Blog

  • NIA Raid: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র

    NIA Raid: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ফের একবার বড়সড় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে এনআইএ (NIA Raid)। দেশে এক সন্ত্রাসবাদের পর্দা ফাঁস করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, দেশে সন্ত্রাসের জাল পেতে চলেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (Islamic State-Khorasan Province) বা আইএসকেপি। ফলে গোপন সূত্রে খবর পেতেই দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত শনিবার মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ (NIA Raid)। রবিবার এনআইএ-র তরফে বিবৃতি জারি করে এই তল্লাশি অভিযানের কথা জানানো হয়েছে।

    এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান

    একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে এনআইএ (NIA Raid) জানিয়েছে যে, তদন্তকারীরা শনিবার মধ্যপ্রদেশের সেওনির চারটি স্থানে এবং পুণেতে একটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। তথ্যের ভিত্তিতে, এনআইএ টিম সন্দেহভাজনদের বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। পুণেতে তালহা খান ও মধ্য প্রদেশের সেওনিতে আক্রম খান নামক দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালান এআইএ-র আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে খবর, দেশজুড়ে আইএসকেপির গতিবিধি ও সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রচেষ্টার তথ্য জানতে পেরেই শনিবার মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    আইএসকেপির সদস্য গ্রেফতার

    সম্প্রতি আইএসকেপির সঙ্গে যুক্ত এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দিল্লির ওখলা থেকে জাহনসিব সামি ওয়ানি ও তাঁর স্ত্রী হিনা বসির বেগ নামক ওই কাশ্মীরী দম্পতিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এনআইএ বলেছে, “এই দম্পতিকে আইএসকেপি-র সঙ্গে যুক্ত বলে পাওয়া গেছে।” এছাড়াও তদন্তে জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহ বাসিথ নামক আরও এক ব্যক্তি আইএসকেপি-র সঙ্গে যুক্ত। যদিও এনআইএ-র তদন্তাধীন অন্য একটি মামলায় বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি ওই ব্যক্তি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    শিবমোগা আইএস ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযান

    জানা গিয়েছে, ওই দিনেই শিবমোগা আইএস ষড়যন্ত্র মামলায় সেওনির আরও তিনটি স্থানে তল্লাশি চালায় এনআইএ। সেদিন আব্দুল আজিজ সালাফি ও শেওব খান নামক অপর দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, শিবমোগা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মোহাম্মদ শারিক, মাজ মুনির খান, ইয়াসিন এবং অন্যান্যরা তাদের হ্যান্ডলারের নির্দেশের ভিত্তিতে, মদের দোকান, হার্ডওয়্যারের মত সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে লক্ষ্যবস্তু করে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সদস্যদের মালিকানাধীন দোকান, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার মত ২৫ টিরও বেশি ঘটনা ঘটিয়েছে। এমনকী তারা আইইডিও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এনআইএ সূত্রে খবর, এই সমস্ত সন্ত্রাস সংগঠনকে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আর্থিক মদত দেওয়া হত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালিকাপুর স্টেশনের নাম হল কবি সুকান্ত, কবে থেকে ছুটবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো?

    Kolkata Metro: কালিকাপুর স্টেশনের নাম হল কবি সুকান্ত, কবে থেকে ছুটবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোর মানচিত্রে নতুন রুট! নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যেকোনও দিন ছুটতে পারে মেট্রো (Kolkata Metro)। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) তরফে জানানো হয়েছে এই রুটে কবি সুকান্ত স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতেই কালিকাপুর সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনের নাম রাখা হয়েছে কবি সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    নয়া মেট্রোপথ কত কিমির

    মোট সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এই মেট্রোপথে রয়েছে ৫টি স্টেশন। রুবির আগে পর্যন্ত চতুর্থ স্টেশনের নাম দেওয়া হয়েছে কবি সুকান্ত। মেট্রো (Kolkata Metro) স্টেশনটিতে ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে কিশোর কবির ছবি এবং কবিতার বিভিন্ন লাইন। জানা গিয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্যের নামাঙ্কিত এই স্টেশনে থাকছে ৮টি চলমান সিঁড়ি, ৪টি লিফট, ১২টি সিঁড়ি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় গোটা স্টেশনকে সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি মাথায় রাখা হচ্ছে স্টেশনের সৌন্দর্যের বিষয়টিও।

