Blog

  • Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    Anubrata Mondal: কাটল জট, অনুব্রতকে নিয়ে কলকাতার পথে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে আসানসোল জেল থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেলা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে দুটি পাইলট কার। পাইলট কারের একটি কনভয়ের সামনে ও অন্যটি পিছনে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছে জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিন আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের। অনেকে আবার কটাক্ষও ছুড়ে দেয়। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    আরও পড়ুুন: লাল পাহাড়ির দেশে শ্বেত পলাশেই মজেছে পর্যটকরা, একটি গাছের দাম জানেন?

    প্রথমে আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের তরফে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় ফের আসানসোল বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হয় জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানেই পুলিশকে সুরক্ষা দিয়ে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো তাঁকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রতকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সহগল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সহগলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    Manik Bhattacharya: জামিনের আবেদন খারিজ, ফের জেল হেফাজতে মানিকের স্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিকের। এদিন বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের নির্দেশে ফের পাঠানো (Primary TET Scam) হয় জেল হেফাজতে। হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার শতরূপা ও শৌভিককে তোলা হয় আদালতে। তাঁদের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে আইনজীবী বলেন, মানিক ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাওয়ালা চক্রের যোগ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে মানিকের হাতে আসতে থাকে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা। এর পরেই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণে যেতে শুরু করেন মানিক। বিশ্বের অন্তত ১২টি দেশ ভ্রমণ করেছেন মানিকের পরিবার। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, চিন, সাউথ আফ্রিকা, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপের মতো দেশও ঘুরেছেন মানিকের পরিবার। ইডির হিসেব অনুযায়ী, বছর দশেক ধরে মানিকের পরিবার কেবল বিদেশ ভ্রমণের জন্যই অন্তত ৫ কোটি টাকা খরচ করেছেন।

    মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথিপত্র দেখে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে বিদেশ ভ্রমণের তথ্য গোপন রাখতে চেষ্টার কসুর করেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। ইডি জানিয়েছে, প্রত্যেকবার মানিকের পরিবারের বেড়ানোর খরচ আসত যে দেশ যেতেন, সেই দেশের হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় হাওয়ালা চক্রকে আগাম টাকা দিয়ে দিতেন মানিক। সেই হাওয়ালা চক্রের চাঁইরা মানিককে জানিয়ে দিতেন, কোন শহরে হাওয়ালা চক্রের নেটওয়ার্কে কে রয়েছেন। তাঁদের ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হত। সেই মতো বিদেশে গিয়ে হাওয়ালা অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন মানিক। আগাম দিয়ে দেওয়া কোড নম্বর জানালেই হাওয়ালা চক্রের মাধ্যমে টাকা চলে যেত মানিকদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    তদন্তকারীরা মানিকের (Manik Bhattacharya) পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট অনুযায়ী ভ্রমণের তারিখ খতিয়ে দেখেন। সেই তারিখগুলিতে মানিকদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়। তখনই স্পষ্ট হয় হাওয়ালার বিষয়টি। দেখা যায়, বিদেশ ভ্রমণ চলাকালীন এটিএম কার্ড দিয়ে কোনও টাকা মানিকরা তোলেননি। আবার প্রচুর নগদ টাকা নিয়ে তাঁরা বেড়াতে গিয়েছিলেন, এমন প্রমাণও মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dol Utsab 2023: দোলের মিষ্টিমুখ মানেই মট-ফুটকড়াই, জানেন এই মিঠাইয়ের উৎস কোথায়?

