Blog

  • Satish Kaushik:সতীশ কৌশিকের মৃত্যু অস্বাভাবিক! কী বললেন অভিনেতার স্ত্রী?

    Satish Kaushik:সতীশ কৌশিকের মৃত্যু অস্বাভাবিক! কী বললেন অভিনেতার স্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik)। মৃত্যুর আগে যে ফার্মহাউসে হোলি পার্টিতে ছিলেন অভিনেতা, সেই ফার্মহাউসের মালিকের স্ত্রী গত শনিবার জানিয়েছিলেন, অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর স্বামী বিকাশ মালু জড়িত। এমনটাও জানা গেছিল টাকা লেনদেনের ব্যাপার জড়িত আছে এই মৃত্যুর সঙ্গে। ওই মহিলা দাবি করেছিলেন, বিকাশের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা পেতেন সতীশ কৌশিক। তবে এবার সব জল্পনার অবসান ঘটালেন সতীশ কৌশিকের স্ত্রী। স্বামীর মৃত্যুর পর নীরব ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গেছেন। অবশেষে শোক সামলে উঠে সতীশের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক সম্পর্কে মুখ খুললেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক মানুষ চেনেন, আরআরআর-এর অস্কার জয়ই প্রমাণ’’, কেন এ কথা বললেন পীযুষ?

    সতীশের বন্ধু বিকাশ মালুর স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন!

    সতীশ কৌশিকের স্ত্রী শশী  জানান, ব্যাবসায়ী বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অভিনেতার মৃত্যুর সঙ্গে টাকা লেনদেনের কোনও যোগ নেই। পাশাপাশি তিনি এও জানান, সতীশ কৌশিক ও বিকাশ মালু ভাল বন্ধু ছিলেন। ব্যবসায়ী বিকাশ মালু এমনিই ধনী ব্যক্তি। সতীশের থেকে টাকা নেওয়ার তার দরকার পড়ত না।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, অভিনেতার হার্টে ৯৮ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। রক্তে শর্করার মাত্রাও বেশি ছিল। শরীরে কোনও ড্রাগের নমুনা পাওয়া যায়নি। তাহলে কেন এই মৃত্যুকে মার্ডার বলছেন, বিকাশ মালুর স্ত্রী?

    শশী জানান, ‘হয়তো তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে টাকা নিতে চান। সেকারণে এই সব রটাচ্ছেন।’ পাশাপাশি সতীশের স্ত্রী জানান, ডাক্তারি রিপোর্ট, পুলিশের তদন্তের পর, তাঁর স্বামীর মৃত্যু নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই বিষয়ে তিনি আর তদন্ত চান না।

    আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার বিয়ে, শনিবারে ছিল বৌভাত! কোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই চাকরি গেল যুবকের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    Rajasekhar Mantha: নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশেরই, জানাল হাইকোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকার (Abhijit Sarkar)। অন্তত এমনই অভিযোগ বিজেপির। এই সংক্রান্ত মামলায় প্রয়াত অভিজিতের মা ও দাদার নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই। তাঁরাই এই মামলার মূল দুই সাক্ষী। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। তাঁর নির্দেশ, নারকেলডাঙা এলাকায় অভিজিতের বাড়িতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্প করে পাহারা দিতে হবে পুলিশকে। এই সময়ের মধ্যে সিবিআই তাদের পাঠানো অভিযোগ বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) প্রশ্ন…

    বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, নিরাপত্তার গাফিলতিতে যদি দুজনের ওপর আক্রমণ হয়, যদি বড় কোনও ঘটনা ঘটে যেত, তাহলে তার দায় কে নেবে? আদালতের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতে অভিজিতের মা ও দাদা ১৯ ও ২০ মার্চ সাক্ষ্য দেবেন। এরই মধ্যে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা খুব জরুরি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় ২ মে। এর পরেই কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করে তারা। পিটিয়ে মারা হয় তাঁর সঙ্গী কুকুটিকেও। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আক্রান্তের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত (Rajasekhar Mantha)।

    অভিজিৎ খুনের প্রধান সাক্ষী তাঁর মা ও দাদা। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর দাদা বিশ্বজিতের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। অভিজিৎ খুনে জেলবন্দি অভিযুক্তদের পরিবারের লোকজন আইনজীবী এনে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী অভিজিতের মাকে সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিজিতের মা। ওই রাতেই চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস হাসপাতালে। তার পরেই নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিশ্বজিৎ।

