Blog

  • Amitabh Bachchan: এবার চোট পাঁজরে! ফের শ্যুটিংয়ে গুরুতর আহত অমিতাভ বচ্চন

    Amitabh Bachchan: এবার চোট পাঁজরে! ফের শ্যুটিংয়ে গুরুতর আহত অমিতাভ বচ্চন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যুটিং চলাকালীন ফের পাঁজরে আঘাত পেলেন বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। জানা যাচ্ছে, চোট এতটাই গুরুতর যে, ছবির কাজ বন্ধ করে দিতে হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, অভিনেতার ডানদিকের পাঁজরের পেশি ছিঁড়ে গিয়েছে বলে খবর। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এ খবর নিজেই জানিয়েছেন অমিতাভ।

    ‘প্রজেক্ট কে’- এর শ্যুটিং চলছে  হায়দ্রাবাদে, সেখানেই ঘটল বিপত্তি 

    জানা গেছে,  হায়দ্রাবাদে দীপিকা পাড়ুকোন, প্রভাস এবং অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘প্রজেক্ট কে’ ছবির শ্যুটিং চলছিল। সেইসময়েই একটি শট চলাকালীন পাঁজরে গুরুতর আঘাত পান বর্ষীয়ান অভিনেতা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জানা যায় যে অমিতাভের (Amitabh Bachchan) পাঁজরের কার্টিলেজ ছিঁড়ে গিয়েছে। আপাতত তাঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরই শ্যুট ক্যানসেল করে মুম্বইয়ে ফিরে আসেন অমিতাভ। বর্তমানে নিজের বাড়িতেই সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।

    এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও এমন চোট পেয়েছেন তিনি শ্যুটিং চলাকালীন

    ১৯৮২ সালে ‘কুলি’ ছবির সেটে অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়ে তলপেটে চোট পান তিনি। শুরু হয়েছিল তলপেটে রক্তক্ষরণ। সে বার কয়েক সপ্তাহ অভিনেতাকে থাকতে হয়েছিল হাসপাতালে। সোমবার অমিতাভের শারীরিক অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীরা সমাজমাধ্যমে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

    চোট নিয়ে কী বললেন বিগ-বি

    নিজের ব্লগে বিগ-বি লেখেন, “চোটের কারণে  হায়দ্রাবাদে শ্যুটিং বাতিল করতে হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এই আঘাত থেকে সেরে উঠতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে ফেরার আগে অভিনেতা হায়দ্রাবাদের এআইজি হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করান। তখনই কার্টিলেজ ছেঁড়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে। একটু যন্ত্রণা তো রয়েছেই। শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছে।” এখানেই শেষ নয়। এরপর বিগ বি আরও লেখেন যে, নড়াচড়া করতেও সমস্যা রয়েছে। ব্যথার ওষুধ চলছে। ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে যেহেতু সম্পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছি।

    প্রতি রবিবার জলসার সামনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিগ-বি

    প্রতি রবিবার জলসার সামনে ভক্তদের সঙ্গে দেখা করেন অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan)। তবে এই রবিবার তিনি পারবেন না, সেই খবর জানাতেই মুখ খোলেন বিগ বি। “তবে কতদিন লাগবে তা এখনই বলা মুশকিল.. আমি আজ সন্ধ্যায় জলসা গেটে শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না.. তাই আসবেন না.. এবং যারা আসতে চান তাঁদের যতটা সম্ভব এই খবর জানাবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    Rabri Devi: বিহারে রাবড়ি, তেজস্বীর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI)-ইডি (ED)-র অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি দিয়েছিল দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন প্রতিনিধি। এই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও। তার ঠিক পরের দিন সাত সকালে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর (Rabri Devi) বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি ঘটনাচক্রে তেজস্বীর মা। সিবিআই সূত্রে খবর, জমি বেচে চাকরি দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই আরজেডি নেত্রীকে। অশান্তি এড়াতে পাটনায় রাবড়ির বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    রাবড়ি দেবী (Rabri Devi)…

    প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন লালু। ওই সময় বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় তোলা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী (Rabri Devi) এবং তাঁর দুই কন্যা মিসা ও হেমাকে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে পাটনা, দিল্লি সহ দেশের ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। অগাস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে। গত বছর ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় লালু ঘনিষ্ঠ আধিকারিক ভোলা যাদবকে।

