Blog

  • Aamlaki Ekadashi: আজ আমলকী একাদশী, জানেন এর মাহাত্ম্য? জেনে নিন ব্রতপালনের নিয়ম

    Aamlaki Ekadashi: আজ আমলকী একাদশী, জানেন এর মাহাত্ম্য? জেনে নিন ব্রতপালনের নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শাস্ত্রকাররা বলছেন একাদশীর অর্থ হল আমাদের ১০ ইন্দ্রিয় এবং এক মন নিয়ন্ত্রণ। হিন্দু শাস্ত্রমতে, একাদশীতে দুটি শব্দ আছে, এক এবং দশ । দশ ইন্দ্রিয় এবং মনের ক্রিয়াকলাপকে জাগতিক জিনিস থেকে ঈশ্বরে রূপান্তরিত করাই আসল একাদশী। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি আমলকী একাদশী (Aamlaki Ekadashi) নামে পরিচিত। এই দিনটিকে অনেকে রঙভরনী একাদশীও বলে থাকেন। আমলকী একাদশীতে আমলকী গাছের পুজো করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। ভগবান বিষ্ণুর পুজোও এদিন করা হয়। চলতি বছর আমলকী একাদশীর ব্রত পালন হবে ৩ মার্চ।

    কেন এই একাদশীর নাম আমলকী একাদশী (Aamlaki Ekadashi)

    আমলকী গাছের উত্‍পত্তি নিয়ে পুরাণে একটি কাহিনি প্রচলিত আছে। বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে আমলকী গাছের উৎপত্তি ভগবান বিষ্ণুর মুখ থেকে। বিশ্বাস মতে, তাঁর মুখ থেকে একবার চাঁদের সমান একটি বিন্দু প্রকট হয়ে পৃথিবীতে গিয়ে পড়ে। সেই বিন্দু থেকেই আমলকী গাছের উৎপত্তি হয়। বিষ্ণুর মুখ থেকে উৎপন্ন আমলকী গাছকে তাই সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, আমলকী ফল ভগবান বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এই ফলের প্রচুর উপকারিতা আছে। ভক্তদের আরও বিশ্বাস, আমলকী খেলে তিন গুণ শুভ ফল লাভ করা যেতে পারে। অনেকে মনে করে আমলকী একাদশী তিথি এই গাছে অবস্থান করেন স্বয়ং লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির দেবীর লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়ার জন্যও এদিন আমলকী গাছের পুজো করার রীতি প্রচলিত আছে। দেশের অনেক জায়গায় আমলকী একাদশী থেকেই দোল উৎসবের সূচনা হয়। আবার অন্য একটি পৌরাণিক গল্প অনুসারে, ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মার জন্ম হয়েছিল। পরমব্রহ্মকে জানার জন্য তখন তপস্যা শুরু করেছিলেন ব্রহ্মা। সেই তপস্যায় খুশি হয়ে বিষ্ণু আর্বিভূত হন। চোখের সামনে নারায়ণকে দেখে ব্রহ্মা তাঁর চোখের জল সামলে রাখতে পারেননি। নারায়ণের পায়ে তাঁর চোখের জল পড়েছিল। আর সেখান থেকেই তৈরি হয় এই গোল সবুজ ফল। নারায়ণ তখন বলেছিলেন, ‘আজ থেকে এই ফল আর এই গাছ আমার খুব প্রিয় হবে। এই দিনে ভক্তিভরে আমলকী গাছকে পুজোর মধ্যে দিয়েই আমার আরাধনা করা হবে। আমলকী একাদশীতে পুজো করলে সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে এবং জীবনে আসবে শুভ যোগ’।

    আমলকী একাদশীর (Aamlaki Ekadashi) ব্রত কথা

    কথিত আছে প্রাচীনকালে চিত্রসেন নামে এক রাজার রাজত্ব ছিল। তাঁর রাজ্যে একাদশী ব্রত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করা হত। তাঁর রাজ্যের সমস্ত প্রজা একাদশী ব্রত পালন করতেন। অন্যদিকে রাজার মনে আমলকী একাদশীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ছিল। একদিন শিকার করতে গিয়ে জঙ্গলে অনেক দূর এগিয়ে যান রাজা। সেখানে এক দল ডাকাতের কবলে পড়েন তিনি। অস্ত্র হাতে রাজাকে আক্রমণ করে ডাকাতরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে রাজার ওপর যে অস্ত্রই প্রয়োগ করা হোক না কেন, সে সবই ফুলে পরিণত হয়ে যায়।