    আরও পড়ুন: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ 

    কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোপথে প্রাথমিক ভাবে কাজ হয়েছে রুবি মোড় অবধি। মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অংশে পরীক্ষামূলক ভাবেও মেট্রো চালানো হয়েছে। মার্চ মাসের যে কোনও দিন চালু হবে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল। মেট্রো রেলের মুখ্য জনস‌ংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) এই রুটে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পর আর এক বিখ্যাত কবি সুকান্তর নামে স্টেশন তৈরি করতে পেরে তাঁরা গর্বিত।

    আরও পড়ুন: ৩০ বছরের পুরোনো ঠান্ডা পানীয় ক্যাম্পা কোলা ফিরছে রিলায়েন্সের হাত ধরে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব করা হল ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। ইডি-র দাবি, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়েছিল এই প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও শান্তনুর এই বিশাল সম্পত্তির উৎসের হদিশ পেতে প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ২ দফা তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, সই তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। চলতি সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কে এই প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    সূত্রের খবর, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় কোবড়ো হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বলাগড় উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে বিজয়কৃষ্ণ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। স্নাতক পাশের ডিগ্রি নেওযার পরে প্রিয়াঙ্কা বিএড পাশ করেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা খুব ভাল আঁকতে পারেন। স্থানীয় স্কুলে আঁকাও শেখাতেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর একটি বুটিকও রয়েছে। ২০০৫ সালে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    প্রিয়াঙ্কার নামেও সম্পত্তির হদিশ

    ইডি সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কার নামেও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই একাধিক কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর পদে রেখেছিলেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, এমনই একটি সংস্থা ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও ইডি সূত্রে খবর, বলাগড়ের রেস্তরাঁ শান্তনুর হলেও খাতায় কলমে কর্ত্রী প্রিয়াঙ্কাই। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এমনকী প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া সম্পত্তি এবং আয়করের হিসাবেও অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফলে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক তিনি ও তাঁর স্বামী কী ভাবে হলেন, প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে চায় ইডি। এ সপ্তাহেই নথিপত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে এটাই এখন দেখার যে, এবারেও কি ইডির তলব এড়িয়ে যাবেন নাকি হাজিরা দেবেন প্রিয়াঙ্কা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Banerjee: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Shantanu Banerjee: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) গ্রেফতার করেছে ইডি। এর পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, শুধু চাকরি বিক্রির টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের বাড়ির কাছে বদলির জন্যেও সুপারিশ করতেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে চাকরি বদলির বেশ কিছু সুপারিশ পত্রও। শান্তনুর সুপারিশে একাধিক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ না, সেই সুপারিশ সরাসরি পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে, এমনটাই দাবি ইডির।  উল্লেখ্য, আজ শান্তনুকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি।

    সুপারিশপত্র পাঠানো হত মানিককে!

    গত ২০ জানুয়ারিই এই তৃণমূল নেতার (Shantanu Banerjee) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, সূত্রের খবর, তল্লাশি চলাকালীন শুধুমাত্র, এসএসসি, টেট-এর প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্রই নয়, মিলেছিল সরকারি কর্মীদের বদলির সুপারিশ পত্রও। এর থেকে ইডি আধিকারিকরা ধারণা করছেন, শুধুমাত্র চাকরির বিনিময়ে টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের পছন্দের জায়গায় বদলির বিনিময়েও টাকা নিতেন শান্তনু। আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরির সুপারিশ পত্র পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। কুন্তল, শান্তনুকে জেরা করে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।

    শুধু তাই নয়, ইডি-র কাছে শান্তনু নাকি স্বীকার করেছেন, দলীয় কর্মী অর্থাৎ, তৃণমূল সদস্যেরাও চাকরি চেয়ে হাজির হতেন তাঁর কাছে। আর এরপর মানিকের কাছে এইসব সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনুই। তবে শুধুই মানিক ভট্টাচার্য, নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বড় কোনও নেতা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত জারি থাকবে বলে ইডি-র তরফে জাননো হয়েছে।

    চাকরির জন্য মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স

    টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হত, তাও উঠে এসেছে ইডির জেরায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির জন্য মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হত অ্যাডভান্স হিসাবে। সংগঠক শিক্ষকদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নিত শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের জন্য।