    ২২ অক্টোবর জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় লালুর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা ওই চার্জশিটে লালু ছাড়াও নাম রয়েছে রাবড়ি, মিসা ও হেমার। এঁরা ছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে আরও ১২ জনের। সিবিআইয়ের দাবি, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বহু অযোগ্য প্রার্থীকে লালু মুম্বই, জব্বলপুর ও কলকাতা সহ রেলের বিভিন্ন জোনে চাকরি পাইয়ে দেন। এর বিনিময়ে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং লালু-ঘনিষ্ঠ নেতারা।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    এদিন সকালে পাটনায় লালুর বাড়িতে পৌঁছায় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। তারা বাড়ির ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতেও দিচ্ছে না। তেজস্বীর বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি কেলেঙ্কারি মামলায় দিল্লির রাউজ অ্যাভেনিউ আদালত লালু, রাবড়ি (Rabri Devi), ও তাঁদের কন্যা মিসাকে সমন পাঠায়। সিবিআইয়ের চার্জশিটে তাঁদের আদালতে হাজিরার দিন দেওয়া হয়েছিল ১৫ মার্চ। তার আগেই রাবড়ির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এদিন কোন মামলায় রাবড়ির বাড়িতে সিবিআইয়ের আধিকারিক দল এসেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Adenovirus: বাচ্চা থেকে বড়, অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে খান এই খাবারগুলো

    Adenovirus: বাচ্চা থেকে বড়, অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচতে খান এই খাবারগুলো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর ফের চিন্তার ভাঁজ ফেলছে অ্যাডিনো ভাইরাস। গোটা রাজ্য কাঁপছে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) আতঙ্কে। শিশুমৃত্যুর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ফলে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার থেকে শিশুদের কীভাবে বাঁচাবেন ও কীভাবে বাচ্চাদের দেহে ইমিউনিটি বাড়িয়ে তুলবেন, তা জেনে নিন। ইমিউনিটি বজায় রাখতে প্রথমেই প্রয়োজন খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর রাখা। তবে আক্রান্তদের কোনও খাবার চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই খাওয়ানো উচিত।

    ডায়েটে কী কী খাবার রাখা জরুরী?

    ডাবের জল: বাচ্চাকে ডাবের জল খাওয়াতে পারেন। এটি পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজে পূর্ণ। এটি শরীর হাইড্রেট করে। পেট ঠান্ডা রাখে ও যে কোনও জীবাণু থেকে রক্ষা করে।

    কমলালেবু: পুষ্টিবিদদের মতে, ছোটদের কমলালেবুর রস করে খাওয়ান। কারণ তারা চিবিয়ে খেতে পারবে না। তবে একটু বড় হয়ে গেলেই তাদের চিবিয়ে খেতে বলুন। এই ফল চিবিয়ে খেলে ভিটামিন তো মিলবেই, পাশাপাশি ফাইবারও পাওয়া যাবে। আসলে কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ইমিউনিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অন্যান্য কিছু জরুরি খনিজ থাকে এই ফলে। ফলে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে সেরে উঠতে উপকারী এই ফল।

    নিমপাতা ও উচ্ছে: বাচ্চাকে নিমপাতা ও উচ্ছে খাওয়ান। এমন খাবার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে।

    প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা সংক্রমণ এড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। শরীরে পুষ্টির অভাব হলে যে কোনও ভাইরাস সহজে থাবা বসাতে পারে। বাচ্চাকে রোজ ডিম, মাছ, মাংস-র মত খাবার খাওয়ান। এতে পুষ্টির জোগান ঘটবে। এছাড়া মুসুর ডাল, সয়াবিন খাওয়াতে পারেন। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

    রসুন: রসুন খাওয়াতে পারেন বাচ্চাকে। এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি বায়োটিক উপাদান আছে।

    দই: দই খাওয়া বাচ্চাদের জন্য উপকারী। এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তেমনই লিভারের জন্য ভালো। তবে, আগে চিকিৎসকের পরমার্শ নিন।

    শাক-সবজি: শাক ও সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভনয়েডস, জরুরি ভিটামিন ও মিনারেল। তাই শিশুর জ্বর, সর্দি, কাশি শুরু হলেই এই খাবার অত্যন্ত জরুরী।

    দুধ ও ছানা: এতে রয়েছে ভিটামিন ডি, যা কেবল হাড় শক্ত করে না, বরং গোটা শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে। এমনকী ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে।

    পেঁপে ও গাজর: কোনও অসুখ থেকে সেরে ওঠার জন্য ভিটামিন এ শরীরে প্রয়োজন হয়। আর পেঁপে ও গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত শিশুর ডায়েটে এই খাবার রাখুন।

    এছাড়াও রোজ পর্যাপ্ত জল পান করা দরকার। বাচ্চাকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ গ্লাস জলে জল পান করান। এতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড। শরীরে জলের অভাব হলে যে কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধতে পারে। তবে যে কোনও খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভু্ক্ত করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

  • Holi: দোল পূর্ণিমার ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানেন?