    আরও পড়ুুন: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    ওই মামলার শুনানির আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা (Rajasekhar Mantha)। পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে। এদিন বিচারপতি মান্থা বলেন, আগামী ১৯ ও ২০ মার্চ অভিজিৎ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে সাক্ষ্য দেবেন অভিজিতের মা ও দাদা। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    SSC Scam: ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি! জানেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর কী কী বলল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় টাকার অঙ্ক ৩৫০ কোটি ছুঁয়েছে, দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সোমবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সওয়াল জবাব চলাকালীন আদালতে ইডি জানায়, ১০০, ২০০ নয়, রাজ্যে স্কুলে নিয়োগে ৩৫০ কোটির দুর্নীতি হয়েছে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, দুর্নীতির টাকার অঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলছে। ১১১ কোটি টাকা থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়। এই টাকার অঙ্ক আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়।’ 

    ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়,আগে মনে হয়েছিল ১১১ কোটির দুর্নীতি, এখন মনে হচ্ছে ৩৫০ কোটির কেলেঙ্কারি (SSC Scam)। কুন্তলের কাছ থেকে নগদে ১ কোটিরও বেশি টাকা পেয়েছিলেন শান্তনু। এদিন ইডির তরফে বলা হয়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২টি ফোন পাওয়া গেছে, তা আসলে সোনার খনি, খতিয়ে দেখতে হবে। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছে এই কেসে। কেস ডায়েরিতে সব স্পষ্ট  করা হবে। এদিন শান্তনুকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য সওয়াল করে ইডি। তারা জানায়, বিপুল সম্পত্তির মালিক শান্তনু । তার উৎস জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে । শান্তনুর দুটি মোবাইল ফোন ভর্তি রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায়। অ্যাডমিট কার্ড, রোল নম্বর বিভিন্ন তথ্য রয়েছে শান্তনুর ফোনে। হেফাজতে রেখে তার থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় ইডি। এদিন শান্তনুর জামিনের আবেদন খারিজ করে,তাঁকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    সব দায় কুন্তলের

    প্রসঙ্গত, এদিন নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) দায় কুন্তলের উপরেই চাপিয়ে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন শান্তনু।  তাঁর দাবি, নিয়োগ মামলায় মূল পাণ্ডা কুন্তল ঘোষ। মামলা এগোলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে তিনি নির্দোষ।  তিনি বলেন, ‘কুন্তল টাকা পাচার করেছে অন্য রাজ্যে। কুন্তল এজেন্টদের ভয় দেখাচ্ছে, অন্য রাজ্যে টাকা পাঠাচ্ছে ওর লোকজন কয়েকশো এজেন্টের থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল। কারও নির্দেশে টাকা দেওয়া হয়নি, মিথ্যা কথা বলছে কুন্তল। আমি কোনও কিছুতে জড়িত নই, আগামীদিনে প্রমাণ হবে। আমার সব লিগাল, আগামীদিনে প্রমাণ হবে’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: ‘‘এবার মিছিল করে আসব’’! দলবদলু বিধায়কদের ইস্যুতে স্পিকারকে স্মারকলিপি শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেখান থেকে বেরিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দলবদলু মুকুল রায়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানোর দাবিতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) হুমকি…

    এদিন স্পিকারের ঘর থেকে বেরিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, মুকুল রায় সম্পর্কে অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। স্পিকার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি (মুকুল) বিজেপিতেই রয়েছেন। তেমনি বিজেপি ছেড়ে যাওয়া বাকি বিধায়কদের সম্পর্কেও অধ্যক্ষ তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করুন। শুভেন্দু বলেন, এতে আমাদের কোর্টে যেতে সুবিধা হবে। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আজ শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিলাম। এরপর মিছিল করে আসব। অবস্থান হবে, ধর্না হবে, শহিদ মিনারের মতো অনশনও হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী হন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়। বিজেপির প্রতীক থাকায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন তিনি। তার পরেই দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তা সত্ত্বেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান মুকুল রয়েছেন বিজেপিতেই। যদিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে মুকুল জানান, তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল একা নন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দলবদলুর তালিকা। এই তালিকায় রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী, সুমন কাঞ্জিলাল সহ আরও কয়েকজন। এঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির টিকিটে জিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নি্র্বাচনে ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। যদিও পদ্ম শিবির ছেড়ে যাওয়ায় বিধানসভায় এখন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৬৯। বিজেপি ছেড়ে যাঁরা শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়েছেন, তাঁদের অবস্থান জানতেই এদিন স্পিকারকে স্মারকলিপি দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল (Suvendu Adhikari)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • OMR Sheet: ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! কোন পরীক্ষার এগুলো?

