Blog

  • Santosh Trophy: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    Santosh Trophy: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস! সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ‘ভার’ প্রযুক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস। সন্তোষ ট্রফিতে ব্যবহার করা হল ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা সংক্ষেপে ‘ভার’ প্রযুক্তি। ভারতীয় ফুটবলের সব পর্যায় মিলিয়ে এই প্রথম বার ভার ব্যবহার করা হল। এই প্রথম বার দেশের বাইরে সন্তোষ ট্রফি আয়োজন করা হয়েছে। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার (এআইএফএফ) উদ্যোগে সন্তোষ ট্রফির জৌলুস বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হল তাকে। আগামী দিনে আরও বেশি ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, বলে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সূত্রে খবর। 

    সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কারা

    ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছেন, “এই প্রথম বার ভারতের কোনও ঘরোয়া ফুটবল ম্যাচে ভার ব্যবহার করা হল। এটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আগামী দিনে বিভিন্ন লিগে কী ভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায় তা আমরা শিখতে চাই। বিদেশি ছাড়াও যে ভারতীয় ফুটবল উন্নতি করতে পারে, তা সন্তোষ ট্রফির এই ম্যাচগুলি থেকে বোঝা যাবে।” তিনি আরও বলেছেন, “সন্তোষ ট্রফি দেশের অন্যান্য কোনও টুর্নামেন্টের থেকে একে বারেই পিছিয়ে নয়। আমাদের দেশেও প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। ওদের কাছে দক্ষতা প্রমাণের মঞ্চ এই টুর্নামেন্ট। ফেডারেশন চাইছে, ভারতীয় ফুটবলারদের প্রচুর ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে।”

    স্বাধীনতার একশো বছরে ভারতীয় ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এআইএফএফ। এর মধ্যেই সেই পরিকল্পনা বিভিন্ন ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ এই প্রযুক্তির ব্যবহার। 

    আরও পড়ুন: সচিনকে শ্রদ্ধা জানাতে ওয়াংখেড়েতে বসতে চলেছে পূর্ণাবয়ব মূর্তি, কবে উন্মোচন?

    বুধবার রিয়াধের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে (Fahd International Stadium in Riyadh) প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব-মেঘালয় (Punjab vs Meghalaya)। মেঘালয় ২-১ গোলে পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সন্তোষের ফাইনালে উঠল। পরের ম্যাচে কর্নাটক ৩-১ গোলে সার্ভিসেসকে হারিয়ে ৩৭ বছর পর সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠল। আগামী ৪ মার্চ সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হবে মেঘালয় ও কর্নাটক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Recruitment Scam: ‘নবম দশম নিয়োগ সুপারিশ বাতিলে এখনই স্থগিতাদেশ নয়’, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: ‘নবম দশম নিয়োগ সুপারিশ বাতিলে এখনই স্থগিতাদেশ নয়’, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র বাতিলের ওপর এখনই কোন স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। সাফ জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Recruitment Scam)। বিচারপতির কথার উত্তরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বলে, “নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।” 

    নবম-দশম মামলায় গতকালই রায়দান করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তারপরেই গতকাল ৬১৮ জনের সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করে কমিশন। আজ নতুন করে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান ৯৫২ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন। যদিও দ্রুত শুনানি সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি বসু।

    উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অযোগ্যদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের নির্দেশে কমিশন ৬১৮ জনের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। কিন্তু বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় চাকরিচ্যুতদের একাংশ। তবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ চাকরি থাকবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোন অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে। তিনি বলেন, “কমিশনই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কিনা। ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। OMR Sheet বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোন মামলাকারী বলেননি।” বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এসএসসি তাদের যে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত।

    আরও পড়ুন: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    এসএসসি (Recruitment Scam) আরও জানিয়েছে, ওই ৬১৮ জন বাদে বাকি ১৮৭ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করে দেওয়া হবে। তার আগে ওই ১৮৭ জনের ওএমআর শিটগুলি আরও এক বার হাতেকলমে যাচাই করে নিতে চায় এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আদালত ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    RSS: সংগঠনের বিস্তার প্রয়োজন, পরিকল্পনা করতে পানিপথে তিনদিনের বৈঠকে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালে শতবর্ষপূর্তি আরএসএসের (RSS)। এই উপলক্ষে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। লক্ষ্য পূরণ হতে আরও কিছুটা বাকি। তার ওপর আগামী বছরই রয়েছেন মহারণ। লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানো প্রয়োজন। সামনেই ৬টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এসবের জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা। বিরোধীদের মাত দিতে তৈরি করা প্রয়োজন সঠিক রণকৌশল। এই রণকৌশল স্থির করতেই চলতি মাসের ১২-১৪ তারিখ পর্যন্ত হরিয়ানার পানিপথে বৈঠকে বসতে চলেছে আরএসএসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক গোষ্ঠী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা (Akhil Bharatiya Pratinidhi Sabha)।

