Blog

  • Sagardighi: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    Sagardighi: কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগণনা! সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় কোন শিবিরের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হল সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনা। মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে খালি হয়ে যায় মূর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসনটি। সাগরদিঘি (Sagardighi) কলেজে শুরু হয়েছে এই কেন্দ্রের গণনা। ভোট গণনা চলবে দুপুর পর্যন্ত। এই কেন্দ্রে মূলত ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে। উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। আর বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হলেন বায়রন বিশ্বাস। 

    সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় ত্রিমুখী লড়াই

    গত সোমবার সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট পড়ে। ভোটকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও ঘটে। কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুনকে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা। তৃতীয় স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক সময় জেলার রাজনীতিতে নির্ণায়ক শক্তি কংগ্রেসকে। তবে গত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্র থেকে ‘অভাবনীয়’ সাড়া পেয়ে এবার চমক দেওয়ার কথা বলছে বিজেপি। জয়ের বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যাওয়া, সাগরদিঘির (Sagardighi) মাটি কামড়ে অধীর চৌধুরীর পড়ে থাকা, শুভেন্দু অধিকারীর প্রচার—সব মিলিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। এক কংগ্রেস কর্মীর গ্রেফতার, হাইকোর্ট থেকে তাঁর জামিন পাওয়া, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ওসি বদল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বুটের শব্দ অন্য আবহ তৈরি করে দিয়েছিল সেখানে। অশান্তির কথা মাথায় রেখে মোতায়েন করা হয়েছিল ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাগরদিঘি (Sagardighi) বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮২৫। মহিলা ভোটার রয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৩ জন। গত সোমবারই ভোটগ্রহণ হয় সাগরদিঘিতে। এই উপ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই কেন্দ্রে নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকবেন সংখ্যালঘু ভোটাররা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • West Bengal: মুখ ফেরাচ্ছেন অভিভাবকরা! সত্যিই কি বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের ৮,২০৭ সরকারি বিদ্যালয়?

    West Bengal: মুখ ফেরাচ্ছেন অভিভাবকরা! সত্যিই কি বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের ৮,২০৭ সরকারি বিদ্যালয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঠনপাঠন হয় না! রাজ্য সরকার অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সন্তানদের তাই সরকারি স্কুলে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা! জানা যাচ্ছে রাজ্যে (West Bengal) বন্ধ হতে বসেছে প্রায় ৮,২০৭টি স্কুল। এর মধ্যে সিংহভাগই প্রাথমিক বিদ্যালয়। কারণ এই স্কুলগুলিতে ছাত্র সংখ্যা তিরিশেরও কম। সম্প্রতি ঘুষের বিনিময়ে অযোগ্যদের শিক্ষক পদে চাকরির ইস্যুতে সরগরম রাজ্য। অষ্টম শ্রেণির যোগ্যতায় শাসক নেতাদের বদান্যতায় শিক্ষক হয়েছেন এমন নজিরও উঠে এসেছে হাইকোর্টের সামনে। এই আবহেই এবার বন্ধ হতে চলেছে আট হাজারের বেশি স্কুল। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, অভিভাবকদের ভরসাই উঠে গেছে রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতির উপর। 

