Blog

  • SCO: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    SCO: দিল্লিতে পরবর্তী এসসিও-র বৈঠকের জন্য পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ মোদির, কী করবে ইসলামাবাদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্তরের বৈঠকে পাকিস্তানকে (Pakistan) আমান্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে আমান্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২৯ মার্চ নয়াদিল্লিতে হবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরের বৈঠক। আর ২৭ এপ্রিল হবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা। দুই বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানকে। সূত্রের খবর, ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এই দুই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন চিন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও।

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO)…

    শান্তি ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে ১৯৯৬ সালে চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তান যৌথভাবে গড়ে তোলে সাংহাই ফাইভ। ২০০১ সালে এতে যোগ দেয় উজবেকিস্তান। সংস্থার নাম বদলে হয় সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)। ২০১৫ সালে এই সংস্থার সদস্য হয় ভারত। পরে পাকিস্তানকে এর সদস্য করে চিন।

    চলতি বছর জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সভাপতিত্বের দায়িত্বও পেয়েছে ভারত। ওই বৈঠকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে। এর পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকেও। সাংহাই কো-অপারেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। মে মাসে ওই বৈঠক হওয়ার কথা।

    সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সদস্য দেশগুলির প্রধান বিচারপতিদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে যোগ দেননি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর অটা বন্দিয়াল। সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বন্দিয়াল অংশ নিয়েছিলেন ভার্চুয়াল বৈঠকে। তাই পাকিস্তানের কোনও প্রতিনিধি আসবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    যেমন স্পষ্ট নয় পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোর ভারতে আগমনও। কারণ মাস কয়েক আগে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ভুট্টো। গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে ভুট্টো ভারতে আসেন কি না, তাও দেখার। প্রসঙ্গত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) আটটি সদস্য রাষ্ট্রে পৃথিবীর মোট ৪০ শতাংশ মানুষ বাস করেন। পৃথিবীর মোট ৩০ শতাংশ জিডিপি এই দেশগুলির নিয়ন্ত্রণে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shoaib Akhtar: ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ হয় না! শোয়েব আখতারের কথায় সমালোচনার ঝড় পাকিস্তানে

    Shoaib Akhtar: ভারত ছাড়া এশিয়া কাপ হয় না! শোয়েব আখতারের কথায় সমালোচনার ঝড় পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত না খেললে এশিয়া কাপ জৌলুস হারাবে,অভিমত পাকিস্তানের প্রাক্তন জোরে বোলার শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে দল পাঠানো হবে না। নাছোড়বান্দা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড-ও। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়ে গিয়েছিল চলতি বছর ৫০ ওভারের এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত পাক-ভূমে দল পাঠাতে নারাজ। এই প্রেক্ষিতে শোয়েবের (Shoaib Akhtar) এই মন্তব্য আগুনে ঘি ঢালল। এ হেন মন্তব্যের জেরে  শোয়েবের কপালে  জুটতে পারে দেশদ্রোহী তকমাও।

    শোয়েবের ভারত-প্রীতি

    ভারতঘেঁষা হিসেবে খ্যাতি রয়েছে শোয়েবের (Shoaib Akhtar)। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ভারতীয়দের থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। এশিয়া কাপে ভারত না খেললে ওদের অভাব অনুভব করব। এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হোক কিংবা শ্রীলঙ্কায়, ভারতের খেলা দেখতে চাই।” প্রাক্তন জোরে বোলারের মতে, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা না খেললে প্রতিযোগিতা আকর্ষণ হারাবে। বিরাট কোহলির ব্যাটিং দেখার জন্যও মুখিয়ে রয়েছেন প্রাক্তন জোরে বোলার। তিনি বলেছেন, ‘‘কোহলিকে আবার আগের মতো ব্যাট করতে দেখলে আমি এক দমই অবাক হব না। ও যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।’’

