Blog

  • Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘অনুব্রত মণ্ডল সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) হল সিপিআইএম (CPM) নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। বুধবার নদিয়ার মায়াপুরে ইস্কন মন্দির দর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিস্তর টানাপোড়েনের পর তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেই প্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল হচ্ছে সিপিআইএম নেতা সুশান্ত ঘোষদের ভাল ছাত্র। সুশান্ত ঘোষরা এক সময় এরকম ফাঁকা আওয়াজ দিত। যেটা এখন অনুব্রত দেয়। সঙ্গে আছে চড়াম চড়াম গুড় বাতাসা।

    সিপিএমকে কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)…

    তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত বলতো বোম মারব, গুলি মারব। অনুব্রত সিপিআইএমের স্কুল থেকেই পড়া ও পাশ করা। সিপিআইএমের কাছ থেকেই এমন কথার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। এদিন বামেদেরও নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রতর তিহার যাত্রা নিয়ে সিপিএমের গর্ব হওয়া উচিত যে তারা দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি অথচ তাদের ছাত্র দিল্লি পৌঁছে গেছে। তিহার জেলে তিন ভাই এক সঙ্গে থাকবে। তাদের দেখা হবে। ভারত মেলাও হবে তাদের। বহু দিন তারা আলাদা ছিল, এখন গরু দিয়ে কলা দিয়ে একই সূত্রে বাঁধা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    Anubrata Mondal: ছয় দিনে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত! আর কী কী তথ্য ইডির হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র ছয় দিনে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডির।  শুধু তাই নয়, বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত, এই পুরো লেনদেনই নগদে সারেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। গরু পাচার মামলায় (cattle Smuggling Case) আপাতত দিল্লিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal)।

    এত টাকার উৎস কোথায়

    ইডি সূত্রে খবর , গরুপাচার করে যে টাকা উঠেছে, সেই টাকা কার কার, কোন কোন প্রভাবশালীর কাছে গিয়েছে সেই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৬-তে পরিবার ও নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধিতে টাকার উৎস নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে, ছয় দিনে সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। সেই লেনদেনের বেশ কিছু নথিও ইডির হাতে এসেছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় কেনা হয়েছিল ওই সমস্ত জমি। কিন্তু নগদে এত টাকা কোথা থেকে এল, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি-ও। তদন্তকারীদের দাবি, ভোলে ব্যোম চালকলকে সামনে রেখে স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে ওই সমস্ত জমি কেনেন অনুব্রত। নিজের নামেও কেনেন জমি। 

    আরও পড়ুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    গরুপাচারের থেকে পাওয়া টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি বলে দাবি করে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে সেইসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ইডির আরও অভিযোগ ডিডে বাজার মূল্যের থেকে এইসব জমির কম মূল্য দেখানো হয়েছে। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে বলে দাবি ইডির। সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইছে ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর(Anubrata Mondal) সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবই জানতে চাইছেন ইডি-র তদন্তকারীরা।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডল নাকি জানিয়েছেন, তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। এব্যাপারে ইডির আধিকারিকদের অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত মণ্ডল। বিষয়টি আদালতেও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agniveer Recruitment 2023: অগ্নিবীর বায়ুতে নিয়োগ, দ্বাদশ পাশেই দুর্দান্ত বেতনের চাকরি, জানুন বিস্তারিত

    Agniveer Recruitment 2023: অগ্নিবীর বায়ুতে নিয়োগ, দ্বাদশ পাশেই দুর্দান্ত বেতনের চাকরি, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। যোগ্য ও আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করে নিন যত দ্রুত সম্ভব। বিশদে জানতে প্রার্থীরা ভারতীয় বায়ুসেনার অগ্নিবীর (Agniveer Recruitment 2023) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। অগ্নিবীরবায়ু নিয়োগ পরীক্ষা ২০ মে ২০২৩ এ অনুষ্ঠিত হবে। এই নিয়োগ অবিবাহিত পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য।

    আগ্রহী এবং যোগ্য প্রার্থীরা অগ্নিবীরবায়ু anipathvayu.cdac.in-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। ১৭ মার্চ থেকে অনলাইন আবেদন শুরু হবে। যোগ্য প্রার্থীরা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৩১ মার্চ ২০২৩ এর মধ্যে অনলাইন আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি

