Blog

  • Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পাশাপাশি এবারে বাম-কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘি উপনির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম-কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান। তাঁর মন্তব্য, তখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বললে আজ এই দিন দেখতে হত না।

    অধীরকে তোপ শুভেন্দুর

    রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কেশবপুর জালপাই বাজার সংলগ্ন ময়দানে। সেই সম্মেলন থেকেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।”

    আরও পড়ুন:ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    অধীরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় গদ্দার।”

    তিনি সেদিন আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না। সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।” 

    শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য

    গতকাল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে রাজ্যকেও। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পর এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতই প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃতিত্ব খাটো করে দেখাতেই রাজ্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। জামিন অযোগ্য ধারা লাগলে হয় না। বিচার ব্যবস্থা নিরাপত্তা দিচ্ছে। পুলিশ অপদস্ত হচ্ছে। পুলিশের গরিমা মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারা কলকাতায় পৌঁছে দেবে, সেই প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ইডির (ED) দড়ি টানাটানি অব্যাহত। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে আপাতত থমকেই অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি সূত্রে খবর, তারা জেলে এসে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যাবে না। যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেভাবেই অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছে ইডি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, এই জটিলতা কাটাতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আজ, সোমবারই গোটা বিষয়টা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানানো হবে। কোর্ট যা বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে কেষ্টর ভাগ্য!

    অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি যাবে কারা? 

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, তাঁকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির ( ED ) হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটকে জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে রাজ্য পুলিশ কী করে নিয়ে যাবে, এই যুক্তিতে বাহিনী পাঠানো যাবে না বলে জানায় কমিশনারেট। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর ভাইপো, তৃণমূলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে। অথচ অনুব্রতকে দিতে পারছে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। ‘

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    আদালতের দ্বারস্থ আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশার আবহে, তাদের কী করণীয়, তা জানতে চেয়ে সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হবে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ৫জন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Meghalaya Poll: মেঘালয়ে কাটল মেঘ! সরকার গড়ার পথে কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি

    Meghalaya Poll: মেঘালয়ে কাটল মেঘ! সরকার গড়ার পথে কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ে ফের সরকার গড়ার পথে কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)। সরকার গড়তে কনরাডের দলকে সমর্থনের কথা জানাল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিপি) এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ)। আগেই এনপিপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে বিজেপি, হিলস স্টেট পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচএসপিডিপি)। সমর্থন জানিয়েছেন ২ জন নির্দল বিধায়কও।

    মেঘালয়ের অঙ্ক

    গত ২৭ মার্চ মেঘালয়ে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। ২ মার্চ প্রকাশিত হয় ফল। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনের ফল হয়েছে ত্রিশঙ্কু। ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি বৃহত্তম দল হলেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউই। তাই, উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে সরকার গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কংগ্রেস এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলগুলিকে এককাট্টা করে এনপিপি-র ক্ষমতায় ফেরা আটকাতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলের সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হল না। রবিবার, সরকার গঠনের বিষয়ে এনপিপিকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন ইউডিপি প্রেসিডেন্ট মেটবাহ্ লিংডো। সরকার গঠনে সমর্থনের জন্য ইউডিপি এবং পিডিএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কনরাড।

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগার ছিল ৩১। এনপিপি জিতেছে ২৬টি আসনে। ইউডিপি দখল করেছে ১১টি আসন। বিজেপি, এইচএসপিডিপি, পিডিএফ জিতেছে ২টি করে আসন। এনপিপিকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ২ জন নির্দল বিধায়ক। সবমিলিয়ে এনপিপি জোটের হাতে রয়েছেন ৪৫ জন বিধায়ক। আগামী ৭ মার্চ মেঘালয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন কনরাড। শিলংয়ে রাজভবনে এই শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দেশের ৯জন বিরোধী নেতা কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর এবারে সেই চিঠিরই কড়া জবাব দিলেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী। এর পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) সেই সব নেতাদের নিশানা করে বলেন, ‘ওনারা আতঙ্কিত, ভয় পেয়ে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই।’

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী কী বললেন?