    বিপুল সংখ্যক ডাকাতদের মোকাবিলা করতে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রাজা। সে সময় রাজার শরীর থেকে একটি দৈব শক্তি প্রকট হয় ও ডাকাতদের বিনাশ করে পুনরায় অদৃশ্য হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে রাজা দেখেন সমস্ত ডাকাত মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। হতবাক হয়ে যান রাজা চিত্রসেন। তখন আকাশবাণী হয়, ‘হে রাজা! এই সমস্ত রাক্ষস তোমার আমলকী একাদশীর ব্রতর প্রভাবে মারা গিয়েছে। তোমার শরীর থেকে উৎপন্ন আমলকী একাদশীর বৈষ্ণবী শক্তি এদের সংহার করেছে। এদের বধ করে সেই শক্তি পুনরায় তোমার শরীরে প্রবেশ করেছে। এই কথা শুনে রাজা প্রসন্ন হন এবং নিজের রাজ্যে ফিরে গিয়ে একাদশীর মাহাত্ম্য প্রচার করেন।’

    কীভাবে আমলকী একাদশীর (Aamlaki Ekadashi) ব্রতপালন করবেন

    পণ্ডিতরা বলছেন, এদিন খুব সকালে অর্থাৎ ব্রাহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে বিষ্ণুর পুজো করুন। এরপর বাড়ির পাশে যেখানে আমলকী গাছ রয়েছে সেখানেও বিষ্ণুর একটি ছবি বসিয়ে পুজো করতে হবে। আমলকী গাছের তলায় হলুদ কাপড় বিছিয়ে নারায়ণের ছবি রাখুন। এবার ধূপ, ফুল, চন্দন আর নৈবেদ্য সাজিয়ে পুজো করুন। পুজো শেষ হলে গাছতলায় ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে আসুন। তবে প্রসাদে একটি গোটা আমলকী যেন অবশ্যই থাকে। এদিন নিরামিষ আহারের রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। এরপরেই নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করে সরকার পরিবার। সোমবার এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছে। সেই মামলাতেই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।

    কী জানা গিয়েছে?

    অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের দাবি, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী (Rajasekhar Mantha)। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করলে ওই বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিজিতের মা। এমনকী তাঁকে এনআরএস হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

    বিশ্বজিৎ বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।” এরপরেই আরও কড়া নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার পরিবার।

    আরও পড়ুন: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের   
     
    সোমবারই বিজেপি কর্মী খুন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মায়ের (Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের (Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আসে। ওই সময়ই ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইয়ের খুনিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এতদিন লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jammu and Kashmir: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কোনটি? চমকপ্রদ তথ্য উঠল সমীক্ষায়

    Jammu and Kashmir: এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র কোনটি? চমকপ্রদ তথ্য উঠল সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একসময় ছিল তা সন্ত্রাসের বধ্যভূমি তবে এখন জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। হ্যাঁ কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir Tourism) কথাই বলা হচ্ছে। ৯০ এর দশক থেকেই সেখানে পাকিস্তানের মদতে মাথাচাড়া দিতে থাকে সন্ত্রাস। দলে দলে ভিটেমাটি ছাড়া হতে থাকেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। অবস্থার বদল হতে থাকে দ্বিতীয়বার মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭০ ধারার বিলোপ করে মোদি সরকার। তারপর থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। আর ফিরে তাকাতে হয়নি! তিন বছরের মধ্যে দেশের সবথেকে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের তকমা পেয়েছে এই রাজ্য। শ্যুটিং চলছে ২০০টিরও বেশি ছবির।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    কী বলছে সমীক্ষা

