Blog

  • Gas Cylinder Price: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন?

    Gas Cylinder Price: আজ থেকে অনেকটাই দাম কমল রান্নার গ্যাসের! কলকাতায় কত হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন আর্থিক বছরের শুরুতেই সুখবর! গ্যাস সিলিন্ডারের (Gas Cylinder Price) দাম কমছে। এক ধাক্কায় ৮৯.৫০ টাকা কমছে দাম। তবে এই দাম কমছে কেবল বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রান্নার কাজে ব্যবহৃত LPG ও শিল্পে ব্যবহৃত RSP- দুই ধরনেরই গ্যাস সিলিন্ডারের (Gas Cylinder Price) দাম কমছে। গার্হস্থ্য গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কমছে না। অর্থাৎ গার্হস্থ্য ১৪.২ কেজির এলপিজি (LPG) সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত থাকছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

    কলকাতায় কত ছিল বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম, হল কত?

    সূত্রের খবর, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার (LPG) এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারের (RSP) কলকাতায় বর্তমান দাম ছিল ২,২১৫ টাকা। এই দুই ধরনের গ্যাস সিলিন্ডারেরই দাম ৮৯.৫০ টাকা কমছে। ফলে কলকাতায় বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ১৯ কেজির LPG ও RSP গ্যাস সিলিন্ডারের নতুন দাম কমে দাঁড়াল ২,১৩২ টাকা। আজ, ১ এপ্রিল থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে। তবে গৃহস্থের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার (LPG)-এর দাম কমছে না অপরিবর্তিত থাকছে। অর্থাৎ ১৪.২ কেজি গার্হস্থ্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম থাকছে ১,১২৯ টাকা। দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য অনুসারে ১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে দিল্লিতে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের মূল্য হয়েছে ২০২৮ টাকা। মুম্বইতে ১৯৮০ টাকা। চেন্নাইতে হয়েছে ২১৯২.৫০।

    খুশি হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা এবং এলপিজি গাড়ি চালকরা

    বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হ্রাস পাওয়ায় যেমন শিল্প-কারখানা ও হোটেল ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা খানিকটা স্বস্তি পেলেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল, তেমন মধ্যবিত্তের জন্যও এটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক বলা চলে। কেননা, মধ্যবিত্ত শ্রেণিরই অনেকে হোটেল ব্যবসা এবং এলপিজি চালিত গাড়ির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জ্বালানি তেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় প্রায় ৯০ টাকা হ্রাস পাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তি পেলেন তাঁরা। এছাড়া বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম হ্রাস পাওয়ায় এলপিজি চালিত গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধিরও এখনই সম্ভাবনা থাকছে না। যা নিত্যযাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক।

    বাড়ল উজ্জ্বলা যোজনার ভর্তুকি 

    কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে ১৪.২ কেজির সিলিন্ডারে ২০০ টাকা করে ভর্তুকি আরও একবছর বাড়ানো হবে। অর্থাৎ যে সব পরিবার উজ্জ্বলা প্রকল্পের অধীনে এলপিডি ব্যবহার করেন, তাঁরা ২০২৪-এর মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    Howrah Shibpur Violence: হাওড়ার শিবপুরের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা, কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুরে (Howrah Shibpur Violence) অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস (C.V Anand Bose)। গোটা ঘটনার পর্যবেক্ষণে ‘স্পেশাল সেল’ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তের খবর নেবেন রাজ্যপাল। রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হাওড়া-শিবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    রাজভবনের বার্তা

    শুক্রবার বিকালে রাজভবনের (Raj Bhavan) তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, “শিবপুরে অশান্তির ঘটনায় রাজভবন কড়া নজর রেখেছে। হনুমান ধর্ম রক্ষা করতে লঙ্কায় আগুন লাগিয়েছিলেন। এখানে অধর্মের জন্য যাঁরা আগুন লাগিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছেন।” এই ঘটনাটি (Howrah Shibpur Violence) ‘মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ’ বলেও রাজভবনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাকে একজোট হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় পুলিশকে শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সক্রিয়, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে বলেছে রাজভবন। হামলাকারীদের কড়া বার্তা দিয়ে রাজভবনের তরফে আরও জানানো হয়, সাধারণ মানুষের জীবন, সম্পদ, সম্মান রক্ষার জন্য রাজভবন চোখ কান খোলা রাখছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    শুভেন্দুর বার্তা