    কবে নাগাদ বন্ধ হতে পারে স্কুলগুলি

    শোনা যাচ্ছে, এবিষয়ে শিক্ষাদপ্তর কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা না বের করলেও উচ্চমাধ্যমিক কিংবা পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই কার্যকর হয়ে যাবে এই সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে একটি তালিকা দেখা যাচ্ছে যেখানে তিরিশের নিচে ছাত্র সংখ্যার স্কুলগুলিকে মূলত চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে এমন স্কুলও নজরে পড়ছে যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দেখা যাচ্ছে ১০ বা ১৫! খোদ কলকাতাতে এমন ৫৩১টি স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা তিরিশেরও কম। তালিকায় দেখা যাচ্ছে পুরুলিয়া জেলায় ৬৯৪টি স্কুলের এই অবস্থা। আবার জঙ্গল ঘেরা ঝাড়গ্রাম জেলা আয়তনে ছোট হলেও তিরিশের নিচে পড়ুয়া রয়েছে জেলার ৪৭৯টি বিদ্যালয়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্র একই অবস্থা নজরে পড়ছে। বিদ্যালয়গুলির এমন করুণ অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেছেন, পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক নিয়োগ করে কী লাভ! বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, শহরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে অতিরিক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে, অথচ গ্রামাঞ্চলগুলির বিদ্যালয়গুলি ধুঁকছে! তাই অতিরিক্ত শিক্ষকদের গ্রামের স্কুলে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Cholesterol Control: ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল? পাতে রাখুন এই ৫ টি খাবার

    Cholesterol Control: ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল? পাতে রাখুন এই ৫ টি খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ঘরে ঘরেই দেখা যায় কোলেস্টেরলের (Cholesterol Control) সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন তো রয়েছেই কিন্তু এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত কিছু পুষ্টিকর খাবারও।

    কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কেন জরুরি?

    ভালো কোলেস্টেরল যতটা গুরুত্বপূর্ণ, খারাপ কোলেস্টেরল ঠিক ততটাই বিপজ্জনক। কোলেস্টেরল রক্তে ময়লার মত, যা শিরার ভিতরে জমতে শুরু করে ও সঙ্কুচিত করে। এর জেরে রক্তপ্রবাহেও বাধা দেয়। এ কারণে হৃৎপিণ্ডে যথেষ্ট পরিমাণে রক্ত পৌঁছাতে পারে না ও ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধও করে দেয়।

    আমাদের শরীরে আছে দুই ধরণের কোলেস্টেরল (Cholesterol Control)। লাইপোপ্রোটিন এইচডিএল এবং লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল। এই এলডিএল কোলেস্টেরলকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল। এটিই আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের কারণ। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলি রোজের পাতে রাখলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।  

    খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ৫টি খাবার

    লেগুম: ডাল হিসাবেও পরিচিত, এর মধ্যে রয়েছে মটরশুটি, মুসুর ডাল, এছাড়াও সয়াবিন, চিনাবাদাম এবং মটর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। মটরশুটি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এটি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই আজই আপনার ডায়েটে যোগ করুন কালো মটরশুটি, মুসুর ডালের মত হাই-ফাইবার যুক্ত খাবার।

    অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে যা ওজন কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য, দৃষ্টিশক্তি এবং হাড়ের ঘনত্ব উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ যা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে (Cholesterol Control)।

    আরও পড়ুন: হার্ট ভাল রাখে সঙ্গে স্ট্রেসও কমায়! জানুন ডার্ক চকোলেটের ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

    গোটা শস্য: বিশেষ করে ওটস এবং বার্লি হৃদরোগের ঝুঁকি কম করতে পারে। ওটস হল একটি গ্লুটেন-মুক্ত খাদ্য যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস যা সুস্থ শরীর গঠনে সাহায্য করে। এতে ভরপুর মাত্রায় দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এই ‘সলিউবল ফাইবার’ খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়।

    ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেট অত্যন্ত পুষ্টিকর কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা রক্ত ​​​​প্রবাহ এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাস সহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিতে পূর্ণ। ডার্ক চকোলেট এবং কোকোতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে (Cholesterol Control)।

    রসুন: রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে (Cholesterol Control)।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি কাটাল দেশ! ২০২৩-এর গ্রীষ্মকাল কেমন হতে চলেছে?