    ইন্ডিয়া টুডের একটি সমীক্ষায় পর্যটকদের তালিকায় প্রথম পছন্দ হিসেবে উঠে এসেছে এই রাজ্য। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল ট্রেড এক্সপো নামের একটি ট্যুর সংস্থা কাশ্মীরকে পুরস্কৃত করেছে সবথেকে ভাল পর্যটন শিল্পের জন্য।পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে ১.৮৮ কোটি পর্যটক সারা বিশ্ব থেকে কাশ্মীর ভ্রমণে গেছেন বলে জানা গেছে। এটা একটা রেকর্ড। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের বেশ কিছু অঞ্চলে গত ৩০ বছর ধরে প্রবেশ নিষেধ ছিল। সেসমস্ত এলাকাগুলিতে এখন পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
    কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাশ্মীর ভ্রমণকে কটাক্ষ করে বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও এখন কাশ্মীরকে উপভোগ করছে। সূত্র মারফত জানা গেছে মোট ৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ২০১৯ সালের পর থেকে।  হোটেলগুলি কখনও ফাঁকা থাকছেনা। বিভিন্নজন বাড়ি ভাড়া দিয়েও আয় করছেন। সবমিলিয়ে নতুন কাশ্মীর নজরে পড়ছে।

    আরও পড়ুন: জেলের মধ্যেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! মৃত্যু হল মুসেওয়ালা খুনে ধৃত ২ দুষ্কৃতীর, আহত ১

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া জনসংযোগ অভিযানে (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনা হবে। এই নয়া কর্মসূচির নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’।  

    আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে শুরু হবে এই অভিযান। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠোন বৈঠক করবেন। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন। 

    সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা (BJP Gram Sampark Abhiyaan) গ্রামের মানুষের সুখদুঃখের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানতে চাইবেন।”

     

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির (BJP Gram Sampark Abhiyaan) মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন হবে।”  এই অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সেখানে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। 

    কেন এই কর্মসূচি?

    এই কর্মসূচি কেন নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত (BJP Gram Sampark Abhiyaan) উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপির নিশানায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    Delhi Liquor Scam: দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি কী? বিতর্কের মূল কারণ কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আবগারি দফতরের দায়িত্বে। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। এর পর গত ২ মে দিল্লির আবগারি নীতি সংশোধন করে নয়া নীতি মন্ত্রিসভায় প্রস্তাবিত হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ৩০ জুলাই নতুন মদ নীতি সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ১ অগাস্ট থেকে শুধুমাত্র সরকারি মালিকানাধীন মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি করা যাবে।

    কী নিয়ে বিতর্ক?

    আবগারি নয়া নীতিতে মদের হোম ডেলিভারি, ভোর তিনটে পর্যন্ত মদের দোকান খোলা রাখা, লাইসেন্সধারী মদ বিক্রেতাদের সীমাহীন ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৩০ জুলাই ২০২২ সালে তা বাতিল করা হয়। আপ সরকারের দাবি ছিল এই নতুন আবগারি নীতির ফলে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে। কিন্তু এই নীতি কার্যকর করতেই আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।

    আরও পড়ুন: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    নতুন মদ নীতিতে অনিয়মের কারণেই দিল্লি সরকারের আবগারি বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্ত নামে সিবিআই। ফলে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। এর পর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারে প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত মামলারই তদন্ত করছে সিবিআই। এর পাশাপাশি তিনি দিল্লির মুখ্য সচিবকে নতুন মদ নীতির ‘অবৈধ প্রণয়ন, সংশোধনী এবং বাস্তবায়নে অফিসার এবং সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা’ নিয়ে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর এই মামলায় তদন্তে নেমেই গতকাল গ্রেফতার করা হল আবগারি দফতরের দায়িত্বে থাকা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে।

  • Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    Manish Sisodia: আরও অস্বস্তিতে আপ, এক বছরের মধ্যেই গ্রেফতার কেজরিওয়াল ‘ঘনিষ্ঠ’ দুই মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গ্রেফতার দিল্লির আপ মন্ত্রী (Manish Sisodia)। মাত্র ৯ মাসের ব্যবধান। এর আগে গত মে মাসে হাওয়ালার মাধ্যমে বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। আর এবারে ২৬ ফেব্রুয়ারি অন্য এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই গ্রেফতার করল দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আবগারি নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    দিল্লির মন্ত্রীর গ্রেফতারে বিপাকে আপ শিবির

    সত্যেন্দ্রর গ্রেফতারির পর এবারে দলের প্রধান কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিসোদিয়ার গ্রেফতারিতে ফের ‘অস্বস্তি’তে আপ শিবির। গত বছরের ৩০ মে এক বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল ইডি। মানি লন্ডারিং কেসে দিল্লি সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তদন্তে উঠে এসেছিল যে, ২০১৫-১৬ সালে কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে যুক্ত ছিলেন তিনি। ৪.৮১ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছিল। মনে করা হচ্ছে যে এই টাকা সরাসরি জমি কেনার জন্য বা দিল্লি এবং তার আশেপাশে কৃষি জমি কেনার জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। সত্যেন্দ্র কেজরিওয়ালের খুব ‘ঘনিষ্ঠ’ নেতা বলে পরিচিত। আর সেই কারণেই কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভাতেও বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারিতে বড় ধাক্কা খেয়েছিল আম আদমি পার্টি।

