Blog

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Flu Virus: ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    Flu Virus: ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়ছে ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ! কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঋতু পরিবর্তনের সময় ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েই চলেছে। তাপমাত্রার ওঠানামা, দূষণ নানা কারণে হয় এই ভাইরাল জ্বর (flu virus)। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রার তীব্র ওঠনামার জন্যই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। আবার তার পাশাপাশি বেড়েই চলেছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। এমনই একধরনের ভাইরাস হল এইচ৩এন২, এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (flu virus) নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে। তবে, জ্বর এবং সংক্রমণের কারণ অন্যান্য ভাইরাসও থাকতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই স্ট্রেনটি বেশ বিপজ্জনক। যদি পরিবারের একজন সদস্য এটিতে সংক্রামিত হয়, তবে অন্যরাও সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে। 

    ভাইরাল জ্বরের লক্ষণ এবং উপসর্গ

    যেকোনও ভাইরাল (flu virus) জ্বরের সাধারণ লক্ষণ হল সর্দি, কাশি, উচ্চ জ্বর, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, হাঁচি, নাক বন্ধ হওয়া, গলা ব্যাথা, চোখ থেকে জল পড়া ইত্যাদি। আবার এর পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হয় প্রচুর।

    চিকিৎসকদের মতে এর অর্থ হল ফুসফুসের আরও গভীরে চলে যাচ্ছে ভাইরাসটি। যদিও নিউমোনিয়ার পর্যায়ে কখনও নয়। তাই যদিও অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে না। এবং হাসপাতালে ভর্তিরও প্রয়োজন নেই। তবুও রোগীদের ইনহেলার, নেবুলাইজার দরকার হতে পারে।

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার জন্য জন্য কি কোভিড দায়ী

    আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার জন্য অনেকেই কোভিডকে দায়ী করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি অনুমান মাত্র। এটি প্রমাণ করার জন্য কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা নেই। আসল কারণ হল গত দুবছর ধরে আমরা মাস্ক পড়ে অভ্যস্ত। হঠাৎ করে এবছর থেকে মাস্ক পড়া বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দু বছর পরে আমাদের আবার দূষিত পরিবেশের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটাও এই সমস্যার অন্যতম কারণ।

    কাদের মধ্যে সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস (flu virus)

    গবেষকরা বলছেন, বাচ্ছা এবং বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবথেকে বেশি থাকে। তবে পরিবারের একজন সংক্রমণিত হলে বাকিদের মধ্যেও আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে। 

    আপনার কখন একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

    চিকিৎসকরা বলছেন, তিনদিন পরেও যদি সুস্থ না হন তখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এর আগে অবধি প্যারাসিটামল, অ্যান্টি-অ্যালার্জেন দিয়েই কাজ চালান। কিন্তু যদি শ্বাসকষ্ট প্রবল হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

    কী কী করবেন এবং কী কী করবেন না

    চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যালকোহল এবং ধূমপান একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। ৬৫ বছরের উর্দ্ধে থাকা ব্যক্তিদের নিউমোনিয়ার টিকা অবশ্যই নিতে হবে। ভাল করে ঘুম এবং খাবার ডায়েট মেনে চলতে হবে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এবারে উঠে এল আরও এক রহস্যময়ী নারীর নাম। অর্পিতা, হৈমন্তীর পরে এবার সোমা। পুরো নাম সোমা চক্রবর্তী। ইডি সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নথিপত্র ঘেঁটে খোঁজ মিলেছে এই সোমা চক্রবর্তীর। অভিযোগ, ২০২০ সাল থেকে এই সোমা চক্রবর্তীকেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। এমনকী শুধু টাকা নয়, তাঁকে নাকি ফ্ল্যাট ও গাড়িও কিনে দিয়েছেন কুন্তল। ফলে এদিন সোমা চক্রবর্তীকে তলব করেছে ইডি। চলছে জেরা। অন্যদিকে কুন্তল দাবি করেছেন, সোমা নামে কোনও মহিলাকেই নাকি তিনি চেনেন না।

    কে এই সোমা চক্রবর্তী?

    ইডি সূত্রে খবর, সোমা চক্রবর্তী নামে ওই মহিলা নেল পার্লারের মালকিন। তাঁর নিউটাউনে একটি নেল পার্লার রয়েছে। কুন্তল ঘোষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট স্ক্রুটিনি করেই সোমা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালে কুন্তল গ্রেফতারির আগে পর্যন্ত তাঁর অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে। ফলে তাঁর সঙ্গে কী সম্পর্ক কুন্তলের, ঠিক কী কারণে কুন্তল ঘোষ সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেন করেছিলেন? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকাই কি সোমা চক্রবর্তীর নেল পার্লারের মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা করা হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি আধিকারিকরা সোমাকে ডেকে পাঠান ও জেরার মুখোমুখি হন তিনি (Recruitment Scam)।

    আরও পড়ুন: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    কী দাবি কুন্তলের?