    Weather Update: ১২২ বছরে উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি কাটাল দেশ! ২০২৩-এর গ্রীষ্মকাল কেমন হতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯০১ সাল থেকে এত গরম ফেব্রুয়ারি দেখেনি গোটা দেশ (Weather Update)। ১২২ বছরের ইতিহাসে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস ছিল সবচেয়ে উষ্ণ। ফেব্রুয়ারিতেই শেষ নয়। তাপপ্রবাহ বাড়বে আরও বহুগুণ। এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। 

    হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের ফেব্রুয়ারিতে ১৯০১ সালের পর সারা দেশে তাপমাত্রার মাসিক গড় ছিল সর্বোচ্চ। মার্চ মাসে উপকূলবর্তী অঞ্চল ছাড়া বেশিরভাগ অংশেরই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে। অর্থাৎ ২০২৩- এর গরমে নাজেহাল হবেন দেশবাসী।

    ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি তাপপ্রবাহ দেখেছে রাজ্য। ২০১৫ সাল থেকে বাড়ছে দেশের সামগ্রিক তাপমাত্রা (Weather Update)। এক এক করে তাপপ্রবাহের শিকার হওয়া রাজ্যের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে তাপপ্রবাহ ঘটে চলা রাজ্যের সংখ্যা। দেশে তাপপ্রবাহ হানা দেয় বর্তমানে ২৩টি রাজ্যে। গ্রীষ্মের স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রার থেকে বেশি হবে এবারের তাপমাত্রা।

    হাওয়া অফিসের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে উত্তর ভারত, উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং মধ্য ভারতের বেশ কিছু অংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে এমন আবহাওয়া ভয়ঙ্কর গরম আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে এ কথা বলাই যায়।

    আরও পড়ুন: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    ভারতের আবহাওয়া দফতরের একজন সিনিয়র বিজ্ঞানী এসসি ভান জানিয়েছেন, ৩১ মে শেষ হওয়া আগামী তিন মাসে দেশের বেশিরভাগ অংশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপপ্রবাহের মাত্রা বাড়বে দিন দিন। আগামী মাসগুলিতে আরও বাড়বে উষ্ণতা। 

    সারা দেশে বৃষ্টিপাতের গড় স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। উত্তর-পশ্চিম ভারত, পশ্চিম মধ্য ভারত এবং পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বেশির ভাগ অংশে, পূর্ব-মধ্য ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু বিচ্ছিন্ন স্থানে স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    Recruitment Scam: শান্তিপ্রসাদের ‘ডেরা’য় মিলল দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন তিনি। বুধবার কলকাতার সার্ভে এলাকায় সেই শান্তিপ্রসাদ সিনহার বেনামি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি সোনা, নগদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং সম্পত্তির নথি। ১ হাজার ৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকাও উদ্ধার হয়েছে ওই ফ্ল্যাট থেকে। এই শান্তিপ্রসাদ এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক। এদিন তাঁর বেনামী ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তার পরেই খোঁজ মেলে বিপুল সম্পদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)…

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) অন্যতম মাথা ছিলেন এই শান্তিপ্রসাদ। কোন কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পাবেন, তা চূড়ান্ত করতেন তিনিই। চাকরি বিক্রির দালালরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকারও করেছেন। গত বছর অগাস্টে তাঁকে গ্রেফতার করার পর দফায় দফায় জেরা করেন গোয়েন্দারা। তার পরেই ঝুলি থেকে বের হতে থাকে একের পর এক বেড়াল।

    বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্ত চলছিল। সেই সূত্র ধরেই এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে অগাস্ট মাসে শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এঁরা দুজনেই এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা। এই মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল, তাতে শান্তিপ্রসাদের নাম ছিল এক নম্বরে, চার নম্বরে ছিলেন অশোক। হাইকোর্ট নিযুক্ত বাগ কমিটির রিপোর্টেও নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ ও অশোকের।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসির একটি উপদেষ্টা কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই কমিটির মাথায় ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমেই ভুয়ো নিয়োগের সুপারিশ করা হত।