    হাওড়া-শিবপুর প্রসঙ্গে (Howrah Shibpur Violence) রাজ্যপালের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু ট্যুইটে বলেছেন, ‘রাজভবন চোখ-কান খোলা রাখবে, এটা শুনে ভাল লাগছে। এবার দুষ্কৃতীদের ধরতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ উল্লেখ্য, এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    SSC Scam: অয়নের সম্পত্তির পরিমাণ ১০০ কোটি! নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অবাক ইডি-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Sil) প্রায় ১০০ কোটির সম্পত্তির হদিশ মিলল। ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত অয়ন শীলের নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি ছুঁই ছুঁই। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে এমনটাই খবর। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তি হল অয়নের, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতির আখড়া

    ইডি সূত্রের খবর, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) অন্য়তম আখড়া। অয়ন, তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের মিলিয়ে ৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেবল অযোগ্য প্রার্থী নয়, চাকরির বিনিময়ে যোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকেও নেওয়া হয়েছিল টাকা! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দেওয়ায়, জয়েনিং লেটার পাওয়ার পরও, চাকরিপ্রাপকের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    অয়নের নোটপ্যাড রহস্য

    অয়নের নোটপ্যাড থেকেও মিলেছে নানা তথ্য।  ইডি সূত্রে খবর, সাদা রঙের ২টি নোটপ্যাডই ছিল লাল ফিতেয় মোড়া। তাতে উল্লেখ রয়েছে একাধিক নাম। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা হাতে পেয়েছে ইডি। তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় উঠে আসেন অয়নের ঘনিষ্ঠরাও। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এলআইসির এক প্রাক্তন এজেন্টের ব্যাপারেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তাঁর বাড়িও হুগলিতে। নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) যুক্ত অয়ন এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    DA Protest: ধিক্কার দিবস পালন ডিএ আন্দোলনকারীদের! মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘চোর-ডাকাত’ মন্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার দিবস পালন করলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। আগামী ৬ এপ্রিল কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের বার্তা এরপরে ধর্মঘটেরও ডাক দেবেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘উনি আমাদের চোর-ডাকাত বলেননি। তাঁর যে ভাইবোনেরা ধরনা মঞ্চে তাঁর পাশে বসে ছিলেন, তাঁদের কথাই বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের কাছে তিনি পরে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। বলেছেন, আপনাদের চোর-ডাকাত বলতে চাইনি। তিনি নিজেকেও নিজে চোর-ডাকাত বলেছেন।’  এরপর ভাস্কর বাবু আরও বলেন, ‘তাঁর ভুলভাল কথা শোনার জন্য রাজ্যের কর্মচারী শিক্ষকরা আর প্রস্তুত নন। যেদিন মিউ মিউ ঘেউ ঘেউ মন্তব্য করেছিলেন, সেদিন থেকেই যদি আমরা কর্মবিরতি পালন করতাম, আমাদের তাহলে এতটা দেখতে হত না। তবে আমরা এখন জেগে গিয়েছি। তিনি একটা কথা বললে, পাঁচটা কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

    প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আগামী ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে যন্তরমন্তরে ধরনা কর্মসূচি পালন করব আমরা। এই কর্মসূচি পালনের পর আমরা রাজ্যে এসে মিছিল করব। কালীঘাট থেকে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিট হয়ে শহিদ মিনার পর্যন্ত হবে মিছিল। আগামীতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটও ডাকা হবে।’ এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মিছিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিএ আন্দোলকারীরা।  রাজ্যের প্রশাসন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিরোধীদের এক জোট হওয়ার আহ্বান

    সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম থেকে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা দলীয় পতকা ছাড়াই ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এসেছেন। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি জানতেন সাগরদিঘিতে মানুষ তার দল বিজেপিকে ভোট দেবে না। তবু, তারা সেখানে বিরোধী হিসাবে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”ঝালদায় কংগ্রেস জিতেছে। কোনও বিরোধ হয়নি। বিজেপি মনে করে, রাজ্যে এই তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হলে, নো ভোট টু মমতা বলতে হবে। আমরা সব বিরোধীদেরই সেটাই বলতে বলছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    PM Modi: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) কোনও কলেজের ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই। শুক্রবার এমনটাই জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট (Gujarat High Court)। প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ করার জন্য সরব হওয়ায় আম আদমি পার্টি (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। দেশের একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দরকার, এই প্রচার শুরু করেছে আম আদমি পার্টি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে এমন প্রচারের পাশাপাশি তাঁর ডিগ্রির প্রমাণ চেয়ে জাতীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ডিগ্রি…

