Blog

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের একী বললেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ?

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের একী বললেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ডিএ (DA) নিয়ে কলকাতায় আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের চাহিদা মতো ডিএ দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। মূলত এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম, তখন ডিএ আন্দোলনকারীদের পঞ্চায়েত ভোটের সময় কার্যত দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন ভাঙরের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে বড়ালিতে একটি দলীয় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ না করে তাঁর যত ক্ষোভ ডিএ (DA)  আন্দোলনকারীদের উপর গিয়ে পড়ে। তিনি তাঁদের অনশন আন্দোলনকে কটাক্ষ করে  বলেন, যত খায়, পোষায় আর না। এটা কিন্তু দিদির কথা। ওরাই আবার ভোট করাতে আসবে। আমাদের জায়গার লোক অন্য জায়গায় যাবে, আর অন্য জায়গার লোক এখানে আসবে। যারা সব প্রিসাইডিং অফিসার হয়। ওরা সব ওই লোক, যারা ভাতা (DA)  দাও বলে আন্দোলন করছে, ভোট করতে যাব না বলে আন্দোলন করছে। ওরা যখন বুথে আসবে, নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি করো না। সব ডিস্টার্ব। ওরা যে ভোট দিয়ে আসবে, সেখানে ডিস্টার্ব। আবার বুথে এসেও ওরা ডিস্টার্ব করবে। এরপরই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর নিদান, ওদের ডিস্টার্ব সারিয়ে দিতে হবে।

    ভোটের সময় ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীরা কী করে জানেন? DA

    ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীরা কী করেন সেটাও এদিন দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রকাশ্য সভায় বলেছেন। তিনি বলেন, ভাঙড়ের মানুষের কালচার হল আতিথেয়তা। খাবার-ফ্যান-আলোর ব্যবস্থা করে দেয় আমাদের কর্মীরা। আমাদের কর্মীরা আবার রান্নাবান্না করে খাবার নিয়ে যায়। আমি এবার বলে দিয়েছি, অতো বেশি আপ্পায়ন করার দরকার নেই। ওদের ওই মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করিস না। চাপে রাখবি। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ডিএ (DA) আন্দোলনকারীরা ভোটের সময় বুথে গিয়ে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, ওরা সবসময়ই প্রভাবিত করার চেষ্টা করে এসেছে তা ওদের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তবে, এটা ২০১৮ সাল নয়। এক চেটিয়া ভোট করিয়ে  ওরা বেরিয়ে যাবে, তা হবে না। অন্যদিকে, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। রাজভবনে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনেও এই দাবি তাঁরা জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে  কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    MGNREGA: দুর্নীতির তদন্ত করতে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল, কোথায় যাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam)  নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। যা নিয়ে শাসক দলের নাস্তানাবুদ অবস্থা। এরইমধ্যে পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে। ১০০ দিনের প্রকল্পে বড় রকম আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শুক্রবারই রাজ্যে আসছে।  সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নতুন কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে শাসক দলের মধ্যে এখন জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-২ ব্লকে ১০০ দিনের প্রকল্পের বিষয়টি সামনে আসতেই শাসক দলের পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধিরা রীতিমতো বিড়ম্বনায় পড়বেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এই ব্লকের সব পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তাই, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি হলে শাসক দলের উপর দায় চাপবে। তবে, ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam) অভিযোগে রাজ্যের একাধিক জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে রয়েছে। কাজ না করেই মাস্টার রোলে নাম তুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বহু পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যের একাধিক জেলায় পরিদর্শনে গিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে এই প্রকল্পে এলাকার মানুষ আদৌ সুবিধা পেয়েছেন কি না তা তাঁরা খতিয়ে দেখেছেন। তবে, এই দুর্নীতি নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় টিম তদন্ত করতে আসায় তারাও খুশি।