    দুই বোর্ডের লড়াই

    সম্প্রতি, দুই ক্রিকেট বোর্ডের লড়াইয়ের ফলে এশিয়া কাপ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। প্রতিযোগিতা কোথায়, কীভাবে হবে— তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। ভারতীয় বোর্ডের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে সহমত নন শোয়েব (Shoaib Akhtar)।

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের! আইপিএলের আগে ছন্দে লিটন

    দু’দিন আগেই ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজম শেঠি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ভারত ছাড়া কোনও দেশ-ই পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না। যত উদ্বেগ ভারতের। মার্চ মাসেই সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসার কথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির। এর মধ্যে শোয়েবের (Shoaib Akhtar) মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে গোটা পাকিস্তানে। শোয়েবের কথায়, খেলা কোথায় হবে তা নিয়ে ভাবতে চান না তিনি শুধু এশিয়া কাপে ভারতীয় দলকে খেলতে দেখতে চান।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    STF: ছাগল ব্যবসার আড়ালে মাদকের কারবার! শহরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার মাদক, গ্রেফতার দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শহরে উদ্ধার টাকা ও প্রায় ৫ কোটি টাকার মাদক। জানা গিয়েছে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালে চলছিল মাদকের কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সল্টলেকের সুকান্তনগরের নওভাঙা এলাকার একটি পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৫ কেজি ব্রাউন সুগার ও লক্ষাধিক টাকা। এরপর এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF)।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মোমিন খান। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, মাদক চক্রের পাণ্ডা মহম্মদ মোমিন খান ও তাঁর স্ত্রী মেহতাব। বিশেষ করে মোমিনের স্ত্রী মেহতাবই এই মাদকচক্রের কিংপিন। এর আগেও মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেহতাব। ওই দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ(STF)।

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সুকান্তনগরে মোমিনের ৫ তলার ফ্ল্যাটে হানা দেয় এসটিএফ। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে লুকনো মাদক ও টাকা উদ্ধার করে। এই মাদক কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কোথায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সূত্রের খবর, ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাটটিতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিলেছে হেরোইন এবং ব্রাউন সুগারের মত মাদক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় দেড় কিলোগ্রাম রাসায়নিক। এছাড়াও প্রায় নগদ ৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকাগুলিকে গোয়েন্দারা ট্রাঙ্কে করে নিয়ে গিয়েছেন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু নথি (STF)।

    কীভাবে খোঁজ পেল এসটিএফ?

    এসটিএফ সূ্ত্রে খবর, এই ঘটনার আগে পার্কসার্কাস এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে হানা দেয় গোয়েন্দারা। সেই জায়গা থেকেই প্রথমে বেনিয়াপুকুর থানা এবং তারপরে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর (STF) নার্কোটিক শাখার কাছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার, সল্টলেক সেক্টর চারের, ৫বি, নওভাঙার এই বাড়ির দিকে নজর পরে। এরপরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে করতে এই বিষয়ে ক্রমশ এসটিএফ নিশ্চিত হয় যে, এই ফ্ল্যাটে এমন কিছু লোকের যাতায়াত আছে যাদের গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহজনক। তখনই জানতে পারে, ছাগলের ব্যবসার আড়ালেই মাদকের ব্যবসা চালাত ওই ব্যক্তি। ধৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার আদালতে তোলা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Lalla: জানুয়ারিতেই খুলে যাবে অযোধ্যার রামমন্দির, শুরু হবে দর্শন, পুজোও

    Ram Lalla: জানুয়ারিতেই খুলে যাবে অযোধ্যার রামমন্দির, শুরু হবে দর্শন, পুজোও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই খুলে যাবে অযোধ্যার (Ayodhya) রামমন্দির (Ram Temple)। দ্রুত গতিতে চলছে নির্মাণ কাজ। মন্দিরের ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের কোষাধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ জানান, মন্দিরের ৭০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই ভগবান রামের মূর্তি (Ram Lalla) স্থাপন করা হবে। একই দিন থেকে ভক্তদের দর্শন ও পুজোর ব্যবস্থাও করা হবে।