    আরএসএস (RSS)… 

    গত বছর আরএসএসের বৈঠকে গোটা দেশে এক লক্ষ শাখা খোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে খোলা হয়েছে ৮০ হাজার কেন্দ্র। আরএসএসের শতবর্ষপূর্তি হবে ২০২৫ সালে। তার আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এই যে বাকি ২০ হাজার শাখা কীভাবে খোলা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হবে তিনদিনের ওই বৈঠকে। বৈঠকে যোগ দেবেন প্রায় ১৪০০ কর্মী।

    বুধবার আরএসএসের (RSS) মুখপাত্র সুনীল আম্বেকর বলেন, গত এক বছরের কার্যকলাপের রিভিউ হবে তিনদিনের ওই সভায়। ২০২৩-২৪ সালের পরিকল্পনা ও রণকৌশলও ছকা হবে। আরএসএস সূত্রে খবর, কর্মকর্তা তৈরি করা এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়েও আলোচনা হবে। সুনীল বলেন, আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ উৎসব শুরু হতে চলেছে। তাই শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানের রূপরেখা নিয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে সেখানে। আরএসএসের এই তিনদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত সহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। আরএসএসের একটি সূত্রের খবর, বৈঠকে দেশে হিন্দুত্বের বিকাশ, মুসলিমদের ভূমিকা, ধর্মান্তকর ছাড়াও বিলগ্নিকরণের মতো বিষয় নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা।

    আরও পড়ুুন: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আরএসএস (RSS) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পানিপথের এই সভা থেকেই রাজ্যওয়াড়ি এবং কেন্দ্রীয়ভাবে আগামী এক বছর সংঘের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই সভায় বাংলা থেকে ৮৬ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারেন। এর মধ্যে তিনটি প্রান্ত থেকে ৩২ জন প্রতিনিধি এবং ৫৪ জন বিভাগীয় কর্মী উপস্থিত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বাংলায় শাখার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত স্বয়ং। তবে তাতেই থেমে থাকতে রাজি নন আরএসএস কর্তারা। এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে সংগঠনের বিস্তার চান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sukanta Majumdar: “পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করে তাহলে…”, কোচবিহারে হুঙ্কার সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করে তাহলে…”, কোচবিহারে হুঙ্কার সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তাল কোচবিহার রাজনীতি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) তা আরও কিছুটা জোরদার হল। এবার পুলিশকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।  

    কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গায় এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের দিকে নিশানা দেগে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ যদি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের ক্যাডারদের মতো কাজ করে তাহলে ক্যাডারদের সঙ্গে যা ট্রিটমেন্ট করা হয়, পুলিশের সঙ্গেও সেই ট্রিটমেন্ট করা হবে।” 

    তৃণমূলকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। গত শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাটে তৃণমূল- বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটে। আক্রান্ত হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়।

    আরও পড়ুন: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ৪৮ জন বিজেপি নেতাকর্মীর নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে পুলিশ (Sukanta Majumdar)। সেই মামলায় ইতিমধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মন।

    বুধবার প্রশান্ত বর্মনের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সুকান্ত বলেন, “দলীয় কর্মীকে ছাড়ানোর জন্য বিজেপি সহযোগিতা করবে। প্রয়োজনে হাইকোর্টেও যাবে।” 

    সেখানেই পুলিশকে একহাত নেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বলেন, “পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে তাহলে পুলিশকে পুলিশ বলে মনে করব। আর পুলিশ যদি তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করে তাহলে তৃণমূলের ক্যাডারদের সঙ্গে যে ট্রিটমেন্ট করা হয় পুলিশের সঙ্গেও সেই একই ট্রিটমেন্ট হবে।”

