Blog

  • Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৫৮ লক্ষ ভোটার বাড়ল। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১১.৫১ শতাংশ। নবান্ন সূত্রে খবর মার্চ মাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সমন্বয় করে বিভিন্ন নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করেছে জেলায় জেলায়।

    ভোটার সংখ্যা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও তার আগে ভোটার সংখ্যা নিয়ে তথ্য জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গতবার সংখ্যাটি ছিল ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ২জন। এবারে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১১৯জন। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বছর রাজ্যে ৬৩ হাজার ২২৯টি আসনে পঞ্চায়েত ভোট হবে। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩০। জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা ৯২৮। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর পর রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা পর্ব মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।

    ব্যালট বক্সে কিউআর কোড

    কমিশন সূত্রে খবর, ব্যালট বক্সে এবার আলাদা আলাদা কিউআর কোড রাখছে নির্বাচন কমিশন। জেলা ধরে, ব্লক ওয়াড়ি ট্র্যাকিং সিস্টেমকে আরও দৃঢ় করতেই এই কোড ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন দফতরে ব্যালট বাক্সে সেই কিউ আর কোড লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের সময় কোন বুথে কোন ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে, সেই গতিবিধি জানতেই এই ব্যবস্থা। এতে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    তিন দফায় ভোট!

    নির্বাচনের একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে। সেই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। তবে নবান্ন ও কমিশন কর্তাদের আশা, উচ্চমাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগেই ওই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। বিজ্ঞপ্তি জারির অন্তত ২৪ দিন পর পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। সেই অনুযায়ী, এপ্রিলের একেবারে শেষে বা মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। কমিশন ৩ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চাইছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য একটি দফা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ২টি দফায় ভোট করাতে চাইছে কমিশন। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার চাইছে এক দফায় ভোট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ স্কুল প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শুধু তাই নয়, সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরা হকরন গোকর্ণে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বদলির আবেদন জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা তাতে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে হামিদা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ২০২২ সালের ১ অগাস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অবিলম্বে বদলির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতেও প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ফলে হামিদা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর পর এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গতবছরের অগাস্ট মাস থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি? এত দেরি কেন?’

    এর উত্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথিপত্র পেয়েছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে বদলির আবেদন করলে, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে তার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে। দরকার পড়লে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। তারপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিআই অফিস বদলির নির্দেশ জারি করে। ডিআই জানান, সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

    এর পরেই বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমন অবস্থায়, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকী সাত দিনের মধ্যেই ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। এর অন্যথা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদাকে প্রদান করবে।

  • TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় খোদ পরীক্ষকদেরই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থীরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, পদ্ধতি মেনে করা হয়নি। আর এই অভিযোগই এবারে মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। হাইকোর্টে রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় তাঁরা স্বীকার করে নিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট)-র অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। সেই মর্মে নথিতেও সই করেছেন তাঁরা। সেই নথি প্রকাশ করলেন মামলাকারী প্রার্থীদের আইনজীবী।

    বয়ানে কী কী জানিয়েছেন ইন্টারভিউয়াররা?

    অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে গত বুধবার রুদ্ধদ্বার শুনানি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। আর এই বয়ানে নিজেরাই সই করেছেন ও সেই নথি প্রকাশ্যে এনেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই নথিতে দেখা গিয়েছে, এক পরীক্ষককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কে তাঁকে ইন্টারভিউ নিতে বলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারভিউয়ার জানান, কাউন্সিল অফিসের একজন তাঁর স্কুলে এসেছিলেন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁকে বলা হয়েছিল ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ওই টেস্ট নেওয়ার জন্য।

    অন্য একজন বলেন, বোর্ডের তরফ থেকেও আলাদা করে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য বলা হয়নি। ফলে তাঁরা এই টেস্টে কত নম্বর রয়েছে, তাও জানতেন না। তাঁদের শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিতে বলা হয়েছিল। এক ইন্টারভিউয়ার জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। ফলে সে দিন বিচারপতিকে ঠিক কী জানিয়েছিলেন ইন্টারভিউয়াররা, সেই বয়ানের নথিই এবারে সামনে এল।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী জানিয়েছেন?

    মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনরকম অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ২০১৪ থেকে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ তে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নন-ট্রেনড প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল তাঁদের অ্যাকাডেমিকস, টেট স্কোর, ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এর ভিত্তিতে। প্রায় পঁচিশ হাজার জন চাকরি পেয়েছিলেন, যাদের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৪ বা তার নিচে কিন্তু তাঁদের ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে ৭ থেকে ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আবার ৫২১৬ জনের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৩-এর থেকেও কম, তাঁরা আবার অ্যাপ্টিটিউডে বিশাল নম্বর পেয়েছেন। পুরো রাজ্যে ৮২৪ জন আছেন যাঁদের সব মিলিয়ে স্কোর ১৩ থেকেও কম।

    ফলে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রশ্ন, “যেই পরীক্ষাটা হয়নি সেই পরীক্ষায় কেউ তিন থেকে পাঁচ কিভাবে পায়? সবার তো একই নম্বর পাওয়ার কথা ছিল যখন পরীক্ষা হয়নি। কোন অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই নম্বর দেওয়া হয়েছিল?” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনরকম রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি এই প্রক্রিয়াতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আনতেই কিছু ইন্টারভিউয়ারের বয়ান সামনে এনেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “সবে মাত্র একটা দিকের কথা বললাম বাকি দিকগুলো আস্তে আস্তে জানাবো।”

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0m3Cm7Jduzt6tgcYZEAfq3h33Tdx9SvMsH9xRxUTUuPnF5LLxUmSVRMK7ZCcuMe1Fl&id=100052069800604&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f[/fb]

  • Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Scam) কারণেই কমেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। অন্তত এমনই দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার হুগলিতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বলেন, অভিভাবকরা ভয় পেয়েছেন। রাজ্য সরকারি স্কুল ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওপর তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। সেই কারণেই ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বোর্ড এবং বেসরকারি স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সবই রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতির ফল।

    পর্ষদের ব্যাখ্যা…

    বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮ জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে পর্ষদের ব্যাখ্যা, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে হয়তো পড়ুয়াদের একাংশ পরীক্ষায় বসছে না। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল, সেই গ্যাপের কারণেই এটি হতে পারে বলে ব্যাখ্যা ছিল পর্ষদের। পর্ষদের এও ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালের অ্যাডমিশন রুলসে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই বছর তিনটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালের ভর্তির জন্য। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ফ্লেক্সিবিলিটির জায়গাটি বাদ গিয়েছিল। যার ফলে একটি বড় সংখ্যক পড়ুয়া অ্যাডমিশন নিতে পারেনি। সেটিও একটি কারণ হতে পারে। কারণ ২০১৭ সালে যারা ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছিল, তারাই এবার দিচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পর্ষদ কোভিডের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চাইছে। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর একটি বড় হাত হল অজুহাত। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু করোনার পর কমেনি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিক্ষা দুর্নীতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, গত ১১-১২ বছরে সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি স্কুলগুলির ব্যবসা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বেসরকারি স্কুলের মালিকরা আরও বেশি করে মুনাফা লুঠতে পারেন। এটি একটি বিরাট চক্রান্ত, বলছেন সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

        

     

  • ISSF World Cup: শ্যুটিং বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বাঙালি কন্যা তিলোত্তমার, সোনা জয় ঐশ্বরীর, পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    ISSF World Cup: শ্যুটিং বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বাঙালি কন্যা তিলোত্তমার, সোনা জয় ঐশ্বরীর, পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাঙালি ক্রীড়াবিদের জয়জয়কার বিদেশের মাটিতে। কায়রোতে চলছে আইএসএসএফ শ্যুটিং বিশ্বকাপ। আর সেই বিশ্বকাপে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে ভারতকে ব্রোঞ্জ এনে দিল ১৪ বছরের তিলোত্তমা সেন। জানা গিয়েছে, কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রুমিতা এবং নর্মদা নামে আরও দুই ভারতীয় শ্যুটার ছিল। কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করেন তিলোত্তমা এবং রমিতা। আর এই দুজনের মধ্যে তিলোত্তমা শেষ পর্যন্ত ২৬২ পয়েন্ট পেয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নিয়েছে। অন্যদিকে আইএসএসএফ বিশ্বকাপে পদক পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা চারটি স্বর্ণ পদক ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছে দেশকে।

    বিশ্ব মঞ্চে বাঙালির জয়গান!

