Blog

  • Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন শোষণ (Carbon Capture) করে তা সমুদ্রে সংরক্ষণ করার নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই নয়া পদ্ধতিতে প্রথমে কার্বন সংগ্রহ করা হবে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পরে তা পরিবর্তিত করা হবে বেকিং সোডাতে। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন সংগ্রহ(Carbon Capture) করার পদ্ধতি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু নতুন এই গবেষণা, খরচ অনেকটাই কম করবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষকরা বলছেন, কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) এটা অনেক সহজ পদ্ধতি।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডল থেকে সংগৃহীত কার্বন সংরক্ষণ (Carbon Capture) করার অসীম ক্ষেত্র হল সমুদ্র। আঠা এবং কিছু রাসায়নিক যৌগের সাহায্যে কার্বনকে বেকিং সোডায় পরিবর্তিত করা হবে, তারপর তা সমুদ্রের জলে মেশানো হবে। গবেষকদের দাবি, বেকিং সোডা সমুদ্রের জলে মেশালে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়না।

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    কী বলছেন এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত

    এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত। তিনি বর্তমানে বেথলেহেমের লিহাই বিশ্ববিদ্যালেয় অধ্যাপক। তাঁর মতে, নতুন এই পদ্ধতি পূর্বের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত কাজ করবে এবং তা খরচ সাশ্রয়ীও বটে। তাঁর মতে, এই নয়া পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বনকে কম ঘনত্বের উপাদানের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন পুরনো পদ্ধতিতে কার্বনকে সংরক্ষণ (Carbon Capture) করা হত মাটির নীচে। নতুন পদ্ধতিতে কার্বনকে বাইকার্বনেটে (বেকিং সোডা) রুপান্তরিত করে তা সমুদ্রের জলে সংরক্ষণ করা যাবে।

    বাঙালি বিজ্ঞানীর পরিকল্পনা

    বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্তের পরিকল্পনা রয়েছে একটি প্রযুক্তি সংস্থা তৈরি করার এবং তা কাজ করবে কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) ওপর। বাঙালি বিজ্ঞানী বলছেন, এরমাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে খুব তাড়াতাড়ি ১০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ কের নেওয়া সম্ভব হবে।

    প্রসঙ্গত, কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Viral Infection: আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর-সর্দি-কাশিতে কাহিল সবাই, এই ভাইরালের প্রতিকার কী?

    Viral Infection: আবহাওয়ার পরিবর্তনে জ্বর-সর্দি-কাশিতে কাহিল সবাই, এই ভাইরালের প্রতিকার কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে ব্যপকহারে বাড়ছে সংক্রমণ। পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাস বাড়বাড়ন্ত হয়েছে (Viral Infection)। বহু মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। এবাদেও ইনফ্লুয়েঞ্জা, প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা তো রয়েইছে। এই ভাইরাসগুলির প্রভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি হয়।  

    আসলে ভাইরাল রোগগুলি খুব দ্রুত সংক্রমিত হয়। কোভিডের মতো এই রোগগুলিও (Viral Infection) একে অপরের সংস্পর্শে এলে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে কোভিডের আর দাপট নেই। এই সুযোগে বাড়ছে অন্যান্য ভাইরাস। তাই সচেতন হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।

    আরও পড়ুন: বনিকে ফের তলব ইডির! সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে কোন নথি? 

    ভাইরাল ইনফেকশন অনেক ধরনের হয়। এই মুহূর্তে মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা, অ্যাডিনো নিয়েই সবার চিন্তা। এই রোগগুলির উপসর্গ কী? 

    ১. জ্বর
    ২. সর্দি
    ৩. কাশি
    ৪. মাথা ব্যথা
    ৫. শরীরে ব্যথা
    ৬. বমি, পায়খানা
    ৭. ক্লান্তি ইত্যাদি।

    কীভাবে এই রোগগুলি থেকে দূরে থাকবেন? 