    দলীয় কর্মীদের বার্তা সুকান্তর

    এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে বিজেপি কর্মীদের হাতে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডান্ডাও রাখতে হবে। কোচবিহারে ডান্ডা ছাড়া রাজনীতি হবে না। তৃণমূলের যে নেতা যে ভাষা বোঝে তাকে সেই ভাষাতেই জবাব দিতে হবে।”

    এদিন নাম না করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে লুঙ্গি মন্ত্রী বলে ব্যাঙ্গ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “কোচবিহারের ছেলেকে আপনারাই সাংসদ করেছিলেন‌। নরেন্দ্র মোদি তাকে মন্ত্রী করে পাঠিয়েছেন। সেটা তৃণমূলের সহ্য হয়নি। আর তাই তার উপর আক্রমন হয়েছে লুঙ্গি মন্ত্রীর নির্দেশে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “দিদি নিজের রাজ্য সামলাতে পারেন না মেঘালয়ে গিয়ে মাথায় পালক লাগিয়ে কাক সেজে কুকু করছেন। ‌রাজ্যের বেকার ছেলেরা কাজ পাচ্ছে না । তারা গুজরাটে চলে যাচ্ছে।‌ দিদি বলছেন ১০০ দিনের কাজে তারা এক নম্বর। তাতে সায় দিয়ে তিনি বলেন সেটাতো হবেনই, কারন‌ এই রাজ্যের বেকার যুককেরা কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে ৩০০ টাকার মজুরিতে ১০০ দিনের কাজ করে। কিন্তু গুজরাটে কাজ করলে দৈনিক মজুরি এক হাজার টাকা পায়। ‌তাই সেখানে মানুষ ১০০ দিনের কাজ করে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Jogendra Nath Mandal: ‘‘কেন পাকিস্তান হিন্দুদের বেঁচে থাকার অধিকার দিল না?’’

    Jogendra Nath Mandal: ‘‘কেন পাকিস্তান হিন্দুদের বেঁচে থাকার অধিকার দিল না?’’

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৬

    পঞ্চম পর্বের পর…

    ২৬। আমি জনাব নুরুল আমিনকে এই পদের জন্য ৩ জনের নাম সুপারিশ করেছিলাম। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ঢাকা হাইকোর্টের এমএ, এলএলবি, অ্যাডভোকেট। তিনি প্রথম ফজলুল হক মন্ত্রিসভার সময়কালে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রায় ৬ বছর ধরে কলকাতার কয়লা খনি বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। তিনি নমঃশূদ্রদের ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। আমার দ্বিতীয় সুপারিশে ছিলেন একজন বিএ, এলএলবি। তিনিও ৭ বছর যাবৎ আইনসভার সদস্য ছিলেন। আমি জানতে চাই ঠিক কোন কারণে জনাব নুরুল আমিন এই দুজন ভদ্রলোককে বাদ দিয়ে এমন একজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন সঙ্গত কারণেই যার নিয়োগের বিরোধিতা আমি করেছিলাম। কোনও প্রতিবাদের মুখোমুখি হবার ভয় ছাড়াই আমি বলতে পারি জনাব নুরুল আমিন বারারিকে দিল্লি চুক্তি অনুসারে মন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়াই এর চরম প্রমাণ যে পূর্ব বাংলার সরকার এখানকার হিন্দুদের জীবন-জীবিকা, সম্মান ও ধর্ম ঠিক রেখে জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ তৈরির জন্য সম্পাদিত দিল্লি চুক্তিকে কখনওই গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করেনি।

    সরকারি মদতে হিন্দুদের নির্মূল করার চেষ্টা

    ২৭। আমি এই প্রসঙ্গে আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে পূর্ব বাংলা সরকার এই প্রদেশ থেকে হিন্দুদের সম্পূর্ণরূপে উৎখাত করতে চায়। এই বিষয়ে আমি আপনাকে একাধিকবার সাক্ষাতে অনেক কথা বলেছি। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি পশ্চিম পাকিস্তান হিন্দু নিধনে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম হয়েছে এবং পূর্ব পাকিস্তানে এই প্রক্রিয়ায় সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছে। ডি এন বারারির নিয়োগ এবং আমার এই বিষয়ে অসম্মতির পরও পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে তারা কী অর্থে নিজেদের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র দাবি করে। পাকিস্তান না হিন্দুদের বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে না পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়েছে। এখন তারা হিন্দু বুদ্ধিজীবীদের মারতে চায় যাতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবন তাদের দ্বারা আর প্রভাবিত না হতে পারে।