    Dol Utsab 2023: দোলের মিষ্টিমুখ মানেই মট-ফুটকড়াই, জানেন এই মিঠাইয়ের উৎস কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছু দিন আগ অবধিও দোলের মিষ্টি (Dol Utsab 2023) মানেই ছিল মট। এখন যদিও অনেক রকম মিষ্টির সমাগম হয়েছে বাঙালি সংস্কৃতিতে। কিন্তু আগে বাঙালির দোল মট ছাড়া অপূর্ণ থাকত। সঙ্গে থাকত ফুটকড়াই ও তার সঙ্গে সাদা মুড়কি। দেবতার পায়ে ‘আবির’ দিয়ে পরিবারের সকল বয়স্কদের পায়ে আবির মাখিয়ে শুরু হত বাঙালির দোল উৎসব। দুদিন ধরেই চলত সেই দোল। 

    মট আদতে চিনির মণ্ড। চিনিকে গলিয়ে বিভিন্ন ছাঁচে, বিভিন্ন আকার দিয়ে তৈরি হয় এই মিষ্টি। মোমবাতি, ফুল, পাখি-সহ বিভিন্ন আকারের হয়। বিভিন্ন রঙও দেওয়া হয় এই মিষ্টিতে। রঙ খেলার ফাঁকে একে অপরের মুখে মট ও ফুটকড়াই গুঁজে দেওয়া ছিল বাংলার রেওয়াজ। একটি বড় থালায় প্রচুর মট সাজানো থাকত আর পাশে থাকত ফুটকড়াই। দোল খেলার সময়ে এগুলি ছিল আবশ্যিক।

    আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে বন্ধ দোল উৎসব, আর কোথায় কাটাতে পারেন এই বিশেষ দিনটি?

    কিন্তু জানেন কি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিকভাবে (Dol Utsab 2023) মিশে যাওয়া এই মিষ্টি আদেও বাঙালি সংস্কৃতির অংশই ছিল না। মটের ইতিহাস বেশ পুরোনো। মট মূলত পর্তুগিজ মিষ্টি। হুগলির ব্যান্ডেল চার্চে প্রথম এই মিষ্টি প্রভু যিশুর প্রসাদী থালায় দেওয়া হত। পরে বাঙালি ময়রারা মটকে আপন করে নেন। তাকে গোলাপি, হলুদ, লাল নানান রঙে রাঙিয়ে দোলের অঙ্গ করে তোলেন।

    কীভাবে তৈরি হয় মঠ

    চিনির কড়া পাক দিয়ে সেই সান্দ্র তরল কাঠের ছাঁচে (Dol Utsab 2023) জমিয়ে বা ফুটো পাত্রের ভিতর দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা ফেলে এই মট প্রস্তুত করা হয়। এটি ৫-৬ সেন্টিমিটার উঁচু একটি শুকনো ও অত্যন্ত পরিচিত মিষ্টি। এই মট তৈরির এই ধারা আজও বর্তমান রেখেছেন হাওড়ার উনসানি শিউলি পাড়ার স্বপন মণ্ডল ও তাঁর পরিবার।

    কিন্তু এখন এই মিষ্টিগুলি শুধুই নস্ট্যালজিয়া। অনেকে জানেনও না মট-ফুটকড়াই-কদমা-সাদা মুড়কির নাম। দোকানে অনেক খুঁজলে তবেই মিলবে নানা আকৃতির মঠ। অবশ্য স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও অনেকে মিষ্টি খান না। যাই হোক বছরের এই একটা দিনে সেই মট, কদমা, ফুটকড়াই দেবতার প্রসাদ হয়ে কোনওক্রমে বেঁচে আছে বাঙালির নসট্যালজিয়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

      

  • Dol Utsab: শান্তিনিকেতনে বন্ধ দোল উৎসব, আর কোথায় কাটাতে পারেন এই বিশেষ দিনটি?