    রবিবার দেশের ৯টি বিরোধী দলের নেতার খোলা চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে কটাক্ষের সুরে সুধাংশু বলেন, “আমরা দেশের অগ্রগতির পক্ষে। বিরোধী দলগুলি প্রত্যেকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে একে অপরকে সমর্থন করছে। এই চিঠি দিয়ে বিরোধী দলগুলি প্রমাণ করতে চাইছে যে, তারা ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিকে সমর্থন করছে।” বিরোধীদের নাম না করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “চিঠিতে যে সমস্ত নেতারা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের অনেকেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এমনকী যাঁরা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা এখন বলছেন যে তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত করা উচিত নয়।” আম আদমি পার্টির অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতিতে জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আবার বালগঙ্গাধর তিলকের ‘আত্ম-নিয়ম আমাদের জন্মগত অধিকার’ শ্লোগান তুলে ধরে দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও করেন সুধাংশু ত্রিবেদী।

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

    এদিন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, “একদিকে দুর্নীতির প্রশ্নে মণীশ সিসোদিয়ার জন্য আম আদমি পার্টি ভয় পেয়ে রয়েছে, অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য আতঙ্কিত। তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীকে চাপে রাখতে বিরোধীরা যে চিঠি দিয়েছেন, তার কাছে মোদিজি নতি স্বীকার করবেন না।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস ছাড়া অন্য বিরোধী দলগুলির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠানো যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Gold Trafficking: বিমানের শৌচালয় থেকে উদ্ধার সোনার বাট! দাম শুনলে অবাক হবেন

    Gold Trafficking: বিমানের শৌচালয় থেকে উদ্ধার সোনার বাট! দাম শুনলে অবাক হবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বিমানের শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা হল প্রায় দু কোটি টাকার সোনার বাট। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বিমানের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চারটি সোনার বাট। জানা গিয়েছে, ওই বিমানটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয়-দুই ক্ষেত্রেই উড়ানের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের দাবি, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। এরপরেই উদ্ধার করা হয় সোনা (Gold Trafficking)।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, রবিবার দিল্লি বিমানবন্দরের ২ নম্বর টার্মিনালে এসে দাঁড়ায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানটি (Gold Trafficking)। সেই বিমানের শৌচালয়ে ঢুকেই অবাক বিমানকর্মীরা। শৌচালয়ের ভিতরে জলের সিঙ্কের নীচে আঠা দিয়ে আটকানো ছিল একটি ধূসর রঙের প্যাকেট। সেলোটেপে আটাকনো প্যাকেটের মুখ খুলতেই বেরিয়ে পড়ে চারটি সোনার বাট। শুল্ক দফতর সুত্রে খবর, ওই সোনার বাটের ওজন ৩,৯৬৯। যার মোট বাজার মূল্য ১ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা।

    আরও পড়ুন: কেওয়াইসি চেয়ে এসএমএস, লিঙ্কে ক্লিক করতেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা! তারপর…

    শুল্ক দফতরের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিমানবন্দরে কর্মরত শুল্ক দফরের কর্মীদের থেকেই এই সোনা লুকিয়ে রাখার খবর জানা যায় (Gold Trafficking)। তারপরে বিমান থেকে যাত্রীরা নেমে যেতেই তল্লাশি চলে। এরপর সোনার বাট উদ্ধার হতেই তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা ওই সোনা নিয়ে কোথা থেকে আসছিলেন এবং সেই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে শুল্ক বিভাগ। খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশেও। এক্ষেত্রে বাইরের দেশও জড়িত রয়েছে কিনা, তাও তদন্ত চালানো হচ্ছে। কারণ বাইরের কোনও দেশ থেকে এভাবে সোনা পাচারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগে  দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা— এইসব বিমানবন্দরেও এমন ঘটনা ঘটেছে (Gold Trafficking)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Bank Fraud Case: কেওয়াইসি চেয়ে এসএমএস, লিঙ্কে ক্লিক করতেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা! তারপর…