    যৌথ নির্বাচকমণ্ডলীর বিষয়টিকে এড়িয়ে চলা

    ২৮। আমি বুঝতে পারি না নির্বাচকমণ্ডলীতে এই বিষয়ে কেন এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সংখ্যালঘু সাব-কমিটি তৈরির পর ৩ বছর পার হয়ে গেছে। তিনবার মিটিংও হয়ে গিয়েছে। গত ডিসেম্বরে কমিটির সভায় যৌথ বা পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর ব্যাপারে কথা উঠলে পাকিস্তানের সকল স্বীকৃত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ পশ্চাৎপদ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর জন্য সংরক্ষিত আসন রেখে যৌথ নির্বাচকমণ্ডলীর স্বপক্ষে মত দেন। আমরা নমঃশূদ্রদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা রেখে যৌথ নির্বাচকমণ্ডলীর দাবি জানাই। গত অগাস্টের আরেক সভাতেও এই ব্যাপারে কথা উঠে। কিন্তু এর উপর কোনওরূপ আলোচনা ছাড়াই সভা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে পাকিস্তানী শাসকদের কালহরণ নীতির পিছনে কোন উদ্দেশ্য কাজ করছে তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হবার কথা নয়।

    হিন্দুদের দুঃসহ ভবিষ্যৎ

    ২৯। এখন বলি দিল্লি চুক্তির ফলে পূর্ব বাংলার হিন্দুদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে। আমি বলতে পারি এখন হিন্দুদের অবস্থা শুধু হতাশাজনক নয় বরং সম্পূর্ণ আশাহীন এবং ভবিষ্যৎ অন্ধাকার অমনিশায় আচ্ছন্ন। পূর্ব বাংলার হিন্দুদের ভিতর আস্থা ফিরিয়ে আনতে কিছুই করা হচ্ছে না। চুক্তিটি মুসলিম লিগ কাগজের ভিতরই সীমাবদ্ধ রেখেছে। বিপুল সংখ্যক হিন্দু শরণার্থী বিশেষ করে নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে এলেও এটা প্রমাণ করে না যে হিন্দুদের আস্থা ফিরে এসেছে। বরং এটা প্রমাণিত হয় পশ্চিমবাংলা বা ভারতের ভিতর তাদের পুনর্বাসনের কোনও সুযোগ নেই। উদ্বাস্তু জীবনের বেদনাই তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে বাধ্য করেছে।
    পাশাপাশি অনেকেই ফিরে আসছে তাদের অস্থাবর সম্পত্তি সঙ্গে নিয়ে যেতে এবং স্থাবর সম্পত্তির একটা গতি করতে। পূর্ব বাংলায় অতি সাম্প্রতিককালে কোনও বড় রকমের সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটেনি, কিন্তু এর কৃতিত্ব দিল্লি চুক্তিকে দিলে তা ভুল হবে। কোনও চুক্তি বা আপস ছাড়াই এটা একসময় বন্ধ হত, সহজভাবে বলতে গেলে এটা এভাবে চলতে থাকা ছিল অসম্ভব।

    ৩০। স্বীকার করতেই হবে দিল্লি চুক্তি সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট নয়। এই চুক্তির ভিতর ছিল কিছু শর্ত যাতে ভারত এবং পাকিস্তানের ভিতর বিবদমান সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়। কিন্তু চুক্তির ছয় মাস পরেও কিছুই হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে দেশে এবং বিদেশে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে পুরোদমে। মুসলিম লিগ দ্বারা সারা পাকিস্তান জুড়ে কাশ্মীর দিবস পালন করা এর একটি উদাহরণ। পাকিস্তান শাসিত পাঞ্জাবের গভর্নরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী দরকার ভারতের মুসলিমদের রক্ষায়, পাকিস্তানের আসল চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে। এই ধরনের বক্তব্য দুইদেশের ভিতর শুধু উত্তেজনাই বাড়াবে।

    (ক্রমশ…..)