    Dol Utsab: শান্তিনিকেতনে বন্ধ দোল উৎসব, আর কোথায় কাটাতে পারেন এই বিশেষ দিনটি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোল মানেই বাঙালির চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্তিনিকেতন (Dol Utsab)। কিন্তু এবছরে রবি ঠাকুরের দেশে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। তাতে তো আর বাঙালির উৎসব মাটি হতে পারে না! এ বছর শান্তিনিকেতন নাই বা হল, দোল কাটান রাজ্যের অন্য কোনও ভাটা পড়বে না, এতটুকু বলতে পারি। এই পাঁচ জায়গায় দোল কাটান জমিয়ে।

    আরও পড়ুন: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    নবদ্বীপ

    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নবদ্বীপধামে সারাবছরই পুণ্যার্থীদের (Dol Utsab) যাতায়াত লেগে থাকে। তবে দোলে রঙে প্রাচীন এই শহর যেন নতুন করে সেজে ওঠে। আর তাই এই বিশেষ সময় এখানে ভিড় জমান বিভিন্ন প্রান্তের বহু পর্যটক। চলে বিশেষ পুজোপাঠ। আপনিও এই দিনটি কাটিয়ে আসতে পারেন নবদ্বীপে।    

    মায়াপুর

    নবদ্বীপের উল্টো দিকেই অবস্থিত মায়াপুর। সেখানকার প্রধান আকর্ষণ ইসকন মন্দির। তাছাড়াও ছোটবড় আরও কিছু মন্দির রয়েছে এই মায়াপুরে। এখানকার দোলও খুবই বিখ্যাত। যাঁরা নবদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁরাও এক ফাঁকে গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন মায়াপুর থেকে।   

    মহিষাদল রাজবাড়ি 

    পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ির দোল উৎসবও বেশ জনপ্রিয়। রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে আয়োজিত হয় এই বসন্ত উৎসব। শুধু মহিষাদলই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য জায়গা, এমনকী অন্যান্য জেলা থেকেও সেখানে উপস্থিত হন প্রচুর মানুষ।

    বিষ্ণুপুর

    বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মন্দিরনগরী নামেও পরিচিত। টেরাকোটার এই শহরের মন্দিরগুলি (Dol Utsab) বরাবরই পর্যটকদের টানে। এই এলাকার প্রধান আরাধ্য দেবতা মদনমোহন। এখানকার দোল উৎসবও খুবই জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপিত হয়। চাইলে আপনিও যেতে পারেন।     

    নিমদিহি

    পুরুলিয়ার এই নিমদিহিও দোলের সময় পর্যটকদের কাছে এই অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। বসন্তের সময় পলাশের রঙে রেঙে ওঠে পুরুলিয়া। পর্যটকদের কাছে এটাই অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও এখানকার আকর্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম ছৌ-নাচ, ঝুমুর গান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির, একাধিক ইস্যুতে সরব শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থবিল নিয়ে আলোচনার আগে ফের বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা নিয়ে আলোচনা করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে হই হট্টগোল শুরু করে বিজেপি। পরে বিধানসভা কক্ষে কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখানোর পর ওয়াকআউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)… 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ১৬টি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলাম। স্পিকার জানালেন, ওঁর পক্ষে প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু এটা নিয়মবিরুদ্ধ। আমরা আইন মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ যা নেওয়ার আমরা নেব। বিধানসভায় বেআইনি কার্যকলাপের প্রতিবাদ করেছি আমরা।    

    কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়?

    এদিন অধিবেশনের শুরুতে অধিবেশন কক্ষে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র নিয়ে কোনও আলোচনা নয়? এটা কি গণতন্ত্র? এর পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবি তোলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির বাজেট নিয়ে ১২ বছর কোনও আলোচনা হয়নি। বাজেট আলোচনায় এই দফতরগুলোকেও রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব চলবে। সেখানে মোট ৬টি দফতরের বাজেট প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এদিন বিধানসভা থেকে হেঁটে শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে যান শুভেন্দু সহ বিজেপি বিধায়করা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী ও অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।

    বিধানসভায় পুলিশবাহিনী কেন?