    ১. হাত ধুয়ে খাবার খান 

    এপিআইসি.ওআরজি তরফে জানানো হয়েছে, এই সংক্রমণগুলি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে নিজের হাত দুটি সবসময় পরিষ্কার (Viral Infection) রাখুন। কারণ হাতের থেকে মুখ হয়ে বেশিরভাগ ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। তাই খাবার খাওয়ার আগে সবসময় হাত ধুয়ে রাখুন। কোভিডের সময় যে নিয়মগুলি মানতেন, সেই নিয়ম মেনে চলুন। ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত কছলে ধুয়ে নিন। ছোটদেরও এই শিক্ষা দিন। তবেই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সহজে।

    ২. একে অপরের জিনিস ব্যবহার করবেন না 

    বাড়িতে কেউ সংক্রমিত থাকলে তার ব্রাশ, টাওয়েল ব্যবহার করবেন না। হয়তো শরীরে ভাইরাস থাকার পরও কোনও লক্ষণ আপনার দেখা দেয়নি। আপনি অ্যাসিম্পটোমেটিক। কিন্তু  অন্যরা আপনার জিনিস ব্যবহার করলে আদতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাঁদের শরীরেও ঢুকে যেতে পারে ভাইরাস। বিশেষত, ছোটদেরকে আরও সাবধানে রাখতে হবে। তবেই এই রোগকে আটকানো যাবে।

    ৩. মাস্ক ব্যবহার করুন

    হাঁচি, কাশির মাধ্যমে বেরিয়ে আসে ড্রপলেট। এই ড্রপলেটে থাকে অসংখ্য ভাইরাস (Viral Infection)। এই ভাইরাস শরীরে গেলেই রোগ হয়। তাই চেষ্টা করুন হাঁচি-কাশির সময় নাকে-মুখে হাত দিয়ে রাখার। মাস্ক পরুন। সাধারণ সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার করলে একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিন।

    ৪. ভিটামিন সি যুক্ত খাবার

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা বাড়ান। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খান (Viral Infection)। প্রচুর ফল, শাক, সবজি খান। বিশেষত, লেবু খান। যে কোনও ধরনের লেবু মুখে তুলে নিতে পারেন। জুস নয়, শুধু মুখে খান। শুধু মুখে খেলে লেবুর উপকার বেশি পাওয়া যায়। পাশাপাশি প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেও ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়।

    ৫. টিকা নিন

    ছোটেদের ও বয়স্কদের টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের টিকা নেওয়া উচিত। টিকা নিলে রোগ ভয়ঙ্কর দিকে যায় না। পরিবারে কারও হাঁচি, কাশি, জ্বর হলে তাঁকে অবশ্যই আলাদা রাখার চেষ্টা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     

  • Bonny Sengupta: বনিকে ফের তলব ইডির! সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে কোন নথি?

    Bonny Sengupta: বনিকে ফের তলব ইডির! সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে কোন নথি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল ১০ ঘণ্টার জেরাতে হয়নি, তাই ফের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে (Bonny Sengupta)  তলব করল ইডি। আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব ইডি-র। কুন্তল যে গাড়ি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন, সেই গাড়ির নথি নিয়েই হাজির হতে বলা হয়েছে বনিকে।

    কুন্তলের টাকায় বিলাসবহুল গাড়ি বনির

    গতকাল ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) জানিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের থেকে পারিশ্রমিক বাবদ অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা দিয়েই কিনেছিলেন একটি ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়ি। পাঁচ বছর আগে কেনা এই বিলাসবহুল গাড়ির শোরুমেই নাকি গিয়ে টাকা মিটিয়ে এসেছিলেন কুন্তল ঘোষ। অথচ সেই টাকা পাওয়ার জন্য কোনও রশিদ নেননি অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এত বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনে কোনও কাগজে সই করলেন না অভিনেতা? এই সমস্ত তথ্য জানতেই ফের একবার বনিকে তলব করা হয়েছে বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

