Blog

  • Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chattopadhyay) করা বিরূপ মন্তব্যের মাশুল গুনল ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা। বনধের জেরে শনিবার ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন ঝাড়গ্রামে বেসরকারি বাস চলেনি। রাস্তায় হাতে গোণা যে কটি সরকারি বাস বেরিয়েছিল, অবরোধের জেরে তাও আটকে গিয়েছে মাঝপথে। তবে ব্যাঘাত ঘটেনি জরুরি পরিষেবায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসীদের অপমান করেছেন। অবিলম্বে তাঁকে আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) বলেন…

    প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় আদিবাসীদের পরিযায়ী ও গোর্খাদের বহিরাগত বলেছিলেন শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay)। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন কুমারগ্রামের বিধায়ক বিজেপির মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, মন্ত্রী ইতিহাসের অপলাপ করছেন। শোভনদেবের এই মন্তব্যের জেরেই ডাকা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বনধ।

    আরও পড়ুুন: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    বনধের জেরে এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে শপিং মল থেকে শুরু করে কোর্ট রোড চত্বরের দোকান, জুবলি মার্কেটের দোকান বন্ধ রয়েছে। গজাশিমূলের কাছে অবরোধ করা হয় কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা অবরোধ করা হয় লোধাশুলির কাছেও। এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। অবরোধ করা হয় বিনপুর এক নম্বর ব্লকের দহিজুড়ি মোড়েও। বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের শিলদা চকেও অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ করা হয়েছে পথ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। আদিবাসী সমাজের পক্ষে ডানগা হাঁসদা বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত ব্লকে আমাদের অবরোধ ও বনধ কর্মসূচি চলছে। আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এই বনধ অনির্দিষ্টকাল চলবে।

    তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভা কক্ষের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। তার প্রতিবাদে আজ আমরা ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছি। ডানগা হাঁসদা বলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভুল স্বীকার করতে হবে। তাঁকে বলতে হবে ভুলবশত বলা হয়ে গিয়েছে। তাহলে আমরা মেনে নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • INDIA v AUSTRALIA: শুভমনের শতরান! চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার  বিপক্ষে বড় ইনিংস গড়ার পথে ভারত

    INDIA v AUSTRALIA: শুভমনের শতরান! চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় ইনিংস গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেদাবাদ টেস্টে তৃতীয় দিনের শেষে ভাল জায়গায় ভারত (INDIA v AUSTRALIA)।  তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়া ৯৯ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তুলেছে। ফর্মে থাকা শুভমন গিলের দুরন্ত শতরানে ভর করে এদিন সহজেই রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। দিনের শেষে ৫৯ রান করে ক্রিজে রয়েছেন বিরাট কোহলি ও ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। প্রথম ইনিংসের বিচারে অস্ট্রেলিয়ার থেকে এখনও ১৯১ রান পিছিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া। চতুর্থ দিনে ভারতের জন্য প্রথম সেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবার নজর থাকবে বিরাটের ব্যাটের দিকে।

    ম্যাচের হাল-চাল

    এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া (INDIA v AUSTRALIA)। অজি ব্যাটার উসমান খোয়াজা এবং ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরির সুবাদে অস্ট্রেলিয়া স্কোর বোর্ডে ৪৮০ রান তুলতে সক্ষম হয়। খোয়াজা ১৮০ রান ও গ্রিন করেন ১১৪ রান। এই ইনিংসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান কুনম্যান। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে আউট হয়েছেন হিটম্যান। ৪২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন চেতেশ্বর পূজারা। মার্ফির বলে আউট হন পূজারা। এদিকে শতরান করে আউট হয়েছেন শুভমন গিল। ১২৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন গিল। 