    বিধানসভায় বিনা অনুমতিতে পুলিশবাহিনী কেন? এ প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দাবি মঞ্চ থেকে হেঁটেই বিধানসভায় ফেরেন শুভেন্দু। বিধানসভায় প্রবেশের পরেই দেখতে পান কয়েকজন উর্দিহীন পুলিশ কর্মীকে। হাতে লাঠি থাকা ওই পুলিশকর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, আপনারা কারা? তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনী? বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি কে দিয়েছে আপনাদের? যদিও তার সঙ্গে কথা না বাড়িয়ে ওই পুলিশকর্মীরা বিধানসভা চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। শুভেন্দুর অভিযোগ, এভাবে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওখানে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁদের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র ছিল না। আর গুন্ডাদের পেটানোর লাঠি ছিল তাদের হাতে।

    আরও পড়ুুন: সারদাকাণ্ডে মমতাকে ডাকতে ‘অনীহা’ সিবিআইয়ের! মোদিকে চিঠি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    DA Protest: প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে! ধর্নামঞ্চে গিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা ফেরানোর আন্দোলন আরও জোরদার হল। সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ দিতেই হবে। সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়ে ধর্মতলায় অনশনরত কর্মচারীদের ‘সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ’-এ গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে হাজির হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। 

    ডিএ- নিয়ে শুভেন্দুর বার্তা

    সোমবার বিধানসভা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা হেঁটেই চলে যান ধর্মতলার শহিদ মিনারের কাছে অনশন মঞ্চে। সেখানে আন্দোলনরত কর্মচারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘অনেকের মতো আমরাও আপনাদের পাশে আছি। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে আপনারা মামলা জিতেছেন। আজ না হোক, কাল প্রাপ্য ডিএ দিতে হবে। শর্ত ছাড়া আমরা আপনাদের পাশেই রয়েছি।’’শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘‘আমরা রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল। আন্দোলনকারীদের ন্যায্য অধিকারের লড়াই জয়যুক্ত হোক। সেটাই চাই। আমাদের নৈতিক সমর্থন ওঁদের সঙ্গে থাকবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের কর্মচারি এবং শিক্ষক সংগঠনও এঁদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। রাজনীতির বাইরে থেকে এই আন্দোলনকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনে অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    ডিএ আন্দোলন ছড়ানোর কথা নওশাদের মুখে

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি জানিয়ে শহিদ মিনার চত্বরে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ৩৯ দিনে পড়েছে ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অনশন। এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও গেলেন সেখানে।  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। জানান, এই আন্দোলন কলকাতা থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁরা শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত। ওঁদের পরামর্শ দেওয়ার মতো কিছুই নেই। তবে বলব, নিজেদের দাবি বুঝে নিতে হবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করুন।’’নওশাদ আরও বলেন, ‘‘এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলন করতে হবে। তবে সেটা কোন উপায়ে হবে, সেটা আমার থেকে ভাল মাস্টারমশাইরা জানেন। আন্দোলনরত সরকারী কর্মচারীরা ভালই জানবেন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    Sevoke-Rangpo Rail Line: এবারে রেলপথেই যাওয়া যাবে সিকিম! সেবক থেকে রংপো রেলপথ পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে সেবক-রংপো রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line)৷ এবারে রেলপথেই সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে সিকিম। নরেন্দ্র মোদি সরকারের উদ্যোগে সেবক-রংপো রেললাইনের কাজ ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এবার সেই কাজ পরিদর্শনে গেলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রবিবার তিনি সরাসরি সেবকে যান এবং সেখানে জংশন রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতদূর হল, তা খতিয়ে দেখেন। সেবকের ওই জংশন স্টেশনকেই সিকিমের গেটওয়ে করার ব্যাপারেও আধিকারিকদের নির্দেশ দেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। এর পাশাপাশি এই রেলপথে জুড়তে চলেছে ইন্দো-চিন নাথুলা সীমান্ত। রবিবার শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে সেটাই স্পষ্ট করেছেন দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

