Blog

  • Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Meeting: পুরসভার বোর্ড মিটিং ওয়াকআউট ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্যের, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টিটাগড়ের পর এবার ভাটপাড়া পুরসভা। বোর্ড মিটিংয়ে (Meeting) ভাটপাড়ার পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে পুরসভার বোর্ড মিটিং (Meeting)  ওয়াক আউট করলেন ভাইস চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৩ মার্চ টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিলের নেতৃত্ব ১৩ জন কাউন্সিলর বোর্ড মিটিং (Meeting)  ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দলীয় কোন্দলের বিষয়টি জানতে পেরে জেলা নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করে। চেয়ারম্যানের ডানা ছেঁটে ৯ জনের স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। টিটাগড় পুরসভার মতো এবার বিদ্রোহ আছড়ে পড়ল ভাটপাড়ায়। কিছুদিন আগেই জিলিবি মাঠে ডাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে জঞ্জাল সরানোকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলর পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। এমনকী দাবি আদায়ে তাঁরা রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেছিলেন। কিন্তু, এখনও সেই দাবি পূরণ হয়নি।  ফলে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। বুধবারের ঘটনা সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল। প্রতি মাসের মতো এদিন পুরসভায় বোর্ড মিটিং (Meeting)  ডাকা হয়। সেখানে চেয়ারপার্সন রেবা রাহা, ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ এবং অমিত গুপ্তা, অরুণ ব্রহ্ম, নুরেজামাল, হিমাংশু সরকারসহ পাঁচজন সিআইসি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। মিটিং (Meeting)  শুরু হওয়ার পর পরই পাঁচজন সিআইসি সদস্য এবং ভাইস চেয়ারম্যান বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।

    বোর্ড মিটিংয়ে কী নিয়ে এত বিদ্রোহ? Meeting

    কিছুদিন আগেই আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা নিয়ে পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্মের বাগবিতন্ডা হয়। তাঁকে ওই ইঞ্জিনিয়র হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে তিনি দরবার করেন। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি আর্জি জানান। কিন্তু, বেশ কিছুদিন হয়ে যাওয়ার পরও ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে, সিআইসি অরুণ ব্রহ্ম ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। এদিন বোর্ড মিটিং (Meeting) শুরু হতেই পুরসভার সিআইসি সদস্য অরুণ ব্রহ্ম বলেন, পুরসভার এক আধিকারিক আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না হলে আমি এই মিটিংয়ে (Meeting)  থাকব না। তিনি বক্তব্য রাখার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সিআইসিরা তাঁকে সমর্থন করেন। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে পাঁচজন সিআইসি সদস্যের সঙ্গে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, পুরসভায় চেয়ারপার্সন রেবা রাহার অনেক বয়স। তিনি পুরসভা ঠিকমতো করে চালাতে পারেন না। তাঁর ছেলে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও তাঁর ভাই পুরসভা চালান। পুরসভায় আমাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সিআইসি সদস্যদের কোনও মান সন্মান নেই। তাই, বোর্ড মিটিং (Meeting) থেকে সবাই বেরিয়ে যান। অন্যদিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, পুরসভার একজন কর্মীকে নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সামান্য বিষয়। সমস্ত বিষয়টি মিটে যাবে। দলের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    Mamata Banerjee: শিল্প বৈঠকে বিপুল কর্মসংস্থানের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, বাস্তবে হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতিতে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নের সভাঘরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন অন্য মন্ত্রীরাও। আর ছিলেন শিল্পপতিরা। এখানেই মমতা জানান, আগামিদিনে ৪১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবাক হয়ে যাবেন, এমএসএমই সেক্টরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর পরেই তিনি জানান, আগামিদিনে এই ক্ষেত্রে চাকরি হবে ৪১ লক্ষ মানুষের। তিনি বলেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত এই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ কোটি মানুষের চাকরি হয়েছে। কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নিজেদের দফতর করছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখানে ৩০ হাজার মানুষের কাজ হবে। মমতা বলেন, শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হয়।

