Blog

  • Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফাঁস নয়া তথ্য। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (TMC) শান্তনুর (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্মাণ সংস্থা ডিআইপি ডেভেলপারে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের (Kalighat) কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হুগলির সত্যপির তলায় বহুতল নির্মাণ করছে ডিআইপি ডেভেলপার। এর অন্যতম অংশীদার প্রিয়ঙ্কা। এই সংস্থার ব্যালেন্স শিট থেকেই জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছেন কালীঘাটের কাকু। তবে ওই ব্যালেন্স শিটের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কালীঘাটের (Kalighat) কাকুর কারবার…

    জানা গিয়েছে, চন্দননগরের জিটি রোডের পাশে কাঠা ছয়েক জমির ওপর বহুতল নির্মাণের চুক্তি হয়। তার নকশা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু হয় বুকিংও। তাতেই টাকা ঢেলেছেন কালীঘাটের কাকু। ডিআইপি ডেভেলপারের ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে ওই সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। ৯৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে, শান্তনুকে ১০ লক্ষ ও প্রিয়ঙ্কার ছেলের নামে থাকা সংস্থা ইভান কনট্রেডকে ৪০ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। ডিআইপি ডেভেলপারের অন্যতম অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানান, সত্যপির তলার ওই প্রকল্পে তাঁদের তিনজনের বিনিয়োগ রয়েছে। কালীঘাটের কাকুর বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি (কালীঘাটের কাকু) দোকান নেবেন বলে অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সমস্ত তথ্যই তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত কুন্তলকে চেনেন না বলে দাবি করলেও, শান্তনুকে চেনেন বলে দাবি করেছেন কালীঘাটের কাকু। এবার জানা গেল, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায়ই ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। সূত্রের খবর, চুঁচুড়া, চন্দননগর, হাওড়ার মুন্সিরহাট সহ কয়েকটি জায়গায় রিয়েল এস্টেটে প্রিয়ঙ্কার নামে লগ্নি করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করতেই কি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ, উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর আগে তাঁর ৩০টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। অয়নের সঙ্গে শান্তনুর কী ধরনের বোঝাপড়া ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Pradeep Sarkar: চলে গেলেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক প্রদীপ সরকার! শোকস্তব্ধ বলিউড-টলিউড

    Pradeep Sarkar: চলে গেলেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক প্রদীপ সরকার! শোকস্তব্ধ বলিউড-টলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডে আবার ইন্দ্রপতন। শুক্রবার ভোর রাতে চলে গেলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার (Pradeep Sarkar)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। রাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন ‘পরিণীতা’-র পরিচালক। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য অন্যান্য ছবির মধ্যে অন্যতম লগা চুনরি মেঁ দাগ, মর্দানী, হেলিকপ্টার ইলা, লাফাঙ্গে পরিন্দে। সূত্রের খবর, আজ বিকেল ৪টেয় সান্তাক্রুজে দাহ করা হবে তাঁকে। পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টিনসেল টাউন।

    ট্যুইটারে শোকজ্ঞাপন

    আজ ট্যুইটারে চিত্রপরিচালকের প্রয়াণের খবর শেয়ার করেন হংসল মেটা (Hansal Mehta)। খবর ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যেই। শোকস্তদ্ধ টলিউড থেকে শুরু করে বলিউড। বাঙালি পরিচালক (Pradeep Sarkar) বলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন ভীষণ সফলভাবে।

    অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পরিচালক। জানা গিয়েছে তাঁর ডায়লাসিস চলছিল। শরীরে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে গিয়েছিল পটাশিয়ামের পরিমাণ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাত তিনটে নাগাদ। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

    ২০০৫ সালে বিদ্যা বালন (Vidya Balan), সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) অভিনীত ‘পরিণীতা’ ছবির হাত ধরে পরিচালনার জগতে পা রাখেন প্রদীপ (Pradeep Sarkar)। প্রথম ছবিতেই তাঁর কাজ মন ছুঁয়ে গিয়েছিল টলিউড ও বলিউডের দর্শকদের। এরপর রানি মুখোপাধ্যায় (Rani Mukherji), কঙ্গনা সেনশর্মা (Kankana Sensharma), অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bacchan) অভিনীত ছবি ‘লগা চুনরি মে দাগ’ তিনি উপহার দিয়েছিলেন দর্শকদের। অন্যধারার এই ছবিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।