    সেবক-রংপো রেললাইন পরিদর্শনে অশ্বিনী বৈষ্ণব

    সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য রেলে এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন।” মন্ত্রী জানান, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল সুড়ঙ্গ (Sevoke-Rangpo Rail Line) প্রায় তৈরি। সেখান থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করবে রেল দফতর। 

    বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ রেলপথে

    বর্তমানে সরাসরি সিকিম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। ৩১এ জাতীয় সড়ক দিয়েই বাংলার সঙ্গে সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। কিন্তু, বর্ষার সময় এই জাতীয় সড়কের বেহাল দশা হয়। ফলে পর্যটক থেকে স্থানীয়দের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেই বাংলা-সিকিমের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এই রেলপথ (Sevoke-Rangpo Rail Line) চালু হলে ইতিহাসে প্রথম সিকিমের সঙ্গে গোটা দেশের রেল যোগাযোগ শুরু হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, ২০২৪-এর শুরুতেই সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেবক-রংপো রেলপথের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই এই রেলপথ রেল মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দে সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত মোট ৪৪.৯৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।

    রেলপথেই যাওয়া যাবে নাথুলায়!

    এই রেলপথের মাধ্যমে সরাসরি গ্যাংটকের সঙ্গে যেমন যোগাযোগ করা যাবে, তেমনই ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা পাসেও পৌঁছে যাওয়া যাবে। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই সেনাদের কাছে রসদ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, “দেশের সামরিক সুরক্ষার স্বার্থে নাথুলার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও আগে উন্নত করা জরুরি ছিল৷ প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সেটা হতে চলেছে৷ নাথুলা পর্যন্ত এই রেলপথ যুক্ত হলে সেনাবাহিনীর রসদ সংগ্রহে অত্যন্ত সুবিধা হবে।”

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রেলমন্ত্রীর

    একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলার সরকারের তীব্র সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, “বাংলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে মোদিজি বিপুল বরাদ্দ করেছেন৷ কিন্তু বাংলার আইন শৃঙ্খার সমস্যা, কোথাও জবর দখল- এই সব কারণে আটকে রয়েছে রেলের বহু প্রকল্পের কাজ৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি! ফের ইডির তলব সোমাকে

    Recruitment Scam: কুন্তলের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি! ফের ইডির তলব সোমাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনে একাধিকবার শিরোনামে উঠে এসেছেন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমা চক্রবর্তী (Recruitment Scam)। যাঁর দক্ষিণ কলকাতা ও বিধাননগরে রয়েছে পার্লার। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে এই সোমার যোগ রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, সোমার সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে কুন্তলের। কিন্তু ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, এই ৫০ লক্ষ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বহু লেনদেন হয়েছে তাঁদের মধ্যে। কী কারণে সেই লেনদেন? কীসের এই টাকা? তা জানতেই সোমা চক্রবর্তীকে ফের তলব ইডির। আগামী শুক্রবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হবে সোমাকে।

    ইডির কী দাবি?

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের সঙ্গে একটি অভিজাত ক্লাবে আলাপ হয়েছিল সোমার। কুন্তল সোমাকে চেনেন না বলে দাবি করলেও তথ্য উঠে এসেছে যে, ২০১৫ সাল থেকেই একে অপরকে চেনেন তাঁরা। ইডির তদন্তকারীরা এ-ও জানতে পেরেছেন যে, সোমা এবং কুন্তলের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সোমার ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। আর তাই দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছে সোমাকে, সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কের নথিও।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    কুন্তল ও সোমা কী জানিয়েছেন?