    এদিন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন খারিজ করে দেয় চিফ ইনফর্মেশন কমিশনের অর্ডার। তাদের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারকে। একই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গুজরাট ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারদেরও। গুজরাট হাইকোর্ট অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এই মর্মে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে। কেজরিওয়ালই প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছিলেন। এরপরই চিফ ইনফর্মেশন কমিশন একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়।

    আরও পড়ুুন: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দেওয়া তথ্য অনুসারে ১৯৭৮ সালে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন। মাস্টার্স করেছেন ১৯৮৩ সালে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি ছিল, একজন ডক্টরেট ও একজন শিক্ষাগত যোগ্যতাহীন ব্যক্তির মধ্যে গণতন্ত্রে কোনও বিভাজন করা হয় না। এই ক্ষেত্রে কোনও জনগণের স্বার্থও জড়িত নয়। পরন্তু এতে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। জন প্রতিনিধি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার সঙ্গে তাঁর ডিগ্রির কোনও সম্পর্ক নেই। কারও শিশুসুলভ কৌতুহলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না। আরটিআইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থ ছাড়া কোনও কিছু জানতে চাওয়া অযৌক্তিক বলেও জানিয়েছিলেন তুষার মেহতা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে আইনজীবী পার্সি ক্যাভিনা বলেন, এই আবেদন মোটেই শিশুসুলভ কৌতুহল নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছি। মার্কশিট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Awas Yojana: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    PM Awas Yojana: আবাস যোজনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তাদের নাম নথিভুক্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় দলের (central team) সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে সে ব্যাপারে ৬ মার্চ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পেশ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট কতটা সঠিক, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ফের আসছে কেন্দ্রীয় দল। ওই দলের সদস্যরা ঘুরে দেখবেন রাজ্যের দশ জেলা। এবার তাঁদের গাইড করবেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা। দশ জেলার জন্য একজন করে অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন।

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas Yojana)…

    জেলাশাসকের সঙ্গে পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় দলের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁরাই। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতর জেলাগুলিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PM Awas Yojana) উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন নিয়ে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগেও রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। জেলাশাসক বা জেলা প্রশাসনের কর্তারাই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ওই দলের সদস্যরা কিছু সুপারিশ করেছেন রাজ্যের কাছে। তা কার্যকরের পর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছিল। সেই মতো ৬ মার্চ অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায় রাজ্য।

    আরও পড়ুুন: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    জানা গিয়েছে, এই দফায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঘুরে দেখবেন মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। পক্ষকালের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিবকে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, উপভোক্তা তালিকা নিয়ে অভিযোগের (PM Awas Yojana) ভিত্তিতে ন্যাশনাল লেভেল মনিটারিং দল কয়েকটি ক্ষেত্রে ত্রুটি নিয়ে রাজ্যকে কিছু সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিল। যার ভিত্তিতে গত ৬ মার্চ রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠায়। এই রিপোর্ট কতটা সঠিক, তা দেখতেই কেন্দ্রীয় দলের এই সফর। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই এই কেন্দ্রীয় দলের আধিকারিকরা যাবেন ওই দশ জেলায়।

    প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় চলতি আর্থিক বছরে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮টি বাড়ি তৈরির জন্য ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যের দাবি, উপভোক্তা তালিকা নিয়ে নানা অভিযোগের অছিলায় বারংবার কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    Ram Navami: রাম নবমীর মিছিলে বিজেপির সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেতারা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থেকে কনভয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটাল যাচ্ছিলেন।  রাস্তাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম বলেছিলেন স্থানীয় দুই যুবক। তারজন্য মুখ্যমন্ত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে তেড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের দিকে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ভাটপাড়ায়। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতেই এই দুটি ঘটনার সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। জয় শ্রীরাম ধ্বনি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ্য করতে পারেন না তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও হয়েছে অনেক । দলের সুপ্রিমো রাম নাম পছন্দ করেন না তো কী হয়েছে,   বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে চিত্কার করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুললেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন। সঙ্গে তিনি বিজেপি কর্মীদের ডেকে ডেকে কপালে গেরুয়া সিঁদুর পড়িয়ে দিলেন। নিজেও গেরুয়া সিঁদুরে নিজের সিঁথি রাঙিয়ে তোলেন। অনেক বিজেপি কর্মী তাঁরসঙ্গে সেলফিও তোলেন। এক কথায়  রাম নবমী (Ram Navami) নিয়ে একেবারে অন্য দৃশ্য ধরা পড়ল বোলপুরে। যা দেখে সাধারণ মানুষও হতবাক। যদিও, দুপক্ষের যুক্তি রাজনীতির বাইরে গিয়ে উৎসবে মেতেছে সকলে।