    কর্মসংস্থানই হাতিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)…

    এদিনের বৈঠকেই ঘোষণা করে দেওয়া হয় বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলেনর নির্ঘণ্ট। ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ওই সম্মেলন। রাজ্যের শিল্প ও ইকোনমিক করিডর নিয়ে প্রচারের জন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান তুলে ধরতে রাজ্যে মেট্রো কোচ নির্মাণ শিল্প, ওয়াগন শিল্প, খড়্গপুরে হতে চলা টাটা-হিটাচির কারখানার কথাও এদিনের বৈঠকে উল্লেখ করেন মমতা। তিনি বলেন, টাটা ও হিটাচি জামশেদপুর থেকে চলে আসছে পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। এদিনের বৈঠকে দেউচা পাঁচামি প্রসঙ্গও ওঠে। দিন কয়েক আগে রাজ্যে পোস্ত চাষের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের সেই প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, এখানকার কৃষকরা পোস্ত চাষ করলে লাভবান হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই বিনিয়োগের নিরিখে বাংলাকে দেশের শীর্ষ স্থানে নিয়ে যাওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিনিয়োগ টানতে এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করতে কেন্দ্রীয়ভাবে শিল্পোন্নয়ন বোর্ডও তৈরি করে রাজ্য। এর দায়িত্বে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বিনিয়োগ টানতে ফি বছর ঘটা করে শিল্প সম্মেলন হয়। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে হওয়া ওই সম্মেলন শেষে শোনা যায় এত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, তত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, তার পরেও যে কাজের কাজ কিছু হয় না, রাজ্যের বেকারত্বের লেখচিত্র দেখলেই তা স্পষ্ট হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ‘‘তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি, আপনাদের কিছু বলব না’’! মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

    SSC Scam: ‘‘তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি, আপনাদের কিছু বলব না’’! মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও কুন্তল তো কখনও তাপস, নিয়োগ দুর্নীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই এর ওর মুখে উঠে আসছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। বুধবার অবশেষে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সূত্রের দাবি, গোটা ছয়েক কোম্পানি রয়েছে তাঁর নামে। আরও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোন ‘কালীঘাটের কাকু’।

    টানা ৩ ঘন্টা জেরা

    এদিন সকাল ১১ টায়  সিবিআই দফতরে হাজির হন সুজয়কৃষ্ণ।  টানা ৩ ঘন্টা জেরা চলার পর তিনি বাইরে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন এবং তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন যে, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিস যায়নি। তাঁকে আবার তদন্তকারীরা ডেকে পাঠিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাকে আবার ডাকা হয়নি।”  তিনি কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা? প্রোমোটিংয়ের টাকা কোথা থেকে আসে? এইসব প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হন সুজয়। তিনি বলেন,“হ্যাঁ, আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি। আপনাদের কিছু বলব না।”

    কুন্তল, শান্তনুকে চিনি

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অনেকেই দাবি করেন, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সেই কুন্তল এবং বলাগড়ের আর এক যুবনেতা শান্তনুকে তিনি চেনেন বলে জানান সুজয়।  তাঁর কথায়, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।” নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, ‘‘টাকা নিয়েছি কি না ওঁরা (তদন্তকারী) আমায় জিজ্ঞাসা করেছে। নিলে ওঁদের বলতাম।”

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিস পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’ প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে তলব করা হল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    Santanu Banerjee: এবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড ‘চাকরি-বিক্রি’ চক্রের কান্ডারি শান্তনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টা আগে তাড়িয়েছিল দল। এবার সাসপেন্ড করল কর্মক্ষত্রও। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হুগলির যুব তৃণমূল (Tmc) নেতা তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Santanu Banerjee) সাসপেন্ড করল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ (State Electricity Board)। বুধবার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শান্তনুকে সাসপেন্ড করার কথা জানানো হয়। এই পর্ষদের কর্মী ছিলেন শান্তনু। বলাগড়ের সোমড়াবাজারের কোলড়া মোড়ে তাঁর অফিস। তাঁর বাবা জয়দেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদের কর্মী। ২০০৮ সালে বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর বাবা ছিলেন হেড ক্লার্ক। গ্র্যাজুয়েট না হওয়ায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান শান্তনু। প্রথমে চাকরি করতেন খানাকুলে। পরে চলে আসেন বাড়ির কাছে সোমড়াবাজারে।  