    শান্তনুর উত্থান…

    সরকারি চাকরিতে বার্ষিক মাত্র ৬ লক্ষ টাকা বেতন হওয়া সত্ত্বেও শান্তনুর সম্পত্তির মোট মূল্য কোটি কোটি টাকারও উপরে। ফলে কীভাবে তাঁর উত্থান, তা নিয়েই কৌতূহল সবার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন  সামান্য একজন মোবাইল ফোনের দোকানদার। তার থেকে রকেটের গতিতে উত্থান শুরু। ইডির দাবি অনুসারে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, রিসর্ট, গেস্ট হাউস, ধাবা, বাংলোর পরে মিলেছে আরও ফ্ল্যাট এবং ৭০ লাখি বাড়িতে প্রোমোটিং-এর পরিকল্পনার তথ্যও! জানা যাচ্ছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ জগন্নাথ ঘাটে একটি দোতলা বাড়ি ৭০ লাখে কিনে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল শান্তনুর। ইভান ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামে এই বাড়ি কেনার পথে এগিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা, অগ্রিম বাবদ ১৫ লক্ষ টাকাও দেন বলে দাবি বাড়ির মালিকের। ফলে পুরো হুগলি জুড়েই তাঁরই যেন সাম্রাজ্য!

  • Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    Vivek Agnihotri: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে আঙুল তুললেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। রবিবার কলকাতা মিউজিয়ামে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিবেক। সেখানেই তিনি বলেন, “বাংলার পরিস্থিতি ভয়ংকর।  এরাজ্যে শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে, আমি নিজে তার সাক্ষী।” একইসঙ্গে বিবেকের (Vivek Agnihotri) দাবি, তিনি বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন প্রথম থেকেই। জেল পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর অন্য উপলব্ধি হয়। বিবেকের কথায়, “আমি নিজে একজন বামপন্থী ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝেছি এটা একটা বিনাশের রাস্তা।”

    কী বললেন বিবেক

    এদিন বিবেক (Vivek Agnihotri) বলেন, “বাংলা থেকে বিপজ্জনক ছবি উঠে আসছে। এখনই না রুখে দিলে বাংলা কাশ্মীর হতে বেশি সময় লাগবে না।” তিনি ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা অনুপম খের, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং ড: স্বপন দাশগুপ্ত।  বিবেকের কথায়, রাজ্যে এখন দুর্নীতি, গোষ্ঠী হিংসা, সস্তা ডায়লগ আর চামচাগিরিতে ভরে গিয়েছে। বিবেক বলেন, ‘আমাকে একবার আমার মা বলেছিলেন, যদি এমন মানুষদের দেখতে চাও যারা দেশ বদলাতে পারে, তাহলে বাংলায় যাও। কিন্তু আমার শুধু মনে আছে, বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম ছবির জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছিল আমাকে’। তিনি বলেন, ‘বাংলায় অনেক মিনি কাশ্মীর তৈরি হয়েছে এখন। বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হওয়ার আগে বাংলার কাহিনি আমি জনতার সামনে আনতে চাই। বাংলার রাজনীতির অধঃপতন দেখানোর জন্য একটি ছবি বানাতে চাই আমি’। সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরাও করা যায় না এখানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা রুখতে ব্যর্থ।

    আরও পড়ুন: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেল ‘নাটু নাটু’

    বাংলা নিয়ে ছবি

    বিজেপি নেতারা প্রায়শই অভিযোগ করে থাকেন, পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের ডেরায় পরিণত হচ্ছে। প্রায় সেই ভাষাতেই কথা বললেন বিবেক (Vivek Agnihotri)। শোনা যাচ্ছে তিনি আরও একটি ছবিও তৈরি করবেন। সেখানে থাকবে বাংলার পরিস্থিতি ও ১৯৪৬ এর রাজনৈতিক বাতাবরণ। বিবেকের ওই মন্তব্য নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা আগেই দাবি তুলেছিলাম বেঙ্গল ফাইলসও তৈরি হোক। কাটরা মসজিদ নিয়ে রাজ্যে কী পরিস্থিতি হয়েছিল তা আমরা জানি। শীতলকুচি ও দিনহাটার কথা মানুষ জেনে গিয়েছে। এরকম বহু জায়গা রাজ্যে রয়েছে। সেসব নিয়ে কথা উঠছে। কমিউনিস্ট আর টিএমসি ছাড়া বাংলার বদনাম আর কে করেছে? এখন কাশ্মীরকে শান্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। পশ্চিমবাংলা সেই মোদির হাতেই শান্ত হবে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Oscars 2023: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরা ‘নাটু নাটু’