     

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৫

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৪

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি -পর্ব ৩

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ২

    জিন্নার হিন্দু মন্ত্রীর পাঁচালি – পর্ব ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    ED Raid: আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে আজও ইডির তল্লাশি! ‘‘সরকার ফেঁসে গিয়েছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড দুর্নীতিতে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও আইনজীবীর ফ্ল্যাট থেকে বেরতে দেখা যায়নি ইডি (ED Raid) অফিসারদের। বৃহস্পতিবারও তল্লাশি জারি রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আইনজীবীকে। দুর্নীতির সঙ্গী আইনজীবী সঞ্জয় বসু, এমন দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে শুভেন্দু যা বললেন

    আলিপুরের বর্ধমান রোডে আইনজীবী সঞ্জয় বসুর ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশি (ED Raid) চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কুকর্মের সাথী এই সঞ্জয় বসু। শুভেন্দু বলেন, ‘সঞ্জয় বসু শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী নন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্থায়ী আইনজীবী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যত অপকর্ম করেছেন তার মূল সাগরেদ হচ্ছে সঞ্জয় বসু। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ থেকে আসানসোল, পুলিশকে সংগঠিত করে টাকা তুলছে এই সঞ্জয় বসু। গোটা রাজ্যে তৃণমূলের যত টাকা সংগ্রহ হচ্ছে তার দায়িত্ব রয়েছে সঞ্জয় বসুর ঘাড়ে। গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা তোলার দায়িত্ব আগে বিনয় মিশ্রর ছিল, এখন সঞ্জয় বসুর’।

    ইডি সূত্রে খবর, দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থার এক আধিকারিক এসেছেন, যাঁর তত্ত্বাবধানে এই তল্লাশি (ED Raid) চলছে। একটি চিটফান্ড সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সঞ্জয় বসুর বিলাসবহুল আবাসনের ভিতরে মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আবাসনের বাইরে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। আলিপুর থানার ওসি এবং একজন এসি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে বিশেষ বাহিনী মোতায়ন হয়েছে। ওই আবাসন থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘এই অভিযান (ED Raid) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিচলিত। ডিজিপি অনেককে অনেক নির্দেশ দিয়েছেন তার তথ্যপ্রমাণ আমরা পাচ্ছি। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলকে ফোন করে বলেছেন, আপনারা এটা নিয়ে বেশি প্রচার করবেন না। আমার অনুরোধ থাকল। টিভি চ্যানেলের মাথাদের কাছে ১২টা থেকে ৩টের মধ্যে ফেসটাইমে এই কল গিয়েছে। অর্থাৎ সরকার ফেঁসে গেছে। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, জিট্টা, তার পর কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, আর আজকে সঞ্জয় বসু, আর চৌকাঠ পেরনোর জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে না’।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘ভবিষ্যতের শহরের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়া জরুরি’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের উন্নয়নে ভারত (India) সার্কুলার অর্থনীতিকে প্রধান ভিত্তি করছে। বুধবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, যদি এই পন্থা আগে অবলম্বন করা হত, তাহলে দেশের বিভিন্ন শহরে পাহাড় প্রমাণ জঞ্জাল জমত না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শহরের আবর্জনার ৭৫ শতাংশই প্রসেস করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১৪-১৫ শতাংশ। তিনি বলেন, সুপরিকল্পিত শহরগুলি দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যদি দেশের ৭৫টি শহরেও সুপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করা হত, তাহলে বিশ্বের দরবারে ভারতের ভাবমূর্তি অন্যরকম হত। তিনি বলেন, ভারতে দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

    মোদি (PM Modi) বলেন…

    এদিন বাজেট-উত্তর ওয়েবমিনারে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। আলোচনার বিষয় ছিল ‘আরবান ডেভেলপমেন্ট উইথ ফোকাস অন প্ল্যানিং’। তিনি জানান, আবর্জনা প্রসেস করা হলে অনেক সুযোগেরই দ্বার খুলে যায়। কারখানাগুলো এগুলোকে কাজে লাগাতে পারে। দেশবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, এই জাতীয় স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন করুন। বলুন, বড় কাজ করছেন। তিনি বলেন, কোনও কোনও শহরে ব্যবহৃত জলও কারখানার কাজে লাগানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরবান প্ল্যানিং আমাদের শহরগুলির ভাগ্য নির্ধারন করে। এবং এই সমস্ত সুপরিকল্পিত শহর ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তিনি বলেন, আমাদের নয়া শহরগুলি অবশ্যই জঞ্জালমুক্ত হবে। নিশ্চিত জল মিলবে। জলবায়ু সহনশীল হবে।