    কেন্দ্রীয় টিমে কারা রয়েছেন? Scam

     প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা মিনাক্ষী হুদা এবং তাঁর সঙ্গে দপ্তরের আরও একজন আধিকারিক রয়েছেন। শুক্রবার তাঁরা সকালেই কলকাতা পৌঁছবেন। সেখান থেকে তাঁরা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ২২ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা ১০০ দিনের প্রকল্পের দুর্নীতির তদন্ত করতে মুর্শিদাবাদ জেলায় থাকবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বেলডাঙা-২ ব্লক এই প্রকল্পের দুর্নীতির (Scam)  তালিকায় রয়েছে। জেলা শাসকের মাধ্যমে বিডিওকে এই তদন্তের কাজে সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। ফলে, এই ব্লকের যে সব পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে দুর্নীতি (Scam)  হয়েছে, সেই সব জায়গায় তাঁরা পরিদর্শনে যেতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁরা এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    Anubrata Mondal: গরু পাচারের টাকা সাদা করতে তৃণমূলের কেষ্ট বিনিয়োগ করেছিলেন আইপিএলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) নয়া মোড়। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল আইপিএলে (IPL)। অন্তত ইডির (ED) দাবি এমনই। তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শেই অনুব্রত এ কাজ করেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার টানা জেরা করা হয়েছে মণীশকে। অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁর হিসাব রক্ষককে। তখনই মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করতে লগ্নি করা হয়েছিল আইপিএলে।

    অনুব্রতকাণ্ডে (Anubrata Mondal) বিস্ফোরক দাবি…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সে ফন্দি এঁটেছিলেন মণীশ। তিনিই বুদ্ধি দিতেন অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিয়েছিলেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না। এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে ইডি। শুধু আইপিএল-ই নয়, একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মণীশ।

    ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ৬ দিনের হেফাজতে রয়েছেন মণীশ। এই ক’ দিন তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশ মেনে জেরার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন মণীশের আইনজীবীরাও। প্রতিদিন তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আধ ঘণ্টা করে সময়ও বরাদ্দ করা হয়েছে। বুধবার আদালতে তোলা হয় মণীশকে। তখনই ভেঙে পড়েন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্টট্যান্ট। আর সেটাই আমার দোষ।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি। যদিও মণীশ বলেন, উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) বলেছিলেন তিনি কিছু জানেন না। সব জানেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এবার হিসাব রক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অনুব্রত পাচারকাণ্ডের কালি ধুয়ে ফেলতে চাইছেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • India’s Per Capita Income: মোদি জমানায় ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, বলছে রিপোর্ট

    India’s Per Capita Income: মোদি জমানায় ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতীয়দের মাথা পিছু আয় (India’s Per Capita Income) বেড়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিটিকস অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় নয় বছর সময়ে দেশের জনগণের মাথা পিছু আয়ের পরিমান জাতীয় আয়ের হিসেবে দ্বিগুন হয়েছে। মাথা পিছু জাতীয় আয় ১৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এখন দাড়িয়েছে ১,৭২০০০ টাকায়। ২০১৪-২০১৫ সালে যা ছিল ৮৬,৬৪৭ টাকা।

    পর্যায়ক্রমে আয় বৃদ্ধি

    জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (NSO) তথ্যানুসারে, মোট জাতীয় আয়ের পরিপ্রেক্ষিতে মাথাপিছু আয় (India’s Per Capita Income), ২০২২-২৩ সালে ছিল ১,৭২,০০০ টাকা। এটি তার আগের বছরের তুলনায় ১৫.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সাল থেকে দ্রুত গতিতে বেড়েছে আয়। বর্তমানে গড়ে একজন ভারতীয়ের বার্ষিক আয় ১.৭২ লক্ষ টাকা। অর্থনীতিবিদদের বিশ্বাস, উপযুক্ত পুনর্বন্টন নীতির মাধ্যমে বছরে ৫%-৬%-এর মধ্যে এই মাথাপিছু আয়ের (India’s Per Capita Income) বৃদ্ধিকে ধরে রাখা যাবে। তবে এখনও দেশে সম্পদের অসম বন্টনের সমস্যা রয়ে গিয়েছে। আর সেটা দূর করাই মোদি সরকারের চ্যালেঞ্জ। 