    এদিন শান্তিপ্রসাদের বেনামী ফ্ল্যাট থেকে যে সোনা উদ্ধার হয়েছে, তার বাজার মূল্য ৭০ লক্ষ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ ৫০ লক্ষ। বেশ কিছু সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দেড় হাজার অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকাও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এ সবের উৎস জানতে জেলে গিয়ে জেরা করা হবে শান্তিপ্রসাদকে। তাঁর আর কত বেনামী সম্পত্তি রয়েছে, জানতে চাওয়া হবে তাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Yogi AdityaNath: যোগী রাজ্যে ফের বুলডোজার দাওয়াই! গুঁড়িয়ে দেওয়া হল খুনে অভিযুক্তের বাড়ি

    Yogi AdityaNath: যোগী রাজ্যে ফের বুলডোজার দাওয়াই! গুঁড়িয়ে দেওয়া হল খুনে অভিযুক্তের বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। গত শুক্রবার তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সাক্ষী হত্যার পরই মাফিয়ারাজ শেষ করার হুঙ্কার বিধানসভা থেকে দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi AdityaNath)। গত সোমবারই পুলিশ এনকাউন্টারে নিহত হন এক অভিযুক্ত। আজ বুধবার সকালে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয় আর এক দুষ্কৃতী জাফর আহমেদের বাড়ি।

    ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ

    আজ থেকে ১৮ বছর আগে ২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন বিএসপির বিধায়ক রাজু পাল। ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সমাজবাদী পার্টির নেতা আতিক আহমেদের। তাঁর হত্যার ঘটনার অন্যতম সাক্ষী আইনজীবী উমেশ পালকে গত শুক্রবার প্রয়াগরাজে তাঁর বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করে ৫ জন দুষ্কৃতী। ঘটনায় মৃত্যু হয় উমেশ পালের দেহরক্ষীরও। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে ফের আতিকের নামই উঠে আসে। পুলিশের দাবি, বর্তমানে আমদাবাদ জেলে বন্দি আতিকই পুলিশের কাছে নিজের জবানবন্দি দেওয়ার আগে ঘনিষ্ঠ লোকজনকে পাঠিয়ে খুন করিয়েছে উমেশ পালকে।

    সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া এফআইআরে আতিক ছাড়াও তার স্ত্রী বিএসপি নেত্রী সাইস্তা পারভীন এবং ছেলে আসাদ আহমেদের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার পুলিশের এনকাউন্টারে উমেশ পালকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আতিক ঘনিষ্ঠ এক দুষ্কৃতী আরবাজের মৃত্যু হয়েছিল। ধুমানগঞ্জের নেহরু পার্ক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারের সময় আরবাজের বুকে গুলি লাগে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi AdityaNath)

    সমাজবাদী পার্টিকে তীব্র ভাষায় আক্রমনও শানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি বলেন “খুনে অভিযুক্ত ডনকে সমাজবাদী পার্টি সাংসদ বানিয়েছিল। দুষ্কৃতীদের মালা কারা পরিয়েছিল?” মাফিয়ারাজকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    Cattle Smuggling: তৃণমূলের পতাকাই কি গরু পাচারের পাসপোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে শাসক দলের প্রতীক থাকলে যেন সাত খুন মাফ। রাস্তায় পুলিশও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাবে না। রাজ্যে ঘাসফুল পতাকার মাহাত্ম্যই আলাদা। আর এই পতাকা ব্যবহার করেই দেদার অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে অনেকেই। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে, বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগ এবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। এই যেমন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে চারচাকা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাওয়ার (Cattle Smuggling) জন্যই তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। গাড়িতে করে একটি মাত্র গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পাচার না অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন, মাত্র একটি গরু চারচাকা গাড়ি করে নিয়ে যেতেও কী শাসক দলের প্রতীক ব্যবহার করতে হবে। পাচারকারীরা কী ধরেই নিয়েছে এই পতাকা থাকলে সাত খুন মাফ। এসব পাচার করতে রাস্তায় কোনও ঝক্কি পোহাতে হবে না। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Cattle Smuggling)