    অন্যদিকে আজ আদালতে পেশের সময় সোমা চক্রবর্তীকে চেনেন না বলেই দাবি করেছেন কুন্তল। সোমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” আজ ফের গোপাল দলপতির নামে এদিন অভিযোগ করেন কুন্তল। বলেন, “হৈমন্তীকে বাঁচানোর জন্য গোপাল নানা কথা বলেছে।” সোমাকে ফ্ল্যাট, গাড়ি কিনে দেওয়ার কথা উঠলে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে আদালতে কুন্তল বলেন, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” ফলে সোমার সঙ্গে কুন্তলের কী সম্পর্ক, কোন সূত্র ধরে এই টাকার লেনদেন, সেই জবাব কুন্তলের কাছ থেকে এখনও স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়নি (Recruitment Scam)।

    হৈমন্তীর কী দাবি?

    অন্যদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) নাম উঠে আসা হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় এই প্রথমবার মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “আমি কোনও ভাবেই এই দুর্নীতর সঙ্গে জড়িত নই। জানি না, কীভাবে দুর্নীতি হয়। কোনও ধারণাই নেই আমার। আমাকে শুধু শুধু হেনস্তা করা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, “কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। আর সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি তো চিনিই না।”

    আবার স্বামী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা জিজ্ঞেস করা হলে, তাঁকে চেনেন কিনা প্রশ্ন করলে সাফ বলেন, “চিনি মানে? ২০১২ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এখন বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে।” গোপালের নাম উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতিতে। এই প্রসঙ্গে হৈমন্তীর দাবি, “আমি সিনেমার জগত নিয়ে থাকি। গোপালবাবুর সঙ্গে যখন থাকতাম, তখনও সিনেমার জগত নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। উনি কাজ করতেন জানতাম। তবে, তাঁর কাজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে আমার কাজ নিয়ে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হত।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা, কেষ্টর দিল্লি-যাত্রা কি সময়ের অপেক্ষা?

    Anubrata Mondal: দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া ধাক্কা, কেষ্টর দিল্লি-যাত্রা কি সময়ের অপেক্ষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওভাবেই দিল্লি যেতে চান না অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দিল্লি যাত্রা রুখতে শুক্রবার পরপর দুটি মামলা করেন অনুব্রত। দিল্লি হাইকোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।  তবে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর মামলা গ্রহণ করলেও শেষ পর্যন্ত হল না শুনানি। শনিবার বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে অনুব্রত মণ্ডলের মামলা শোনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের আর্জিতে সাড়া দিল না দিল্লি হাই কোর্ট। তাঁর আইনজীবী রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইলেও শুক্রবার তা মঞ্জুর করেননি বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মা। অতএব অনুব্রতের দিল্লি-গমন এখন সময়ের অপেক্ষা।

    কলকাতা হাইকোর্টে অনুব্রত-মামলা

    এদিন প্রথমার্ধে যেহেতু কোর্ট খোলা ছিল সেই কারণে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)মামলা গ্রহণ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তারপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুক্রবার মামলা না লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্টের বার কাউন্সিল। আইনজীবীদের কর্মবিরতির জন্য শেষপর্যন্ত আর অনুব্রতের মামলা শোনা হয় না। তবে,উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন নিম্ন আদালতের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশও দেয়নি হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়, বিচারপতি চৌধুরী অনুব্রতর(Anubrata Mondal) মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ বেঞ্চ গড়তে অনুরোধ করেছেন। শনিবার সকাল ১১টায় সেই বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। এদিন অনুব্রতকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    দিল্লি হাইকোর্টে কেষ্ট

    অন্যদিকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal)রাজধানী যাত্রা ঠেকাতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল। দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তিনি। প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারপতি শর্মার একক বেঞ্চে স্থানান্তরিত করেন। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন আদালতে হাজির ছিলেন না কেষ্টর আইনজীবী সিব্বল। এর পরেই মামলাটি কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন অনুব্রতের তরফে আইনজীবী। তিনি জানান, এই মামলায় আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করবেন। তাই তিনি না আসা পর্যন্ত মামলাটির শুনানি স্থগিত রাখা হোক। এই আবেদন অবশ্য আদালত মেনে নিয়েছে। তবে যেহেতু আসানসোল আদালতের নির্দেশের ওপর কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেননি কোনও হাইকোর্ট। তাই অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করতেই পারে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Scam: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) মামলায় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ওএমআর শিট। সেগুলোই এবারে প্রকাশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মোট ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ওএমআর প্রকাশ করার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবে এসএসসি। অর্থাৎ ৯ মার্চের মধ্যে ওই উত্তরপত্রগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, নম্বর কারচুপি করা উত্তরপত্রগুলিকে অবিলম্বে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-কে।

    ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র উদ্ধার

    নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সময় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে এসএসসি-র গ্রুপ সি-র (SSC Scam) পরীক্ষার ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করে সিবিআই। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এসএসসির আইনজীবী জানান, অনেক ক্ষেত্রেই উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর ও কমিশনের কাছে থাকা নম্বরে রয়েছে বহু ফারাক। গাজিয়াবাদের সংস্থা নাইসা এই পরীক্ষা খাতার মূল্যায়ন করেছিল। এরপরেই এই ওএমআর শিট এসএসসি-কে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০!