    ভগবান রামের মূর্তি (Ram Lalla) স্থাপন…

    সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গিরি মহারাজ বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি পদ্ম দিয়ে রাম লালার মূর্তি স্থাপন করবেন। তিনি বলেন, মন্দিরে স্থাপিত হওয়ার আগে রাম লালার মূর্তি দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী প্যান্ডেলে রাখা হয়েছে। শীঘ্রই মূর্তিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। গিরি মহারাজ বলেন, মূর্তি স্থাপনের পরেও রাম মন্দির নির্মাণের কাজ চলবে।

    মন্দির নির্মাণের জন্য ভক্তদের অনুদানের পরিমাণ আগের থেকে বেড়েছে বলেও জানান গিরি মহারাজ। তিনি বলেন, অনুদানের পরিমাণ গত কয়েক দিনে তিনগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন এক কোটি টাকার বেশি নগদ অনুদান আসছে। চলতি বছর ৩০ মার্চ রামনবমী। জানা গিয়েছে, এবারও ঘটা করে পালিত হবে উৎসব। রাম নবমীর দিন রাম মন্দিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ বছর রামকোট প্রদক্ষিণ করা হবে। রাম নবমীর দিন রাম লালার পূজা করা হবে। রাম কথা পার্কে রাম নবমীর (Ram Lalla) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    অযোধ্যায় নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরে যে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে লেখা রয়েছে রাম নাম। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাম লালার মন্দিরের গর্ভগৃহ সহ নীচেরতলার নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। রাম লালার মন্দিরে ব্যবহার করা হচ্ছে বংশী পাহাড়পুরের পাথর। পাথরের নকশার ফাঁকে ফাঁকে চণ্ডীগড় থেকে আনা বৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের ক্যাম্প অফিস ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্ত বলেন, যেখানে পাথর বসানো হচ্ছে না, সেখানে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি ইটে ভগবান রামের (Ram Lalla) নাম লেখা রয়েছে। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে মন্দিরটি হাজার বছর ধরে সুরক্ষিত থাকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    Manish Kothari: গরু পাচারের টাকা-পয়সা কোথায়, সব জানেন মণীশ! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় আবার অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে (Manish Kothari) মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারে ইডি। মণীশকে আরও ৫ দিন ইডির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ফলে আগামী সোমবার পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন মণীশ। 

    সব জানেন মণীশ

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন গরু পাচারকাণ্ডের টাকা-পয়সার যাবতীয় তথ্য জানেন তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন ED-র আইনজীবী। মঙ্গলবারই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করে ইডি।  তাঁকে জেরা করে গরু পাচারকাণ্ডের টাকা কোথায় যায়, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    কে এই মণীশ

    জানা গিয়েছে, মণীশ(Manish Kothari) বোলপুরের এক ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান। ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে তাঁর ছোট থেকেই আগ্রহ ছিল। কিন্তু, মণীশ ব্যবসায়ী হতে চাননি। হিসাব রক্ষক হিসেবে তাঁর কেরিয়ার তৈরি করেন মণীশ। বীরভূমের ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায় ২০১১ সালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবের কাজে হাত লাগান মণীশ। ধীরে ধীরে বীরভূমের এই নেতার অন্যতম বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধু অনুব্রত নয়, তাঁর মেয়ের একাধিক সংস্থার হিসাব দেখার দায়িত্ব ছিল মণীশের উপরেই।

    আরও পড়ুন: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    কেঁদে ফেলেন মণীশ