    এরপর লাফাংগে পরিন্দে’ (Lafange Pharinde), ‘হেলিকপ্টার এলা’ (Helicopter Eela)-র মত ছবিও উপহার দেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ট্যুইটারে শোকজ্ঞাপন করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরা ‘নাটু নাটু’

    ক্রিয়েটিভ আর্ট-ডিরেক্টর হিসাবে মূলধারার বিজ্ঞাপনে ১৭ বছর কাটিয়েছিলেন প্রদীপ (Pradeep Sarkar)। জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ১৯৭৯ সালে দিল্লি কলেজ অফ আর্ট থেকে স্বর্ণপদক নিয়ে স্নাতক হন। ছবি পরিচালনা শুরুর আগে তিনি অসংখ্য় জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিয়োর পরিচালক ছিলেন। লেখক ও পরিচালক হিসেবে তিনি সম্মানজনক অ্যাবি পুরস্কার, রাপা পুরস্কার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mann Ki Baat: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    Mann Ki Baat: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিংহভাগ দেশবাসীর চোখের মণি তিনি। মুসলিম সমাজেও রয়েছে তাঁর তুঙ্গ জনপ্রিয়তা। এসব কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত (Mann Ki Baat) রেডিও অনুষ্ঠানের ভাষণ নিয়ে উর্দু ভাষায় লেখা দেড়শো পাতার বই প্রকাশ করছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি (BJP)। শুক্রবারই শুরু হয়েছে রমজান মাস। পবিত্র ইদ পালিত হবে এ মাসেই। সেই কারণেই বই প্রকাশের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে পবিত্র এই মাসটিকেই। বইটিতে মন কি বাত-এর বাছাই করা ১২টি ভাষণ লিপিবদ্ধ হবে। প্রতিটি ভাষণেই রয়েছে মুসলিম সমাজের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর ভাবনার কথা। নাম ‘ওয়াজির-এ-আজম জনাব নরেন্দ্র মোদি কে মন কি বাত’। উর্দু ভাষায় ওয়াজির-এ-আজম শব্দের অর্থ হল প্রধানমন্ত্রী।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত (Mann Ki Baat)…

    ‘বিজেপি মুসলিম বিরোধী’— কৌশলে এই তত্ত্ব প্রচার করেছেন বিরোধীরা। তার জেরে মুসলিমদের একাংশ ভুল বুঝছেন পদ্ম শিবিরকে। মুসলিমদের এই অংশের মন পেতে গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাতায়াত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও দলকে সব ধর্মের গরিব মানুষের মধ্যে দলের প্রভাব বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে দরিদ্রতম মুসলমানদের নিয়ে সম্মেলনও করেছে বিজেপির উত্তর প্রদেশ শাখা। দেশের মুসলমান সমাজের উন্নতিকল্পে গুচ্ছ উন্নয়ন ভাবনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত-এর (Mann Ki Baat) বিভিন্ন পর্বে।

    আরও পড়ুুন: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    রেডিওয় শোনা সেই ভাষণগুলিকেই দুই মলাটের মধ্যে আনার পরিকল্পনা করেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যের বিজেপি। উত্তর প্রদেশে লোকসভার আসন রয়েছে ৮০টি। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই বিলি করা হবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্বলিত সেই বই। রমজান মাসেই বড় করে অনুষ্ঠান করে প্রকাশ করা হবে ‘ওয়াজির-এ-আজম জনাব নরেন্দ্র মোদি কে মন কি বাত’। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। চারশোরও বেশি আসনের টার্গেট নিয়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। যেহেতু উত্তর প্রদেশে লোকসভার আসন সব চেয়ে বেশি, তাই এই রাজ্যকেই পাখির চোখ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণেই সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে পদ্ম শিবির। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সম্বলিত বই (Mann Ki Baat) প্রকাশের পরিকল্পনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup 2023: এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানেই! তবে ভারত খেলবে অন্য দেশে

    Asia Cup 2023: এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানেই! তবে ভারত খেলবে অন্য দেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) আয়োজন করছে পাকিস্তানই। কিন্তু ভারত খেলবে অন্য দেশে। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল পড়শি দেশে খেলতে যেতে একেবারেই রাজি নয়। সমাধানস্বরূপ ভারত-পাকিস্তানের (India vs Pakistan) ম্যাচ সম্ভবত পাকিস্তানের বাইরে অন্য কোনও দেশে আয়োজিত হতে পারে। ভারত নিজেদের ম্যাচগুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান বা শ্রীলঙ্কায় খেলতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। 

    দুই দিক বজায় রেখে সিদ্ধান্ত

    গত বছর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেছিলেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব না। এশিয়া কাপ (Asia Cup 2023) নিরপেক্ষ দেশে হতে পারে। পাকিস্তানে দল যাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেয়। সেটা নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হবে।’’ সেই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় পিসিবি। পাকিস্তান ঘরের মাঠে এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ হারাতে রাজি ছিল না। তাই দুই দিক বজায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চার কন্যা! ৪ রুপো নিশ্চিত ভারতের

    কোথায় খেলবেন রোহিতরা?