    জানুন বিস্তারিত

    অগ্নিবায়ু নিয়োগের জন্য যোগ্যতা

    বিজ্ঞান স্ট্রিমের জন্য: একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে গণিত, পদার্থবিদ্যা এবং ইংরেজিতে কমপক্ষে ৫০% নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে। ইংরেজিতে ৫০% নম্বর থাকতে হবে। অথবা ৫০% নম্বর সহ তিন বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা বা পদার্থবিদ্যা, গণিতের মতো দুটি অ-বৃত্তিমূলক বিষয় সহ ২ বছরের বৃত্তিমূলক কোর্সে ৫০% নম্বর।

    বিজ্ঞান স্ট্রীম ব্যতীত: ৫০% নম্বর সহ দ্বাদশ পাস। ইংরেজি বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।

    বয়স সীমা

    যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই ২৬ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে ২৬ জুন ২০০৬- এর মধ্যে জন্মগ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ বয়সসীমা ২১ বছরের বেশি নয়। আরও বিস্তারিত জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

    নিয়োগ প্রক্রিয়া

    ২০ মে ২০২৩ তারিখে যোগ্য আবেদনকারীদের প্রথমে অনলাইন লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে (Agniveer Recruitment 2023) । এর পর হবে ফিজিক্যাল ফিটনেস টেস্ট এবং মেডিকেল টেস্ট হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীতে অগ্নিবীরদের ৪ বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়। চার বছরের প্রশিক্ষণের পর ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরের চাকরি স্থায়ী হবে। বাকিদের এককালীন প্রায় ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে অবসর দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের সময়, অগ্নিবীর ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার CSD ক্যান্টিনের সুবিধাও নিতে পারে। ৪৮ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমা থাকবে। বছরে ৩০ দিন ছুটি পাবেন। এছাড়া অসুস্থ ছুটির বিকল্পও থাকবে। 

    কীভাবে আবেদন করবেন?

    অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হলে প্রার্থীদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে লগ-ইন অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে। পরে প্রার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর এবং অন্য নথি আপলোড করতে বলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Adenovirus: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    Adenovirus: অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই ফের ৩ শিশুর মৃত্যু, বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠছে অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) ফলে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। রাজ্যে ফের তিন শিশুর মৃত্যু হল। এর মধ্যে কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্য শিশুটি মারা যায় সকালে। শিশু দু’টির মৃত্যুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে নিউমোনিয়ার। শিশু দু’টি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কিনা, এখনও তা জানা যায়নি। কারণ এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো রিপোর্ট আসেনি। আর এক জন মারা গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যালে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই শিশুরও মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

    মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালে শিশুমৃত্যু

    মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স এক বছর দু’মাস। বাড়ি ফুলিয়ায়। কৃষ্ণনগর থেকে তাকে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। শিশুটির নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল (Adenovirus)।

    আরও পড়ুন: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    অন্য দিকে, বিসি রায় হাসপাতালের শিশুটির বয়স ছিল ৯ মাস। তারও জ্বর-সর্দিকাশি ছিল। রাজারহাটের বাসিন্দা এই শিশুটির মৃত্যুর কারণও অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ কি না জানা যায়নি। আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার এই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা সে। বয়স ছিল মাত্র ন’মাস। শিশুটির জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চলছিল চিকিৎসা। তার ফুসফুসের অবস্থা খারাপ ছিল। ছিল নিউমোনিয়াও। এখনও অ্যাডিনো পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা নাগাদ মারা যায় শিশুটি (Adenovirus)।

    বিসি রায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে দু’মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১২৯ জন শিশুর। অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্কের মধ্যেই হাওড়ার শ্যামপুরের একটি পরিবারের অভিযোগ, ১০ ঘণ্টা কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিল তাদের চার বছরের শিশু। প্রথমে আইসিইউ নেই বলে বন্ডে সই করানো হয়। অভিযোগ, এরপর শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। তাঁরা প্রশ্ন করেন, আইসিইউ খালি থাকা সত্ত্বেও প্রথমে বন্ড সই করানো হল কেন? একইসঙ্গে শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে থার্মোমিটারও কিনে আনতে বলা হয়। বিসি রায় হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিশুর পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    DA: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ১০ মার্চ ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা, সেদিনই মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে দু দিনের কর্মবিরতি পালন করেছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারিরা। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তার জেরে ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৬টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। প্রস্তাবিত এই ধর্মঘট (Strike) নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনার পারদ।