    রাম নবমীর শোভাযাত্রায় তৃণমূলের যোগ নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Ram Navami

    গত কয়েক বছর ধরে রাম নবমী (Ram Navami)  উদযাপনকে হাতিয়ার করে শক্তিপরীক্ষা করে চলেছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি নেতাদের উদ্যোগে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়েছে। পালটা শোভাযাত্রা বের করেছে তৃণমূল নেতারাও। তবে, অধিকাংশ জায়গায় পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু, বোলপুরে দেখা গেল অন্য দৃশ্য। রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রায় একসঙ্গে পা মেলালেন বিজেপি-তৃণমূল নেতারা। গেরুয়া সিঁদুর খেলাতেও মাতলেন সকলে। বোলপুর রেল ময়দান থেকে রাম নবমীর (Ram Navami)  শোভাযাত্রা বের হয়। সেখানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা ছিলেন। একই শোভাযাত্রায় ছিলেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ সহ তৃণমূল কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা, ওমর শেখ, তৃণমূল বোলপুর শহর সভাপতি নরেশচন্দ্র বাউড়ি সহ অন্যান্য নেতারা। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বলেন, ” রামকে নিয়ে কোন সংকীর্ণতা চলে না। তাই সকলকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। সকলে অংশ নিয়েছেন। এখানে কোনও রাজনীতি নেই।”

    বিজেপির সঙ্গে রাম নবমী পালন নিয়ে কী বললেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন? Ram Navami

    বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কোর কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতো বিরোধ চলছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের আপ্ত সহায়ক ইডি-র সামনে বোলপুর  পুরসভার চেয়ারপার্সন ও তাঁর স্বামীর নামে বিপুল পরিমাণ জমি কেনার কথা বলেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। তারজন্যই কী ঘটা করে তৃণমূলের চেয়ারপার্সনের এই রাম নাম প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ বলেন, “রাম সবার দেবতা। রাম নবমী (Ram Navami)  সবার উৎসব। এটা ছিল একটা সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে সব শ্রেণীর মানুষকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটা কোন রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বলে আমরা দেখিনি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    Justice Abhijit Ganguly: ‘মানিকের জুতোয় পা গলাবেন না’, পর্ষদ সভাপতিকে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে এ কথা বললেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গৌতমকে এদিন ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই বলেন, মানিক ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাবেন না। মাথা নেড়ে গৌতম বলেন, আচ্ছা ধর্মাবতার।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন…

    ২০১৪ সালের টেট সার্টিফিকেট দিতে দেরি হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সব শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদ সভাপতিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো শুক্রবার আদালতে হাজিরা দেন গৌতম। তিনি জানান, আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে এত দিন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতকে জানান তিনি। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, আমার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাতারাতি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সময় টাকা থাকে, আইনজীবীদের পিছনে ৩০ লাখ টাকা খরচ করার সময় অসুবিধা হয় না, অথচ টেটের শংসাপত্র দেওয়ার সময় অর্থনৈতিক রীতিনীতির দোহাই দেওয়া হয়।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এত ভূরি ভূরি অনিয়মের অভিযোগ আসছে এবং আদালতের কাছে এত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে সংগঠিত হওয়া ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দেওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, এটা করলে কিছু বৈধভাবে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, একজনও বৈধ প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমার ভাল লাগবে না। এখনও এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কিছু দালাল বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, দু দিন আগে নিয়োগ কেলেঙ্কারির একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেছিলেন, নির্দ্বিধায় মিথ্যে বলা অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। মানিককে জেরা করা নিয়ে সিবিআইয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, এটা কোনও জেরা হয়েছে? এর থেকে তো আমি ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করি। কলকাতা হাইকোর্টের অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Agitation: তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে গেল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি! কোথায় জানেন?