    রোহিতরা কোন দেশে খেলবেন তা এখনও ঠিক হয়নি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ওমান, শ্রীলঙ্কা যে কোনও জায়গায় হতে পারে ভারতের ম্যাচ। ভারত বনাম পাকিস্তান-সহ পাঁচটি ম্যাচ হতে পারে অন্য দেশে। ভারতীয় দল নিজেদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি তো নিরপেক্ষ মাঠে খেলবেই, পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়া যদি এশিয়া কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হয়, তাহলে টুর্নামেন্টের ফাইনালও নিরপেক্ষ মাঠেই আয়োজিত হবে। মোট ছ’টি দেশ খেলবে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2023)। ভারত এবং পাকিস্তান একই গ্রুপে রয়েছে। সেপ্টেম্বরে হবে এই প্রতিযোগিতা। ৫০ ওভারের ম্যাচ হবে এ বারের এশিয়া কাপে। ভারতের গ্রুপে পাকিস্তান ছাড়াও আরও একটি দেশ খেলবে। সেই দেশ যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলে আসবে। অন্য গ্রুপে থাকবে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। মোট ১৩টি ম্যাচ খেলা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসছেন তিনি। ওই দু দিনই ধর্নায় বসছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই দু দিন তারা ধর্নায় বসবে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। বিজেপির ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের সব বিধায়ককেও ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদেরও। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    তৃণমূল ও বিজেপির ধর্না (Dharna)…

    বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মঙ্গলবার ওড়িশা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বকেয়া সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধ ও বৃহস্পতিবার আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য। বিভিন্ন খাতের টাকা প্রকৃত খাতে ব্যয় না করে খরচ করা হয়েছে খয়রাতি প্রকল্পে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দশ বছরে পাওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। রাজ্যের উচিত অবিলম্বে এই হিসেব দেওয়া। তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই সঙ্গে আমরা পথেও নামতে চলেছি। টানা আন্দোলন চলবে। জগন্নাথ বলেন, পুলিশ ওই দিন ধর্নায় (Dharna) বসার অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    তৃণমূলের মোকাবিলায় গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২৭ মার্চ, সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকের দফতরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি দেবে বিজেপি। পরের দিন বিজেপির কিসান মোর্চার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামনবমী। এদিন রাজ্যে শোভাযাত্রা করবে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর উদ্যোক্তা বিজেপি না হলেও, দলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সব মিছিলে। এপ্রিলেও একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women’s World Boxing Championships: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চার কন্যা! ৪ রুপো নিশ্চিত ভারতের

    Women’s World Boxing Championships: বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চার কন্যা! ৪ রুপো নিশ্চিত ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলা বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের (Women’s World Boxing Championships) আসরে ভারতীয় বক্সারদের দাপট। চারটে রুপো নিশ্চিত করলেন চার বক্সার। ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন চার বক্সার নীতু ঘনঘাস (Nitu Ghanghas), নিখাত জারিন (Nikhat Zareen), লভলিনা বরগোহাইঁ (Lovlina Borgohain) ও স্বাতী বোড়া।

    ম্যাচের বিবরণ

    ভারতের সামনে চার চারটি সোনা জয়ের হাতছানি। এদিন ভারতীয় বক্সারদের (Women’s World Boxing Championships) মধ্যে সর্বপ্রথম মাঠে নামেন নীতু। ৪৮ কেজি বিভাগে কাজাখস্তানের আলুয়া বালকিবেকোভার মুখোমুখি হয়েছিলেন নীতু। গতবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে আলুয়ার বিরুদ্ধে নীতুকে হারতে হয়েছিল। তবে এ বার মধুর প্রতিশোধ নিলেন নীতু।  ৫-২ স্প্লিট ডিসিশনে ম্যাচ জিতে নেন নীতু। ৫০ কেজি বিভাগে ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্যে রিও অলিম্পিক্সের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন গত বারের চ্যাম্পিয়ন নিখাত। কলম্বিয়ান প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই দাপট দেখেন নিখাত। সেমিফাইনালে ৫-০ ব্যবধানে ভ্যালেন্সিয়াকে হারান জারিন। 

    আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে ভারতকে টেক্কা! ২১ রানে তৃতীয় একদিনের ম্যাচ জিতে ২-১-এ সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

    দাপট অব্যাহত লভলিনার

    ৭৫ কেজি বিভাগে ফাইনালে পৌঁছেছেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী বক্সার লভলিনা বরগোহাইঁ। তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে ভারত। দুই বারের অলিম্পিক পদকজয়ী, চিনের লি কিয়ানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ফাইনালে নিজের জায়গা পাকা করেন লভলিনা। প্রথম রাউন্ডে দুই তারকাই একে অপরকে কড়া টক্কর দেন। ৩-২ প্রথম রাউন্ড জিতে নেন লভলিনা। স্প্লিট ডিসিশনে শেষমেশ টোকিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী কিয়ানকে হারান অসমের লভলিনা। দিনের শেষ ম্য়াচে ৮১ কেজি বিভাগে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিপক্ষ এম্মা গ্রিনট্রিকে হারান স্বাতী।  ৪-৩ ব্যবধানে জেতেন ভারতীয় বক্সার। চার কন্যা ফাইনালে উঠে রুপো জয় নিশ্চিত করলেও ভারতীয় সমর্থকদের আশা, শনি ও রবিবার ফাইনালের আসরে তাঁরা যেন সোনার মেয়ে হয়েই দেশে ফেরেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Death Penalty in India: মৃত্যুদণ্ড তাদেরই দেওয়া হোক, যাদের সংশোধনের সুযোগ নেই, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    Death Penalty in India: মৃত্যুদণ্ড তাদেরই দেওয়া হোক, যাদের সংশোধনের সুযোগ নেই, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty in India ) কেবল সেই সব দোষীকেই দেওয়া হোক, যাদের সংশোধনের কোনও সম্ভাবনাই নেই। পর্যবেক্ষণে এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (D Y Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে সুন্দররাজন নামক এক ব্যক্তিকে দেওয়া প্রাণদণ্ডের আদেশ মকুব করে দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, প্রয়োজনে কেন্দ্রের উচিত কম বেদনাদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ কোনও উপায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা।

    মৃত্যুদণ্ড (Death Penalty in India )…

    ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাই কি সব থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সেরা উপায়? বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি অ্যাটর্নি জেনারেল বেঙ্কটরামানিকে এমনই পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই মর্মেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, মৃত্যুর মধ্যে যেন মর্যাদা থাকে, যতটা সম্ভব কম বেদনাদায়ক হতে হবে মৃত্যু। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি নিজেরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অপারগ হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের তরফে তাঁরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দেবেন, যেখানে রাখা হতে পারে এইমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিজ্ঞানীদের।

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    এ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ফাঁসিতে মৃত্যুর (Death Penalty in India) প্রভাব, কতটা পরিমাণ ব্যথা হয়, মৃত্যু হতে কতক্ষণ সময় লাগে -এই সব বিষয়ে আমাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরুন। আজ বিজ্ঞান যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুই কি সব থেকে কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর পন্থা না কি এর থেকে কম যন্ত্রণার মৃত্যুও সম্ভব, যেখানে পূর্ণ মাত্রায় মর্যাদা রক্ষার দিকটি সুরক্ষিত থাকবে? জানান আমাদের।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় দোষী সুন্দররাজন সাত বছর বয়সি এক শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছিল। সেই মামলায় ২০০৯ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। ২০১৩ সালে শীর্ষ আদালতে ফাঁসির মকুবের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিল সুন্দররাজন। তবে ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিল উচ্চ আদালত। এর পাশাপাশি জেলে সুন্দররাজনের আচরণ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছিল আদালত। এই মর্মে কাম্মাপুরম থানার উদ্দেশে একটি নোটিশও জারি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে নতুন করে সুন্দররাজনের রিভিউ পিটিশন শোনে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট দেখে, ২০০৯ সালের ঘটনার আগে দোষীর কোনও অপরাধমূলক (Death Penalty in India) কর্মকাণ্ডের রেকর্ড নেই। এই আবহে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই দোষীর সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share