    Holi: দোল পূর্ণিমার ঐতিহাসিক এবং পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে দোল (Holi)। হলুদ শাড়ি এবং পাঞ্জাবিতে সাজবে মেয়ে এবং ছেলেরা। বসন্ত এসে গেছে গানের তালে তালে পালিত হবে দোল। শান্তিনিকেতনের দোল (Holi) আবার বিশেষ জনপ্রিয়। সারা রাজ্য থেকেই মানুষের ভিড় দেখা যাবে ওইদিন শান্তিনিকেতনে। রবি ঠাকুরের গানে, বসন্তের আগমনে এক আলাদা মাত্রা পায় শান্তিনিকেতনের দোল। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ রং এবং আবির দিয়ে রাধা ও অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিলেন। বিশ্বাস মতে দোল খেলার উৎপত্তি সেখান থেকেই শুরু। যা আজও সমানভাবে এগিয়ে চলেছে।

    বাংলায় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু দোলযাত্রার (Holi) শুভ সূচনা করেন

    হিন্দু শাস্ত্রবিদরা বলছেন এই দোল (Holi) পূর্ণিমার দিনটিকে গৌড় পূর্ণিমাও বলা হয়। তার কারণ ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম হয়েছিল। পাশাপাশি এই বাংলাতে দোল উৎসবের সূচনাও শ্রীচৈতন্যদেবের হাত ধরে হয়েছিল। ১৫১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি গৃহত্যাগ করে অর্থাৎ নবদ্বীপ ত্যাগ করে বৃন্দাবনে গিয়ে সেখানে রং খেলা দেখে অভিভূত হয়েছিলেন তখন থেকেই নাকি বাংলাতে দোল (Holi) উৎসবের সূচনা হয় ভক্তদের বিশ্বাস এই দোল খেলায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণও হাজির হতেন মহাপ্রভুর সঙ্গে দোল খেলতে।

    আবার কোনও কোনও গবেষক মনে করেন, প্রায় ২০০০ বছর আগে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন প্রচলন করেছিলেন দোল উৎসব। সপ্তম শতাব্দীতে সম্রাট হর্ষবর্ধনের লেখা রত্নাবলী নাটকেও হোলি (Holi) খেলার উল্লেখ রয়েছে। শুধু উত্তর ভারত নয় দক্ষিণ ভারতের বিজয়নগরের একটি মন্দিরের গায়ে এক রাজকুমার রাজকুমারীর রং খেলার চিত্রকলা রয়েছে। এখান থেকে বলা হয় যে দোল সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী প্রচলিত ছিল।

    পৌরাণিক কাহিনীগুলি জানা যাক

    ভক্ত প্রহ্লাদের আখ্যান এবং হোলিকা দহন

    অন্যদিকে পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণুর পরমভক্ত ছিলেন অসুর রাজ হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ।  নিজেকে ঈশ্বর ঘোষণা করেছিলেন রাক্ষসরাজা। অহংকারী রাজার ওপর ব্রহ্মার বরদান ছিল দিন বা রাত, গৃহের ভিতর বা বাইরে, মানুষ বা পশু কেউই হিরণ্যকশিপুকে বধ করতে পারবেনা। এরপর নিজের পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যার পরিকল্পনা নেন রাক্ষসরাজা। নিজের বোন হোলিকার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