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    আন্তর্জাতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ভারতের মাথাপিছু আয়ের (India’s Per Capita Income) গড় বৃদ্ধি ছিল বার্ষিক ৫.৬% করে। এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতির ফল এটা। কোভিডের সময় মন্দা গেলেও দ্রুত কোভিডের পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার করেছে সরকার। বর্তমান মূল্যে ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল যথাক্রমে ১,২৭,০৬৫ এবং ১,৪৮,৫২৪ টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট যে, দেশে মাথাপিছু আয় (India’s Per Capita Income) ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথা পিছু আয়বৃদ্ধির বিষয়টি সমৃদ্ধির বৃদ্ধিতে প্রতিফলিত হয়। তাঁরা বলছেন, মোদি সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, যা গরিবদের সাহায্য করেছে। সরাসরি সরকারি প্রকল্পের সাহায্য পেয়েছেন অনেক মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে জনধন অ্যাকাউন্ট, মুদ্রা লোন, খাদ্যের অধিকার কর্মসূচিতে বিনামূল্যে রেশনের মতো বিষয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    Teacher: শিক্ষকের চাকরি করলে লোন দেবে না ব্যাঙ্ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষকরাই (Teacher) সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁদের কথা এলাকার আর পাঁচজন মান্যতা দেন। কিছুদিন আগেও শিক্ষকরা ব্যাঙ্কে গেলে কর্মীরাও অনেক খাতির করতেন। পাড়ায় কেউ শিক্ষক পদে চাকরি করেন শুনলে সকলেই সেই পরিবারকে সমীহ করে চলতেন। এমনকী বিয়ের বাজারে শিক্ষক (Teacher)  পাত্র পেলে মেয়ের বাবার তো কথাই নেই। প্রতিবেশীরা সেই পরিবারকে কিছুটা আড় চোখে দেখতেন। এতদিন এটাই ছিল চেনা চিত্র। কিন্তু, আদালতের নির্দেশে রাজ্যে শয়ে শয়ে বাতিল হয়েছে শিক্ষক (Teacher)  এবং অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি। এখনও চলছে বাতিলের প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত দুর্নীতি খুঁজে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। রাজ্যের ভুয়ো শিক্ষকদের (Teacher) চাকরি বাতিলের ঘটনায় বৈধ শিক্ষকরাও সামাজিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। সামাজিক অমর্যাদার পাশাপাশি, সামাজিক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সোশ্যাল মিডিয়াতে শিক্ষকদের নিয়ে ট্রোল হচ্ছে। এবার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ব্যাঙ্কে লোন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লোন না দেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    শিক্ষকদের কেন লোন দিতে আপত্তি ? Teacher

    এমনিতেই চাকরিজীবীদের ব্যাংক থেকে লোন নিতে খুব একটা সমস্যা হয় না। কিন্তু, শিক্ষকদের (Teacher) ক্ষেত্রে ব্যাংক গুলি সাধারণত বুঝে নিতে চাইছে, সেই শিক্ষকের চাকরি আইনত বৈধ আছে কিনা। শিক্ষকের  নিয়োগ কতদিন আগে হয়েছে, সে বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানতে চাইছে ব্যাংক। ঠিক এইভাবেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বৈধ নিয়োগের শিক্ষকদের‌ও। যা শিক্ষকদের (Teacher) কাছে অমর্যাদার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সিইও তনুজ কুমার সরকার বলেন, ব্যাংক ব্যবসা করতে এসেছে। ফলে, লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত কিছু দেখে নিতে হয়। যাতে তা পরিশোধ হতে পারে। আমাদের শাখা ব্যাঙ্ক থেকে এর আগে অনেক শিক্ষকদের লোন দিয়েছে। তাদের অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে। লোনের টাকা এখন আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই, বর্তমানে শিক্ষকদের নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে কিছুটা সতর্ক থাকতে হচ্ছে। মূলত, যে সাল থেকে শিক্ষকদের নিয়ে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেই সময়ের শিক্ষকদের নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা।

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাম শিক্ষক সংগঠনের নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, শিক্ষকদের (Teacher) হয়রানি না করে যাতে ব্যাঙ্ক লোন পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। অপরদিকে, শিক্ষা দফতরের দুর্নীতিতে যারা চাকরি পেয়েছেন, তার দায়‌ও সরকারের। ফলে, সরকারকেই এই দায় নিতে হবে। এর আগে কয়েকটি ব্যাঙ্ক করেছিল। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলে সমস্যা মিটে গিয়েছে। তৃণমূল শিক্ষা সেলের সদস্য বিপুল কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাধারনত ঋণ দেওয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি বা কাগজপত্র দেখে নেয়। ঋণের বিষয়টি ব্যাংকের ব্যাপার। ব্যাংক সবকিছু খতিয়ে দেখতেই পারে। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষক মহা সঙ্ঘের সদস্য শুভেন্দু বক্সী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম জড়িত, তাদের তো চাকরি যাচ্ছেই, কিন্তু যারা বৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এই ঘটনায় তাদেরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হয়েছে। বৈধ শিক্ষকদের (Teacher)  বিভিন্নভাবে সামাজিক হয়রানি হতে হচ্ছে। এটা যাতে না হয় সেই বিষয়টি দেখা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Army Helicopter Crash: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার! নিখোঁজ দুই পাইলট