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে একটি দুধ সাদা গাড়ি সোদপুর ট্রাফিক মোড় ধরে যাচ্ছিল। গাড়ির পিছনের দিকে কালো কাচ তোলা ছিল। সামনের দিকে তৃণমূলের পতাকা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের নিচে রাখা ছিল। ফলে, বাইরে থেকে দেখলে মনে হতেই পারে একজন শাসক দলের কোনও হোমড়াচোমরা গাড়ির মধ্যে রয়েছেন। ফলে, গাড়ি আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই। এই ভেবেই চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু, গাড়ির চালচলন দেখেই সোদপুর ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করে রক্ষা হচ্ছে না দেখে অগত্যা চালক গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন। কিন্তু, জনবহুল বিটি রোডে বেশি দূর গাড়ি যেতে পারেনি। পুলিশের তাড়া খেয়ে রাস্তার ডিভাইডারে গিয়ে ধাক্কা মারে। পুলিশ গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ধরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে গাড়ির মধ্যে থাকা চালক এবং খালাসি বা পাচারকারি গাড়ি ফেলে রেখে পগার পার। আর গাড়ি খুলতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। চারচাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরু (Cattle Smuggling)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গরুটিকে পাচার করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, গাড়ি করে গরুটিকে কোথায় থেকে নিয়ে এসে কোথায় পাচার করা হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    এই নিয়ে কী বলছেন তৃণমূল নেতা। খড়দহ যুব তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, একটি গরু চার চাকা গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দলের পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। আসলে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এসব করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা চাই, ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন হোক।

    আর বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, গরু পাচার (Cattle Smuggling), বালি পাচার সব কিছুই তৃণমূলের মদতেই ঘটছে। পাচারকারীরাও নিজেদের শাসক দলের কর্মী ভাবছেন। আমরা বার বার অভিযোগ করে এসেছি। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    Panchayat Election: ফের বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ, পঞ্চায়েত ভোট কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে আবারও বাড়ল অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ। বুধবার এই মেয়াদ বাড়িয়ে করা হল ৯ মার্চ পর্যন্ত। যার অর্থ হল, ৯ মার্চ পর্যন্ত ভোট ঘোষণা করা যাবে না। আদালতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)…

    কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবির পাশাপাশি আসন পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণে অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তাই ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে হোক। অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর আর্জিও জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাছাড়া তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গণনার যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তাতে ত্রুটি রয়েছে। তাই নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগে প্রত্যেক বাড়ি গিয়ে সংরক্ষণের তালিকা খতিয়ে দেখা হোক। তার পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে শুভেন্দুর আনা প্রস্তাবের বিরোধিতা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Panchayat Election)। তারা আদালতকে বলে, এখনই যেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দুর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন না কোনও আইনজীবী। তার জেরে পিছিয়ে যায় শুনানি। পরে স্থগিতাদেশের কথা জানায় আদালত।

    প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল ৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) নিয়ে কোনও ঘোষণা করতে পারবে না। ৯ জানুয়ারি মামলার শুনানি হয়নি। ১৫ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে ফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারবে না কমিশন। তার পর এদিনও বাড়ানো হল অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশের মেয়াদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    Train Explosion: ২০১৭ ট্রেন বিস্ফোরণ মামলায় ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা এনআইএ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোপাল-উজ্জ্বয়িনী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে (Train Explosion) বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ৭ আইএস জঙ্গিকে ফাঁসির সাজা দিল এনআইএ-র বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার এই সাজা শুনিয়েছে আদালত। ওই বিস্ফোরণে ৯ জন যাত্রী গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ওই ঘটনার আরও এক অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, মহম্মদ ফয়জল, গউস মহম্মদ খান, মহম্মদ আজহার, আতিক মুজাফফর, মহম্মদ দানিস, মহম্মদ সইদ, মির হুসেন এবং আসিফ ইকবাল। মহম্মদ আতিফকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন বিচারক। 