    Oscars 2023: ‘আরআরআর’-র হাত ধরে ভারতে এল অস্কার, ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরা ‘নাটু নাটু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্কারের (Oscars 2023) মঞ্চে গৌরবের পালক জুড়ল ভারতের মুকুটে। অবশেষে ‘আরআরআর’-এর হাত ধরে ভারতে এল অস্কার। ৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস-এর মঞ্চে ‘বেস্ট অরিজিন্যাল সং’ বিভাগে সেরার শিরোপা পেল ‘নাটু নাটু’। সেরা মৌলিক গানের বিভাগে অস্কার জিতে নিলেন এম এম কীরাবাণী। তে‌লুগু ছবির ইতিহাসে নজির গড়েছে ‘আরআরআর’ ছবির গান ‘নাটু নাটু’। আবার ‘বেস্ট ডকুমেন্টরি শর্টস’ জিতল ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’। কার্তিকি গনসালভেস পরিচালিত এবং গুনীত মঙ্গা প্রযোজিত এই ছবির হাত ধরে আরেকটি অস্কার এসেছে ভারতে।

    ‘আরআরআর’-এর মুকুটে নয়া পালক

    অস্কারের (Oscars 2023) মঞ্চে ইতিহাস গড়েছে ‘নাটু নাটু’। সংগীত পরিচালক এমএম কীরাবাণী এবং গীতিকার চন্দ্রবোসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার। এর আগে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ ও ‘ক্রিটিকস চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ জিতে দৌড়ে এগিয়ে ছিল ‘নাটু নাটু’। একাধিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টেক্কা দিয়েছে রিহানা, লেডি গাগার মত তাবড় তাবড় পপ তারকাদের। মনোনয়নের তালিকায় ছিল অ্যাপলস (টেল ইট লাইক আ ওমেন), হোল্ড মাই হ্যান্ড (টপ গান ম্যাভেরিক), লিফট মি আপ (ব্ল্যাক পাথের ওয়াকান্ডা ফরএভার), এবং দিস ইজ আ লাইফ (এভরিথিং এভরিথিং অ্যাল অ্যাট অ্যাট এভয়্যার)। কিন্তু সমস্ত গানকে টেক্কা দিয়ে সেরার শিরোপা জিতে নিল ‘নাটু নাটু’।

    প্রসঙ্গত, এই বিভাগে ২০০৯ সালে অস্কার জিতেছিল ‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’ থেকে ‘জয় হো’ গানটি। সেই হিসেবে দ্বিতীয় ভারতীয় গান যা ‘সেরা মৌলিক গান’ বিভাগে অস্কার পেল।

    সেরা ডকুমেন্টরি শর্ট ফিল্ম

    এদিন আরও একটি অস্কার (Oscars 2023) ভারতে এসেছে ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’-এর হাত ধরে, আর পিছনে অবদান রয়েছে দুই নারীর। সেরা ডকুমেন্টরির তকমা ছিনিয়ে নিয়েছে এই স্বল্পদৈর্ঘের ছবিটি। এই বিভাগের অন্য চার মনোনীত ছিল আউট, দ্য মার্থা মিচেল ইফেক্ট, স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট এবং হাউ ড ইউ মেজার অ্যা ইয়ার। ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ হল এই বিভাগে অস্কার জেতা প্রথম ভারতীয় ছবি। প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি যা অস্কার আনল ভারতে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কিছু ভারতীয় তথ্যচিত্র মনোনীত হয়েছিল এই বিভাগে। তবে শেষমেশ অস্কার এল দুই নারীর হাত ধরে।

    উল্লেখ্য, মুদুমালাই ন্যাশনাল পার্ককে কেন্দ্র করে তৈরি ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’ একটি আদিবাসী দম্পতি বোম্যান এবং বেলির গল্প যাঁরা রঘু নামে একটি অনাথ হাতির বাচ্চার দেখভাল করে। আর এটিই সকলের মন কেড়ে নিয়েছে ও সৃষ্টি করেছে ইতিহাস (Oscars 2023)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল (DA Protesters)। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। রাজভবনে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, “সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ।”

    রাজ্যপাল কী বললেন?