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee) উত্থান…

    স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালে হুগলি জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি হন শান্তনু (Santanu Banerjee)। নেতা হওয়ার পর তাঁকে নিয়মিত অফিস যেতে দেখা যেত না। এলাকাবাসীর কয়েকজন বলেন, নেতা হওয়ার পর কালো এসইউভি চড়ে অফিসে যেতেন শান্তনু। সব সময় সঙ্গে থাকতেন ৪-৫ জন নিরাপত্তারক্ষী। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারকেশ্বরের জেলা পরিষদ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন তিনি। হন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষও।

    আরও পড়ুুন: আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    সোমড়াবাজার বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা জানান, গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন শান্তনু। মূলত বাড়ি গিয়ে মিটার পরীক্ষা করে বিল দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। যদিও সেই কাজ করতে তাঁকে দেখেননি কেউ। দফতরের এক কর্মী বলেন, উনি জীবনে কোনওদিন হাতে কলমে কাজ করেননি। মাসে একবার অফিসে আসতেন। লগবুকে সই করে বেরিয়ে যেতেন। অনেক সময় লগবুক তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যেত। এভাবেই প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বেতন তুলতেন শান্তনু। প্রসঙ্গত, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার চার দিনের মাথায় শান্তনুকে (Santanu Banerjee) বহিষ্কার করে তৃণমূল। এবার সাসেপেন্ড করল বিদ্যুৎ পর্ষদও। এদিন শুধু সাসেপেন্ড নয়, শান্তনুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Liquor: গ্রামে মদ নিয়ে ঢুকলেই শাস্তির নিদান, কোথায় জানেন?

    Liquor: গ্রামে মদ নিয়ে ঢুকলেই শাস্তির নিদান, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মদের (Liouor) নেশা করে এই গ্রামে কেউ আসলেই, মিলবে শাস্তি। গ্রামবাসীদের তৈরি ষোলো আনা কমিটির পক্ষ থেকে এই অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর কমিটির সেই সিদ্ধান্তকে  পুরুলিয়ার মানকিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের  চিতিডি গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই মান্যতা দিয়েছেন। গ্রামে ঢুকলেই রাস্তার পাশের দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা রয়েছে, গ্রামে মদ (Liouor) বিক্রি করা, মদ খাওয়া, মদ (Liouor) খেয়ে মাতলামি করা সম্পুর্নরূপে নিষিদ্ধ। যদি কেউ তাঁহার অন্যথা করে, তাহলে চিতিডি ষোলআনা কমিটির বিবেচনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। তবে, গ্রামবাসীরা শাস্তি হিসেবে কী নিদান ঠিক করে রেখেছেন তা জানা যায়নি। গ্রামের বাসিন্দা তথা ষোলো আনা কমিটি সদস্য যুধিষ্টির মাহাত, সীতারাম মাহাত ও রমানাথ মাহাতরা বলেন, নেশা করার পর গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। যুব সমাজও পড়াশুনা ছেড়ে এই নেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছিল। গ্রামের পরিবেশ একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বহুবার গ্রাম কমিটি থেকে গ্রামবাসীদের নেশা না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপরই গ্রামের মানুষকে নেশা থেকে মুক্ত করতে এই কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রামের দেওয়ালে বড় বড় করে আমাদের এই সিদ্ধান্তের কথা লিখে রাখা হয়েছে। কারণ, শুধু গ্রামের মানুষ নয়, বাইরে থেকে আসা লোকজনও যাতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন। যদিও কয়েকদিন আগে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে মদ (Liouor) কেন খেতে নিষেধ করা হয়েছে তা জানতে চান। পরে, দেওয়ালে লেখা গ্রাম কমিটির সিদ্ধান্তের কথা গ্রামবাসীদের মুছে দিতে বলা হয়। তবে, এলাকার মানুষ তাতে কোনও  কর্ণপাত করেননি। বরং, নেশামুক্ত সুন্দর  গ্রাম গড়তে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।

    এই অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা?