    আরও পড়ুন: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    এবার সেই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের গ্রেফতার আরও এক আপ মন্ত্রী, যিনি দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীও। মণীশ সিসোদিয়াও ঘনিষ্ঠ নেতা কেজরিওয়ালের। আবগারি নীতি মামলায় গত বছরেই সিসোদিয়ার বাড়ি-সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছিল। এর পর তাঁর ব্যাঙ্ক লকারও খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। গত অগাস্টেই সিসোদিয়া এবং আরও ১৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। এর পর একাধিকবার তাঁকে তলব করে জেরা করার পর গতকাল অবেশেষে গ্রেফতার করে সিবিআই।

  • Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন কড়া বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor of West Bengal)

    রাজভবন থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী রাজ্যপাল বলছেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায়। ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান হল এই বাংলার মাটি। সেখানে এধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
    রাজ্যপাল আরও বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে দাবি আসছে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার জন্য। রাজ্য সরকারকে এদিন গণতন্ত্রের পাঠও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অংশ হল বিক্ষোভ এবং আন্দোলন, কিন্তু হিংসা এবং সন্ত্রাসের অনুপ্রবেশ কখনই কাম্য নয়। সমাজবিরোধীরা যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তাদের কড়া হাতে দমন করার কথাও রাজ্য সরকারকে মনে করিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মত, পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসাররা কোনও  নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে এবং ভয়ের কাছে নত হয়ে কাজ করবেন না এটাই বাংলার মানুষ চায় সবসময়। পুলিশকে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনও রকমের শিথিলতাকে যেন প্রশয় না দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে এভাবে গুণ্ডারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বলেও তিনি একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। বিভিন্ন মহলের ধারনা শাসক দলের গুণ্ডাদের হাতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ চলে গিয়েছে এবং পুলিশ নিধিরাম সর্দার, এটাই এদিন বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথাও তিনি বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যপাল যে চোখ কান বন্ধ করে থাকবেনা এবং রাজ্যের যেকোনও প্রান্তে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে যে তিনি  হস্তক্ষেপ করবেন সেটাও এদিন রাজ্য সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকার যেন অবিলম্বে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়, এই আবেদনও রেখেছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

       

  • Manish Sisodia:  আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    Manish Sisodia: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ আশঙ্কাই সত্যি হল। গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। রবিবার বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে। সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরও হয়ে যান দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। শুরু হয় জেরা। শেষমেশ এদিন সন্ধের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

    আবগারি নীতি মামলা…

    আবগারি নীতি মামলায় (Liquor Policy Case) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছিল সিসোদিয়াকে (Manish Sisodia)। সেই মতো এদিন সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। তখনই বুঝে যান এদিনই গ্রেফতার হতে পারেন তিনি। সেই কারণে সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৭-৮ মাসের জন্য জেলে যাচ্ছি।

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হন সিসোদিয়া। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো করেন। পরে যান সিবিআই দফতরে। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী (Manish Sisodia) বলেন, আমি ৭-৮ মাস জেলে থাকব। আমার জন্য দুঃখ করবেন না, গর্বিত হবেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই তিনি আমাকে একটি ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই করা উচিত। আমার স্ত্রী প্রথম দিন থেকে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তিনি এখন অসুস্থ এবং বাড়িতে একা। তাঁর যত্ন নেবেন। আর আমি দিল্লির ছেলেমেয়েদের বলতে চাই, কষ্ট করে পড়াশোনা কর। বাবা-মায়ের কথা শোনো।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ত্রিবেণীর কুম্ভস্নানের প্রসঙ্গ! কী বললেন মোদি