    Bank Fraud Case: কেওয়াইসি চেয়ে এসএমএস, লিঙ্কে ক্লিক করতেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকা! তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ৪০ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেল লক্ষাধিক টাকা (Bank Fraud Case)। গত তিন দিনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর। যে সমস্ত ক্রেতার টাকা খোয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে মুম্বইয়ের এক টিভি অভিনেত্রীও রয়েছেন। KYC নেওয়ার নাম করেই লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকেরা। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে। মুম্বই পুলিশ বলেছে, একটি জাল লিঙ্ক পাঠাচ্ছে প্রতারকরা। সেই লিঙ্কে ক্লিক করার মাত্র তিন দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মুম্বই পুলিশ গ্রাহকদের বলেছে, এ জাতীয় লিঙ্কে কখনই যেন ‘কেওয়াইসি’ না দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের কাছে কেওয়াইসি আপডেট করে দেওয়ার নির্দেশ জানিয়ে একটি মেসেজ এসেছিল। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, সেই এসএমএস-এ বলা হয়েছিল, সেখানে থাকা লিঙ্কে ক্লিক করে প্যানকার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানাতে। এমনকী, তথ্য না দিলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হবে বলে ভয় দেখানোও হয়েছিল ওই মেসেজে। আর তাতেই ফাঁদে পড়ে যান গ্রাহকেরা। উল্লেখ্য, কেওয়াইসি হল ব্যাঙ্কের কাছে থাকা ক্রেতাদের পরিচয়-তথ্য। যার পুরো কথাটা হল ‘নো ইয়োর কাস্টমার’। অর্থাৎ ‘আপনার গ্রাহককে জানুন’। এতে ক্রেতাদের নাম, ঠিকানার পাশাপাশি প্যান কার্ড, আধার কার্ডের নম্বরের মতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও থাকে। কেওয়াইসি-র তথ্য ব্যাঙ্কে জমা করার কথা এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের মনে করিয়েও দেয় বহু ব্যাঙ্ক। কিন্তু এবারে এর মাধ্যমেই তাঁদের টাকা খোয়াতে হল। এই ঘটনায় মোট ৪০ জন লক্ষ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন বলে সূত্রের খবর (Bank Fraud Case)।

    এই ৪০ জনের মধ্যে রয়েছেন মুম্বইয়ের টিভি অভিনেত্রী শ্বেতা মেনন। তিনি টাকা উধাও হওয়া নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এসএমএসের লিঙ্কে ক্লিক করার পর তাঁর কাছে একটি ফোনও এসেছিল। এক তরুণী নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে একটি ওটিপি জানতে চান। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৭ হাজার ৬৩৬ টাকা কেটে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে (Bank Fraud Case)।

    সতর্কবার্তা পুলিশের

    এই ঘটনার পরই রবিবার মুম্বইবাসীদের সতর্ক করেছে মুম্বই পুলিশ (Bank Fraud Case)। ভুয়ো এসএমএস পাঠিয়ে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের লুঠ করার চক্র সক্রিয় হয়েছে জানিয়ে তাদের পরামর্শ— এসএমএসে লিঙ্ক পাঠিয়ে গ্রাহকদের ভুয়ো ওয়েবসাইটে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে ব্যাঙ্কের ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড সমস্ত তথ্যই দিতে বলা হচ্ছে গ্রাহকদের। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের এ ধরনের কোনও লিঙ্কে ক্লিক করতে নিষেধ করেছে পুলিশ। তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের তথ্য চেয়ে এই ধরণের কোনও লিঙ্ক যেন ক্লিক করা না হয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ-ইডি (ED)-র ঠেলাঠেলি। তার জেরে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। গরু পাচার কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত অনুব্রতকে পুলিশ না ইডি-কে দিল্লি নিয়ে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, আসানসোল জেল থেকে নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারা কলকাতায় নিয়ে যেতে পারবে না। পুলিশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও জানিয়ে দিল, নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারাও দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে জোড়া মামলা দায়ের করেন অনুব্রত। একটি কলকাতা হাইকোর্টে, অন্যটি দিল্লি হাইকোর্টে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, প্রয়োজন মনে করলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। তবে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে কলকাতার কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ওই দিনই আসানসোল জেলে চিঠি পাঠায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    জানতে চাওয়া হয়, কখন জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে রওনা করাবেন? সূত্রের খবর, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না পুলিশ। ইডি যেন নিজেই দায়িত্ব নেয়। রবিবার ইডিও হাত তুলে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। পরে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, যেভাবে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেভাবেই অনুব্রতকেও নিয়ে যেতে হবে। জটিল এই সমস্যার সমাধানে আইজি কারাকে চিঠি দিয়েছেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ ব্যাপারে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর জারি হয় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট। তার পরেও তা কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লি আদালত। হলফনামা দিয়ে পুরো বিষয়টি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ইডির আইনজীবীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Allahabad High Court: ‘গো-হত্যাকারীরা নরকে পচে, গরুকে সংরক্ষিত জাতীয় পশু করা হোক’, মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    Allahabad High Court: ‘গো-হত্যাকারীরা নরকে পচে, গরুকে সংরক্ষিত জাতীয় পশু করা হোক’, মন্তব্য এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে গো-হত্যা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে বহু মানুষ। আর এবারে গো-হত্যা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করল এলাহাবাদ আদালত (Allahabad High Court)। গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার পক্ষে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চের বিচারপতি শামিম আহমেদ। এক মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “গরু পবিত্র, হত্যাকারীরা নরকে পচে। আশা করব কেন্দ্রীয় সরকার গো-হত্যা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং গরুকে ‘সংরক্ষিত জাতীয় পশু’ হিসেবে ঘোষণা করবে।”

    কোন মামলায় এমন বললেন বিচারপতি?