    আরও পড়ুুন: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    শহুরে পরিকাঠামোর ওপর বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। দোতলা, তিনতলা শহর গড়ার পরিকল্পনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, ভারতের ভবিষ্যতের শহরগুলির পরিকল্পনা হওয়া উচিত অন্যভাবে। সেগুলি যেমন গঠনশৈলির দিক থেকে অনন্য হবে, তেমনি হবে জিরো লিক্যুইড ডিসচার্জ মডেল, নেট পজিটিভিটি অফ এনার্জি, এফিসিয়েন্সি অফ ল্যান্ড ইউজ, ট্রানজিট করিডরস। জনগণের সেবায় নিয়োজিত হবে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স। শহরে খেলার মাঠ এবং সাইকেল চলাচলের জন্য আলাদা রাস্তা গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি জোর দিয়েছেন শহরের উন্নয়নের দিকেও। যার জেরে আধুনিক বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

     

  • Suvendu Adhikari: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ২০০ কোটি কোথায় গেল?”, রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের নয়া বিতর্ক উস্কে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। বুধবার হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে চায়ে পে চর্চায় উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, যখন তিনি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তখন ২০০ কোটি টাকা রেখে এসেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা নিজেদের ট্রেজারিতে নিয়ে নিয়েছে রাজ্য। এর জেরে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছে। টাকার অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না।

    কী বলেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এখন উন্নয়ন পর্ষদে টাকা নেই। আলো খারাপ হয়ে গেলে তা সারানোর টাকা নেই। নিকাশি, দূষণ, রাস্তার কোনও কাজ হয় না।”  

    তৃণমূল এবং রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন নন্দিগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসকদল আর পুলিশ হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে লুঠ চালাচ্ছে। বিচ ম্যারাথনের নাম করে ৬০ লক্ষ টাকা তুলেছেন জেলার পুলিশ সুপার। এক ড্রাইভার বলল রিপ্লে কোম্পানিতে কাজের জন্য ড্রপ বক্সে আবেদন করেছিল। শ্রম দফতর হয়ে সেই আবেদন জেলা প্রশাসনের কাছে যাওয়ার কথা। সেই আবেদন গিয়েছে থানায়। ভবানীপুরের পুলিশ আধিকারিক সেই ছেলেকে ডেকে টাকা দিতে বলছে। চাকরির বিনিময়ে দেড় লক্ষ টাকা চাইছে। বলছে টাকা দিলে ইন্টারভিউতে ডাক পাবে।” 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) এই বিস্ফোরক দাবির পরেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন জল্পনা। ইতিমধ্যেই নানা চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুকে পালটা আক্রমণ করেছেন পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,  “২০০ কোটির গল্প দিচ্ছেন শুভেন্দু। ফাঁকা করে দিয়ে গিয়েছেন। আসলে ওই ২০০ কোটি ওনার বাড়িতে রয়েছে। হলদিয়ার উন্নয়ন নিয়ে ওনার গাত্র দাহ হচ্ছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি ১.৫৭ কোটি টাকা ঋণ রেখে গিয়েছে।” 

    এসবের মাঝেও শুভেন্দুর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলে তৃণমূল এবার তৃতীয়স্থানে নেমে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    SSC Scam: অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে অযোগ্য ৬১৮ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করল এসএসসি। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তাই বুধবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এসএসসি জানিয়ে দেয়, আপাতত মোট ৬১৮ জন শিক্ষক নিয়োগের (SSC Scam) সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে। সুপারিশপত্র বাতিল করে দেওয়ার ফলে এই ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করতে আরও কোনও বাধা নেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদের। বাতিলের তালিকায় কারা রয়েছেন তাঁদের নাম, রোল নম্বর এবং বিভাগও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। 

    পুরো তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কমিশনের পদক্ষেপ

    উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) নিয়ে কমিশনকে নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অযোগ্যদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আদালতের নির্দেশে কমিশন ৬১৮ জনের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। কিন্তু বিচারপতি বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় চাকরিচ্যুতদের একাংশ। তবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি। আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ চাকরি থাকবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোন অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে। তিনি বলেন, “কমিশনই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি থাকবে কিনা। ন্যাচারাল জাস্টিস কোনও স্ট্রেট জ্যাকেট হতে পারে না। OMR Sheet বিকৃতি হয়নি বা এটা তাদের নয় বলে কোন মামলাকারী বলেননি।” বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এসএসসি তাদের যে ১৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে অবৈধ চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিল করেছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত।