    শনিবার ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর মত ছিল আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফলে সরকারি কর্মচারীদের (DA Protesters) অনশন তুলে নিতে বলেন এবং এর পাশাপাশি রবিবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের। ডিএ সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন কর্মীরাও। এর পরেই আজ রাজভবনে তাঁরা পৌঁছে যান ও ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তাঁরা বেরিয়ে আসেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি দল জানান যে, রাজ্যপাল তাঁদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের দাবি মেটানোর। এছাড়াও রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

    আরও পড়ুন: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    আবার ডিএ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সেই বৈঠক আয়োজনেরও চেষ্টা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের মধ্যস্থতা চান, তাই আজকে বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা।

    অনশন অব্যাহত

    তবে রাজ্যপালের তরফে আশ্বাস পাওয়া গেলেও এখনই আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে কর্মচারীদের অনুষ্ঠান তুলে নেওয়ার কথা জানানো হলেও এখনই অনশন বন্ধ করা হচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত তাঁদের দুই দফা দাবি অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো এবং স্বচ্ছ নিয়োগ, এই দুটি মেটানো হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও রাজ্যপালের আশ্বাসের পর কী পদক্ষেপ করা হয়, তা আগে দেখবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। সেই অনুযায়ী আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তাঁরা।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Campa Cola: ৩০ বছরের পুরোনো ঠান্ডা পানীয় ক্যাম্পা কোলা ফিরছে রিলায়েন্সের হাত ধরে

     Campa Cola: ৩০ বছরের পুরোনো ঠান্ডা পানীয় ক্যাম্পা কোলা ফিরছে রিলায়েন্সের হাত ধরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ বছরের পুরোনো ঠান্ডা পানীয়ের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, পেপসি এবং কোকা কোলার সঙ্গে এবার হবে সরাসরি লড়াই। মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড (RCPL) ভারতের আইকনিক ‘বেভারেজ ব্র্যান্ড’ ক্যাম্পা কোলা চালু করার কথা ঘোষণা করেছে। রিলায়েন্সের হাত ধরে প্রায় অর্ধ শতাব্দীর পুরানো ব্র্যান্ড ক্যাম্পাকোলা ভারতের বাজারে ফিরতে চলেছে। সংস্থা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তিনটি ফ্লেভারে মিলবে এই ঠাণ্ডা পানীয়। প্রতিষ্ঠানটি এর নাম দিয়েছে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান টেস্ট’।

    চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে অন্যান্য ঠাণ্ডা পানীয়ের সংস্থাগুলি?

    রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ভারতের পানীয় বাজারে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম কোম্পানি, পেপসিকো এবং কোকা-কোলাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ক্যাম্পা কোলা সরাসরি পেপসিকো এবং কোকা-কোলার সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে। রিলায়েন্স জানিয়েছে, রিলায়েন্স ভারতে নিজস্ব রিটেল চেইনের মাধ্যমে অন্যান্য ব্র্যাণ্ডের ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে প্রস্তুত।

    লঞ্চের সময়, রিলায়েন্স কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ক্যাম্পা কোলা এর নতুন অবতারে বাজারে ফিরিয়ে আনতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা আশা করি যে পরবর্তী প্রজন্মের গ্রাহকরা এই ‘আইকনিক ব্র্যান্ড’টি সাদরে গ্রহণ করবেন, তরুণ গ্রাহকরা ক্যাম্পা কোলার নতুন স্বাদ দারুণ ভাবেই পছন্দ করবে। দ্রুত বর্ধনশীল ভারতীয় বাজারে ক্যাম্পা কোলার জন্য আগামী দিনে প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

    অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা থেকে শুরু হবে ক্যাম্পা কোলার যাত্রা

    সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে ২০০, ৫০০ এবং ৬০০ মিলি প্যাক ছাড়াও, কোম্পানি ১ এবং ২ লিটারের বোতলও বাজারে আনতে চলেছে। প্রাথমিক ভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা থেকে শুরু হবে ক্যাম্পা কোলার যাত্রা। ধীরে ধীরে সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এই নতুন স্বাদের ঠাণ্ডা পানীয় । সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চ মানের পণ্য সহ ভারতীয় গ্রাহকদের পরিবেশন করাই সংস্থার উদ্দেশ্য বলেই জানিয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এক আধিকারিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের মিলল বিস্ফোরক তথ্য! কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে। কাউন্সেলিং ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে ইংরেজি শিক্ষক পদে। বীরভূমের চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানার রোল নম্বরে নিয়োগ করা হয়েছে অন্যজনকে। এটা জানতে পেরে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঘটনার জেরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে পারে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এসএলএসটিতে উত্তীর্ণ হন সালমা সুলতানা। ইন্টারভিউও দেন। অথচ তার পর আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য এ পর্যন্ত ডাকা হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    নিয়োগে (Recruitment Scam) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফেঁসে গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতাও। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মী। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। প্রকাশের দুই মেয়ে মাম্পি ও শম্পার চাকরি গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন জামাই বিপ্লব দাসও। মাম্পি চাকরি করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। শম্পা ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ক্লার্কের পদে ছিলেন বিপ্লব।

    আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সামসুর রহমানেরও। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ফাঁকা ওএমআর শিটেই চাকরি জুটেছিল তাঁর। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের নামের যে তালিকা এসএসসি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৫৫১ নম্বরে রয়েছে সামসুরের নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    চাকরি খুইয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণবও। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ সি-র (Recruitment Scam) চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অর্ণব। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারভিউয়ে সফল হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পান তিনি। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে বছর পাঁচেক চাকরি করার পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান তিনি। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটেও। ডানকুনির বামুনারির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামীও তৃণমূল নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shantanu Banerjee: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    Shantanu Banerjee: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। তিনদিনের ইডি হেফাজতে আপাতত তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন হুগলির তৃণমূল নেতা। আর তাঁকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকার উৎস কি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি অবৈধ কারবারেও হাত পাকিয়েছিলেন শান্তনু। বালি পাচারেও নাকি যোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার, সূত্রের খবর।

    বালি পাচারেও যোগ শান্তনুর

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগের পাশাপাশি বালি খাদান থেকেও তিনি বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। হুগলি জেলার একাধিক বালি খাদানে তাঁর যোগ রয়েছে। বিশেষ করে গোঘাট, আরামবাগ, পুড়শুড়া এমনকী বর্ধমানেও বেশ কয়েকটি বালি খাদানে  তাঁর অংশ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বালির কারবার চলত মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর ও দ্বারকেশ্বর নদীতে। এক প্রকার বালি লুট করে পাচার করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, এই সমস্ত বালি খাদান গুলিতে তাঁর অনুগামীরাই কাজ করত এবং কালেক্টর হিসাবে টাকা তুলে তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির হাতে তুলে দিত। সেই টাকাতেই সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কোটিপতি হন বলে অভিযোগ।

    কীভাবে শুরু হয় বালি পাচারের কারবার?

    জানা গিয়েছে, শাসকদলের এক দাপুটে নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। একসময় তাঁর দাপটে আরামবাগের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। অথচ পুলিশ নীরব ছিল। শান্তনুর দাপট এতটাই ছিল যে পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত নীরবে সব দেখেও না দেখার ভঙ্গিতে বসে থাকত। জানা গিয়েছে, এই আরামবাগকে টার্গেট করেছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। প্রথমেই তিনি মোবাইল ব্যবসা করলেও বিদ্যুৎ দফতরে  ক্যাসিয়ার হিসাবে খানাকুলের রাজহাটিতে কাজ করতে শুরু করেন। তারপরই ধীরে ধীরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে তাঁর উত্থান ঘটে। সেই উত্থানের মধ্যেই খানাকুলে বসে আরামবাগ মহকুমায় বালি ব্যবসার ছক করেন বলে অনুমান। আরামবাগে কীভাবে বালি মাফিয়ারাজ চালানো যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করেন বলে দাবি এলাকার মানুষের। এরপর তিনি বলাগড়ে পোষ্টিং নিয়ে চলে যান এবং দফতরে কাজ শুরু করেন। এরপরেই কোনও বড় নেতার ছত্রছায়ায় থেকে হুগলি জেলার যুব সভাপতি হন। তারপর ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করে বালি মাফিয়ার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির (Shantanu Banerjee) বালি পাচার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব শান্তনুর বালি কারবার যোগ নিয়ে সরব হন। সবমিলিয়ে এখন এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির ছায়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের ব্যাপক ক্ষোভ এই বালি মাফিয়ারাজ নিয়ে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share