    এদিন এই মামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেঁদে ফেলেন মণীশ (Manish Kothari)। তিনি বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হয়ে কাজ করাটাই তাঁর ভুল! এদিন ইডির আইনজীবী মণীশ কোঠারিকে হেফাজতে চেয়ে বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক। অনুব্রতর হয়ে তিনি এই অপরাধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন! অনুব্রতর হয়ে একাধিক শেল কোম্পানি তৈরির পাশাপাশি কর্মীও নিয়োগ করতেন তিনি। মণীশ সব জানেন। শুধু অনুব্রতই নন, সায়গল হোসেনের হয়েও তিনি আর্থিক দুর্নীতি করেছেন! এরপর মণীশের (Manish Kothari) আইনজীবী বলেন, তিনি কোনও অপরাধী নন। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন মাত্র। তাঁকে ইডি যখনই ডেকেছে, হাজিরা দিয়েছেন। পরবর্তীকালেও সহযোগিতা করবেন। তিনি অসুস্থ। গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল না। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    PM Modi: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মতো শক্তিশালী নেতাদের মধ্যেই শান্তি স্থাপনের ক্ষমতা থাকে। কথাগুলো যিনি বললেন তিনি আর কেউ নন, তিনি নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি আসলে তোজে (Asle Toje)। সম্প্রতি ভারতে (India) এসেছেন নোবেল প্রাইজ কমিটির সদস্যরা। এই দলে রয়েছেন ওই কমিটির ডেপুটিও। শান্তি স্থাপনে তিনিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Nobel Peace Prize) পক্ষে সওয়াল করেছেন। তোজের কথায় আশায় ভারতবাসী।

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ…

    নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর এই উদ্যোগ যুদ্ধ থামাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি কেবল ভারতের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন এমনটা নয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায়ও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। তোজে বলেন, মোদি ও ভারতের এক পদক্ষেপ বিশ্বের বাকি দেশগুলির অনুসরণ করা উচিত। আগামিদিনে ভারত সুপার পাওয়ার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি।

    তোজে বলেন, ভারত থেকে নোবেল পিস প্রাইজের জন্য অনেক মনোনয়ন রয়েছে। আমি মনে করি, বিশ্বের সব নেতাই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য যা প্রয়োজন, তা করবেন। তিনি বলেন, আমি মোদির (PM Modi) প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছি। মোদির মতো শক্তিশালী নেতার শান্তি প্রতিষ্ঠার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এমন একটি শক্তিশালী দেশ থেকে এসেছেন, যাকে বিশ্বের দরবারে খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি বলেন, ভারতীয়দের মধ্যে এক অপরিসীম ক্ষমতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। আশা করি, ভয়ানক যুদ্ধ থামাতে এই বিশ্বাসযোগ্যতা ও শক্তি ব্যবহার করবে ভারতীয়রা।

    আরও পড়ুুন: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    ফি বছর নরওয়ের নোবেল কমিটি আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে পুরস্কারের সঙ্গে সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়। তামাম বিশ্ব থেকে একজনকে বেছে নেওয়া হয় প্রতি বছর। ২০০২ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। পেয়েছিলেন আর এক প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০০১ সালে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব কোফি আন্নান পেয়েছিলেন এই পুরস্কার। ১৯৯৭ সালে পেয়েছিলেন মাদার টেরেসা। ২০১৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী। এবার বিবেচনায় চলে এল মোদির নাম।

    গত বছরই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদি (PM Modi) বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আপ্লুত হয়েছিল তামাম বিশ্ব। সেই কারণেই তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হতে পারেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। তোজেও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি রাশিয়া, আমেরিকা ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়, শান্তির সময়। নোবেল কমিটির ডেপুটি বলেন, বিশ্বের উচিত ভারতের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার কাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকে তলব আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে বিক্ষোভ, বাড়ির সামনে পোস্টার মামলায় পুলিশ কমিশনারের রিপোর্টে নাম থাকা ৬ ব্যক্তিকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি সিসি ফুটেজ দেখে এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের শনাক্ত করে, তাঁদের নাম মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বার অ্যাসোসিয়েশনকে। আবার হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনাও করেছে পুলিশকে। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় পুলিশ মোটেও ঠিকমত তদন্ত করছে না। এমনই অভিযোগে রীতিমত বিরক্তি প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতের তরফে কী বলা হল?

    গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বেঞ্চ বয়কট ও এজলাসে ঢোকার দরজা আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই ঘটনায় গতকাল অভিযুক্ত আইনজীবীদের নাম গোপন খামে হাইকোর্টের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আবার পোস্টার লাগানোর ঘটনায় ৬ জনকে আগামী শুনানির দিন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, ৯ জানুয়ারি বিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদের, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে।

    পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি টিএস শিবাগননম

    বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালত বলে, “তদন্তের নামে আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন না। তদন্ত শামুকের গতিতে হচ্ছে না ঘোড়ার গতিতে, সেটা আমরা দেখব। পুলিশকে সঠিক নাম দিন। একজনের পরিবর্তে আর একজনের নাম দেওয়া ঠিক হবে না।” আবার পুলিশকে ভর্ৎসনা করেছেন বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতি টি এস শিবাগননম। শুধু তাই নয়, পুলিশ কমিশনারের তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও খুলে দেখলেন না বিচারপতি। ২৭ মার্চ, বিচারপতি টিএস শিবাগননম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চে হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রিতেও দুর্নীতি! রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রিতেও দুর্নীতি! রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার কাণ্ডে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। এই আবহেই আরও এক দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রি নিয়ে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগের তদন্ত চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন তিনি। রাজ্যপাল যাতে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখেন, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বুধবার পাঁচ পাতার চিঠিটি রাজভবনে পাঠিয়ে একটি ট্যুইট করেছেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক।

    কী দাবি শুভেন্দুর?

    শুভেন্দু লিখেছেন, “আমি মাননীয় রাজ্যপালকে একটি বড় কেলেঙ্কারির তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছি যেখানে আলিপুরের সংশোধনাগারের ৫.৬ একর জমি ‘আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের অধীনে অত্যধিক কম দামে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে ৮৭৬ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।” চিঠিতে শুভেন্দু আরও দাবি করেছেন, আলিপুরের জমিটি মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে নূন্যতম দামে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে। ৮৭৬ কোটি টাকার জমি মাত্র ৪১৪ কোটি টাকা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

    শুভেন্দুর দাবি, আলিপুরে ৫.৬ একর জমি যেখানে ১০ লাখ স্কোয়ার ফুট বিক্রয়যোগ্য জায়গা রয়েছে, তা এক সংস্থাকে ৪১৪ কোটি টাকায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে মোট বিক্রয়যোগ্য জমির দাম ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকারও বেশি। আলট্রা প্রিমিয়াম ওই অ্যাপার্টমেন্টগুলির দাম আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা স্কোয়ার ফুট হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই আলিপুরের ওই জমি জলের দরে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। এই দুর্নীতিতে রাজ্যের এক মন্ত্রীর পাশাপাশি কয়েকজন আমলার নামে এই গোটা প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার অভিযোগ এনেছেন তিনি। এমন সব অভিযোগ এনে জমি বিক্রি ও ওই আবাসন প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজ্যপালের কাছে তদন্তের দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা।

    উল্লেখ্য, আলিপুর সংশোধনাগার বারুইপুরে স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পরেই ওই জমিটির একাংশে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। জমির বাকি অংশটি আবাসন প্রকল্পের জন্য দেওয়া হয়েছে। সেই আবাসন প্রকল্পটি তৈরি করছে একটি বেসরকারি সংস্থা। আর এটি নিয়েই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। 

    কারামন্ত্রীর কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই ওখানে আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে মনে করি। তবে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন।” এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর লেখা চিঠিতে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: সুকন্যাকে ফের হাজিরার নির্দেশ! কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে দিল্লিতে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তিন মহারথীকে তলব করল ইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কৃপাময় ঘোষ, মলয় পীঠ ও রাজীব ভট্টাচার্যকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। রবিবারের মধ্যে এদের দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। 