    Army Helicopter Crash: অরুণাচলে ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার! নিখোঁজ দুই পাইলট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহড়া চলাকালীন অরুণাচল প্রদেশের চিন সীমান্তে মান্ডালা পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার (Cheetah helicopter)। বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেনা সূত্রে খবর, সীমান্ত এলাকায় রুটিন উড়ানের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে (Army Helicopter Crash)। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সেনাবাহিনী। কিন্তু পাইলটদের পাওয়া যায়নি।

    কী ঘটেছিল

    সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ আচমকাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টারটির (Army Helicopter Crash)। সেনার জনসংযোগ আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়ত বলেন, “বমডিলায় মহড়া চলছিল ওই হেলিকপ্টারটির। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টারটি মান্ডালায় ভেঙে পড়েছে। হেলিকপ্টারের (Army Helicopter Crash) খোঁজে ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।” অরুণাচল প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ওড়ার পর সেঙ্গে গ্রামের কাছে মিসামারিতে এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেলিকপ্টারটির। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বাংজালেপ গ্রামের বাসিন্দারা জিরাং থানায় জানান যে, একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়তে দেখেছেন তাঁরা। এই ঘটনায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং মেজর পদমর্যাদার দুই পাইলট নিখোঁজ। 

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বহুদিন ধরেই রয়েছে চেতক, চিতা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এবং সেনাবাহিনী অনেক বছর ধরেই চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহার করে আসছে। ১৯৬০-৭০ সাল থেকে ভারতীয় সেনার অস্ত্রসম্ভারে রয়েছে চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিও বদলেছে। কিন্তু এই দুই প্রাচীন কপ্টারকে সে ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত করা হয়নি। এই হেলিকপ্টারগুলির পরিস্থিতি এখন আর ততটা ভালো নয়। এই আবহে এই হেলিকপ্টারগুলিকে বদলের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও সীমান্ত ঘেঁষা উঁচু অঞ্চলে বাহিনীর লাইফলাইন এই হেলিকপ্টার। বর্তমানে প্রায় ২০০টি চিতা এবং চেতক হেলিকপ্টার নিযুক্ত রয়েছে সামরিক বাহিনীর পরিষেবাতে। উল্লেখ্য, এর আগে গতবছরই অরুণাচলপ্রদেশে সেনা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা (Army Helicopter Crash) ঘটেছিল। সেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    Mamata Banerjee: কলকাতা হাইকোর্টে মিলল না মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অনুমতি  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। তাঁদের হয়ে সওয়াল করার অভিযোগ উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে। তার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার মামলা করার ব্যাপারে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত ওই অনুমতি দেয়নি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্যের একটি অংশ নিয়ে অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এখানে নেই, আমি সুব্রতদাকে বলব, যিনি এখানে আছেন, এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে এত সহজে চাকরি কেড়ে নেবেন না। ওই অনুষ্ঠানে চাকরি বাতিল নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের একাধিক অংশেরও বিরোধিতা করেছেন বিকাশ।

    প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, প্রাইমারি, নবম-দশম সব মামলা হাইকোর্টের বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। তার পরেও আলিপুর আদালতের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেনেশুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমরা ক্ষমতায় আসার পর একটা সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। রোজ কথায় কথায় চাকরি বাদ দিচ্ছে। কালও দুজন আত্মহত্যা করেছে। যদি কেউ ভুল করে তার দায় কেন সবাই নেবে। তিনি বলেন, একটু ভেবে দেখবেন। ছেলেমেয়েরা যেন অবিচারের শিকার না হয়, তাঁদের চাকরিটা আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিকাশের যুক্তি, আদালতের নির্দেশে যখন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হচ্ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এমন মন্তব্য করলেন কেন? এই প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন জানানো হয় হাইকোর্টে। বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণের আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ কয়েকজন আইনজীবী। বৃহস্পতিবার সে ব্যাপারেই আদালত জানায়, বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবে। এদিন আদালতে হলফনামা জমা দেন বিকাশ। হলফনামার সারমর্ম হল, আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করুক। তখনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিকাশের উদ্দেশে বলেন, আপনি কেন মামলা দায়ের করছেন না?  তখন বিকাশ বলেন, তাঁর হলফনামায় একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে স্পষ্ট, মুখ্যমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপি করে যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চাকরি যাচ্ছে আদালতের নির্দেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য আদালত অবমাননা ও বিচার ব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরির কৌশল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ravi Chaudhary: মার্কিন এয়ার ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত রবি চৌধুরী