    ইজিপ্টের রাজধানী কায়রোতে বসেছে এই শ্যুটিং বিশ্বকাপের আসর। সেখানেই তার পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে সকলের নজর কাড়লেন এই তরুণী শ্যুটার। সূত্রের খবর, তিলোত্তমা বাঙালি হলেও সে বাংলায় থাকে না, থাকে বেঙ্গালুরুতে। তবে বাংলায় না থাকলেও তিলোত্তমা সেনের এই জয় কার্যত বাঙালিকে যে গর্বিত করে তুলেছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

    ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের সিওনেড ম্যাকিনটস। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছেন সুইজারল্যান্ডের নিনা ক্রিস্টেন। তিলোত্তমা ছাড়াও এই ইভেন্টে লড়াই করেছেন আরও দুই ভারতীয়। লড়াই করেছেন নর্মদা রাজু এবং রমিতা জিন্দাল। নর্মদা চলতি বিশ্বকাপে সপ্তম স্থানে ও রমিতা শেষ করেছেন চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে রমিতার থেকে সামান্য একটু বেশি স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন তিলোত্তমা‌। তিনি স্কোর করেছেন ২৬২ পয়েন্ট।

    সোনা জিতলেন ভারতীয় শ্যুটার ঐশ্বরী প্রতাপ সিং তোমার

    শ্যুটিং বিশ্বকাপে পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে সোনার পদক জিতে নিলেন ভারতের ঐশ্বরী প্রতাপ সিংহ তোমার। শ্যুটিং বিশ্বকাপ থেকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পদক জিতলেন ঐশ্বরী। ২০২১ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই ইভেন্ট থেকেই সোনা জিতেছিলেন ঐশ্বরী। সোনা জয়ের ম্যাচে তিনি হারিয়ে দেন আলেকজান্ডার স্কিমরিলকে। খেলার ফল ঐশ্বরীর পক্ষে ১৬-৬।

    আইএসএসএফ বিশ্বকাপে পদক জয়ের শীর্ষে ভারত

    মিশরের কায়রোতে ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন বিশ্বকাপে ভারত চারটি সোনা এবং তিনটি ব্রোঞ্জ নিয়ে মেডেল টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ঐশ্বরী প্রতাপ সিং তোমার পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে, রুদ্রাঙ্কশ বালাশেব পাটিল দুটি স্বর্ণ পদক, বরুণ তোমার এবং রিদিম সাংওয়ান জুটিতে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল জিতে চতুর্থ স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। আবার অনীশ ভানওয়ালা ২৫ মিটার দ্রুত ফায়ার পিস্তলে, বরুণ তোমার পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ও তিলোত্তমা সেন মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছেন।

    অন্যদিকে, মাত্র দুটি সোনা ও একটি রূপা পেয়ে হাঙ্গেরি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে। একটি সোনা ও একটি রূপা নিয়ে তৃতীয় হয়েছে ইতালি। পরবর্তী আইএসএসএফ বিশ্বকাপ ভারতের ভোপালে হতে চলেছে, যা ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত হবে।

  • Venus: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    Venus: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে নতুনভাবে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে শুক্রগ্রহ (Venus)। রাতের আকাশে আমরা যাকে শুকতারা বলে চিনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুক্রগ্রহ (Venus) ক্রমশই কাছে আসছে পৃথিবী এবং চাঁদের। এই গ্রহের আরও বেশি রহস্য আগামীতে উন্মোচন হতে চলেছে বলেই ধারণা গবেষকদের। পৃথিবীর মতোই পাথুরে এই গ্রহ। অনেকে তাই একে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলেন। শুক্রগ্রহের (Venus) পৃষ্ঠের অনেককিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে বলছেন গবেষকরা। ১৯৯০ সাল থেকই ভালোভাবে চলছে শুক্রগ্রহের (Venus) উপর গবেষণার কাজ। ম্যাগেলান মহাকাশযানের মাধ্যমে তখন থেকেই জানার চেষ্টা চলছে এই গ্রহের তাপ প্রবাহ ঠিক কেমন! জীবের বেড়ে ওঠার পক্ষে তা অনুকূল কিনা! পৃথিবী এবং শুক্রগ্রহ অনেকটাই একরকমের। গবেষকার তাই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন যে পৃথিবী যে পদ্ধতিতে তাপ বিকিরণ করে শুক্রগ্রহের তাপ বিকিরণের পদ্ধতিটা ঠিক কেমন!