    আরও পড়ুন: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে তলব বনিকে

    আগামী মঙ্গলবার সেই ডিসকভারি গাড়ির কাগজপত্র নিয়েই যেতে বলা হয়েছে বনিকে। উল্লেখ্য, গতকাল বনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পাঁচ বছরের মাথায় তিনি ওই ল্যান্ড রোভার ডিসকভারি গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সেই ব্যক্তি কত টাকায় পাঁচ বছরের পুরনো গাড়িটি কিনেছিলেন সেই বিষয়টিও ইডির নজরে রয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি সূত্রে খবর, কুন্তলের লেনদেন খতিয়ে দেখে আরও কয়েকজন অভিনেত্রীর হদিশ মিলেছে। যাঁদের বিভিন্ন সময়ে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে একের পর এক নাম নতুন নতুন উঠে আসছে। এবারে কোনও টলি অভিনেতার (Bonny Sengupta) নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁকেও তলব করা হল। তবে এখন এটাই দেখার, আরও কত নাম উঠে আসে এই কাণ্ডে, আর কোন কোন ক্ষেত্রের লোকজনের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার লেনদেন হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: নজরে নগদ ২০ কোটি! আরও জেরা বাকি, ফের কি ইডি হেফাজতে কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) হেফাজতে চাইতে চলেছে ইডি। সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন সময়ে অনুব্রতর নানা অ্যাকাউন্টে ২০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে বলে দাবি ইডির। সেই টাকার বিষয়ে বিশদে জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বোলপুর এবং তার আশপাশের ব্যাঙ্কে ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে জমা পড়েছে এই ২০ কোটি টাকা। এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে জেরা করে জানা গিয়েছে কখনও বাড়িতে ডেকে বা চালকের হাত দিয়ে ব্যাঙ্কে টাকা পাঠাতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। জমা টাকার মধ্যে ৩ কোটি টাকা সুকন্যার নামে এফডি করা হয়েছে, দাবি ইডি-র।

    কোথা থেকে এল এত টাকা

    কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, এই টাকা ছাড়াও ২০১৪ সালের ১০ থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় প্রচুর জমি কেনা হয়েছিল। যার দামের বেশিরভাগটাই মেটানো হয় নগদে। ইডি সূত্রের দাবি, ভোলে ব্যোম রাইস মিলকে সামনে রেখে অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল জমি। ইডি সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে ২৪টি, তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে ২৬টি, প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ৬টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, গরু পাচারকাণ্ডের কালো টাকা, সাদা করতেই কি কেনা হয়েছিল বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি! অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সম্পত্তি ও তাঁর অ্যাকাউন্ট নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    আইনজীবীদের সঙ্গে কথা অনুব্রতের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতের নির্দেশ মতো  অনুব্রতর আইনজীবীরা তাঁর সঙ্গে একান্তে আধঘণ্টা কথা বলেন। দিনভর অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ঠিক কোন কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি, শরীরে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, ওষুধ ও খাবার হিসেবে সমস্যা হচ্ছে কিনা সেইসব বিষয় ভালভাবে বুঝে নিতে বাঙালি আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষালকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করলেন সিনিয়র আইনজীবী মুদিত জৈন। তবে কী কথা হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। শুক্রবার ইডি-র হেফাজতে অনুব্রতের তিন দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  সূত্রের খবর, এই তিন দিনের মধ্যে অনুব্রতকে বিশেষ জেরা করে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। তাঁকে এখনও বিস্তারিত ভাবে জেরা করা বাকি। তাই ফের তাঁকে হেফাজতে নিতে চলেছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    Bomb Blast: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে ফের বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১, গুরুতর জখম ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। আবারও বোমা বিস্ফোরণ মুর্শিদাবাদের নওদায় (Bomb Blast)। বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক জনের। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্তত তিন জন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নওদা থানার মধুপুর পঞ্চায়েতের এলাকার ডাঙ্গাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃতের নাম মেজবুল শেখ। আহত এক ব্যক্তির নাম কাবিজুল শেখ। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, রাতে মধুপুরের কাবিজুল শেখের বাড়ির পাশে বোমা বাঁধছিলেন কয়েক জন যুবক। সে সময়েই আচমকা বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় আহত হয়ে ছিটকে পড়েন ৩ জন। আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে নওদা থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা বোমা মজুত করেছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি স্থানীয় বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবারের দাবি