    এসএসসি গ্রুপ সি দুর্নীতিতে (SSC Scam) এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, দেখা গিয়েছে চাকরি পাওয়া এক ব্যক্তির নম্বর ওএমআর মূল্যায়নকারি সংস্থা নাইসা-র সার্ভারে ৪০। কিন্তু, কমিশনের সার্ভারে তা দেখাচ্ছে ১০! এই তথ্য দেখে রীতিমত বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কী ভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি জানিয়েছে, গ্রুপ সি নিয়োগে পরীক্ষার্থী প্রাপ্ত নম্বর আসল ওএমআর শিটে একরকম এবং কমিশনের কাছে অন্যরকমের রয়েছে। এসএসসি এ-ও জানিয়েছে এর নেপথ্যে কমিশনেরই কিছু আধিকারিকের ভূমিকা রয়েছে।

    বিস্মিত বিচারপতি কী বললেন?

    এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে শুনানি চলছিল স্কুলের গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগের মামলার (SSC Scam)। সেখানেই এসএসসির আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিস্মিত হন বিচারপতি। নম্বরের এত ফারাক দেখে অবিলম্বে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওইসব উত্তরপত্র প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে ভাল বলতে পারবেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। তাঁর আমলেই এসব হয়েছে। সিবিআই চাইলে সুবীরেশ-সহ বাকিদের বারে বারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।” আবার কমিশন আরও জানায় যে, সিবিআই যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে, তার মধ্যে ৩০০টি বিকৃত করা হয়নি। এ কথা শোনার পরও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, আগামী ৯ মার্চের মধ্যে ৩৪৭৮টি ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশন কে নিজেদের সাইটে প্রকাশ করতেই হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Group D: গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ শূন্যপদের কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শূন্যপদে নিয়োগের কথাও বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গ্রুপ ডি-র ১৯১১টি শূন্যপদে আপাতত নতুন নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও সঞ্জয় করলের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তাতে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

    গ্রুপ ডি (Group D)…

    বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি (Group D) কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বেতন বন্ধ, কর্মজীবনে প্রাপ্য বেতন ফেরত দেওয়া ও স্কুলে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল। ভবিষ্যতে তাঁরা কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান চাকরি খোয়ানো ১৯১১জন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ বেতন বন্ধের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেও চাকরি বাতিলের ওপর কোনও নির্দেশ বা স্থগিতাদেশ দেয়নি। শুক্রবারই হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হওয়ার কথা। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেন চাকরি খোয়ানোদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন (Group D), তাঁদের মধ্যে ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়েছিল। আদালতে এ কথা স্বীকারও করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাঁদের মধ্যে ১৯১১ জন চাকরি করছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই ১৯১১ জনের ওএমআর শিট কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দেন। এদিকে বহু স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের কাজ ভাগ করে করতে হচ্ছে শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Lionel Messi: মেসিকে খুনের হুমকি, স্ত্রীর দোকানে চলল গুলি, তারপর…

    Lionel Messi: মেসিকে খুনের হুমকি, স্ত্রীর দোকানে চলল গুলি, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণনাশের হুমকি পেলেন লিওনেল মেসি। তাও আবার নিজের শহর আর্জেন্টিনার রোজারিওতেই। তবে শুধু খুনের হুমকি চিঠিই নয়, মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সুপার মার্কেট লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলিও। সেই হুমকি চিঠিতে মেসির উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘মেসি আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। পাবলো জাভকিন রোজারিও শহরের মেয়র হলেও সে নিজেই একজন মাদক পাচারকারী। সেও তোমায় রক্ষা করতে পারবে না।’ এই হাড়হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ক্রীড়া মহলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে। সূত্রের খবর, প্রত্যক্ষদর্শীরা দু’জন দুষ্কৃতীকে বাইকে করে এসে মেসির স্ত্রীর দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে দেখতে পান। রোজারিওতে মেসির বাড়ি রয়েছে সেই কথা সকলেরই জানা। সঙ্গে রয়েছে তাঁর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর পারিবারিক ব্যবসা। ফুটবল জীবনে ব্যস্ততার মাঝে সময় পেলেই সেখানে সময় কাটাতে যান মেসি ও তাঁর পরিবার। গতকাল মোট ১৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঙ্গে মেসিকে দেওয়া হয়েছে প্রাণনাশের হুমকি। যাতে লেখা ছিল, ‘মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। জাভকিন নিজে একজন মাদকচক্রী। তাই ও তোমাকে বাঁচাতে পারবে না।’ উল্লেখ্য, হুমকি চিঠিতে উল্লেখিত এই জাভকিন হলেন রোজারিওর মেয়র পাবলো জাভকিন, যিনি এমন ঘটনার পরেই সুপার মার্কেটে এসে ক্ষোভ উগরে দেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের উপর। এই ঘটনার পরই রোজারিও শহরে হিংসা ও পুলিশি নিরাপত্তার অভাব নিয়ে ট্যুইট করেন শহরের মেয়র জাভকিন।

