ মাস হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ হয়নি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প়ঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বার বার দরবার করেছেন। বিদ্যুত্ দপ্তরে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় সদস্যের কাছে বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়া পরিবারের লোকজন ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন নতুন করে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) শুরু হতেই তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি দলবল নিয়ে এসে তান্ডব চালান।

    কী বললেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য? Duare Sarkar

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পর তিনদিনের মধ্যে কাজ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ভালো পরিষেবা পাওয়ার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পরও আমার বুথের দুটি পরিবার এখনও বিদ্যুত্ সংযোগ পেলেন না। এতে আমাকে এলাকার কথা শুনতে হচ্ছে। তাই ঘটা করে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবির না করার কথা বলেছি।

    বিদ্যুত্ দপ্তরে আবেদনকারী কী বললেন? Duare Sarkar

    বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলেন অজিত বাগদি নামে এক বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলাম। পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, মেলেনি বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পুনরায় আবেদন করার কথা বলা হয়। কবে, বিদ্যুত্ সংযোগ পাব তা জানি না।

    কী বললেন বিদ্যুত্ দপ্তরের আধিকারিক? Duare Sarkar

    এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সোহেল হাসান বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে। আসলে বিদ্যুৎ দফতরের নতুন সংযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট টাকা জমা না দিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে। এতে দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Duare Sarkar

    কাঁকসা ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) লোক দেখানো প্রকল্প। সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ দেখাচ্ছে, এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PAN-Aadhaar: এবার ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগেও বাধ্যতামূলক প্যান-আধার নম্বর, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    PAN-Aadhaar: এবার ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগেও বাধ্যতামূলক প্যান-আধার নম্বর, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে (Post Office Scheme) বিনিয়োগের জন্যও বাধ্যতামূলক করা হল প্যান ও আধার নম্বর (PAN-Aadhaar)। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের শেষ দিন শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে এবার থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রবীণ নাগরিকদের সঞ্চয় প্রকল্প কিংবা সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় টাকা রাখতে হলে গ্রাহককে জমা দিতে হবে প্যান ও আধার নম্বর। যাঁদের আধার কার্ড নেই, তাঁদের আধার কার্ডের নথিভুক্তিকরণ নম্বর দিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট খোলার দিন থেকে ছ মাসের মধ্যে সেই গ্রাহককে প্যান ও আধার সংযুক্তিকরণ করতেই হবে।

    ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প (Post Office Scheme)…

    প্যান ও আধার নম্বর (PAN-Aadhaar) দেওয়া না হলে সঞ্চয় প্রকল্পের অ্যাকাউন্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। প্যান এবং আধার (Aadhaar Card) নম্বর দেওয়া হলে ফের চালু হবে অ্যাকাউন্ট। জানা গিয়েছে, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্যান দেওয়া না হলে, বিনিয়োগকারীদের তা করতে হবে দু মাসের মধ্যে। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই দু মাসের সীমা কার্যকর না। জেনে নিন, কোন কোন ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না এই নিয়ম। যে কোনও সময় অ্যাকাউন্টের অর্থের পরিমাণ যদি ৫০ হাজার টাকার গণ্ডি পেরিয়ে যায় বা কোনও অর্থবর্ষে যতবার ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে, সেটা সার্বিকভাবে যদি ১ লাখ টাকা ছাপিয়ে যায়, অথবা কোনও মাসে যদি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি তোলা হয়, তাহলে সেই সময় বাধ্যতামূলকভাবে প্যান কার্ড জমা দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, সুকান্তকে ফোন করে খোঁজ নিলেন অমিত শাহ

    অ্যাকাউন্ট খোলার দু মাসের আগে বাধ্যতামূলকভাবে প্যান কার্ড জমা দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। প্রসঙ্গত, এত দিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল স্বল্প সঞ্চয়ে লগ্নি করতে চাইলে গ্রাহক প্যান ও আধার কার্ড (PAN-Aadhaar) জমা নাও করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে বিদ্যুৎ বিল বা পুরসভার ট্যাক্সের নথি জমা করতে হত। এবার থেকে এসব আর লাগবে না। জমা দিতে হবে প্যান ও আধার এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি। উল্লেখ্য, শুক্রবারই নির্দিষ্ট কিছু স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share