    অনুব্রত-মণীশ-সুকন্যাকে মুখোমুখি জেরা

    ইতিমধ্যেই গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি (ED arrests Manish Kothari)। হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Anubrata Mondal daughter Sukanya Mondal। অনুব্রত, মণীশের সঙ্গে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির অফিসাররা। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিপুল সম্পত্তির উৎস খোঁজার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত টাকা আরও কোনও প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে কি না, সেই সব তথ্যও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমন অবস্থায় কেষ্ট, মণীশ ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তাঁদের আগের বয়ানের সঙ্গে এখনকার বয়ান মিলিয়ে দেখতে পারবেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এদিকে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইডির ডাক পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন সুকন্যা। তাঁকে ২০ মার্চের মধ্যে ইডি অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    আজই দিল্লিতে তলব কৃপাময়কে

    এই সময়ে ইডি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এই তিনজনকে ডেকে পাঠানোয় নিঃসন্দেহে চাপে পড়লেন কেষ্ট। সম্প্রতি আসানসোল থেকে যাওয়ার পথে বর্ধমানের শক্তিগড়ের একটি হোটেলে দাঁড়ায় অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। সূত্রের খবর, প্রাতঃরাশ করার জন্য অনুব্রত নেমেছিলেন সেখানে। কিন্তু সেখানে পুলিশি প্রহরায় তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা কৃপাময় ঘোষ, সুকন্যা মণ্ডলের গাড়ি চালক তুফান মৃধা ও আরও এক অজানা বক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় অনুব্রতকে। এরইমধ্যে কৃপাময়দের তলব করায় নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। 

    আরও পড়ুন: চার ঘণ্টা ধরে জেরা কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রীকে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কী কী জানতে চাইল ইডি?

    তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবারই কৃপাময়কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, কৃপাময় বোলপুরের নিচু বাঁধগোড়ার বাসিন্দা। পেশায় মৎস্য বিভাগের কর্মীও। বোলপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিস দেখাশোনার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের সূত্রেরও আরও দাবি, কৃপাময় অনুব্রতের নানান সম্পত্তির দেখাভালও করতেন। অন্য দিকে, মাসখানেক আগেই তুফানকে তলব করেছিল সিবিআই। সূত্রের দাবি, কিছু দিন আগে তাঁর নামে বিপুল সম্পত্তির হদিসও মিলেছে। অনুব্রতর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই তিনজনই অনেক কিছু জানেন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলার লজ্জা’! প্রাথমিকে পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা? ‘সরকারি শিক্ষা বন্ধের চক্রান্ত’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই আবহেই বাঁকুড়ায় বিতর্কিত পদক্ষেপ নিল পুলিশ। সেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিক শিক্ষায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বাঁকুড়া পুলিশের তরফে ‘অঙ্কুর’ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তার আওতায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী স্কুল শিক্ষাকে বেসরকারি করার জন্য ফন্দি এঁটেছেন। আর এ নিয়ে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই চার লক্ষ কমেছে। রাজ্যের ৮,২০৭টি সরকার পরিচালিত স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০-এর কম। প্রাথমিকস্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পরিপূরক ক্লাস করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। যার অর্থ, রাজ্য সরকার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা একেবারে বন্ধ করার পরিকল্পনা করে ফেলেছে। এর পাশাপাশি ট্যুইটে একটি চিঠিও শেয়ার করেছেন। দেখা গিয়েছে, এই সরকারি চিঠিটি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জেলাশাসককে লিখেছেন। যাতে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশরা ‘অঙ্কুর’ নামে এক প্রকল্পের আওতায় বাঁকুড়ার ৪৬টি স্কুল বা কমিউনিটি সেন্টারে শিশু পড়ুয়াদের পরিপূরক ক্লাস করাবে। জেলাশাসককে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন পুলিশ সুপার।

    পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা শিশুদের ইংরাজি আর অঙ্ক শেখাবে এটা একবিংশ শতকে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সরকার শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক।”

    শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    রাতে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের মতামত নেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমাদের কাছে মতামত চাওয়ার জন্য ওঁদের বলা হয়েছে। তার পর দেখা যাবে এটা চালু হবে কি না। এখন চালু করা যাবে না।”

LinkedIn
Share