    কী বলছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা

    জনৈক মহাকাশ বিজ্ঞানীর কথায়, এতদিন অবধি আমাদের ধারণা ছিল শুক্রের (Venus) লিথোস্ফিয়ার খুব পুরু। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমাদের আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে পৃথিবীর এই যমজ গ্রহ সম্পর্কে। কারণ যত বেশি এই গ্রহের রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ততই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে।

    পৃথিবীর কেন্দ্র অত্যন্ত উত্তপ্ত। এই তাপ লিথোস্ফিয়ার পর্যন্ত আসে এবং তারপর বিকিরিত হয়। শুক্রগ্রহের (Venus) ক্ষেত্রে তাপের বিকিরণ কীভাবে হয় সেটাই এখন জানা চেষ্টা করছেন গবেষকরা।

    গবেষকরা বলছেন, শুক্রগ্রহ (Venus) আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছে যে ঠিক ২৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী ঠিক কেমন ছিল। 

    প্রসঙ্গত বিশ্বের অনেক দেশই এখন কৌতুহলী হয়ে উঠেছে পৃথিবীর এই যমজ গ্রহের হালচাল জানতে। পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুক্র গ্রহের রহস্য উন্মোচন করতে নেওয়া হবে বেশ কতকগুলি মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি (ED)। বিভব  কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহচর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিভবকে দিল্লির আবগারি নীতি ও তৎপরবর্তীকালে ঘুষ নিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগেই জেরা করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলায়ই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল ইডি।

    ইডির দাবি…

    ইডির দাবি, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। প্রমাণ লোপাট করতে ইতিমধ্যেই নষ্ট করা হয়েছে ১৭০টি ফোন। কিছু দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, লাইসেন্সের (Delhi Liquor Policy) বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের অর্থের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা চলছে। ওই কাজে অন্তত ৩৬ জন যুক্ত বলেও অভিযোগ ইডির। এই ৩৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন মনীশ এবং বিভব। সেই সূত্রেই এদিন জেরা করা হয় বিভবকে।

    আবগারি নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত লেনদেন ও বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করতেন। ওই তালিকায় দিল্লির আবগারি মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও কেজরিওয়ালের পিএ বিভব কুমারের নামও রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও। সেই কাজে তাঁর ফ্রন্টম্যান ছিলেন বিভব। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আবগারি নীতির খসড়ার কপি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে এনে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিভবই। বিজেপির দাবি, এই কাণ্ডে আসল চক্রী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এদিন তাঁরই আপ্ত সহায়ককে জেরা করা হল।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সরকার জানিয়েছিল, নয়া আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি কমবে, শায়েস্তা হবে মদ মাফিয়ারা। এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতিতে দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Methi: হার্ট ভাল রাখা থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ! জানেন আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে মেথির?

    Methi: হার্ট ভাল রাখা থেকে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ! জানেন আর কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে মেথির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেথি (Methi) একধরনের  ভেষজ উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে মেথি কেবলমাত্র এশিয়া মহাদেশেই পাওয়া যেত কিন্তু এখন ভারত, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ফ্রান্স, স্পেন এবং আর্জেন্টিনা সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পাওয়া যায়।

    এই ভেষজ প্রাচীনকালে পৃথিবীতে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত। প্রায় ৪ হাজার খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে মেথির ব্যবহারের বিষয়ে জানা যায়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।  এর বীজ খুবই পুষ্টিকর এবং যা প্রায়শই রান্নায় ব্যবহৃত হয়।

    মেথির (Methi) ৮টি স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে জানব

    ১. মেথি (Methi)  আপনার হার্টকে ভাল রাখে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেথির (Methi) আয়রন উপাদান হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। পুষ্টিবিদদের মতে, বেশিরভাগ লোকেরা যখন আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের কথা ভাবেন তখন মাংসের কথা ভাবেন, তবে এটি মেথির (Methi) মতো গাছপালা এবং বীজেও রয়েছে ভরপুর আয়রন।

    ২. মেথি (Methi) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে 

    স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে মেথি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল কমাতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের রোগের জন্য দুটি সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ।

    ৩. এটি প্রদাহ কমাতে পারে

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেথিতে (Methi) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দীর্ঘস্থায়ীভাবে প্রদাহ কমাতে সক্ষম।

    ৪. রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখে মেথি (Methi)

    গবেষকরা বলছেন, মেথি (Methi) প্রায়শই রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন এককাপ গরমজলে ১০ গ্রাম মেথি মিশ্রিত করে খাওয়া উচিত, বলছেন স্বাস্থ্যবিদরা।