    Ravi Chaudhary: মার্কিন এয়ার ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত রবি চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগের এয়ার ফোর্সের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত রবি চৌধুরী (Ravi Chaudhary)। বুধবার সেনেটে ৬৫-২৯ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন রবি চৌধুরী। পেন্টাগনে এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ।

    কে এই রবি চৌধুরী

    রবি চৌধুরী (Ravi Chaudhary) এর আগে পরিবহন দফতরে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে অ্যাডভান্স প্রোগাম এবং ইনোভেশনের ডিরেক্টরের পদে ছিলেন তিনি। আমেরিকার বিমান বাহিনীতে ১৯৯৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছেন। C17 যুদ্ধ বিমানের পাইলট হিসেবে আফগানিস্তান এবং ইরাকে যুদ্ধও করেছেন রবি। সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নাসায় মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়েও কাজ করেছেন রবি চৌধুরী। ওবামা প্রশাসনে এশিয়ান আমেরিকান এবং উপসাগরীয় দ্বীপগুলির প্রেসিডেন্ট উপদেষ্টা কমিটিতেও ছিলেন রবি।

    ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়েই বাইডেন জানিয়েছিলেন, সেদেশে বসসবাসকারী ভারতীয়দের যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন প্রশাসন (USA Administration) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাইডেন যদি কোনও প্রশাসনিক বৈঠক করেন, তাহলে সেই ঘরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন হলেও উপস্থিত থাকবেন।  

    আরও পড়ুন: ভারতে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন বাইডেন ঘনিষ্ট এরিক গারসেটি

    শুধু সরকারি ক্ষেত্রেই নয়, বেসরকারি সংস্থাগুলিতেও শীর্ষ পদে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা। সত্য নাদেলা থেকে শুরু করে সুন্দর পিচাই-মার্কিন সংস্থাগুলির শীর্ষপদেও জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন রবি চৌধুরী (Ravi Chaudhary)। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    Recruitment scam: চাকরি বিক্রির ডিল হত কফি শপে বসে! তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment scam) আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, চাকরির ডিল করা হত কফি শপে বসে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফি শপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, ওই হোটেলের ক্যাফেটেরিয়ায় কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে নিয়োগ দুর্নীতির ব্লুপ্রিন্ট, টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বৈঠক হয়েছিল।

    ইডি আর কী কী জানাল?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment scam) গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা জানতে পেরেছেন শহর কলকাতার তিনটি অভিজাত হোটেলের কফিশপে শান্তনু, কুন্তল, তাপস মণ্ডলরা বিভিন্ন সময় বৈঠক করেছেন। শান্তনুর বয়ানের উপর ভিত্তি করে এই তিনটি হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ইডি গোয়েন্দারা যাচাই করে দেখতে চাইছেন শান্তনুর বয়ানের সত্যতা কতটা। এমনকী এও দেখা হচ্ছে, শান্তনু, কুন্তল ছাড়া আর কারা উপস্থিত থাকতেন ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এইসব অভিজাত হোটেলগুলির কফি শপে শান্তনু, কুন্তলদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে আলিপুরের একটি নামী হোটেলও। ওই কফি শপগুলিতে হয়েছে একাধিক বৈঠক। কোন কোন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হবে। তা সমস্ত কিছুই ঠিক করা হত এই বৈঠকে। শান্তনু ও কুন্তল ঘোষ ছাড়া বৈঠকে কারা থাকতেন, তা জানতেই শহরের তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।

    সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল এবং শান্তনুর যোগাযোগ সম্পর্কে আরও তথ্য ইডির হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কফি শপে গিয়ে তাঁদের মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছে কি না, তা-ও ফুটেজ দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। এর ফলে তদন্তে সুবিধা হতে পারে। তবে কোন তিন কফি শপে কুন্তল আর শান্তনু দেখা করতেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত তা গোপন রাখতে চাইছে ইডি। তবে এখন এটাই দেখার যে, ফুটেজে কী পায় ইডি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share