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৭ মার্চ ভোপাল থেকে উজ্জ্বয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বিস্ফোরণ (Train Explosion) ঘটায় এই আট অভিযুক্ত। সেই বিস্ফোরণে জখম হন মোট দশজন। জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে ভোপালগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে নাশকতার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু পরিকল্পনা মতো কাজ হয়না। ভোপাল স্টেশনে নেমে উজ্জয়িনীগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির শেষ কামরায় বিস্ফোরক রেখে পালায় জঙ্গিরা।

    আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির ওপর হামলার আশঙ্কা! জেট প্লাস নিরাপত্তার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের 

    কী জানাল আদালত?

    এদিন এনআইএ আদালতে সাজা ঘোষণা (Train Explosion) করার পর বিচারক ভি এস ত্রিপাঠী বলেন, “এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এর জন্যই অভিযুক্তদের চরম সাজা পাওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার কথা সেদিনই জানিয়েছিল আদালত। সেইমতোই মঙ্গলবার অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তদের তরফে বলা হয়, ইতিমধ্যেই তারা পাঁচ বছর বন্দিদশা কাটিয়ে দিয়েছে। কাজেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তাদের সাজার মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হোক। সেই দাবিকে খারিজ করেই আদালত বলে, অভিযুক্তরা দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। কাজেই তাদের সাজার ক্ষেত্রে কোনও নরম মনোভাব দেখাবে না আদালত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    Recruitment Scam: লালগোলার চাকরিপ্রার্থীর সুইসাইড নোটে নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র! তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আরও একটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব বর্তাল সিবিআইয়ের (CBI) ওপর। রাজ্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার মুর্শিদাবাদের লালগোলার প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্তের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ, চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোট নিয়োগ দুর্নীতির সূত্র হতে পারে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, প্রয়োজনে সিবিআই এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করতে পারবে।

    নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী চাকরিপ্রার্থী আবদুর রহমানের কাছ থেকে একটি ৯ পাতার নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, আবদুর যে কেবল নিজেই প্রতারিত হয়েছেন, তা নয়, তিনি নিজেও জড়িয়ে পড়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে। পুলিশের চার্জশিটে তাঁর নামও রয়েছে। আবদুরের মৃত্যুর (Recruitment Scam) পর যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার করেছে পুলিশ, তাতে জনৈক দিবাকর কনুইয়ের নাম রয়েছে। এই দিবাকর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবদুরকে দেখা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে সুইসাইড নোটে রয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে তারাপীঠের একটি হোটেল থেকে দিবাকরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: “বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে…”, নবম-দশমের দুর্নীতি মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর, কিন্তু কেন?

    লালগোলা মৃত্যু মামলায় পুলিশ যে চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে প্রয়াত আবদুরের নামও রয়েছে। আদালতে পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে আবদুরের। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে হবে। কারণ লালগোলা থানা এখনও তদন্তে কোনও ত্রুটি করেনি। এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে। শুধু আত্মহত্যা নয়, কোর্ট নিয়োগ নিয়েও তদন্তের বিষয়ে তাঁরা চিন্তিত। তাই সিবিআইয়ের মতামত চায়। বিচারপতি তখনই প্রশ্ন তুলেছিলেন, সিবিআই কেন জেলে গিয়ে জেরা করছে না? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা ওড়ানো যাচ্ছে না।

    আবদুরের পরিবারের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। প্রাথমিকে (Recruitment Scam) চাকরির টোপ দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তার পরেও চাকরি হয়নি তাঁর। আবদুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট ও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। আদালত জানায়, আবদুরের আত্মহত্যার পর তাঁর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তার ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে এখনও কোনও ফাঁক নেই। কিন্তু যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির গোটা তদন্তটা সিবিআই করছে, তাই তদন্তভার দেওয়া হল তাদেরই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share