    আরও পড়ুন: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    আমদাবাদের পিচে এমনিতেই বোলাররা সে ভাবে সাহায্য পাননি এখনও। সেই পিচে ঠান্ডা মাথায় চাপ সামলে রান করলেন শুভমন। মারার বল হলে মেরেছেন। ধরে খেলার বল সতর্কতার সঙ্গে রক্ষণ করেছেন। খুচরো রান নিয়ে সচল রেখেছেন স্কোরবোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার (INDIA v AUSTRALIA) বিরুদ্ধে ভারতকে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যেতে হলে কাউকে একটা বড় রান করতেই হবে। শুভমন তার শুরুটা করে দিয়ে গেলেন। গিলের কথায়,’চতুর্থ দিনে বড় স্কোর করার চেষ্টা করবে ভারত। তাঁর মতে কে জানে ম্যাচের পঞ্চম দিনে উইকেট বোলারদের সাহায্য করতে পারে। আর যদি তা হয় তাহলেই ভারতীয় দল বাজি জিততে পারে।’ তৃতীয় দিনের খেলার শেষে শুভমন বলেন, ‘এখানে সেঞ্চুরি করতে পেরে দারুণ লাগছে। এটা আমার আইপিএল হোম গ্রাউন্ড এবং এখানে আমি কিছু রান পেয়ে বেশ খুশি। ব্যাট করার জন্য পিচ বেশ ভালো ছিল।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    PML Rules: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস সংশোধন করল কেন্দ্র, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলস (PML Rules), ২০০৫ সংশোধন করল কেন্দ্র। নয়া এই রুলস অনুযায়ী, যাঁরা পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস, তাঁদের যে কোনও ধরনের লেনদেনের (transaction) রেকর্ড রাখতে হবে ব্যাঙ্ক (Bank) এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। চলতি অর্থবর্ষের ৭ মার্চ থেকেই লাগু হয়েছে এই রুলস। এছাড়াও এনজিও বা নন প্রফিট অর্গানাইজেশনের যাবতীয় লেনদেনের যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করতে হবে ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস…

    পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনসের সংজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে ওই সংশোধনীতে। বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যাঁরা কোনও সরকার বা রাজ্যের প্রধান, প্রবীণ রাজনীতিক, প্রবীণ সরকারি কর্মী কিংবা জুডিশিয়াল বা মিলিটারি অফিসার, রাজ্যের কোনও কর্পোরেশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের আধিকারিক, তাঁরাই পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস।

    আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ((PML Rules)) নীতি আয়োগের দর্পন পোর্টালের এনজিও ক্লায়েন্টদের তথ্যও নথিভুক্ত করতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পাঁচ বছর পর পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, সংশোধনীতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাঙ্ক শুধু পলিটিক্যালি এক্সপোজড পার্সনস কিংবা এনজিওর আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড মেইনটেইন করবে তাই নয়, যখন এবং যেমন প্রয়োজন লেনদেনের সেই সব তথ্য ইডির কাছেও পাঠিয়ে দেবে।

    ক্রিপ্টোকারেন্সি…

    এদিকে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং ((PML Rules)) রুলসের আওতায় ক্রিপ্টোকারেন্সি পড়বে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার এক নির্দেশিকা জারি করে নয়া নিয়মের বিষয়টি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বিটকয়েনের মতো কারেন্সির পাশাপাশি ভার্চুয়াল সম্পত্তিতেও এবার থেকে কার্যকর হবে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। ডিজিটাল সম্পদের ওপর নজরদারি বাড়াতেই নয়া নির্দেশিকা আনা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির নানা দুর্নীতি আটকাতেও কড়া পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র।

    ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। তাই এ ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিচ্ছে কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের তথ্য, নম্বর বা টোকেন সব ক্ষেত্রেই আর্থিক লেনদেন থেকে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই আর্থিক লেনদেনগুলি আয়কর আইনের আওতায় পড়বে। ডিজিটাল সম্পদ কেনাবেচার আগেও সাবধান হয়ে আর্থিক লেনদেনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর বসিয়েছে কেন্দ্র। তার জেরেই এই ক্ষেত্রে বাড়ছে অপরাধের সম্ভাবনাও। সেই অপরাধে লাগাম পরাতেই প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং রুলসের আওতায় আসছে লেনদেনের নয়া পদ্ধতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড এবং প্রসাধনী সামগ্রী বেচেই দিন গুজরান হত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুবকের আঙুল ফুলে কলাগাছ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু। তার পরেই খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। বলাগড়ের চাদরা বটতলা এলাকায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে মনোরম বাগানবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়িতে গানবাজনা হত। বহু পুরুষ, মহিলা আসতেন। নীলবাতি লাগানো গাড়িও এসেছে। এখানে আসতেন কুন্তলও। এই বাগানবাড়ির পাশাপাশি

    শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি…

    বলাগড়ে রয়েছে ফার্ম হাউসও। এসবের পাশাপাশি বেনামেও বেশ কিছু জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাবার অকাল প্রয়াণের পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু। বলাগড়ের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, ধাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি পরিবারকে উৎখাত করে তৈরি হয় ধাবা। বানিয়েছেন হোম-স্টেও। শান্তনুর একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় এক নেতার।

    অতি সাধারণ একটা চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু (Santanu Banerjee)? এর উত্তর পেতে হলে ভরসা করতে হবে ইডি-র কথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছে মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি তিনি করে দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনুর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের সুপারিশপত্র ও অ্যাডমিট কার্ড। শান্তনুর বাড়িতে যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা মিলেছিল, তার একটি প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে মানিকের বাড়ি থেকেও।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শান্তনুর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। চাকরিপ্রার্থীদের টাকার কিছুটা নগদে কিছুটা পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শান্তনু (Santanu Banerjee) নিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যে ২০ জনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি কুন্তল ঘোষও শান্তনুকে কয়েক কিস্তিতে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। এই যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ইডিকে দিতে পারেননি শান্তনু। তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকায়ই কেনা হয় সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে শান্তনু একজন মিডলম্যান। তাঁর এত সম্পত্তির বহর কীভাবে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হলো। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল এসএসসি। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুপুর ৩ টের মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগ

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই ‘গ্রুপ সি’-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন। শুক্রবার এই তথ্য পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন এটাও কি শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার কাজ? যাঁরা বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁরা যেন শনিবার থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রথম দফায় ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ৮৪২ জন গ্রুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের (SSC Scam) নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জনের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র আছে। তাই প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা এবং পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অপর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কমিশনের সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে হেতু এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়নি, তাই ওই ৫৭ জনের চাকরি কলকাতা হাই কোর্ট বাতিল করেছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিক এসএসসি। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করে এসএসসি। ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল, এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, তার তথ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: লালুর ছেলে-মেয়ের বাড়িতে ইডি হানায় উদ্ধার ১.৫ কেজি সোনা! আর কী কী মিলল?

    ED: লালুর ছেলে-মেয়ের বাড়িতে ইডি হানায় উদ্ধার ১.৫ কেজি সোনা! আর কী কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির নজরে লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে এবং ছেলে। তাঁদের একাধিক বাড়ি ও সম্পত্তিতে হানা দিল ইডি (ED)। একাধিক জায়গায় একসঙ্গে চলা এই অভিযানে উদ্ধার হয়েছে লাখ লাখ নগদ টাকা এবং কেজি কেজি সোনা। জানা গিয়েছে, লালুর তিন মেয়ে রাগিনি, চন্দা এবং হেমার বাড়িতে গতকাল হঠাৎই হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের কর্তারা। পাশাপাশি বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের বাড়িতেও হানা দেন ইডির (ED) তদন্তকারীরা। তাছাড়া লালু ঘনিষ্ঠ আরজেডির প্রাক্তন আবু দোজানার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি (ED)।

    কী বলল ইডি (ED) 

    ইডির তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি, রাঁচি, মুম্বই, পটনা সহ মোট ২৪টি স্থানে এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে মোট ৭০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া ৯০০ মার্কিন ডলারও উদ্ধার হয়েছে। তাছাড়া দেড় কেজি সোনার গয়না এবং ৫৪০ গ্রাম সোনার কয়েন উদ্ধার হয়েছে। জমির বদলে রেলের চাকরি কেলেঙ্কারির যোগেই এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা জিতেন্দ্র যাদবের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। উল্লেখ্য, জিতেন্দ্র লালু কন্যা রাগিনির স্বামী।

    জমির বদলে রেলের চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে রাবড়ি দেবীকেও জেরা করা হয়

    এদিকে জমির বদলে রেলের চাকরি মামলায় হোলির আগে পরপর দু’দিন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীকে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে জেরা করেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, লালু প্রসাদ যাদব যখন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন জমির বিনিময়ে গ্রুপ-ডি পদের ‘সাবস্টিটিউট’ হিসাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাঁদের চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিবিআই-এর তরফে নয়া মামলা করা হয়েছে লালু, রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা এবং আরও ১২ জনের নামে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের রঙিন জীবনযাপন করতেন। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ওঠা-বসা। ইডি সূত্রে খবর, টলিউডের একাধিক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। ই এম বাইপাসের ধারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাটেই এই উঠতি মডেলদের নিয়ে রীতিমতো জমাটি পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল। চলত হুল্লোড়, মদ্যপান থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবনও, দাবি ইডির।