    পুরুলিয়ার আড়ষা থানার চিতিডি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা। পাশাপাশি তিনি তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, এই কাজ তো করা উচিত প্রশাসনের, তাহলে সেটা গ্রামবাসীদের করতে হবে কেন? আসলে তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে না। কারণ, মদের (Liouor) আমদানির ওপর এই সরকার চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস চায় না সমাজ থেকে মদ মুক্ত হোক। তারা চায়, যত বেশি মদ (Liouor) বিক্রি হবে, তাতে তাদের রাজস্ব আদায় বেশি হবে। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রশাসনের আইন থাকলেও সবার উপর রয়েছে মানুষ। তাই, গ্রামের মানুষ সকলে মিলে যে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তাঁকে আমি সমর্থন করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে’’! নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন  রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাওয়ার ফলে মুখ্যমন্ত্রীর কষ্ট হচ্ছে। আর যাঁরা দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়েছেন, চাকরি না পেয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, যোগ্য হয়েও পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ব্যথিত নন।”

    সুকান্তর সওয়াল

    আদালতে ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ ৩৫০ কোটি! এই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এটা গুনতে থাকুন শেয়ার মার্কেটের মতো বাড়বে। যত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ধরা পড়বে এটা হাজার কোটির উপরে যাবে। তাপস বলেছে কুন্তল দোষী, কুন্তল বলছে শান্তনু দোষী, একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে। আসল চোর কালীঘাটে বসে হাসছে।’

    প্রসঙ্গত, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষে আলিপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আলিপুর আদালত চত্বরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালতে কিছু মামলায় তিনি নিজেই সওয়াল করবেন বলে ভাবছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই প্রসঙ্গে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আদালতে সওয়াল করতে চাইলে তা স্বাগত। কিন্তু চাইব তিনি চাকরি না-পাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে কোর্টে সওয়াল করুন।”

    আরও পড়ুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    এদিন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এখন রোজ কথায় কথায় ৩ হাজার চাকরি বাদ। ৪ হাজার চাকরি বাদ! কেউ যদি নিচুতলায় অন্যায় করেও থাকে, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া উচিত।’’ তিনি বলেন, “আমি জীবনে জেনে শুনে কোনও অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তা হলে তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কাড়বার ক্ষমতা আছে!’’ মমতা আরও বলেন, “হঠাৎ করে চাকরি চলে গেলে সে খাবে কী! আমি বলছি, যাঁরা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করুন, কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু, ছেলে মেয়েগুলোর যাতে কোনও সমস্যা না হয়। তাঁদের চাকরি আইন অনুযায়ী ফিরিয়ে দিন।” কিন্তু বেআইনিভাবে চাকরি প্রাপক, অযোগ্য ব্যক্তিদের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সওয়াল আলোড়ন ফেলেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Russia-America: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান জেট ও মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষ, ‘বেপরোয়া’ বলে তোপ আমেরিকার

    Russia-America: কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ান জেট ও মার্কিন ড্রোনের সংঘর্ষ, ‘বেপরোয়া’ বলে তোপ আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে রাশিয়ান ফাইটার জেট ও আমেরিকান ড্রোনের সংঘর্ষ (Russia-America)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দেশে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মেয়াদ একবছরের বেশি হয়ে গেল। কিন্তু এখনও তা থামার নাম নেই। আবার ইউক্রেনকে একাধিক ক্ষেত্রে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপকূলে কৃষ্ণসাগরের উপরে মাঝ আকাশে আক্রান্ত আমেরিকা। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘটনার পর কি আরও তিক্ত হয়ে উঠবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক?

    আমেরিকার কী বক্তব্য?