    ধর্মঘটের দাবিতে অনড়…

    বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারিরা। পৃথা বিশ্বাস নামে এক শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, আমি চাই আগামী ১০ই মার্চ ধর্মঘট করার জন্য সরকার বাহাদুর থুড়ি বাহাদুরানি আমার এক দিনের বেতন কাটুন, চাকরি জীবনের একটি দিন কাটুন। কারণ আমি চাই আমার সার্ভিস বুকে লেখা থাকুক দেশজুড়ে ধর্মীয় বিভাজনকেই রাজনীতির হাতিয়ার বানানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি, যোগ্যতা রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে, আর বুক ফুলিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি কেনাবেচা চলছে। এই বেনিয়মকে আমি ধিক্কার জানিয়েছি…।

    ধর্মঘট বানচাল করার ছক?

    এদিকে, ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘটের দিন থেকেই শুরু হচ্ছে উত্তরপত্র বিলি। সেই পরিস্থিতিতে নির্ঝঞ্জাটভাবে উত্তরপত্র বিলি করার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হল। বুধবার পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ১০, ১১, ১৩, ১৪ ও ১৯ মার্চ উত্তর পত্র বিলি করা হবে। পড়ুয়া ও সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম যে জরুরি এবং বাধ্যতামূলক, তা পর্ষদের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।মূল পরীক্ষকদের উদ্দেশে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে পড়ুয়া ও বৃহত্তর সমাজের স্বার্থে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনও কাজ অত্যন্ত জরুরি এবং বাধ্যতামূলক।

    বিধানসভা অভিযানের ডাক…

    এদিকে, এদিনই বিধানসভা অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। ছাত্র ফেরাও, স্কুল বাঁচাও, ছাত্রভোট ফেরাও, কলেজ বিশ্ববিদ্যায় বাঁচাও এই স্লোগান সামনে রেখে এদিন বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ১০ মার্চ বেলা ১২টার সময় শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে দুটি ছাত্র মিছিল রাজ্যের বিধানসভা অভিমুখে যাবে। আমরা রাজ্যের ছাত্র সমাজকে আগামী ১০ মার্চ বিধানসভা অভিযানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Narendra Modi: ক্রিকেটীয় পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার পথ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের পিচে কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে মজবুত করা যায়, তা দেখালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব নতুন নয়, তবে সেটাকে আরও গাঢ় করলেন মোদি। এমনিতেই তিনি অতিথি দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আতিথেয়তায় কখনও খামতি রাখেন না। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এবারের ভারত সফরকে ভুলতে পারবেন না সহজে। তবে এর আগেও ভারতে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। পরমাণু চুক্তি, ক্রিকেটীয় সম্পর্ককে দৃঢ় করার উপর জোর দিয়েছিলেন তিনি। সরকার বদলেছে, বদলেছে রাষ্ট্রনেতাও। তবে দুই দেশের সম্পর্ক আজও অটুট। বরং নরেন্দ্র মোদি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিঢ় করেছেন। আসলে চারিদিক থেকে আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড় বাড়ন্ত রুখতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরি। তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি।

    মোদিময় স্টেডিয়াম

    বৃহস্পতিবার মোতেরায় নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হল ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট। এই ম্যাচ ঘিরে এমনিতেই বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। আর যেখানে নরেন্দ্র মোদির মতো জনপ্রিয় রাজনেতার উপস্থিতি, সেখানে উদ্দীপনার ঢেউ যে বইবে, সেটাই প্রত্যাশিত। সকাল সাড়ে ন’টায় খেলা শুরু হয়েছে ঠিকই, তবে তার অনেক আগে থেকেই মোতেরা হয়ে উঠেছিল মোদিময়। একই সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের দেখে গর্জে ওঠে গ্যালারি।

    মাঠের এক পাশে তৈরি করা হয়েছিল একটি মঞ্চ। সেখানে টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ক্যাঙারু বাহিনীর নেতা স্টিভ স্মিথের সঙ্গে করমর্দন করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। তুলে দেন ক্যাপ্টেন ক্যাপ। করেন করমর্দনও। তারপর গল্ফ কারে চড়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন মোদি ও অ্যান্টনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার রায়— কীভাবে জনজাতি মানুষের মন জয় করেছে বিজেপি

    নিন্দুকেরা বলতে শুরু করেছিলেন, প্রথা ভেঙে মোদি নাকি ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্টে টস করবেন। তবে তেমন কিছু ঘটেনি। টস করেন দুই দলের অধিনায়ক। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৭৩ রান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি

    Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের  হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার শান্তনুকে (Santanu Banerjee) তলব করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির আরও এক তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর বেশ কয়েকবার শান্তনুকে জেরা করেছে ইডি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে শান্তনুকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। শান্তনুর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নথিও চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, শুক্রবার সেই বিষয় জিজ্ঞেস করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।  

    গত জানুয়ারি মাসে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডির তরফে জানা গিয়েছে, শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ প্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। শুক্রবার আবার এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। শান্তনু (Santanu Banerjee) ছাড়াও একই দিনে কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডি এবং সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না তা জানতে চাইছে ইডি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলব করল ইডি  

    হুগলির বলাগড়ের অন্য এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরেই শান্তনুর (Santanu Banerjee) নাম প্রকাশ্যে আসে। যদিও কুন্তল আধিকারিকদের জানিয়েছেন তিনি শান্তনুকে চেনেন না। তবে ইডি গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ২০১৪ সাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন কুন্তল এবং শান্তনু। শর্ট ফিল্ম বানানোর একটি সংস্থায় কুন্তল এবং শান্তনুর স্ত্রীর অংশীদারিত্ব ছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র নজরে ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। ২০১৭-র শেষ থেকে ২০১৯, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরাতে এই ৭৫টি অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে ইডি (Santanu Banerjee)। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোথায় কোথায় টাকা গিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর মধ্যে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষের বেশি টাকা গিয়েছিল বান্ধবী সোমা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন সোমা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Bonny Sengupta: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    Bonny Sengupta: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে পড়ল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের (Bonny Sengupta) নাম। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।

    ইডি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের (Bonny Sengupta) নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন তিনি, এই অভিযোগে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও তিনি বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি কোনও টাকা নেননি। তাঁকে ফাঁসিয়েছেন তাপস মণ্ডল। কুন্তলের বিরুদ্ধে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। তারপরই কুন্তলের বিরুদ্ধে তৎপর হয় সিবিআই-ইডি। 

    আরও পড়ুন: চলে গেলেন ‘ক্যালেন্ডার’! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিক

    নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে রয়েছেন এক অভিনেত্রীও (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহে কুন্তলের কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    এদিকে একই মামলায় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর একাধিক বার শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথিও চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, শুক্রবার সেই বিষয়েও ইডির আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন হুগলির যুবনেতাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Tripura: ত্রিপুরার রায়— কীভাবে জনজাতি মানুষের মন জয় করেছে বিজেপি

    Tripura: ত্রিপুরার রায়— কীভাবে জনজাতি মানুষের মন জয় করেছে বিজেপি

    সোমেশ্বর

    ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচন ও ভোট গণনার আগে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরতে দেখা যাচ্ছিল। দেখা যাচ্ছিল ত্রিপুরা সিপিএমের সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী এখানে-ওখানে ঘুরছেন, সঙ্গে দলীয় সদস্য-সমর্থক, কোথাও বা কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা। পুলিশ বা সরকারী কর্মীদের বিভিন্ন সময়ে ধমকাচ্ছেন, কখনও বাংলায়, বেশি রেগে ইংরাজিতে বলছেন, ‘‘জানেন আমি কে?’’ এও দেখা যাচ্ছিল সেইসব পুলিশ বা সরকারী কর্মীরা তাঁর সামনে জড়সড় হয়ে কিছু বলার চেষ্টা করছেন এবং ধমক খেয়ে চুপ করে যাচ্ছেন। এসব দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন যে, বিজেপি এবার ত্রিপুরা থেকে যাচ্ছেই আর বাম-কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তথা দশরথ দেবের পর ত্রিপুরার দ্বিতীয় জনজাতি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। 

    ত্রিপুরার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রবক্তা ছিলেন জিতেন্দ্রবাবু এবং চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই জোটের বিরুদ্ধে থাকা সত্ত্বেও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জিতেন্দ্রবাবুর ওপর ভরসা করেছিলেন। ফল প্রকাশের পর দেখা গেল দলের হাল যা হবার হয়েছে। তিনি নিজেই সাব্রুমের মতো একটি জনজাতি অধ্যুষিত কেন্দ্র থেকে দ্বিমুখী লড়াইয়ে মাত্র ৩৯৬ ভোটে জিতেছেন যেখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন একজন অ-জনজাতীয়— শঙ্কর রায়। এখানে তিপ্রামোথা কোনও  প্রার্থী দেয়নি। নোটায় ভোট পড়েছে ১২৪৮টি। 