    আরও পড়ুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    এসএসসি (SSC Scam) আরও জানিয়েছে, ওই ৬১৮ জন বাদে বাকি ১৮৭ জন শিক্ষকের সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু করে দেওয়া হবে। তার আগে ওই ১৮৭ জনের ওএমআর শিটগুলি আরও এক বার হাতেকলমে যাচাই করে নিতে চায় এসএসসি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আদালত ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: “আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিক্ষা চাইতে যাই না”, ববিকে পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা

    DA Protest: “আমরা পাঁচ বছর পর পর ভিক্ষা চাইতে যাই না”, ববিকে পাল্টা ডিএ আন্দোলনকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহার্ঘ ভাতার (DA Protest) দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। ধর্নার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সরকারি অফিসে পেন ডাউন কর্মসূচিও পালন হচ্ছে। আন্দোলনের আগুনে কিছুটা ছাই চাপা দিতে ৩% ডিএ- র ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতেও কমানো যায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ। বকেয়া ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনকে কটাক্ষ করে সম্প্রতি কলকাতার মেয়র (DA Protest) ফিরহাদ হাকিম বলেন, “না পোষালে ছেড়ে দিন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী হয়ে যান।” এই মন্তব্যের জেরে বুধবার কলকাতা পৌরসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান পৌরসভার কর্মীরা। তাঁরা বলেন, “ববি হাকিমের মন্তব্যের প্রতিবাদে পুরসভার কর্মীরা পেন ডাউন করেছি। আমরা যোগ্যতার মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে এই জায়গায় এসেছি। উনি তো ক্যাবিনেট মন্ত্রী, ওনার যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন বিধানসভায় বিল আনতে। যে বিলের মাধ্যমে বলুক রাজ্য যে কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারবে না সেই কর্মচারীদের কেন্দ্র নিয়ে নেবে। আর ওনারা যা দুর্নীতি করেছেন কলকাতা পৌরসভায় সমস্ত নথি আছে আমাদের কাছে।”

    ফিরহাদের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও। তাদের সাফ কথা, বেতন দিতে না পারলে, ফিরহাদ (DA Protest) চেয়ার ছেড়ে চলে যান। সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “আপনাকে বলছি ববিবাবু, আপনি যদি বেতন দিতে না পারেন, আপনার চেয়ারটা ছেড়ে চলে যান। কর্মচারীরা ৬০ বছর মাথা উঁচু করে থাকবে। আপনার মতো পাঁচ বছর পর পর হাতজোড় করে জনগণের কাছে ভিক্ষা চাইতে যাবে না নিজের কুর্সি বাঁচানোর জন্য।” এক রাজ্য সরকারি কর্মী বলেন, “ওনার মতো গেঞ্জি পরে টাকা নিই না।”

    আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে আজ ভোট গণনা, কারা গড়বে সরকার?

    ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিক্ষক 

    এদিকে সরকারের ঘোষিত ৩ শতাংশ ডিএ ফিরিয়ে দিলেন শিলিগুড়ির এক স্কুল শিক্ষক। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বুধবার সাফ বলেন, “ভিক্ষার দান চাই না।” ডিএ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের বক্তব্যে বিরক্ত তিনি।

    এ ব্যাপারে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের শিক্ষক প্রবীর কুমার বর্মণ বলেছেন, “২০১৬ থেকে সীমাহীন বঞ্চনা এবং যে প্রতারণা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ (DA Protest) করছি। আমাদের প্রাপ্য ডিএ ৩৯ শতাংশ। সেখানে ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করুন। এই চাকরি আমি চটি চেটে পায়নি, নিজের যোগ্যতায় পেয়েছি। ডিএ অধিকার। অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ভিক্ষার মতো ডিএ দিচ্ছে সরকার। সে জন্য আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ডিআই-কে ঘোষণাপত্র জমা দিয়েছি আমার বর্ধিত ৩ শতাংশ ডিএ দরকার নেই।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল দত্ত বলেন, “আমার স্কুলের এক জন শিক্ষক বর্ধিত ডিএ নেবেন না বলে আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share