    সম্প্রতি গো-হত্যা প্রতিরোধ আইনে মহম্মদ আবদুল খালিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে গো-মাংস উদ্ধার করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেন তিনি। খালিকের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, “গরুর প্রতি হিন্দুদের বিশ্বাস রয়েছে। তাঁরা এটিকে সবচেয়ে পবিত্র প্রাণী বলে মনে করেন। গরুকে হিন্দুরা ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবেও গণ্য করেন।” এছাড়াও বিচারপতি বলেন, “হিন্দু ধর্ম অনুসারে, গরুর মধ্যে ৩৩ ধরণের দেব-দেবীর অধিষ্ঠান রয়েছে। গরুর পা থেকে সমস্ত জ্ঞান আহরণ করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।”

    আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের মতো আবারও কী জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    এর পর রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শামিম আহমেদ বলেছেন, “আমরা এক ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সব ধর্মের প্রতি সম্মান দেখানো। হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীদের গরুকে নিয়ে আলাদা আবেগ রয়েছে। তাঁরা মনে করেন, গরু ঈশ্বরের প্রতিনিধি। ভগবান শিব, কৃষ্ণ এমনকী দেবরাজ ইন্দ্রের সঙ্গেও গরুর বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে গরুকে অবশ্যই রক্ষা করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “যে কেউ গরুকে হত্যা করে বা অন্যকে হত্যা করার অনুমতি দেয়, তারা নরকে পচে যাবে বলে  মনে করা হয়।” এই সব মন্তব্য করেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের বেঞ্চ আবদুলের জামিন খারিজ করেছেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • America: ১৩ বছরের কিশোরকে যৌন নিগ্রহ করে মা হলেন ৩১ বছরের মহিলা, যেতে হচ্ছে না জেলেও! কিন্তু কেন?

    America: ১৩ বছরের কিশোরকে যৌন নিগ্রহ করে মা হলেন ৩১ বছরের মহিলা, যেতে হচ্ছে না জেলেও! কিন্তু কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের নাবালকের সঙ্গে ৩১ বছরের মহিলার অবাধ যৌনতা! শুধু তাই নয়, ওই নাবালকের সন্তানের জন্মও দেন তিনি। তার পরও যৌন হেনস্থার মামলায় জেলে যেতে হচ্ছে না অভিযুক্ত মার্কিন মহিলাকে। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এটিই সত্যি। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার (America) কলোরাডোতে। ২০২২-এ যৌন হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলের বাইরেই রয়েছেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন জেলে যেতে হচ্ছে না তাঁকে?

    ঠিক কী ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, সেই ৩১ বছরের মহিলার নাম আন্দ্রেয়া সেরানো। তদন্তকারীদের দাবি, বছর ১৩-র এক নাবালকের বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে প্রথমে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন অভিযুক্ত মহিলা। পরবর্তীকালে শুরু হয় যৌন নির্যাতন। নির্যাতিতর সঙ্গে জোর করে বহুবার যৌন মিলনে লিপ্ত হন তিনি। এরপরই এব্যাপারে জানতে পেরে নাবালকের মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। আন্দ্রেয়ার বিরুদ্ধে মূলত দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এক, বিশ্বাসভঙ্গ। দুই, নাবালকের উপরে যৌন নির্যাতন। গত জুনে তিনি গ্রেফতারও হন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরের সঙ্গে যৌনতার কথা স্বীকারও করে নেন। এরপরই জানা যায়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা ও জেলেই তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন (America)।

    আরও পড়ুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    কেন তিনি জেলের বাইরে?

    সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আন্দ্রেয়ার আইনজীবীরা সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। যার ফলস্বরূপ ‘যৌন অপরাধী’র তকমা আন্দ্রেয়াকে মেনে নিতে হবে ও এর জন্য তাঁকে হাজতবাস করতে হবে না। সেই হিসেবেই আপাতত বাইরে রয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা। তবে মামলাটি এখনও চলছে। তাঁর শিশুটি তাঁর কাছেই রয়েছে।

    নাবালকের মা কী বললেন?