    সূত্রের খবর, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ইউরোপিয়ান কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে যে, কৃষ্ণসাগরের উপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন (মার্কিন স্পাই ড্রোন) চালানো হচ্ছিল। ওই ড্রোনকে ‘ইন্টারসেপ্ট’ করে রাশিয়ার দুটি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। এরপর সকাল ৬ টা ৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী) ড্রোনের সঙ্গে রাশিয়ার একটি সুখোই যুদ্ধবিমানের ধাক্কা লাগে। আরও দাবি করা হয়েছে, মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের আগে এমকিউ-৯-এর উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রাশিয়ার যুদ্ধবিমান৷ এরপর একটি যুদ্ধবিমান এমকিউ-৯-এর প্রপেলারে ধাক্কা মারে৷ এতে মার্কিন সেনাবাহিনী তড়িঘড়ি ড্রোনটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়৷

    আরও পড়ুন: জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভ, স্লোগান! ইমরানের গ্রেফতারি ঘিরে রণক্ষেত্র লাহোর

    যদিও, এই দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া। তবে এই সংঘর্ষ ঠিক দুর্ঘটনা নাকি ইচ্ছাকৃত, তা এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না৷ তবে দু’পক্ষই স্বীকার করেছে, রাশিয়ার এয়ারক্রাফ্ট মার্কিন ড্রোনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছিল৷ মার্কিন সেনা এই ঘটনাকে রাশিয়ার ‘চরম বেপরোয়া’ বলে নিন্দা করেছে। ইতিমধ্যেই আমেরিকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাস থেকে তলব করা হয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে।

    রাশিয়ার দাবি

    রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোনটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে চলে এসেছিল (Russia-America)৷ ক্রিমিয়ার ওই এলাকার আকাশে কোনও বিমানের ওড়া নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া৷ অথচ সেই জায়গায় অনুপ্রবেশ করেছে মার্কিন নজরদারি ড্রোন এমকিউ-৯৷ তাদের দাবি, মার্কিন ড্রোনটিকে বাধা দিতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটে৷ ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নীচের দিকে নেমে যাচ্ছিল এবং জলে পড়ে যায়৷

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    Suvendu Adhikari: পাখির চোখ পঞ্চায়েতে! রাজ্যজুড়ে গণ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুভেন্দুদের, ইস্যু কী কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাস দুয়েকের মধ্যেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। তার আগে গণ আন্দোলন শুরু করতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই আন্দোলন শুরু হবে উত্তরবঙ্গ দিয়ে। শুভেন্দু বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চুকলেই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে আন্দোলনে নামবে বিজেপি। তিনি বলেন, আলুর অভাবি বিক্রি থেকে শুরু করে চা বাগান ও অরণ্য ধ্বংসের বিরোধিতা করে উত্তরবঙ্গ থেকে আন্দোলন শুরু হবে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আলু চাষিরা নূন্যতম দাম পাচ্ছেন না। সম্প্রতি, গড়বেতা থেকে আরামবাগ পর্যন্ত রাস্তায় আলু চাষিরা ফসলের দাম না পেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রাস্তায় আলু ঢেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। অভাবি বিক্রি বাড়ছে। সরকারের ঘোষিত সহায়ক মূল্যে আলু কিনে নেওয়া, এর পাশাপাশি তাদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন হবে। তিনি (Suvendu Adhikari) জানান, এই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরেও আলু নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করবে বিজেপি।

    আলুর পাশাপাশি চা বাগান, বনভূমি ধ্বংস করে আবাসন তৈরির বিষয়েও সোচ্চার হবে বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, উত্তরবঙ্গের বিধায়কদের নিয়ে তিনি এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন। বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক তথা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, চা বাগানের অতিরিক্ত জমি টি ট্যুরিজমের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। চা বাগানের লিজ দেওয়া জমিকে ফ্রি হোল্ড করার আইনি বৈধতা দিতে সরকার সম্প্রতি যে বিল পাশ করিয়েছে, তার উদ্দেশ্য হল চা বাগানের জমিকে বাইরের ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া। এতে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে কৌশলে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছি আমরা।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিও যে বিজেপির হাতিয়ার হতে চলেছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। সোমবার নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ছবি ও নামের তালিকা নিয়ে বিধানসভার বাইরে প্রদর্শনী করেন পদ্ম-বিধায়করা। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতা এই দুর্নীতিতে যুক্ত। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা এই প্রদর্শনী তুলে ধরব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    NHRC: বিজেপির নবান্ন চলো অভিযান, মানবাধিকার কমিশনকে ৬ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে নবান্ন চলো অভিযান করেছিল বিজেপি (BJP)। সেই সময় অতিসক্রিয় হয়েছিল পুলিশ (Police)। এই মর্মে দায়ের হয়েছিল অভিযোগও। এবার সেই মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) ছ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এ ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টে বিজেপির এক স্বেচ্ছাসেবক রোহিত ভার্মা পিটিশন দায়ের করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি প্রতিভা এম সিং।

    জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) নির্দেশ…

    আদালত জানিয়েছে, যদিও বিষয়টি কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে, তবে তা নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যেই শেষ করা প্রয়োজন। যেহেতু ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, কমিশন (NHRC) এ ব্যাপারে আবেদনকারীর অভিযোগের ব্যাপারে সম্মতি নিয়েছে এবং বিষয়টির স্বাধীন ও বুদ্ধিদীপ্ত মীমাংসার চেষ্টা করছে। আদালত এও জানিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে আদালতে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ওই দিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। আবেদনের নিষ্পত্তি করতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, বিষয়টি যে বিবেচনায় রয়েছে, সেই যুক্তি সমর্থন করছে আদালত। ২০২০ সালে ঘটে ঘটনাটি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এবং তাকে তা নিতে হবে আগামী ছ মাসের মধ্যেই।

    আরও পড়ুুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ওই আবেদন করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছিল মানবাধিকার। আবেদনে বলা হয়েছে, ওই দিন পুলিশ নৃশংস আচরণ করেছিল মিছিলকারীদের ওপর। সেই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সরকারের সমস্যাবহুল নীতি এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার বিরুদ্ধে যেহেতু ওই নবান্ন চলো অভিযান হচ্ছিল, তাই সেই প্রতিবাদ মিছিলে নৃশংস আচরণ করেছিল পুলিশ। তারা সরাসরি নবান্ন চলো অভিযানের মিছিলে হামলা চালায়। এটা আসলে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের, কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের দায়ের করা এফআইআর-এর তদন্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানাল, ‘কোর্টের অনুমতি ছাড়া কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোনও থানা পদক্ষেপ করতে পারবে না।’ কৌস্তভের দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে বুধবার ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এছাড়াও মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

    হাইকোর্টে জোর ধাক্কা কলকাতা পুলিশের

    গত ৪ মার্চ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বড়তলা থানা। গভীর রাতে কৌস্তভের বাড়ি গিয়ে তাঁকে জেরা করে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়। কিন্তু সেদিনই বিকেলে আদালত থেকে মাত্র ১০০০ টাকার বন্ডে জামিন পান কৌস্তভ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন কৌস্তভ। সেই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন আইনজীবী। তবে অন্যদিকে চাপ বাড়ল রাজ্য পুলিশের। কারণ তদন্তর উপর স্থগিতাদেশ তো দিয়েছেই, এর পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে পুলিশের অভিযান নিয়েও রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    বিচারপতি মান্থা কী বলেছেন?

    এদিন মামলার শুনানিতে বুধবার বিচারপতি মান্থা বলেন, “কোনও নোটিশ না পাঠিয়ে নাগরিকের অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে পুলিশ। কীসের ভিত্তিতে মাঝরাতে কৌস্তভের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ? সারা রাত তাঁর বাড়িতে থেকে পরদিন সকালে কীসের ভিত্তিতে গ্রেফতার? পুলিশের এই ভূমিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরোধী। এক্ষেত্রে বড়তলা থানার ভূমিকা খতিয়ে দেখে ৩ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিপিকে। আগামী ৪ সপ্তাহ কৌস্তভের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর-এর তদন্তপ্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।”

    এছাড়াও আদালত (Calcutta High Court) প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, কৌস্তভ বাগচীকে হুমকি দেওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে আদালতের নির্দেশ, আগামী সোমবার সিআরপিএফ-কে জানাতে হবে, তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে কি না। আপাতত ব্যারাকপুর পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্তত পাঁচজন পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয় কৌস্তভের বাড়িতে। সশস্ত্র কনস্টেবলও দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share