    মাদক কারবারিদের সঙ্গেও পরিচয়

    ইডি সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক অভিজাত আবাসনে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই বসত ‘রেভ পার্টি’র আসর। নায়ক–নায়িকা থেকে উঠতি মডেল ওখানে আসতেন। রাতভর চলত হুল্লোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবন। এমনকী ওই পার্টিতে নিয়মিত দেখা যেত দুই ড্রাগ কারবারিকে। তারা সেখানে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। টলিউডের আরও ৬ জন অভিনেতা–অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। হয়েছে আর্থিক লেনদেনও, (SSC Scam) এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। যুবনেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানদের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির থেকেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকার লেনদেন

    কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিতে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। আবার সোমার পার্লারের উদ্বোধনের জন‌্য বনি সেনগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ‌্যায়কে বলা হয়েছিল। ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েই কুন্তলের কথায় কৌশানী নিউটাউনে গিয়ে ওই পার্লার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, কুন্তল প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কুন্তলের ২০১৮ সালের পর থেকে যোগাযোগ ছিল না। ব্যবসার জন্য কিছু অর্থ তিনি কুন্তলের থেকে ধার নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোমা। তাঁর কথায়, এই টাকা তিনি ফেরত দেননি এবং কুন্তলও কখনও তা ফেরত চাননি।  ইডি সূত্রের দাবি, দুনীর্তিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং এই সোমা চক্রবর্তীর মধ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুক্রবার ইডি দফতরে আরও এক বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সোমাকে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সোমা-কুন্তল সম্পর্ক

    সোমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় হয়েছিল শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে। সেটা ২০১৫ সাল। তার পর থেকে একাধিক বার কুন্তল এবং সোমাকে বিভিন্ন ক্লাবে, পাবে একসাথে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই নাকি ব্যবসার জন্য সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সোমা।  তবে ইডির দাবি, সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর তা অন্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হয়েছিল ওই টাকা? ইডি কর্তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরানোর জন্য একের পর এক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে এই টাকা, কোথায় কোথায় হয়েছে লেনদেন। সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য নিয়ে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (ভায়া রাজারহাট) মেট্রো (Kolkata Metro) করিডরের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের কাজ শুরু করল রেল। রেলের আধিকারিকদের আশা, চলতি বছরের মধ্যেই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’-র টানেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ।

    অন্যান্য মেট্রোর (Kolkata Metro) মতো নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের বেশিরভাগটাই মাটির নীচে নেই, মাত্র ৮০০ মিটার মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির উপর মোট ২৪ টি স্টেশন থাকবে। ওই অংশের জন্যই কাজ শুরু করেছে রেল। রেল সূত্রে জানা গেছে, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের জন্য ‘টানেল বোরিং মেশিন’ ব্যবহার করা হবে না। যা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ব্যবহৃত হয়েছে। বরং ‘কাট অ্যান্ড কভার টানেলিং’-র মাধ্যমে ওই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণ করা হবে।

    কতদিন লাগবে প্রকল্প শেষ হতে

    নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনের দাবি, চলতি বছরের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে টানেলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে অ্যাফকন কর্তাদের আশা। অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই ওই ৮০০ মিটার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ (৩.৫ কিলোমিটার) তৈরি হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (Kolkata Metro) ইস্যুতে বৈঠক নবান্নে, উচ্চমাধ্যমিকের পর কাজ শুরু হবে

    অন্যদিকে নবান্নে এই প্রকল্প নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গেল। জানা গেছে, ইএম বাইপাসের একাংশ বন্ধ করতে না-পারার কারণে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধানে শুক্রবার নবান্নে মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ এবং পরিবহণ দফতরের সংশ্লিষ্ট সচিবেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল, সিইএসসি-র প্রতিনিধি এবং মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) প্রতিনিধিরা।

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) জুড়বে কবি সুভাষে

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি, কলকাতা শহরের এই দুটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) এই প্রথম পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে। জানা গেছে, নিউ গড়িয়া-রুবি পথে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার আগে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যাতে এক বার টোকেন কিনে বা এক বার স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করেই যে কোনও একটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) থেকে অন্য পথের মেট্রো ধরতে পারেন, তার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share