    হোলিকার ওপর আবার ব্রহ্মার বরদান স্বরুপ একটি চাদর ছিল, যেটি ছিল একধরনের রক্ষা কবচ। এই চাদর গায়ে জড়িয়ে প্রহ্লাদকে নিয়ে অগ্নিকুণ্ডে বসেন হোলিকা। ঠিক তখনই ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় চাদর উড়ে গিয়ে পড়ে প্রহ্লাদের গায়ে। অগ্নিকুণ্ডে দগ্ধ হয়ে যান হোলিকা। এই কারণে দোল উৎসবের আগের দিন হয় হোলিকা দহন। বাংলাতে এটাই প্রচলিত ন্যাড়াপোড়া নামে। ভক্তদের বিশ্বাস, এইদিনে সকল অশুভ শক্তির নাশ হয়। ভগবান বিষ্ণু তথা কৃষ্ণের পূজা করলে জীবনে সমৃদ্ধি নেমে আসে ভক্তদের।

    পুতনা রাক্ষসী বধ

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দোল (Holi) পূর্ণিমার দিনে শ্রীকৃষ্ণকে স্মরণ করার কথা কোথাও কোথাও বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে হোলিকাকে পুতনার ভূমিকায় রাখা হয় এবং পুতানার বিষ দুধে শ্রীকৃষ্ণ পান করেনি বরং তার রক্ত পান করেন, এইভাবেই ভগবান বধ করেন পুতনাকে। এরফলে শ্রীকৃষ্ণের গায়ের রং নীল হয়ে যায়। বিশ্বাসমতে দোল পূর্ণিমা হল পুতনা বধের পর উৎসব।

     

    বিবাহিত নারীরা তাদের পরিবারের কল্যাণ এবং মঙ্গল কামনায় দোল উৎসবে মাতেন এদিন। ভারতের বাইরেও দোল উৎসব ব্যাপকভাবে পালিত হয়।  বৈষ্ণব ধর্ম ছাড়াও শাক্ত-শৈবরাও এই উৎসব পালন করেন। পরিবারিক, বৃহত্তর সমাজ জীবনের ক্ষেত্রে দোল পূর্ণিমার গুরুত্ব অনেক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

     

  • Neeraj Chopra: চলতি বছরেই ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়তে মরিয়া নীরজ

    Neeraj Chopra: চলতি বছরেই ৯০ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুড়তে মরিয়া নীরজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্র্য়াক অ্য়ান্ড ফিল্ডে অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রথম সোনা জিতেছিলেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)। দেশের প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2023) পদক জেতেন তিনি। তবে অলিম্পিক্সে সোনা জিতলেও এখনও লক্ষ্যপূরণ হয়নি নীরজের। তাঁর লক্ষ্য ৯০ মিটার দূরত্বে জ্য়াভলিন ছোড়া। এবার নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে মরিয়া পানিপথের তরুণ।

    দূরত্ব বাড়ানোই লক্ষ্য

    গত ২ বছর ধরে ৯০ মিটার দূরত্বে জ্য়াভলিন ছোড়ার চেষ্টা করছেন নীরজ। চলতি বছরেই সেই লক্ষ্যপূরণের বিষয়ে আশাবাদী পানিপথের ছেলে। গত বছর জুনে স্টকহোমে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের কেরিয়ারের সেরা ৮৯.৯৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিলেন নীরজ চোপড়া। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার বলেন, ”৯০ মিটার দূরত্ব করে অতিক্রম করতে পারব, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক প্রশ্ন উঠছিল। আশা করি চলতি বছরেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।” প্রসঙ্গত, টোকিও অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন নীরজ। 

    আরও পড়ুন: “স্বপ্ন পূরণের মুহূর্ত”, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ে উচ্ছ্বসিত হরমনপ্রীত

    অলিম্পিকে আরও সোনা চাই

    শহর কলকাতায় রবিবার রেভ স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ। আপাতত বিদেশে পুরোদমে ট্রেনিংয়ে ব্যস্ত তিনি। নীরজের কথায়, প্রস্তুতি সঠিক ভাবে না হলে কোনও কিছুতেই মন বসে না তাঁর। বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও মাথায় ঘোরে অনুশীলনের কথাই। নীরজের সাফল্যের চাবিকাঠিই হলো তাঁর এই একাগ্রতা। সাফল্যের শিখরে ডানা মেলে উড়লেও পা দুটো মাটিতে রাখতেই ভালবাসেন তিনি। তাই এখনও জয়ের খিদে এতটুকু কমেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জ্যাভলিন থ্রোয়ের দূরত্বকে আরও বাড়াতে চান নীরজ। ৯০ মিটার, ৯৫ মিটার- এভাবেই এগোতে চান তিনি। আর একটি সোনা নয়, মাইকেল ফেল্পস, উসেইন বোল্টের মতো অলিম্পিকের মঞ্চ থেকে ভারতকে আরও সোনা এনে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর। ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের জন্য তাই ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন নীরজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Imran Khan Arrest: ইমরানের খোঁজে হন্যে পুলিশ, কোথায় গেলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোষাখানা মামলায় হাজিরা দেননি তিনি। সেই কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনে ইমরানকে ধরতে রবিবারই তাঁর লাহোরের জামান পার্ক এলাকার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। প্রথমে ইমরানের পিটিআই (PTI) নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাধায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশের তরফে এক প্রতিনিধি প্রবেশ করেন ইমরানের বাড়িতে। ওই বাড়িতে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল পায়নি পাকিস্তান পুলিশ। পিটিআই সুপ্রিমোকে তাঁর লাহোরের বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ ছোটে ইসলামাবাদে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েও ইমরানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। অনুমান, গ্রেফতারি এড়াতেই কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    ইমরান খানকে গ্রেফতারের (Imran Khan Arrest) নির্দেশ…