    ঠিক যে কারণে মহম্মদ সেলিমকে পশ্চিমবঙ্গে সামনে আনা হয়েছে সম্ভবত সেই কারণেই জিতেন্দ্র চৌধুরীকে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফলে দেখা গেল— বাম নয়, বিজেপি এবং তিপ্রামোথা-ই জনজাতিদের আস্থা অর্জনে বেশি সফল হয়েছে। বিজেপি জোটে ৭ জন জনজাতীয় বিধায়ক, বাম–কংগ্রেস জোটে মাত্র একজন— জিতেন্দ্রবাবু নিজে। তিপ্রামোথার তেরো জনই জনজাতীয় সমাজের। এর মধ্যে চরিলাম কেন্দ্রে জিষ্ণু দেববর্মা তিপ্রামোথার প্রার্থীর থেকে মাত্র ৮৫৮ ভোট কম পেয়েছেন আর আম্বাসা কেন্দ্রে বিজেপি তিপ্রামোথার কাছে ৪৯৩ ভোটে হেরেছে।

    উত্তরপূর্ব ভারতের আর ছটা রাজ্যের থেকে ত্রিপুরা খানিকটা ভিন্ন। অন্যত্র সেখানকার জনজাতিরা সংখ্যায় অধিক কিন্তু ত্রিপুরায় দেশভাগের পর বন্যার মতো আসা বাঙালি উদ্বাস্তুদের আগমনে সেখানকার জনজাতিরা ক্রমশ সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন। যদিও ত্রিপুরার রাজ পরিবার একটি হিন্দু রাজপরিবার ছিল এবং সেখানকার পাহাড়বাসী, বনবাসী প্রজারাও সনাতন সংস্কৃতির অনুসারী ছিলেন কিন্তু হঠাৎ আসা বাঙালি হিন্দুদের আধিপত্য তাঁদের মধ্যে খানিকটা হলেও ক্ষোভের সঞ্চার করেছিল। এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েই শুরু হয় একদিকে জনজাতি রাজনীতি অন্য দিকে মিশনারীদের মদতে উগ্রপন্থা। 

    ত্রিপুরার বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী বিবিসি-র প্রতিনিধি সুবীর ভৌমিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ব্যাপটিস্ট  মিশনারীরা ওই রাজ্যে উগ্রপন্থী সংগঠন এনএলএফটিকে-কে মদত দিচ্ছে। ত্রিপুরার রাজ পরিবার স্বাধীন রাজ্য হিসাবে কিম্বা ভারতভুক্তির পর কখনও জনজাতি রাজনীতি করেনি। বর্তমান ‘রাজা’ প্রদ্যোৎ কিশোর দেব— ‘বুবাগ্রা’র ঠাকুরদা, বাবা এবং মা সবাই সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থেকে সংসদীয় রাজনীতি করেছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজপরিবারের সঙ্গে এমনকি গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া পরিবারের সঙ্গেও ত্রিপুরা রাজপরিবারের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এমন একটা পরিবারের সদস্য হিসাবে ‘বুবাগ্রা’ নিজেকে আঞ্চলিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়েছেন। বলাই বাহুল্য মোথার আগামীদিনের রাজনীতি যত বেশি জনজাতিকেন্দ্রিক হবে ত্রিপুরায় জনজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সৌহার্দ্য ততটাই বিঘ্নিত হবে এবং ত্রিপুরার উন্নয়ন ব্যহত হবে।

    তিপ্রা মোথার নেতাদের যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয় এবং তাঁরা যদি কোনও সর্বভারতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে জনজাতি স্বার্থের দিকে নজর রাখে তবে সবদিক দিয়েই ভাল হয়। সুখের কথা তিপ্রা মোথা শুরু থেকেই সংসদীয় রাজনীতির পথে আছে। আজকে মোথার যিনি সভাপতি সেই বিজয় রাঙ্খল তাঁর মধ্য চল্লিশে উগ্রপন্থী সংগঠন টিএনভি গড়েছিলেন। জনজাতিদের একটা বড় অংশ যাঁরা শিক্ষিত, সচেতন এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তাঁরা বুঝেছেন পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কিছু লোক নেতা হয়ে গিয়েছে মাত্র কিন্তু বাস্তবে এটা হওয়ার নয়। একারণেই জনজাতি এলাকাতেও বিজেপি একাধিক আসনে জিতেছে।

    উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশের মানুষের মধ্যে ভারত বিরোধিতা নিরসন করতে নিঃশব্দে তিনটি সংগঠন কাজ করে গেছে। এগুলি হল— রামকৃষ্ণ মিশন, কন্যাকুমারী ভিত্তিক বিবেকানন্দ কেন্দ্র এবং আরএসএস প্রভাবিত বনবাসী কল্যাণ আশ্রম। এক সময় এইসব রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে সেবার আড়ালে ধর্মান্তরণ করে জনজাতিদের মধ্যে ভারত বিরোধিতার বীজ বপন করত বিভিন্ন মিশনারী সংস্থা। কিন্তু যখন থেকে উক্ত তিনটি সংগঠন কাজে নামে তখন থেকেই ধীরে ধীরে এইসব রাজ্যের জনজাতি এলাকার মানুষের মধ্যে চেতনা ফিরে আসতে থাকে। ত্রিপুরার প্রত্যন্ত গ্রামে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম বেশ কয়েক দশক ধরে কাজ করে চলেছে। 

    ১৯৮৪ সালে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ত্রিপুরা রাজ্যের উগ্রপন্থী সংগঠন ‘টিএনভি’-র সঙ্গে হওয়া চুক্তির সুফল হিসাবে আগরতলার কাছে বিবেক নগরে প্রায় পনেরো একর জায়গার ওপর একটি বহুমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, ওই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে জনজাতি ছেলেরা সেখানে ভর্তি হয়, হোস্টেলে থাকতে শুরু করে। এমনকি ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান জনজাতির মানুষের বহু ছেলে এখানে ভর্তি হয়। তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে এখান থেকে পাশ করে যারা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তারা ভারত বিরোধিতার আগে বা বিছিন্নতাবাদী আন্দোলনের আগে দুবার ভাববে। আর শিলংয়ের বিদেশি মিশনারীদের স্কুলে যারা পড়ে আসবে তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় সনাতন সংস্কৃতির প্রতি সেই টান থাকবে না। আশা করা যায় পরপর দুবার ক্ষমতাসীন ত্রিপুরার বিজেপি সরকার জাতীয়তাবাদী এইসব সংগঠনগুলোকে সমর্থন দেবে। নির্বাচনের ফল অন্যরকম হলে আবার ভারত-বিরোধী শক্তি ওই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করত।

    ত্রিপুরা নির্বাচনের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য বিষয় সেই বাংলাভাষীরা যারা দীর্ঘদিন ধরে ওই রাজ্যে বামেদের টিকিয়ে রেখেছিল তারা একবার নয় দ্বিতীয়বার বিজেপিকে ভোট দিতে দ্বিধা করেনি। ত্রিপুরার শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ এখন পড়াশোনা, জীবন জীবিকার জন্য রাজ্যের বাইরে থাকে। তাদের মাধ্যমে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ার সেখানকার বাঙালিরা বুঝতে পারছে কীভাবে একটা রাজ্যকে দীর্ঘসময় অনুন্নত করে রাখা হয়েছিল। একসময় যারা অত্যাচারিত হয়ে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে এই রাজ্যে বসত করেছিল তাদের আজকের প্রজন্ম বুঝতে পারছে সীমান্তবর্তী এই রাজ্যকে নিরাপদে রাখতে হলে কেমন সরকার প্রয়োজন। 

    ‘বুবাগ্রা’ যত যাই করুন তাঁর ‘রাজনৈতিক দর্শন’ বিধানসভার কুড়িটা আসনের বাইরে তাকে খুব একটা কিছু দেবে না। দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের এমন কিছু করা উচিত যাতে তিরিশ শতাংশ জনজাতির সঙ্গে সত্তর শতাংশ বাঙালিও সমানভাবে সরকারি সুযোগ–সুবিধা পেতে পারে। সেই সঙ্গে সেখানকার জনজাতিদের এটা বোঝাতে হবে তথাকথিত জনজাতি সংগঠনগুলো এক আধজন– বিজয় রাঙ্খল, শ্যামাচরণ ত্রিপুরা বা প্রদ্যোৎ কিশোরদের উচ্চাসনে পৌঁছে দেবে কিন্তু সামগ্রিকভাবে জনজাতি সমাজের কোনও বিকাশ হবে না।

LinkedIn
Share