    অন্যদিকে মৃতের পরিবারের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়ে নয়, বোমা ছুঁড়ে খুন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ছেলে বকুল শেখ বলেন, “এটা কোনও বোমা বিস্ফোরণ নয়। মধুপুরের এক তৃণমূল নেতা ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী আমার বাবাকে বোমা মেরে খুন করেছে। ওরা এর আগের পঞ্চায়েতে ছাপ্পা ভোট করেছিল। আমাদের ভোট দিতে দেয়নি।” এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, “বোমা বাঁধতে দিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা ছোঁড়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এছাড়াও সেই জায়গায় আরও বোমা পড়ে রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তবে স্থানীয়দের দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই তাঁদের এই অবস্থা। এর পর ঘটনাস্থলে নওদা থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নওদার আমতলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। তার পর সেখানেই মেজবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “ওখানে বিধায়ক গোষ্ঠী ও সাংসদ গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদমান। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কে প্রধান হবেন আর কে টিকিট পাবেন, সেই নিলাম নিয়ে গন্ডগোলের দু’চারটে মরছে। কী আর করা যাবে!”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Gunman: জার্মানির গির্জায় বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ৭, জখম বহু

    Gunman: জার্মানির গির্জায় বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ৭, জখম বহু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দুকবাজদের (Gunman) গুলিতে কেঁপে উঠল জার্মানির হামবুর্গের গির্জা। ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানিয়েছে সেদেশের সরকার। গুরুতর জখম আরও কয়েকজন। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা নাগাদ হামবুর্গের কিংডম হল অফ জেহবাস উইটনেস এলাকার গির্জায় হঠাৎই এলোপাথারি গুলি চলতে থাকে। একাধিক দুষ্কৃতি এই হামলায় জড়িত বলে অনুমান করছে জার্মান পুলিশ।

    বন্দুকবাজের (Gunman) হামলার খবর পেয়েই গির্জা ঘিরে ফেলে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। হামলাকারীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। এতে একজন হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে হামবুর্গ পুলিশ। বন্দুকবাজের হামলায় মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি হামবুর্গ পুলিশ। হামলার কারণ নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। জার্মান সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই হামলায় অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অন্তত ১০ জন।

    কী বললেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, রাত ৯ টা নাগাদ হঠাৎই গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে সমগ্র এলাকা। ঘটনার কিছু পরেই আসে পুলিশ। তখনই বেশ কয়েকজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

    হামলায় নিহতদের পরিচয়

    অন্যদিকে শেষ খবর পাওয়া অবধি এই হামলায় নিহতদের পরিচয় এখনও সামনে আসেনি। গির্জার ধর্মযাজকদের মৃত্যু হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা প্রথম থেকেই বিল্ডিংয়ের একেবারে উঁচুতে উঠে গিয়েছিল।  প্রসঙ্গত, হামলাকারীরা যে বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ে সেটি, তিনতলা বলে জানিয়েছে জার্মান পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই বিল্ডিং থেকে অন্তত ১৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হামলাকারীরা কাউকে পণবন্দি করেনি বলে দাবি করেছে জার্মান প্রশাসন।

    হামবুর্গের মেয়র কী বললেন? 

    হামবুর্গের মেয়র পিটার চেনসচার ট্যুইটারে বলেন, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার নেপথ্যে কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে জার্মান পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠির জবাব দিতে ৯ রাজ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI), ইডি-র (ED) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এজন্য আটটি রাজ্যের ৯ জন নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠিও লিখেছিলেন। এবার তারই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের সিদ্ধান্ত, ন’টি রাজ্যে প্রেসমিট করে এর জবাব দেবে তারা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে স্বাক্ষর করছিলেন দিল্লি, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বাংলা, কেরল এবং জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা। বিজেপির কৌশল হল, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যাঁরা তদন্তে ভয় পান, তাঁদের মুখোশ খুলে দেওয়া। বিরোধীদের তোলা অভিযোগের জবাব দিতে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন দিল্লির সাংসদ বিজেপির মনোজ তিওয়ারি। বাংলার ক্ষেত্রে এই কাজটিই করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিহারের ক্ষেত্রে সঞ্জয় জয়সওয়াল, উত্তর প্রদেশের ব্রিজেশ পাঠক এবং তেলেঙ্গনার সঞ্জয় বান্দি।

    চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি কংগ্রেস…

    আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়াকে। তারপর রবিবার কেন্দ্রের (PM Modi) বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআইয়ের মতো তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে আটটি রাজ্যের ন’ জন নেতা। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, ভগবন্ত মান, অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নও আলাদা করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি কংগ্রেসের কেউ। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জেরা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুুন: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দেশে নির্লজ্জের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক কার্যালয়ও রয়েছে। নির্বাচনী মাঠের বাইরে এভাবে হিসেবনিকেশ করার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি আমরা। এটা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য ভাল হচ্ছে না। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তল্লাশি থেকে শুরু করে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে গ্রেফতারিও। আরজেডির লালুপ্রসাদ যাদব, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির অজম খান, এনসিপির নবাব মালিক ও অনিল দেশমুখ, তৃণমূলের লোকসভা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তারা কেন্দ্রের অঙ্গুলি হেলনেই কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বীরভূমের ‘প্রধানমন্ত্রী’ এখন ভুল বকছেন! অনুব্রতকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদা বীরভূমের বেতাজ বাদশা, এখন ইডির দফতরে গিয়ে ভুল বকছেন। হুগলি জেলার খানাকুলের দলীয় এক সভায় অংশ নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘খুব বড় মস্তান ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের প্রধানমন্ত্রী। শুধু বীরভূম নয়, বর্ধমানের আউসগ্রাম, কেতুগ্রাম-সহ অনেক জায়গারই প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই প্রধানমন্ত্রীর আজ কি অবস্থা। বলছে, ইংরেজি জানি না, হিন্দি বুঝি না, নাম সই করতে পারি না ৷ কোথায় গেল চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ? কোথায় গেল নকুল দানা? কোথায় গেল উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে?’’ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    এই সভা থেকে শাসক দল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সাবধান হন। খানাকুলে তাণ্ডব- সহ সব আমরা নজরে রাখছি। গরু চুরি, বালি চুরি কয়লা চুরি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা কেউ ছাড় পাবেন না। আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচারের সব হিসেব হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সবাইকেই জেলে যেতে হবে।’’

    আরও পড়ুন: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    রাজ্যে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে খানাকুলের আইসিকে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) হুঁশিয়ারি,‘‘পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দিয়ে গেলাম। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা যদি বাড়িতে ঠিকভাবে থাকতে না পারে, অত্যাচার করা হয়, তাহলে পরের দিন আমি খানাকুলে আসব কর্মী-সমর্থকদের সবাইকে বাড়ি পৌঁছে দিতে। দেখব আপনাদের কত ক্ষমতা আছে আমাকে বাধা দেওয়ার।’’সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কেও একজোট হয়ে তৃণমূলের থেকে মুখ ফেরানোর আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর দাবি,‘‘বিজেপি আপনাদের শত্রু নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবার কথা ভেবে উন্নয়ন করছেন। রাষ্ট্রবাদীরা সবাই বিজেপির বন্ধু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সংখ্যালঘুদের বিজেপি সম্পর্কে ভুল বোঝাচ্ছে।’’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    Hospital: উদ্বোধনই সার! ‘বেহাল’ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রাত্রি নিবাস ভবন, ক্ষুব্ধ পরিজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রোগীর পরিবারের লোকজনদের থাকার জন্য রাত্রী নিবাস ভবন তৈরি করা হয়েছিল। ঘটা করে সেই ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু, বছর খানেক হতে চলল এখনও ভবনের তালাই খোলেনি। এখন রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালে (Hospital) এলে খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটান। কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার কারণে রোগীর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, এত টাকা খরচ করে ভবন তৈরি করা হল। সেখানে আমাদের মতো গ্রাম থেকে আসা লোকজন থাকতে পারছে না। ভবন উদ্বোধন হওয়ার পর আমরা খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, এক বছর হতে চলল ভবনে তালাই ঝুলছ। কবে, ভবনের তালা খুলবে আমরা কেউ তা জানি না। অবিলম্বে তালা খুলে রোগীর পরিবারের লোকজনের জন্য ভবন ব্যবহারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।