    ইসলামাবাদ পুলিশের তরফে ট্যুইট-বার্তায় জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ অফিসারদের একটি দল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী লাহোরে যায় ইমরান খানকে গ্রেফতার (Imran Khan Arrest) করতে। কিন্তু ইমরান খান আত্মসমর্পণে নারাজ। পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট তাঁর ঘরে যান, কিন্তু সেখানে তাঁর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর নাগাল না পেলে কী হবে, রবিবার বিকেলেই জামান পার্কের বাড়ি থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান। ইমরান বলেন, মিথ্যা মামলায় আমায় বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে। গোটা দেশের এই বিষয়ে জানা উচিত। তিনি বলেন, যদি দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না হয়, তাহলে তা দেশের জন্য খুব খারাপ হবে।

    আরও পড়ুুন: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরানের (Imran Khan Arrest) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। এগুলির মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক দলের জন্য অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতা বা মন্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পিইএমআরএ। বিবৃতি জারি করে পিইএমআরএ বলেছে, ইমরান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং ঘৃণাসূচক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন।

    প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে যেসব উপহার পেয়েছিলেন ইমরান, সেগুলি চড়া দরে তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী, সেগুলি জমা পড়ার কথা তোষাখানায়। সেই মামলায় ইমরানকে খুঁজছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা, বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে ব্রিটিশরা। রবিবার এ কথা বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। কার্নালের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভাগবত। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে সরসংঘ চালক বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতীয় জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত ছিলেন। সেই সময় কেউ বেকার থাকতেন না। সেই সমাজে শ্রেণি এবং রংয়ের ভিত্তিতে বৈষম্য ছিল না।

    মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন…

    ভাগবত বলেন, সেই সময় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যাতে মানুষ আত্ম নির্ভরশীল হয়ে ওঠেন। কিন্তু ব্রিটিশরা আমাদের দেশে ইংল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল। এবং এভাবেই তারা আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা কেবল মাত্র চাকরির জন্য ছিল না, ছিল জ্ঞানের মাধ্যমও। সেই সময় শিক্ষা ছিল সস্তা। প্রত্যেকের নাগালের মধ্যে ছিল। তাই সমাজই বহন করত শিক্ষার খরচ। স্কলার, শিল্পী এবং কারিগর, যাঁরা শিক্ষিত হতেন, তাঁদের পরিচিত ছিল বিশ্বজনীন। শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি, এদিন তাও বুঝিয়ে দেন আরএসএস প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপরও জোর দেন।

    আরও পড়ুুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এদিন আত্ম মনোহর মুনি আশ্রম কর্তৃপক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভাগবত। এই আশ্রম কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হাসপাতাল তৈরি করছেন। সরসংঘ চালক বলেন, আমাদের দেশের সব চেয়ে বড় প্রয়োজন হল সবার জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কারণ এই দুটি ক্রমেই খরচ সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, সস্তায় যাতে মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ পান, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সরসংঘ চালক বলেন, আমরা তাঁরা নই, যাঁরা কেবল নিজের জন্য বাঁচেন। আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যই হল সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায়। তিনি বলেন, সমাজের বাঁধনটাকে শক্ত করতে হবে, যাতে মানুষ দেশের ভাল জিনিসগুলি দেখতে পায়। মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, আমরা যদি সুখী হতে চাই, তাহলে আগে সমাজকে সুখী করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share