    শনিবার একটি সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সিবিআই। আমাদের সূত্র বলছে, রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এটা খুবই দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই দুর্নীতির প্রমাণ নষ্ট করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। সিসোদিয়া ও অন্যান্য সন্দেহজনকরা বারবার তাঁদের ফোন বদলেছেন। প্রায় ১.৩৮ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণাকে ধামাচাপা দিতেই এসব করা হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাদের এও দাবি, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত গত বছরের মে থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত ১৭০টি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন বা নষ্ট করে ফেলেছেন। এর মধ্যে থেকে ১৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলেও, সেখানে তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ তদন্তকারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mysterious Death: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    Mysterious Death: রিজেন্ট পার্কে একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য (Mysterious Death)। রবিবার সকালের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক (Regent Park) এলাকায়। মৃতদের নাম বিজয় চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী রাণু চট্টোপাধ্যায় ও তাঁদের মেয়ে ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়। মৃ্ত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    রহস্য মৃত্যু…

    রিজেন্ট পার্কের ১৯৬/১ মহাবিষ্ণু অ্যাপার্টমেন্টের ফার্স্ট ফ্লোরে থাকতেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। পরিবারের কর্তা বিজয়। তিনি ব্যবসা করতেন। চট্টোপাধ্যায় দম্পতির মেয়ে ঐন্দ্রিলা আইনের ছাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও  স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়ায় আসেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার। তবে এলাকার কারও সঙ্গে তাঁরা বিশেষ মেলামেশা করতেন না। এই ছ মাসে কোনও আত্মীয়-স্বজনকেও তাঁদের বাড়িতে আসতে দেখা যায়নি। দিন চারেক ধরে ওই পরিবারের কাউকে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। ফ্ল্যাট থেকে পচা গন্ধও বের হতে থাকে। এতেই সন্দেহ গাঢ় হয় প্রতিবেশীদের। খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

    আরও পড়ুুন: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    এদিন সকালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ (Mysterious Death)। মৃতদেহ তিনটির পাশ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আর্থিক অনটনের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। বিজয়ের এক প্রতিবেশী বলেন, ওঁরা স্বামী-স্ত্রী প্রায়ই ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কথা হয়নি কখনও। বাড়িতে ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে বলেও শুনিনি। ফ্ল্যাটের আর পাঁচটা পরিবারের মতোই শান্তির জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, অবশ্য এই ছ মাসে কখনও কোনও আত্মীয়কে ওঁদের বাড়িতে আসতে দেখিনি। কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশাও করতেন না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসা ঠিকঠাক না চলায় আর্থিক সংকটে পড়েছিল ওই পরিবার। তাই আত্মহত্যার (Mysterious Death) সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনজনে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ! এর আগেই জানা গিয়েছিল, খাবারের জন্য রাস্তায় মারামারি করছে মানুষ। গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও পড়েছে এর প্রভাব। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দার উত্তাপ এখন তার ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়’ পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রয়োজনীয় ওষুধ বা অপরিহার্য ওষুধের উপাদান (এপিআই) আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও হচ্ছে না এবং অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকি রয়েছে।

    চরম সংকটে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান

    চরম দুরাবস্থা পড়শি দেশ পাকিস্তানে। কোষাগারে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারে টান। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এর মাঝেই পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই জীবনদায়ী ওষুধ। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে, আমদানি করা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যার ফলে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমনকি অলিখিত ভাবে চিকিৎসকদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বলা হচ্ছে বেশি অপারেশন না করতে। রোগী কম দেখতে।

    মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ মজুত রয়েছে

    পাক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের জন্য চেতনানাশক ওষুধ অ্যানেসথেসিয়া মজুত রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মত রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ। ওষুধের ঘাটতি এবং সেগুলো তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধের পণ্য কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।

    ছাঁটাই শুরু চিকিৎসাক্ষেত্রে

    মনে করা হচ্ছে, ওষুধের ঘাটতি শুধু রোগীদের নয়, বহু মানুষের কর্মসংস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। কর্মহীন হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে এটি মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

    ঋণ দিচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলো

    ওষুধ উৎপাদনকারীরা এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চিনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

    পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওষুধের সংকট নিয়ে একটি সার্ভে চালিয়েছে সরকার। তারা জানিয়েছেন, বাজারে এখন খুব সাধারণ কিন্তু অতি জরুরি প্যানাডোল, ইনসুলিন, ব্রুফেন, ডিসপ্রিন, ক্যালপল, তাগরাল, নিমেসুলেদে, হেপামারজ, বুসকোপান এবং রিভোট্রিলের মত ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

    গত মাসেই (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।

LinkedIn
Share