    গত শুক্রবার আদালত থেকে বেরোনোর মুখে কুন্তল দাবি করেছিলেন যে, তিনি সোমাকে চেনেন না। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, জেরায় সোমার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বের’ কথা স্বীকার করেন কুন্তল। অন্য দিকে সোমাও জানান যে, কুন্তল তাঁর ‘বন্ধু’। সোমা তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, ২০১৫ সাল থেকে তাঁর পার্লারের ব্যবসা। ২০১৯ সাল থেকে কুন্তলের কাছ থেকে ঋণ নেন তিনি। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য বিনা সুদে ঋণ নিয়েছিলেন বলেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তবে এখনও সেই টাকা ফেরত দিতে হয়নি (Recruitment Scam)।

    অন্যদিকে ইডি মনে করছে, কোথাও কোনও সত্যি লুকনোর চেষ্টা করছেন সোমা। কুন্তল নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই তাঁর কাছে পাঠিয়েছেন। কুন্তলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সেখানে প্রায় ৬.৫ কোটি টাকা ছিল। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা গিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। ফলে এই সব নয়া তথ্য হাতে আসতেই ইডি ফের তলব করেছে সোমাকে। এখন এটাই দেখার, পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ ধামে এবার থেকে মিলবে বিশেষ লাড্ডু, কী দিয়ে তৈরি জানেন?

    Kashi Vishwanath: কাশী বিশ্বনাথ ধামে এবার থেকে মিলবে বিশেষ লাড্ডু, কী দিয়ে তৈরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath) ধামে এবার বিশ্বনাথের প্রসাদ হিসেবে মিলবে মিলেটের লাড্ডু। মন্দির চত্বরে যেখানে পুজো দেওয়ার দোকানগুলো রয়েছে, সেখানেই কিনতে পাওয়া যাবে এই কোর্স গ্রেইনের লাড্ডু (Laddu)। ভক্তরা সেগুলি কিনে ভগবান বিশ্বনাথকে নিবেদন করে প্রসাদ (Prasadam) হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং। তার পরেই চালু হতে চলেছে এই ব্যবস্থা।

    কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Vishwanath)…

    খাদ্য শস্য হিসেবে মিলেটের পুষ্টিগুণ প্রচুর। অথচ সিংহভাগ মানুষ একে রাখেন না দৈনন্দিন খাবারের তালিকায়। এর পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন, মিলেটকে যেন খাবারের তালিকায় রাখা হয়। তিনি এর নাম দেন শ্রী-অন্ন। প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে চলতি বছর বাজেটে একে গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বিশ্বনাথের প্রসাদ হিসেবে মিলেটের লাড্ডুর কথা ভাবা হয়। সরকারের কথা মেনে ইতিমধ্যেই কাশীধামে বিক্রি হচ্ছে শ্রী-অন্নের লাড্ডু। এদিকে, ২০২৩ সালকে রাষ্ট্রসংঘ কোর্স সেরেয়ালস ডে হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিমাংশু নাগপাল বলেন, শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামের (Kashi Vishwanath) জন্য মিলেটের লাড্ডু বানিয়েছেন স্বয়ং সাহাত্য গোষ্ঠী। এর নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী-অন্ন প্রসাদম। মিলেটের তৈরি এই লাড্ডু প্রসাদের বিক্রি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট ডেপুটি কমিশনার দিলীপ সোনকর বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যাঁরা ন্যাশনাল রুরাল লিভলিহুড মিশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা ইতিমধ্যেই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের জন্য লাড্ডু তৈরি করছেন। তাঁরা বর্তমানে শ্রী-অন্ন প্রসাদম বানাচ্ছেন। যে প্রসাদ আগে বিক্রি হত, সেই প্রসাদের দরেই বিক্রি হচ্ছে মিলেটের তৈরি এই লাড্ডু। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট সুনীতা জয়সওয়াল বলেন, মিলেট, গুড়, তিল, কাজু বাদাম, আমন্ড, খাঁটি ঘি এবং খোয়া দিয়ে বানানো হচ্ছে শ্রী-অন্ন প্রসাদম। তিনি জানান, বর্তমানে ১০০ ও ২০০ গ্রাম লাড্ডুর প্যাকেট প্রসাদ (Kashi Vishwanath) হিসেবে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share