    কেন রোগীর আত্মীয়দের থাকার ভবনে তালা ঝুলছে? Hospital

    বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) রাজ্য সরকারের আবাসন দপ্তর থেকে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। তিনতলা বিশিষ্ট ওই ভবনটিতে পুরুষ ও মহিলাদের থাকার মত ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জের সভা থেকে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু, উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তা খোলা হয়নি। কিছুদিন আগেই রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে ওই ভবন খুলে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ওই ভবনটিকে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই ভবনের নীচের তলায় রোগীর পরিজনদের রাতে খাওয়ার এবং ওপরতলায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু, হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষ বলছে পুরসভা ভবনটি পরিচালনা করবে, পুর কর্তৃপক্ষ বলছে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ আসেনি। দুইয়ের টানাপোড়েনে প্রায় এক বছর ধরে ভবনে তালা ঝুলছে। এমনিতেই জেলা হাসপাতালে প্রচুর রোগী ভর্তি থাকে। বেশিরভাগই দূর দূরান্তের।  রাতে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে (Hospital) থাকার জায়গা না পেয়ে খোলা যাত্রী প্রতীক্ষালয়তেই রাত কাটাতে বাধ্য হন। যার ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীর আত্মীয় পরিজনদের।

    এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ওই ভবনটি নতুন হয়েছে। রাতে থাকার জন্য ওই ভবনটি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতিতে আলোচনা হয়েছে। ওই ভবনটি পুরসভার তত্ত্বাবধানে নেওয়া হবে। অতিদ্রুত যাতে খুলে দেওয়া হয়, তা দেখা হচ্ছে। আর বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ভবনটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, জেলা প্রশাসনের এখনও কোন নির্দেশ পাইনি। নির্দেশ বা ছাড়পত্র পেলে ওই ভবনটি আমরা সাধারণ মানুষের থাকার পরিকাঠামো প্রস্তুত করে ব্যবহারের উপযোগী করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    Suvendu Adhikari: ‘নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন, পাশে আছি’, বার্তা শুভেন্দু, সুকান্তর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিনই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে ধর্মঘটের দিন সমস্ত সরকারি কর্মীকে অফিসে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। তার পরেই বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ধর্মঘট করুন। আমি পাশে আছি। আপনাদের দায়িত্ব আমি নেব। আমি আইনজীবী নিয়ে আইনি লড়াই করব।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) উবাচ…

    এদিন হুগলির খানাকুলে শুভেন্দু বলেন, ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকার যদি সরকারি কর্মীদের ব্রেক অফ সার্ভিস, বেতন কাটে, দমনপীড়ন নীতি নিয়ে ট্রান্সফার কিংবা সাসপেন্ড করে আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে সেই সরকারি কর্মীর পাশে থাকব। শুধু পাশে থাকাই নয়, সেই সরকারি কর্মীর পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। তাঁর আইনি লড়াই, তাঁর মামলা লড়ার জন্য বড় আইনজীবী নিয়োগ এবং আইনি লড়াই করার জন্য যে যে খরচ হবে, তার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার আমার। যাঁরা মহার্ঘ ভাতার জন্য নিজেদের অধিকারের জন্য কাল ধর্মঘট করতে যাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় ধর্মঘট করুন। পাশে আছি। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করার ক্ষমতা নেই এই সরকারের।

    বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের তরফে জারি করা আরও এক দফা নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার কোনওভাবেই পূর্ণ বা অর্ধ দিবস ছুটি নেওয়া যাবে না। ধর্মঘটে শামিল হলে কর্মজীবন থেকে বাদ যাবে একদিন। সেই সঙ্গে করা হবে শোকজও।

    আরও পড়ুুন: ধর্মঘটের দিন উপস্থিতির হার কত, নজর রাখবেন মমতা, পাল্টা হুঁশিয়ারি আন্দোলনকারীদের

    ধর্মঘটীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, আজ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যদি কোনও সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস হয়, তাহলে বিজেপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই সেই সব সরকারি কর্মীর ব্রেক অফ সার্ভিস প্রত্যাহার করে নেবে। সুকান্ত বলেন, ধর্মঘট ঠেকাতে রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা নিয়ে কেউ যদি আদালতের দ্বারস্থ হন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে। কারণ ধর্মঘট করা যে কোনও কর্মীর নৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের এই বঞ্চনায় আমরা আগামিদিনেও আন্দোলনকারীদের পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share