    অন্যদিকে এই চুক্তি মানতে নারাজ নাবালকের মা। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “আমার ছেলের শৈশব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তাঁকে বাবা হতে হয়েছে। গোটা জীবন ধরে এই ভার তাঁকে বয়ে যেতে হবে।” তিনি প্রশ্ন করেছেন, “নির্যাতিতর লিঙ্গ আলাদা হলে, অর্থাৎ ছেলের বদলে কোনও মেয়ে হলে কি অভিযুক্তকে এভাবে ছেড়ে দেওয়া হত?”

    উল্লেখ্য, আমেরিকার (America) আইন অনুযায়ী, কোনও নাবালক যৌন হেনস্থার শিকার হলে, অভিযুক্তের ১০ বা তার বেশি বছরের জেল হতে পারে। ফলে পরবর্তীতে আন্দ্রেয়ারও ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিন বা চার ফসলা জমির উপর ঝাঁ চকচকে রাস্তা তৈরি করা হবে। তাই, সরকার জমি অধিগ্রহণ করার জন্য নোটিশ জারি করেছে। ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। উন্নয়নের জন্য জমি দিতে রাজি গোঘাট-২ ব্লকের চাষিরা। তাঁরা শুধু চান, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। কিন্তু, সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় চার ফসলা জমি ছাড়তে নিমরাজি গোঘাট -২ ব্লকের হাজার হাজার চাষি। সিঙ্গুরের চাষিদের মতো নিজেদের দাবি আদায়ে জোটবদ্ধ হচ্ছেন এই ব্লকের চাষিরা (Farmers protest)।

    বিঘা প্রতি জমির কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে? Farmers protest

    কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক এই রাস্তা তৈরির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জমির মূল্য দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকাও দিয়ে দিয়েছে। বর্তমান রেজিস্ট্রি অফিসে যে মূল্যে ওই এলাকার জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে, তার দ্বিগুণ এর একটু বেশি দাম পাবেন চাষিরা। যেদিন থেকে নোটিফিকেশন জারি হয়েছে সেদিন থেকে টাকা নেওয়ার দিন পর্যন্ত আরও ১০ শতাংশ সুদ পাবেন চাষিরা। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে, এই এলাকার জমির বর্তমান সরকারি মূল্য যদি ৫ লক্ষ টাকা বিঘা হয়, তাহলে চাষিরা এক বিঘা জমি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। চাষিদের (Farmers protest) বক্তব্য,সিঙ্গুরের জমির যদি ক্ষমতা একগুণ হয়ে থাকে, তাহলে এই এলাকার জমির ক্ষমতা তার থেকে অনেক গুণ বেশি। সিঙ্গুরের জমি যদি দু- তিন ফসলি হয়ে থাকে,গোঘাট-২ ব্লকের চাষিদের জমি চার ফসলি। বছরে চারটি ফসল এখানে খুবই ভালভাবে হয়। ওই এক বিঘা জমি থাকলে একটি পরিবারের ৩-৪ জন হেসে খেলে সারা জীবন  ভাত ,কাপড় পরে বাঁচতে পারবেন। তাই, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আর্থিক করিডর তৈরি হচ্ছে। খড়গপুর-মোড়গ্রাম, হলদিয়া-রক্সৌল-কলকাতা ও বারাণসী করিডরের জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইতিমধ্যেই ল্যান্ডম্যাপ সুনিশ্চিত করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই মতো এবার হতে চলেছে জমি অধিগ্রহণ। খড়গপুর-মোড়গ্রাম করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পোঁতা হয়েছে পিলারও। তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে হুগলি ঢুকতেই বিপত্তি। নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ হুগলির গোঘাট ২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া, গুরুলিয়া- ভাতশালা, লস্করপুকুর, মুল্লুক, মেহেরবানপুর, সাতবেড়িয়ার চাষিরা (Farmers protest)। চাষিদের বক্তব্য,“যে জমির উপর দিয়ে এই হাইওয়ে যাচ্ছে সেই জমি আমাদের কাছে অন্নদাতা মায়ের মত। এই জমি সোনা জমি। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমরা জমি দিতে রাজি আছি। কিন্তু, যেভাবে জমির মূল্য দেওয়া হবে শুনছি, এত কম দামে আমরা জমি দেব না। তারজন্য যদি আমাদেরকে আন্দোলন করতে হয় আমরা করব। যদি আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় আমরা হব। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র সম্বল ওই জমি,আধা মূল্যে তা দেব না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share