    Agitation: তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে বাতিল হয়ে গেল দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে শাসক দলের পক্ষ থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দলীয় নির্দেশ মেনে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান। এলাকাবাসীর অভাব অভিযোগ শোনার আগেই দলীয় কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের (Agitation) মুখে পড়ে কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের রাজহাটি এলাকায়। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জেলা নেতৃত্বকে দেখে কেন বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা? Agitation

    শুক্রবার সকালে খানাকুলের রাজহাটি এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জয়দেব জানা, ব্লক সভাপতি অনুপ মাইতি সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। কর্মসূচি শুরু করার আগেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরেন। কী কারণে তাঁরা না জানিয়ে এলাকায় ঢুকেছেন তা তাঁরা জানতে চান। এরপরই দলীয় কর্মসূচির কথা বলতেই তাঁরা নেতাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভে (Agitation)  ফেটে পড়েন। প্রকাশ্যে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের (Agitation) জেরে জেলা নেতৃত্ব কর্মসূচি বন্ধ রেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী অনুপ মান্না বলেন, গত এক মাস ধরে আমরা এলাকায় মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তুলে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি পালন করছি। আর আমাদের মতো কর্মীদের না জানিয়ে জেলা নেতৃত্ব আর ব্লক নেতৃত্ব জনসংযোগ করতে এসেছিল। আর সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিল, যাদের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ব্লক সভাপতির সঙ্গে কেউ নেই। যে কজন রয়েছে সব দুর্নীতিগ্রস্ত। ব্লক সভাপতি নিজেও দুর্নীতিগ্রস্ত। এসব লোকজন নিয়ে এলাকায় জনসংযোগ করলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। আমরা তৃণমূল দলকে ভালোবাসি। তাই, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের জন্য দলের ক্ষতি হোক আমরা চাই না। দলীয় কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

    দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান? Agitation

    কোনও বিক্ষোভই (Agitation) হয়নি বলে দাবি করলেন তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনির জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানা। তিনি বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো আমি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। কোনও বিক্ষোভ (Agitation) হয়নি। তবে, কর্মসূচি বন্ধ রেখে কেন তাঁরা ফিরে গেলেন সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলেননি।

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি? Agitation

    বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। এই ঘটনা সারা বাংলা জুড়ে ঘটছে। আরও ঘটবে। এখন তো দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখাচ্ছে। আগামীদিনে এই ক্ষোভ জনরোষের আকার নেবে। সাধারণ মানুষ তৃণমূল দলটাকে আর সহ্য করতে পারছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Rohatgi: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Mukul Rohatgi: মুকুল কতবড় আইনজীবী দেখতে হবে তো! বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাকরি খোয়ানো কর্মপ্রার্থীদের একাংশের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সওয়াল করছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)। প্রবীণ এই আইনজীবী এক সময় কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলায় সওয়াল করতে গিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বিরুদ্ধে রুলিংয়ের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মুকুল রোহতগি কে? তাঁকে একবার দেখতে চাই। তিনি কত বড় আইনজীবী দেখতে হবে তো!

    মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi)…

    প্রসঙ্গত, বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে মুকুল রোহতগি (Mukul Rohatgi) বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে একজন মহামান্য বিচারপতি রয়েছেন। যিনি কথায় কথায় দু হাজার, পাঁচ হাজার জনকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিচ্ছেন। সকালে নির্দেশ দিয়ে বলছেন, বিকেলের মধ্যে বরখাস্ত করতে হবে। যাঁদের চাকরি যাচ্ছে, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। উনি কলকাতা হাইকোর্টের কোনও রোস্টারও মানছেন না। সংবাদ মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়ে রুল জারির হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের রুলিং দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সেই দাবি মানেনি।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ শুভেন্দু

    এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর সিবিআই-ইডির যৌথ তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিলই হল না। শুধুমাত্র ডায়েরি নম্বরের ভিত্তিতে তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে কি যা ইচ্ছা করা যায়? জমিদারি নাকি? প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর গত ২ মার্চ সিবিআই ও ইডির যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ঘটনাটি অবশ্য ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার। ওই বছর টেটের ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালে নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ নিয়ম মেনে হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য ইডি ও সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share