    আরও পড়ুন: সিংহ গর্জন! নাথান লায়নের ৮ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত শেষ ১৬৪ রানে

    তবে ভোররাত হওয়ায় দোকান বা আশেপাশে কেউ ছিল না তাই কোনও হতাহতের খবর নেই। এই ঘটনা ঘটার পর জাভকিন নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। কে বা কারা এই হামলার পেছনে যুক্ত তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আপাতত ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে মেসির স্ত্রীর দোকান লক্ষ্য করে কেন হঠাৎ গুলি চালানো হল, কেন মেসিকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল, তার কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। দেশ জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে, সেজন্য দুই দেশকে ‘প্রকৃত সমস্যা’-র সমাধান করতে হবে। নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জি-২০ বৈঠকের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মূলত জি-২০ বৈঠকের ফাঁকেই হয়েছে। ২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)?

    গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানান “আজ বিকেলে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রশান্তির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও কথা হয়েছে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “চিনা মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। আমরা সম্ভবত প্রায় ৪৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের বৈঠকের প্রধান অংশ। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আসল সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে, কোনও জড়তা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না। আমাদের কথাবার্তার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিন গ্যাং। তারপর এটাই জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ভারত ও চিন সম্পর্ক

    বার বার শান্তির কথা বলা হলেও ভারত এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে গেড়ে বসেছে চিনা ফৌজ। গত আড়াই বছর ধরে ভারতের টহলদারির এলাকাও তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। ফলে এবারে সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে তিনি গ্যাংয়ের উপরে চাপ তৈরি করেছেন বলে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন সীমান্তে অস্থিরতা দেখা গেছে। চিনা সেনার লাদাখ ও অরুণাচপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসনের কারণে গালওয়ানের সংঘর্ষও ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশই একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরাই রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি বছরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে ফের চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চিনের কড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    ২০২০ সালের পর অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনে পর ভারত-চিন সম্পর্কের অবস্থা স্বাভাবিক নেই, ফলে এবারে বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের ভাত খেতে চান না তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)! দিল্লির (Delhi) জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা দায়ের করলেন দুই হাইকোর্টে। দিল্লি হাইকোর্টের পাশাপাশি অনুব্রত দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অনুব্রতর আইনজীবী। মামলাটি গৃহীতও হয়েছে। এদিনই বিকেল তিনটে নাগাদ শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডিকে সবুজ সংকেত দেয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করে ইডি। তার মধ্যেই অনুব্রতর তরফে দায়ের হল জোড়া মামলা। এদিন দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল। মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। জরুরি ভিত্তিতে এদিনই শুনানির আবেদন করেন সিব্বল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি (ED)। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা কেন কার্যকর করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলে আদালত। তার পরেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোল জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয় জেল কর্তৃপক্ষকে।

    গত বছরের অগাস্টের ২২ তারিখে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে তিনি রয়েছেন আসানসোল জেলে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর উঠে এসেছিল একাধিক তথ্য। গরু পাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হত কিনা, তা জানতেও তদন্ত করে সিবিআই। এদিকে, গ্রেফতার করার পর অনুব্রতর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ করেছিলেন জনৈক শিব ঠাকুর মণ্ডল। শিব ঠাকুরের দাবি, এত দিন ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি তিনি। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পরেই সাহস সঞ্চয় করেন তিনি। পরে দায়ের করেন অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: ‘এপাং ওপাং ঝপাং…’, মমতার অস্ত্রেই তৃণমূল বধ সুকান্তর!

    প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ৯ ডিসেম্বর রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি নিয়ে যাওয়ার। তার পরেই দেখা গেল, একটি পুরনো মামলায় আসানসোল জেল থেকেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

    ফের জেল হেফাজত…

    এদিকে, অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দেন। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৭ মার্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
LinkedIn
Share