    OMR Sheet: ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! কোন পরীক্ষার এগুলো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ কি কাণ্ড! ওএমআর শিটে মোড়া কেক বিক্রি হচ্ছে বোলপুরে! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড, রাঘব-বোয়ালদের ধরতে যখন তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এবং তদন্তকারী সংস্থা, ঠিক সে সময় দোকানে মিলল ওএমআর শিটে মোড়া কেক৷ যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য বোলপুরে৷ এতদিন ওএমআর শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে, আর এবারে এই ওএমআর শিট চায়ের দোকানে কেকের মোড়কে পরিণত হয়েছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হন্যে হয়ে আসরে নেমেছে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সোমবারে বোলপুরে সামনে এল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বীরভূম জেলার বোলপুরে অবস্থিত একটি চায়ের দোকানে দেখা মিলল ওএমআর কেকের। একটি বেকারি কেক সংস্থার তৈরি কেকের মোড়ক তৈরি হয়েছে সরকারি পরীক্ষার ওএমআর শিট (OMR Sheet) কেটে। সেই প্রস্তুতকারক কেক সংস্থার থেকে কেকগুলিকে পাঠানো হয়েছে এবং যথারীতি বিক্রিও করা হচ্ছে। কীভাবে এই সমস্ত ওএমআর শিট বাইরে এল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চায়ের দোকানদার বা কোন ব্যক্তি এই বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি।

    ব়্যাপ করা ওএমআর শিটগুলির কোনওটায় লেখা ২০১৪, কোনওটায় লাল-কালো কালিতে উত্তর টিক দেওয়া, কোনওটায় ওএমআর নম্বর লেখা আবার কোনওটায় পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর করা৷ তবে কত সালের কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট এগুলি, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    এগুলো কোন পরীক্ষার ওএমআর শিট?

    সূত্রের খবর, ওএমআর শিটগুলি (OMR Sheet) কোন পরীক্ষার তা এখনও জানা যায়নি। তা আদৌ রাজ্য সরকারের কোনও পরীক্ষার কিনা তার উত্তরও স্পষ্টভাবে মেলেনি। তবে সূত্রের দাবি, ওএমআর-এর একাংশ দেখে মনে হচ্ছে সেটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নেওয়া কোনও পরীক্ষার।

    বোলপুরে ওএমআর শিট দিয়ে কেকের মোড়ক তৈরির প্রসঙ্গে বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ বলেন, “আমি বিষয়টা খবরে দেখলাম। কেকগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোনও একটি কাগজে মোড়া ছিল। আমি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানাব।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “বেকার শিক্ষিত যুবকেরা যে চাকরি পায়নি সেই চাকরি বিক্রি হয়েছে এবং এই বিক্রি হওয়া চাকরি তৃণমূলের নেতারা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনকে বিক্রি করেছে। সেই চাকরি বিক্রির রেজাল্ট আজ বোলপুর এর চায়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা হতবাক এবং বিস্মিত তবে আমাদের আইনের প্রতি ভরসা আছে আশা করছি আইন নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক বিচার দেবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ফের ধাক্কা! উপাচার্য পুনর্নিয়োগের অধিকার নেই রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগের ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার এমনই ঘোষণা করল  কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। 

    মঙ্গলবার হইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপাচার্যদের পুনর্নিয়োগের কোনও অধিকার নেই রাজ্যের। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা নেই, পুনর্নিয়োগের তো ক্ষমতা নেই-ই। এর ফলে রাজ্যপালের নিয়োগ করা অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন উঠে পড়ল।

    উপাচার্যদের অপসারণের নির্দেশ

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন, যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যদের সেক্রেটারির চিঠিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। যাদের কর্মকাল শেষ হওয়ার পর রাজ্য ফের নিয়োগ করেছিল, তাঁদেরও নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। তবে যাদের সময়কাল ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ (Vice Chancellor recruitment) নিয়ে মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টই প্রথম প্রশ্ন তুলেছিল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অবৈধ। এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের ২৯ জন উপাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, আচার্যের অনুমতি ছাড়া উপাচার্যদের পুনরায় নিয়োগ করা যায় না। ফলে যাঁদের মেয়াদ ফুরনোর পর সরকার নতুন করে মেয়াদ বাড়িয়েছিল, তা বাতিল করা হল।