     

    ৫. মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মেথি (Methi) অত্যন্ত ভাল

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন মেথি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

    ৬. অন্ত্রের স্বাস্থ্যের  জন্যও ভাল মেথি 

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার, সবই মেথিতে পাওয়া যায়। ম্যাগনেসিয়াম হজমে সাহায্য করে। আয়রন পেটে অ্যাসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখে। অর্থাৎ অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য মেথি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    ৭. সদ্য মায়েদের বুকের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে মেথি

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন তাঁদের বুকের দুধের বৃদ্ধি হতে পারে নিয়মিত মেথি (Methi) সেবনে।

    ৮. নিয়মিত মেথি (Methi) খাওয়া চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল

    গবেষণায় দেখা গেছে, মেথির নির্যাস খাওয়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।

     

    DISCLAIMER: এই লেখাটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। গুরু কে, আপনারা জানেন? বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করে সিবিআই। তখনই বিচারক রামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ টানেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কেউ এজেন্ট, কেউ আবার মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিয়োগ। কিন্তু শেষমেশ টাকাটা কার হাতে যেত, চাকরিই বা দিতেন কে, সেটার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাটের গুরুকে খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। বিচারক তখনই বলেন, চেনটা সম্পূর্ণ করুন।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Scam) শুনানিতে এর আগে বিচারক সিবিআইকে বলেছিলেন, আপনারা পনির বাটার মশালা রাঁধতে চাইছেন, অথচ পনির নেই। তখনও মূল অভিযুক্তদের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বিচারক। এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরাই বলুক পনির কোথায়? এ কথার রেশ ধরে কুন্তলের আইনজীবী শেখ মেহেদি নওয়াজ বিচারককে বলেন, আপনারা পনিরের কথা বলছেন। আসলে তো আগুনটাই নেই! তার মানে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    এদিন ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসানো হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে। অনেক প্রভাবশালীর নামও জানা গিয়েছে। এখন ধৃতদের জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এর পরেই তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। তাপসের শারীরিক পরিস্থিতিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে বলেন তিনি।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস সবার আগে কুন্তলের নাম ফাঁস করেছিলেন। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। এদিন কুন্তল নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। গোপাল দলপতি আবার কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্রের নাম নিয়েছেন। সুজয় আবার বলেছেন তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় আদালত ধরে আনতে বলছে গুরুকে। সেই নাটের গুরুর খোঁজই করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এবার তাঁর নিজস্ব এজেন্টদেরও সন্ধান মিলল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, শুধু তাপস মণ্ডল মারফতই নয়, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী’ নিয়োগে কুন্তলের নিজস্ব এজেন্টদের তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এ রকম ২২ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।

    অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’

    ইডি সূত্রে খবর, চাকরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে খোদ শিক্ষা দফতরের অফিসে। ইন্টারভিউ নিতেন কুন্তল। তাঁর সঙ্গে হাজির থাকতেন সরকারি কর্তারাও। ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত হতো চাকরি বিক্রির ‘ডিল’। সেই প্রক্রিয়া শেষে এসএসসি অফিস থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেতেন অনুত্তীর্ণরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি  অফিসারদের। এই ইন্টারভিউতে বসা অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে ইডি। শীঘ্রই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেতার মাধ্যমে পার্থ–কুন্তল পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই কুন্তল চাকরি বিক্রির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। নামের তালিকা পাঠাতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কুন্তলের তালিকার প্রার্থীদের অধিকাংশই টেট, নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    কুন্তলের এজেন্ট

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় কুন্তলের এজেন্টরা চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তার পর সেই টাকা তাঁরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। এখনও পর্যন্ত ‘কুন্তলের হয়ে কাজ করা’ ২২ জন এজেন্টের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরির টাকা মূলত নগদে লেনদেন হয়েছে। হুগলির এক এজেন্ট জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডিকে জানিয়েছেন, কুন্তলকে তিনি ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে কুন্তলের একাধিক এজেন্ট ছিলেন, সে ব্যাপারেও এক প্রকার নিশ্চিত ইডির আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের হয়ে কাজ করা ৯ জন এজেন্টকে তলব করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার হিসাবের হদিস মিলেছে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্ত যত এগোবে, টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের অবশ্য দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share