    আরও পড়ুন: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Division Bench) মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। অতীতে রাজভবনে জগদীপ ধনখড়ের মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সচিবালয় ও রাজ্যপালের সংঘাত বেঁধেছিল। রাজভবনকে এড়িয়ে উপাচার্য নিয়োগ করতে গিয়েই সমস্যায় পড়ে সরকার। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    Fish: দক্ষিণ দিনাজপুরের আত্রেয়ী নদী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই মাছ! কী সেই মাছ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদর শহর বালুরঘাট। বালুরঘাট শহরের বুক চিরে চলে গিয়েছে আত্রেয়ী নদী। রাইখোর মাছের (Fish) জন্য বহু সুখ্যাতি ছিল এই নদীর। মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকার বড় আধার ছিল এই মাছ। কারণ, নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই তাঁরা প্রচুর পরিমাণে রাইখোর মাছ (Fish) বাজারে নিয়ে যেতে পারতেন। বিক্রি করে ভালো টাকা মুনাফা হত। কয়েক বছর আগে বালুরঘাট শহরের তহ বাজার, সাহেবকাছারি বাজার সহ শহরের বিভিন্ন বাজারে রাইখোর মাছ (Fish) দেখা যেত। আমদানিও ভালো ছিল। শুধু জেলাবাসী নয় ভিন জেলার মানুষের চাহিদার জোগান দিত এই নদী। এক সময় এই রাইখোর মাছ (Fish) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যেত। যদিও এখন তা ইতিহাস। আত্রেয়ীর ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। জেলায় রাইখোর মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, চাহিদা অনুযায়ী জোগান দিতে পারছে না আত্রেয়ী নদী, যার ফলে রাইখোর মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যপ্রেমীরা। ধীরে ধীরে বালুরঘাটের বাজার গুলিতে আর সেইভাবে দেখা মিলছে না রাইখোর মাছের।

    আত্রেয়ী থেকে কেন হারিয়ে যাচ্ছে রাইখোর মাছ? Fish

    বর্ষার পর আত্রেয়ী নদীর জল ক্রমশ কমতে থাকে। ফলে, কিছু কিছু জায়গায় নদীতে জল প্রায় শুকিয়ে যায়। এছাড়া একসময় এই নদীর গতিপথে প্রচুর বিলের সঙ্গে সংযোগ ছিল। বিলগুলিতে বাঁধ দেওয়ার কারণে নদীর সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই। আর নদীতে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এই মাছ হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে, জেলার পরিবেশপ্রেমীরা আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ যাতে পাওয়া যায় তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগে বেশ কয়েকবার আত্রেয়ী নদীতে মাছের চারাও ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা বলেন, আগের নৌকা নদীতে নামালেই ঝুড়ি ভর্তি করে রাইখোর মাছ (Fish) পেতাম। এখন সারাদিন নৌকা নিয়ে নদীতে চষে বেড়ালেও এই মাছ (Fish) পাই না। অথচ এখন এই মাছের বিশাল চাহিদা। বাজারে ৫০০ টাকা কেজি। নদীতে এই মাছের (Fish) যোগান থাকলে খুব ভাল হত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে খুব ভাল হয়।

    জেলা মৎস্য দপ্তরে আধিকারিক  অভিজিৎ সরকার বলেন, রাইখোর মাছ (Fish) মৃদু বাহিত জলে  ডিম পাড়ে। এরজন্য আত্রেয়ী নদীর তীরে যেখানে ঘাস জাতীয় উদ্ভিত থাকে, সেখানে ডিম পারে। কিন্তু, আত্রেয়ী নদী তীরে দূষনের কারণে রাইখোর মাছ আর ডিম পাড়তে পারে না। রাইখোর যাতে বিলুপ্ত না হয়, সেজন্য কৃত্রিমভাবে পুকুরে চাষ করা হলেও আত্রেয়ী নদীর মাছের মত তার স্বাদ নেই। পরিবেশপ্রেমী তুহিন শুভ্র মণ্ডল বলেন, রাইখোর মাছ আমাদের অহংকার ছিল। জেলায় রূপালি মাছ বলে পরিচিত ছিল। বাবা-ঠাকুরদা কাছে শুনেছি, দুর্গা পূজার পর পর আত্রেয়ী নদীতে রাইখোর মাছ (Fish) এত যোগান হত যে নদীর জলের রঙ বোঝা যেত না। এখন এই মাছ নদীতে বিলুপ্ত। পুকুরে চাষ করা মাছের সেই স্বাদ নেই। আসলে বাংলাদেশের আত্রাই নদীর সঙ্গে আমাদের আত্রেয়ী নদী সংযোগ রয়েছে। এতে নদীর প্রবহমান ছিল। কিন্তু, বর্তমানে নদীর প্রবহমান বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ নন্দীগ্রাম দিবস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতা-নেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে।” নন্দীগ্রাম দিবসে ফের একবার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে অস্বীকার করলেন বিরোধী দলনেতা। “তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব। আগামী বছর ভাইপো ভিতরে থাকবে।” গোকুলনগরে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর।

    নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী

    আজ সকাল সকাল নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)৷ মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু৷ প্রথমে তিনি গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ এরপরে ভাঙ্গাবেড়া শহিদ মিনারে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পুলিশের গুলিতে নন্দীগ্রামে ১৩ জন কৃষক-সহ মোট ১৪ জন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়৷ বামশাসনকালে এই জমি আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্যতম শরিক ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু৷ বাম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৈরি হয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি, যাঁর অন্যতম প্রধান ছিলেন আজকের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    শাসকদলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    আদালতের নির্দেশ মত নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ দিবস পালন করে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে নন্দীগ্রাম দিবস পালনের মাঝে তাঁর হুঁশিয়ারি, “পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। এমনিতেও ঘরে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বাকি যা আছে, সাফ করব। শহিদ বেদিকে সামনে রেখে বলে গেলাম, সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি ভাইপোকেও একেবারে গ্যারাজ করব। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো বাইরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে? ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ দেখা হবে। যারা যা যা করছে চন্দ্রগুপ্তর ডাইরিতে লেখা থাকল। লক্ষণ শেঠদের অবস্থা যা হয়েছে, আপনাদের অবস্থাও ভবিষ্যতে তাই হবে’”

    এরপরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজনৈতিক দল, পথ পরিবর্তন সকলেই করতে পারে। আর তৃণমূল আমাকে যে সমস্ত দায়িত্ব দিয়েছিল, তা কার্যত বাধ্য হয়েছিল দিতে। আমি কিন্তু সব ছেড়ে স্বাধীন পথ ও স্বাধীন মত নিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে ওদের খুব গায়ে জ্বালা। তবে রোদ হোক বা ঝড়-জল, করোনা হোক বা অন্যকিছু প্রত্যেক বছর শহিদদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। এবারে বাইরের লোক ঢুকিয়ে শহিদদের সম্মান জানানোর সুযোগটাও কেড়ে নিতে চেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ এমনটা করছিল। তাই হাইকোর্টের নির্দেশে সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে এসে আমাদের শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে হচ্ছে।”

    প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে শহিদ বেদিতে মাল্যদান পর্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সকাল ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে সভা শেষ করতে হবে শুভেন্দুকে৷ সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে জায়গা খালি করে দিতে হবে। আবার আদালতের নির্দেশ, বেলা ১১ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস নন্দীগ্রামে মিছিল করতে পারবে৷ পৃথক রাজনৈতিক দলকে সময় ভাগ করে মিছিল করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট৷

  • HS Examination 2023: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    HS Examination 2023: মোবাইল-সহ ধরা পড়লেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল! কড়া নজরদারিতে শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে যায় এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রতিদিন পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এবারের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রেও মোবাইল ও ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট রুখতে বেনজির নজরদারি এই বছর। হলে মোবাইল-সহ ধরা পড়লে রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে। অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

    কঠোর নিরাপত্তা

    কোনওভাবেই যাতে পরীক্ষাহলে কোনওরকম টোকাটুকি না হয় বা প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয়, তার জন্য কঠোরভাবে নজরদারি চলবে সংসদের। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে চলবে পরীক্ষা। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ জন করে পর্যবেক্ষক থাকবেন। মোট ৮ লক্ষ ৫২ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। গতবারের চেয়ে বেড়েছে এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। গতবারের চেয়ে ৭ হাজার বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে এবার। ১৪ মার্চ থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।  ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা এবার বেশি। ২৩ টি জেলাতেই মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের থেকে বেশি। 

    রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহার

    এবার পরীক্ষার মেন ভেন্যু ৮৩৫টি। এরমধ্যে ২০৬ টি সেনসেটিভ ভেন্যু হিসাবে গণ্য করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৩৪৯। স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেকিংয়ের পরই ভিতরে ঢুকতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে থাকছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর। কারও কাছে এরকম কোনও ডিভাইস থাকলে বিপ শব্দে তা জানান দেবে এই ডিটেক্টর। ইতিমধ্যেই সংসদের তরফে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কক্ষ থেকে বাইরে বেরোতে পারবেন না। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরএফডি বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টরের ব্যবহার এই প্রথম।  অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে ব্যবহার করা হবে এই যন্ত্র। পুরো সেন্টারে যদি একটিও মোবাইল ফোন থাকে তাহলেও এই আরএফডি যন্ত্র জানান দেবে কোথায় আছে মোবাইল বা বৈদ্যুতিন কোনও যন্ত্র। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে মোবাইল সম্পূর্ণ রূপে রোখা যায় , তার জন্যই এই ব্যবস্থা। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভেন্যু সুপারভাইজার, সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি ছাড়া আর কোনও শিক্ষাকর্মীও ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। 

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রধানমন্ত্রী সঠিক মানুষ চেনেন, আরআরআর-এর অস্কার জয়ই প্রমাণ’’, কেন এ কথা বললেন পীযুষ?

    ট্রেন পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ

    পরীক্ষার সময়ে ট্রেন পরিষেবা নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্ন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে পরীক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত ট্রেন পরিষেবা পায় সেকারণে আগেরদিনই রেলকে চিঠি দিয়েছে নবান্ন। কারণ একাধিক জায়গায় ট্রেন লাইনে কাজ হওয়ার কারণে ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা শাসকের নির্দেশে নবান্নের তরফে রেলকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে সেই সঙ্গে সব জেলা শাসকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পরকীক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bonny Sengupta: বনির পারিশ্রমিক ১০-১৫ লক্ষ, অথচ কুন্তল দেন ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা! কেন?

    Bonny Sengupta: বনির পারিশ্রমিক ১০-১৫ লক্ষ, অথচ কুন্তল দেন ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। মঙ্গলবার আবারও তাঁকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে আজ তাঁকে আবার ইডির প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। এদিন, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেতাকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বনি আগেই জানিয়েছিলেন, কুন্তলের থেকে টাকা নিয়ে গাড়ি কিনেছেন তিনি। এবার সেই গাড়ি কেনার নথি-সহ এদিন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বনিকে। তবে প্রশ্ন উঠছে, পারিশ্রমিক বাবদ বনি যে টাকাটি নিয়েছিলেন ও গাড়িটি কিনেছিলেন, সেই টাকা বনি ফিরিয়ে দেবেন কিনা।

    বনিকে এত টাকা কেন দিলেন কুন্তল?

    বনির দাবি, কুন্তল ওকে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিল ছবির অগ্রিম হিসেবে। কুন্তল নাকি তাঁকে বলেছিলেন, ২ টো ছবির অগ্রিম হিসেবে এই টাকা। কিন্তু, ওই ছবি দুটি হয়নি। এদিকে, বনি ওই টাকা দিয়ে ততক্ষণে গাড়ি কিনে নিয়েছেন। কুন্তলকে টাকা ফেরতও দেননি। তখন কুন্তলের হয়ে স্টেজ শো করতে থাকেন। আর এই ঘটনা প্রায় ৫-৬ বছর আগের। ফলে প্রশ্ন উঠছে, টলিউডে তখন বনি নতুন মুখ কেবল। আর তাতেই এত টাকা ছবির জন্য। অগ্রিম টাকা দেওয়া হলেও, তাও আবার গোটাটাই মৌখিক ছিল। কাগজে-কলমে কিছুই ছিল না।

    বনির পারিশ্রমিক কত?

    জানা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে সব থেকে বেশি পারিশ্রমিক পান দেব, জিৎ ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এনারা প্রথম সারিতে রয়েছেন। দ্বিতীয় সারিতে রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরাদের মত তারকা। আর তার পর আসে বনি। অর্থাৎ তৃতীয় সারিতে রয়েছেন তিনি। আর তিনি প্ৰতি ছবির জন্য ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কুন্তল বনিকে এত টাকা কেন দিলেন ছবির জন্য, এই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    কুন্তলের ছবির জন্য অগ্রিম নিলেও ছবি করা হয়নি। কিন্তু স্টেজ শো করে পুষিয়ে নেন বনি। তবে টলিউড সূত্রে খবর, স্টেজ শো করতে মাত্র দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন বনি। অর্থাৎ এখানেও হিসেব যেন মিলছে না। আবার তদন্তকারীদের একটি সূত্রের দাবি, কুন্তলের যে টাকা দিয়ে বনি গাড়ি কিনেছিলেন, অভিনেতা তা ইডি-কে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে তিনি কি টাকা ফেরত দেবেন ইডিকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ বনিকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share